
চোরের ওপর বাটপারি তো শুনেইছেন, কিন্তু এবার খোদ প্রশাসনের ওপর বাটপারি। বাংলায় মাকড়সার জালের মতো ছড়াচ্ছে সাইবার প্রতারণার ছক। প্রতি মুহূর্তে নিত্য নতুন কৌশল। এবার খোদ মহকুমা শাসকের নামে সমাজমাধ্যমে ফেক আইডি খুলে আর্থিক প্রতারণার জাল। প্রতারকদের কাণ্ডে হতবাক, আতঙ্কিত পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল।
দেখতে হুবহু ঘাটাল মহকুমা শাসকের আসল আইডির মতো। ফেসবুক ছেড়ে প্রতারকরা ঢুকে পড়েছে হোয়াটস্অ্যাপের অন্দরমহলেও। অভিযোগ, মহকুমা শাসকের ফেক আইডি থেকেই অত্যন্ত কম দামে বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রির মেসেজ যাচ্ছে। ফাঁদে পা দিলেই আগাম পেমেন্টের শর্ত রাখা হচ্ছে। মহকুমা শাসক ভেবে অনেকেই প্রতারকদের জালে জড়াচ্ছেন।
শুধু ঘাটালের মহকুমা শাসকই নয়, চলতি মাসেই একই অভিযোগ উঠে এসেছিল পুরুলিয়া থেকে। একই ধাঁচে পুরুলিয়া পুলিস সুপারের নামে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা জাল ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয় ২ প্রতারক। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ছিল, রাজ্য ছাড়িয়ে প্রতারণার জাল ছড়াতে পারে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানেও। শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থাই নয়, মানুষ সজাগ হোক, সাইবার সচেতন হোক। বার্তা অধিকর্তাদের।
কাজের ফাঁকে, আনমনে আঙুলটা চলেই যায় ফোনের স্ক্রিনে। সমাজমাধ্যমের হরেক রকম ডালা থেকে নজর ঘোরাতে পারে না ৮ থেকে ৮০। যন্ত্র নির্ভর, ভার্চুয়াল এই জীবনযাপনের সুযোগই নিচ্ছে প্রতারকের দল। ২ পা এগোনোর আগে সাইবার স্বাক্ষরতা প্রয়োজন।
রাজ্য চালু হতে চলেছে 'এক পরিবার, এক পরিচিতি'। অর্থাৎ একটা পরিবারের একটাই পরিচয় পত্র থাকবে। সেরকমই অন্য ধরনের আইডি তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সরকারি পরিষেবা পেতে যাতে অসুবিধা না হয়,সেজন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আসলে এই বিশেষ আইডি হবে তথ্যভাণ্ডার। যেমন আধার কার্ডে একজন ব্যক্তি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পাওয়া যায়, রাজ্যবাসীর জন্য তৈরি বিশেষ আইডিতে থাকবে গোটা একটা পরিবারের তথ্য। পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য, তাঁদের কে কোন সরকারি পরিষেবার সুবিধা পান ইত্যাদি বিষয়গুলি।
জানা গিয়েছে, যেসব পরিবার সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন, তাঁদেরই এই ইউনিক আইডি কার্ড দেবে রাজ্য সরকার। তবে, অন্যদেরও ফেরাবে না সরকার।
কী সুবিধা রয়েছে কার্ডের ?
এই কার্ড চালু হলে সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের আলাদা আলাদা নথি জমা দিতে হবে না। একটা কার্ডেই সব তথ্য থাকলে, আলাদা কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে না। এতে সময়ও বাঁচবে অনেকটা।
দ্বিতীয় সবচেয়ে শুভ ইসলামিক উৎসব হলো এই বকরি ঈদ (EID)। অনেকে ইসলামিক এই অনুষ্ঠানকে কোরবান বা কুরবান বায়ারামি নামেও চিনে থাকবেন। তাই বৃহস্পতিবার কলকাতার (Kolkata) রেড রোডে নমাজ পড়তে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষের সমাগম দেখা গিয়েছে। যদিও এই শুভ অনুষ্ঠানের আমেজ চোখে পড়েছে বুধবার বিকেল থেকেই। এমনকি এর ফলে কলকাতর রাস্তাঘাটেও উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। তাই ইদের উৎসবে যানজট এড়াতে এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে উৎসব পালনের জন্য কলকাতার বেশ কিছু রাস্তার যান চলাচলে নির্দেশিকা জারি করলো কলকাতা পুলিস। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে যান চলাচলের রুটও পাল্টানো হতে পারে বলে একটি নোটিশ (Notification) পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিস।
কলকাতা পুলিসের তরফে দেওয়া ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ইদের নমাজ উপলক্ষে বুধবার রাত থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হবে রেড রোড। বুধবার রাত ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার ইদের অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত রেড রোডে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এমনকি ইদ উপলক্ষে কলকাতার একাধিক জায়গায় নির্দেশিকা জারি করেছে পুলিস। ওই নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পণ্যবাহী ভারী যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে গার্ডেনরিচ রোডের রামনগর ক্রসিং থেকে আবদুল খাবির রোড পর্যন্ত রাস্তা, আকরা রোড, পাহাড়পুর রোডের কাচ্চি সড়ক থেকে অ্যাসবেস্টস রোড পর্যন্ত রাস্তা, রেলওয়ে লাইন রোডে।
এমনকি এই রাস্তাগুলিতে ভোর ৪টে থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ছোট খাটো পণ্যবাহী যান চলাচলও বন্ধ থাকবে। এছাড়াও, মানিকতলা রোড, বেলগাছিয়া রোড, গ্যাস স্ট্রিট, আর জি কর রোড, নারকেলডাঙা রোড, টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট থেকে ম্যাডান স্ট্রিটের মধ্যবর্তী অংশ সহ বেশকয়েকটি রাস্তায় যানচলাচলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, ঠিক এমনটাই জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিসের তরফে দেওয়া ওই নোটিশে।
বলিউডের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হোক, কিংবা তারকাদের পার্টি অন্যান্য তারকারা উপস্থিত থাকলেও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে খুব একটা দেখা যায় না। বলিউডে তাঁকে নাকি কেউ খুব একটা পছন্দ করেন না। কঙ্গনাও একাধিকবার অভিযোগ তুলে বলেছেন, বলিউডে তিনি কোণঠাসা। ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজমের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। এমনকি খান'দের নিয়েও তাঁর অভিযোগের শেষ নেই। তবে এই খানদের অনুষ্ঠানেই সম্প্রতি উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
আমির বা শাহরুখ নয়, সলমানও নয়, বরং তাঁর বোন অর্পিতা খানের বাড়িতে সম্প্রতি উপস্থিত হয়েছিলেন কঙ্গনা। ইদ উপলক্ষে বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন অর্পিতা খান। ক্যাটরিনা, হুমা, দিশা পাটানি থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির তাবড় ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন সেই পার্টিতে। অর্পিতার আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে চার চাঁদ লাগাতে উপস্থিত হয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউতও।
ইদের অনুষ্ঠানের জন্য কঙ্গনা রানাউত বেছে নিয়েছিলেন সালোয়ার কামিজ। তিন রঙের কনট্রাস্ট দেখা গিয়েছিল তাঁর পোশাকে। হলুদ রঙের সালোয়ার, রাজকীয় নীল কামিজের সঙ্গে সবুজ রঙের ওড়না পরেছিলেন তিনি। পায়ে পরেছিলেন নাগড়া জুতো। নিজের সামাজিক মাধ্যমেও এই ছবি আপলোড করেছিলেন কঙ্গনা। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান সম্ভাব্য স্মৃতি। উদযাপন কর, অংশ নাও।'
বলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বলি অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ (Katrina Kaif) নাকি অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant)। তবে এই গুঞ্জনের শুরু কোথায়, জানেন? শনিবার ইদ উপলক্ষে পার্টির আয়োজন করেছিলেন প্রাক্তন প্রেমিক সলমন খানের বোন অর্পিতা খান শর্মা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের তাবড় তাবড় সেলেবরা। ফলে হাজির হয়েছিলেন সলমনের (Salman Khan) প্রাক্তন প্রেমিক ক্যাটরিনাও। সেখানেই তাঁকে দেখার পর থেকে গুঞ্জন রটেছে যে, তিনি সন্তানসম্ভবা। তবে এর পিছনে কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যা লুকিয়ে তা এখনও জানা যায়নি।
ইদের পার্টিতে ক্যাটরিনার পরনে ছিল বেইজ রংয়ের আনারকালি স্যুট, চুল ছিল খোলা। প্রাক্তন প্রেমিকের বাড়ির ইদের পার্টিতে তাঁকে দেখেই জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। এরপরই তাঁর মা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই জল্পনা তুঙ্গে। পার্টির ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের অনেকে প্রশ্ন করছেন, ' ক্যাটরিনা কি অন্তঃসত্ত্বা?' কেউ আবার সাফ বলছেন, 'ক্যাটরিনা মা হতে চলেছেন। তাঁকে এখন জিমেও দেখা যাচ্ছে না। কোনও ছবির শ্যুটিংও করছেন না।'
তবে আবার নেটিজেনদের বড় অংশ বলেছেন, হয়তো তাঁর ঢিলেঢালা পোশাকের জন্যই তাঁকে এমন দেখাচ্ছে। ফলে ভিকি ঘরনির মা হওয়ার খবরটি পুরোপুরি গুঞ্জনই মনে হচ্ছে। এই প্রথম নয়, ভিকি কৌশলের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে একাধিকবার তাঁর মা হওয়ার গুঞ্জন রটেছে। তবে এই নিয়ে একবারও মুখ খোলেননি ভিকি ও ক্যাট। তবে অন্তঃসত্ত্বার খবর যদি সত্যি হয়, বেজায় খুশিই হবেন ক্যাট-ভিকির অনুরাগীরা।
শনিবার ছিল ইদ (Eid) আর এই উৎসবের সময়ে বি-টাউনে কোনও পার্টি হবে না, এটাও কখনও সম্ভব! অবশ্যই না, সলমন খানের বোন অর্পিতা শর্মা ইদের শুভ মুহূর্তে এক পার্টির আয়োজন করেছিলেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বলিউড (Bollywood) তারকারা। প্রত্যেকবারই দেখা যায় সলমনের (Salman Khan) বাড়িতে ইদের দাওয়াত বসে, সেজেগুজে তারকারা হাজির হয়, নাচ-গানে জমে যায় পার্টি, এবার সেই পার্টিই দেখা গেল সলমনের বোন অর্পিতার বাড়িতে। ইদের জন্য বাড়িতে বিশেষ পার্টির আয়োজন করেছিলেন অর্পিতা খান শর্মা ও তাঁর স্বামী অভিনেতা আয়ুশ শর্মা। দেখে নিন কারা কারা এসছিলেন তাঁদের পার্টিতে।
পার্টিতে প্রথমেই যাঁকে দেখা যায়, তিনি হলেন সলমন খান। তাঁকে কালো শার্ট ও নীল জিন্সে দেখা যায়।
পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফও। পার্টিতে ওয়েস্টার্ন পোশাককে বাদ দিয়ে এথনিক পোশাকেই দেখা যায় ক্যাটরিনাকে। তিনি অফ-হোয়াইট রংয়ের আনারকালি চুড়িদার পরেছিলেন।
এছাড়াও পার্টিতে দেখা যায় সইফ পুত্র ইব্রাহিম, শেহনাজ গিল, কার্তিক আরিয়ান, মণীশ মলহোত্রাকে।
ঝলমলে পোশাকে সবার নজর কাড়লেন কঙ্গনা রানাউত, সুনীল শেট্টি, অনিল কাপুর, হুমা কুরেশি, দিয়া মির্জা, সোনাক্ষী সিনহা, রীতেশ দেশমুখ ও তাঁর স্ত্রী জেনেলিয়া, টাব্বু, পলক মুচ্চল প্রমুখ।
পাপারাৎজিদের সামনে পোজ দিলেন অনিল কাপুর, সোহেল খান, আরবাজ খান, দিশা পাটানি।
প্রত্যেক বছর পবিত্র ইদের দিন মন্নতে 'দেবতা' দর্শন পান কিং খান ভক্তরা। ধর্ম মিশে যায় ভক্তদের ভিড়ে, শুধু একবার বাদশাকে দেখার আগ্রহ জমে হাজার হাজার চোখে। শনিবার সেই দিন। শাহরুখ খানের বাড়ির নিচে যথারীতি প্রচুর ভক্ত ভিড় জমিয়েছিল। তাঁদের নিরাশ করলেন না বাদশা। মন্নতের বিখ্যাত খাঁচার মতো ঘেরা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ভক্তদের দিকে হাত নাড়লেন কিং খান।
ইদের দিন শাহরুখ পরেছিলেন সাদা রঙের টিশার্ট, জিন্স, চোখে রোদ চশমা। ভক্তদের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছেন চুমু, সালাম জানিয়েছেন। তাঁর বিখ্যাত পোজে দেখা দিয়েছেন ভক্তদের। ইদের দিন এ যেন ভক্তদের সবচেয়ে বড় উপহার। উচ্ছ্বসিত হয়ে তাঁরাও হাত নেড়েছেন শাহরুখের দিকে। প্রাণ ভরে দেখে নিয়েছেন, যতটুকু দেখা যায়।
চলতি বছরেই মুক্তি পেয়েছে শাহরুখের 'পাঠান'। বলিউড সিনেমার রেকর্ড ভেঙে সারা বিশ্বে রেকর্ড ব্যবসা করেছে ছবিটি। তাঁর আসন্ন সিনেমা 'জওয়ান' মুক্তির অপেক্ষায়। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় সিনেমার শ্যুটিংয়ের কাজ চলছে। সব মিলিয়ে এই বছর শাহরুখের সময় ভালোই যাচ্ছে।
খুশির ইদে (EID) শান্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার সকালে রেড রোডে ইদ উপলক্ষে হওয়া এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, 'সকলে শান্তিতে থাকুন। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। বাংলায় যাতে অশান্তি হয়, তার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। কোনও ভাবে বাংলায় অশান্তি বরদাস্ত করব না।'
দেশের সংবিধান এবং ইতিহাস বদলানোর অভিযোগ এনেও কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। তাঁর কথায়, 'লোকতন্ত্র চলে গেলে সব চলে যায়। আজ দেশের সংবিধান এবং ইতিহাস বদলে যাচ্ছে। যা খুশি করছে। তার পর এনআরসি আনার কথা বলেছে। কিন্তু আমি ও সব কিছু হতে দেব না। আমি মাথা ঝোঁকাব না। ভরসা রাখুন। আমরা লড়াই করব, ভয় পাব না।'
সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে তিনি আরও জানান, কেউ বা কারা যদি মনে করেন মুসলিম ভোট ভেঙে দেবেন, তা সম্ভব নয়। পাশাপাশি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতা বদল করতে সকলকে ভোট দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।
একই সঙ্গে রেড রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সকলকে এক জোট হওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলে রাখলেন, সকলে এক জোট হলে কেন্দ্রের গদি উল্টে যেতে পারে। তাঁর কথায়, 'তাঁরাই মানুষ, যাঁরা মানবিক। যাঁরা সবাইকে নিয়ে চলেন, তাঁরাই দেশের নেতা। এ রকম ভাঙচুর করে দেশের নেতা হওয়া যায় না। আমি প্রার্থনা করব যেন এই দাদাগিরি আটকে দেওয়া হয়। আমরা একসঙ্গে হলে চেয়ার নড়ে যাবে।'
কেন্দ্রের তরফে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অপব্যবহারের অভিযোগও আবার উঠে আসে মমতার মুখে। তবে তিনি যে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত তা-ও তিনি স্পষ্ট করে দেন। তিনি বলেন, 'আমাদের তো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সঙ্গেও লড়তে হচ্ছে। আমাদের জ্বালাচ্ছে। আরও জ্বালাবে। তবে আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।'
একই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মতো সম্প্রীতির বার্তা দেন অভিষেকও। যাঁরা দেশ ভাগ করতে চাইছে, তাঁদের পরিণতি ভাল হবে না বলে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপও দাগেন। তিনি বলেন, 'যারা দেশ ভাগ করতে চাইছে, তাদের পরিণতি কী হবে, তা আগামী দিনে স্পষ্ট হয় যাবে। ধর্মের নামে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করছে অনেকে। প্ররোচনায় পা দেবেন না। যে চাঁদ দেখে ইদ পালন করা হয়, তার কি কোনও ধর্ম আছে? হিন্দুদের পরবও তো চাঁদ দেখে হয়। শরীরে যে রক্ত বইছে, তারও কোনও ধর্ম হয় না। বাংলায় ধর্মের নামে কোনও ভেদাভেদ নেই। আর সেই জন্যই বাংলা বাকি সব রাজ্যের থেকে আলাদা।'
খুশির ইদে (EID) শান্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার সকালে রেড রোডে ইদ উপলক্ষে হওয়া এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।। সেই অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, 'সকলে শান্তিতে থাকুন। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। বাংলায় যাতে অশান্তি হয়, তার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। কোনও ভাবে বাংলায় অশান্তি বরদাস্ত করব না।' দেশের সংবিধান এবং ইতিহাস বদলানোর অভিযোগ এনেও কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। তাঁর কথায়, 'লোকতন্ত্র চলে গেলে সব চলে যায়। আজ দেশের সংবিধান এবং ইতিহাস বদলে যাচ্ছে। যা খুশি করছে। তারপর এনআরসি আনার কথা বলেছে। কিন্তু আমি ও সব কিছু হতে দেব না। আমি মাথা ঝোঁকাব না। ভরসা রাখুন। আমরা লড়াই করব, ভয় পাব না।'
সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে তিনি আরও জানান, কেউ বা কারা যদি মনে করেন মুসলিম ভোট ভেঙে দেবেন, তা সম্ভব নয়। পাশাপাশি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতা বদল করতে সকলকে ভোট দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।
একই সঙ্গে রেড রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সকলকে এক জোট হওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলে রাখলেন, সকলে এক জোট হলে কেন্দ্রের গদি উল্টে যেতে পারে। তাঁর কথায়, 'তাঁরাই মানুষ, যাঁরা মানবিক। যাঁরা সবাইকে নিয়ে চলেন, তাঁরাই দেশের নেতা। এ রকম ভাঙচুর করে দেশের নেতা হওয়া যায় না। আমি প্রার্থনা করব যেন এই দাদাগিরি আটকে দেওয়া হয়। আমরা একসঙ্গে হলে চেয়ার নড়ে যাবে।'
কেন্দ্রের তরফে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অপব্যবহারের অভিযোগও আবার উঠে আসে মমতার মুখে। তবে তিনি যে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত তা-ও তিনি স্পষ্ট করে দেন। তিনি বলেন, 'আমাদের তো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সঙ্গেও লড়তে হচ্ছে। আমাদের জ্বালাচ্ছে। আরও জ্বালাবে। তবে আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।'
একই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মতো সম্প্রীতির বার্তা দেন অভিষেকও। যাঁরা দেশ ভাগ করতে চাইছে, তাঁদের পরিণতি ভাল হবে না বলে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপও দাগেন। তিনি বলেন, 'যারা দেশ ভাগ করতে চাইছে, তাদের পরিণতি কী হবে, তা আগামী দিনে স্পষ্ট হয় যাবে। ধর্মের নামে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করছে অনেকে। প্ররোচনায় পা দেবেন না। যে চাঁদ দেখে ইদ পালন করা হয়, তার কি কোনও ধর্ম আছে? হিন্দুদের পরবও তো চাঁদ দেখে হয়। শরীরে যে রক্ত বইছে, তারও কোনও ধর্ম হয় না। বাংলায় ধর্মের নামে কোনও ভেদাভেদ নেই। আর সেই জন্যই বাংলা বাকি সব রাজ্যের থেকে আলাদা।'
রামনবমী-কাণ্ড (Ram Navami Row) থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আরও সতর্ক হাওড়া কমিশনারেট (Howrah)। শিবপুরে অশান্তির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে চায় রাজ্য পুলিস (Bengal Police)। সামনেই ইদ, পবিত্র এই উৎসবে নতুন করে কোনও অশান্তি চায় না প্রশাসন। তার জন্য আগে থেকেই নজরদারি চালাচ্ছে হাওড়া সিটি পুলিস। শিবপুর এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। রামনবমীর দিন অশান্তির সময় বহুতলের ছাদ থেকে প্রচুর ইটপাটকেল মারা হয়। তাই বহুতলের ছাদে কিছু মজুত রয়েছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে। এছাড়াও শিবপুর থানার পুলিস ও সেন্ট্রাল জোনের আধিকারিকরা বিভিন্ন জায়গায় র্যাফকে সঙ্গে নিয়ে রুট মার্চ করছে। এই নজরদারি প্রতিদিন চালানো হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
রাম নবমীর মিছিল ঘিরে তপ্ত হয়েছিল হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলীর রিষড়া। সেই অপ্রীতিকর ঘটনা আগামি উৎসবের মরশুমে একদমই ঘুরেফিরে আসুক, চায় না নবান্ন। তাই আগাম সতর্ক হতে এই পুলিসি তৎপরতা বলে সূত্রের খবর।
পথ আটকে কোনও ধর্মীয় জমায়েত বা অনুষ্ঠান (Religious Event) করা যাবে না। নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে বুধবার এই নির্দেশ জারি উত্তর প্রদেশ সরকারের (Yogi Government)। সড়ক আটকে কিংবা যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না বলেই খবর। চলতি সপ্তাহেই ইদ (Eid) এবং অক্ষয় তৃতীয়া (Akshay Tritiya)। তাই এই দুই উৎসব যাতে শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা যায় সেই লক্ষে অতিরিক্ত পুলিস মোতায়েন করছে যোগী সরকার।
বুধবার উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব সঞ্জয় প্রসাদ এবং ডিজিপি আরকে বিশ্বকর্মা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রতি জেলার সুপার এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। সঞ্জয় বলেন, 'কোনও অবস্থায় রাস্তা আটকে বা যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং শোভাযাত্রা বা জমায়েত করা যাবে না। উপাসনাস্থল বা নির্ধারিত জায়গাতেই অনুষ্ঠানকে বদ্ধ রাখতে হবে।'
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা, 'যেকোনও ধর্মীয় শোভাযাত্রার জন্য পুলিস-প্রশাসনের অনুমতি বাধ্যতামূলক।'
ইদের আগেই বলিপাড়াতে চলছে ইদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি। হাতে গোনা কয়েকটা দিন থাকলেও প্রস্তুতিতে ত্রুটি রাখতে চান না বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলি খান। প্রতি বছরই বেশ জাঁকজমক করে ইদ পালন করেন তিনি। এবছরও নিশ্চয় তেমনই কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছেন শর্মিলা-কন্যা। ইদের সাজগোজের পাশাপাশি দরকার ফিটনেসও। ইদের আগেই আগাম কী প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিনেত্রী?
সোহা এমনিতেই ডায়েট নিয়ে বেশ সচেতন। সোহার ফিট থাকার রুটিনে বারবার জল খাওয়া বাধ্যতামূলক। তাঁর মতে, জলের ঘাটতি শরীরের ভিতর থেকে দুর্বল করে দেয়। ফলে কোনও কাজে এনার্জি পাওয়া যায় না। এমনকি শরীরের স্বাভাবিক যে চনমনে ভাব, সেটা উধাও হয়ে যায়। জল না খেলে ত্বকেও নানা প্রভাব পড়ে। সোহা আলি ইফতারে খাবার কম খান, তবে জল বেশি খান। জল ছাড়াও ফলের রস, ডাবের জলও খান অভিনেত্রী।
আগে টুকটাক খিদে মেটাতে মাঝেমাঝে বিস্কুট, চকোলেট খেয়ে ফেলতেন। ইদের আগে একদম সতর্ক তিনি। মেয়ের জন্য রাখা চকোলেট, আইসক্রিমের দিকে ভুলেও তাকাচ্ছেন না তিনি। ভরসা রাখছেন কাঠবাদাম, ড্রাই ফ্রুটসের মতো স্বাস্থ্যকর খাবারে। সারা বছরই শরীরচর্চা নিয়ে বেশি উৎসাহী থাকেন অভিনেত্রী। তাই ইদের আগে জোরকদমে শরীরচর্চা চলছে সোহার।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রতিবছর রমজান মাসে শহরের মোগলাই রেস্তোরাঁগুলিতে পরিবেশিত হয় সুস্বাদু হালিম। রকমারি ডাল, সুগন্ধি চাল, গম, ঘি, রকমারি মশলা, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা প্রভৃতি সংমিশ্রনে তৈরি সুস্বাদু হালিম। এর প্রতি বাঙালি খাদ্যরসিকদের একটা আকর্ষণ রয়েছে। যদিও রমজান মাসে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরা ভোরের সূক্ষ্ম আলো থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নির্জলা উপবাসের পরে হাইপ্রোটিন সমৃদ্ধ হালিম পদটি খেয়ে তাদের সারাদিনের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারেন।
তবে এই রমজান মাসে শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরাই নয় অন্য সম্প্রদায়ের খাদ্যরসিক মানুষরাও এই সময়ে সুস্বাদু হালিমের স্বাদ গ্রহণ করতে শহরের মোগলাই খাবারের রেস্তোরাঁগুলোতে ভিড় জমান। এই হালিমের উৎপত্তিস্থল মধ্য প্রাচ্য। গম, ডাল ও মাংসের সংমিশ্রনে তৈরি এই পদের নাম ছিল হারিশ। কথিত আছে ষোড়শ শতকে পারস্যের সম্রাটের শাহি দস্তরখান থেকে মোগল সাম্রাট হুমায়ুনের মারফত ভারতে আসে হারিশ। পরবর্তী সময়ে হারিশ, হালিম নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। তবে এদেশে হায়দরাবাদের চারমিনার থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সৈন্যদের ব্যারাক বা ব্যারাকস থেকেই হালিমের জয়যাত্রা শুরু হয়। উনিশ শতকে আরবের হাদরামি সেপাইরা হায়দরাবাদের নিজামের দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত হন। তারা সৈন্যদের ব্যারাকে থাকাকালীন মধ্যপ্রাচ্যর হারিশ রান্না চালু করেছিলেন।
মধ্যপ্রাচ্যের হারিশের পাক প্রণালীর সঙ্গে হায়দরাবাদের সুগন্ধি চাল, ঘি রকমারি মশলা ও দেশীয় গুল্মর সংমিশ্রনে তৈরি হয় এক অনন্য হালিম। বর্তমানে ভারতের সর্বধর্মীয় সম্প্রদায়ের খাদ্যরসিক মানুষের কাছে হালিমের এক আলাদা আকর্ষন রয়েছে। প্রতি বছরের মত এই বছরেও কলকাতার ৭৬ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মোগলাই খাবারের রেস্তোরাঁ আমিনিয়াতে পরিবেশিত হচ্ছে সুস্বাদু মশলাদার হায়দরাবাদি মটন ও চিকেন হালিম।
দাম ২২০ টাকা। আমিনিয়া রেস্তোরাঁর বাইরের স্টল থেকে হালিম কিনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আমিনিয়াতে বসেও জমিয়ে হালিম খাওয়া যাবে প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত। দেশি ঘি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, পাঁচ রকমের ডাল, গমের ডালিয়া, বাসমতি চাল, রকমারি মশলা, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, কাচা লঙ্কা কুচি দিয়ে তৈরি পাতি লেবুর রস ছড়িয়ে পরিবেশিত মটন বা চিকেন হালিম গরম-গরম তন্দুরি রুটি সহযোগে খাবার মজাই আলাদা। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। হালিমের পরিমাণ বেশ ভাল। চাইলে দুজনে ভাগ করেও খাওয়া যায়।
রাজকুমার হিরানি পরিচালিত 'থ্রি ইডিয়টস' যেন হাওয়া হয়ে এসেছিল একুশ দশকের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে। পড়াশোনার কাঠামো নিয়ে একরকম বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলে ছবিটি।কলেজের পড়ুয়াদের জীবন প্রতিষ্ঠার লড়াই, ইঁদুর দৌঁড়ে হেরে যাওয়া, হারিয়ে যাওয়া ও নিপাট বন্ধুত্ব, প্রেম সব মিলিয়ে 'থ্রি ইডিয়টস' সকলের মন কেড়ে নেয় দর্শকদের। ২০০৯-এ ছাত্রজীবনে থাকা পড়ুয়ারা এখন বড় হয়ে গিয়েছে, শুধু মুখে রয়ে গিয়েছে বিখ্যাত সেই সংলাপ 'অল ইজ অয়েল'। সাংঘাতিক কাজের চাপে আজও যেন এই একটি লাইন শান্তি হয়ে রয়ে গিয়েছে।
কয়েক দশক পেরিয়ে গেলেও সিনেমাটি যে দলিল হয়ে রয়ে যাবে, এ কথা বললে খুব একটা ভুল হবে না। এই বিখ্যাত সিনেমাটির সিক্যুয়েল আসতে পারে, আপাতত এই গুঞ্জন শুরু হয়েছে নেটিজেন মহলে। শুক্রবার নিজেদের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে ভিডিও পোস্ট করেন 'থ্রি ইডিয়টস' খ্যাত অভিনেত্রী-অভিনেতারা, এরপরেই জল্পনা শুরু হয়েছে এই ছবিটির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে।
শুক্রবার করিনা কাপুর, বোমান ইরানি এবং জাভেদ জাফেরি ভিডিও পোস্ট করেন। এই ভিডিও যে পূর্ব পরিকল্পিত, তা আন্দাজ করা যায়। করিনার করা সেই ভিডিওতে প্রথমেই দেখা যায় প্রেস কনফারেন্স বসেছেন আর মাধবন, আমির খান ও সরমন জোশী, অর্থাৎ 'থ্রি ইডিয়টস'এর ফারহান খুরেশি, রাঞ্চো এবং রাজু রাস্তোগি। লক্ষণীয় তাঁদের সকলের বয়স আগের থেকে বেড়েছে। করিনার প্রশ্ন তাহলে কি 'থ্রি ইডিয়টস'এর সিক্যুয়েল হচ্ছে? একই সুরে বলতে শোনা যায় 'থ্রি ইডিয়টস'-এর বিখ্যাত অধ্যাপক ভীরু সহস্রবুদ্ধে বা ভাইরাস অর্থাৎ বোমান এবং জাভেদকে।
এরপরেই প্রশ্ন ওঠে তাহলে এই ভিডিওগুলি 'থ্রি ইডিয়টস' এর দ্বিতীয় পর্বের প্রচার নাকি কোনও ব্র্যান্ড প্রমোশনেই জন্য সেলিব্রিটি স্টান্ট? যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি পরিচালক-সহ অন্যান্যরা। করিনা যে প্রেস কনফারেন্সের কথা বলছিলেন তা কি বাস্তবে হতে চলেছে? এৰিষয়ে প্রশ্নের উত্তর পেতে অধীর আগ্রহে দর্শকরা।
এবার সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর অফিসে 'অনুপ্রবেশ'এর ঘটনা।অভিযুক্ত যুবককে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার(Arrest)করা হয়েছে।সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, পলাশ বাগ নামে ওই যুবককে এদিন সন্দেহজনক ভাবে সেনা ছাউনির দক্ষিণ গেটের ভেতরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল। এরপর সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এক কর্নেল পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে।ওই যুবককে তল্লাশি চালিয়ে নকল পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।পরে তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই যুবকের সঙ্গে কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে,সেনাবাহিনীর জাল পরিচয়পত্র, নিজেকে আর্মি অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামে ঢোকার চেষ্টা।কমান্ডিং অফিসার জেএস কোহলির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার পলাশ বাগ।ময়দান থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তকে।পরে কালনা থানার হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে অভিযুক্তকে।এদিন তাঁকে কোর্টে তোলা হয়েছে।