
প্রসূন গুপ্তঃ জোটের বৈঠক হচ্ছে। কথা ছিল ১২ জুন, কিন্তু কিছু কারণে সেটি পিছিয়ে ২৩ জুন ধার্য হয়েছে। এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধি আমেরিকায়, অন্যদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গে ব্যস্ত দলের কাজে। একই সঙ্গে ডিএমকে দলের প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনও জানিয়েছিলেন ১২ জুন তাঁর কাজ রয়েছে, কাজেই দিন বদলে ফেললে তিনি আসতেই পারেন।
সভাটি হচ্ছে পাটনাতে। মূলত মমতার অনুরোধে এই সাভার ডাক দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। প্রথমে ভাবা গিয়েছিলো হয়তো দিল্লি কিংবা শিমলাতে বৈঠক হতে পারে, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ ভাবে নীতীশকে জানান পাটনায় হলে সবথেকে ভালো হয়। প্রাথমিক ভাবে তৃণমূল এবং আপ পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। মমতার বিষয়ে যদিও কংগ্রেসের কোর কমিটির আপত্তি নেই, কিন্তু ঘোরতর আপত্তি আছে কেজরিওয়ালকে নিয়ে। আপাতত বর্ষীয়ান নেতা শারদ পাওয়ারের হস্তক্ষেপে কংগ্রেস, আপ পার্টির সঙ্গে বসতে রাজি হয়েছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সাগরদিঘির নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের কাছে তৃণমূল প্রার্থী পরাজিত হয়। কিন্তু তিন মাস গড়াতে না গড়াতেই তিনি দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এই ঘটনায় বিস্তর চটেছে রাজ্য কংগ্রেস। তারা কোনও ভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সভা চাইছেন না, কিন্তু দলের প্রবীণ নেতারা রাহুলকে বুঝিয়েছেন যে, এই ঘটনায় মমতার সঙ্গে সংঘাত করা উচিত নয়। অবশেষে রাহুল রাজি হয়েছে তৃণমূল এবং আপের সঙ্গে বৈঠক করতে।
এই বৈঠকে দেশের মোদী বিরোধী অধিকাংশ দলের নেতারা উপস্থিত হচ্ছেন। বিহার, ঝাড়খন্ড, ডিএমকে, উত্তরপ্রদেশ উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, এনসিপি, তেলেঙ্গানা, জাম্বু/কাশ্মীর ইত্যাদি প্রায় সমস্ত দলই উপস্থিত থাকছে। থাকছে না জাগন রেড্ডি, বিজু জনতা দল, জনতা দল(এস) অকালি দলের মতো প্রাক্তন বিজেপির জোটের দলগুলি। অবশ্য সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রেল দুর্ঘটনায় মমতা যেভাবে নিয়মিত প্রতিবাদ করছেন তাতে খুশি কংগ্রেস এবং আমেরিকায় রয়েছেন এই মুহূর্তে তৃণমূল সংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান। তিনি নাকি রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। অবশ্য ২৩ জুন বোঝা যাবে জোটের অবস্থান।