
গায়ে লাল জামা। মাথায় নীল ট্রলি। দিল্লির সকালে এ এক অন্যরকম ছবি। আনন্দ বিহার বাস স্ট্যান্ডে হাজির হয়ে কুলিদের কাজ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এদিন সকালেই বাসস্ট্যান্ডে হাজির হন তিনি। মন দিয়ে শোনেন তাঁদের কথা। তারপর নিজের মাথায় নিয়ে নেন ট্রলির বোঝ। এই ভিডিও এখন ভাইরাল।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের জনসংযোগে মন দিয়েছেন রাহুল। রাজনৈতিক মহলের মতে, এও এক নয়া অবতার। তিনি যে মানুষের মধ্যে রয়েছেন, তা বোঝাতেই রাহুলের এই প্রচার।
যদিও এই ভিডিও দেখার পরেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির থেকে দাবি, জনসংযোগ ভাল, তবে তা ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা কিন্তু এখনই বলা যাচ্ছে না।
'ভারতমাতা অসংসদীয় শব্দ', এই নিয়ে ফের বিতর্ক তুঙ্গে। কারণ আবারও একই কথা বলতে শোনা গেল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর 'ভারতমাতা' নিয়ে একই বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তবে এদিন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর পাশে দাঁড়িয়েই এই মন্তব্য করেন রাহুল।
কিছুদিন আগেই মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা। যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে লোকসভা। লোকসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তোপ দেগে 'ভারতমাতা' প্রসঙ্গে কড়া আক্রমণ করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর সেই মন্তব্য বিবৃতি থেকে ছেঁটে দেওয়া হয়। তার এক দিন পর ফের বর্তমানে দেশে ভারতমাতা 'অসংসদীয় শব্দ' বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই মন্তব্য করতে দেখা গেল কংগ্রেস সাংসদ রাহুলের গলায়। এই বক্তব্যের পরেই দেশজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। কড়া আক্রমণ জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
আদানি ইস্যুতে এবার উঠে এল এক চিনা নাগরিকের নাম। আদানি ইস্যুতে বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে উঠেছে অর্থপাচার করার অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি রাহুলের প্রশ্ন, কাদের অর্থ পাচার করা হচ্ছিল, সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।
রাহুল গান্ধী একজন চিনা নাগরিকের নাম করেছেন, যিনি আদানি গ্রুপের ফিনান্স সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত। কংগ্রেস নেতার দাবি, এতে একজন চিনা নাগরিক জড়িত থাকায় বিষয়টি ভারতের নিরাপত্তার জন্য প্রশ্ন তৈরি করেছে।
প্রসূন গুপ্তঃ বুধবার রাত থেকেই সমস্ত রাজনীতি যেন ১০ জনপথে থমকে গেলো। এদিন মূল বৈঠকের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধী সেরে ফেললেন 'হোমওয়ার্ক'। খবর ছিল মঙ্গলবার রাতেই অভিষেক নাকি প্রশান্তকিশোর বা পিকের সাথে বিকেলের বিমানে দিল্লি চলে গিয়েছেন। খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পর মমতা বিরোধী একাংশের বক্তব্য ছিল নিশ্চিত চাপে পরে অভিষেক দিল্লিতে সেটিং করতে গিয়েছেন। কিন্তু কারওর মাথায় এটা এল না যে বিজেপির ঘোরতর বিরোধী ভোট সংগঠক পিকেকে কেন নিয়ে যাবেন অভিষেক। পর দিনই মুম্বইতে মূল 'ইন্ডিয়া'র বৈঠক। কিন্তু যতটুকু আভাস পাওয়া গেলো তা, অভিষেক নাকি রাহুলের সঙ্গেই একান্ত বৈঠক করতে চান অথবা রাহুল চেয়েছেন অভিষেকের সাথে বসতে এবং পিকে এর 'মাধ্যম'। এমনটিও শোনা গেলো শুধু অভিষেক রাহুল নয়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালেরও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল না থাকায়, অভিষেক রাহুলের সঙ্গে বৈঠক সেরে কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরে যে 'হঠাৎ' হলোটা কি?
বুধবার একেবারে ভোরে (সময় আন্দাজ ৬.৩০) ১০ জনপথে রাহুল ও অভিষেকের ব্রেকফাস্ট বৈঠক হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এই বৈঠকে ঠিক কি আলোচনা হয়েছে তার খবর কোনও মাধ্যমের কাছে নেই। তবে অভিজ্ঞাতায় এটা বলা যায় যে, আসন্ন ভোটের আগে স্ট্রাটেজি কি হবে বা বিজেপির তরফ থেকে কি কি চাপ বা পরিকল্পনা হতে পারে এটা নিশ্চই আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া আপাতত বিরোধী দলের প্রধানমন্ত্রীর মুখ না থাকলেও কাকে অনেকটা দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে এই ২৬ দলের জোটে ভাঙা এনসিপি আছে, ভাঙা শিবসেনা আছে এবং সর্বদা পাল্টে যাওয়া উচ্চাকাঙ্খী নীতীশ কুমারও রয়েছেন। অতএব এই দলের প্রাথমিক মুখ কোনও ভাবেই হয়তো শারদ পাওয়ার বা নীতীশবাবুকে দেওয়া যাবে না।
যদিও বৃহস্পতিবার ২৬ বিরোধী দলের কোনও কেউ কেউ মূল দায়িত্বে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অনেকটাই ভরসা করছে সোনিয়া বা রাহুল। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাপ যদি এই ২৬ দলের কারুর উপর আসে বা দল ভাঙানোর চেষ্টা হয় তবে সম্মিলিত ভাবে বিরোধীরা ভারত জুড়ে নানান আন্দোলনে নামতে পারে বলেই গুঞ্জন। নির্ভর করছে ৩১ অগাস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর।
লাদাখে প্যাংগং হ্রদের তীরে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিকে শ্রদ্ধা জানালেন তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধি। রবিবার সকালে রাজীবের একটি ছবিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
শনিবারই পিতার জন্মদিন পালন করতে বাইকে চেপে লাদাখে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই শেয়ার করেছেন। অতীতের স্মৃতিচারনা করে তিনি লেখেন, বিশ্বের অন্যতম সুন্দর জায়গা বলে মনে করতেন রাজীব গান্ধি। সেকারণে বাবার জন্মদিন পালনে প্যাংগং লেকে গিয়েছিলেন তিনি।
রাহুলের এই সফর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজেজু নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রাহুলকে নিশানা করে লেখেন, লাদাখ নিয়ে ভুল প্রচার করছে রাহুল।
২০২৪-এ লোকসভা ভোটে আবারও আমেঠি থেকেই লড়বেন রাহুল গান্ধী। এমনই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই। ২০১৯-এ ওই কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু, স্মৃতি ইরানির সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু, হেরে গিয়ে পিছু হটতে রাজি নন রাহুল। আসন্ন লোকসভায় তিনি যে আমেঠি থেকেই লড়বেন, তা একপ্রকার ঘোষণাই করে দিলেন উত্তর কংগ্রেস সভাপতি।
উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি পদে সদ্য নিযুক্ত অজয় রাই জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী 'অবশ্যই' তাঁর প্রাক্তন নির্বাচনী এলাকা আমেঠি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। একইসঙ্গে রাহুলের জয়ের বিষয়েও আশাবাদী তিনি।
অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নির্বাচনী কেন্দ্র নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন তিনি। জানালেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যে কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইবেন, সেখানেই তিনি প্রার্থী হবেন। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, তাহলে সেখানেই প্রার্থী হবেন।
মোদি পদবি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেয়েছেন রাহুল। সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও আর বাধা নেই তাঁর। তাই, আসন্ন লোকসভায় রাহুলের নির্বাচনী লড়াই নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। তারই মধ্যে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শতাব্দী প্রাচীন একটি দলের দায়িত্ব জন্মসূত্রে কাঁধে নিয়েও, 'গান্ধী' পরিবারের আর সকলের থেকে একটু ছক ভাঙা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কিন্তু ৫২ বছরের এই রাজনীতিকের বয়স যেন কেবলমাত্র একটি সংখ্যা ছাড়া আর কিচ্ছুটি নয়। কেবল রাজনীতি নয় নিজের রকমারি 'মুডের' কারণে, লুকের কারণেও খবরের শিরোনামে থাকেন তিনি। তবে এবারে এক অন্য রূপেই দেখা গেল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। এই যেমন এবার তিনি তাঁর বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন লাদাখের (Ladakh) উদ্দেশে। আর সেখানে যেতেই একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করলেন তিনি। ক্যাপশেন লিখেছেন, 'বাবা বলতেন, এই জায়গা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সুন্দর জায়গা।'
সৌন্দর্যে মোড়া লাদাখের পাহাড়ি রাস্তায় খোশমেজাজে বাইক চালাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। মাথায় হেলমেট, পরনে বাইকারের পোশাক, চোখে আঁটা রোদ চশমা, পিঠে ব্যাগ নিয়ে খোশমেজাজে চালাচ্ছেন বাইক। লেহ-লাদাখে গিয়ে এক অন্য মুডেই ধরা দিলেন তিনি। তিন দিনের জন্য লেহ-লাদাখ সফরে গিয়েছেন ও সেখানে গিয়েই প্যাংগং লেকে যেতে তিনি তাঁর স্পোর্টস বাইককেই সঙ্গী করে নিয়েছেন। আর বেরিয়ে পড়েছেন লাদাখের অতুলনীয় সৌন্দর্য দেখতে।
তবে হেলমেট পরা অবস্থায় রাহুল গান্ধীকে চেনা বড় দায় ছিল। দেখে মনে হচ্ছে, ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্যের শ্যুটিং চলছে। একেবারে হলিডউ মুডে রয়েছেন রাহুল। কিন্তু হেলমেট খুলতেই স্পষ্ট হল তাঁর মুখ। উল্লেখ্য, ব্যাচেলর রাহুল গান্ধীর গ্যারেজে রয়েছে একটি কেটিএম ৩৯০ সি মডেলের বাইক। আর এটাতেই চেপে লাদাখের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন তিনি। এই বাইকটির বাজারদর ২ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা।
প্রায় চার মাস পর সোমবার সংসদে রি-এন্ট্রি করেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এরপর আজ, বুধবারও সংসদে (Parliament) যাওয়ার জন্যই রওনা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সংসদে পৌঁছনোর আগেই ফের একবার জনগণের নজর কাড়লেন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সংসদে বক্তৃতা দিতে যাবেন। কিন্তু রাস্তায় ঘটে যায় এক ঘটনা। স্কুটি চালিয়ে এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন, সেসময় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। এই দেখেই দৌড়ে যান রাহুল। এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে কংগ্রেসের তরফে টুইট করে তাঁকে 'জননায়ক' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংসদ সূত্রে খবর, আজ সংসদে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সায় দেন। সেখানে মোদীকে আক্রমণও করেন। কিন্তু সংসদে সেসব কিছু ঘটার আগেই তিনি খবরের শিরোনামে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গাড়ি করে সংসদে যাচ্ছিলেন রাহুল। কিন্তু তাঁর গাড়ির পিছনেই এক ব্যক্তি স্কুটার নিয়ে বেসামাল হলে রাস্তায় পড়ে যান। এই দেখা মাত্রই তাঁর গাড়ি থামান ও তিনি ছুটে যান সেই ব্যক্তির কাছে। ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করেন, 'আপনার আঘাত লাগেনি তো?' আর এই দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি করে কংগ্রেসের তরফে টুইট করা হয়েছে। তাঁকে 'জননায়ক' বলে উল্লেখ করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে। এই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। তবে নেটিজেনদের অনেকাংশই এটিকে 'পাবলিসিটি স্টান্ট' বলেছেন। কিন্তু রাহুলের অনুরাগীরা তাঁর এই ব্যবহারে মুগ্ধ।
প্রসূন গুপ্তঃ ৪ মাসের জন্য যেন বনবাস হয়েছিল রাহুল গান্ধীর। সেই বাধা উতরে সোমবার জিরো আওয়ারে লোকসভায় প্রবেশ করলেন রাহুল। অবিশ্যি এমনটিই হওয়ার কথা ছিল। প্রসঙ্গত চার মাস আগে রাহুলের লোকসভার সাংসদ পদ চলে গিয়েছিলো। বহু বছর আগে ভোটের প্রচার করতে গিয়ে রাহুল দক্ষিণ ভারতের এক সভায় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, দেশের সব মোদীরাই কি এক রকম। তখন এই বিষয়ে বিজেপি আর উচ্চবাচ্য না করলেও সম্প্রতি কোনও এক গুজরাতে বসবাস করা মোদী, একটি নিম্ন আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করে।
বিচারক আদেশ দেন যে, রাহুল জাতি বা গোষ্ঠীগত ভাবে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। কাজেই তাঁর লোকসভার সদস্য পদ থাকবে না এবং তাঁর দু'বছর জেল হবে। অবিশ্যি রাহুল এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন এমন বিকল্পের কথাও বলা হয়েছিল। সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় এবং গত শুক্রবার উচ্চ আদালত সেই আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দেন। কাজেই রাহুলের আর আইনসভায় আস্তে বাধা রইলো না। কিন্তু ভাবনা একটিই ছিল কংগ্রেস তথা 'ইন্ডিয়া' ফ্রন্ট্রের যে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা কি রাহুলকে সভায় অনুমতি দেবেন? সেই ভাবনার কাঁটাতেও সমস্যা থাকলো না যেহেতু ইতিমধ্যে স্পিকারের দফতর থেকে রাহুল গান্ধীর কাছে লোকসভায় আসতে অনুরোধ করা হয়েছে বলেই খবর।
সোমবার সকল থেকেই উৎসবের মেজাজে চলে যায় কংগ্রেস দল। রাহুলকে লোকসভায় এক প্রকার ধরে নিয়েই আসা হয়। রাহুলের আগমনকে টেবিল বাজিয়ে স্বাগতম জানায় বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। উঠে এসে রাহুলের পাশে দেখা যায় তৃণমূলের সদস্যদের। এরপর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিষ্টি মুখ করানো হয় জোটের বিভিন্ন দলকে। এনডিএর বিজেপি ব্যাতিত অন্য দলের প্রতিনিধিদেরও শুভেচ্ছা বার্তা দিতে দেখা যায়। মোটের উপর বর্ষাকালীন অধিবেশনে রাহুল গান্ধী যে সরকার বিরোধী ভাষণ দেবেন তা নিঃসংকোচে বলে দেওয়া যায়।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ মামলায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। 'মোদি' পদবী নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুরাত আদালতে একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় সাংসদ রাহুল গান্ধী। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পর লোকসভা কর্তৃক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তার সংসদ পদ খারিজ করা হয়। এবার ওই মামলায় সুরাত আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে আপাতত লোকসভা নির্বাচনের আগে স্বস্তিতে থাকবে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, মোদি পদবী নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করায় সুরাট আদালতে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সুরাত আদালত তাঁকে দু বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয। সুরাত আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাহুল গান্ধী। যদিও সেখানে সুরাত আদালতের রায় বহাল থাকে। এরপর সংসদ পদ বাঁচাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধী দল নেতা রাহুল গান্ধী। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক পর্যায়ে সুরাট আদালতের এই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়।
৫৩ বছর হয়ে গেলেও এখনও দেশের 'মোস্ট এলিজেবেল ব্যাচালর' হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বিয়ে করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকেই। এতদিন রাহুলকে সরাসরি বলা হত বিয়ে করার জন্য। কিন্তু এবারে ছেলের বিয়ের জন্য মা সনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) বললেন এক মহিলা কৃষক। আর সেই শুনেই মুখে লাজুক হাসি রাহুলের। বিয়ে দেওয়ার সেই প্রস্তাবের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। আর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল।
मां, प्रियंका और मेरे लिए एक यादगार दिन, कुछ खास मेहमानों के साथ!
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 29, 2023
सोनीपत की किसान बहनों का दिल्ली दर्शन, उनके साथ घर पर खाना, और खूब सारी मज़ेदार बातें।
साथ मिले अनमोल तोहफे - देसी घी, मीठी लस्सी, घर का अचार और ढेर सारा प्यार।
पूरा वीडियो यूट्यूब पर:https://t.co/2rATB9CQoz pic.twitter.com/8ptZuUSDBk
সম্প্রতি দিল্লিতে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন হরিয়ানার কৃষক পরিবারের কিছু মহিলা। দেখা গিয়েছে, সেই কৃষক মহিলাদের সঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া, গল্প-গুজব, নাচ-গান করেছেন গান্ধী পরিবার। সেই মহিলারা গান্ধী পরিবারের জন্য নিয়ে এসেছেন লস্যি, আচার ইত্যাদি। এসব দেখে আপ্লুত তাঁরা। এরই মধ্যে এক ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে বসেন এক মহিলা কৃষক। তিনি সরাসরি সনিয়া গান্ধীকে প্রশ্ন করেন, 'ছেলের বিয়ে কবে দিচ্ছেন?' আর এর উত্তরে সনিয়া বললেন 'আপনিই পাত্রীই খুঁজে দিন না।' সনিয়ার এমন কথা শুনে বাকি মহিলারাও হাসতে শুরু করেন। পাশে বসে রাহুল, আর তাঁর মুখেও দেখা যায় লাজুক হাসি।
হরিয়ানার (Hariyana) জলভরা ধানক্ষেতে দাঁড়িয়ে একদল কৃষক (Farmer), ধান বুনছেন। তাঁদের ভিড়েই এক লম্বা ছিপছিপে সুদর্শন যুবক, মুখে কাঁচা-পাকা দাড়ি, পরনে সাদা টি-শার্ট, হাঁটু পর্যন্ত গোটানো ট্রাউজার, একমনে কথা বলছেন কৃষকদের সঙ্গে, ওঁদের সঙ্গেই ধানও বুনছেন। তিনি আর কেউ নন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শনিবার সকালটা এভাবেই সোনিপাতের কৃষকদের সঙ্গে, তাঁদেরই একজন হয়ে কাটালেন রাহুল।
শুক্রবারই গুজরাট হাই কোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছেন রাহুল। কিন্তু শনিবার সকালে কংগ্রেস নেতার চোখে মুখে ছিল না দুশ্চিন্তার লেশ। রাজধানী থেকে শিমলা যাচ্ছিলেন সোনিপতের মদিনা গ্রামে নেমে পড়লেন হঠাৎ, ট্র্যাক্টর চালালেন, শুনলেন কৃষকদের সুখ দুঃখের কথা।
সাংসদ পদ বাতিল হওয়ার পর বেশ কয়েকবার জনসংযোগের জন্য এমন 'মাটির মানুষ' ইমেজ প্রকাশ্যে এসেছে রাহুলের, মার্কিন সফরে গিয়ে ট্রাকচালকদের সঙ্গেও কাটিয়েছিলেন গোটা দিন।
মোদী পদবি (Modi Surname) বিতর্ক মামলায় রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট (Gujrat HighCourt)। শুক্রবার বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের এজলাসে মামলাটি শুনানি ছিল। এবং শুনানি শেষে বিচারপতি মামলাটি খারিজ করে দেন।
সুরাত আদালতের সিদ্ধান্ত রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আসে। তারপরেই তিনি গুজরাত হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন। সেই মতো শুক্রবার শুনানি হয়। যেহেতু রাহুল গান্ধির আর্জি খারিজ হয়ে গেল সেকারণে তাঁর দুই বছরের জেলের সাজা বহাল থাকল।
এদিকে চলতি বছরের ২৩ মার্চ একটি ফৌজদারি মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন সুরাট আদালতের বিচারক এইচ এইচ ভার্মা। সেখানে তিনি রাহুল গান্ধিকে দুই বছরের কারাদণ্ডের ঘোষণা করেছিলেন বিচারক। শুক্রবার নিম্ন আদালতের রায়েই সিলমোহর দিল গুজরাত হাইকোর্ট। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিতেও অস্বীকার করা হয়েছিল। গুজরাত হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল গান্ধি। সেই সঙ্গে জেলে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
এখনও সময় আছে। বিয়ে করে নিন। আমাদের কথা শুনুন। বিরোধীদের বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) এমনই পরামর্শ লালুপ্রসাদ প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Jadav)। যা শুনে হাসির রোল উঠল বৈঠকের (Meeting) মাঝেই।
বিরোধী জোটের শেষে মিলিতভাবে ১৫ জনের দলের নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই লালুপ্রসাদ যাদব বলেন, "আমরা আগেও আপনাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, বিয়ে করে নিন। তখনও আপনি কথা শোনেননি। এখনও দেরি হয়নি। বিয়ে করে নিন, আমরা বরযাত্রী যাই। আপনার মায়েরও অনুযোগ, আপনি কথা শোনেন না।"
লালুপ্রসাদ যাদব এদিন বৈঠকের পর বলেন, "বহুদিন পরে আপনাদের সঙ্গে দেখা হল। সিমলায় রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হবে। আগে লোকে বলত, বিরোধীরা আলাদা থাকবে। আমরা একসঙ্গে রয়েছি।"
প্রসূন গুপ্তঃ জোটের বৈঠক হচ্ছে। কথা ছিল ১২ জুন, কিন্তু কিছু কারণে সেটি পিছিয়ে ২৩ জুন ধার্য হয়েছে। এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধি আমেরিকায়, অন্যদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গে ব্যস্ত দলের কাজে। একই সঙ্গে ডিএমকে দলের প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনও জানিয়েছিলেন ১২ জুন তাঁর কাজ রয়েছে, কাজেই দিন বদলে ফেললে তিনি আসতেই পারেন।
সভাটি হচ্ছে পাটনাতে। মূলত মমতার অনুরোধে এই সাভার ডাক দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। প্রথমে ভাবা গিয়েছিলো হয়তো দিল্লি কিংবা শিমলাতে বৈঠক হতে পারে, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ ভাবে নীতীশকে জানান পাটনায় হলে সবথেকে ভালো হয়। প্রাথমিক ভাবে তৃণমূল এবং আপ পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। মমতার বিষয়ে যদিও কংগ্রেসের কোর কমিটির আপত্তি নেই, কিন্তু ঘোরতর আপত্তি আছে কেজরিওয়ালকে নিয়ে। আপাতত বর্ষীয়ান নেতা শারদ পাওয়ারের হস্তক্ষেপে কংগ্রেস, আপ পার্টির সঙ্গে বসতে রাজি হয়েছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সাগরদিঘির নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের কাছে তৃণমূল প্রার্থী পরাজিত হয়। কিন্তু তিন মাস গড়াতে না গড়াতেই তিনি দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এই ঘটনায় বিস্তর চটেছে রাজ্য কংগ্রেস। তারা কোনও ভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সভা চাইছেন না, কিন্তু দলের প্রবীণ নেতারা রাহুলকে বুঝিয়েছেন যে, এই ঘটনায় মমতার সঙ্গে সংঘাত করা উচিত নয়। অবশেষে রাহুল রাজি হয়েছে তৃণমূল এবং আপের সঙ্গে বৈঠক করতে।
এই বৈঠকে দেশের মোদী বিরোধী অধিকাংশ দলের নেতারা উপস্থিত হচ্ছেন। বিহার, ঝাড়খন্ড, ডিএমকে, উত্তরপ্রদেশ উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, এনসিপি, তেলেঙ্গানা, জাম্বু/কাশ্মীর ইত্যাদি প্রায় সমস্ত দলই উপস্থিত থাকছে। থাকছে না জাগন রেড্ডি, বিজু জনতা দল, জনতা দল(এস) অকালি দলের মতো প্রাক্তন বিজেপির জোটের দলগুলি। অবশ্য সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রেল দুর্ঘটনায় মমতা যেভাবে নিয়মিত প্রতিবাদ করছেন তাতে খুশি কংগ্রেস এবং আমেরিকায় রয়েছেন এই মুহূর্তে তৃণমূল সংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান। তিনি নাকি রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। অবশ্য ২৩ জুন বোঝা যাবে জোটের অবস্থান।