এতদিন তো শুনেছেন ভিন রাজনৈতিক মতাদর্শী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি (Bombshell), কখনও ভিন রাজনৈতিক (Politics) মতাদর্শী বাবা আর ছেলের মধ্যে বোমাবাজি দেখেছেন? বিস্মিত হয়ে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলো মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের ওই এলাকাবাসী। সূত্রের খবর, ছেলে তৃণমূল নেতা। বাবা আবার কংগ্রেসের কট্টর সমর্থক। সেই ‘পিতা-পুত্রের’ ঝামেলায় বোমাবাজি। শনিবার রাতে বাবা-ছেলের মারামারিতে আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। বোমা বিস্ফোরণে এলাকা ভরল ধোঁয়ায়, উড়ে গেল বাড়ির টিনের চাল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রানিনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল যুব সভাপতি আনসার আলি শেখ। তাঁর স্ত্রী শেফালি শেখ আবার পঞ্চায়েত প্রধান। গত পঞ্চায়েত ভোট থেকে গোটা পরিবারই শাসক দলের সমর্থক। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় থেকে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করেছেন আনসারের বাবা জহিরউদ্দিন শেখ। তিনি কংগ্রেসের সমর্থক। এখন এই রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে পারিবারিক বিবাদ চরমে উঠেছে। শনিবার গভীর রাত থেকে বোমাবাজি শুরু হয় জহিরউদ্দিন এবং আনসারের বাড়িতে। মুহুর্মুহু বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বাবা-ছেলের রাজনৈতিক ঝগড়ায় বোমাবাজি হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর স্বামী গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন বাবার উপর। ছেলে আনসারের অভিযোগ, বাবা তাঁকে খুন করতে চান। তাঁর কথায়, ‘আমি তৃণমূল করি। এই আক্রোশে বাবা আমাকে মেরে ফেলতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার মূলচক্রী আমার বাবা। আমাকে সরিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের হয়ে এলাকা দখল করতে চাইছে।’ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওটা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে, জহিরউদ্দিন বলেন, ‘খুন-জখমের রাজনীতি তৃণমূলের সংস্কৃতি হতে পারে, কংগ্রেসের নয়।’ বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রানিনগর থানার পুলিস বাহিনী। রবিবার পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির কাছে পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। যদিও কারও আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর মেলেনি।
পাঁচ বছর ধরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরের হাতিনগর অঞ্চলে এলাকার দীর্ঘ দুই কিলোমিটার রাস্তায় বেহাল (Road Problem) অবস্থা। অভিযোগ, পথশ্রী প্রকল্প চালু হলেও সেখানে নাম আসেনি হাতিনগর অঞ্চল এলাকার। স্থানীয়দের একটাই দাবি রাস্তার বেহাল অবস্থা ঠিক করতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষাকালে রাস্তায় এত পরিমাণ জল জমে যায় যে, স্কুলপড়ুয়ারা (School Students) ওই রাস্তা দিয়ে স্কুল যাওয়ার পথে জল-কাদা মেখে আবার বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়। এমনকি রাস্তা দিয়ে কোনো গাড়ি গেলেই রাস্তার আশেপাশের বাড়িগুলিতে ধুলোবালি ঢুকে যায়। হাতিনগর অঞ্চলের এই রাস্তার উপর নির্ভর করে রয়েছে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল। যার কারণে এলাকাবাসীরা প্রতিনিয়ত সমস্য়ার সম্মুখীন হচ্ছে।
অভিযোগ, বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সমস্য়ার সমাধান মেলেনি। স্কুল কলেজ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র এই রাস্তার উপর দিয়ে যেতে হয়। আশেপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে। মালপত্র আনতে নিতে অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। বর্ষাকালে একহাঁটু পর্যন্ত জল জমে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এই এলাকার উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রাস্তা। কবে ঠিক হবে রাস্তা সেই অপেক্ষায় রয়েছে এলাকাবাসী।
অবৈধ চোলাই মদের (Alcohol) ভাটি চালানোর অপরাধে গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত। বহরমপুরের (Baharampur) এই ঘটনায় ধৃত ৩। বুধবার বহরমপুর অবগারি দফতরের অফিসার বিশ্বজিৎ মণ্ডল জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বহরমপুর থানার কাঠালিয়া এলাকায় অবৈধ চোলাই মদের ভাটিতে তল্লাশি চালায় পুলিস। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৮০-৯০ লিটার চোলাই মদ এবং ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার চোলাই মদ তৈরির কাঁচা মাল ও সরঞ্জাম। ঘটনায় যুক্ত ধৃতদেরর নাম বিনয় দলুই, বাপন দলুই ও সন্তোষ দলুই। ঘটনাস্থল থেকে ওই ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, চোলাই মদের কারবারে যুক্ত ধৃতরা অনেকদিন আগে থেকেই এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস চোলাই মদের ভাটিতে গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে।
রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। রবিবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার, নবগ্রাম থানার অন্তর্গত কল্যাণগঞ্জ গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নবগ্রাম থানার (Nabagram Police) পুলিস। পুলিস এসে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহটিকে উদ্ধার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ওই মৃতের নাম মধুসূদন বিশ্বাস (২৮)। দেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে পুলিস। জানা গিয়েছে, তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম থানার কল্যাণগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।
এই ঘটনায় মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সকালে তাঁকে বাড়ির ঠাকুর ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজন। পরিবারের দাবি, মধুসূদন খুবই মদ্যপান করত। যার ফলে চারিদিকে প্রচুর ঋন করে হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তাছাড়া স্থানীয়দের দাবি, এই মদ্যপানকে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রত্যেকদিন খুব অশান্তিও হত। তাই ঋন পরিশোধ করতে না পারায় ও পারিবারিক অশান্তির জেরেই, আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি পরিবারের। পরিবারের দাবি, পুলিস ও স্থানীয়দের তৎপরতায় তাঁকে নবগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্মরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শুক্রবার মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার (Road Accident) সাক্ষী থাকল রানীনগরের (Raninagar) শেখপাড়া। লরির ধাক্কায় মাথায় গুরুতর ভাবে জখম হন এক বাইক আরোহী। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানীনগর থানার শেখপাড়া বাজারের একটি মোটর বাইক শোরুমের সামনে। যদিও পরে হাসপাতালে মৃত্যু (Death) হয় ওই ব্যক্তির।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মোটরসাইকেলে রানীনগর থেকে শেখপাড়ার দিকে আসছিলেন একটি প্যাথলজি ল্যাবের মালিক আব্দুল হাই ওরফে সাহেব। সকাল ৮.০৫ নাগাদ শেখপাড়া হোন্ডা শোরুমের সামনে দু'জন সাইকেল আরোহীকে ওভারটেক করতে গেলে পিছন দিক থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা একটি লরির চাকার নীচে পড়ে যান। মাথায় হেলমেট থাকলেও গুরুতর ভাবে মাথা ও ঘাড়ে চোট পান ওই বাইক আরোহী।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় মানুষ এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রথমে গোধনপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠান। শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতলে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানীনগর থানার পুলিস।
বুধবার হঠাৎই ইদের জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি (price increase)। তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রুখতে এবার পথে নামল রাণীনগর পুলিস প্রশাসন ও রাণীনগর ব্লক প্রশাসন। জানা গিয়েছে, এদিন রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক পার্থ চক্রবর্তী হঠাৎই রাণীনগরের শেখপাড়া বাজারে আসেন। তাঁরা বিভিন্ন সবজি, মাছের বাজার ও খুচরো দ্রব্যের দোকানে যান। দোকানে গিয়ে সব কিছুর দাম জিজ্ঞাসা করেন। দোকানের বিক্রতাদের সব সামগ্রীর একটি রেট চার্ট (Rate Chart) ঝোলানোর দাবীও করেন আধিকারিকগণ।
জানা গিয়েছে, মূলত রমজান মাস এলেই কিছু কালোবাজারি ব্যাবসায়ীরা জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেন। যাঁর ফলে প্রত্যেকবারের ইদের সময় সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ ক্রেতাদের। বিক্রেতাদের এই অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি রুখতেই এমন উদ্যোগ, জানান আধিকারিকরা।
এই ঘটনায় ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজান মাসের আগেই সমস্ত কিছুর দাম কম ছিল। যেদিন থেকে রোজা শুরু হয়েছে ঠিক সেইদিন থেকে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তাঁদের দাবি, প্রত্যেক বছর ঠিক একই ঘটনা ঘটে।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, রোজার আগে এবং রোজা চলাকালীন জিনিসপত্রের দামের অনেক হেরফের হয়েছে। তাই পুলিস প্রশাসন থেকে বাজার ঘুরে দেখার কাজ চলছে। তবে বাজারে এসে দেখা গিয়েছে এক এক জনকে এক এক রকমের দাম বলা হচ্ছে। তাই এদিন বিকেলেই সব বিক্রেতা ও বাজার কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটা বৈঠক করে রেট চার্টের মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন (Murder)। পেটে ও পিঠে ছুরি মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামসেরগঞ্জ থানার শেরপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিস (Samsherganj Police)। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামী শাহ আলমকে আটক করেছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিস। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার শেরপুর গ্রামে। মৃত ওই গৃহবধূর নাম মোসলেমা খাতুন (১৯)। বছর খানেক আগেই ব্যাঙডুবি গ্রামের শাহ আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। শাহ আলম পেশায় একজন কসাই।
গৃহবধূর বাবার অভিযোগ, সম্প্রতি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হত। যদিও সংসার ঠিকভাবেই চলছিলো তাঁদের। রবিবার দুপুরে শ্বশুর বাড়িতে আসে স্বামী শাহ আলম। সেই সময়ই বাড়ির বাইরে বিড়ি বাঁধছিলো তাঁর মেয়ে মোসলেমা। অভিযোগ, হঠাৎই পিছন থেকে তাঁর মেয়ের পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে জামাই শাহ আলম। চিৎকার চেঁচামেচি হওয়ায় পালানোর চেষ্টা করে জামাই। তবে শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যায় শাহ আলম। তারপরই পুলিসে খবর দেওয়া হয়।
গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) এক পোস্ট মাষ্টার। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়া থানার প্রতাপপুর এলাকায়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পোস্টমাস্টারের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ (Agitation) পোস্ট অফিস গ্রাহকদের। ঘটনাস্থলে হরিহরপাড়া থানার পুলিস এসে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে।
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী পোস্ট মাস্টারের নাম প্রদ্যুত তিওয়ারি। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার প্রতাপপুর সাব পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার হিসাবে তিনি কর্মরত ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে পোস্ট অফিসেই ঝুলন্ত দেহটি পাওয়া যায়। তখনই এলাকার গ্রাহকেরা ভিড় করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারপরই ঘটনাস্থলে পুলিস আসে। যদিও পোস্টমাস্টারের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চলে। দাবি, যতক্ষণ না টাকা ফেরত দেওয়া হবে, ততক্ষণ মৃতদেহ পড়ে থাকবে বাড়িতে।
পোস্ট অফিসের এক গ্রাহকের অভিযোগ, সাত বছর ধরে ঘুরছি কিন্তু ম্যাচিওরিটির টাকা এখনও পাইনি। দশ হাজার টাকা রেখে সুদ সহ আমার একুশ হাজারের বেশি টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু তাও সে টাকা হাতে পাইনি।
ডাক্তারের দেখা নেই। রোগীদের ভরসা সেই ফার্মাসিস্ট। অর্থাত্ অসুখ জানাতেই কোনও প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ দিচ্ছেন ফর্মাসিস্টরা (Pharmacist)। ছবিটা মুর্শিদাবাদ জেলার (Murshidabad) কান্দি ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। কোথায় গেলেন ডাক্তাররা? কেনই বা ফার্মাসিস্ট ওষুধ দিচ্ছেন? প্রশ্ন করতেই বেজায় চটে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। সংবাদমধ্যমের ক্যামেরায় হাত দিয়ে বাধা দেওয়া হয় খবর সংগ্রহে।
ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে আসা রোগীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অভিযোগ, নিজেদের খেয়াল খুশিতেই হাসপাতালে আসেন ডাক্তাররা। অগত্যা ভরসা ফার্মাসিস্ট। এমনকি কিছু কিছু রোগীরা অন্য হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান।
তবে এই বিষয়ে একজন ফার্মাসিস্ট জানান, হাসপাতালের দুটি ডাক্তারের মধ্যে একজন ট্রেনিং-এ গিয়েছেন এবং অপরজনের শরীর অসুস্থ। স্থানীয়দের অভিযোগকে অস্বীকার করে তিনি বলেন, এখন প্রতিদিনই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেওয়ার বিষয়টি তুলতেই তিনি জানান, ডাক্তার তো নেই তাই দিতে হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হবে, জানান কান্দি ব্লকের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক রাজেশ সাহা।
শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়েও সরকারের গা ঢিলেমি মনোভাব। গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির দিকে নজর দিচ্ছে না সরকার। কোথাও ভগ্নদশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তো কোথাও দেখা নেই চিকিত্সকের। এমন অভিযোগে সরব রাজ্যের বিরোধী দলগুলো।
এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বধূকে (Higher Secondary Student) পরীক্ষা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। ঘটনার জেরে পুলিস (Police) প্রশাসনের দ্বারস্থ ওই পরীক্ষার্থী। পরে পুলিস সেই পরীক্ষার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড(Admit Card) ও ব্যাগ-সহ নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলের পরীক্ষা সেন্টারে পৌঁছে দেয়।
জানা গিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর নাম সুলতানা খাতুন। ফরাক্কা ব্লকের তিলডাঙ্গার বাসিন্দা তিনি। এক বছর আগে বিয়ে হয় ফরাক্কার বিন্দুগ্রামে। তরুণীর অভিযোগ, 'উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে দেবে না শ্বশুরবাড়ির লোক। তাই বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী, শ্বশুর-সহ অন্যরা তাঁকে বাড়িতেই তালাবন্দি করে রাখেন। এমনকি তাঁর অ্যাডমিট কার্ড-সহ সব নথি জঙ্গলে ফেলে দেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সেই সময়ই সুলতানা খাতুন শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে ফরাক্কা থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন।'
উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর বাবা বলেন, 'মেয়ের পড়ার খুবই ইচ্ছা। বুধবার একটা পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার জামাই ও শ্বশুর সুলতানাকে পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে বাড়িতে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন। সুলতানা শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে থানায় গিয়ে পুলিসকে সব বলে। পরে পুলিসই মেয়ের অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করে তাঁকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়।'
এই বিষয়ে ফারাক্কা থানার আইসি বলেন, 'সরকারি সব সাহায্যই মেয়েটি পেয়েছেন। আমরা ওর পাশে থাকব। আমরা খুশি মেয়েটিকে নিয়ে আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠাতে সফল হয়েছি। মেয়েটির স্কুল ইউনিফর্ম, ব্যাগ, অ্যাডমিট সব নিয়ে চলে গিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোক। পরে আমরা মেয়েটিকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গেলে বাড়ির বাইরে তালাবন্ধ দেখি। তারপর অনেক খোঁজাখুজি করতে জঙ্গলের মধ্যে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখি। ব্যাগের মধ্যে থেকে আমরা মেয়েটির অ্যাডমিট কার্ড পাই। কিন্তু স্কুলের ইউনিফর্ম উদ্ধার করতে পরিনি। পরে পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষককে অনুরোধ জানালে তিনি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সম্মতি দেন।'
লোকজনের রোগ ভালো করে দেওয়ার নাম করে সোনার গয়না হাতিয়ে(Fraud) পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে পেশায় তান্ত্রিক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) বড়ঞা থানার তালুঙা গ্রামে সেই তান্ত্রিক ঘর জামাই থাকতেন। এই প্রতারণার ঘটনায় তান্ত্রিক-সহ আরও দু'জনকে আটক করেছে বড়ঞা থানার(Police) পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই তান্ত্রিকের নাম জগন্নাথ কর্মকার। হুগলি জেলার রিষড়ার বাসিন্দা জগন্নাথ। বড়ঞার তালুঙা গ্রামের এক যুবতীর সঙ্গে তারাপীঠে ওই তান্ত্রিকের পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর একে অপরের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন তাঁরা, দু'জনে বিয়েও করে। বিয়ের পরই জগন্নাথ কর্মকার সোজা বড়ঞা তালুঙা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে এসে ওঠেন। আর ওখানেই ঘরজামাই হিসেবে থাকতে শুরু করেন।
পরিবারের দাবি, 'এরপরই শ্বশুরবাড়ির কিছু লোকজনের রোগ ভালো করে দেওয়ার নামে সোনার গয়না হাতিয়ে সোজা তারাপীঠের পুরনো আস্তানাতে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। ঘটনার কথা জানতে পেরেই মঙ্গলবার রাতে পরিবারের লোকজন তারাপীঠ থেকে ওই অভিযুক্তকে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেয়।'
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত-সহ দু'জনকে আটক করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত তান্ত্রিক তথা ঘরজামাই জগন্নাথ কর্মকার নিজে অপরাধ স্বীকার করেছেন।
ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ(Blast)। মাঠে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত(Death) এক, জখম তিন। মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) নওদা মধুপুর মাঠের ঘটনায় নওদা থানার(Nawda Police) পুলিস ঘটনাস্থলে। ঘটনায় আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে চিকিত্সাধীন একজনের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মজবুল শেখ। বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের নওদা মধুপুরের মাঠে বোমা বাঁধতে আসে কিছু দুষ্কৃতী। সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।
তবে এই বিষয়ে মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতা লালটু দাস বলেন, 'গোটা মুর্শিদাবাদ জেলা বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে। পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে সম্পূর্ণ বিরোধী দলের রাজনীতির অধিকারকে কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তাই এলাকা দখল করতে চাইছে শাসক দল। আর একটা এলাকা জোর করে দখল করতে গেলে বোম-কার্তুজ তো লাগেই। তাই রাতের অন্ধকারে তৈরি করা বোমার পরীক্ষা করা হচ্ছে।'
এভাবে বোমা উদ্ধার এবং বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। পঞ্চায়েত ভোট কতটা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন আম আদমি, এমনটাই স্থানীয় সূত্রে খবর।
ফের মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) এক কন্টেনার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার। জেলার সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়ূরাক্ষী নদীর বাঁধের পাশ থেকে উদ্ধার বোমা। তদন্তে বড়ঞা থানার পুলিস। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে ঘটনাস্থলে বোম স্কোয়াডও। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের লালবাগ থানার অন্তর্গত ডাঙাপাড়ার হাসানপুর রাজেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়েও তাজা সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কটতে না কাটতেই মুর্শিদাবাদে ফের বোমা উদ্ধার!
এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস মুখপত্র জয়ন্ত দাস বলেন, 'মুর্শিদাবাদ একটা বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে। যতই পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে, ততই শাসক দলের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প অর্থাৎ এই বোমা বাঁধা ও অস্ত্র তৈরির কাজ আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। এমনকি এই পঞ্চায়েত ভোটে কেউ টিকিট পাবে আবার কেউ পাবে না, এই টিকিট পাওয়াকে কেন্দ্র করেও একটা ভয়ঙ্কর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দুর্ভোগে পড়তে হবে গোটা মুর্শিদাবাদবাসীকে।'
এই বিষয়ে সিপিএম-র জেলা সভাপতি জামির মোল্লা বলেন, 'বেশ কয়েকমাস ধরেই মুর্শিদাবাদে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র ধরা পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কাজের জন্য কোনও কারখানা তৈরি করতে পারেনি কিন্তু বোমা-আগ্নেয়াস্ত্রের কারখানা তৈরি করতে পেরেছেন। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রেহাই পাচ্ছে না এই বোমার হাত থেকে। শাসক দল বিরোধীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। যাতে ২০১৮ সালের মতো কেউ ভয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে না দাঁড়ায়।'
এদিকে, এই ঘটনা দুষ্কৃতীদের কাজ বলে দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিস-প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি আয়ত্বে এনেছে বলে ধন্যবাদ জানিয়েছে শাসক দল।
স্কুলে সকেট বোমা উদ্ধার (Bomb recover in School)! মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগ থানার অন্তর্গত ডাঙাপাড়ার হাসানপুর রাজেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়ের ঘটনা। এখনও পর্যন্ত ২টি সকেট বোমা উদ্ধার করেছে বোম স্কোয়াড থেকে। ঘটনাস্থলে লালবাগ থানার পুলিস। ঘটনার জেরে আতঙ্কে ছাত্রছাত্রী-সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কুন্তল চৌধুরী জানান, 'আগামি কয়েক দিনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বিদ্যালয়ের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই কারণে স্কুল চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে কিছু শ্রমিক কাজ করে। স্কুলের বাগান পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি সকেট বোমা দেখে তাঁরা। এই অবস্থাতে ভয় পেয়ে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাকে জানায় তাঁরা। পরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলের পরিচালন কমিটিকে ডাকে।'
এমনকি স্কুল বন্ধ করে প্রশাসনকেও খবর দেয় তাঁরা। ঘটনাস্থলে লালবাগ থানার পুলিস এসে জায়গাটিকে ব্যারিকেড করে দেয়। পুলিস তদন্তে নেমে স্কুলের ছাদেও একটি বোমা পড়ে থাকতে দেখে। পরবর্তীতেই বোম স্কোয়াড এসে ওই দুটি বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে রাতের অন্ধকারে কে বোমা রেখেছে, কী উদ্দেশে রেখেছে তা জানি না। তিনি আরও জানান, 'এটা স্কুল কোনও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নয়, তাও কেন এমন ঘটনা ঘটল তার তদন্ত করছে পুলিস।'
বিজেপি নেতা লাল্টু দাস জানায়,'স্কুলের পরিচালন কমিটি এখন রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। যার জেরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ফলে স্কুলের গেটে কোনও সিকিওরিটি নেই। তাই স্কুলেও বোমের স্তূপ তৈরি হয়েছে।' মুর্শিদাবাদ জেলা সার্বিকভাবে বোমের কারখানা হয়ে উঠেছে। তাই যেখানে সেখানে বোম উদ্ধার হচ্ছে। স্কুলের কোনও নিরাপত্তা নেয়। এমনকি তিনি আরও জানান, 'প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন কাটমানির টাকা ভাগাভাগি করা হবে বলেই এই বোমা রাখা হয়েছে।' স্কুলের মধ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। তবে স্কুলের মধ্যে বোমা উদ্ধারে ঘটনায় বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক অভিভাবক।
প্রসূন গুপ্ত: পশ্চিমবঙ্গের মানুষের নজরে ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি উপনির্বাচনের দিকে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা এই আসনের বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুতে উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশনা। লড়াই তিন প্রধান দলের মধ্যেই। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে বিজেপির দিলীপ সাহা এবং সিপিএম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ বায়রন বিশ্বাস।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর পর্যবেক্ষণে ভোট হচ্ছে সঙ্গে বুথের বাইরে থেকেছে রাজ্য পুলিস। সাধারণত উপনির্বাচনে ভোট কম হয়ে থাকে। কিন্তু বেলা ১১-টার মধ্যেই ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। বেসরকারিভাবে জানা গিয়েছে, বেলা ১-টার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। সাগরদিঘির প্রায় ২৫ হাজার ভোটার কর্মসূত্রে রাজ্যর বাইরে, তাঁদের মধ্যে জানা গেল মাত্র ৫ হাজার ফিরেছে ভোট দিতে। এরা সবাই সংখ্যালঘু ভোটার।
এই কেন্দ্রে আড়াই লক্ষের মতো ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ শতাংশ সংখ্যালঘু অর্থাৎ এরাই এই কেন্দ্রের সংখ্যাগুরু। বাকি ৩২ শতাংশ হিন্দু ভোটার। শোনা যাচ্ছিল, হাড্ডাহাড্ডি ভোট হবে মূলত তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে। একটা সময়ে এই মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস ও বামেদের চারণভূমি ছিল। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা থেকে ভোটাররা তাদের মত-মন পাল্টিয়ে তৃণমূলকেই ভোট দিচ্ছে, ব্যতিক্রম অধীর চৌধুরী।
অধীর মুর্শিদাবাদের অবিসংবাদিত নেতা। কিন্তু সেই তিনি কিন্তু ২০২১-এ দলকে এই জেলা থেকে একটিও আসন দিতে পারেননি। আসন পায়নি বামেরাও। বিধানসভায় স্বাধীনতা উত্তরযুগে কংগ্রেস-বাম ব্যতিত কর্মসূচি শুরু হয়। এবার কিন্তু মরিয়া লড়াই দেওয়ার জন্য এই জোট এলাকার পর এলাকায় প্রচার করছে। এবার ভোট প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভোটই হচ্ছে।
একটু হৈ-চৈ ছাড়া এমন ভোট কোনদিকে হেলবে এখনও বোঝা মুশকিল। তবে বেলা দুটোতে কংগ্রেস প্রার্থী জানালেন তাঁকে নাকি কোনও বুথে গেলেই ঘেরাও করা হচ্ছে। অল্প অভিযোগ বিজেপিরও, তবে অনেকটাই রিলাক্স দেবাশিস। এবার অপেক্ষা ফলের।