
আজ, শনিবার রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন (Rajasthan Assembly Election 2023)। কড়া নিরাপত্তা বলয়ে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। কিন্তু তার মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে অভিযোগ দায়ের করল কেন্দ্রীয় বিজেপি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভোটের দিনই প্রচার করে ভারতের নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টও সাসপেন্ড করারও দাবি বিজেপির।
রাহুল গান্ধীর এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। জানা গিয়েছে, ভোট শুরুর ঠিক আগে এক্স প্ল্য়াটফর্মে একটি পোস্টে রাজস্থানে দলের জনমুখী প্রকল্প ঘোষণার কথা তুলে ধরে রাজস্থানের ভোটারদের সরাসরি কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা লেখেন সাংসদ রাহুল গান্ধী। ভারতের নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করে পোস্ট করেছেন বলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।
বিজেপি অভিযোগ করেছে, রাজস্থান নির্বাচনের প্রচারপর্বের জন্য যে সময় বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, তা লঙ্ঘন করেই আজ তাঁর দলের হয়ে প্রচার করা হয়েছে। তাই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১ লঙ্ঘনের অভিযোগে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিজেপি।
এর আগেও একাধিকবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। এবারে ফের তাঁকে কড়া জবাব দিল বিজেপি। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের পরাজয়ের নেপথ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এমনটাই দাবি করেছিলেন রাহুল গান্ধী। শুধু তাই নয়, তাঁকে 'অপয়া' তকমাও দিয়েছিলেন। এবারে এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিল বিজেপি। এবারে রাহুলকে 'টিউবলাইট' (Tubelight) বলে আখ্যা দিল গেরুয়া শিবির।
Fuse Tubelight pic.twitter.com/SQax9wdZhQ
— BJP (@BJP4India) November 24, 2023
শুক্রবার বিজেপ তাদের এক্স হ্যান্ডেলে সলমান খানের এক ছবির পোস্টার পোস্ট করেন, তবে সেখানে সলমানের বদলে মুখ রয়েছে রাহুল গান্ধীর। ছবিতে লেখা 'ইন অ্যান্ড অ্যাজ টিউবলাইট'। শুধু তাই নয়, পোস্টারে আবার লেখাও রয়েছে, 'মেড ইন চায়না'। পোস্টের ক্যাপশনে আবার লেখা,'ফিউজ টিউবলাইট'।
বিশ্বকাপে ভারতের হারের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করে চলেছেন রাহুল গান্ধী। অপয়া মন্তব্য করতেই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও নেয় নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস নেতাকে নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এর পর বিজেপির তরফ থেকেই তাঁকে এই ছবি পোস্ট করে কটাক্ষ করতে দেখা গেল।
মাস পেরোলেই ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) বিধানসভা নির্বাচন। ফলে ভোটমুখী ছত্তিশগড়ে গিয়ে এক বড়সড় প্রতিশ্রুতি দিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সে রাজ্যে কৃষকদের ঋণ মকুব করে দেওয়ার পাশাপাশি পড়ুয়াদের স্কুল ও কলেজে বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার ছত্তিশগড়ের কঙ্কের জেলার ভানুপ্রতাপপুর বিধানসভায় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, "আমরা একটা বড় পদক্ষেপ করতে চলেছি। একে কেজি টু পিজি বলা হচ্ছে। এই উদ্যোগে কিন্ডারগার্ডেন থেকে স্নাতকোত্তর অবধি সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। লেখাপড়ার জন্য এক টাকাও দিতে হবে না।"
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, কংগ্রেস ফের ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ঋণ মকুব করে দেওয়া হবে। কেন্দ্রের শাসকদলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদী সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু আজ পর্যন্ত কিছু করেননি। আমি আপনাদের কাছে কোনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেব না। আমি যা বলি, তা করিও।"
কুলির পর এবারে অন্য রূপে ধরা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। একাধিকবার তাঁকে জনসংযোগ করতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে যেতে দেখা গিয়েছে। এবারেও ব্যতিক্রমী কিছু হল না। এর আগেরবার দেখা গিয়েছিল, ট্রেনের জেনারেল কামরায় চড়তে, আর এবারে বৃহস্পতিবার তিনি পৌঁছে গেলেন দিল্লির কীর্তিনগরের এক আসবাবের দোকানে। কুলির পর এবারে ছুতোরের ভূমিকায় দেখা গেল রাহুলকে।
বৃহস্পতিবার দিল্লির কীর্তিনগরের এক আসবাবের দোকানে পৌঁছে গিয়েছিলেন সোনিয়া-পুত্র। সেখানে গিয়েই হাতে তুলে নেন করাত। সেটা দিয়ে তাঁকে কাঠ কাটতেও দেখা গেল। এছাড়াও কাঠমিস্ত্রিদের সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে দেখা গেল। সেখানে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে, তাঁদের সঙ্গে কাজ করে তাঁদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠার চেষ্টা করলেন।
রাহুল গান্ধী নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাঁর কিছু ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, 'আজ আমি কীর্তিনগরে এশিয়ার বৃহত্তম আসবাবের বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে ছুতোর ভাইদের সঙ্গে দেখা করি। শুধু পরিশ্রমীই নন, এই কর্মীরা ভালো শিল্পীও বটে। নিজেদের হাতের জাদুতে সৌন্দর্যের জন্ম দেয়। অনেকক্ষণ কথা বললাম। তাঁদের কাজ শেখা এবং করার চেষ্টাও করলাম।'
কখনও সবজি মান্ডিতে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কখনও মোটর মেকানিকের দোকানে গিয়ে যন্ত্রপাতি নিয়ে গাড়ি সারাতে বসেছেন, আবার কখনও বাইক নিয়ে লাদাখে গিয়ে সেখানকার জনগণের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। হ্যাঁ, কথা বলা হচ্ছে, কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নিয়ে। 'ভারত জোড়ো যাত্রা' দিয়ে শুরু, এর পর থেকে তাঁকে একাধিক জায়গায় গিয়ে জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে। আর এবারে সরাসরি উঠে পড়লেন ট্রেনের (Train) জেনারেল কামরায়। শুধু ট্রেনে চাপেননি, ট্রেন যাত্রীদের সঙ্গে পাশাপাশি বসে কথাও বলেছেন রাহুল। তাঁর ছবি কংগ্রেসের তরফে শেয়ার করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
সূত্রের খবর,দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাহুল গান্ধী বর্তমানে ছত্তিশগড়ে। কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ে 'আওয়াস ন্যায় সম্মেলন' উদ্বোধনের পর সোমবার ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর থেকেই বিলাসপুর-ইটওয়ারি ইন্টারসিটি ট্রেনে সওয়ার হয়ে রাজধানী রায়পুর যান রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল-সহ রাজ্য কংগ্রেসের ইন-চার্জ কুমারী সেলজা ও রাজ্য ইউনিট চিফ দীপক বৈজ।
কংগ্রেসের তরফে যে ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, ভিড়ে ঠাসা ট্রেনের জেনারেল কামরায় উঠে পড়েছেন রাহুল। এর পর তাঁকে যাত্রীদের সঙ্গে একই আসনে বসে যেতে দেখা যায়। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে, এমনকি তাঁদের অটোগ্রাফ দিতেও দেখা যায়। আবার ট্রেনের যে কামরায় রাহুল ছিলেন, সেখানে রাজনন্দগাঁওয়ের কয়েকজন মহিলা হকি খেলোয়াড়ও ছিলেন। ফলে তাঁরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে কথা বলেন। এককথায় রাহুল গান্ধীকে ফের জনগণের সঙ্গে সাধারণ মানুষের মতো মিশে যেতে দেখা যায়।
গায়ে লাল জামা। মাথায় নীল ট্রলি। দিল্লির সকালে এ এক অন্যরকম ছবি। আনন্দ বিহার বাস স্ট্যান্ডে হাজির হয়ে কুলিদের কাজ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এদিন সকালেই বাসস্ট্যান্ডে হাজির হন তিনি। মন দিয়ে শোনেন তাঁদের কথা। তারপর নিজের মাথায় নিয়ে নেন ট্রলির বোঝ। এই ভিডিও এখন ভাইরাল।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের জনসংযোগে মন দিয়েছেন রাহুল। রাজনৈতিক মহলের মতে, এও এক নয়া অবতার। তিনি যে মানুষের মধ্যে রয়েছেন, তা বোঝাতেই রাহুলের এই প্রচার।
যদিও এই ভিডিও দেখার পরেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির থেকে দাবি, জনসংযোগ ভাল, তবে তা ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা কিন্তু এখনই বলা যাচ্ছে না।
'ভারতমাতা অসংসদীয় শব্দ', এই নিয়ে ফের বিতর্ক তুঙ্গে। কারণ আবারও একই কথা বলতে শোনা গেল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর 'ভারতমাতা' নিয়ে একই বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তবে এদিন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর পাশে দাঁড়িয়েই এই মন্তব্য করেন রাহুল।
কিছুদিন আগেই মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা। যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে লোকসভা। লোকসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তোপ দেগে 'ভারতমাতা' প্রসঙ্গে কড়া আক্রমণ করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর সেই মন্তব্য বিবৃতি থেকে ছেঁটে দেওয়া হয়। তার এক দিন পর ফের বর্তমানে দেশে ভারতমাতা 'অসংসদীয় শব্দ' বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই মন্তব্য করতে দেখা গেল কংগ্রেস সাংসদ রাহুলের গলায়। এই বক্তব্যের পরেই দেশজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। কড়া আক্রমণ জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
আদানি ইস্যুতে এবার উঠে এল এক চিনা নাগরিকের নাম। আদানি ইস্যুতে বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে উঠেছে অর্থপাচার করার অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি রাহুলের প্রশ্ন, কাদের অর্থ পাচার করা হচ্ছিল, সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।
রাহুল গান্ধী একজন চিনা নাগরিকের নাম করেছেন, যিনি আদানি গ্রুপের ফিনান্স সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত। কংগ্রেস নেতার দাবি, এতে একজন চিনা নাগরিক জড়িত থাকায় বিষয়টি ভারতের নিরাপত্তার জন্য প্রশ্ন তৈরি করেছে।
প্রসূন গুপ্তঃ বুধবার রাত থেকেই সমস্ত রাজনীতি যেন ১০ জনপথে থমকে গেলো। এদিন মূল বৈঠকের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধী সেরে ফেললেন 'হোমওয়ার্ক'। খবর ছিল মঙ্গলবার রাতেই অভিষেক নাকি প্রশান্তকিশোর বা পিকের সাথে বিকেলের বিমানে দিল্লি চলে গিয়েছেন। খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পর মমতা বিরোধী একাংশের বক্তব্য ছিল নিশ্চিত চাপে পরে অভিষেক দিল্লিতে সেটিং করতে গিয়েছেন। কিন্তু কারওর মাথায় এটা এল না যে বিজেপির ঘোরতর বিরোধী ভোট সংগঠক পিকেকে কেন নিয়ে যাবেন অভিষেক। পর দিনই মুম্বইতে মূল 'ইন্ডিয়া'র বৈঠক। কিন্তু যতটুকু আভাস পাওয়া গেলো তা, অভিষেক নাকি রাহুলের সঙ্গেই একান্ত বৈঠক করতে চান অথবা রাহুল চেয়েছেন অভিষেকের সাথে বসতে এবং পিকে এর 'মাধ্যম'। এমনটিও শোনা গেলো শুধু অভিষেক রাহুল নয়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালেরও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল না থাকায়, অভিষেক রাহুলের সঙ্গে বৈঠক সেরে কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরে যে 'হঠাৎ' হলোটা কি?
বুধবার একেবারে ভোরে (সময় আন্দাজ ৬.৩০) ১০ জনপথে রাহুল ও অভিষেকের ব্রেকফাস্ট বৈঠক হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এই বৈঠকে ঠিক কি আলোচনা হয়েছে তার খবর কোনও মাধ্যমের কাছে নেই। তবে অভিজ্ঞাতায় এটা বলা যায় যে, আসন্ন ভোটের আগে স্ট্রাটেজি কি হবে বা বিজেপির তরফ থেকে কি কি চাপ বা পরিকল্পনা হতে পারে এটা নিশ্চই আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া আপাতত বিরোধী দলের প্রধানমন্ত্রীর মুখ না থাকলেও কাকে অনেকটা দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে এই ২৬ দলের জোটে ভাঙা এনসিপি আছে, ভাঙা শিবসেনা আছে এবং সর্বদা পাল্টে যাওয়া উচ্চাকাঙ্খী নীতীশ কুমারও রয়েছেন। অতএব এই দলের প্রাথমিক মুখ কোনও ভাবেই হয়তো শারদ পাওয়ার বা নীতীশবাবুকে দেওয়া যাবে না।
যদিও বৃহস্পতিবার ২৬ বিরোধী দলের কোনও কেউ কেউ মূল দায়িত্বে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অনেকটাই ভরসা করছে সোনিয়া বা রাহুল। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাপ যদি এই ২৬ দলের কারুর উপর আসে বা দল ভাঙানোর চেষ্টা হয় তবে সম্মিলিত ভাবে বিরোধীরা ভারত জুড়ে নানান আন্দোলনে নামতে পারে বলেই গুঞ্জন। নির্ভর করছে ৩১ অগাস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর।
লাদাখে প্যাংগং হ্রদের তীরে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিকে শ্রদ্ধা জানালেন তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধি। রবিবার সকালে রাজীবের একটি ছবিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
শনিবারই পিতার জন্মদিন পালন করতে বাইকে চেপে লাদাখে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই শেয়ার করেছেন। অতীতের স্মৃতিচারনা করে তিনি লেখেন, বিশ্বের অন্যতম সুন্দর জায়গা বলে মনে করতেন রাজীব গান্ধি। সেকারণে বাবার জন্মদিন পালনে প্যাংগং লেকে গিয়েছিলেন তিনি।
রাহুলের এই সফর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজেজু নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রাহুলকে নিশানা করে লেখেন, লাদাখ নিয়ে ভুল প্রচার করছে রাহুল।
২০২৪-এ লোকসভা ভোটে আবারও আমেঠি থেকেই লড়বেন রাহুল গান্ধী। এমনই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই। ২০১৯-এ ওই কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু, স্মৃতি ইরানির সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু, হেরে গিয়ে পিছু হটতে রাজি নন রাহুল। আসন্ন লোকসভায় তিনি যে আমেঠি থেকেই লড়বেন, তা একপ্রকার ঘোষণাই করে দিলেন উত্তর কংগ্রেস সভাপতি।
উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি পদে সদ্য নিযুক্ত অজয় রাই জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী 'অবশ্যই' তাঁর প্রাক্তন নির্বাচনী এলাকা আমেঠি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। একইসঙ্গে রাহুলের জয়ের বিষয়েও আশাবাদী তিনি।
অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নির্বাচনী কেন্দ্র নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন তিনি। জানালেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যে কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইবেন, সেখানেই তিনি প্রার্থী হবেন। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, তাহলে সেখানেই প্রার্থী হবেন।
মোদি পদবি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেয়েছেন রাহুল। সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও আর বাধা নেই তাঁর। তাই, আসন্ন লোকসভায় রাহুলের নির্বাচনী লড়াই নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। তারই মধ্যে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শতাব্দী প্রাচীন একটি দলের দায়িত্ব জন্মসূত্রে কাঁধে নিয়েও, 'গান্ধী' পরিবারের আর সকলের থেকে একটু ছক ভাঙা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কিন্তু ৫২ বছরের এই রাজনীতিকের বয়স যেন কেবলমাত্র একটি সংখ্যা ছাড়া আর কিচ্ছুটি নয়। কেবল রাজনীতি নয় নিজের রকমারি 'মুডের' কারণে, লুকের কারণেও খবরের শিরোনামে থাকেন তিনি। তবে এবারে এক অন্য রূপেই দেখা গেল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। এই যেমন এবার তিনি তাঁর বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন লাদাখের (Ladakh) উদ্দেশে। আর সেখানে যেতেই একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করলেন তিনি। ক্যাপশেন লিখেছেন, 'বাবা বলতেন, এই জায়গা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সুন্দর জায়গা।'
সৌন্দর্যে মোড়া লাদাখের পাহাড়ি রাস্তায় খোশমেজাজে বাইক চালাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। মাথায় হেলমেট, পরনে বাইকারের পোশাক, চোখে আঁটা রোদ চশমা, পিঠে ব্যাগ নিয়ে খোশমেজাজে চালাচ্ছেন বাইক। লেহ-লাদাখে গিয়ে এক অন্য মুডেই ধরা দিলেন তিনি। তিন দিনের জন্য লেহ-লাদাখ সফরে গিয়েছেন ও সেখানে গিয়েই প্যাংগং লেকে যেতে তিনি তাঁর স্পোর্টস বাইককেই সঙ্গী করে নিয়েছেন। আর বেরিয়ে পড়েছেন লাদাখের অতুলনীয় সৌন্দর্য দেখতে।
তবে হেলমেট পরা অবস্থায় রাহুল গান্ধীকে চেনা বড় দায় ছিল। দেখে মনে হচ্ছে, ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্যের শ্যুটিং চলছে। একেবারে হলিডউ মুডে রয়েছেন রাহুল। কিন্তু হেলমেট খুলতেই স্পষ্ট হল তাঁর মুখ। উল্লেখ্য, ব্যাচেলর রাহুল গান্ধীর গ্যারেজে রয়েছে একটি কেটিএম ৩৯০ সি মডেলের বাইক। আর এটাতেই চেপে লাদাখের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন তিনি। এই বাইকটির বাজারদর ২ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা।
প্রায় চার মাস পর সোমবার সংসদে রি-এন্ট্রি করেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এরপর আজ, বুধবারও সংসদে (Parliament) যাওয়ার জন্যই রওনা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সংসদে পৌঁছনোর আগেই ফের একবার জনগণের নজর কাড়লেন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সংসদে বক্তৃতা দিতে যাবেন। কিন্তু রাস্তায় ঘটে যায় এক ঘটনা। স্কুটি চালিয়ে এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন, সেসময় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। এই দেখেই দৌড়ে যান রাহুল। এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে কংগ্রেসের তরফে টুইট করে তাঁকে 'জননায়ক' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংসদ সূত্রে খবর, আজ সংসদে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সায় দেন। সেখানে মোদীকে আক্রমণও করেন। কিন্তু সংসদে সেসব কিছু ঘটার আগেই তিনি খবরের শিরোনামে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গাড়ি করে সংসদে যাচ্ছিলেন রাহুল। কিন্তু তাঁর গাড়ির পিছনেই এক ব্যক্তি স্কুটার নিয়ে বেসামাল হলে রাস্তায় পড়ে যান। এই দেখা মাত্রই তাঁর গাড়ি থামান ও তিনি ছুটে যান সেই ব্যক্তির কাছে। ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করেন, 'আপনার আঘাত লাগেনি তো?' আর এই দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি করে কংগ্রেসের তরফে টুইট করা হয়েছে। তাঁকে 'জননায়ক' বলে উল্লেখ করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে। এই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। তবে নেটিজেনদের অনেকাংশই এটিকে 'পাবলিসিটি স্টান্ট' বলেছেন। কিন্তু রাহুলের অনুরাগীরা তাঁর এই ব্যবহারে মুগ্ধ।
প্রসূন গুপ্তঃ ৪ মাসের জন্য যেন বনবাস হয়েছিল রাহুল গান্ধীর। সেই বাধা উতরে সোমবার জিরো আওয়ারে লোকসভায় প্রবেশ করলেন রাহুল। অবিশ্যি এমনটিই হওয়ার কথা ছিল। প্রসঙ্গত চার মাস আগে রাহুলের লোকসভার সাংসদ পদ চলে গিয়েছিলো। বহু বছর আগে ভোটের প্রচার করতে গিয়ে রাহুল দক্ষিণ ভারতের এক সভায় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, দেশের সব মোদীরাই কি এক রকম। তখন এই বিষয়ে বিজেপি আর উচ্চবাচ্য না করলেও সম্প্রতি কোনও এক গুজরাতে বসবাস করা মোদী, একটি নিম্ন আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করে।
বিচারক আদেশ দেন যে, রাহুল জাতি বা গোষ্ঠীগত ভাবে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। কাজেই তাঁর লোকসভার সদস্য পদ থাকবে না এবং তাঁর দু'বছর জেল হবে। অবিশ্যি রাহুল এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন এমন বিকল্পের কথাও বলা হয়েছিল। সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় এবং গত শুক্রবার উচ্চ আদালত সেই আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দেন। কাজেই রাহুলের আর আইনসভায় আস্তে বাধা রইলো না। কিন্তু ভাবনা একটিই ছিল কংগ্রেস তথা 'ইন্ডিয়া' ফ্রন্ট্রের যে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা কি রাহুলকে সভায় অনুমতি দেবেন? সেই ভাবনার কাঁটাতেও সমস্যা থাকলো না যেহেতু ইতিমধ্যে স্পিকারের দফতর থেকে রাহুল গান্ধীর কাছে লোকসভায় আসতে অনুরোধ করা হয়েছে বলেই খবর।
সোমবার সকল থেকেই উৎসবের মেজাজে চলে যায় কংগ্রেস দল। রাহুলকে লোকসভায় এক প্রকার ধরে নিয়েই আসা হয়। রাহুলের আগমনকে টেবিল বাজিয়ে স্বাগতম জানায় বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। উঠে এসে রাহুলের পাশে দেখা যায় তৃণমূলের সদস্যদের। এরপর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিষ্টি মুখ করানো হয় জোটের বিভিন্ন দলকে। এনডিএর বিজেপি ব্যাতিত অন্য দলের প্রতিনিধিদেরও শুভেচ্ছা বার্তা দিতে দেখা যায়। মোটের উপর বর্ষাকালীন অধিবেশনে রাহুল গান্ধী যে সরকার বিরোধী ভাষণ দেবেন তা নিঃসংকোচে বলে দেওয়া যায়।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ মামলায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। 'মোদি' পদবী নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুরাত আদালতে একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় সাংসদ রাহুল গান্ধী। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পর লোকসভা কর্তৃক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তার সংসদ পদ খারিজ করা হয়। এবার ওই মামলায় সুরাত আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে আপাতত লোকসভা নির্বাচনের আগে স্বস্তিতে থাকবে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, মোদি পদবী নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করায় সুরাট আদালতে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সুরাত আদালত তাঁকে দু বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয। সুরাত আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাহুল গান্ধী। যদিও সেখানে সুরাত আদালতের রায় বহাল থাকে। এরপর সংসদ পদ বাঁচাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধী দল নেতা রাহুল গান্ধী। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক পর্যায়ে সুরাট আদালতের এই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়।