এবারে মন্নতের দুয়ারে এল ইডির চিঠি। বেশ কয়েক মাস ধরেই মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় বলিউডের একাধিক তারকারা ইডির স্ক্যানারে রয়েছেন। আর এবারে বলিউডের কিং খান গৌরী খানকেও তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় নয়, গৌরী খানকে ইডি নোটিশ পাঠিয়েছে আর্থিক তছরুপের মামলায়।
শাহরুখ খানের স্ত্রীর পাশাপাশি গৌরী খান রেড চিলিজ প্রযোজনা সংস্থার মালকিন ও ইন্টিরিয়র ডিজাইনার কোম্পানিরও কর্ণধার। এবারে তাঁর নাম জুড়েছে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি তুলসিয়ানি গ্রুপের সঙ্গেও। আসলে এই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন তিনি। আর তাতেই বিপােকে পড়লেন গৌরী খান। এই সংস্থার বিরুদ্ধে কখনও প্রতারণা, কখনও আর্থির তছরূপের একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আর গৌরী খান এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলেই এবার ইডির ডাক পেলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এই সংস্থার এক প্রজেক্টের জন্য প্রায় ৩০ কোটি পেয়েছিলেন গৌরী খান। আর এই অর্থের উৎস নিয়েই বর্তমানে প্রশ্ন তুলছে ইডি। অভিযোগ উঠছে, এই সংস্থা বিনিয়োগকারী ও ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ফলে গৌরী খান আর্থিক তছরূপের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও তিনি যেহেতু এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত, তাই গৌরী খানের বয়ান রেকর্ড করা প্রয়োজন। গৌরী খানকে তুলসিয়ানি গোষ্ঠী কত পারিশ্রমিক দিয়েছিল এবং তাঁদের মধ্যে কী চুক্তি হয়েছিল, তা জানতে চাইবে ইডি। এখনও পর্যন্ত ইডির তলব নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি গৌরীর।
একাই ১ হাজার কোটি টাকার মালিক বাকিবুর রহমান! ইডি তদন্তে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। রেশন দুর্নীতির রহস্যের পর্দাফাঁস করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েছিল প্রভাবশালী চালকল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তদন্ত এগোতেই দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির জালে উঠে আসে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। তদন্তের জাল গোটাতে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সশরীরে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির অফিস ও বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী। ইডির হাতে এসে পৌঁছয় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এবার সেই মামলার তদন্তে দিল্লির সদর দফতরে বিস্ফোরক তথ্য পেশ করল ইডি আধিকারিকরা। ইডির দাবি, বিগত ১০ বছরে দুর্নীতির মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ধৃত চালকল ব্যবসায়ী বাকিবুর। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারের কাছ থেকে ধান কেনার নামে দুর্নীতির মাধ্যমে ৪৫০ কোটি টাকা এবং গণবন্টনে দুর্নীতিতে ৫৫০ কোটি কামিয়েছে প্রভাবশালী ওই ব্যবসায়ী।
তবে এখানেই শেষ নয় দুর্নীতির। ইডির দাবি, রাইসমিলের মাধ্যমেই দুর্নীতির সাম্রাজ্য তৈরী করছে ধৃত চালকল ব্যাবসায়ী। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি রাইস মিল। মূলত খাদ্যশস্যের ২৫ শতাংশ ওজন কমিয়ে সেখানে খারাপ মানের খাদ্যশস্য মিশিয়ে দুর্নীতির কারবার চালাত বাকিবুর। সূত্রের খবর,এই দুর্নীতির লভ্যাংশ পৌঁছে যেত বালু ওরফে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র পকেটেও।অভিযোগ, রেশন দুর্নীতির টাকা সরাতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ের নামেও টার্ম ডিপোজিট খুলেছিলেন। খোলা হয়েছিল প্রায় ৫৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছিল ২ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা।ভুয়ো কৃষকদের নামেও কেনা হয়েছে ধান। এই বেনিয়মে হাত ছিল রাইস মিল মালিক বাকিবুর রহমানের। আত্মীয় এবং মিল কর্মীদের ভুয়ো কৃষক সাজিয়ে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বকলমে ঘরে তুলতেন বাকিবুর। এমনকী, তদন্তে উঠে এসেছে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে থাকা একাধিক সংস্থায় দুর্নীতির অর্থ বিনিয়োগের তথ্য।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে শুধু কি বালু নাকি আরো অনেক প্রভাবশালী এই লভ্যাংশের ভাগীদার? খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবিভাগ। আগামী দিনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ধরপাকড়ে এখন আর কোন কোন প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ্যে আসে সেটাই দেখার।
ফের একবার ইডির তলব দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। আজ অর্থাৎ সোমবার দিল্লি আবগারি মামলায় ইডি ফের তলব করল আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগামী ২১ ডিসেম্বর তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছে। জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই ইডির সমন হাতে পেলেন কেজরিওয়াল।
এর আগেও দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেসময় দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির সমন এড়িয়ে যান তিনি। বিধানসভা ভোটের প্রচারে মধ্যপ্রদেশে যাবেন বলেই কেজরীওয়াল ইডির সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছিল। এছাড়াও জানা গিয়েছিল, কেজরীওয়াল তাঁকে তলব করার ঘটনাকে ‘বেআইনি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছেন। ফলে এবার কি তিনি সমনে সাড়া দেবেন নাকি ফের হাজিরা এড়িয়ে যাবেন, এটাই এখন দেখার।
পুজোর মরশুমে ফের মদ বেচে লক্ষ্মীলাভ। দুর্গাপুজোর পর কালীপুজো ও দীপাবলীতেও জমিয়ে ব্যাটিং সুরাপ্রেমীদের। রাজ্য সরকারের কোষাগারে মোটা টাকা ঢুকেছে। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, তিনদিনে রাজ্যজুড়ে মদ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার।
কালীপুজোর আগের দিন ৩০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে রাজ্যে। কালীপুজোর দিন মদ বিক্রি হয়েছে ১৫০ কোটি টাকার মদ। গতবারের থেকে এই খাতে আয় বেড়েছে অন্তত ২০ শতাংশ।
পুজোর পাঁচদিনেও বিপুল পরিমাণ মদ বিক্রি হয় বাংলায়। যার ফলে রাজ্যের কোষাগারে কয়েকশো কোটি টাকা ঢোকে। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মদ বিক্রি করে নবান্নের আয় হয়েছে ৬২০ কোটি টাকা। উৎসবের মরশুমে মদ বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াল প্রায় হাজার কোটি টাকা।
রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় বুধবার আদালতে হাজির করানো হয় বাকিবুর রহমানকে (Bakibur Rahman)। এদিন তাঁর আইনজীবী দেবজ্যোতি সেনগুপ্তকে জামিনের আবেদন করতে দেখা যায়নি। এর পরই বাকিবুরকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু এদিন আদালতে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির দাবি, শুধু আটা নয়, চাল নিয়েও একই ধরণের দুর্নীতি হয়েছে। ফলে চাল কীভাবে চুরি করা হয়েছে, সে নিয়েও তদন্ত করছে ইডি। ইডির দাবি, এই দুর্নীতিতে ডিলাররা এবং সমবায় সমিতিও জড়িত।
এদিন বাকিবুরকে আদালতে হাজির করানো হলে ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ভুয়ো শিবির করে ভুয়ো চাষির নাম করে ধান কেনার ভান করতেন বাকিবুর রহমান। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ব্যবহার করা হত আধিকারিকদের সিলও। এ ভাবে খাদ্য দফতরের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন বাকিবুর। ইডির আইনজীবী আদালতে আরও জানান, ধান কেনার ক্ষেত্রে খাদ্য দফতরের ভুয়ো অফিসার এবং ভুয়ো সমবায় সমিতির মাধ্যমে সব লেনদেন হত। ধান কেনার জন্য শিবিরের আয়োজন না করেই ধান কেনা হত ও সরকার নির্ধারিত টাকা পেত ভুয়ো সমবায় সমিতি এবং ভুয়ো চাষিরা। ফলে আসল চাষিরা বঞ্চিত হতেন ও মূল চক্রিরা আড়ালেই থাকতেন।
বুধবার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বাকিবুরকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) এবারে এল নয়া মোড়। যাঁরা ডিস্ট্রিবিউটর, তাঁরাই রেশন দোকানের মালিক! এমনটাই আপাতত দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির দাবি, ডিস্ট্রিবিউটরদের মধ্যেই অনেকেই রেশন দোকানের মালিক বা ডিলার)। ফলে রেশন দুর্নীতি হলেও অনেক ক্ষেত্রে রেশন দোকানের মালিক ও ডিস্ট্রিবিউটর একই ব্যক্তি হওয়াতে অভিযোগ জানাতেন না। নিয়োগ দুর্নীতির পর (Recruitment Scam) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সৌজন্যে পর্দাফাঁস হয়েছে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam)। ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন চালকল মালিক বাকিবুর রহমান থেকে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। এই আবহেই ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ইডির হাতে।
নিয়োগ দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতির পর এবারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সৌজন্যে পর্দাফাঁস হয়েছে রেশন দুর্নীতির। বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর থেকেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। আদালতের নির্দেশে আপাতত জেল হেফাজতে আছেন তিনি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁদের অনুমান রাজ্যে প্রায় কয়েকশ কোটি টাকার রেশন দুর্নীতি হয়েছে। আবার ইডি আধিকারিকরা দাবি করেছে, ডিস্ট্রিবিউটারদের অনেকেই বেনামে রেশন দোকানের মালিক ছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁদের সন্ধান শুরু করেছেন তাঁরা। নদিয়ার একজনকে চিহ্নিতও করেছেন তাঁরা। ইডি সূত্রে খবর, এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা তৈরি করে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রেশন দুর্নীতির জট খোলার চেষ্টায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
টানা ১৪ দিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতের পর এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) চার দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পর টানা ১৪ দিন ইডি হেফাজতে ছিলেন মন্ত্রী। আর এখন কিছুদিনের জন্য ঠিকানা জেল। আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেলে কাটাতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রীকে।
রবিবার রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। যদিও এদিন তাঁর আইনজীবী শ্যামল ঘোষ এবং অনিন্দ্য রাউত জানান, তাঁর জামিনের আবেদন জানাননি। তবে ইডির হেফাজতে থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আদালত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পরে জেলেই তাঁর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী।
অন্যদিকে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী জেল হেফাজতে থাকাকালীন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি চেয়েছেন। পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, 'কমান্ড হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট এসেছে উনি শারীরিকভাবে সুস্থ। ওনাকে আলাদা করে হাসপাতালে ভর্তি করবার প্রয়োজন আপাতত নেই, এটা কমান্ড হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের মতামত। অ্যাপেলো হাসপাতাল যা ওষুধপত্র দিয়েছেন সেগুলোই চলবে। উনি রাজনৈতিক দিক থেকে প্রভাবশালী। আমরা বিভিন্ন দিক দেখিয়েছি, কেন ওনাকে জেল হেফাজতে রাখবার প্রয়োজন।'
উল্লেখ্য, এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ধৃত জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিকের কন্যা এবং এক পরিজন। জানা গিয়েছে, আজ বাড়ির খাবার খেতে পারবেন বালু। উনি ডায়াবেটিক পেশেন্ট। তাই বেসরকারি হাসপাতালের দেওয়া ডায়েট চার্ট মেনে চলার মত পরিকাঠামো আছে কিনা, তার রিপোর্ট আগামীকাল দেবে সংশোধনাগার।
ইডি (ED) দফতরে পৌঁছে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর জন্মদিনেই তাঁকে সমন পাঠান ইডি। এর পর বুধবারই জানানো হয় যে, তিনি বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্স হাজিরা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে নিজের গাড়িতে চেপে বাড়ি থেকে বেরোন অভিষেক। এর পর ১১টা ৫ মিনিট নাগাদ তিনি সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছে যান।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে (Ration Scam) ইতিমধ্যেই ইডি হেফাজতে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমান ও রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। এই দুর্নীতি মামলায় প্রায় নিত্যদিনই নতুন নতুন তথ্য আসছে ইডি আধিকারিকদের কাছে। এবারে ইডির হাতে এল রেশন দুর্নীতির কালো চক্রের বিভিন্ন তথ্য। এই নিয়ে মঙ্গলবার ইডির তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখান উঠে এসেছে, কীভাবে রাইস মিলের মালিকরা কৃষকদের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বানাতেন ও এছাড়াও কীভাবে চাল খোলা বাজারে বিক্রি করে মুনাফা করতেন তাঁরা।
ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, রাজ্য পুলিসের কাছে অনেকদিন আগেই অভিযোগ এসেছিল যে, কিছু বেসরকারি সংস্থা বিনা লাইসেন্স ছাড়াই রেশনের চাল, আটা মজুত করত ও তা বিক্রি করত। এছাড়াও রাজ্য পুলিসের কাছে অভিযোগ এসেছিল, কিছু রাইস মিলারের মালিকরা ভুয়ো কৃষকের নাম করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে শস্যের সরকারি সাহায্য মূল্য নিজেদের পকেটে পুরে মুনাফা অর্জন করত। এর পরই ইডি আধিরকারিকরা তদন্তে নামলে আরও এক তথ্য প্রকাশ্যে আসে। ইডির অভিযোগ, অন্ত্যোদয় যোজনা, রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ও পিএইচএইচ-এর আওতায় উপভোক্তাদের প্রায় ৩০ শতাংশ রেশন খোলা বাজারে বিক্রি করা হত। তারপর সেই টাকা দিয়েই নিজেদের পকেটে পুরত রেশন ডিস্ট্রিবিউটর ও মিলের মালিকরা। শুধু তাই নয়, সরকারের তরফে যে কৃষকদের চাষের জন্য সাহায্য মূল্য দেওয়া হয়, তা আত্মসাৎ করে নিত রেশন ডিস্ট্রিবিউটর ও মিলের মালিকরা।
ফলে ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এক অভিযুক্ত অবশেষে স্বীকার করেছে, তারা এইভাবে 'কালোবাজারি' করে প্রতি কুইন্টাল প্রতি প্রায় ২০০ টাকা করে মুনাফা করত মিলের মালিকরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফের তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে ফের হানা ইডির। ইডি সূত্রে খবর, নিউটাউনে কুন্তল ঘোষ যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন, সেখানেই ফের তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল কুন্তলের সেই ফ্ল্যাটে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা।
প্রায় ১০ মাস আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সেই ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে কুন্তল ঘোষকে। সেখানে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন কুন্তল। সম্প্রতি ইডির গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ফ্ল্যাটটি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, বেনামে ফ্ল্যাটটি কিনে নিজেকে সেখানে ভাড়াটে হিসাবে দেখাতেন কুন্তল। তাঁর গ্রেফতার পর ঘুরপথে ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সেখানে পৌঁছে আবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে ইডি। এর পরই জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটে ভাড়াটে হিসাবে থাকতেন কুন্তল ঘোষ। তাঁর গ্রেফতারির পর ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দিয়েছেন তার মালিক। ফ্ল্যাটটি এখন নতুন মালিকের দখলে রয়েছে।
তবে কুন্তলের গ্রেফতারির পর কেন সেই ফ্ল্যাট এত তাড়াতাড়ি বিক্রি করা হল, সেই ফ্ল্যাটের আসল মালিক কে বা কুন্তল কি সেখানে সত্যিই ভাড়াটে হিসাবে থাকতেন কিনা, সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার সকালে ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ফ্ল্যাটেই চলত কুন্তলের চাকরি দেওয়ার সেটেলমেন্ট।
এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। এবারে রেশন দুর্নীতির তদন্তে (Ration Scam) নেমে উদ্ধার টাকার পাহাড়। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশি চালিয়ে মোট ১৮ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার করা হয়েছে। ফের শহর থেকে টাকা উদ্ধার ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।
জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। হাওড়ার অঙ্কিত ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে তল্লাশি চালানোর পর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক কোটি টাকা। এছাড়াও শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক জেলার কোম্পানিতে ইডি হানা দেওয়ার পর উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, বাঁকুড়ার দুটি কোম্পানি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। কোম্পানি দুটির নাম মেসার্স এজে এগ্রোটেক ও মেসার্স এজে রয়েল প্রাইভেট লিমিটেড। ইডি আধিকারিকদর মতে, রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রায় ১৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, এত পরিমাণ টাকার উৎস কী, তারই খোঁজ চালাচ্ছে ইডি আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই সংস্থার আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। আর সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে ইডির দাবি, উদ্ধার হওয়া ১৮ কোটি টাকার সবটাই রেশন দুর্নীতির।
রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ফের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) আদালতে পেশ করবে ইডি। আজ অর্থাৎ সোমবার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দশদিনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হল। ফলে আজ অর্থাৎ সোমবার ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) ২৬ অক্টোবর দিনভর তল্লাশির পর তাঁর বাড়ি থেকে ২৭ তারিখ ভোরে গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ২৭ অক্টোবর আদালতে পেশ করার পরই জ্ঞান হারিয়েছিলেন তিনি। পরে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন চার দিন। এর পর ইডি হেফজাতে নেওয়ার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না ও একাধিকবার প্রশ্ন এড়িয়ে চলেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, কিছুক্ষণের মধ্যেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে। তবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আদালতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী তথ্য তুলে ধরেন সেদিকেই নজর রয়েছে গোটা বাংলার। তাঁর কারণ, কিছুদিন আগেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি চক্রান্ত করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন। তাই কিছুদিনের মধ্যেই মুক্ত হবেন তিনি, এমনটাই দাবি করেছিলেন বালু। জানা গিয়েছে, সোমবার আদালতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে তাঁর জামিনের আবেদন করতে চলেছেন তাঁর আইনজীবীরা।
রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) তদন্তে কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। শনিবার সকাল সকাল রাজ্যের একাধিক জেলায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। রেশন দুর্নীতি মামলায় উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, হাওড়া ও কলকাতার একাধিক জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডির আধিকারিকরা। তার মধ্যে কিছু জায়গায় তল্লাশি শেষ হয়েছে ও একাধিক নথি নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন ইডি আধিকারিকরা। আবার অনেক জায়গায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা হতে চললেও জারি ম্যারাথন তল্লাশি।
শনিবার বনগাঁয় রাধাকৃষ্ণ ফ্লাওয়ার মিলের মালিক মন্টু সাহা ও কালিদাস সাহার মিলে ও বাড়িতে একযোগে তল্লাশি অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, রবিবার ভোর ৩টে নাগাদ তাঁরা মন্টু সাহা ও কালিদাস সাহার মিল থেকে বেরিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁরা সাংবাদিকদের কিছুই জানাননি। তবে তাঁদের হাতে একাধিক নথি দেখা যায়।
অন্যদিকে ভোর প্রায় ৪টে নাগাদ ইডি আধিকারিকরা ডোমজুড়ের অঙ্কিত ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড আটা কারখানা থেকে বেরিয়ে যান। যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছে কারখানা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি। তবে মনে করা হচ্ছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। সব মিলিয়ে প্রায় ২৬ ঘণ্টা ইডির ম্যারাথন তল্লাশি চলে ডোমজুড়ের এই অঙ্কিত ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড আটার কারখানায়।
আবার উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া শ্রীরামপুরে অঙ্কিত রাইস মিলে এখনও চলছে ইডির তল্লাশি। সূত্রের খবর, রাতভর এই রাইস মিলের বিভিন্ন নথি পরীক্ষা করছেন ইডির আধিকারিকরা। ফলে এই রাইস মিলে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে চলছে তল্লাশি।
বড় ধাক্কা আপ শিবিরে (AAP)। সিবিআইয়ের পর এবার দিল্লি আবগারি দুর্নীতি (Liquor Policy Case) মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে এই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।
সোমবার আবগারি মামলায় জামিন দেওয়া হয়নি দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। সুুপ্রিম কোর্ট থেকে জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছিল তা আংশিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। এর পাশাপাশি ইডিকে এই মামলার তদন্তের প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ছয় থেকে আট মাসের মধ্যেই এই মামলার তদন্ত শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। আর এই নির্দেশের পরই দেখা গেল, ইডি তলব করল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে।
পুজো শেষ হতেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইডি (ED) তল্লাশি শুরু করেছে। রেশন বণ্টন ‘দুর্নীতি’ (Ration Scam) মামলায় রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের একাধিক বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা (Enforcement Directorate) তল্লাশি শুরু করেন। পাশাপাশি সকালে মন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। এরই মধ্যে দুপুরে মিষ্টি হাতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হলেন বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta) ও বিধাননগর পুরনিগম ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরপিতা ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতা নির্মল দত্ত। তবে দুজনের কাউওকেই দেখা করতে দেয়নি।
রেশন দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ি বিসি ২৪৫-তে পৌঁছে যান সব্যসাচী দত্ত। হাতে তাঁর মিষ্টির প্যাকেট। কিন্তু বাড়ির গেটেই তাঁকে আটকান সিআরপিএফ জওয়ানরা। জানান, তিনি এই মুহূর্তে ভিতরে যেতে পারবেন না। সব্যসাচী দত্ত জানান, তিনি স্রেফ মিষ্টি নিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছেন। আগামী পরশুদিন লক্ষ্মীপুজো। সেই লক্ষ্মীপুজোর নেমন্তন্ন করতে এসেছিলাম।