
ফের মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) এক কন্টেনার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার। জেলার সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়ূরাক্ষী নদীর বাঁধের পাশ থেকে উদ্ধার বোমা। তদন্তে বড়ঞা থানার পুলিস। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে ঘটনাস্থলে বোম স্কোয়াডও। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের লালবাগ থানার অন্তর্গত ডাঙাপাড়ার হাসানপুর রাজেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়েও তাজা সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কটতে না কাটতেই মুর্শিদাবাদে ফের বোমা উদ্ধার!
এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস মুখপত্র জয়ন্ত দাস বলেন, 'মুর্শিদাবাদ একটা বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে। যতই পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে, ততই শাসক দলের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প অর্থাৎ এই বোমা বাঁধা ও অস্ত্র তৈরির কাজ আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। এমনকি এই পঞ্চায়েত ভোটে কেউ টিকিট পাবে আবার কেউ পাবে না, এই টিকিট পাওয়াকে কেন্দ্র করেও একটা ভয়ঙ্কর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দুর্ভোগে পড়তে হবে গোটা মুর্শিদাবাদবাসীকে।'
এই বিষয়ে সিপিএম-র জেলা সভাপতি জামির মোল্লা বলেন, 'বেশ কয়েকমাস ধরেই মুর্শিদাবাদে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র ধরা পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কাজের জন্য কোনও কারখানা তৈরি করতে পারেনি কিন্তু বোমা-আগ্নেয়াস্ত্রের কারখানা তৈরি করতে পেরেছেন। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রেহাই পাচ্ছে না এই বোমার হাত থেকে। শাসক দল বিরোধীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। যাতে ২০১৮ সালের মতো কেউ ভয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে না দাঁড়ায়।'
এদিকে, এই ঘটনা দুষ্কৃতীদের কাজ বলে দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিস-প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি আয়ত্বে এনেছে বলে ধন্যবাদ জানিয়েছে শাসক দল।