বলিউডে (Bollywood) সুযোগ দেওয়ার নাম করে মডেল-অভিনেত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) হয়েছেন বলিউডের কাস্টিং ডিরেক্টর (Casting Director) আরতি মিত্তল। আরতির পুরো নাম আরতি হরিশচন্দ্র মিত্তল। হিমাচলের সোলান জেলার মানব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করে মুম্বই পাড়ি দেন অভিনেত্রী হওয়ার উদ্দেশ্য়ে। বর্তমানে মুম্বইয়ের বাসিন্দা তিনি। সোমবার, পুলিস খদ্দের সেজে কাস্টিং ডিরেক্টর আরতিকে গ্রেফতার করেছে।
মুম্বই পৌঁছে ছোটখাটো মডেলিং এবং অভিনয়ের সুযোগ পান আরতি। পাশাপাশি অভিনয়ের সুযোগও পান কয়েকটি বড় বাজেটের ছবির ছোট চরিত্রে। এমনকি টিভি সিরিয়ালেও অভিনয় করতেন তিনি। বেশ কিছুটা পুঁজি সঞ্চয় করে নতুন কিছু শুরুর পরিকল্পনা থেকেই খুলে ফেলেন ‘প্ল্যান্টাস্টিক ফিল্মস’ নামের এক কাস্টিং সংস্থা। এর পর মডেলিং এবং ছোটখাটো অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সিরিয়াল এবং ছোট বাজেটের ছবির জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রী বাছাইয়ের কাজও শুরু করেন আরতি। অভিযোগ ওঠে বলিউডে সুযোগ দেওয়ার নাম করে মেয়েদের দেহব্যবসার ফাঁদে ফেলার।
আরতিকে ফোন করে মনোজ জানান, তাঁর দুই বন্ধুর জন্য দু’জন এসকর্ট লাগবে। এর পর দুই মডেল এসকর্ট জোগাড় করে দেওয়ার বদলে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন আরতি। আরও দাবি করেন, কেবল জুহু বা গোরেগাঁওয়ের কোনও হোটেল ভাড়া করলেই মিলবে পরিষেবা। তার পর আরতির কথামতো গোরেগাঁওয়ের একটি হোটেল বুক করে পুলিস। দুই মডেলকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছে যান আরতি। এর পর টাকা নেওয়ার সময় আরতিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিস। উদ্ধার করা হয় দুই মডেলকে। উদ্ধার হওয়া ওই দুই তরুণী পুলিসকে জানান, আরতি কথা দিয়েছিলেন, দুই পুরুষের সঙ্গে নিশিযাপন করলেই তাঁদের দু’জনকেই ১৫ হাজার টাকা দেবেন। আরও বলেন অনেক উঠতি মডেলকেই এভাবে টাকার টোপ দিয়ে আরতি দেহব্যবসায় নামিয়েছেন বলেও তাঁদের দাবি। অভিযুক্তকে বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বলিউড-টলিউড কিংবা দক্ষিণী সিনেমায় একসময় অবাধ বিচরণ করেছেন অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)। তাঁর অভিনয় দক্ষতা হাজারও দর্শকের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে। কয়েক দশক ধরে দর্শকেরা আশীষ বিদ্যার্থীর অভিনয় দেখে কেবল মুগ্দ্ধ হয়েছে। হিরো হওয়া এবং অভিনেতা হওয়া যে আলাদা ব্যাপার তাঁর অন্যতম প্রতিভূ তিনিই। কিন্তু বর্তমানে ছবিতে তাঁকে তেমন দেখা যায় না। কাজ করেন না? নাকি কাজ পাচ্ছেন না?
সম্প্রতি আশীষ বিদ্যার্থীর মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমি কাস্টিং ডিরেক্টরদের বলতে চাইব, আমি বেঁচে আছি বন্ধু। আমার মরে যাওয়ার অপেক্ষা করবেন না। তারপরে বলবেন না এই অভিনেতাকে ঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি।' অভিনেতার এই বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। নেটিজেনরা বলছেন, 'আসলে ইন্ডাস্ট্রিতে পরিশ্রমের কোনও মূল্য নেই, না হলে আশীষ বিদ্যার্থীর মতো মানুষ কাজ পান না!'
বর্তমানে আশীষ বিদ্যার্থীকে বেশিরভাগ সময় কলকাতাতেই দেখা যায়। ইউটিউব-ফেসবুকের জমানায় তিনিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়েছেন। শহরের এই গলি থেকে ওই গলি, রেস্তোরাঁ থেকে মাছের বাজার সর্বত্র ঘুরে ভ্লগ করেন তিনি। কলকাতার অন্যান্য জনপ্রিয় ইউটিউবাররা যোগ দিয়ে থাকে তাঁর সঙ্গে। তাহলে কী শখের বসে ইউটিউবার হননি আশীষ? মনে কী তাঁর অভিমান জমেছে?
বলিউডের আরও এক দীপ নিভে গেল। ৬৭ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন পরিচালক প্রদীপ সরকার (Pradeep Sarkar)। টুইটারে তাঁর প্রয়াণের খবর প্রথম দেন ছবি নির্মাতা হনসল মেহেতা (Hansal Mehta)। সামাজিক মাধ্যমে প্রয়াত পরিচালকের ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, 'প্রদীপ সরকার দাদা, শান্তিতে থাকবেন। এই টুইট দেখে অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী (Manoj Bajpayee) বিস্ময় ও শোক প্রকাশ করে লেখেন, 'কি চমকে দেওয়া খবর! শান্তিতে থাকবেন দাদা।'
পরিচালক প্রদীপ সরকার বলিউডে ডেবিউ করেন ২০০৫ সালে 'পরিণীতা' সিনেমা দিয়ে। সঈফ আলী খান, বিদ্যা বালন ও সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ছবিটি আজও হিট। ২০০৭ সালে তাঁর পরিচালিত সিনেমা 'লাগা চুনরি ম্যায় দাগ' মুক্তি পায়। ২০১০ সালে মুক্তি পায় 'লাফাঙ্গে পরিন্দে'। ২০১৪ সালে মুক্তি পায় 'মর্দানি', কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রানী মুখার্জি। সেই সিনেমাটিও প্রশংসা পায়। ২০১৮ সালে কাজল ও ঋদ্ধি সেন অভিনীত 'হেলিকপ্টার ইলা' মুক্তি পায় প্রদীপ সরকারের পরিচালনায়।
The news of Pradeep Sarkar’s demise, ‘Dada’ to some of us is still hard to digest.
— Ajay Devgn (@ajaydevgn) March 24, 2023
My deepest condolences 💐. My prayers are with the departed and his family. RIP Dada 🙏
পরিচালক অসুস্থতাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আজ ভোর রাত ৩ টে নাগাদ সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অভিনেতা অজয় দেবগন, হনসল মেহেতা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সিনেমার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও পরিচালনা করেছেন। পরিণীতার জন্য একাধিক পুরস্কার পান তিনি।
ফের সিনে দুনিয়ায় শোকের ছায়া। মাত্র ৩১ বছরেই প্রয়াত তরুণ পরিচালক। জীবনের প্রথম সিনেমা মুক্তির আগেই প্রয়াত দক্ষিণী ছবির পরিচালক জোসেফ মনু জেমস (Joseph Manu James)। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (Death) মালায়ালম পরিচালকের (Malayalam Director)।
জোসেফ মনু জেমসের আচমকা প্রয়াণের খবরে সকলে স্তম্ভিত। বেশ কিছুদিন ধরেই চিকিৎসাধান ছিলেন নবাগত পরিচালক জোসেফ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জীবন যুদ্ধে হার মেনে নেন। রবিবার কোট্টায়ামের কুরাভিলাঙ্গাদের একটি গির্জায় তার শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়। শীঘ্রই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তাঁর প্রথম পরিচালিত ছবি 'ন্যান্সি রানি'। পরিচালকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ছবির অভিনেতা থেকে শুরু করে সকলে।
ডেবিউ পরিচালকের প্রথম ছবি ন্যান্সি রানিতে অভিনয় করেছেন অহনা কৃষ্ণা। পরিচালকের মৃত্যুতে তিনিও একেবারে হতচকিত। জোসেফের মৃত্যুতে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে তিনি লিখেছেন, "তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি মনু! এটা তোমার সঙ্গে হওয়া মোটেই উচিত হয়নি।" বাকি কলাকুশলীরাও শোকসন্তপ্ত। তরুণ প্রাণের মৃত্যুর এই খবর যেন কেউ বিশ্বাসই করতে পারছে না।
শিশু শিল্পী হিসাবে অভিনয় জগতে পা রেখেছলেন তিনি। ২০০৪-এ ‘আই অ্যাম কিউরিয়াস’ ছবির মাধ্যমে অভিনয় জগতে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন। মালায়ালম, কন্নড় ও হিন্দি ছবির দুনিয়ায় সহ পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন প্রয়াত তারকা জোসেফ।
বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় দুই রিয়ালিটি শোয়ের পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন এক তরুণী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে চর্চা তুঙ্গে। শ্রেয়সী চক্রবর্তী নামে এক তরুণীর দাবী, 'বুধবার মধ্য়রাতে বেশ কয়েকবার নাকি মদ্যপ অবস্থায় ভিডিও কল করেন পরিচালক শুভঙ্কর। শুভঙ্কর চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে তাঁর কোনও পূর্বপরিচিতি নেই। কিন্তু ওই পরিচালক বুধবার রাতে ২.১৭ থেকে ৩টে পর্যন্ত প্রায় ২৪ বার ভিডিও কল করেন। শেষে বিরক্ত হয়ে তিনি কলটি ধরতে বাধ্য় হন। এরপরেই তিনি বুঝতে পারেন মাত্রাতিরিক্ত মদ খেয়েছেন পরিচালক এবং কোনও কথা বলতে পারছেন না।'
দেখুন প্রথম বিস্ফোরক পোস্ট:
শ্রেয়সীর ফেসবুকে করা এই পোস্ট দেখে রীতিমতো চাঞ্চল্য় ছড়ায় নেটিজেনদের মধ্যে। ছোট পর্দার যথেষ্ট পরিচিত এবং জনপ্রিয় মুখ শুভঙ্কর। এরপর তরুণীর আরও একটি পোস্ট করেন যাতে তিনি লেখেন, 'শুভঙ্কর তাঁর থেকে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি ক্ষমা গ্রহণ করলেও আগের পোস্ট ডিলিট করবেন না।'
দ্বিতীয় পোস্ট:
যদিও পরে শ্রেয়সী এই সংক্রান্ত তৃতীয় পোস্টে জানান, 'তিনি বাধ্য হয়েই প্রথম পোস্ট ডিলিট করছেন। অনেক বিব্রত হয়েছি, অনেক ফোন এসেছে। আর পারছি না। উনি নিজে এবং অনেককে দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। আমি গ্রহণ করলাম আর এই বিষয়ে আরও আলোচনা হোক চাই না।'
শেষ পোস্ট:
আইসিইউতে রয়েছেন অনীক দত্ত। দীর্ঘদিন ধরেই সিওপিডির সমস্যায় ভুগছেন পরিচালক বলে জানান স্ত্রী সন্ধি দত্ত। কয়েকদিন আগেই চেকআপের জন্য চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। তবে মঙ্গলবার সকালে ফুসফুস জনিত সংক্রমণের দরুন দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে পরিচালককে।
পরিচালকের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরেই ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে ভুগতে হচ্ছে তঁকে। এই রোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে অনিচ্ছুক ছিলেন পরিচালক। যদিও সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যধিক খারাপ পরিস্থিতিতে পৌঁছয়। এমনকি শ্বাস নিতেও অসুবিধা হচ্ছিল তাঁর। তাড়াতাড়ি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে সেদিনও শরীর ভাল ছিল না তাঁর। এই মুূহর্তে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
ফের শহর কলকাতায় (Kolkata) ইডির হানা। শনিবার শহরের মোট ৬ টি জায়গায় হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এরপরই উদ্ধার হয় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে সাত কোটি টাকারও বেশি। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাসের খানের ছেলে আমির খান। গার্ডেনরিচের (Garden Reach) বাসিন্দা এই নাসের খান। তিনি পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এমনটাই জানা গিয়েছে। ৮ টি মেশিনে চলছে টাকা গোনার কাজ।
ইডি সূত্রে খবর, ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয় আমির খান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই সূত্র ধরেই এদিনের এই হানা বলে খবর। অভিযোগ, একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপ লঞ্চ করা হয়। সেই অ্যাপে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক খেলা রয়েছে। অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে সেই গেম খেললে প্রচুর টাকা জিততে পারা যাবে। পাশাপাশি সেখান থেকে প্রচুর রিওয়ার্ড পাওয়া যাবে এমনই প্রলোভন দেখানো হয়েছল। প্রচুর মানুষ সেই গেমে টাকা ইনভেস্টও করেছিল। এমনকি ওই গেম থেকে টাকা পেয়েও ছিলেন অনেকেই।
কিন্তু হঠাৎ করে একদিন সেই গেমিং অ্যাপ বন্ধ হয়ে যায়। যারা যারা এই মোবাইল গেমিং অ্যাপের মধ্যে টাকা ইনভেস্ট করেছিলেন তাঁরা তাঁদের টাকা আর পাননি। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কোম্পানিরা পার্ক স্ট্রিট থানায় ফেব্রুয়ারি মাসে ২০২১ সালে অভিযোগ করে। মোট পাঁচটি থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিস (police)।