তাপমাত্রার পারদ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর তার মধ্যেই জল সংকট (Water Problem) যেন মাথা চাডা় দিয়ে উঠেছে। এই গরম আবহাওয়ার মধ্যেও জলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের অর্জুনপুর এলাকার মানুষদের। তবে বারবার এই সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সমাধান হচ্ছে না ওই এলাকায়, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার জলের পাম্পের অবস্থা খুবই সোচনীয়। ফলে পানীয় জলের ঠিকঠাক পরিষেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। আবার কখনও কখনও জল মিললেও তা পানের অযোগ্য। তবে প্রশাসন থেকে জলের সমস্যার সমাধান না করায়, ওই অপরিশুদ্ধ ঘোলা ও হলদে জল খেয়ে প্রতিনিয়ত পেটের সমস্যায় কষ্ট পেতে হচ্ছে এলাকার বাচ্চা সহ বড়দের।
স্থানীয়দের দাবি, অতীতে জলের এই করুণ পরিষেবা ছিল না। তবে যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এই পরিশুদ্ধ জল পরিষেবার সমস্যা। জসুনউদ্দিন নামে এক স্থানীয় জানিয়েছেন, 'পাম্পের ফিলটার ঠিক মতো কাজ করে না, ফলে জলে থাকে আয়রণের মিশ্রন। এমনকি বেশিরভাগ সময়ই জলের কল দিয়ে বেরিয়ে আসছে ঘোলা জল। ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে ওই এলাকায়।'
বাড়ির ছাদ থেকে এক যুবকের গলাকাটা মৃতদেহ (Body) উদ্ধার হল। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত ধূলিয়ান পৌরসভা এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম মোন্তাজ আলি (২৬)। পুলিস (Police) ইতিমধ্যেই রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি বলে দাবি পুলিসের। ইতিমধ্যেই এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়।
মৃতের পরিবারের দাবি, শুক্রবার সকালে বাড়ির মেইন গেটের তালা খোলা অবস্থায় দেখে বাকি সদস্যরা। তখন তাঁরা অনুমান করেন, প্রত্যেকদিনের মতোই মোন্তাজ আলি এদিনও ভোরের নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছে। যার ফলেই বাড়ির মেইন গেটের তালা খোলা রয়েছে। তারপরেই পরিবারের সদস্যরা বাড়ির দরজার কাছে, সিঁড়ির ধাপে রক্তের ফোঁটা দেখতে পেয়ে বাড়ির ছাদে গিয়ে মোন্তাজের মৃতদেহটি দেখতে পায়। তারপরেই তাঁরা পুলিসে খবর দেয়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, মোন্তাজ আলিকে খুন করা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
উল্টোদিক থেকে আসা দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে (Accident) প্রাণ গেল ২ ব্যক্তির। মর্মান্তিক এই পথ দ্যুর্ঘটনায় আহত আরও ২ জন। সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রাণীনগর থানার অন্তর্গত কাহারপাড়া সীমান্ত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রাণীনগর থানার পুলিস (Police)। আহতদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আহতদের মধ্যে একজনকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে বাকিদের বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সময় মৃত্যু হয় আরও এক জনের। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার ৭ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। কাহারপাড়া ব্রিজের নিচে চেকিং পয়েন্টের কাছের কালভার্ট সংলগ্ন এলাকায় এই পথ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুটি বাইকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। যার ফলে রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ৪ জনকে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনা দেখে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয়েছিল রাণীনগর থানার পুলিসকে। তারপরেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিস।
ভয়বহ পথ দুর্ঘটনা (Accident)। বাস ও লরির সংঘর্ষে আহত (Injured) প্রায় ৪০ জন। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার রঘুনাথগঞ্জের সুতি থানার আইরন ব্রিজে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিস (Police)। পুলিস আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা। তবে আহতদের মধ্যে প্রায় সাত থেকে আট জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই পথ দুর্ঘটনায় এক বাসযাত্রীর দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি দ্রুত গতিতে ছিল। তবে রাস্তায় হঠাৎ করে একটি মোটর বাইক চালকের হেলমেট পড়ে যায়। ফলে বাসটি তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে পেট্রোল পাম্প থেকে বেরিয়ে আসা একটি লরিতে ধাক্কা মারে। স্থানীয়রা জানান, মালদহ থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জের বানিপুরের একটি বিয়ে বাড়িতে কন্যাযাত্রী বোঝাই করে আসছিল বাসটি। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনায় এখনও কোনও নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মঘাতী (Death) হলেন বাবা ও নাবালক ছেলে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর (Murshidabad) থানার অন্তর্গত রানীবাগান এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বহরমপুর থানার (Berhampore Police) পুলিস। পুলিস তাঁদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁদের দু'জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের জন্য দেহ দুটি মর্গে পাঠায় পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে, মৃত দুজনের নাম কার্তিক চক্রবর্তী (৫৩) এবং ছেলে কারুন্য চক্রবর্তী (৮)। শনিবার গভীর রাতে এক প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে থাকা একটি কাঁঠালগাছে বাবা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রতিবেশী একজন জানান, মৃত ওই ব্যক্তির দেশি মাদক দ্রব্যের দোকান আছে। তাই প্রতিরাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। তাঁর ওই নাবালক বাচ্চাটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তাঁর দাবি, তবে ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা কেউই বুঝতে পারছেন না।
ঘর থেকে এক নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য। শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার মহেশতলা এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ওই নাবালিকার নাম প্রার্থনা সিংহ (১৬)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। শনিবার রাতে দেহ উদ্ধার করে অনুপনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতাল থেকে রবিবার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিস। ওই নাবালিকা ফারাক্কার বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাবা-মা না থাকায় সামশেরগঞ্জের মহেশতলা গ্রামে মামার বাড়িতেই থাকত। দিদার সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতো ওই নাবালিকা। তবে শনিবার সন্ধ্যায় মামা বাড়িতে ছিলেন না নাবালিকার দিদা। ওইদিন বাড়িতে একাই ছিল নাবালিকা। স্থানীয়দের দাবি, নাবালিকার দিদা বাড়ি ফিরতেই ভেতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় কার্যত চিত্কার শুরু করেন। তবে বহু ডাকাডাকির পরেও দরজা না খোলায় অবশেষে পাঁচিল টপকে ঘরে প্রবেশ করেন গ্রাম বাসীরা। তখনই কার্যত ঝুলন্ত অবস্থাই দেখা যায় ওই নাবালিকাকে। ঘরের মধ্যে নাবালিকাকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখে গ্রামবাসীরা, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
তবে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। যদিও প্রেম ঘটিত কারণে আত্মহত্যা বলেই অনুমান করছে পুলিস। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস।
চুরি (Theft) চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার (Arrest) করল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি থানার পুলিস (Police)। সুতি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই দুই চোরকে। ফরাক্কার এসডিপিও রাসপ্রীত সিংয়ের তত্ত্ববাধানে ওই দুই চোরকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণে সোনা এবং রূপোর গয়না। শুক্রবারই ধৃতদের জঙ্গিপুর মহুকুমা আদালতে পাঠায় পুলিস। চুরি চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখছে সুতি থানার পুলিস।
এর আগেও পুলিস বারবার এই ধরনের চুরির চক্রকে গ্রেফতার করেছে। পুলিসের এই তৎপরতা দেখে খুশি প্রশাসন মহল থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষেরাও। প্রায় প্রত্যেক দিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাচার চক্রকে আটক করছে পুলিস প্রশাসন।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Accident)। ঘটনার জেরে মৃত্যু (Death) হল এক ছাত্রের। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার নতুন ডাকবাংলা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। দুর্ঘটনাকে ঘিরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিস (Police) বাহিনী। পরে পুলিস এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রের নাম মোহাম্মদ কাইফ (২১)। তাঁর বাড়ি ফরাক্কা থানার খোদাবন্দপুর এলাকায়। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বাইকে করে জাতীয় সড়ক দিয়ে কলেজে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময়ই পথে দুর্ঘটনা ঘটে এবং ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়।
সূত্রের খবর, ওই ছাত্রটি জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তার উপর আছড়ে পড়ে। এই ঘটনার পরেই তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন, এমনটাই খবর। স্থানীয়দের দাবি, ইতিমধ্যেই ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছে।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষেরা। তাঁদের অভিযোগ, মেইন রাস্তার উপর বাস, অটো দাঁড়িয়ে থাকার ফলেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তাঁদের দাবি, অতি শীঘ্রই একটি বাস স্ট্যান্ড করে দেওয়া হোক।
রাস্তার ধারে এক রক্তাক্ত মৃতদেহ (Body) উদ্ধার। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘির সন্তোষপুর এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাগরদিঘি থানার পুলিস (Police)। ওই মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জঙ্গীপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যাক্তির নাম সুশীল মার্ডি। তিনি সাগরদিঘির চটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সাত সকালে সাগরদিঘির সন্তোষপুর এলাকায় রাস্তার ধারে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তারপরেই তাঁরা এই ঘটনার খবর দেয় সাগরদিঘি থানায়।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, মেয়ে অসুস্থ থাকায় তাঁকে সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে তাই সাইকেলে করে মেয়েকে দেখতে সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হালপাতালে গিয়েছিলেন সুশীল মার্ডি। কিন্তু মঙ্গলবার হাসপাতালে পৌঁছয়নি সুশীল মার্ডি। তারপরে বুধবার সকালে এই ঘটনার খবর পান পরিবারের সদস্যরা।
তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাগরদিঘি থানার পুলিস।
ফের জলে ডুবে (Drowing) মৃত্যু (Death) হল এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি থানার অন্তর্গত কাসিমনগর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)। বুধবার পুলিস ওই শিশুটির দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই শিশুর নাম ইয়াকুব শেখ (৬)।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেল ঘটে এই ঘটনাটি। এদিন বিকেল বেলায় পুকুর পাড়ে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল ওই শিশু। কিন্তু অসাবধানতাবশত পুকুরে পড়ে যায় সে। বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পুকুরে ডুবে যাওয়ার বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। তারপরেই পুলিসি তল্লাশিতে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় ওই শিশুটির দেহ।
পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যায় ইয়াকুব। তারপরেই বিকেল ৫ টা নাগাদ এই ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
চলন্ত ট্রেন (Train) থেকে পড়ে মৃত্যু (Death) হল এক শ্রমিকের। রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যাওয়ার পথেই এই ঘটনা। ঝাড়গ্রাম এবং চাকুলিয়া স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গাতেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া পরিবারে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই শ্রমিকের নাম বাদশা শেখ (২৬)। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি থানার ঔরঙ্গাবাদ-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পেশায় তিনি একজন রাজমিস্ত্রি।
জানা গিয়েছে, রমজান মাসের ইদ কাটিয়ে সোমবার ওড়িশার সম্বলপুরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যাচ্ছিলেন বাদশা শেখ। বাড়িতে এক সন্তান এবং অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখেই গ্রামের আরও পাঁচজন যুবকের সঙ্গেই কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। নিমতিতা থেকে হাওড়া এবং পরবর্তীতে হাওড়া স্টেশন থেকে সম্বলপুর এক্সপ্রেস ধরে সম্বলপুর যাচ্চিলেন তাঁরা। কিন্তু দারিদ্রতার কারণে রিজার্ভ টিকিট কাটতে না পেরে লোকাল বগিতেই যাচ্ছিলেন বাদশা। লোকাল বগিতে অত্যাধিক ভিড়ের চাপে কার্যত ট্রেনের দরজার সামনে বসেই রওনা দিয়েছিলেন। সেই সময়ই ঝাড়গ্রাম এবং চাকুলিয়া স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় অসাবধানতাবশত ট্রেন থেকে পড়ে যান বাদশা শেখ। এরপরেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর।
পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ৭ টা নাগাদ পরিবারের সদস্যরা খবর পান তিনি চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছেন। পরিবারের দাবি, বাদশার সঙ্গে যাওয়া অন্য শ্রনিকরা এই ঘটনাটি দেখে সামনের স্টেশনে নেমে জিআরপিএস অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পরে তাঁরাই বাদশার দেহ উদ্ধার করে।
বিএসএফের (BSF) হাতে গ্রেফতার (Arrest) হল এক বাংলাদেশি (Bangladeshi)। কেরলে কাজে যাওয়ার আগেই বিএসএফের হাতে গ্রেফতার ওই ব্যক্তি। মুর্শিদাবাদের সুতি থানার ছাবঘাটি এলাকার ঘটনা। ধৃত বাংলাদেশিকে তুলে দেওয়া হয়েছে সুতি থানার পুলিসের হাতে। ইতিমধ্যেই পুলিস (Police) শুরু করেছে জিঞ্জাসাবাদ। ধৃত ব্যক্তিকে মঙ্গলবার তোলা হয়েছে জঙ্গীপুর আদালতে। জানা গিয়েছে, ওই বাংলাদেশির নাম মহম্মদ বাবু। তিনি বাংলাদেশের রাজাসাহী জেলার ঘোড়াগাদি এলাকার বাসিন্দা।
বাংলাদেশি ওই ব্যাক্তি কী কারণে এই দেশে এসেছিলেন, কী উদ্দেশ্য ছিল? কতদিন ধরে এই দেশে আছেন পুলিস তার তদন্ত শুরু করেছে। ভারতে ধৃতের কোনও আত্মীয় রয়েছে কিনা তাও পুলিস খতিয়ে দেখছে। সূত্রের খবর, ধৃত ওই বাংলাদেশি ভারতে আসে কেরলে কাজ করতে যাবার উদ্দেশ্যে। এর আগেও তিনি বেশ কয়েকবার কেরল রাজ্যে কাজ করে এসেছেন। এমনকি এই দিনও তিনি কাজের উদ্দেশ্য অবৈধভাবে ভারতে আসছিলেন। তবে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় ধরা পড়ে বিএসএফের হাতে।
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের 'নবজোয়ার' অনুষ্ঠানে গোপন ব্যালট নিয়ে বিশৃঙ্খলা তো চলছিলই। যদিও তা হচ্ছিল অভিষেক মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে। কিন্তু রবিবার অভিষেকের সামনেই একপ্রকার বিশৃঙ্খলা শুরু হলো পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও গোপন ব্যালট নিয়ে।
মুর্শিদাবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জনসংযোগ যাত্রা’ চলছিল। রবিবারের আগে শনিবারও মুর্শিদাবাদে রানীনগরে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছিল। রবিবার অশান্তি, তৃণমূলেরই একাংশের বিক্ষোভ দেখা গেল বহরমপুরে। প্রার্থী বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে, তৃণমূলের একাংশ অভিষেকের উপস্থিতিতেই ভাঙচুর করল চেয়ার, ছিঁড়ে ফেলা হলো তাঁবু, শুরু হয় হাতাহাতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মঞ্চে উঠে আসেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে বিশৃঙ্খলাকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না, যারা ভোট দিতে পারেননি, পছন্দের প্রার্থীর নাম চিঠিতে লিখে আমাকে দিন।' এরপর অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আমতলা ব্লক-২ সভাপতি আতাউর রহমানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ভোট প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী ও তাঁর অনুগামীরা। অভিযোগ, তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ব্যালট থেকে প্রার্থীদের নাম মুছে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। দু’পক্ষ বচসায় জড়িয়ে পড়ে। তা চরমে উঠলে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলকর্মীরা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সভাস্থলের কয়েকশো চেয়ার। তাবু ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে। দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আসতে হয় পুলিসকে। আরও বাহিনী মোতায়েন করা হয় ঘটনাস্থলে।
ফের বড়সড় সাফল্য পেল জঙ্গিপুর পুলিস জেলা। ৯ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট (Yaba Tablets) সহ চার যুবককে গ্ৰেফতার (Arrest) করল সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ এলাকায়। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম মোহম্মদ ফারুক আহমেদ, মোহম্মদ বিলালুদ্দিন, সলমান হোসেন তালুকদার, আকবর শেখ।
পুলিস সূত্রে খবর, সামশেরগঞ্জের চাঁদপুর ফিডার কানেল এলাকার রাস্তা হয়ে ঝাড়খন্ড থেকে বাংলায় ঢোকার সময়ই খবর পায় পুলিস। তখনই তৎপরতার সঙ্গে পুলিস সামশেরগঞ্জের পুঠিমারী এলাকার একটি বেসরকারি নাসিংহোমের সামনে থেকে তাদের গ্ৰেফতার করে। শনিবার সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় তাদের। পুলিস আরও জানায়, ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট। যার বাজার মূল্য প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। এমনকি এই ঘটনায় ধৃতদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে জঙ্গিপুর পুলিস জেলা।
পদ্মা নদীর জলে ডুবে (Drowing) মৃত্যু (Death) হল এক ব্যক্তির। নদীতে প্রতিমার কাঠামো তুলতে নেমে এই দুর্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানীনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বামনাবাদ পদ্মা নদীতে (Padma River)। তবে তলিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর খবর তাঁর বাড়িতে পৌঁছতেই পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় রানীনগর থানার পুলিস প্রসাশন। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় পুলিস।
জানা গিয়েছে, ওই মৃত ব্যক্তির নাম কিসু শেখ (৭২)। তিনি সাগরপাড়া থানার নবীনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি অন্য এক জনের সঙ্গে বামনাবাদ পদ্মা নদীতে পুজোর কাঠামো তোলার জন্য ডুব দেন। জলে ঢুবে দেখছিল প্রতিমার কাঠামো নদীর কাদার মধ্যে আটকে আছে কিনা। তবে জলে স্রোত থাকার জন্যে সেই সময় জলে ডুব দিয়ে আর ওপরে উঠতে পারেননি তিনি। তখনই কিসু শেখের সঙ্গে থাকা ব্যক্তির সন্দেহ হয়। ওই ব্যক্তি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে নদী উপকূলের মাঠে কাজ করা লোকজন তড়িঘড়ি নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এমনকি কিছুক্ষণ পরই কিসু শেখের নিথর দেহ উদ্ধার হয়।