প্রসূন গুপ্ত: রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন বিরোধী দলকে অনেকটা কাছাকাছি এনে ফেলেছে। রাহুলের লঘু পাপে গুরুদণ্ড হয়েছে এমনটাই বক্তব্য বিরোধীদের। এই ঘটনা অর্থাৎ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ চলে যাওয়াতে তাঁর পাশে দাঁড়ানো কি সমস্ত বিরোধীদের অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই, এমন প্রশ্নই বিশেষজ্ঞদের। সোমবার রাতে কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজ্যসভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খার্গের বাড়িতে সমস্ত বিরোধী দলকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ইদানিং কংগ্রেসের কোনও আন্দোলনে তৃণমূল না থাকলেও সোমবার দলের দুই সাংসদ লোকসভার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার জহর সরকার এই ভোজে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে কংগ্রেসের চিরকালের বিরোধী আপ পার্টির প্রতিনিধিদেরও এই সভায় দেখা গেলো। পাশাপাশি ডিএমকে, এসপি, আরজেডি, এনসিপি ইত্যাদি দলের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন। অনুপস্থিত ছিল বিজেডি দল এবং শিবসেনা(উদ্ধব) অংশ। উদ্ধবের উপস্থিত না থাকার কারণ নাকি সম্প্রতি রাহুলের সাভারকর মন্তব্য। রাহুল বলেছিলেন, তিনি গান্ধী, সাভারকার নয়। এই মন্তব্যে অখুশি উদ্ধব, কাজেই সভাতে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। যদিও প্রতিবাদ মিছিলে তাঁদের দলের প্রতিনিধিকে দেখা গিয়েছে বলে সংবাদ।
নামেই ভোজসভা আসলে জোটসভা বা আসন্ন ভোটসভা বললে প্রকৃত উদাহরণ হতো। আলোচ্য বিষয় অবশ্যই বিজেপির বিরুদ্ধে জোট। প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ার বলেন, 'আসন্ন নির্বাচনে এই উপস্থিত বিরোধীরা একসঙ্গে থাকলে বিজেপি বা এনডিএ-কে হারানো সম্ভব।' বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার তৃণমূলের সাংসদ প্রসূন।
তিনি বলেন, 'যে ফুটবল খেলেছেন তিনি, কাজেই টিমওয়ার্ক না থাকলে একার ট্যালেন্ট দেখিয়ে জেতা যায় না।' জহর সরকার প্রাক্তন আমলা কাজেই সরকারি বিষয়টি তাঁর নখদর্পনে। তিনি আইনানুগ বিষয়টি তুলে ধরেন। আপ পার্টিও একই সুরে কথা বলে। রাহুল পরিষ্কার জানান, 'তিনি না থাকলেও বা তাঁকে না রাখলেও সমস্যা নেই। কিন্তু সম্মিলিত জোটটি হোক।' অন্যদিকে বিজেপির প্রশ্ন, 'এ রকম জোট তো প্রতি বছর হয়ে থাকে কিন্তু ভেঙেও যায়।'
রাহুলকে (Rahul Gandhi) সরকারি বাংলো ছাড়তে নোটিস (Notice)। সোমবার কংগ্রেস নেতা রাহুলকে নোটিস দিয়েছে লোকসভার (Loksabha) হাউসিং কমিটি। সম্প্রতি তাঁর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। সাংসদপদ খারিজের পর, এবার রাহুল গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়তে নোটিস। ২০০৪ সাল থেকে লোকসভার সাংসদ ছিলেন রাহুল। সেই সূত্রে দিল্লিতে ১২ তুঘলক রোডে রাহুলের জন্য সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল।
আগামী ১ মাসের মধ্যে সরকারি বাংলো ছাড়তে রাহুলকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। যদিও রাহুলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এমন কোনও নোটিস তিনি পাননি। সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর টুইট করেছিলেন রাহুল। লিখেছিলেন, ‘দেশের কণ্ঠস্বরের জন্য লড়াই করছি। প্রতিটি মূল্য চোকাতে প্রস্তুত।’ এরপর, শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন, 'মোদী-আদানি সম্পর্ক নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলাতেই নিশানা করা হয়েছে তাঁকে।' তিনি এ-ও জানান যে, সংসদে তাঁর পরের বক্তৃতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভীত, তাই তাঁর সাংসদপদ খারিজ করা হয়েছে।
মানহানি মামলায় গুজরাটের সুরাট আদালতের নির্দেশে ২ বছরের সাজা হয় কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul gandhi)। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী বাতিল করা হলো রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ। যা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা দেশে। এ ঘটনা নিয়ে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুলের পরিচিত সংবাদকর্মীদের একাংশের দাবি, শনিবার রাহুল অনেক কিছুই বলতে পারতেন। বলতে পারতেন গোটা দেশের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে, বলতে পারতেন গোটা দেশের বিরোধীদের এক করা নিয়ে। সম্প্রতি রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিজেপি বিরোধী সমস্ত দল গুলি? এরফলে তিনি শনিবার কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনতে পারতেন যে, চাপ দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এমনটা তিনি করলেন না। কেন?
কেন্দ্র বিরোধী মাখনের মত এমন একটা পরিস্থিতি, কেন তিনি ছুরি চালিয়ে গোটা পরিস্থিতিটা নিজের পক্ষে করলেন না? জানা নেই। শনিবার রাহুলের মুখে শুধু শোনা গেল, আমি, আমি, আর আমি। আর শোনা গেল মোদী আর আদানির নাম। যদিও রবিবার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের পথে নামবেন বলে জানিয়েছেন রাহুল। রবিবারই নিজের টুইটারে নিজের বায়ো বদলে রাখেন 'ডিস্কোয়ালিফায়েড এমপি'। গোটা সাংবাদিক সম্মেলন জুড়ে একবারও বিরোধীদের একজোট হবার ডাক দিলেন না। তিনি যদি বলতেন বিরোধীদের একজোট করার পর, তাদের মধ্যেই কেউ সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতার খাতিরে মোদী বিরোধী মুখ হবেন, যেমনটা তিনি তাঁর দলে করেছেন, মল্লিকার্জুন খাগড়েকে সভাপতি বানিয়েছেন। যদিও অভিজ্ঞতার খাতিরে এখনও অবধি বিরোধী মুখ কেউ হলে সেক্ষেত্রে রাহুলই এগিয়ে থাকতেন। তাও তিনি মোক্ষম সময়ে বিরোধীদের সঙ্গবদ্ধ করতে চাইলেন না। আদতে চাইলেন না, নাকি করলেন না, সেটা বোঝা সময়ের দায়।
লোকসভার অধ্যক্ষের সচিবালয় সূত্রে খবর, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২(১) ১৯৫১-র জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। এবিষয়ে শনিবার তাঁর দুই প্রিয় সাগরেদ ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক ঘেলট, দু'জনকে দুই পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন রাহুল। রাহুল সাংবাদিক বৈঠকে আদানিকে কাঠগড়ায় তুললে, সাংবাদিকরা তাঁর সাগরেদদের রাজ্যে আদানির ব্যবসার কথা মনে করিয়ে দিলেন। সেই মুহূর্তে কিছুটা রেগে গিয়ে রাহুল বললেন, 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ আছে।' এতে কি রাহুলের সাগরেদ রা ছোট হলেন না? এত সুন্দর পরিস্থিতে তিনি কি পারতেন না বিরোধীদের একজোট করার ডাক দিতে? এটাকে কি প্রস্তুতির অভাব বলা চলে? নাকি আপনি বলবেন, তাঁর দিদা ইন্দিরা গান্ধীর মত বা তাঁর পূর্ব পুরুষের মত ক্ষুরধার বুদ্ধির মালিক এখনও হয়ে উঠতে পারেননি রাহুল।
প্রসূন গুপ্ত: শনিবার কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে রাহুল গান্ধী তাঁর সাংসদপদ চলে যাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন। সারা দেশের উৎসাহ ছিল, নিজের সমর্থনে রাহুল গান্ধী কী বলেন। যদিও শুক্রবার লোকসভা থেকে তাঁর সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পর সবকটি বিরোধী দল থেকেই প্রতিবাদ উঠেছিল। সেই তালিকায় নাম আছে চিরকাল কংগ্রেস-বিরোধী হিসেবে পরিচিত আপ পার্টি বা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই তালিকায় রয়েছে ইদানিং কংগ্রেসের সঙ্গে শীতল সম্পর্কে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের। এরাও পৃথক ভাবে হলেও এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এদিকে এক মানহানির মামলায় সুরাতের এক আদালত রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে, দুই বছরের জেল।
শনিবার অবশেষে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী। রাহুল জানান, 'তিনি লোকসভায় থাকলে নরেন্দ্র মোদীর নাকি সমস্যা হচ্ছিলো।' আদানি কাণ্ডেও মোদী সরকারকে খোঁচা দেন কংগ্রেস নেতা। তিনি জানান, 'মোদী বলে তিনি মাত্র দুজন ব্যক্তির নাম করেছিলেন, নীরব ও ললিতের। চোর মানেই কি মোদী? তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।' সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন আসে, কেন উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালতে এই মামলা ফিরে যায় এবং তাঁকে কেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়?
রাহুল জানান, 'আদালতের বিরুদ্ধে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। এ বিষয়ে তাঁদের দলের আইনজীবীরা যা বলার বলবেন।' তাঁর মুখে এদিন একটি কথাই বারবার এসেছে, তা উদ্যোগপতি আদানিকে নিয়ে। তিনি বলেন, 'কে এই আদানি? তাঁর নাম আগে কোনওদিন শোনা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে উঠে এসেছেন তিনি। কেন আদানির বিমানে মোদী সফর করেছিলেন?' সেই ছবি রাহুল গান্ধী লোকসভায় পেশ করেছিলেন, দাবি তাঁর। সংসদে তাঁর আরও বেশ কিছু বলার ছিল। কিন্তু মোদী তাঁকে সেই সুযোগ দিলেন না। এভাবেও খোঁচা দেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল বলেন, 'এই ঘটনায় বিরোধীদের শক্তিবৃদ্ধি হবেই। সম্মিলিত হবে বিরোধীরা।' তিনি জানান, 'তাঁকে লোকসভায় ঢুকতে না দিলে বা জেলে পাঠালেও মুখ বন্ধ হবে না।'
মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে রাহুল গান্ধীর দু'বছরের কারাদণ্ড। যদিও আগামি একমাস এই সাজা কার্যকর করা যাবে না। সেক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে সাজার বিরোধিতা করে আবেদনের সুযোগ রয়েছে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi row)। কিন্তু সুরাতের নিম্ন আদালতের এই রায় প্রকাশ্যে আসতেই খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ। সংসদের নিম্নকক্ষে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খোয়ানোর পরেই তাঁর পাশে দেশের একাধিক বিজেপি-বিরোধী দল। এবার চুপ থাকলেন না বলিউডের পরিচিত মুখ স্বরা ভাস্কর।
সোনিয়া-পুত্রর পাশে দাঁড়িয়ে স্বরার টুইট, 'যাকে পাপ্পু বলে ডাকত, আজ তাকেই ভয় পেয়েছে। রাহুল গান্ধীর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া জনপ্রিয়তা ও ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই কাজ করা হয়েছে। যাতে লোকসভার ভোটে লড়তে না পারে। কিন্তু আমার বিশ্বাস এরপর রাহুল আরও বড় হয়ে ফিরবেন।'
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সংশোধিত জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে ভর করে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তের পিছনেও বিজেপির মদত দেখছে বিরোধী শিবির।
সম্ভাবনা সত্যি করেই লোকসভায় খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ। মানহানির মামলায় সুরাতের এক আদালতের রায় সামনে আসতেই জল্পনা শুরু হয়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের কোপে পড়বেন কি কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি। সেই জল্পনাকে সত্যি করেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে লোকসভার সচিবালয়। আর এই খবর চাউর হতেই কেন্দ্র তথা বিজেপির সমালোচনায় সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। ট্যুইটে তাঁর খোঁচা, 'প্রধানমন্ত্রী মোদীর নতুন ভারতে বিরোধী দলের নেতারা বিজেপির মুখ্য টার্গেট! ফৌজদারি অপরাধের ইতিহাস নিয়েও বিজেপি নেতারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পান। আর শুধুমাত্রে বক্তব্যের কারণে বিরোধী নেতার পদ খারিজ হয়। সাংবিধানিক গণতন্ত্রের আরও একটা নিকৃষ্টতম ঘটনার সাক্ষী হলাম আজ।'
In PM Modi’s New India, Opposition leaders have become the prime target of BJP!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 24, 2023
While BJP leaders with criminal antecedents are inducted into the cabinet, Opposition leaders are disqualified for their speeches.
Today, we have witnessed a new low for our constitutional democracy
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই খোঁচার মধ্যেই শুক্রবার ট্যুইটে সরব হয়েছিলেন রাহুল গান্ধীও। তিনি লেখেন, 'আমি দেশের আওয়াজের জন্য লড়াই করছি। প্রতিটি মূল্য চোকাতে প্রস্তুত।' ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সরব সিপিএম, সমাজবাদী পার্টির মতো দলগুলোও।
मैं भारत की आवाज़ के लिए लड़ रहा हूं।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) March 24, 2023
मैं हर कीमत चुकाने को तैयार हूं।
প্রসূন গুপ্ত: সময়টি সম্ভবত ২০১৯, কোনও একটি সভায় নিজের ভাষণে রাহুল গান্ধী বলেন যে, 'সব চোরেদের নাম কেন মোদী মোদী মোদী?' আক্রমণের কেন্দ্রে কে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে কি? এর আগেও গান্ধী পরিবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তি আক্রমণ করেছে। 'চৌকিদার চোর হ্যায়' স্লোগান তুলে হাওয়া গরম করতে চেয়েছেন রাহুল গান্ধী। একইভাবে সোনিয়া গান্ধী 'মৌত কি সওদাগর' বলে খোঁচা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। এটা কি পরোক্ষে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ নয়? প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি শিবির।
যদিও এই আক্রমণে হিতে বিপরীত হয়েছিল। বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি। মাঝখান থেকে ২০১৯-র ভোটে আমেঠি থেকে রাহুল হেরে যান। সকলেই বলেছিল, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ রাহুলের ভুল ছিল। কিন্তু ২০১৯-র করা মন্তব্যে এবার ফ্যাসাদে সোনিয়া-তনয়। মানহানির মামলায় তাঁকে অপরাধী সাব্যস্ত করে জেলের সাজা শুনিয়েছে আদালত। যদিও এক মাসের জন্য এই সাজা কার্যকর না করার নির্দেশ রয়েছে।
কিন্তু সংশোধিত জনপ্রতিনিধিত্ব আইন তাঁর বিপরীতে গিয়েছে। দু'বছরের জন্য জেলের সাজা মাথার উপর খাঁড়ার মতো ঝোলায় খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। এমনই বিজ্ঞপ্তি শুক্রবার জারি করেছে লোকসভার সচিবালয়। এই সংশোধিত জন প্রতিনিধিত্ব আইন নিয়ে এই রাহুলই এক দশক আগে সরব হয়েছিলেন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাঁর অর্ডিন্যান্সের পেপার ছিঁড়ে ফেলার দৃশ্য এখনও অনেকের মনে সজাগ।
তবে আলোচনা প্রবল, আইনি পথে হেঁটে সংসদের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত কি রাহুলের পক্ষে যাবে? মোদী সরকারের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে কাজে লাগিয়ে কি পালের হাওয়া নিজের দিকে টানতে পারবেন সোনিয়া তনয়। কারণ এই মুহূর্তে আদানি-কাণ্ডে সংসদে জেপিসি চেয়ে এককাট্টা বিজেপি-বিরোধী শিবির। নেতৃত্বে কংগ্রেস। পর্যবেক্ষকরা বলছেন রাহুলে উদ্যোগে হওয়া ভারত জোড়ো আন্দোলন কিছুটা হলেও কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ বন্ধ করেছে। এই আবহে আইনি মতে রাহুলের সাংসদপদ খারিজকে রাজনৈতিকরন করতে পারবে হাত শিবির? খারগে, থারুর, জয়রাম রমেশরা শুনতে পাচ্ছেন?
যদিও একটি অংশ দাবি করছে, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজে 'জাতীয় হিরো' হয়ে যেতে পারেন সোনিয়া তনয়। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের প্রবল বিরোধী আপ পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাহুলের পাশে। প্রতিবাদ এসেছে প্রায় প্রতিটি বিরোধী দলের থেকে বাকি মমতা। তিনিও কি মূল স্রোতের বাইরে থাকবেন? অন্তত একটা ট্যুইট করে গান্ধী পরিবারের পাশে থাকবেন?
বাতিল করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সদস্য পদ। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে লোকসভার সচিবালয় কর্তৃক। লোকসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, গুজরাটের সুরাট আদালতে একটি মানহানির মামলায় ২ বছরের সাজা হয় রাহুলের। ভারতের লোকসভার সদস্যদের জন্য করা নিয়ম অনুযায়ী, ২ বছরের সাজা হলে তাঁকে সদস্য পদে আর রাখা যাবে না, সেই নিয়ম বলবৎ করে রাহুলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে লোকসভার সচিবালয় সূত্রে।
প্রসঙ্গত, মোদী বিরোধী একটি মন্তব্য করেছিলেন রাহুল, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাহুল বলেছিলেন, ' সব চোরই কি মোদী হয়, মোদী, মোদী ,মোদী, 'এর পেক্ষিতে ২০১৯ সালে গুজরাটে সুরাট আদালতে মানহানির মামলা হয় রাহুলের বিরুদ্ধে, বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায়ে সুরাট আদালত তাকে দুই বছরের সাজা শোনায়। এরপরেই আজ, শুক্রবার লোকসভার সচিবালয় কর্তৃক তাঁর সদস্য পদ বাতিল করা হয়। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কেরলের ওয়েনাড কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে দোষী সাব্যস্ত কংগ্রেস নেতা রাহুল (Rahul Gandhi) গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করল গুজরাতের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার সুরাত দায়রা আদালত ২০১৯ সালের ওই মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে রাহুলকে। দু’বছরের জেলের সাজা হলেও আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। জানা গিয়েছে, আগামি চার সপ্তাহ তাঁর গ্রেফতারি কার্যকর না করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা হলে সাংসদ-বিধায়কদের পদ খারিজ হতে পারে। ফলে রাহুলের সে আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বিচারক এইচএইচ বর্মার এজলাসে সাজা কমানোর আবেদন জানিয়েছেন রাহুলের আইনজীবী কিরীট পানওয়ালা। তাঁর মক্কেলের মন্তব্যে কারও ক্ষতি হয়নি বলে আদালতে দাবি করেছেন তিনি। জেলা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন করার জন্য রাহুলকে ৩০ দিন সময় দেন বিচারক বর্মা।
রবিবার সকাল সকাল জাতীয় কংগ্রেস (CONGRESS) নেতা রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) বাড়তে হানা দিল্লি পুলিসের (Delhi Police)। দিল্লি পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির স্পেশাল সিপি (আইনশৃঙ্খলা)-র নেতৃত্বে দিল্লি পুলিসের একটি দল রবিবার রাজধানীতে রাহুলের বাসভবনে পৌঁছে যায়।
দিল্লি পুলিস সূত্রে আরও খবর, ভারত জোড়ো যাত্রায় একটি ভাষণ দেওয়ার সময় যৌন হেনস্থায় শিকার হওয়া নারীদের নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধি। সেই সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধির বাসভবনে পৌঁছল দিল্লি পুলিস। রাহুল নিজের ভাষণে যে অভিযোগ করেছিলেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে এর আগেও কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ পাঠিয়েছিল দিল্লি পুলিস। তবে সেই নোটিশে সাড়া দেননি রাহুল। এই আবহে এই মামলায় রাহুলের থেকে তথ্য পেতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছেছে দিল্লি পুলিসের দল।
মেঘালয়ে ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে ভোটে লড়ছে তৃণমূল। সরাসরি এই অভিযোগ তোলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। এমনকি গোয়া ভোটে বিপুল অর্থ খরচ করে বিজেপিকে (BJP) সাহায্য করেছিল টিএমসি। মেঘালয়ে (Meghalaya Vote 2023) সেই কৌশল নিয়েছে বাংলার শাসক দল বলে বুধবার তোপ দাগেন রাহুল।
.@INCIndia has failed to resist @BJP4India. Thr irrelevance, incompetence & insecurity has put them in a state of delirium.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) February 22, 2023
I urge @RahulGandhi to revisit thr politics of vanity instead of attacking us. Our growth isn’t driven by money, it is people’s love that propels us. (1/2)
পাশাপাশি বাংলায় হিংসা এবং দুর্নীতির দায়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে বিদ্ধ করেছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। যদিও কংগ্রেস সাংসদকে পাল্টা বিঁধতে ছাড়েননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একগুচ্ছ ট্যুইট করেন। তিনি রাহুল গান্ধীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, 'কংগ্রেস বিজেপিকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিকতা এবং অযোগ্যতায় তাঁরা পাগলের প্রলাপ বকছেন। আমাদের আক্রমণ করার পরিবর্তে অহঙ্কারের রাজনীতি ছাড়ুক কংগ্রেস।'
আমরা অর্থ দিয়ে নয়, মানুষের ভালবাসা দিয়ে পরিচালিত। এভাবেই কংগ্রেস সাংসদকে পাল্টা কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্যক্তিগত সফরে কাশ্মীরে এসেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শীত বিদায়ের আগে নতুন করে বরফ কাশ্মীরের গুলমার্গে। শৈলশহরে পর্যটক সমাগমও বেড়েছে। দিল্লির অলিন্দ ছেড়ে ভূস্বর্গে (Kashmir Tour)চলে এসেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিও। গুলমার্গে কংগ্রেস সাংসদের এই মুহূর্তের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ফারহাত নায়েক নামে এক ব্যক্তি। ওই টুইটে লেখা, 'ভারত জোড়ো (Bharat Jodo Yatra) যাত্রার সাফল্যর পরে রাহুলজি গুলমার্গে সুন্দর ছুটি কাটাচ্ছেন।'
ভিডিওয় লেখা, রাহুল স্কিয়ের মাধ্যমে বরফের ঢাল বেয়ে নীচে নামছেন এবং দু’হাতে লাঠি ধরে আবার উপরে উঠছেন। দূরে দাঁড়িয়ে তাঁকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন এক প্রশিক্ষক। যদিও তাঁর এই কাশ্মীর সফরের কথা ঘুণাক্ষরে জানতে পারেনি কেউ।
As a reward, Rahul Ji treating himself to a perfect vacation in Gulmarg after successful #BharatJodoYatra.#RahulGandhi@RahulGandhi pic.twitter.com/DDHCDluwCC
— Farhat Naik (@Farhat_naik_) February 15, 2023
এই প্রসঙ্গে কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির তরফে বলা হয়েছে, এটা একান্তই রাহুলের ব্যক্তিগত সফর। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। উপত্যকায় একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে পারেন কংগ্রেস সাংসদ।
বাজেট অধিবেশনের (Budget Seesion) প্রথম দিন থেকেই আদানি ইস্যুতে (Adani Row) উত্তাল সংসদ। বিতর্ক এবং আলোচনার পরিসর চেয়ে আন্দোলন করছে সরকার-বিরোধী দলগুলো। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শিল্পপতি গৌতম আদানির ছবি তুলে ধরে সংসদে সুর চড়ান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর প্রশ্ন, 'কীভাবে সব ব্যবসাতে ঢুকে পড়ছে আদানি গোষ্ঠী? প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আদানিদের সম্পর্ক ঠিক কী?' রাহুলের দাবি, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন যেখানেই তিনি গিয়েছেন, সর্বত্র একটিই নাম শুনেছেন— আদানি, আদানি এবং আদানি।'
মঙ্গলবার লোকসভায় বলতে উঠে রাহুল বলেন, 'তামিলনাড়ু থেকে কেরল, কেরল থেকে হিমাচল প্রদেশ, আমরা একটাই নাম শুনে এসেছি। মানুষ আমার কাছে জানতে চাইছেন, কীভাবে প্রতিটি ব্যবসায় আদানিরা ঢুকে যান এবং প্রতি ব্যবসায় ওই শিল্পগোষ্ঠী সফল হয়েছে!'
এদিন রাহুলের বক্তব্যের মধ্যেই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে বিরোধিতার সুর ওঠে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর মন্তব্য, 'শুধুমাত্র বড় অভিযোগ করলেই হয় না। সেই অভিযোগের উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে হয়।' দু'পক্ষের এই বাদানুবাদে বাজেট অধিবেশনের পঞ্চম দিনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ।
চর্চিত বান্ধবী আথিয়া শেট্টির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন ভারতীয় ক্রিকেটার কেএল রাহুল (Rahul weds Athiya)। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বৃত্তকে সাক্ষী রেখে চার হাত এক হয়েছে এই যুগলের। বিয়ের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সুনীল শেট্টি (Suniel Shetty)। তাঁদের মিষ্টিমুখ করিয়ে সুনীল আন্না জানান, 'এতদিনে আইনি মতে শ্বশুর হলাম।' তাঁর সঙ্গে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে ছেলে অহন শেট্টিকেও। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কাকপক্ষী যাতে বিয়ের মণ্ডপে প্রবেশ করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল সুনীল শেট্টির খান্দালার ফার্ম হাউসে (Khandala Farm House)।
তাও যুগলের বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে চলে আসে। দেখা গিয়েছে, হালকা গোলাপি শেরওয়ানিতে কেএল রাহুল। উল্টো দিকে আইভরি লেহঙ্গায় পাত্রী আথিয়া। সুনীল জানান, 'অসাধারণ অনুষ্ঠান হল, কিন্তু ছোট করে। শুধু মাত্র পারিবারিক বৃত্তে।' জানা গিয়েছে, দিনকয়েক বাদে বড় করে রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছে। যদিও এদিন বিয়েতে সুনীল ঘনিষ্ঠ একাধিক বলিউড তারকাকে খান্ডালার ফার্ম হাউসে দেখা গিয়েছে।
ক্রিকেট আর বলি (Bollywood) দুনিয়ার মধ্যে একটা সম্পর্ক বরাবর রয়েছে। প্রেম থেকে বিয়ে তা আর নতুন কিছু নয়। এর আগের বিরাট এবং অনুষ্কা সাতপাকে আবদ্ধ হয়েছেন। এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন বলিউড অভিনেত্রী আথিয়া শেট্টি (Athiya shetty) ও ভারতীয় উইকেটপিপার কেএল রাহুলের (KL Rahul)। বিয়ের তারিখ নিয়ে জোর চর্চা চলছিল। অবশেষে জানা গেল ২৩ জানুয়ারি চার হাত এক হচ্ছে তাঁদের। রবিবার ছিল মেহেন্দি অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যেই সামনে এল তাঁদের বিয়ের মণ্ডপের ছবি। আলোয় সেজে উঠেছে চারপাশ।
সুনীল শেট্টির খান্ডালার খামারবাড়িতে বসেছে বিয়ের আসর। নিরাপত্তার স্বার্থে এখনও অবধি গোপ্ন রাখা হয়েছে সবটাই। তবে আলোকচিত্রীদের ক্যামেরা বন্দি হল শনিবার রাতে আলো ঝলমল বিয়েবাড়ির ছবি। চোখ ধাঁধানো হলুদ আলোর সঙ্গে সোনালি শামিয়ানা। তার উপর ফুলে ফুলে ঢেকেছে গোটা বিয়ের মণ্ডপ। যদিও দূর থেকেই তোলা সব ছবি।
গত চার বছর ধরে চুটিয়ে প্রেম করছেন এই জুটি। যদিও কখনও প্রকাশ্যে আনেননি সে কথা। বিয়ের প্রস্তুতি শেষ। ইতিমধ্যে বিয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানও শুরু হয়ে গিয়েছে। অথচ, দুই তারকার পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের বিষয়ে মুখে কার্যত কুলুপ আঁটা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুই তারকার পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুর উপস্থিতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবে তাঁরা।