
৫৩ বছর হয়ে গেলেও এখনও দেশের 'মোস্ট এলিজেবেল ব্যাচালর' হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বিয়ে করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকেই। এতদিন রাহুলকে সরাসরি বলা হত বিয়ে করার জন্য। কিন্তু এবারে ছেলের বিয়ের জন্য মা সনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) বললেন এক মহিলা কৃষক। আর সেই শুনেই মুখে লাজুক হাসি রাহুলের। বিয়ে দেওয়ার সেই প্রস্তাবের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। আর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল।
मां, प्रियंका और मेरे लिए एक यादगार दिन, कुछ खास मेहमानों के साथ!
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 29, 2023
सोनीपत की किसान बहनों का दिल्ली दर्शन, उनके साथ घर पर खाना, और खूब सारी मज़ेदार बातें।
साथ मिले अनमोल तोहफे - देसी घी, मीठी लस्सी, घर का अचार और ढेर सारा प्यार।
पूरा वीडियो यूट्यूब पर:https://t.co/2rATB9CQoz pic.twitter.com/8ptZuUSDBk
সম্প্রতি দিল্লিতে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন হরিয়ানার কৃষক পরিবারের কিছু মহিলা। দেখা গিয়েছে, সেই কৃষক মহিলাদের সঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া, গল্প-গুজব, নাচ-গান করেছেন গান্ধী পরিবার। সেই মহিলারা গান্ধী পরিবারের জন্য নিয়ে এসেছেন লস্যি, আচার ইত্যাদি। এসব দেখে আপ্লুত তাঁরা। এরই মধ্যে এক ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে বসেন এক মহিলা কৃষক। তিনি সরাসরি সনিয়া গান্ধীকে প্রশ্ন করেন, 'ছেলের বিয়ে কবে দিচ্ছেন?' আর এর উত্তরে সনিয়া বললেন 'আপনিই পাত্রীই খুঁজে দিন না।' সনিয়ার এমন কথা শুনে বাকি মহিলারাও হাসতে শুরু করেন। পাশে বসে রাহুল, আর তাঁর মুখেও দেখা যায় লাজুক হাসি।
হরিয়ানার (Hariyana) জলভরা ধানক্ষেতে দাঁড়িয়ে একদল কৃষক (Farmer), ধান বুনছেন। তাঁদের ভিড়েই এক লম্বা ছিপছিপে সুদর্শন যুবক, মুখে কাঁচা-পাকা দাড়ি, পরনে সাদা টি-শার্ট, হাঁটু পর্যন্ত গোটানো ট্রাউজার, একমনে কথা বলছেন কৃষকদের সঙ্গে, ওঁদের সঙ্গেই ধানও বুনছেন। তিনি আর কেউ নন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শনিবার সকালটা এভাবেই সোনিপাতের কৃষকদের সঙ্গে, তাঁদেরই একজন হয়ে কাটালেন রাহুল।
শুক্রবারই গুজরাট হাই কোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছেন রাহুল। কিন্তু শনিবার সকালে কংগ্রেস নেতার চোখে মুখে ছিল না দুশ্চিন্তার লেশ। রাজধানী থেকে শিমলা যাচ্ছিলেন সোনিপতের মদিনা গ্রামে নেমে পড়লেন হঠাৎ, ট্র্যাক্টর চালালেন, শুনলেন কৃষকদের সুখ দুঃখের কথা।
সাংসদ পদ বাতিল হওয়ার পর বেশ কয়েকবার জনসংযোগের জন্য এমন 'মাটির মানুষ' ইমেজ প্রকাশ্যে এসেছে রাহুলের, মার্কিন সফরে গিয়ে ট্রাকচালকদের সঙ্গেও কাটিয়েছিলেন গোটা দিন।
মোদী পদবি (Modi Surname) বিতর্ক মামলায় রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট (Gujrat HighCourt)। শুক্রবার বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের এজলাসে মামলাটি শুনানি ছিল। এবং শুনানি শেষে বিচারপতি মামলাটি খারিজ করে দেন।
সুরাত আদালতের সিদ্ধান্ত রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আসে। তারপরেই তিনি গুজরাত হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন। সেই মতো শুক্রবার শুনানি হয়। যেহেতু রাহুল গান্ধির আর্জি খারিজ হয়ে গেল সেকারণে তাঁর দুই বছরের জেলের সাজা বহাল থাকল।
এদিকে চলতি বছরের ২৩ মার্চ একটি ফৌজদারি মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন সুরাট আদালতের বিচারক এইচ এইচ ভার্মা। সেখানে তিনি রাহুল গান্ধিকে দুই বছরের কারাদণ্ডের ঘোষণা করেছিলেন বিচারক। শুক্রবার নিম্ন আদালতের রায়েই সিলমোহর দিল গুজরাত হাইকোর্ট। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিতেও অস্বীকার করা হয়েছিল। গুজরাত হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল গান্ধি। সেই সঙ্গে জেলে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
এখনও সময় আছে। বিয়ে করে নিন। আমাদের কথা শুনুন। বিরোধীদের বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) এমনই পরামর্শ লালুপ্রসাদ প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Jadav)। যা শুনে হাসির রোল উঠল বৈঠকের (Meeting) মাঝেই।
বিরোধী জোটের শেষে মিলিতভাবে ১৫ জনের দলের নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই লালুপ্রসাদ যাদব বলেন, "আমরা আগেও আপনাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, বিয়ে করে নিন। তখনও আপনি কথা শোনেননি। এখনও দেরি হয়নি। বিয়ে করে নিন, আমরা বরযাত্রী যাই। আপনার মায়েরও অনুযোগ, আপনি কথা শোনেন না।"
লালুপ্রসাদ যাদব এদিন বৈঠকের পর বলেন, "বহুদিন পরে আপনাদের সঙ্গে দেখা হল। সিমলায় রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হবে। আগে লোকে বলত, বিরোধীরা আলাদা থাকবে। আমরা একসঙ্গে রয়েছি।"
প্রসূন গুপ্তঃ জোটের বৈঠক হচ্ছে। কথা ছিল ১২ জুন, কিন্তু কিছু কারণে সেটি পিছিয়ে ২৩ জুন ধার্য হয়েছে। এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধি আমেরিকায়, অন্যদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গে ব্যস্ত দলের কাজে। একই সঙ্গে ডিএমকে দলের প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনও জানিয়েছিলেন ১২ জুন তাঁর কাজ রয়েছে, কাজেই দিন বদলে ফেললে তিনি আসতেই পারেন।
সভাটি হচ্ছে পাটনাতে। মূলত মমতার অনুরোধে এই সাভার ডাক দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। প্রথমে ভাবা গিয়েছিলো হয়তো দিল্লি কিংবা শিমলাতে বৈঠক হতে পারে, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ ভাবে নীতীশকে জানান পাটনায় হলে সবথেকে ভালো হয়। প্রাথমিক ভাবে তৃণমূল এবং আপ পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। মমতার বিষয়ে যদিও কংগ্রেসের কোর কমিটির আপত্তি নেই, কিন্তু ঘোরতর আপত্তি আছে কেজরিওয়ালকে নিয়ে। আপাতত বর্ষীয়ান নেতা শারদ পাওয়ারের হস্তক্ষেপে কংগ্রেস, আপ পার্টির সঙ্গে বসতে রাজি হয়েছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সাগরদিঘির নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের কাছে তৃণমূল প্রার্থী পরাজিত হয়। কিন্তু তিন মাস গড়াতে না গড়াতেই তিনি দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এই ঘটনায় বিস্তর চটেছে রাজ্য কংগ্রেস। তারা কোনও ভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সভা চাইছেন না, কিন্তু দলের প্রবীণ নেতারা রাহুলকে বুঝিয়েছেন যে, এই ঘটনায় মমতার সঙ্গে সংঘাত করা উচিত নয়। অবশেষে রাহুল রাজি হয়েছে তৃণমূল এবং আপের সঙ্গে বৈঠক করতে।
এই বৈঠকে দেশের মোদী বিরোধী অধিকাংশ দলের নেতারা উপস্থিত হচ্ছেন। বিহার, ঝাড়খন্ড, ডিএমকে, উত্তরপ্রদেশ উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, এনসিপি, তেলেঙ্গানা, জাম্বু/কাশ্মীর ইত্যাদি প্রায় সমস্ত দলই উপস্থিত থাকছে। থাকছে না জাগন রেড্ডি, বিজু জনতা দল, জনতা দল(এস) অকালি দলের মতো প্রাক্তন বিজেপির জোটের দলগুলি। অবশ্য সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রেল দুর্ঘটনায় মমতা যেভাবে নিয়মিত প্রতিবাদ করছেন তাতে খুশি কংগ্রেস এবং আমেরিকায় রয়েছেন এই মুহূর্তে তৃণমূল সংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান। তিনি নাকি রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। অবশ্য ২৩ জুন বোঝা যাবে জোটের অবস্থান।
বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। মোদী পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে সুরাত আদালতের পাশাপাশি মামলা দায়ের হয়েছিল পাটনার (Patna) একটি নিম্ন আদালতেও (Court)। তাই ১২ এপ্রিল রাহুলকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল পাটনার নিম্ন আদালতে। সেই মামলায় সোমবার নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল পাটনা হাইকোর্ট। ১৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২২ এপ্রিল পাটনা হাইকোর্টে এই মামলা খারিজের আবেদন জানান রাহুল। তবে এই বিষয়ে রাহুলের আইনজীবী বীরেন্দ্র রাঠোর এক সংবাদ সংস্থাকে জানান, 'যেহেতু একই বিষয় নিয়ে একটি আদালতে মামলা চলছে, তাই অন্য আদালতে মামলাটি চলতে পারে না। তাই আমরা মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিলাম।'
গত প্রায় দু’দশক ধরে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ঠিকানা ছিল লুটিয়েন্স দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের (Tughlak Lane) সরকারি বাংলো। শনিবার সেই বাংলো ছেড়ে দিয়েছেন ওয়েনাড়ের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ (MP)। আপাতত মা সনিয়ার জন্য বরাদ্দ ১০ জনপথের সরকারি বাংলোয় তাঁর ঠিকানা। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর সাংসদ হিসাবে ওই বাংলোটি বরাদ্দ প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়ার জন্য। লোকসভার হাউসিং কমিটি শনিবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত সরকারি বাংলো ছাড়ার সময়সীমা দিয়েছিল রাহুলকে। তা মেনেই নির্দিষ্ট সময় বাংলো ছেড়ে দিলেন তিনি।
শনিবার সকালে রাহুলের বাংলোয় গিয়েছিলেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা। দুপুরে তিনি আবার যান ১২ তুঘলক রোডে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে অমেঠী লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে প্রথম সাংসদ হয়েছিলেন রাহুল। সে সময় তাঁর জন্য ওই বাংলাটি বরাদ্দ করেছিল লোকসভার হাউসিং কমিটি। পদ হারানোর পরেই তা ছেড়ে দিলেন তিনি। রাজ্যসভার মেয়াদ দু’বছর আগে ফুরোলেও নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়া গুলাম নবি আজ়াদ অবশ্য এখনও সরকারি বাংলোতেই রয়েছেন!
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। ওই রায়ের ভিত্তিতেই ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাতের দায়রা আদালতে রাহুল আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
রাহুলের (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ নিয়ে সংশয়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (Court) রায় বহাল রাখল সুরাত (Surat) দায়রা আদালত। ফলে লোকসভার সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার আশায় আপাতত ইতি হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। সেই সঙ্গে তৈরি হল জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা। ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে সাজা শোনায়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় বহাল রাখল দায়রা আদালত। ‘অপরাধমূলক মানহানির’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দিয়েছিল, অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা বৃহস্পতিবার তার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন খারিজ করেছেন। এর ফলে আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল। সংশয় তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েও।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিল। তারই ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন। রাহুল, তাঁকে দোষী ঘোষণা এবং সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে (সেশনস কোর্ট) আবেদন করেছিলেন।
৩ এপ্রিল বিচারক আরপি মোগেরা রাহুলের আবেদন গ্রহণ করে জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। তবে সে দিন দায়রা আদালত রাহুলকে দোষী ঘোষণা করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি। দায়রা আদালতের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ পাওয়ার জন্য রাহুলের তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল। গত ১৩ এপ্রিল আগের শুনানির দিন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক মোগেরা রায় সংরক্ষিত রাখার কথা ঘোষণা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাহুলের সেই আর্জি খারিজ করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় বহাল রাখলেন তিনি। এর ফলে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ না পেলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞেরা।
'মোদি' পদবী টেনে বিতর্কিত মন্তব্যে স্বস্তি রাহুল গান্ধীর। সুরাতের দায়রা কোর্ট জামিন মঞ্জুর করেছে রাহুলের। পরবর্তী শুনানি ১৩ এপ্রিল। ১০ এপ্রিলের মধ্যে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা গুজরাতের মন্ত্রীকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে আদালত। আপাতত ১৩ই এপ্রিল অবধি রাহুলের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। এমনটাই জানিয়েছে সুরাতের দায়রা আদালত।
সূত্রের খবর, সোমবার সুরাতের দায়রা আদালতে হলফনামা জমা দেন ওয়ানাডের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। রায়ের উপর স্থগিতাদেশের পাশাপাশি লোকসভার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতেও আবেদন করেন তিনি। এদিকে, সোমবার রাহুল তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে আদালতে পৌঁছন। এছাড়াও এদিন রাহুলের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের তিন মুখ্যমন্ত্রী। এরা হলেন, রাজস্থানের অশোক গেহলট, ছত্তিশগড়ের ভূপেশ বাঘেল ও হিমাচলপ্রদেশের সুখবিন্দর সিং সুখু।
সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে 'মোদি' পদবী টেনে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় সুরাতের এক আদালতে। চূড়ান্ত রায়ে সুরাতের ওই আদালত তাঁকে দু বছরের সাজা শোনায়। তারপর লোকসভায় তাঁর সাংসদপদ বাতিল হয়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশন দাখিল করেন কংগ্রেস নেতা। তার ভিত্তিতেই ১৩ তারিখ অবধি জামিন পেয়েছেন তিনি।
প্রসূন গুপ্ত: রাহুলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে এই মুহূর্তে? রাহুল গান্ধী বিরোধীদের মধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছেন। কংগ্রেস তথা নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যরা সাধারণত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে একটি শ্রদ্ধার স্থান পেয়ে থাকেন। ব্যতিক্রম ছিলেন রাহুল। অনেকটাই তাঁর খামখেয়ালি মনোভাবের জন্য নিজের জায়গা, বিরোধীদের মধ্যে নেতার আসন পাননি। বিরোধীদের মধ্যে তাঁর নিয়মিত সুহৃদ পাওয়া দুষ্কর ছিল। এক সময়ে এসপি-র সভাপতি অখিলেশ যাদব রাহুল ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের গত নির্বাচনের পর তা নষ্ট হয়ে যায়। রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু কেউই থাকে না, এটা একসময় বলেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কিন্তু সম্পর্ক ভালো রাখার ফর্মুলাটি সোনিয়া গান্ধী খুব ভালো বুঝতেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোনিয়ার সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। রাজীব পত্নীকে মমতা খুবই শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছেন। কিন্তু রাহুল ওই সম্পর্কে বারবার বাধা হয়ে উঠেছিলেন।দেখা গিয়েছিলো ২০১৫-র বিহার নির্বাচনের পরে একই মঞ্চে লালু নীতীশের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মমতা-রাহুল। সেবার সিপিএম এই জোটের বিরোধী ছিল। অনুষ্ঠান শেষে মমতা ব্যক্তিগত ভাবে রাহুলকে নাকি অনুরোধ করেন সিপিএমের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে।
কিন্তু রাহুল এই ব্যক্তিগত অনুরোধটি প্রেসের সামনে বলে দেন, সেই থেকেই রাহুলের সঙ্গে মমতার শীতল সম্পর্ক। কিন্তু রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর মমতা-সহ অধিকাংশ বিরোধী দল কংগ্রেসের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন রাহুল কি করবেন? আইনজীবীদের বক্তব্য যে, রাহুল উচ্চ আদালতে গেলে এই আদেশ হয়তো পরিবর্তিত হবে। কিন্তু কংগ্রেস কর্মীদের একটি অংশ বলছে যে, সুরাত কোর্টের রায়ে রাহুল জেলে যেতে পারেন। রাহুল গ্রেফতার হলে ওই সেন্টিমেন্ট সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে, যার ফসল তুলতে পারবে বিরোধীরা। রাহুলের বড় পরিচয় তিনি ইন্দিরার নাতি এবং দুঃসময়ে ইন্দিরা গ্রেফতার হওয়ার পর হারিয়ে যাওয়া ক্ষমতা ফের কংগ্রেস ফিরে পেয়েছিলো।দেশের ভোটারদের কাছে এই বার্তা গিয়েছিলো যে দেশের নেত্রীকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করেছে জনতা পার্টির পুলিস।রাহুল কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাইছেন?
প্রসূন গুপ্ত: রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন বিরোধী দলকে অনেকটা কাছাকাছি এনে ফেলেছে। রাহুলের লঘু পাপে গুরুদণ্ড হয়েছে এমনটাই বক্তব্য বিরোধীদের। এই ঘটনা অর্থাৎ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ চলে যাওয়াতে তাঁর পাশে দাঁড়ানো কি সমস্ত বিরোধীদের অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই, এমন প্রশ্নই বিশেষজ্ঞদের। সোমবার রাতে কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজ্যসভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খার্গের বাড়িতে সমস্ত বিরোধী দলকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ইদানিং কংগ্রেসের কোনও আন্দোলনে তৃণমূল না থাকলেও সোমবার দলের দুই সাংসদ লোকসভার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার জহর সরকার এই ভোজে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে কংগ্রেসের চিরকালের বিরোধী আপ পার্টির প্রতিনিধিদেরও এই সভায় দেখা গেলো। পাশাপাশি ডিএমকে, এসপি, আরজেডি, এনসিপি ইত্যাদি দলের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন। অনুপস্থিত ছিল বিজেডি দল এবং শিবসেনা(উদ্ধব) অংশ। উদ্ধবের উপস্থিত না থাকার কারণ নাকি সম্প্রতি রাহুলের সাভারকর মন্তব্য। রাহুল বলেছিলেন, তিনি গান্ধী, সাভারকার নয়। এই মন্তব্যে অখুশি উদ্ধব, কাজেই সভাতে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। যদিও প্রতিবাদ মিছিলে তাঁদের দলের প্রতিনিধিকে দেখা গিয়েছে বলে সংবাদ।
নামেই ভোজসভা আসলে জোটসভা বা আসন্ন ভোটসভা বললে প্রকৃত উদাহরণ হতো। আলোচ্য বিষয় অবশ্যই বিজেপির বিরুদ্ধে জোট। প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ার বলেন, 'আসন্ন নির্বাচনে এই উপস্থিত বিরোধীরা একসঙ্গে থাকলে বিজেপি বা এনডিএ-কে হারানো সম্ভব।' বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার তৃণমূলের সাংসদ প্রসূন।
তিনি বলেন, 'যে ফুটবল খেলেছেন তিনি, কাজেই টিমওয়ার্ক না থাকলে একার ট্যালেন্ট দেখিয়ে জেতা যায় না।' জহর সরকার প্রাক্তন আমলা কাজেই সরকারি বিষয়টি তাঁর নখদর্পনে। তিনি আইনানুগ বিষয়টি তুলে ধরেন। আপ পার্টিও একই সুরে কথা বলে। রাহুল পরিষ্কার জানান, 'তিনি না থাকলেও বা তাঁকে না রাখলেও সমস্যা নেই। কিন্তু সম্মিলিত জোটটি হোক।' অন্যদিকে বিজেপির প্রশ্ন, 'এ রকম জোট তো প্রতি বছর হয়ে থাকে কিন্তু ভেঙেও যায়।'
রাহুলকে (Rahul Gandhi) সরকারি বাংলো ছাড়তে নোটিস (Notice)। সোমবার কংগ্রেস নেতা রাহুলকে নোটিস দিয়েছে লোকসভার (Loksabha) হাউসিং কমিটি। সম্প্রতি তাঁর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। সাংসদপদ খারিজের পর, এবার রাহুল গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়তে নোটিস। ২০০৪ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ ছিলেন রাহুল। সেই সূত্রে দিল্লিতে ১২ তুঘলক রোডে রাহুলের জন্য সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল।
আগামী ১ মাসের মধ্যে সরকারি বাংলো ছাড়তে রাহুলকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। যদিও রাহুলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এমন কোনও নোটিস তিনি পাননি। সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর টুইট করেছিলেন রাহুল। লিখেছিলেন, ‘দেশের কণ্ঠস্বরের জন্য লড়াই করছি। প্রতিটি মূল্য চোকাতে প্রস্তুত।’ এরপর, শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন, 'মোদী-আদানি সম্পর্ক নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলাতেই নিশানা করা হয়েছে তাঁকে।' তিনি এ-ও জানান যে, সংসদে তাঁর পরের বক্তৃতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভীত, তাই তাঁর সাংসদপদ খারিজ করা হয়েছে।
মানহানি মামলায় গুজরাটের সুরাট আদালতের নির্দেশে ২ বছরের সাজা হয় কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul gandhi)। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী বাতিল করা হলো রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ। যা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা দেশে। এ ঘটনা নিয়ে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুলের পরিচিত সংবাদকর্মীদের একাংশের দাবি, শনিবার রাহুল অনেক কিছুই বলতে পারতেন। বলতে পারতেন গোটা দেশের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে, বলতে পারতেন গোটা দেশের বিরোধীদের এক করা নিয়ে। সম্প্রতি রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিজেপি বিরোধী সমস্ত দল গুলি? এরফলে তিনি শনিবার কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনতে পারতেন যে, চাপ দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এমনটা তিনি করলেন না। কেন?
কেন্দ্র বিরোধী মাখনের মত এমন একটা পরিস্থিতি, কেন তিনি ছুরি চালিয়ে গোটা পরিস্থিতিটা নিজের পক্ষে করলেন না? জানা নেই। শনিবার রাহুলের মুখে শুধু শোনা গেল, আমি, আমি, আর আমি। আর শোনা গেল মোদী আর আদানির নাম। যদিও রবিবার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের পথে নামবেন বলে জানিয়েছেন রাহুল। রবিবারই নিজের টুইটারে নিজের বায়ো বদলে রাখেন 'ডিস্কোয়ালিফায়েড এমপি'। গোটা সাংবাদিক সম্মেলন জুড়ে একবারও বিরোধীদের একজোট হবার ডাক দিলেন না। তিনি যদি বলতেন বিরোধীদের একজোট করার পর, তাদের মধ্যেই কেউ সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতার খাতিরে মোদী বিরোধী মুখ হবেন, যেমনটা তিনি তাঁর দলে করেছেন, মল্লিকার্জুন খাগড়েকে সভাপতি বানিয়েছেন। যদিও অভিজ্ঞতার খাতিরে এখনও অবধি বিরোধী মুখ কেউ হলে সেক্ষেত্রে রাহুলই এগিয়ে থাকতেন। তাও তিনি মোক্ষম সময়ে বিরোধীদের সঙ্গবদ্ধ করতে চাইলেন না। আদতে চাইলেন না, নাকি করলেন না, সেটা বোঝা সময়ের দায়।
লোকসভার অধ্যক্ষের সচিবালয় সূত্রে খবর, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২(১) ১৯৫১-র জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। এবিষয়ে শনিবার তাঁর দুই প্রিয় সাগরেদ ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক ঘেলট, দু'জনকে দুই পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন রাহুল। রাহুল সাংবাদিক বৈঠকে আদানিকে কাঠগড়ায় তুললে, সাংবাদিকরা তাঁর সাগরেদদের রাজ্যে আদানির ব্যবসার কথা মনে করিয়ে দিলেন। সেই মুহূর্তে কিছুটা রেগে গিয়ে রাহুল বললেন, 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ আছে।' এতে কি রাহুলের সাগরেদ রা ছোট হলেন না? এত সুন্দর পরিস্থিতে তিনি কি পারতেন না বিরোধীদের একজোট করার ডাক দিতে? এটাকে কি প্রস্তুতির অভাব বলা চলে? নাকি আপনি বলবেন, তাঁর দিদা ইন্দিরা গান্ধীর মত বা তাঁর পূর্ব পুরুষের মত ক্ষুরধার বুদ্ধির মালিক এখনও হয়ে উঠতে পারেননি রাহুল।
প্রসূন গুপ্ত: শনিবার কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে রাহুল গান্ধী তাঁর সাংসদপদ চলে যাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন। সারা দেশের উৎসাহ ছিল, নিজের সমর্থনে রাহুল গান্ধী কী বলেন। যদিও শুক্রবার লোকসভা থেকে তাঁর সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পর সবকটি বিরোধী দল থেকেই প্রতিবাদ উঠেছিল। সেই তালিকায় নাম আছে চিরকাল কংগ্রেস-বিরোধী হিসেবে পরিচিত আপ পার্টি বা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই তালিকায় রয়েছে ইদানিং কংগ্রেসের সঙ্গে শীতল সম্পর্কে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের। এরাও পৃথক ভাবে হলেও এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এদিকে এক মানহানির মামলায় সুরাতের এক আদালত রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে, দুই বছরের জেল।
শনিবার অবশেষে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী। রাহুল জানান, 'তিনি লোকসভায় থাকলে নরেন্দ্র মোদীর নাকি সমস্যা হচ্ছিলো।' আদানি কাণ্ডেও মোদী সরকারকে খোঁচা দেন কংগ্রেস নেতা। তিনি জানান, 'মোদী বলে তিনি মাত্র দুজন ব্যক্তির নাম করেছিলেন, নীরব ও ললিতের। চোর মানেই কি মোদী? তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।' সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন আসে, কেন উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালতে এই মামলা ফিরে যায় এবং তাঁকে কেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়?
রাহুল জানান, 'আদালতের বিরুদ্ধে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। এ বিষয়ে তাঁদের দলের আইনজীবীরা যা বলার বলবেন।' তাঁর মুখে এদিন একটি কথাই বারবার এসেছে, তা উদ্যোগপতি আদানিকে নিয়ে। তিনি বলেন, 'কে এই আদানি? তাঁর নাম আগে কোনওদিন শোনা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে উঠে এসেছেন তিনি। কেন আদানির বিমানে মোদী সফর করেছিলেন?' সেই ছবি রাহুল গান্ধী লোকসভায় পেশ করেছিলেন, দাবি তাঁর। সংসদে তাঁর আরও বেশ কিছু বলার ছিল। কিন্তু মোদী তাঁকে সেই সুযোগ দিলেন না। এভাবেও খোঁচা দেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল বলেন, 'এই ঘটনায় বিরোধীদের শক্তিবৃদ্ধি হবেই। সম্মিলিত হবে বিরোধীরা।' তিনি জানান, 'তাঁকে লোকসভায় ঢুকতে না দিলে বা জেলে পাঠালেও মুখ বন্ধ হবে না।'
মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে রাহুল গান্ধীর দু'বছরের কারাদণ্ড। যদিও আগামি একমাস এই সাজা কার্যকর করা যাবে না। সেক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে সাজার বিরোধিতা করে আবেদনের সুযোগ রয়েছে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi row)। কিন্তু সুরাতের নিম্ন আদালতের এই রায় প্রকাশ্যে আসতেই খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ। সংসদের নিম্নকক্ষে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খোয়ানোর পরেই তাঁর পাশে দেশের একাধিক বিজেপি-বিরোধী দল। এবার চুপ থাকলেন না বলিউডের পরিচিত মুখ স্বরা ভাস্কর।
সোনিয়া-পুত্রর পাশে দাঁড়িয়ে স্বরার টুইট, 'যাকে পাপ্পু বলে ডাকত, আজ তাকেই ভয় পেয়েছে। রাহুল গান্ধীর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া জনপ্রিয়তা ও ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই কাজ করা হয়েছে। যাতে লোকসভার ভোটে লড়তে না পারে। কিন্তু আমার বিশ্বাস এরপর রাহুল আরও বড় হয়ে ফিরবেন।'
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সংশোধিত জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে ভর করে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তের পিছনেও বিজেপির মদত দেখছে বিরোধী শিবির।