২৬শে জানুয়ারীর আগে জোড়া বিস্ফোরণে কাঁপল জম্মু। প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) প্রস্তুতির পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’—উভয় কারণে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তার মধ্যেও শনিবার জম্মুর নারওয়াল এলাকায় ঘটে এই দুই বিস্ফোরণ। জানা গিয়েছে, আহতের সংখ্যা অন্তত ৯ জন।
পুলিস জানিয়েছে, শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বলে পরিচিত নারওয়ালের এই এলাকা। পাশাপাশি গাড়ি মেরামতির ও গাড়ির যন্ত্রাংশের অসংখ্য দোকান রয়েছে এলাকায়। ফলে দিনভর ব্যস্তই থাকে নারওয়াল বাজার। তাই বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফরেন্সিক এবং বোমা বিশেষজ্ঞেরা। জম্মু পুলিসের অতিরিক্ত ডিজি মুকেশ সিং বলেন, ‘‘নারওয়ালের ট্রান্সপোর্ট নগরের ৭ নম্বর ইয়ার্ডে দু’টি গাড়ির মধ্যে বিস্ফোরণ হয়েছে। কীভাবে বিস্ফোরণ হল, তা খতিয়ে দেখছি আমরা।’’ বর্তমানে এলাকাটি ঘিরে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে এলাকার একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের সুপার নরেন্দ্র ভাটিয়ালি বলেন, ‘‘আহতদের মধ্যে এক জনের পেটে স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।’’ এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধির ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কতখানি সুরক্ষিত সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
বেশ কিছুদিন আগে রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) সঙ্গে রাজস্থানে 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় হেঁটেছিলেন রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan)। সে সময় সকলে ভেবেছিলেন কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিতে চলেছেন রাজন। তবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর স্পষ্ট জানান, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না। কেন এবং কীসের জন্য তিনি এই যাত্রায় শামিল ছিলেন তার কোনও স্পষ্ট ব্য়াখ্যাও দেয়নি রাজন।
এবার দাভোসে 'ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে' জাতীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, 'রাহুল গান্ধির সঙ্গে কথা বলে তিনি বুঝেছেন, অত্য়ন্ত বুদ্ধিমান এবং কৌতুহলী মানুষ রাহুল। রাহুলকে পাপ্পু বলে সম্বোধন করাটা অতি দুর্ভাগ্য়জনক। এতে তাঁর ভাবমূর্তির উপর প্রভাব পড়ছে।' রঘুরাম এটাও বলেন, 'তিনি রাহুল গান্ধির সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। রাহুল অন্তত পাপ্পু নয়। মানুষের জীবনের অগ্রাধিকার বুঝতে পারেন, ঝুঁকি নিতে জানেন। এই মুহূর্তে অনেকে তাঁকে অপরিণত রাজনীতিবিদ বলে মনে করেন। কিন্তু রাহুল গান্ধি একজন আর্দশ মানুষ তাঁর মধ্য়ে রাজনীতির সমস্ত গুণ রয়েছে।'
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন মোদী সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে সমালোচনা করায় বিজেপি তাঁকে ব্য়পকভাবে আক্রমণ করেছে। তবে তিনি বিজেপির বহু নেতা-মন্ত্রীকে অপরিণত রাজনীতিবিদ বলে কটাক্ষ করেন।
মোহভঙ্গ না রাজনৈতিক পরিসরে ভেসে থাকার চেষ্টা? ৫ মাস পর ফের পুরনো দল কংগ্রেসে (Congress) ফিরতে পারেন গুলাম নবী আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। গত অগাস্টে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) তোপ দেগে দলত্যাগ করেন আজাদ। তাঁর স্রোতে গা মিলিয়ে জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেস (Congress) থেকে একে একে ইস্তফা দেন আজাদ ঘনিষ্ঠরা। তাঁরা যোগ দেন আজাদ গঠিত ডিএপি বা ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টিতে। কিন্তু পাঁচ মাসেই উলটপুরাণ! খানিকটা মোহভঙ্গ হওয়ায় এঁদের অনেকেই আবার কংগ্রেসে ফিরছেন তাঁরা। তাহলে কি উলটো স্রোতে ভেসে পুরনো দলের পতাকাই ফের হাতে তুলবেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) একদা মুখ্যমন্ত্রী? এমনটাই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, জানুয়ারিতেই জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছবে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। তার আগে কংগ্রেসে ফিরবেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চাঁদ-সহ একঝাঁক নেতা। পিরজাদা মহম্মদ সঈদ, মুজফ্ফর পেরারে, বলবান সিংহের মতো প্রভাবশালী প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারাও হাতে তুলে নিতে পারেন 'হাত'।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য চলতি বছরেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চল এককভাবে দখলে মরিয়া বিজেপি। লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই পিডিপি-এনসি-সহ আরও কয়েকটি দলের সম্মিলিত গুপকার জোট। কোনওভাবে গুপকার জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিধানসভা ভোটে লড়তে এখন কোমর বাঁধছে কংগ্রেস।
এই কৌশল বাস্তবায়নের আগে জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেসে আজাদ ফিরলে, তাঁর অভিজ্ঞতা শতাব্দীপ্রাচীন দল কাজে লাগাবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কংগ্রেস এবং বিজেপি সমান, এই যুক্তি দেখিয়ে রাহুল গান্ধীর ডাকা ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ থেকে দূরত্ব বজায়ের নীতি সমাজবাদী পার্টির। উত্তর প্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সপার প্রধান অখিলেশ যাদব কংগ্রেস ও বিজেপিকে একই সারিতে বসিয়েছেন। যদিও ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে ল়ড়েছে এই হাত এবং সাইকেল শিবির। কিন্তু আশানুরূপ ফল হয়নি কোনও দলেরই।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের তরফে অখিলেশকে ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুলায়ম-পুত্র জানান, 'আপনাদের (সাংবাদিকদের) কারও কাছে যদি আমন্ত্রণপত্র এসে থাকে, তবে দয়া করে সেটা আমায় পাঠিয়ে দেবেন।'
সাময়িক বিরতির পর আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে আবার শুরু ভারত জোড়ো যাত্রা। দিল্লির সীমানা পেরিয়ে প্রথমেই উত্তরপ্রদেশে পৌঁছবে এই পদযাত্রা। কংগ্রেস শিবিরের এখনও আশা সমাজবাদী পার্টির তরফে কেউ না কেউ পদযাত্রায় অংশ নেবেন।
বিনোদন জগতের এবার পর এবার অর্থনীতিবিদ, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ডাকে সাড়া দিয়ে হাঁটলেন ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra)। কংগ্রেসের (Congress) ভারত জোড়ো যাত্রায় পা মেলালেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan)। বুধবার রাজস্থানে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও এই ঘটনায় সরব বিজেপি। দলের আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য টুইটে রাজনকে আক্রমণ করেছেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান ভবিষ্যতের মনমোহন সিং হতে চাইছেন, দাবি অমিতের।
দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের ২৩তম গভর্নর হিসাবে রাজনের কার্যকাল ছিল ২০১৩-২০১৬ সাল পর্যন্ত। তারপর তিনি আমেরিকায় চলে যান অধ্যাপনা করতে। কিন্তু নোটবন্দি-সহ মোদী সরকারের একাধিক আর্থিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা ছিল রাজনের মুখে।
যদিও বিজেপির দাবি, বিশ্বের কাছে ভারতের অর্থনীতিকে নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপিত করেছেন রাজন। তিনি কি সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দিলেন? এই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবির থেকে। ইতিমধ্যে বিনোদন জগত থেকে রিয়া সেন, পূজা ভাট এবং ক্রীড়া জগত থেকে অলিম্পিক পদকজয়ী বক্সার বিজেন্দর সিংকে দেখা গিয়েছে এই কর্মসূচিতে।
প্রসূন গুপ্ত: সৌরভ গাঙ্গুলি এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে অতীত। তাঁর সভাপতিত্ব এক প্রকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং যুক্তি দেখানো হয়েছে, তিন বছরের বেশি কেউ বোর্ডের সভাপতি থাকেননি। অথচ অতীত ঘেঁটে দেখা যাবে জগমোহন ডালমিয়া টানা বহু বছর বিসিসিআই সভাপতি ছিলেন। এদিকে, সৌরভ সরে যাওয়ার পর তাঁর প্রিয়পাত্রদের সরানোর কি সূক্ষ্ম পরিকল্পনা চলছে? গুঞ্জন অবশ্য এমনটাই শোনা যাচ্ছে। সৌরভ সভাপতি থাকার আগে ভারতীয় দলের কোচ করতে চেয়েছিলেন বন্ধু অনিল কুম্বলেকে, হয়েও ছিলেন তিনি কিন্তু বিরাট কোহলিদের আস্থা অর্জন করতে না পারার জন্য তাঁকে দ্রুত সরে যেতে হয়।
কোচ হয় আসেন রবি শাস্ত্রী। সৌরভের অত্যন্ত অপছন্দের চরিত্র বরাবরই রবি। অন্যদিকে বিরাট কিন্তু একটা সময়ে সৌরভের প্রিয়পাত্র ছিলেন কিন্তু রবি-কোহলি জুটি অনেকটাই তাঁদের মতো করে দল চালাতে শুরু করেন। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ-সহ বহু আইসিসি ট্রফি হাতছাড়া হয় ভারতের। সৌরভ পুরো দায়িত্ব পাওয়ার পর ধীরে ধীরে অধিনায়কত্ব হারান বিরাট কোহলি এবং কোচিংয়ের দায়িত্ব থেকে সরানো হয় রবি শাস্ত্রীকে।
কোচিংয়ের দায়িত্ব এক প্রকার জোর করেই রাহুল দ্রাবিড়ের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়। সৌরভ চেয়েছিলেন বন্ধু রাহুল দায়িত্ব নিক। অন্যদিকে তিন ধরণের অর্থাৎ টেস্ট, ওয়ান ডে এবং টি২০-র অধিনায়কত্বের দায়িত্ব যাক রোহিত শর্মার কাছে। রোহিত, সৌরভ ও গাভাস্কারের প্রিয়পাত্র বলে গুঞ্জন। কথাতো বাস্তব সৌরভ এবং সানির সখ্যতা সর্বজনবিদিত। এবার টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত বিদায় নেওয়ার পর টিম জয় শাহ সক্রিয় রোহিতকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর জন্য বলে সংবাদ।
অন্যদিকে ফের যদি সুযোগ আসে এই আশায় রবি শাস্ত্রী চরম সমালোচনা শুরু করেছেন রাহুল দ্রাবিড়ের। তিনি বলছেন কেন দ্রাবিড় নিউজিল্যান্ডে গেলেন না। তিনি আরও অনেক বিষয়ে দ্রাবিড়ের সমালোচনা করছেন। এদিকে সৌরভের আরেক প্রিয়পাত্র ভিভিএস লক্ষণ বর্তমানে সাময়িক কোচের দায়িত্ব নিয়ে নিউজিল্যান্ডে। কিছু একটা না দেখতে পারলে কে বলতে পারে তাঁর উপরও কোপ পড়তে পারে। রাজনীতির পাঁকচক্রে এখন ভারতীয় ক্রিকেট দল।
পূজা ভাটের পর রুপোলি জগতের আরও এক পরিচিত মুখকে দেখা গেল রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) পাশে ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra)। সেই পরিচিত মুখের নাম রিয়া সেন (Riya Sen)। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মুনমুন সেনের ছোট কন্যা বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সাংসদের পাশে হাঁটলেন। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের এই কাশ্মীর-কন্যাকুমারী জোড়ো যাত্রা মহারাষ্ট্রে রয়েছে। সে রাজ্যের আকোলায় মুনমুন কন্যাকে দেখা গিয়েছে রাহুলের পাশে হাঁটতে।
এর আগে হায়দারাবাদে একইভাবে কংগ্রেসের এই কর্মসূচির সমর্থনে হাঁটেন পূজা ভাট। এবার চর্চায় সুচিত্রা সেনের নাতনি রিয়া সেন। চোখে সানগ্লাস, পায়ে সাদা স্নিকার্স, খোলা চুলে রিয়া রাহুলের পাশে পাশে হাঁটছিলেন। পরনে হালকা বাদামি আর লাল রঙের টপ এবং জিন্সের ট্রাউজার্স। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে রাহুলের সঙ্গে বেশ কয়েক বার কথা বলতেও দেখা গেল তাঁকে।
তাহলে কি মায়ের পর এবার মেয়ের রাজনৈতিক মঞ্চে অভিষেক? এই প্রশ্নের কোনও জবাব মেলেনি। কারণ কোনও রাজনৈতিক মঞ্চেই সেভাবে সক্রিয় নয় রিয়া এবং রাইমা সেন। তবে ২০১৯-এ মুনমুন সেন যখন তৃণমূলের টিকিটে আসানসোলের প্রার্থী, তখন মায়ের সঙ্গে কয়েকদিন দুই বোনকে প্রচারে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তার বাইরে রাইমা বা রিয়া কেউই রাজনীতি নয় আগ্রহী নয়।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, আঁধি ছবিতে অভিনয় করেছেন রিয়া সেনের দিদিমা সুচিত্রা সেন। সেই ছবিতে সুচিত্রা সেনের লুকসের সঙ্গে সিনে সমালোচকরা মিল পেয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। সেই ছবি নিয়েও চর্চা হয়েছিল প্রচুর। এবার ইন্দিরার নাতি আর সুচিত্রার নাতনিকে দেখা গেলো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে একসঙ্গে হাঁটতে। এটা কি শুধুই কাকতালীয়?
কংগ্রেস (Congress) সভাপতি নির্বাচনের লড়াই ত্রিমুখী না চতুর্মুখী? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে দেখা করে ভোটে লড়ার সম্মতি আদায় করেছেন শশী থারুর (Sashi Tahroor)। এবার শর্তসাপেক্ষে এই নির্বাচনে অংশ নিতে চান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। সোনিয়া গান্ধীকে সেই মর্মে প্রস্তাব পাঠন গেহলট। তিনি,'রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলে সভাপতি নির্বাচন ভোটে তিনি প্রার্থী হতে চান। আমরা রাহুলজিকেই কংগ্রেস সভাপতি চাই। কিন্তু তিনি যদি নিজে ভোটে লড়তে না চান, তবে আমি মনোনয়ন জমা দিতে পারি।'
বুধবার জয়পুর থেকে দিল্লি এসেছেন গেহলটের। রাতে কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বসতে পারেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর শর্ত বা প্রস্তাবে কংগ্রেস হাইকমান্ড মেনে নিলে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে গেহলটের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। তিনি বুধবার আবার এআইসিসি নিযুক্ত ‘রিটার্নিং অফিসার’ মধুসূদন মিস্ত্রির সঙ্গে দেখা করেন। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়াগত বিষয়ে দু'জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
গেহলট যদি এই ভোটে লড়েন এবং সভাপতি হন, তাহলে তিনি কি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ আঁকড়ে থাকবেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস। তবে এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি মানলে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে গেহলটের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হবে। তবে এখানেই থামছে না প্রতিদ্বন্দ্বিতার লড়াই। থারুর, গেহলটের পর এবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেন দিগ্বিজয় সিংহ। এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই লড়াইয়ে আমি নিজেকেও বাদ রাখছি না। আমি নই কেন? আপনি কেন এই তালিকা থেকে আমাকে বাদ রাখতে চাইছেন?'
রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বের বিরোধিতা করে কংগ্রেস (Congress) ছেড়েছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ গুলাম নবি আজাদ। এবার হিমাচল (Himachal Pradesh) প্রদেশে ভোটের আগে ফের একবার রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে কাঠগড়ায় তুললেন কংগ্রেস সাংসদ। মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশ সভানেত্রী তথা সাংসদ প্রতিভা সিংয়ের অভিযোগ, 'কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের জন্য সময় নেই রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কার। সে কারণেই দলের অন্দরে অসন্তোষ বাড়ছে।'
বছর ঘোরার আগেই পাহাড়ি এই ছোট রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে খোদ কংগ্রেস সাংসদের এই মন্তব্যে কিছুটা ব্যাকফুটে শতাব্দী প্রাচীন দল। এদিকে, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই গোয়ার আট কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কোঙ্কনের উপকূলীয় রাজ্যের সেই 'ঢেউ' হিমাচলে লাগলে সভাপতি নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় ধাক্কা খাবে গান্ধী পরিবার।
প্রবীণ এই কংগ্রেস সাংসদের মত, 'দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হলে রাহুলকে নবীন এবং প্রবীণের মেলবন্ধনের কৌশল শিখতে হবে। পাশাপাশি, রাহুলকে দলের জন্য আরও সময় দেওয়ার কথাও ভাবতে হবে। রাহুলজিকেই ঠিক করতে হবে, তিনি দলকে সময় দিতে চান, না জীবনে অন্য কিছু করতে চান। তিনি যদি দলকে সময় দিতে না পারেন, তবে দলে অনেক দক্ষ ও অধ্যবসায়ী নেতা আছেন, সেই জায়গা পূরণের জন্য।'
ফের মহুয়া মৈত্রের ট্যুইট খোঁচায় বিদ্ধ বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। গেরুয়া শিবিরের নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। মঙ্গলবার মেছুয়া বাজার এলাকায় পুলিসের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এবার যারা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করেছে সেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বুলডোজার পাঠালে কেমন হয়? ট্যুইট করে মহুয়া মৈত্র (Mahua Maitra) এই প্রশ্ন করেন।
What if Bengal used Bhogiji Ajay Bisht’s model & sent bulldozers to homes of BJP workers who destroyed public property yesterday?
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) September 14, 2022
Will BJP stand by own policy or get their chadds in a twist?
তিনি বলেন, 'যদি বাংলা ভোগীজি অজয় বিষ্ঠের নীতি নিয়ে সরকারি সম্পত্তি ভাঙার অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বুলডোজার পাঠায় তাহলে কী? বিজেপি কি নিজেদের নীতিতে স্থির থাকবে?' মহুয়া মিত্রের এই ট্যুইট ভাইরাল হতেই পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, 'সরকারি সম্পত্তি ভাঙার জন্য প্রথম জরিমানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবেন। আর নবান্ন অভিযানে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস বিজেপি করেছে, তার কোনও প্রমাণ নেই। বিরোধী দলের থাকাকালীন যতগুলো সরকারি সম্পত্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধংস করেছেন, তার এক শতাংশ ধ্বংস বিজেপি করেনি। আগে ওরা জরিমানা দিক, তারপর বিজেপির জরিমানা নিয়ে ভাববে।'
ফের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। তাঁর সঙ্গে যেতে পারেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। মঙ্গলবার কংগ্রেসের তরফে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কবে তাঁরা বিদেশ যাবেন বা কোথায় যাবেন। খোলসা করেনি হাত শিবির (Congress)। এদিকে, ৪ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি ডেকেছে কংগ্রেস। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।
দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশে এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী বিদেশ যাচ্ছেন। নয়াদিল্লি ফেরার আগে সনিয়াজি তাঁর অসুস্থ মায়ের সঙ্গেও দেখা করবেন। রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে যাবেন।'
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত 'ভারত জোড়ো' কর্মসূচি। দলের সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণও ঘোষণা হতে পারে এ সপ্তাহে।
আগামী ২৭ অগস্ট থেকে শুরু এশিয়া কাপ(Asia cup)। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় দলের কোচ(Indian coach) রাহুল দ্রাবিড়(Rahul Dravid) করোনা আক্রান্ত। ফলে এশিয়া কাপে তাঁর দলে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে বোর্ডের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। ২৮ অগস্ট পাকিস্তানের(Pakistan) বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত(India)। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা।
অন্যদিকে, দেশে করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দৈনিক করোনা সংক্রমণ নেমে এল সাড়ে আট হাজারে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন সাড়ে ৯ হাজারের বেশি। ক্রমশ কমছে অ্যাকটিভ কেস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৮৬ জন। সুস্থ ৯৬৮০ জন। শতকরা হিসেবে যা ৯৮.৫৯ শতাংশ। সোমবারও এই হার ছিল একই। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার ৫০৬-এ। সোমবারও যা ছিল ৯৭ হাজারের বেশি। পজিটিভিটি রেট এই মুহূর্তে ২.১৯ শতাংশ।
টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগীদের চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে নমুনা পরীক্ষায়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ৯১ হাজার ৩৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২১০ কোটি ৩১ লক্ষের বেশি। এর মধ্যে ১৪.০৭ কোটি শুধু প্রিকশান ডোজই দেওয়া হয়েছে। পুজোর আগে সমস্ত নাগরিককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র।
সন্দেহাতীতভাবে বলা যেতেই পারে, এখনও পর্যন্ত দেশের সবথেকে শক্তিশালী দল বিজেপি এবং তাদের মুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমন একটা সময় ছিল ইন্দিরা গান্ধীর আমলেও। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৭ অবধি তাঁকে গদি থেকে সরানো কঠিন বিষয়। কিন্তু দেশের সমস্ত বিরোধী দল এবং তার সঙ্গে ভেঙে যাওয়া কংগ্রেসের একটি অংশ একত্রিত হয়ে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিয়ে ইন্দিরাকে পরাজিত করা হয়। যদিও সেই সরকার টেকেনি বেশিদিন।
এবারেও প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছিল, তৃণমূল সহ বিভিন্ন দল একত্রিত হয়ে ২০২৪ এর ভোটযুদ্ধে অংশ নেবে। সঙ্গে কিন্তু কংগ্রেস সহ নানান দলে নানা অভিমত। প্রথমত কংগ্রেসের মধ্যে ভাঙন না ধরলেও প্রাক্তনীদের একটি অংশ নিজেদের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এবার কে হবে দলের সভাপতি? রাহুল গান্ধী জানাচ্ছেন, গান্ধী পরিবারের কেউ নয়। তবে কে? যেই হোক, তিনি যে বকলমে এই পরিবারের ইয়েস ম্যান হবেন, তা বলাই বাহুল্য। অনায়াসেই সচিন পাইলটের মতো তরুণদের সুযোগ পাওয়া উচিত মনে করে অনেকেই। কিন্তু তাঁকে আবার রাহুলের অপছন্দ। আরেক বিরোধী দল আপ। ইতিমধ্যেই তাদের দলের একাংশ বলতে শুরু করেছে, মোদীর বিকল্প মুখ নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
একটা জোট অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। তার মধ্যে রয়েছে ডিএমকে, ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চা, এনসিপি, ঠাকরে পরিবার শিবসেনা। নব সংযোজন বিহারের নীতীশবাবু, লালুর দলদুটি। কিন্তু পাশাপাশি তৃণমূল কারোর সঙ্গে নেই, এক চলেছে তেলেঙ্গানার টিআরএস, বাম দলগুলি ইত্যাদি। জোটবদ্ধ হওয়ার যে কোনও চেষ্টা হোক না কেন, আপ, তৃণমূল, টিআরএস ইত্যাদির সাহায্য এবং পাওয়ার সম্ভবনা কোথায়? মমতা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, ভোটে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, তখন জোট বাঁধা যাবে। খেলার রাশ কিন্তু মোদীর হাতে।
'পাপা, প্রতিটি মুহূর্তে তুমি রয়েছ আমার সঙ্গে, আমার হৃদয়ে। দেশের জন্য যে স্বপ্ন তুমি দেখেছিলে, তা যাতে পুরণ করতে পারি, তার জন্য আমি সবসময় চেষ্টা করে যাব।' শনিবার দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর (Rajiv Gandhi) ৭৮ তম জন্মবার্ষিকী (Birth Anniversary)। এই দিনেই পিতার স্বপ্নপূরণে এমন আবেগঘন ট্যুইট করলেন রাহুল গান্ধী।
पापा, आप हर पल मेरे साथ, मेरे दिल में हैं। मैं हमेशा प्रयास करूंगा कि देश के लिए जो सपना आपने देखा, उसे पूरा कर सकूं। pic.twitter.com/578m1vY2tT
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 20, 2022
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেদামবুরে আত্মঘাতী বোমায় প্রাণ হারান রাজীব গান্ধী। তাঁর সঙ্গেই মৃত্যু হয়েছিল আরও ১৪ জনের। এদিন সকালে নয়াদিল্লির বীরভূমিতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা, সাংসদ কে সি বেণুগোপাল, বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খার্গে সহ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ অনেকেই ট্যুইট করে তাঁকে শ্রদ্ধা জনিয়েছেন।
শিবসেনার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লিখেছেন, আমি এখনও তরুণ এবং আমারও দুচোখে অনেক স্বপ্ন। আমারও স্বপ্ন স্বাধীন, আত্মনির্ভর ভারত, যা দেশকে বিশ্বের প্রথম সারিতে রাখবে এবং যা মানুষের সেবায় কাজে আসবে। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আগামী ২২ অগাস্ট দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মিলিত হবেন সমাজের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। কংগ্রেসের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে লেখক, বুদ্ধিজীবী মিলিয়ে অন্তত ১৫০ জন হাজির থাকার কথা। কংগ্রেস যে ভারত জোড়ো (Bharat Jodo Yatra) যাত্রার প্রস্তুতি নিয়েছে, সে ব্যাপারেই তিনি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। এই যাত্রার উদ্দেশ্য কী, তা যেমন তিনি সবার সামনে তুলে ধরবেন, তেমনি এতে অংশগ্রহণ করারও আবেদন রাখবেন। আগামী ২৩ অগাস্ট কংগ্রেসের সদর দফতরে এই যাত্রার ট্যাগলাইন, লোগো এবং ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হবে বলেও কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য আগামী ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে এই যাত্রা শুরু হওয়ার কথা। ১৫০ দিন ধরে লাগাতার চলবে পদযাত্রা, যাতে ১২ টি রাজ্যের ৩৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।