নিবেদিতা মাইতি: 'যেরকম সাহায্য অরিজিৎ বাবু চাইবেন, সে সবরকম সাহায্য উনাকে করা হবে।' মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে বিখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের হাসপাতাল তৈরী প্রসঙ্গে সিএন-ডিজিটালকে এমনই জানালেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান। দেশের নয় শুধু, একার্থে গোটা বিশ্বের জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। তাঁর গানে মুদ্ধ দেশ ও বিদেশের সবাই। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও তাঁর গানে মুগ্ধ।
একটি রাজনৈতিক সভা থেকে সম্প্রতি মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'ওর গানেও দরদ, ওর মনেও দরদ।' সূত্রের খবর, বিশ্বখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিং জনক্যাণ স্বার্থে একটি হাসপাতাল (Hospital) তৈরি করতে চান বাংলায়। আর এই উদ্যোগের কথা তিনি পূর্বেই ভাগ করে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিৎ। তবে জঙ্গিপুরে দুঃস্থ মানুষদের জন্য নিজের খরচে একটি হাসপাতাল তৈরি করতে চান তিনি। আর গায়কের সেই ইচ্ছাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার একটি প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় অরিজিৎ সিংয়ের হাসপাতাল তৈরী প্রসঙ্গে সবরকম সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। এবং তার সাময়িক দায়িত্ব জঙ্গিপুরের সাংসদের উপর দেন।
বৃহস্পতিবারের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানকে ফোনে ধরে সিএন-ডিজিটাল। জঙ্গিপুরের সাংসদ স্পষ্ট জানালেন, 'অরিজিৎ সিং আমাদের গর্ব। এছাড়া আমরা খুব গর্বিত অরিজিৎ বাবুর এই উদ্যোগ নিয়ে। কারণ আমাদের এলাকার মানুষ আরও ভালো পরিষেবা পাবেন। যেটা সম্পূর্ণ আমাদের নেত্রী মমতা ব্যনার্জীর অনুপ্রেরণা। উনার উৎসাহে, উনার পরামর্শ ক্রমে অরিজিৎ বাবু জঙ্গিপুরে হাসাপাতল তৈরি করতে পারবেন। এমনকি জঙ্গিপুরের মানুষেরা ওই হাসপাতাল থেকে পরিষেবা পাবেন। তাই এটা আমাদের কাছে খুবই গর্বের বিষয়।'
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'গ্রামের ছেলে অরিজিৎ, গ্রামের জন্য কিছু করতে চায়। একটা হাসপাতাল তৈরি করতে চায় ও। জঙ্গিপুরে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছে। তা-ও অরিজিৎ হাসপাতাল তৈরি করলে মানুষের সুবিধাই হবে।' স্বাস্থ্যগত বিষয়ে রাজ্য সরকারের একটা কাঠামোগত পরিকল্পনা থাকেই। একেই জঙ্গিপুরে একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল আছে, এবার অরিজিৎ সিং হাসপাতাল তৈরী করলে তা কাঠামোগত ভাবে কিভাবে তৈরী হবে? সিএন-ডিজিটালের তরফে তা জানতে চাওয়া হয় সাংসদ খলিলুর রহমানের কাছে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমার এখনও অরিজিৎ বাবুর সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। তবে আমাদের জননেত্রীর সঙ্গে অরিজিৎ বাবু কথা বলে নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে পরে যখন অরিজিৎ বাবু বা উনার লোকের সঙ্গে কথা হবে তখন সবকিছু জেনে নেব। তবে একটি হাসপাতালে যে যে পরিষেবা প্রয়োজনীয় সেই সব কিছুই করা হবে।' এমনকি সাংসদ খলিলুর রহমান আরও বলেন, 'এই হাসপাতাল তৈরিতে প্রশাসনিক দিক থেকে যা যা সাহায্যের প্রয়োজন হবে, সেই সব সাহায্য করব। আমি উনাকে সব দিক থেকে সবরকমভাবে সাহায্য করব।'