আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির (Arms Recover) উদ্দেশে আসা দুই ব্যক্তিকে বমাল গ্রেফতার করল ডোমকল থানার পুলিস (Murshidabad)। সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম রফিকুল আলম মণ্ডল (৪০) ও মোজাফফর মণ্ডল(২৪)। দু'জনেই নদিয়া জেলার বাসিন্দা। শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডোমকল থানার পুলিস কাটাকোপরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালায় পুলিস (Police)। তাদের কাছে দু'টি পাইপ গান-সহ ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ধৃতদের গ্রেফতারির পর ছয় দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। কাকে বিক্রি করার উদ্দেশে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি নিয়ে আনা হয়েছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমকল থানার পুলিস। এদিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার আবু তাহেরপাড়া এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে তল্লাশি চালিয়ে এক পিস্তল-সহ ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়।
রশিদ শেখ (বাড়ি নতুন বামনাবাদ)-কে গ্রেফতার করে সাগরপাড়া থানার পুলিস। শনিবার তাকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা ছিল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাগরপাড়া থানার পুলিস।
আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে বিধানসভার উপনির্বাচন (Sagardighi Assembly By Poll)। তাই আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) জওয়ানরা রাজ্যে আসতে শুরু করবেন। এমনকি ওই দিন থেকেই চলবে রুট মার্চ। যার জন্যে মোট ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন (ECI)। এমনকি এই ভোটের জন্য সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসাবে আইএএস অফিসার ই রবীন্দ্রণকে দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। পুলিস পর্যবেক্ষক হিসাবে ওমপ্রকাশ ত্রিপাঠি-সহ অতিরিক্ত আরও পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে কমিশন।
চলতি মাসেই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে বিধানসভার উপনির্বাচন। কমিশন জানিয়েছে, সাগরদিঘির মোট ২৪৬টি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা থাকবে। এমনকি ভোট প্রক্রিয়া আরও অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে তিন জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে কমিশন। তাই এক সাধারণ পর্যবেক্ষক, এক পুলিশ পর্যবেক্ষক-সহ, এক ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার আকস্মিক মৃত্যুতে সাগরদিঘি আসনটি খালি হয়েছে। তাই ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দিলীপ সাহা। আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে, ভোট গণনা আগামী ২ মার্চ।
মুর্শিদাবাদে (Mushirdabad) শ্বাশুড়িকে খুন (murder) করার অভিযোগ উঠল বৌমার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের রানীনগর থানার শ্যাম দাস ডিয়ার এলাকার। মৃত ব্যক্তির নাম মুনজুরা বেওয়া, বয়স ৫৫ এবং অভিযুক্ত তাঁর বৌমা রুনা লায়লা। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুনজুরা বেওয়া নামের এক বৃদ্ধা মহিলাকে তাঁর নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয়রা রানীনগর থানায় খবর দেন। অভিযোগ, মৃতের বৌমা রুনা লায়লা তাঁকে গলা টিপে খুূন করেছেন। রানীনগর থানার পুলিস খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং অভিযুক্ত বৌমা ও মৃতার ছেলে টিঙ্কু রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
মৃতার মেয়ের অভিযোগ, 'মা আমাকে এক কাঠা জমি দেবে বলেছিলেন, সেই জমি বিবাদে প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে ঝামেলা হতো। আর যখন ঝামেলা হতো তখন বৌদি বাবা-মাকে মারধর করতেন।' স্থানীয় বাসিন্দা হাবিব শেখের অভিযোগ, 'রুনা তাঁর শ্বাশুড়িকে খুন করার ঠিক মাস দুয়েক আগেই বৃদ্ধাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলেন। এরকম ঘটনা নাকি আগেও চার-পাঁচবার হয়েছে।'
রানীনগর থানার পুলিস ইতিমধ্যে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে গুলি চালানোর ঘটনা। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ব্যক্তি। আহতকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে টনিক শেখ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। পুরানো শত্রুতার জেরেই গুলি চলেছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির নাম শফিক শেখ। তিনি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে গুলিবিদ্ধ হন ওই ব্যক্তি। আহত ওই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার রাতেই কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের স্থানান্তরিত করা হয় ওই ব্যক্তিকে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। বুধবার সকালে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতায় চিকিৎসার উদ্দেশে বহরমপুর মেডিকেল কলেজ আনা হয়েছে।
অভিযোগ, পুরানো শত্রুতার জেরেই গুলি চলেছে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মী টনিক শেখ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে খবর, বাড়ির পাশে বসে থাকার সময়ই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় শফিক শেখের উপর। তখনই শফিকের বুকে গুলি লাগে।
আহত ওই ব্যক্তি শফিক শেখ জানায়, তিনি একজন তৃণমূল কর্মী। বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি কর্মী টনিক শেখ ও তাঁর সঙ্গীরা তৃণমূল ছাড়ার হুমকি দেয়। সেই হুমকিকে উপেক্ষা করতেই এই ঘটনা। তাঁর দাবি, অভিযুক্তদের কঠোরতর শাস্তি দেওয়া হোক।
তবে বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন মুর্শিদাবাদের দক্ষিণ বিজেপি সভাপতি সাখোরাব সরকার। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, 'তৃণমূলকর্মীরা নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কাটমানির টাকা ভাগাভাগির ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই এমন ঘটনা।'
ঘর থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার গোবিন্দপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম আবু সুফিয়ান(২৪)। তিনি পেশায় একজন বেকারি শ্রমিক (Labour Suicide)। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে বছর খানেক আগে জেলে গিয়েছিলেন আবু সুফিয়ান। প্রায় সাত আট মাস জেল খেটে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতেই ঘুমিয়েছিলেন যুবক। বুধবার সকালে আবু সুফিয়ান দীর্ঘক্ষণ ঘর থেকে না বেরনোয় শুরু হয় ডাকাডাকি। তবে ঘরের ভিতর থেকে কোনওরকম সাড়া না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ফেলেন পরিবারের লোকজন।
তখনই ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে পরিবার। পরিবারের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন আবু সুফিয়ান।
মুর্শিদাবাদের লালগোলায় বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) আহত মা। ছাদ থেকে পড়ে আহত বধূর খুদে সন্তান। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের আতঙ্কে ছাদ থেকে পড়ে জখম ছেলে। সোমবার সকালে লালগোলা (Murshidabad Lalgola) থানার অন্তর্গত ময়া পঞ্চায়েতের মিঞাপুরে এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। আহত হয়েছেন মা ফুলসরা বিবি ও তাঁর সন্তান। জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে লতিফুর শেখের নামে এক ব্যক্তির বড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে পড়শিরা ছুটে এলে দেখা যায় আহত হয়েছেন ওই বধূ।
সকালে লতিফুর শেখের স্ত্রী ফুলসরা বিবি যখন ঝাড়ু দিচ্ছিলেন তখন একটি বোমা ফাটে। এই বিস্ফোরণের ফলে আহত হয়েছেন তিনি। নাকে-হাতে চোট পেয়েছেন ওই বধূ। জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বধূর চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্কে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে আহত তাঁর ছেলে, তার বয়স চার। তবে সেই খুদের আঘাত গুরুতর নয়। লালগোলা থানার পুলিস পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাপা আতঙ্ক রয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে বাড়িতে কেউ নেই। তবে পুলিস বাড়ির মালিক লুতফুর শেখকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুরনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিস।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুতে ফাঁকা হয়েছে আসন। সেই আসনে উপনির্বাচন (By Poll) ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। আগামি ২৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের এই আসনে হবে বিধানসভার উপনির্বাচন। এবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর থেকে ফাঁকা থাকা মানিকতলা বিধানসভায় উপনির্বাচন চেয়ে নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। প্রায় এক বছর হতে চললো মৃত্যু হয়েছে সাধন পাণ্ডের। কিন্তু এখনও সেই ফাঁকা আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। চিঠিতে এভাবেই সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
কিন্তু ২৭ ডিসেম্বর মাননীয় সুব্রত সাহার মৃত্যুতে ইতিমধ্যে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লেখেন, 'মাননীয় নির্বাচন কমিশনারের কাছে আমার আবেদন সাগরদিঘির সঙ্গে একইভাবে মানিকতলায় উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করুক কমিশন।'
এদিকে, সাগরদিঘি বিধানশোভা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। এই আসনে ঘাস-ফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের সব জেলা স্কুলে ২০১৬-র পর নিয়োগ খতিয়ে দেখবেন জেলার ডিআই-রা।মুর্শিদাবাদে বাবার স্কুলে ছেলের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta high Court)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ডিআইজি সিআইডি-কে এই মামলার তদন্ত তত্ত্বাবধানের নির্দেশ দেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিআইডির (CID) কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টর। ইতিমধ্যে সুপারিশপত্র জাল করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে অনিমেষ তিওয়ারি স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। আর ওই স্কুলেরই শিক্ষক, অনিমেষের বাবার বেতন আপাতত বন্ধ হবে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখবেন ডিআইজি সিআইডি।
এদিন কোর্টের নির্দেশে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র। তাঁকে বিচারপতি বসু বলেন, 'আপনাকে এই মামলার তদন্তে নজরদারি করতে হবে। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। প্রত্যেক জেলার ডিআই-রা খতিয়ে দেখবে জেলা স্কুলে নিয়োগ। যাদের ২০১৬-র পরে নিয়োগ, সেই প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখা হবে।'
এদিকে, বাবার স্কুলে ছেলের চাকরি পাওয়া বিতর্কে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। তাও আবার শিক্ষক পদে এই নিয়োগ ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন। অভিযোগ এক যোগ্য প্রার্থীর সুপারিশপত্র নকল করে মুর্শিদাবাদের এক স্কুলে চাকরি করছেন ছেলে। আর এই অভিযোগে মামলা দায়ের হতেই অভিযুক্তর স্কুলে প্রবেশ থেকে বেতন বন্ধের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata) সোমবার সাগরদিঘিতে রাম-বাম-শ্যাম জোটের প্রসঙ্গ তুলে বাম-বিজেপিকে (CPM BJP) কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। সেই আক্রমণের পাল্টা ফিরিয়ে দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল (BJP MLA Agnimitra Pal) এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (CPM Leader Sujan Chakraborty)। রাম-বাম-শ্যাম জোট প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা বলেন, 'কে এক হয়েছে আমরা খুব ভালো করে জানি। বামফ্রন্টকে হটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তারপর ১৮টি কমিশন বসেছিল, সাঁইবাড়ি, আনন্দমার্গী হত্যা প্রসঙ্গে। ক'টা কমিশনের রিপোর্ট বাইরে এসেছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় মাননীয়া দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়নের বিরোধিতায় দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে আপনারা এবং বামফ্রন্ট বৈঠক করেন? তাহলে রাম-বামের জোট, না কার জোট? মানুষ ভালোই বুঝতে পারছে।'
একইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর জাকির হোসেনের পাশে দাঁড়ানোকে কটাক্ষ করেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর চ্যালেঞ্জ, 'বিজেপি নেতাদের পিছনে সিআইডি লাগান, মানুষকে ভুল না বুঝিয়ে। আপনি জানেন কিছুই পাবেন না। জাকির হোসেনের বাড়িতে কোটি কোটি টাকা কি বিজেপি গিয়ে রেখে দিয়ে এসেছে।' এমনকি, তৃণমূল দলের সবাই খারাপ না, দলের সুপ্রিমোর এই দাবিকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন অগ্নিমিত্রা পল। তাঁর খোঁচা, 'আপনি অকর্মণ্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়ে কিছুই জানতেন না? বিনয় মিশ্রকে পদ থেকে সরিয়েছেন? হুগলির যুব তৃণমূল নেতাকে আপনি পদ থেকে সরিয়েছেন? আপনি জানেন এঁদের পদ থেকে সরালে আপনি বিপদে পড়বেন।'
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী আবার জানান, 'সাগরদিঘিতে সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ভাষণ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় যতদিন বামপন্থীরা ছিল, বিজেপি সুযোগ পায়নি। আর মুখ্যমন্ত্রী আরএসএস-র সংগঠন বাড়াতে সাহায্য করছেন। আরএসএস চায় কেউ সরাসরি বিজেপি করুক, কেউ ঘুরিয়ে বিজেপি করুক।' জাকির হোসেন প্রসঙ্গে সুজনের খোঁচা, 'আপনি বলছেন জাকির হোসেন ভালো, তাহলে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ কেন দিয়েছেন? কোনও উত্তর নেই, যখন যেরকম দরকার বলে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।'
পুরনো বিবাদের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Murder) হরিহরপাড়ার এশাদুল মণ্ডল নামের বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তিকে। সোমবার রাতে হরিহরপাড়া থানার মালোপাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা এশাদুল মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হয় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। মৃত এশাদুলের স্ত্রীর কথা অনুযায়ী, প্রথমে তাঁরা দরজা না খুললেও পরে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা দরজা ভেঙে ঢুকে এলোপাথাড়িভাবে এশাদুলকে কোঁপাতে (Stabbed to death) থাকে। এই কাণ্ডের পরই পালিয়ে যান দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় এশাদুলকে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(Hospital) নিয়ে আসা হয়। এশাদুলকে মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল।
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের টেন্ডার পাওয়া নিয়ে দেড় বছর আগে বিবাদের সূত্রপাত। একই কারণের জেরে এশাদুলের ছেলেকেও আক্রমণ করেছিল ওই দুষ্কৃতীরা। চিকিৎসার পর কোনওরকমে সুস্থ হয়ে উঠলেও তাঁরা ওই দুষ্কৃতীদের নামে অভিযোগ করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কোর্টে কেস চলছে। কেস তুলে নেওয়ার জন্যই এই আক্রমণ বলে জানিয়েছেন মৃত এশাদুল মণ্ডলের স্ত্রী জাহানারা বিবি।
হামলাকারীরা আগে কংগ্রেস দলে থাকলেও এখন বর্তমানে তাঁরা নতুন করে তৃণমূলে যোগদান করেছে। আগেও এই এলাকায় খুন-খারাপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মৃতর স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে হরিহরপাড়া থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
রীতিমতো ফাঁদ পেতে চাকরি (job) দেওয়ার নাম করে একপ্রকার জোর করেই কিশোরী-যুবতীদের দেহ ব্যবসায় নামানোর কাজ করে চলছিল একটি চক্র। ঘটনায় নির্দিষ্ট একটি অভিযোগ দায়ের হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিস (police)। পর্দা ফাঁস হল চক্রের। ঘটনায় এক মহিলা সহ ৪ জনকে গ্রেফতার (arrest) করেছে পুলিস। অন্যদিকে চার যুবতীকে উদ্ধার করেছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, সুদূর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বাসিন্দা এক মহিলা এই সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে প্রধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নির্দিষ্ট সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট এবং প্রধাননগর থানার পুলিস অভিযানে নামে। অভিযানের শুরুতেই এক মহিলা সহ ৪জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের রবিবার আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের রিমান্ডে নেওয়া হবে। মূলত এই চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত এবং আর কে কে জড়িত রয়েছে এই চক্রের সঙ্গে তা জানতেই রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমেছে পুলিস। প্রাথমিকভাবে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মাধ্যমে চাকরির কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হত ওই চক্রের তরফে। এরপর সুকৌশলে চাকরিপ্রার্থী কিশোরী-যুবতীদের একপ্রকার জোর করেই দেহ ব্যবসায় নামাত। আর এই পুরো চক্রে ডেলিভারি এজেন্ট হিসেবে কাজ করত এক টোটো চালক।
পুলিস আরও সূত্রে খবর, ধৃত কোচবিহার (Cooch Behar) জেলার বাসিন্দা। শিলিগুড়িতে ডেরা বানিয়ে এই কারবার সামলাত। তবে গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিস।
প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানীনগর থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বামনাবাদ পদ্মা নদীতে কুমিরের (crocodile) দেখা মিলেছিল। তারপর থেকেই সেই কুমিরকে একাধিকবার দেখা গিয়েছে বামনাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের কিছুটা দূরেও। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই সীমান্তবর্তী এলাকার চাষী এবং মৎস্যজীবীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কুমির দেখার পর বামনাবাদ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিকারিকরা বিষয়টি জানায় জেলা বন দফতরকে। তারপর শনিবার বহরমপুর রেঞ্জের আধিকারিক এবং তার টিম পদ্মা নদীতে (Padma River) নেমে পরিদর্শন করেন। শনিবারও সেই কুমিরকে দেখা গিয়েছে। সেই সময় বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
তাঁরা জানান, কুমিরটি নিরাপদ জায়গায় রয়েছে। যে জায়গায় কুমিরটি আছে সেখানে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। লাল পতাকা লাগানো হয়েছে। এছাড়াও চাষী এবং মৎস্যজীবীদের সেই জায়গায় যেতে বারণ করা হয়েছে। যদিও সীমান্ত এলাকার চাষী এবং মৎস্যজীবীদের দাবি, কুমিরটিকে অবিলম্বে ধরে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হোক। তাহলে তাঁরা পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে পারবেন। তার কারণ অনেকেই পদ্মা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।
স্বামী ও দেওরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ (rape) করে খুনের (murder) চেষ্টার অভিযোগ। মৃত্যু নিশ্চিত করতে শরীরের বিভিন্ন অংশে সিগারেটের ছেঁকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নির্মম এই ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুরের। নির্যাতিতার বাড়ি মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। নরেন্দ্রপুরের (Narendrapur) এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় নির্যাতিতার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নির্যাতিতার নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষাধিক টাকার লোন নেওয়া হয়। এরমধ্যেই স্বামী আরও একটি বিয়ে করেন। এমন ঘটনার খবর পেতেই নির্যাতিতা তাঁর বাপের বাড়ি চলে আসেন ৮ মাস আগে।
নির্যাতিতার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথেই তাঁকে অপহরণ করেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। তাঁকে অজ্ঞান করে নিয়ে আসা হচ্ছিল। তিনি জানান, 'শিয়ালদহে ট্রেন ঢোকার পর তাঁর জ্ঞান ফিরলে আবার তাকে বেঁহুশ করা হয়। নির্যাতিতার অভিযোগ, স্বামী ও দেওর তাকে ধর্ষণ করে। তারপর তাঁকে নরেন্দ্রপুর থানায এলাকার একটি পেয়ারা বাগানেও ধর্ষণ করেন স্বামী ও দেওর। স্ত্রীকে মেরে ফেললে তাঁর নামে নেওয়া লোন আর শোধ করতে হবে না। এই কারণেই তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে দাবি নির্যাতিতার।
শনিবার বেহুঁশ ও নগ্ন অবস্থায় নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার এক রাস্তার পাশ থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা সাত সকালে তাঁকে দেখতে পেয়ে পুলিসকে খবর দেন। পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর থেকে পলাতক দুই অভিযুক্ত। ঘটবার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র (firearms)-সহ তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার (arrest) করল ডোমকল থানার পুলিস। পুলিস (police) সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকল থানা অন্তর্গত ফতেপুর ফেরিঘাট এলাকায় তল্লাসি চালায় পুলিস। এরপর মিনারুল শেখ, সহিদুল মালিথা ও সুমন মণ্ডল নামের তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে দু'টি আগ্নেয়াস্ত্র (পাইপ গান)-সহ তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, ধৃতদের গ্রেফতার করে ডোমকল থানার পুলিস বৃহস্পতিবার জেলা আদালতে পাঠিয়েছে। তাদের ৫ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন চেয়েছে পুলিস। কী কারণে নিজেদের কাছে তারা আগ্নেয়াস্ত্র রেখেছিল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ডোমকল থানার পুলিস।
অন্যদিকে, মালদহে (Maldah) তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও আট রাউন্ড কার্তুজ-সহ গ্রেফতার ২ জন। পুলিস সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভুতনি থানার পুলিস রাম সুরত চৌধুরী ও রাজেন্দ্র মাহাতো নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় এই আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ গুলি। জানা গিয়েছে, দুজনেই ভুতনি থানার গদাই চড় এলাকার বাসিন্দা। মূলত, আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর।
মর্মান্তিক ঘটনা! পরীক্ষায় নকল করার অপবাদ। এরপর মা-বাবাকে স্কুলে ডেকে অপমান স্কুলশিক্ষিকার (teacher)। যা কিছুতেই সহ্য করতে পারছিল না অষ্টম শ্রেণির এক কিশোরী। অবশেষে মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত। সুইসাইড নোট (Suicide note) লিখে আত্মঘাতী ওই ছাত্রী। সুইসাইড নোটে লেখা, "স্কুলের নকল করার মিথ্যা অভিযোগ কিছুতেই সহ্য করতে পারছিলাম না। একটা মেয়ের কথায় আমার জীবনে কলঙ্ক লেগে গেল। আমার কথার কোনও দামই থাকল না।" মূলত, সুইসাইড নোটে সে তার এক বান্ধবীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) দেবনগর এলাকার। পরিবারের অভিযোগ, কোনও প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁদের মেয়ের উপর এই অপবাদ দেওয়া হল? এই ঘটনা যাতে ফের না হয় সেজন্য দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।
অন্যদিকে, সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুকে (death) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা থানার দয়ানগর এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা বেলা থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে একটি ভাঙা কুঁড়ে ঘরে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, তার দুই হাতই বিকলাঙ্গ। ফলে সে কোনওরকমভাবে একা একা গলায় দড়ি দিতে পারবে না ইচ্ছা হলেও। তবে ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা আছে সেই তদন্তে পুলিস। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে এবং পরিস্থিতির সামাল দেয়।