৫৩ বছর হয়ে গেলেও এখনও দেশের 'মোস্ট এলিজেবেল ব্যাচালর' হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বিয়ে করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকেই। এতদিন রাহুলকে সরাসরি বলা হত বিয়ে করার জন্য। কিন্তু এবারে ছেলের বিয়ের জন্য মা সনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) বললেন এক মহিলা কৃষক। আর সেই শুনেই মুখে লাজুক হাসি রাহুলের। বিয়ে দেওয়ার সেই প্রস্তাবের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। আর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল।
मां, प्रियंका और मेरे लिए एक यादगार दिन, कुछ खास मेहमानों के साथ!
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 29, 2023
सोनीपत की किसान बहनों का दिल्ली दर्शन, उनके साथ घर पर खाना, और खूब सारी मज़ेदार बातें।
साथ मिले अनमोल तोहफे - देसी घी, मीठी लस्सी, घर का अचार और ढेर सारा प्यार।
पूरा वीडियो यूट्यूब पर:https://t.co/2rATB9CQoz pic.twitter.com/8ptZuUSDBk
সম্প্রতি দিল্লিতে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন হরিয়ানার কৃষক পরিবারের কিছু মহিলা। দেখা গিয়েছে, সেই কৃষক মহিলাদের সঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া, গল্প-গুজব, নাচ-গান করেছেন গান্ধী পরিবার। সেই মহিলারা গান্ধী পরিবারের জন্য নিয়ে এসেছেন লস্যি, আচার ইত্যাদি। এসব দেখে আপ্লুত তাঁরা। এরই মধ্যে এক ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে বসেন এক মহিলা কৃষক। তিনি সরাসরি সনিয়া গান্ধীকে প্রশ্ন করেন, 'ছেলের বিয়ে কবে দিচ্ছেন?' আর এর উত্তরে সনিয়া বললেন 'আপনিই পাত্রীই খুঁজে দিন না।' সনিয়ার এমন কথা শুনে বাকি মহিলারাও হাসতে শুরু করেন। পাশে বসে রাহুল, আর তাঁর মুখেও দেখা যায় লাজুক হাসি।
ঘরের মাঠে একদিনের বিশ্বকাপের আগে শুধু ক্রিকেটারদের নয়, বিশ্রামে পাঠানো হচ্ছে ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়-সহ তাঁর ডেপুটিদের। একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইট এই দাবি করেছে। ওই ক্রিকেট ওয়েব সাইটের খবর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ করেই দেশে ফিরে আসবেন ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়, ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর এবং বোলিং কোচ পরশ মামরে। তাঁদের বদলে আয়ারল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলকে কোচিং করাবেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং এনসিএ-র সাপোর্ট স্টার্ফরা। এর আগে বিদেশ সফরে দ্রাবিড়ের পরিবর্তে ভারতীয় দলকে কোচিং করিয়েছেন লক্ষ্মণ।
মূলত দুটি কারণে এই ফর্মূলা প্রয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে। পরপর সিরিজ যেমন ক্রিকেটারদের দখলের কারণ, তেমনই চাপ তৈরি করেছে দ্রাবিড় তাঁর কোর টিমের উপরেও। তাই বিশ্বকাপের আগে মহড়া হিসাবে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। বোর্ড চাইছে এই টুর্নামেন্টে নতুন ভাবনা নিয়ে ফিরুন রাহুল দ্রাবিড়। যা রোহিত শর্মা এবং তাঁর টিমকে উপকৃত করবে। সেই কারণে, আয়ারল্যান্ড সফরে লক্ষ্মণের হাতে ছেড়ে দেওয়ার ভাবনা প্রায় সরকারি হওয়ার দোরগোড়ায় দাড়িয়ে আছে।
এদিকে, শোনা যাচ্ছে ত্রিনিদাদ টেস্টের আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন জাতীয় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগারকর। বিশে জুলাই থেকে লারার মাঠে খেলতে নামবেন রোহিত, বিরাটরা।
হরিয়ানার (Hariyana) জলভরা ধানক্ষেতে দাঁড়িয়ে একদল কৃষক (Farmer), ধান বুনছেন। তাঁদের ভিড়েই এক লম্বা ছিপছিপে সুদর্শন যুবক, মুখে কাঁচা-পাকা দাড়ি, পরনে সাদা টি-শার্ট, হাঁটু পর্যন্ত গোটানো ট্রাউজার, একমনে কথা বলছেন কৃষকদের সঙ্গে, ওঁদের সঙ্গেই ধানও বুনছেন। তিনি আর কেউ নন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শনিবার সকালটা এভাবেই সোনিপাতের কৃষকদের সঙ্গে, তাঁদেরই একজন হয়ে কাটালেন রাহুল।
শুক্রবারই গুজরাট হাই কোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছেন রাহুল। কিন্তু শনিবার সকালে কংগ্রেস নেতার চোখে মুখে ছিল না দুশ্চিন্তার লেশ। রাজধানী থেকে শিমলা যাচ্ছিলেন সোনিপতের মদিনা গ্রামে নেমে পড়লেন হঠাৎ, ট্র্যাক্টর চালালেন, শুনলেন কৃষকদের সুখ দুঃখের কথা।
সাংসদ পদ বাতিল হওয়ার পর বেশ কয়েকবার জনসংযোগের জন্য এমন 'মাটির মানুষ' ইমেজ প্রকাশ্যে এসেছে রাহুলের, মার্কিন সফরে গিয়ে ট্রাকচালকদের সঙ্গেও কাটিয়েছিলেন গোটা দিন।
মোদী পদবি (Modi Surname) বিতর্ক মামলায় রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট (Gujrat HighCourt)। শুক্রবার বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের এজলাসে মামলাটি শুনানি ছিল। এবং শুনানি শেষে বিচারপতি মামলাটি খারিজ করে দেন।
সুরাত আদালতের সিদ্ধান্ত রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আসে। তারপরেই তিনি গুজরাত হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন। সেই মতো শুক্রবার শুনানি হয়। যেহেতু রাহুল গান্ধির আর্জি খারিজ হয়ে গেল সেকারণে তাঁর দুই বছরের জেলের সাজা বহাল থাকল।
এদিকে চলতি বছরের ২৩ মার্চ একটি ফৌজদারি মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন সুরাট আদালতের বিচারক এইচ এইচ ভার্মা। সেখানে তিনি রাহুল গান্ধিকে দুই বছরের কারাদণ্ডের ঘোষণা করেছিলেন বিচারক। শুক্রবার নিম্ন আদালতের রায়েই সিলমোহর দিল গুজরাত হাইকোর্ট। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিতেও অস্বীকার করা হয়েছিল। গুজরাত হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল গান্ধি। সেই সঙ্গে জেলে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
বলিউডে আমির খানের বিপরীতে গজনী সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী আসীন (Asin Thottumkal)। তারপর বলিউডে বেশ কিছ সিনেমায় অভিনয় করলেও তেমন জনপ্রিয়তা পাননি। অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে আসীন বলেছিলেন, যোগ্য পাত্র পেলে বিয়ে করে সংসার করবেন তিনি। খিলাড়ি কুমার তাঁর বন্ধুর সঙ্গে আসীনের অপ্রত্যাশিত আলাপ করিয়েছিলেন।
এরপর ২০১৬ সালে অক্ষয়ের বন্ধু ব্যবসায়ী রাহুল শর্মার সঙ্গে বিয়ে করে শুধুমাত্র সংসারী নয়, ঘোরতর সংসারী হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁদের ছোট্ট কন্যাসন্তানও রয়েছে। তবে শোনা গিয়েছিল, দম্পতির মধ্যে নাকি বনিবনা হচ্ছে না। এদিকে আসীন তাঁর স্বামীর সঙ্গে আপলোড করা ছবি ডিলিট করে দেন সামাজিক মাধ্যম থেকে। তাঁর এই পদক্ষেপে বিচ্ছেদের গুঞ্জনের আগুনের ঘি পড়েছিল। তবে আর জল্পনা নয়, অভিনেত্রী নিজেই মুখ খুললেন এই বিষয়ে।
আসীন সামাজিক মাধ্যমে স্টোরিতে লেখেন, 'গরমের ছুটির মাঝখানে রীতিমতো একে অপরের মুখোমুখি বসে প্রাতঃরাশের মজা নিচ্ছি এবং কিছু পরিকল্পিত সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন খবর জানতে পারলাম।' অর্থাৎ অভিনেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, জল্পনা যাই হোক না কেন রাহুলের সঙ্গে এখনও যৌথ যাপনে রয়েছেন তিনি।
এখনও সময় আছে। বিয়ে করে নিন। আমাদের কথা শুনুন। বিরোধীদের বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) এমনই পরামর্শ লালুপ্রসাদ প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Jadav)। যা শুনে হাসির রোল উঠল বৈঠকের (Meeting) মাঝেই।
বিরোধী জোটের শেষে মিলিতভাবে ১৫ জনের দলের নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই লালুপ্রসাদ যাদব বলেন, "আমরা আগেও আপনাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, বিয়ে করে নিন। তখনও আপনি কথা শোনেননি। এখনও দেরি হয়নি। বিয়ে করে নিন, আমরা বরযাত্রী যাই। আপনার মায়েরও অনুযোগ, আপনি কথা শোনেন না।"
লালুপ্রসাদ যাদব এদিন বৈঠকের পর বলেন, "বহুদিন পরে আপনাদের সঙ্গে দেখা হল। সিমলায় রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হবে। আগে লোকে বলত, বিরোধীরা আলাদা থাকবে। আমরা একসঙ্গে রয়েছি।"
প্রসূন গুপ্তঃ জোটের বৈঠক হচ্ছে। কথা ছিল ১২ জুন, কিন্তু কিছু কারণে সেটি পিছিয়ে ২৩ জুন ধার্য হয়েছে। এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধি আমেরিকায়, অন্যদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গে ব্যস্ত দলের কাজে। একই সঙ্গে ডিএমকে দলের প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনও জানিয়েছিলেন ১২ জুন তাঁর কাজ রয়েছে, কাজেই দিন বদলে ফেললে তিনি আসতেই পারেন।
সভাটি হচ্ছে পাটনাতে। মূলত মমতার অনুরোধে এই সাভার ডাক দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। প্রথমে ভাবা গিয়েছিলো হয়তো দিল্লি কিংবা শিমলাতে বৈঠক হতে পারে, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ ভাবে নীতীশকে জানান পাটনায় হলে সবথেকে ভালো হয়। প্রাথমিক ভাবে তৃণমূল এবং আপ পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। মমতার বিষয়ে যদিও কংগ্রেসের কোর কমিটির আপত্তি নেই, কিন্তু ঘোরতর আপত্তি আছে কেজরিওয়ালকে নিয়ে। আপাতত বর্ষীয়ান নেতা শারদ পাওয়ারের হস্তক্ষেপে কংগ্রেস, আপ পার্টির সঙ্গে বসতে রাজি হয়েছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সাগরদিঘির নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের কাছে তৃণমূল প্রার্থী পরাজিত হয়। কিন্তু তিন মাস গড়াতে না গড়াতেই তিনি দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এই ঘটনায় বিস্তর চটেছে রাজ্য কংগ্রেস। তারা কোনও ভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সভা চাইছেন না, কিন্তু দলের প্রবীণ নেতারা রাহুলকে বুঝিয়েছেন যে, এই ঘটনায় মমতার সঙ্গে সংঘাত করা উচিত নয়। অবশেষে রাহুল রাজি হয়েছে তৃণমূল এবং আপের সঙ্গে বৈঠক করতে।
এই বৈঠকে দেশের মোদী বিরোধী অধিকাংশ দলের নেতারা উপস্থিত হচ্ছেন। বিহার, ঝাড়খন্ড, ডিএমকে, উত্তরপ্রদেশ উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, এনসিপি, তেলেঙ্গানা, জাম্বু/কাশ্মীর ইত্যাদি প্রায় সমস্ত দলই উপস্থিত থাকছে। থাকছে না জাগন রেড্ডি, বিজু জনতা দল, জনতা দল(এস) অকালি দলের মতো প্রাক্তন বিজেপির জোটের দলগুলি। অবশ্য সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রেল দুর্ঘটনায় মমতা যেভাবে নিয়মিত প্রতিবাদ করছেন তাতে খুশি কংগ্রেস এবং আমেরিকায় রয়েছেন এই মুহূর্তে তৃণমূল সংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান। তিনি নাকি রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। অবশ্য ২৩ জুন বোঝা যাবে জোটের অবস্থান।
মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য বদলে গিয়েছিল ইডেনের রং। কেকেআরের সোনালি-বেগুনি নয়, ক্রিকেটের নন্দনকানন মুড়ে গিয়েছিল হলুদে। সোম-সন্ধেয় খানিকটা তেমনই ছবি ধরা পড়ে লখনউয়ে। কেএল রাহুলদের (KL Rahul) ঘরের মাঠে থেকে থেকেই ‘কোহলি… কোহলি’ চিৎকার। গ্যালারির অনেকটা অংশ দখল করেছিলেন আরসিবি (RCB) সমর্থকরা। আর তাঁদের সামনেই ২২ গজের দখল নেন আরসিবি বোলাররা। সিরাজ, কর্ণ শর্মাদের দাপুটে বোলিংয়েই জয়ে ফিরলেন বিরাট কোহলিরা (Virat Kohli)। কিন্তু শুধু হার নয়, উলটো দিকের শিবিরে চিন্তা বাড়ল অধিনায়ক রাহুলকে নিয়েও।
ম্যাচের শুরুর দিকেই চোট পেয়ে ফিজিওদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাহুলের। আরসিবির ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফিল্ডিংয়ের সময় ডু প্লেসির বাউন্ডারি আটকাতে গিয়েই চোট পান রাহুল। থাই মাসলে চোট পেয়ে একেবারে মাঠে শুয়েই পড়েন তিনি। মাঠ ছাড়ার সময়ও তাঁর চোখে-মুখে স্পষ্ট যন্ত্রণার ছাপ। গ্যালারিতে উদ্বিগ্ন দেখায় স্ত্রী আথিয়া শেট্টিকেও। চিন্তার ভাঁজ পড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কপালেও। রাহুল মাঠ ছাড়ায় ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বে খেলে দল। যদিও প্রবল ইচ্ছাশক্তিতে ভর করে শেষ উইকেটে ব্যাট হাতে মাঠেও নামেন রাহুল। যদিও তিন বল খেলে খাতা খোলার আগেই শেষ হয় ম্যাচ। তাঁর চোট কতখানি গুরুতর, তা এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি
লখনউয়ের আউটফিল্ড এমনিতেই তুলনামূলক স্লো। তার উপর আরসিবি ইনিংসের মাঝে এক পশলা বৃষ্টিও হয়। আবার ওপেনিংয়ে নেই রাহুলও। ফলে ব্য়াঙ্গালোর স্কোরবোর্ডে বিরাট রান তুলতে না পারলেও লখনউর কাছে সব মিলিয়ে টার্গেটে পৌঁছনোর কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে। হ্যাজলউড, ম্যাক্সওয়েলদের সুইংয়ে ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি ক্রুণাল, দীপক হুডা, স্টয়নিসরা।
লখনউ হারলেও রবি বিষ্ণোইয়ের দুরন্ত বোলিংয়ের প্রশংসা করতেই হয়। কোহলি এবং ম্যাক্সওয়েলের (৪) মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়ে আরসিবিকে জোর ধাক্কা দেন তিনি। কার্যত একাই লড়াই চালান অধিনায়ক ডু প্লেসি। তবে মিডল অর্ডারের লাগাতার ব্যর্থতার দুশ্চিন্তা এই জয়ের পরও কাটল না আরসিবির।
বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। মোদী পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে সুরাত আদালতের পাশাপাশি মামলা দায়ের হয়েছিল পাটনার (Patna) একটি নিম্ন আদালতেও (Court)। তাই ১২ এপ্রিল রাহুলকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল পাটনার নিম্ন আদালতে। সেই মামলায় সোমবার নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল পাটনা হাইকোর্ট। ১৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২২ এপ্রিল পাটনা হাইকোর্টে এই মামলা খারিজের আবেদন জানান রাহুল। তবে এই বিষয়ে রাহুলের আইনজীবী বীরেন্দ্র রাঠোর এক সংবাদ সংস্থাকে জানান, 'যেহেতু একই বিষয় নিয়ে একটি আদালতে মামলা চলছে, তাই অন্য আদালতে মামলাটি চলতে পারে না। তাই আমরা মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিলাম।'
গত প্রায় দু’দশক ধরে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ঠিকানা ছিল লুটিয়েন্স দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের (Tughlak Lane) সরকারি বাংলো। শনিবার সেই বাংলো ছেড়ে দিয়েছেন ওয়েনাড়ের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ (MP)। আপাতত মা সনিয়ার জন্য বরাদ্দ ১০ জনপথের সরকারি বাংলোয় তাঁর ঠিকানা। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর সাংসদ হিসাবে ওই বাংলোটি বরাদ্দ প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়ার জন্য। লোকসভার হাউসিং কমিটি শনিবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত সরকারি বাংলো ছাড়ার সময়সীমা দিয়েছিল রাহুলকে। তা মেনেই নির্দিষ্ট সময় বাংলো ছেড়ে দিলেন তিনি।
শনিবার সকালে রাহুলের বাংলোয় গিয়েছিলেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা। দুপুরে তিনি আবার যান ১২ তুঘলক রোডে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে অমেঠী লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে প্রথম সাংসদ হয়েছিলেন রাহুল। সে সময় তাঁর জন্য ওই বাংলাটি বরাদ্দ করেছিল লোকসভার হাউসিং কমিটি। পদ হারানোর পরেই তা ছেড়ে দিলেন তিনি। রাজ্যসভার মেয়াদ দু’বছর আগে ফুরোলেও নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়া গুলাম নবি আজ়াদ অবশ্য এখনও সরকারি বাংলোতেই রয়েছেন!
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। ওই রায়ের ভিত্তিতেই ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাতের দায়রা আদালতে রাহুল আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
রাহুলের (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ নিয়ে সংশয়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (Court) রায় বহাল রাখল সুরাত (Surat) দায়রা আদালত। ফলে লোকসভার সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার আশায় আপাতত ইতি হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। সেই সঙ্গে তৈরি হল জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা। ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে সাজা শোনায়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় বহাল রাখল দায়রা আদালত। ‘অপরাধমূলক মানহানির’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দিয়েছিল, অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা বৃহস্পতিবার তার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন খারিজ করেছেন। এর ফলে আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল। সংশয় তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েও।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিল। তারই ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন। রাহুল, তাঁকে দোষী ঘোষণা এবং সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে (সেশনস কোর্ট) আবেদন করেছিলেন।
৩ এপ্রিল বিচারক আরপি মোগেরা রাহুলের আবেদন গ্রহণ করে জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। তবে সে দিন দায়রা আদালত রাহুলকে দোষী ঘোষণা করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি। দায়রা আদালতের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ পাওয়ার জন্য রাহুলের তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল। গত ১৩ এপ্রিল আগের শুনানির দিন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক মোগেরা রায় সংরক্ষিত রাখার কথা ঘোষণা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাহুলের সেই আর্জি খারিজ করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় বহাল রাখলেন তিনি। এর ফলে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ না পেলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞেরা।
রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে, বিরাটদের (Virat Kohli) সঙ্গে ১ উইকেটে জয় রাহুলদের (KL Rahul)। বেঙ্গালুরু (Rcb) অর্থাৎ বিরাটদের বোলিং নিয়ে আশঙ্কা ছিলই, এবার তাই সত্যি হলো। নিকোলাস পুরাণ এবং স্টয়নিসের ব্যাটে ভরসা করে শেষ বলে ম্যাচ যেতে রাহুলরা। টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় লখনউ সুপার জায়ান্ট। বলে তারা খুব ভালো শুরু করতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে বিরাট, ম্যাক্সওয়েল এবং ডিউ প্লেসির উপর ভরসা করে, কুড়ি ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তোলে বেঙ্গালুরু। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভালো হয়নি রাহুলদের। পরে ম্যাচের হাল ধরে মার্কাস স্টয়নিস। সঙ্গ দেয় নিকোলাস পুরাণ এবং আয়ুষ বাদোনি। নিকোলাস পুরাণের ঝড়ো ইনিংসে শেষ বলে এক উইকেটে ম্যাচ যেতে লখনউ।
শেষ ওভারে ৫ রান দরকার ছিল রাহুলদের। হার্শল প্যাটেলের ২ নম্বর বলে আউট হয় মার্ক উড। পঞ্চম বলে আউট হয় উনাদকাট। শেষ বলে ১ রান দরকার ছিল লখনউয়ের। আবেশ খান তখন স্ট্রাইকে। শেষ বলে ব্যাটে লাগাতে না পারলেও ছুটে বাই রান হিসেবে ১ রান নিয়ে নেন তিনি।
টসে হেরে বেঙ্গালুরুকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় লখনউ। দারুন শুরু করে বেঙ্গালুরু কোহলি ৪৪ বলে ৬১ রান করে, প্লেসিস ৪৬ বলে ৭৯ রান করে, পাশাপাশি ম্যাক্সওয়েল ২৯ বলে ৫৯ রান করে। ২ উইকেট হারিয়ে বেঙ্গালুরু তোলে ২১২ রান। রানের পাহাড় মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিকে উইকেট হারায় লখনউ। রাহুল করে ২০ বলে ১৮ রান। রান আসে স্টয়নিসের ব্যাটে, ৩০ বলে ৬৫ রান করে স্টয়নিস। পরে যখন স্টয়নিস আউট হয়ে ফেরে ম্যাচ হাতের বাইরে মনে হয়েছিল লখনউয়ের। তখনই পুরানের ব্যাটে ১৯ বলে ৬২ রান আসে।
প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে লখনউয়ের পক্ষে ১ টি করে উইকেট পায় অমিত মিশ্র ও মার্ক উড। পাসপাশি বেঙ্গালুরুর সিরাজ ও পার্নেল ৩ টি করে উইকেট নেয়। ২ টি উইকেট নেয় হার্শল প্যাটেল, ১ টি উইকেট নেয় করন শর্মা।
রাহুল ত্রিপাঠির ব্যাটে ভর করে প্রথম জয় হায়দরাবাদের। রবিবার হাই ভোল্টেজ দিনের শেষের ম্যাচে, টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দরাবাদ। প্রথম ব্যাট করতে পাঠায় পঞ্জাবকে। প্রথম ব্যাটে শুরুটা ভালো হয়নি পঞ্জাবের। একদিক দিয়ে শিখর ধাওয়ান হাল ধরার চেষ্টা করলে অন্যদিক থেকে উইকেট হারাতে থাকে পঞ্জাব। ২০ ওভারে ৯ উইকেট দিয়ে পঞ্জাবের সংগ্রহ ১৪৩ রান। যেখানে শিখর ধাওয়ানের একার রান ৯৯। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় হায়দরাবাদ।
প্রথম দুটো ম্যাচ টানা হেরে, তৃতীয় ম্যাচে পঞ্জাবের সঙ্গে খেলায়, টসে জিতে প্রথম বল করা সিদ্ধান্ত নয় হায়দরাবাদ। শুরুতে হায়দ্রাবাদের টপ অর্ডার প্রভিস্মরণ, শর্ট, জিতেশ শর্মা, প্রথম পাওয়ার প্লের মধ্যেই ঘরে ফিরে যায়। ১৫ বলে ২২ রান করে স্যাম কারান। রানের ক্ষেত্রে পঞ্জাবের হয়ে আর কেউই তেমন দুই অংক পেরোতে পারেনি। শিখর ধাওয়ানের একার ব্যাটে ভর করে, পঞ্জাব মোট ২০ ওপারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তোলে। যেখানে শিখর ধাওয়ান ৬৬ বলে ৯৯ রান করেন। ১৪৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে, ভালো শুরু করে হায়দ্রাবাদ। প্রথমদিকে ব্রোক ও ময়ঙ্ক আগারওয়ালের উইকেট পড়ে গেলে, রাহুল ত্রিপাটি ম্যাচের হাল ধরে। রাহুলের সঙ্গ দেয় সাউথ আফ্রিকান মার্কাম। রাহুল ৪৮ বলে ৭৪ রান করে, এবং মার্কাম ২১ বলে ৩৭ রান করে।
প্রথম বল নিয়ে হায়দরাবাদের শুরু ভালোই হয়, মার্কণ্ডে ও জাসেন ভালো বল করে। মার্কণ্ডে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেয়। জাসেন ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয়। উমরানও ২ উইকেট পায় ৩২ রান দিয়ে। ১টি উইকেট নেয় ভুবনেস্বর। পাশাপাশি বল হাতেও তেমন সফল নয় পঞ্জাব। পঞ্জাবের পক্ষে অর্ষদীপ সিং ও রাহুল চাহার ১টি করে উইকেট নেয়।
'মোদি' পদবী টেনে বিতর্কিত মন্তব্যে স্বস্তি রাহুল গান্ধীর। সুরাতের দায়রা কোর্ট জামিন মঞ্জুর করেছে রাহুলের। পরবর্তী শুনানি ১৩ এপ্রিল। ১০ এপ্রিলের মধ্যে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা গুজরাতের মন্ত্রীকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে আদালত। আপাতত ১৩ই এপ্রিল অবধি রাহুলের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। এমনটাই জানিয়েছে সুরাতের দায়রা আদালত।
সূত্রের খবর, সোমবার সুরাতের দায়রা আদালতে হলফনামা জমা দেন ওয়ানাডের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। রায়ের উপর স্থগিতাদেশের পাশাপাশি লোকসভার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতেও আবেদন করেন তিনি। এদিকে, সোমবার রাহুল তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে আদালতে পৌঁছন। এছাড়াও এদিন রাহুলের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের তিন মুখ্যমন্ত্রী। এরা হলেন, রাজস্থানের অশোক গেহলট, ছত্তিশগড়ের ভূপেশ বাঘেল ও হিমাচলপ্রদেশের সুখবিন্দর সিং সুখু।
সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে 'মোদি' পদবী টেনে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় সুরাতের এক আদালতে। চূড়ান্ত রায়ে সুরাতের ওই আদালত তাঁকে দু বছরের সাজা শোনায়। তারপর লোকসভায় তাঁর সাংসদপদ বাতিল হয়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশন দাখিল করেন কংগ্রেস নেতা। তার ভিত্তিতেই ১৩ তারিখ অবধি জামিন পেয়েছেন তিনি।
প্রসূন গুপ্ত: রাহুলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে এই মুহূর্তে? রাহুল গান্ধী বিরোধীদের মধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছেন। কংগ্রেস তথা নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যরা সাধারণত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে একটি শ্রদ্ধার স্থান পেয়ে থাকেন। ব্যতিক্রম ছিলেন রাহুল। অনেকটাই তাঁর খামখেয়ালি মনোভাবের জন্য নিজের জায়গা, বিরোধীদের মধ্যে নেতার আসন পাননি। বিরোধীদের মধ্যে তাঁর নিয়মিত সুহৃদ পাওয়া দুষ্কর ছিল। এক সময়ে এসপি-র সভাপতি অখিলেশ যাদব রাহুল ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের গত নির্বাচনের পর তা নষ্ট হয়ে যায়। রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু কেউই থাকে না, এটা একসময় বলেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কিন্তু সম্পর্ক ভালো রাখার ফর্মুলাটি সোনিয়া গান্ধী খুব ভালো বুঝতেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোনিয়ার সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। রাজীব পত্নীকে মমতা খুবই শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছেন। কিন্তু রাহুল ওই সম্পর্কে বারবার বাধা হয়ে উঠেছিলেন।দেখা গিয়েছিলো ২০১৫-র বিহার নির্বাচনের পরে একই মঞ্চে লালু নীতীশের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মমতা-রাহুল। সেবার সিপিএম এই জোটের বিরোধী ছিল। অনুষ্ঠান শেষে মমতা ব্যক্তিগত ভাবে রাহুলকে নাকি অনুরোধ করেন সিপিএমের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে।
কিন্তু রাহুল এই ব্যক্তিগত অনুরোধটি প্রেসের সামনে বলে দেন, সেই থেকেই রাহুলের সঙ্গে মমতার শীতল সম্পর্ক। কিন্তু রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর মমতা-সহ অধিকাংশ বিরোধী দল কংগ্রেসের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন রাহুল কি করবেন? আইনজীবীদের বক্তব্য যে, রাহুল উচ্চ আদালতে গেলে এই আদেশ হয়তো পরিবর্তিত হবে। কিন্তু কংগ্রেস কর্মীদের একটি অংশ বলছে যে, সুরাত কোর্টের রায়ে রাহুল জেলে যেতে পারেন। রাহুল গ্রেফতার হলে ওই সেন্টিমেন্ট সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে, যার ফসল তুলতে পারবে বিরোধীরা। রাহুলের বড় পরিচয় তিনি ইন্দিরার নাতি এবং দুঃসময়ে ইন্দিরা গ্রেফতার হওয়ার পর হারিয়ে যাওয়া ক্ষমতা ফের কংগ্রেস ফিরে পেয়েছিলো।দেশের ভোটারদের কাছে এই বার্তা গিয়েছিলো যে দেশের নেত্রীকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করেছে জনতা পার্টির পুলিস।রাহুল কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাইছেন?