নিবেদিতা মাইতি: 'যেরকম সাহায্য অরিজিৎ বাবু চাইবেন, সে সবরকম সাহায্য উনাকে করা হবে।' মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে বিখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের হাসপাতাল তৈরী প্রসঙ্গে সিএন-ডিজিটালকে এমনই জানালেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান। দেশের নয় শুধু, একার্থে গোটা বিশ্বের জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। তাঁর গানে মুদ্ধ দেশ ও বিদেশের সবাই। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও তাঁর গানে মুগ্ধ।
একটি রাজনৈতিক সভা থেকে সম্প্রতি মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'ওর গানেও দরদ, ওর মনেও দরদ।' সূত্রের খবর, বিশ্বখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিং জনক্যাণ স্বার্থে একটি হাসপাতাল (Hospital) তৈরি করতে চান বাংলায়। আর এই উদ্যোগের কথা তিনি পূর্বেই ভাগ করে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিৎ। তবে জঙ্গিপুরে দুঃস্থ মানুষদের জন্য নিজের খরচে একটি হাসপাতাল তৈরি করতে চান তিনি। আর গায়কের সেই ইচ্ছাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার একটি প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় অরিজিৎ সিংয়ের হাসপাতাল তৈরী প্রসঙ্গে সবরকম সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। এবং তার সাময়িক দায়িত্ব জঙ্গিপুরের সাংসদের উপর দেন।
বৃহস্পতিবারের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানকে ফোনে ধরে সিএন-ডিজিটাল। জঙ্গিপুরের সাংসদ স্পষ্ট জানালেন, 'অরিজিৎ সিং আমাদের গর্ব। এছাড়া আমরা খুব গর্বিত অরিজিৎ বাবুর এই উদ্যোগ নিয়ে। কারণ আমাদের এলাকার মানুষ আরও ভালো পরিষেবা পাবেন। যেটা সম্পূর্ণ আমাদের নেত্রী মমতা ব্যনার্জীর অনুপ্রেরণা। উনার উৎসাহে, উনার পরামর্শ ক্রমে অরিজিৎ বাবু জঙ্গিপুরে হাসাপাতল তৈরি করতে পারবেন। এমনকি জঙ্গিপুরের মানুষেরা ওই হাসপাতাল থেকে পরিষেবা পাবেন। তাই এটা আমাদের কাছে খুবই গর্বের বিষয়।'
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'গ্রামের ছেলে অরিজিৎ, গ্রামের জন্য কিছু করতে চায়। একটা হাসপাতাল তৈরি করতে চায় ও। জঙ্গিপুরে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছে। তা-ও অরিজিৎ হাসপাতাল তৈরি করলে মানুষের সুবিধাই হবে।' স্বাস্থ্যগত বিষয়ে রাজ্য সরকারের একটা কাঠামোগত পরিকল্পনা থাকেই। একেই জঙ্গিপুরে একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল আছে, এবার অরিজিৎ সিং হাসপাতাল তৈরী করলে তা কাঠামোগত ভাবে কিভাবে তৈরী হবে? সিএন-ডিজিটালের তরফে তা জানতে চাওয়া হয় সাংসদ খলিলুর রহমানের কাছে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমার এখনও অরিজিৎ বাবুর সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। তবে আমাদের জননেত্রীর সঙ্গে অরিজিৎ বাবু কথা বলে নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে পরে যখন অরিজিৎ বাবু বা উনার লোকের সঙ্গে কথা হবে তখন সবকিছু জেনে নেব। তবে একটি হাসপাতালে যে যে পরিষেবা প্রয়োজনীয় সেই সব কিছুই করা হবে।' এমনকি সাংসদ খলিলুর রহমান আরও বলেন, 'এই হাসপাতাল তৈরিতে প্রশাসনিক দিক থেকে যা যা সাহায্যের প্রয়োজন হবে, সেই সব সাহায্য করব। আমি উনাকে সব দিক থেকে সবরকমভাবে সাহায্য করব।'
আবারও পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Workers) মৃত্যু (Death)। মৃত্যুর ঘটনাটি (Murshidabad) ঘটেছে কেরলের (Kerala) ত্রিশূল জেলায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম রাজিবুল শেখ (৩১)। তিনি ডোমকল পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, গত তিনমাস আগে কেরলে কাজ করতে যান রাজিবুল শেখ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজিবুল শেখ কেরলে ঢালাই ভাঙ্গার কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে কেরলে থাকাকালীনই কাজ করতে যাওয়ার সময় রেলকলাইন পারাপার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় পড়ে যান তিনি। তখনই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় রাজিবুলের।
দুর্ঘটনার খবর বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাড়ির লোকজন। এমনকি শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা গ্রামে। কেরল থেকে কবে ফিরবে রাজিবুলের নিথর দেহ, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে পরিবার সহ গোটা গ্রামবাসী।
বাড়ির মধ্যে থেকে এক গৃহবধূর (Death) অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার। মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে লালগোলা থানার পুলিস (Police)। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালগোলার ফতেপুর এলাকায়। ঘটনার জেরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকাবাসীরা। ঘটনাস্থলে আসেন ভগবানগোলা এসডিপিও সমীর আহমেদ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে এসডিপিও মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া ঘরটিকে পর্যবেক্ষণ করেন। জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম রেজিনা বিবি।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূ দ্বিতীয় স্বামী ফারুক আহমেদের সঙ্গেই বসবাস করত এই বাড়িতে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর পরিবারের লোকজন ওই ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করে। তবে সেই সময় দরজা ভিতর থেকে লাগানো অবস্থায় থাকে। তারপরে জোর করে দরজা খুলতেই ঘরের মধ্যে খাটের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূর এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম পক্ষের দুটি ছেলেমেয়েও রয়েছে তাঁর। তবে প্রথম পক্ষের সঙ্গে থাকাকালীনই ওই গৃহবধূ লস্কর পুর হাই স্কুলের এক শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তারপর থেকে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক হয়ে পড়ে। তাঁকে বিয়ে করার জন্য প্রথম পক্ষের স্বামীকে নানা ধরনের ভয়ও দেখাতেন ওই গৃহবধূ। এমনকি প্রথম পক্ষের সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্যে তিনি একবার কীটনাশক খাওয়ারও ভয় দেখিয়েছিলেন। তারপরই প্রথম পক্ষের স্বামী তাঁর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে বলে, স্থানীয়রা জানান। তবে হঠাৎ কী কারণে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হল তা জানা যায়নি, দাবি স্থানীয়দের।
প্রসূন গুপ্তঃ বুধবার ট্রেনে উঠে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছলেন মালদহে। পথে যেখানে গাড়ি দাঁড়িয়েছে সেখানেই তিনি ট্রেনের কামরার সামনে এসে স্টেশনের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এবারের সফর সঙ্গী ববি হাকিম। বর্ধমানে গাড়ি দাঁড়ালে তিনি অনেক্ষণ বাক্যালাপ চালান নানান মানুষের সঙ্গে এবং তাদের অনুরোধ নোট করতে বলেন সহকারীদের। মূলত মালদহ এবং লাগোয়া মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক বৈঠক করার জন্যই তিনি মালদহকে বেছে নিয়েছেন। তাঁর চিরায়ত ভঙ্গিতেই বৈঠক করলেন অর্থাৎ বিভিন্ন বিধায়ক থেকে পুরপ্রধান সহ জেলা দুটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কথা শুনলেন তাঁদের এবং প্রয়োজনে উপদেশ ও বকুনিও উপস্থিত ছিল। তিনি অভিযোগের তীরে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় সরকার সহ বিজেপিকে। তিনি হতাশার সঙ্গে বললেন যে, ১০০০ কোটি টাকা খরচ করেও গঙ্গার ভাঙ্গন আটকানো যাচ্ছে না, এটি কেন্দ্রের গাফিলতি।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কয়েক মাস আগে এই মুর্শিদাবাদ জেলায় তাঁর বা তৃণমূলের হাতে থাকা সাগরদিঘি হাতছাড়া হয়েছে। কাজেই তিনি বুঝেছেন সংখ্যালঘু ভোটে কোথাও ভাঙ্গন ধরে থাকতে পারে। অবশ্য এটা বাস্তব যে, সংখ্যালঘু ভোট ভাগাভাগি হলে বিজেপির কোনও সুবিধা নেই, কিন্তু ফায়দা তুলে নিতে পারে কংগ্রেস-সিপিএম জোট। নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে, সিপিএমের প্রচার ইতিমধ্যে অনেকটাই ক্ষতি করেছে তৃণমূলের, যদিও তাতে বামেদের সুবিধা না হলেও সুবিধা পেয়েছে কংগ্রেস। তাই এবারে ববিকে সঙ্গী করে তাঁর এই দুই জেলায় সফর।
তিনি ভাষণে নানান কথার মধ্যে তিনটি বিষয়ে জোর দিয়েছেন। প্রথমত জানিয়েছেন, ফের নাকি দিল্লি এনআরসি আনার চেষ্টা করছে যা জীবন থাকতেও তিনি আসতে দেবেন না। দ্বিতীয়ত, কৃষির অবস্থা যাই হোক না কেন মালদহের আম দিয়ে এবারে তৈরি হবে এবং মিষ্টি যা সরকার নিজে তদারকি করে বাজারে আনবে। তৃতীয়ত, তৈরি হবে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে নতুন অত্যাধুনিক হাসপাতাল, যা করতে চাইছেন সংগীত শিল্পী অরিজিৎ সিং, তাঁকে সবরকম ভাবে সাহায্য করা হবে। এ ছাড়াও অন্য প্রসঙ্গ ছিল।
গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ (Body) উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জলঙ্গি ব্লকের ঘোষপাড়া অঞ্চলের ভুতগাড়ি এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় জলঙ্গি থানার (Jalangi Police) পুলিস। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা জলঙ্গিতে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম লাবলু মণ্ডল (৩৬)। জলঙ্গির ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বুধবার সকালেই তাঁকে এলাকার একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, লাবলু মণ্ডলকে খুন করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, মৃতর শরীরে অনেক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাই যে বা যারা তাঁকে খুন করেছে, তাদের যেন শাস্তি হয়, এমনটাই দাবি পরিবারের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে এক স্থানীয় এক ব্যক্তি লাবলু মণ্ডলকে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁকে অন্য কোথাও খুন করে এই এলাকায় ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে অভিযুক্তরা। তাঁদের দাবি, পুলিস যখন দেহটি উদ্ধার করে তখন ওই ব্যক্তির শরীরে অনেক ক্ষতচিহ্ন দেখা গিয়েছে।
তবে আদৌতে এটা আত্মহত্যা না খুন, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে জলঙ্গি থানার পুলিস।
বাজ (Lightning) পড়ে মৃত্যু (Death) হলো এক যুবকের। একইসঙ্গে আহত আরও তিন জন। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার লক্ষীনগরে। নদীর ধারে থাকাকালীনই এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা ওই চারজনকে সামশেরগঞ্জের অনুপনগর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালেই একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম সালাউদ্দিন শেখ(২১)। তিনি ফরাক্কা থানার মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এনায়েতনগর গ্রামের বাসিন্দা। মাস কয়েক আগেই বিয়ে হয়েছিল তাঁর।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে পাশের গ্রাম লক্ষীনগরের গঙ্গা নদীর ধারে এসেছিলেন ওই যুবক। সেসময় নদীতে থাকা একটি নৌকা ডাঙাতে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছিলেন আরো তিন যুবক। তাঁদের সহযোগিতা করতে ও নৌকা ডাঙ্গায় উঠিয়ে নিয়ে আসতে নদীর ধারে যায় যুবক সালাউদ্দিন শেখ। কার্যত তখনই শুরু হয় বজ্রবিদ্যুত্-সহ প্রবল বৃষ্টি। এমনকি সেখানেই তাঁদের উপর বাজ পড়ে। আর সেই বাজ পড়ার ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে নদীর পাড়েই জ্ঞান হারান ওই চারজন যুবক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁরা ওই চারজনকে নদীর ধারে জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে থাকতে দেখে সামশেরগঞ্জের অনুপনগর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই এক কর্তব্যরত চিকিত্সক সালাউদ্দিন শেখকে মৃত বলে ঘোষণা।
স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা(road accident)। আহত ১৫ জন শিশু সহ চালক। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর(murshidabad incident) এলাকার ঘটনা। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলের ছাত্র বোঝাই একটি ম্যাজিক গাড়ি সকালে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
সেই সময় বহরমপুরের আখের মিল এলাকার জাতীয় সড়কে উল্টোদিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ম্যজিক গাড়িটির। স্থানীয়দের তৎপরতায় সমস্ত ছাত্র এবং চালককে বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাচ্চাদের আই কার্ড দেখে শনাক্ত করে তাদের স্কুলে ও অভিভাবকদের খবর দেওয়া হলে তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছান।
সুত্রের খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চালক-সহ তিনজন ছাত্র গুরুতর আহত। পলাতক লরির চালক।
রমরমিয়ে চলছে মাটি পাচারের (Soil Smuggling) কাজ। এমনকি যাতায়াত করার পথ থেকেও মাটি তুলে নিচ্ছে মাফিয়ারা। নদীর পার হোক বা চাষের জমি মাটি মাফিয়াদের চোখ সব জায়গাতেই। আর মাটি তুলে নেওয়ার ফলে দিন দিন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বহুবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হলেও বন্ধ হচ্ছে না মাটি পাচারের কারবার৷ প্রকাশ্য দিবালোকে চাষের জমি থেকে ট্রাক্টর ভর্তি করে মাটি তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমনকি এলাকাবাসীরা মুখ খুললেই তাঁদের হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে।
ঠিক এমনই এক ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গেল যশোহরি (Murshidabad) আনুখা ২ নম্বর পঞ্চায়েতের অধীনে মাধুনিয়া সোনাজলের পাড় এলাকায় ধনুপুকুর চত্বরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন আগে ওই জায়গায় ছিল ক্যানেল। তারপর ১০০ দিনের কাজের আওতায় মাটি ফেলে তৈরি করা হয় রাস্তা। বর্তমানে সেই রাস্তার মাটিই ট্রাক্টরে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে মাটি পাচারকারীরা। ফলে রাস্তায় তৈরি হচ্ছে খাদ। যার ফলে যাতায়াতে অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এই বিষয়ে কান্দি কংগ্রেসের মুখপাত্র নরোত্তম সিংহ জানান, 'এটা তৃণমূলের যুগ। তাই এখন চাকরি চুরি হয়, বালি চুরি হয়, কয়লা নিয়ে কেলেঙ্কারি হয়, নেতাদের খাটের তলা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ও সোনা উদ্ধার হওয়া সহ মাটিও চুরি হয়।' তিনি আরও বলেন, 'স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বই জড়িত। আর তা সহজেই প্রমাণিত হবে। এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে চুরি, ডাকাতিতে তৃণমূলের হাত নেই। পুরো লুটপাটের রাজত্ব চলছে।'
এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার এই বিষয়েই সংগ্রাম করে গিয়েছেন। ফলে এখনও তিনি পুলিস প্রশাসনকে এই বিষয়ে সজাগ থাকতে বলেছেন। এমনকি প্রশাসনও সক্রিয় আছে ও সজাগ আছে। অতি শীঘ্রই তাঁরা ধরা পড়বে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে এইসব মাফিয়াদের বরদাস্ত করা হবে না।'
মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) বড়ঞায় সভা করতে যাওয়ার পথে বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) বাধা পুলিসের। ঘটনাস্থলে পুলিসের সঙ্গে একপশলা খণ্ডযুদ্ধ বিজেপি কর্মীদের। পুলিস সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আন্দি কালীবাড়ি থেকে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি অবধি একটি মিছিল করতে যাচ্ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণ সাহার পুকুর শুদ্ধিকরণ অভিযানে যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা।
অভিযোগ ওই মিছিল শুরু হওয়ার আগেই তাঁদেরকে আটকানোর চেষ্টা করে পুলিস, ধাক্কাধাক্কি করা হয় সুকান্ত অনুগামীদেরও। ওই মিছিল শুরুতে পুলিস তাঁকে বাধা দিলে পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের খন্ডযুদ্ধ বাঁধে। তাদের আরও অভিযোগ শান্তিপূর্ণভাবে ওই মিছিল শুরু করছিলেন বিজেপি কর্মীরা। হঠাৎ বিশাল পুলিস বাহিনী এসে বাধা দেয় এবং তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে বিজেপি কর্মীদের।
জল সেঁচের মজুরি (Wages) কে দেবে? জেসিবির (Jcb) টাকাই বা কে দেবে! জীবনকৃষ্ণের (Jibankeishna) মোবাইল উদ্ধারের তল্লাশি চালানোর সময়, ব্যবহৃত শ্রমিকদের মজুরি ও জেসিবির ভাড়া কে দেবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, জীবনকৃষ্ণের বাড়ির তল্লাশি চালানোর সময় ব্যবহৃত শ্রমিকদের মজুরি ও জেসিবির মোট ভাড়া প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। কিন্তু সেই টাকা এখন কে মেটাবে যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
চলতি মাসে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে, জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। ঘটনাচক্রে সিবিআই জেরার মুখে পড়ে অসুস্থতার নাম করে তাঁর দুটি মোবাইল পুকুরে ফেলে দেয় জীবনকৃষ্ণ সাহা। এরপরেই ওই মোবাইল খুঁজতে মরিয়া হয়ে ওঠে সিবিআই আধিকারিকরা। পুকুরের চারপাশ ভালো করে খোঁজার পর যখন মোবাইল উদ্ধার না হয়, তখন ওই পুকুরের জল সেঁচে মোবাইল উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। তাতে ব্যবহার করতে হয় স্থানীয় কিছু শ্রমিকদের এবং ব্যবহার করতে হয় সেঁচ মেশিনের কিন্তু অভিযোগ শ্রমিকদের মজুরি ও সেঁচে মেশিনের ভাড়া এখন অবধি মেটায়নি সিবিআই কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া সূত্রের আরও খবর, যখন পুকুরের জল সেঁচের পর শ্রমিক লাগিয়ে মোবাইল উদ্ধার করা যায়নি, তখন ওই মোবাইল উদ্ধারের জন্য কাজে লাগানো হয় জেসিবি। ওই মেশিনটি প্রায় ১০ ঘণ্টা কাজ করে, ওই জেসিবি মেশিন, যার ভাড়াও মেটানি সিবিআই কর্তৃপক্ষ এমনই অভিযোগ।
সূত্রের খবর মোবাইল খুঁজতে দু'দিনে ২৮ জন শ্রমিকের পারিশ্রমিক প্রায় চৌদ্দ হাজার টাকা। এছাড়া জেসিবির ভাড়া ছিল প্রায় ঘন্টা প্রতি দুই হাজার টাকা। সেঁচে মেশিন ও জেসিবি ১০ ঘন্টা করে কাজ করেছে। সবমিলিয়ে মোট খরচের পরিমাণ ৪৮ হাজার টাকা। এখন প্রশ্ন এই বকেয়া কে মেটাবে! তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার বিধায়ক (MLA) জীবন কৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারির পর, তাঁর ৮ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করলো সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে তাঁর পরিবারের ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পায় সিবিআই। তাঁর মধ্যে আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করলো সিবিআই।
তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা গ্রেফতারের পর, সিবিআইয়ের তদন্তে নাম উঠে এসেছে আরও বেশ কিছু বিধায়ক সহ তৃণমূল নেতার। তাঁদের সঙ্গে কিরকম যোগাযোগ ছিল এবং কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁর দ্বিতীয় মোবাইল উদ্ধার করার পর ফরেন্সসিক ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে, ওই মোবাইল ফোন থেকে সমস্ত তথ্য বার করার চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্রে খবর, তিনদিন তাঁর বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি, হার্ডডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। সেখান থেকে নিয়োগ-দুর্নীতির বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার করা গেছে বলে জানিয়েছে তাঁরা। এছাড়া সূত্রের আরও খবর, ওই নথিগুলো ঘেঁটে সিবিআই জানতে পেরেছে ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছে টাকা পৌঁছে দিত জীবন। এছাড়া জীবনের সঙ্গে আর কোন কোন প্রভাবশালী নেতা যোগাযোগ ছিল! সেটা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
মাছ (Fish) ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে মৃত (Death) এক, জখম পাঁচ জন। ঘটনাটি ঘটেছে সাগরপাড়া থানার খয়রামারী চাইপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, সোমবার খুব সকালে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি চলে ভোজালি এবং গুলি। ঝামেলার জেরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয় সুন্নত নাম এক ব্যক্তি। সুন্নত সেখকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। এছাড়াও জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। জখমদের বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে মুরসালীন সেখ খয়রামারী দামস বিলে মাছ ধরতে গিয়েছিল। সেই সময় সামেদ সেখ মুরসালিন সেখকে চুরি করে মাছ ধরার অপবাদ দেয়। মুরসালিন সেখকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সামেদ সেখের বিরুদ্ধে।
তখন থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। সেই সময় অবশ্য ঝামেলা মিটমাটও হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই ঝামেলার জেরে এদিন ভোর চারটে নাগাদ মসজিদের বাইরে নামাজ পড়ে বেরোনোর পর মারামারি আবার শুরু হয় সেই সময় ঘটনাস্থলে গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মারা যান সুন্নত সেখ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর সাগরপাড়া থানার বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছেছে।
রহস্যজনক মৃত্যু এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ইসলামপুর থানার পাহাড়পুর পাতুর মোড়ে। ঘটনাস্থলে ইসলামপুর থানার পুলিস (Islampur Police) এসে ওই ব্যক্তিকে প্রথমে ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে ওই ব্যক্তিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন। ডোমকল মহকুমা হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ইতিমধ্যেই দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। এমনকি এই ঘটনায় ছেলে, স্ত্রী ও জামাইসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম রেজা শেখ (৫৫)। শনিবার অনুমানিক রাত ১টা নাগাদ ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পান স্থানীয়রা। এরপর ছুটে তাঁর বাড়িতে যান। তখনই স্থানীয়রা তৎক্ষণাৎ ইসলামপুর থানায় খবর দেন।
ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইসলামপুর থানার পুলিস। তবে এটা খুন না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
মেয়ের বিয়ের (Marriage) জন্য টাকা জোগাড় করতে না পারায়, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) এক ব্যক্তি। শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদীঘি থানা এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম চন্দন মন্ডল। শুক্রবার সাগরদিঘি থানার পোড়াডাঙ্গা রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়, রেল লাইনের পাশে নিম গাছে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিসকে খবর দেওয়া হয়, পুলিস ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। এবং মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চন্দন মন্ডল নামের ওই ব্যক্তি সাগরদিঘির লালিপালি এলাকার বাসিন্দা। সামনের মাসে অর্থাৎ মে মাসে, মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। টাকা জোগাড় করতে না পারায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই ব্যক্তি, এমটাই মনে করছেন স্থানীয়রা। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় রাস্তার বেহাল (Road problem) দশা নিয়ে অভিযোগ আগেই ছিল। এবার হুগলি (Hooghly) ও মুর্শিদাবাদ, দুটি আলাদা জেলার বহু রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ, দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও মেরামত করা হচ্ছে না প্রয়োজনীয় রাস্তা। পথশ্রী প্রকল্প-সহ জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েতের কোনও ফান্ডের মাধ্য়মে তাদের রাস্তা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গুধিয়া থেকে মনিহারপুর ঘাট পর্যন্ত সাড়ে তিন কিমি রাস্তায় বেহাল দশা। যার কারণে ধুঁকছে পর্যটনের শহর মুর্শিদাবাদ।
কুড়ি বছর আগে রাস্তাটি নির্মাণ হলেও এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি পাকা রাস্তা। প্রথমদিকে রাস্তার কাজ শুরু হলে সেখানে মোরাম দিয়ে কাজ চালানো হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার বেহাল দশা স্পষ্ট, ফলে কঙ্কালসার রাস্তায় বেড়িয়ে গিয়েছে মাটি। অভিযোগ, 'বর্ষাকালে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয় স্থানীয়দের।'
ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, 'এই রাস্তায় প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজারের বেশি লোক যাতায়াত করে এবং আশেপাশের দশটির বেশি গ্রাম এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। স্কুল কলেজ হাসপাতাল থেকে শুরু করে সমস্ত পরিষেবা নিতে গেলে এ রাস্তাটিকে ব্যবহার করতে হয়। ওই সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশায় রয়েছে। সেই কারণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।' স্থানীয়দের একটাই দাবি, রাস্তা ঠিক করতে হবে।
পাশাপাশি অভিযোগ, 'নিম্নমানের মাল সামগ্রী দিয়ে পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা তৈরি হচ্ছে। রাস্তাটি চওড়ায় ও উচ্চতায় সরকারি পরিকাঠামো অনুযায়ী করছেন না ঠিকাদার। রাস্তা তৈরিতে ব্য়বহৃত বালি-সিমেন্টের পরিমাণ নিয়েও। যার ফলে রাস্তা তৈরির একদিনের মধ্যেই রাস্তায় ফাটল দেখা দিচ্ছে।' এই ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের বালি পঞ্চায়েতের জগতপুর এলাকায়। অভিযোগ, 'জগতপুর থেকে সাঁকরা মেলাতলা পর্যন্ত যে দেড় কিলোমিটার রাস্তার কাজ হচ্ছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের মাল সামগ্রী দিয়ে করা হচ্ছে। সেই অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে দেয় গ্রামের মানুষ।' অভিযোগ, 'সেই রাস্তা গ্রামের মানুষের সুবিধার জন্য করে দেওয়া হয়েছে। ওটা কোনো টেন্ডার হয়নি।'