মহাসপ্তমীতেই মর্মান্তিক ঘটনা (Incident)। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন (murder) করার অভিযোগ। নৃশংস এই ঘটনা বহরমপুরের (Baharampur) উত্তরপাড়ার। প্রথমে অপহরণ (Kidnapping) এবং পরে মুক্তিপণের দাবি, টাকা না পেয়ে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ। একই ঘটনা একাধিক জায়গায় ঘটাতে প্রশ্ন উঠেছে পুলিসের (police) ভূমিকায়।
জানা যায়, বাপ্পা মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ পুলিস সুপার কে শবরী রাজকুমার প্রেস মিটে জানান, শনিবার বিকেল ৩টে ১৫ নাগাদ বহরমপুর থানার অন্তর্গত কর্ণসুবর্ণ রেল স্টেশন চত্বর থেকে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করে বহরমপুর থানার পুলিস। ধৃতের নাম আক্রম শেখ। বছর ২২-শের যুবক। তার বাড়ি শেয়ালমারা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, পুলিসের জেরায় মুখে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত। আক্রম শেখকে আপাতত ১৪ দিনের রিমান্ডে চাওয়া হবে বলে জানান পুলিস সুপার। আক্রম শেখের কাছে থেকে পুলিস জানতে পারে, বাপ্পা মণ্ডলের কাছে টাকা পেতো আক্রম। এই নিয়েই শুরু হয় বচসা। ঘটনার দিন প্রথমে আক্রম বাপ্পা মণ্ডলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে বাপ্পা মণ্ডলের বাবাকে ফোন করে। এবং এই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাবার সমস্ত রকমের ব্যবস্থা করে ফেলে। শেষ মুহূর্তে বহরমপুরের থানার পুলিস আক্রমকে ধরে ফেলে।
চাকরির (job) নামে লক্ষ লক্ষ টাকা (money) প্রতারণা। অবশেষে বাধ্য হয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী (suicide) এক টেট (TET) উত্তীর্ণ যুবক। আত্মঘাতী যুবক মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালগোলার সারপাখিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর এমন সিদ্ধান্তে হতবাক পরিবার সহ স্থানীয়রা। শোকের ছায়া পরিবারে।
পরিবার সূত্রে খবর, আব্দুর রহমান নামের টেট উত্তীর্ণ যুবক সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা প্রাইমারী চাকরির জন্য দেন। টাকা দিয়েও চাকরি না পাওয়ায় প্রতারিত হয়ে গত মঙ্গলবার মাঠে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। পরিবারের লোকজন পুলিসকে খবর না দিয়েই কবরস্থ করে দেয় তাঁর দেহ। সেই মৃতদেহ আদালতের নির্দেশে শুক্রবার কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয় লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের মর্গে।
পরিবারের অভিযোগ এবং মৃতের কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে লালগোলা থানার পুলিস রেহেসান সেখ নামের সাগরদীঘির এক যুবককে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশে ধৃতকে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতে নিয়েছে লালগোলা থানার পুলিস।
বাগুইআটি ও বীরভূমের পর এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে (Baharampur) মুক্তিপণ দাবি করে খুন (Murder)। বুধবার সন্ধ্যেবেলায় বাপ্পা মণ্ডলকে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাঝ রাস্তায় পথ আটকায় এক দুষ্কৃতী। এরপর নিজের বাইকে তুলে নিয়ে যায় বাপ্পা মণ্ডলকে (Bappa Mandal)। আর বাপ্পা মণ্ডলের মোটরবাইকটি অন্য একজন নিয়ে যায় বলে দেখা গিয়েছে সিসিটিভিতে (CCTv)।
বাপ্পা মণ্ডলের বাবা জানান, এরপর রাতে তাঁর কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি ফোন আসে। যদিও তিনি কোনওভাবে দেড় লক্ষ টাকা জোগাড় করতে পেরেছিলেন। আর অনেক বলার পর দুষ্কৃতীরা দেড় লক্ষ টাকা নিতে রাজি হয়ে যায়। এবং সেই টাকা কোথায় নিয়ে আসবে তাও বলে।
কিন্তু বাপ্পা মণ্ডলের পরিবারের লোকেরা ইতিমধ্যে পুলিসকে খবর দেন। বাপ্পার বাবা সেই টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন পুলিস ফোর্স সঙ্গে যায়। আর তা জানতে পেরে অপহরণকারীরা বাপ্পা মণ্ডলকে খুন করে। অপহরণেরসঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে পুলিসকে জানানো হলেও বাপ্পার প্রাণ রক্ষা করতে পারেনি বলে অভিযোগ।
আজ, শুক্রবার তিন দিন হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও মূল চক্রীকে ও তার সাগরেদদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। এর ফলে এলাকাবাসীরা বৃহস্পতিবার বিকেল বেলায় মৃতদেহকে সামনে রেখে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে।
ফের অপহরণ (Kidnapping) করে খুনের (murder) ঘটনায় চাঞ্চল্য। এবার ঘটনাস্থল বহরমপুর (Baharampur) থানার অন্তর্গত উত্তরপাড়া এলাকা। জানা যায়, মৃতের নাম বাপ্পা মণ্ডল, বয়স ২৪ বছর। তিনি বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দোকান থেকে বেরিয়ে যান দুই বন্ধুর সঙ্গে। এরপর রাত ৮টা নাগাদ পাঁচ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে মৃতের বাবার কাছে।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত বাপ্পার মোবাইল ব্যবহার করেছিলেন অপহরণকারীরা। বহরমপুর থানা পুলিসে খবর দেওয়া হয় তড়িঘড়ি। এরপর পুলিসকে জানিয়ে সেই টাকা দিতে যায় পরিবারের সদস্যরা। রাত ১১টা নাগাদ মুক্তিপণ নিয়ে বেলডাঙা পৌঁছলে অপহরণকারী চালাকি করছিস বলে ফোনটি কেটে দেয়। পাশাপাশি ফোন সুইচ অফ করে দেয়। আর এরপরই এই মর্মান্তিক খবর। বৃহস্পতিবার সকালে বহরমপুর থানার অন্তর্গত ফতেপুর অঞ্চলে নতুন নির্মিত রাস্তার পাশ থেকে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়।
যাতায়াতের সুবিধার জন্য পুকুর পাড় দিয়ে রাস্তা (Road) তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল। সেই মোতাবেক কাজও শুরু হয়ে যায়। বিপুল টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল বিশালাকার গার্ডওয়াল প্রাচীর (Guardwall)। কিন্তু নির্মাণের মাত্র ১৩ দিনের মাথায় ভেঙে পড়ল সেই মজবুত প্রাচীর। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধুলিয়ান পুরসভার উদ্যোগে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে নির্মিত সেই প্রাচীর মাত্র ১৩ দিনের মাথায় ভেঙে পড়ার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কাজের গুনগত মান নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিবমন্দির বাজার এলাকা থেকে নতুন বসতি জগন্নাথ লজ পর্যন্ত আসার জন্য তৈরি হচ্ছিল এই রাস্তা। প্রয়াত প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবল সাহার আমলেই সেই রাস্তার টেন্ডার হয়। আনুমানিক ৪২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয় বলে দাবি।
সম্প্রতি পুকুর পাড়ে নির্মাণ করা হয়েছিল বিশালাকারের সেই টেন্ডারের গার্ডওয়াল প্রাচীর। মাস খানেক আগেই সম্পন্ন হয়েছিল সেই প্রাচীর নির্মাণ। কিন্তু অভিযোগ, মাত্র ১৩ দিনের মাথায় সেই গার্ডওয়াল ভেঙে পড়ে। আর তা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিষয়টি নিয়ে ধূলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামামূল ইসলাম জানান, কাজটা এখনও চলছে। গার্ডওয়ালের নীচের মাটি সরে যাওয়ার কারণেই সেটি ভেঙে গেছে। কনট্যাক্টরকে দিয়ে পুনরায় কাজ করানো হবে। এটা পুরাতন ওয়ার্ক অর্ডার বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে গার্ডওয়াল বেঁকিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চেয়ারম্যান সাফাই দিলেও পুরো কাজের তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন ধুলিয়ান পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পারভেজ আলম পুতুল থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাড়ির কাছ থেকেই উদ্ধার শিশুকন্যার রহস্যজনক মৃতদেহ (Child Deadbody)। জানা গিয়েছে, মৃত ওই শিশুর নাম সালমা খাতুন বয়স আনুমানিক দেড় বছর। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘির ফুলবাড়ি এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে পাড়ার লোকজন জানতে পারে ওই শিশুকন্যাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি। এরপর পাড়ার লোকজন জড়ো হয় ফুলবাড়ি এলাকায়। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। কোনও রকম খোঁজ পাওয়া যায়নি প্রথমে। পরে সন্ধের দিকে ওই শিশুরই বাড়ির কাছে একটি লিচু বাগান থেকে মৃতদেহ পাওয়া যায়। এরপর তাকে সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে ওই মৃত শিশুর মা ফুলমনি খাতুনও আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁর মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। আর আতেই আহত হন। তিনি বর্তমানে সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে কী কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটল? আর কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে সাগরদিঘি থানার পুলিস।
আজও পুজো দালানে তৈরি হয় এক কাঠামোয় দেবীমূর্তি। আজও এলাকার মানুষ গোটা বছর অপেক্ষায় থাকে নিমতিতা রাজবাড়ির দুর্গার জন্য। জমিদার বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে গঙ্গা। বাড়ির খিড়কি গুলিতে আছড়ে পড়ে নদীর হাওয়া। গোটা বাড়িজুড়ে সময়ের থাবা। দাঁত বের করে আছে পুরনো ইঁট। মোটা থামগুলি যেন অতীত গৌরব গাথার দলিল। বর্ষায় নদী ফুঁসে উঠলে উঁকি দিয়ে যায় জমিদার বাড়ির উঠোনে। মুর্শিদাবাদের নিমতিতা রাজবাড়ি এবং তাদের দুর্গাপুজো শোনায় ২০০ বছরের প্রাচীন ইতিহাস। গৌরসুন্দর চৌধুরী ও দ্বারকানাথ চৌধুরী দুই ভাই মিলে ২০০ বছর আগে তৈরি করেন নিমতিতার রাজবাড়ি। ইতালিয়ান ধাঁচের এই বাড়িতে রয়েছে পাঁচটি উঠোন এবং দেড়শো ঘর। এই বাড়িতে একসময় এসেছিলেন বহু গুণীজন। দ্বারকানাথের ছেলে রায়বাহাদুর জ্ঞানেন্দ্রনাথ চৌধুরীর মেয়ের বিয়েতে বরযাত্রী এসেছিলেন স্বয়ং কাজী নজরুল ইসলাম। কবিকে নিয়ে আসা হয়েছিল যে গাড়িতে, আজ সেটা পড়ে আছে অতীত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে।
পুজোর সময় গোটা বাড়িতে আলো ঝলমল করত। পুজোর ক'দিন হরেক অনুষ্ঠান, অঢেল খাওয়াদাওয়া। একবার নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কলকাতার স্টার থিয়েটার গ্রুপকে। তখনও রাজবাড়ির ঝাড়বাতিতে বনেদিয়ানা বর্তমান ছিল। এই রাজবাড়িটি ধরা আছে সত্যজিত রায়ের জলসাঘর, দেবী, সমাপ্তির ফ্রেমে। এরপর কালের নিয়মে কড়িবরগাগুলো দখল নিয়েছে ঘুণপোকায়। এককালে যেখানে আলতা পায়ের ছাপ থাকত, আজ সেখানে আগাছায় ভরে গিয়েছে। বিষাক্ত সরীসৃপরা আশ্রয় নিয়েছে ইটের খোঁদলে। তবুও বাড়ির ঠাকুর দালানে আজও উমা আসেন। ২০০ বছর ধরে হয়ে আসছে মাতৃ আরাধনা।
২০০ বছর প্রাচীন এই রাজবাড়ি ঘিরে জড়িয়ে হাজার গল্প। কে বা কারা নাকি এখনও রয়ে গিয়েছেন বন্ধ দরজার ওপারে। রাত গভীর হলে কাদের যেন পায়ের আওয়াজ ঘুরে বেড়ায় গোটা বাড়িতে। প্রতিটি দেওয়ালে প্রতিধ্বনিত হয় নূপুরের আওয়াজ। সাহসী অনেক মানুষ নাকি এই বাড়িতে প্ল্যানচেট করতেন এক সময়। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় বাড়ির রূপ। উপলব্ধি করা যায় অন্য পৃথিবীর ইশারা।
২০০ বছর আগে পুজোয় নহবত বসত। পুজো দালানে থরে থরে সাজানো থাকত ভোগ। ভিয়েন বসত সেকালে। এখন সে সবই অতীত। নিয়ম মেনে পুজো হয় বটে। ঢাক ও বাজে। কিন্তু জৌলুষ সব মুছে গিয়েছে। বাড়ির বাসিন্দারা একে একে ভিটে ছেড়েছে প্রত্যেকেই। তাদের দেওয়া টাকায় পুজোটুকু হয় নমো-নমো করে। তবু পুজোর কটা দিন স্থানীয় মানুষরা মায়ের দালানে ভিড় জমান মনের টানে।
বৃদ্ধ, অথর্ব, রিক্ত নিমতিতার রাজবাড়ি আজ শুধুই অতীতের কঙ্কাল। গঙ্গার হাওয়া যখন আছড়ে পড়ে বাড়িতে, তখন ঘুলঘুলিতে ডেকে ওঠে অজানা পাখি। রঙ ঝড়ে গিয়েছে বসন্তর মতো। শ্যাওলার ছোপে জেগে ওঠে অচেনা মানচিত্র। জমিদার বাড়ির পুকুরে ঢেউ ওঠে না সেও প্রায় অনেক দিন হয়ে গেল। তবু আশ্বিনের শারদ প্রাতে কেন যেন বেজে ওঠে আলোক মঞ্জির।
ফের ভয়াবহ গঙ্গা (ganga) ভাঙন। উত্তরবঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন ঝাড়খণ্ড ও বিহারে অত্যাধিক বৃষ্টিপাতের (rain) ফলে গঙ্গায় জল বাড়তে থাকে। আর এরফলেই নদী ভাঙনের মুখে পড়ল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার বিস্তীর্ণ এলাকা। মঙ্গলবার সামশেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ এলাকায় ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনে গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বাড়িঘর। তলিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বিঘা জমিও। আশঙ্কায় বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নতুন করে গঙ্গা ভাঙন নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আপাতত যার যা সামগ্রী আছে তা নিয়ে কোনওরকমে পালানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা। অবিলম্বে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, "গত কয়েকদিন ধরেই আমাদের এলাকায় গঙ্গা নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মধ্যে আজ ভোর রাত থেকে আমরা দেখতে পেলাম কাঁকুড়িয়া থেকে ধুলিয়ান যাওয়ার রাস্তারও বিভিন্ন অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে মরুর ইট ভাটার কাছে প্রতাপগঞ্জে ইতিমধ্যেই চারটি বাড়ি জলে ডুবে গিয়েছে। আরও ১০-১২ টি বাড়ি যে কোনও সময় জলে তলিয়ে যেতে পারে।" এই ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বহ পরিবার আপাতত প্রতাপগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
অন্যদিকে একই অবস্থা জলপাইগুড়িতেও। জলপাইগুড়ির কালীঝোড়ায় ধস এবং পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির ফলে তিস্তা ব্যারেজের জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। আজ রাত ১২ টার পর থেকে জল ছাড়বে বলেই জানা গিয়েছে। এর ফলে তিস্তা নদীর জল বাড়বে এবং সংলগ্ন জনবসতি জল ঢুকে এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
গরু পাচার-কাণ্ডে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির (CID) পাল্টা তদন্তে গ্রেফতার (arrest) এক যুবক। ধৃতের নাম জেনারুল শেখ। শনিবার বিকেলে রঘুনাথগঞ্জ (Raghunathganj) থেকে তাকে পাকড়াও করে বহরমপুরের (Baharampur) গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। জানা যায়, ধৃতের বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার জালিবাগান এলাকায়। রবিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান সিআইডি আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের (BSF) হাতে ধরা পড়া গরুগুলোকে মৃত দেখিয়ে দিব্যি পাচার করে দিত কারবারীরা। স্থানীয় সূত্রের দাবি, সেই গরুগুলোকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল রাতের অন্ধকারেই। পরে সেগুলি পাচারও হয়ে যেত। এই বেআইনি কারবারে যোগ থাকার অভিযোগে এদিন যুবককে পাকড়াও করে গোয়েন্দারা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে আর কে বা কারা জড়িত আছে তার সঙ্গে।
মৃত বানিয়ে গরু পাচারকাণ্ডে পুলিস, বিএসএফ ও খোঁয়াড় মালিকের যোগসাজশ রয়েছে বলেই অনুমান সিআইডির। ওই গরুগুলি বিক্রি করে আয় হয়েছে প্রায় ৫-৬ কোটি টাকা। পুলিসি তদন্তে গরমিল রয়েছে বলেই রাজ্য সরকার ফের সিআইডিকে দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন পুলিসকর্মীও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গরু পাচার-কাণ্ডে এখন উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।
ফের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে (Samsherganj) ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। বাবা মায়ের সঙ্গে মামার বাড়ি থেকে বাইকে করে নিজ বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু (Death) হল সাত বছরের এক শিশুর (Child)। জখম হয়েছেন ওই শিশুর বাবা এবং মা। রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার মহব্বতপুর এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম সাগর শেখ(৭)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হয়েছে বাবা ও মাকে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ মামার বাড়ি সামশেরগঞ্জের মালঞ্চ থেকে বাইকে চেপে বাবা মায়ের সঙ্গে চশকাপুরে ফিরছিল ওই শিশু। সেসময় পল্টন ব্রিজের নীচ দিয়ে আসার সময় একটি ট্রাক্টরকে ওভারটেক করতে গিয়ে ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষে ছিটকে পড়ে সাত বছরের ওই শিশু। তখনই ট্রাক্টরটি কার্যত তাকে পিষে দেয়। প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর জখম হন ওই শিশুর বাবা মা। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
এদিকে, অবৈধভাবে ট্রাক্টর চলাচলের ফলেই যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটছে বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ট্রাক্টর চলাচল নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। ট্রাক্টর নিয়ে পুলিসকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা।
ফের নৃশংসতা। নিজেরই ছেলের হাতে খুন (murder) মা। সমাজে এমনও ঘটনার সাক্ষী থাকছে বহু মানুষ। একই ঘটনা মুর্শিদাবাদেও (Murshidabad)। বছর ৪০ এর মাকে খুন করে আটক গুণধর ছেলে। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার জগভনপুর গ্রামের। আতঙ্কে গোটা গ্রামবাসী। এমন ঘটনা যা গ্রামবাসীরা কখনও কল্পনাও করতে পারেননি।
মৃতের নাম গায়ত্রী মণ্ডল বয়স ৪০ বছর। ছেলের নাম সন্দীপ মণ্ডল বয়স ২৩ বছর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেল নাগাদ। স্থানীয় সূত্র বলছে, সন্দীপ মানসিক ভারসাম্যহী। ঘটনার দিন গায়ত্রী দেবী বিকেল বেলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বাড়ির মধ্যেই। এমন সময় আচমকা হাসুঁয়া দিয়ে গলায় এলোপাথাড়ি কোপ মারে ছেলে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন গায়ত্রী দেবী। খবর পেয়ে রেজিনগর থানার পুলিস (police) এসে তাঁকে বেলডাঙা প্রাথমিক হাসপাতালে (hospital) নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা গায়ত্রী দেবীকে মৃত (death) বলে ঘোষণা করে। এরপরই সন্দীপকে আটক করে রেজিনগর থানার পুলিস।
এই ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক স্থানীয়রা। ঘটনার পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। সোমবার রাতে ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলির বাড়িতে হামলার অভিযোগ। স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, যে কোনও পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকার দাবি করেন বিধায়ক। এরপরই সোমবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিস আলির বাড়ির সামনে দলেরই একাংশ কার্যত তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে । অভিযোগের তিরে তৃণমূলের কুঠিরামপুর এলাকার অঞ্চল সভাপতি মোস্তাফা শেখ। একটি সাংগঠনিক মিটিং চলার সময় এই হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় ভগবানগোলা থানার পুলিস। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, বিরোধীদের অভিযোগ ,টাকা দিয়ে পদ পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি চলছে ভগবানগোলায়। আর সেই কারণেই আজকের এই পরিণতি। কুঠিরামপুরের অঞ্চল সভাপতিও অভিযোগ করেছেন, অঞ্চল সভাপতি হওয়ার জন্য তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ব্লক সভাপতি করার জন্যও টাকা নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ভগবানগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ইদ্রিশ আলির আপ্ত সহায়ক মফিজুল হক। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি। অভিযোগকারীদের একটাই দাবি, এই বিধায়ককে তারা চান না। বিধায়ক দলের ভিতরে ভেদাভেদ তৈরি করছেন। এর সমাধান চান তারা।