রাজস্থানে (Rajasthan) বিধানসভা ভোটের আগে ফের তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের মামলায় (foreign exchange violation case) রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ছেলে বৈভবকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুক্রবার তাঁকে জয়পুরের ইডি অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে। ভোটমুখী রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রীর পুত্রকে ইডির তলব, ফলে এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। শুধুমাত্র বৈভব গেহলট নন, রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসারার দুটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের আধিকারিকরা।
রাজস্থানে এখন বিধানসভা নির্বাচনের উত্তেজনা চরমে। এমন সময়ে সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পুত্রকে তলব করায় জল্পনা তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে বৈভবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন জয়পুরের বাসিন্দা দুই ব্যক্তি। ওই অভিযোগে বলা হয়েছিল, মরিশাসের একটি সংস্থা থেকে অবৈধভাবে অর্থ নিয়েছিলেন গেহলট-পুত্র। চলতি বছরের শুরুর দিকেও এক বিজেপি সাংসদ ইডির কাছে অভিযোগ করেন, গেহলট কালো টাকা পাচার করছেন। তখনই আর্থিক তছরূপের অভিযোগ আনা হয় বৈভবের বিরুদ্ধে। এবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
তবে শুধু বৈভব গেহলট নয়, একই সঙ্গে রাজস্থানে প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসারার বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছে ইডি। জয়পুর এবং সিকারের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। গত বছর সেরাজ্যে সরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে। এর পর আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁর দুই বাড়িতে ইডি তল্লাশি অভিযান চালায়।
বুধবার সাত সকালে ফের ইডির (Enforcement Directorate) হানা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ও পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ গোটা নদিয়া জেলা জুড়ে চলছে ইডির আধিকারিকদের তল্লাশি অভিযান। এদিন ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয়েছে এই অভিযান। মোট ১০ থেকে ১২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
নিয়োগ দুর্নীতির টাকা যে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছে তা আগেই আভাস পেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর সেই মতই শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ নদীয়ার ফকির তলার হরি সাহা নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় ইডি আধিকারিকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর একটি টেক্সটাইলের কারখানা এবং একটি গম মিল রয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে গম চালের বস্তা গুলি।ওই গম কল থেকে একটি ডাইরি পাওয়া গিয়েছে। সেটিও তারা এই মুহূর্তে বাজেয়াপ্ত করেছে।
ইডির স্ক্যানারে রয়েছে জিকে এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডে। এই কারখানাটির মালিক সুব্রত ঘোষ। তাঁর বাড়ি কলকাতার সল্টলেকে। সুব্রত ঘোষের শ্বশুরবাড়ি রয়েছে ফুলিয়াতে। সুব্রত ঘোষ ববি হাকিমের ঘনিষ্ঠ বলেও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এদিন শান্তিপুরের বাইপাস ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে জিকে এগ্রো ফুড লিমিটেডের রয়েছে রাইস মিল, পেট্রোল পাম্প সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা। সকাল থেকে সেখানে শুরু হয়েছে ইডি তল্লাশি। এর আগেও বিগত দিনে একবার ইডি তল্লাশি করেছিল এই রাইস মিলে। আজ আবার নতুন করে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুর দুর্নীতির টাকায় রাইস মিল তৈরি হয়েছে বলে অনুমান ইডির। এর আগেও যেমন গুরু পাচারের টাকা বীরভূমের অনুব্রতর একাধিক রাইস মিলে বিনিয়োগ করা হত। তেমনই পুর দুর্নীতির টাকা রাইস মিলে বিনিয়োগ আছে কিনা সেই বিষয়টাও খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা।
এছাড়াও নদিয়া জেলার হরিণঘাটার সাত শিমুলিয়ায় মর্ডান রাইস মিলে সকাল ৭:৩০টায় এসে পৌঁছয় ইডির আধিকারিকরা। এই রাইস মিলের বর্তমান মালিক বাকিবুর রহমান, বিনয় পাত্র, শহিদুল রহমান মন্ডল, শরিফুল মন্ডল। সূত্রের খবর, এই বাকিবুর রহমান নদিয়া-বর্ধমান সহ একাধিক জেলায় রাইস মিলের মালিক তিনি। একধারে ব্যবসায়ী অন্যদিকে প্রাক্তন এক মন্ত্রীর অতি ঘনিষ্ঠ এই বাকিবুর রহমান। এই বাকিবুরের উত্থানের পিছনে কি রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা? তারই খোঁজে এই মুহূর্তে ইডির আধিকারিকরা পৌঁছেছে তাঁর রাইস মিলে। এই উত্থানের পিছনে কি রয়েছে প্রাক্তন এক মন্ত্রীর হাত, সেটাও খতিয়ে দেখছে ইডি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ ভোর পাঁচটার সময় নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের জাহাঙ্গীরপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার বিশ্বজিৎ প্রামানিক বাড়িতেও ইডি হানা দেয়। জানা যায় কেন্দ্রের রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে তার নাম জড়িয়ে ছিল।
'মহাদেব ব্যাটিং অ্যাপ' মামলায় (Mahadev Betting App) বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপুরকে (Ranbir Kapoor) তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৬ অক্টোবর, শুক্রবার অভিনেতাকে ছত্তিশগড়ের রায়পুরের ইডি অফিসে যেতে আবেদন জানানো হয়েছিল। যদিও রণবীরের তরফে আবেদন করা হয়েছিল, হাজিরার দিন যেন আরও দু'সপ্তাহ বাড়ানো হয়। কিন্তু ইডির ডাক আসতেই তাঁর যেন এক অন্য রূপই ধরা পড়ল পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায়। জানা গিয়েছে, তিনি অসুস্থ, ফলে শনিবার তাঁকে ক্লিনিকে যেতেও দেখা গিয়েছে। আর সেই মুহূর্তেরই এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
Ranbir Kapoor clicked at a clinic
— Ranbir Kapoor Online (@ranbirkapooron) October 6, 2023
today#RanbirKapoor #Bollywood pic.twitter.com/B43S1jUuU8
শনিবার এক ক্লিনিকের বাইরে দেখা যায় রণবীর কাপুরকে। তাঁকে দেখে অনুমান করা হয়েছে, তিনি অসুস্থ। তবে তাঁর পাশে দেখা যায়নি স্ত্রী আলিয়াকে। কিন্তু এখনও জানা যায়নি তাঁর ক্লিনিকে যাওয়ার আসল কারণ। তবে তাঁর চোখে-মুখে দুঃশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট, মুখে নেই হাসি, এমনকি পাপারাজ্জিদের দেখে রেগে-বিরক্ত হয়ে বললেন, 'ভিতরে এসো না।' এদিন তাঁর পরনে ছিল গোলাপি টি-শার্ট, নীল জিন্স এবং সাদা জুতো। গোলাপি সোয়েটশার্টের পিছনে লেখা, ‘সো লো’। তিনি কি এই লেখার মাধ্যমেও কিছু বোঝাতে চাইছেন, এমনটাই প্রশ্ন তাঁর অনুরাগীদেরও। তবে ইডির ডাক আসায় যে রণবীর কিছুটা হলেও চিন্তিত, তা তাঁকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy) গ্রেফতার করা হয়েছে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং-কে (Sanjay Singh)। গতকাল অর্থাৎ বুধবার দিনভর সঞ্জয় সিং-এর বাড়ি তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা (Enforcement Directorate)। প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির হাতে গ্রেফতার হয় রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে ৫ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানো হল।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এর পর বুধবার গ্রেফতার হয়েছেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। বৃহস্পতিবার তাঁকে ৫ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানো হল। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।
অন্যদিকে এদিন ডিডিইউ মার্গে আপ অফিসের কাছে কেন্দ্রীয় দিল্লিতে বিক্ষোভ করার সময় ১০০ জনেরও বেশি আপ কর্মীকে দিল্লি পুলিস আটক করেছিল। তারা সরকার বিরোধী স্লোগান দেয় এবং সিংয়ের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে। বুধবার সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতারের পর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আপ কর্মীরা বিক্ষোভ করছে।
আপ শিবিরে বড় ধাক্কা। মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) পর এবারে গ্রেফতার আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh)। আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy) আম আদমি পার্টি সাংসদ সঞ্জয় সিংকে (Sanjay Singh) গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বুধবার সকাল সকাল সঞ্জয় সিং-এর দিল্লির বাসভবনে ইডি আধিকারিকরা হানা দেয়। এর পর দিনভর তল্লাশির পর আবগারি মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা। মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্পে আর্থিক তছরুপের অভিযোগেই রাজস্থানের (Rajasthan) মন্ত্রী রাজেন্দ্র সিং যাদবের (Rajendra Singh Yadav) বাসভবনে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার সকালের দিকে তল্লাশি শুরু করে ইডি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষেই রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিশানায় রাজ্যের মন্ত্রী।
জয়পুরের কোটপুতলির বিধায়ক রাজেন্দ্র সিং। তিনি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়াও উচ্চশিক্ষা, আইন-সহ বেশ কয়েকটি দফতর সামলান তিনি। আবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ঘনিষ্ঠও তিনি। আর এবারে তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে মিড ডে মিল প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতি করার। আর সেই মামলায় এই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, অশোক ঘনিষ্ঠ রাজেন্দ্রর বাসভবন ছাড়াও আরও ১০টি জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি শুরু করে ইডি আধিকারিকরা। তার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারখানাও। তবে শুধু ইডি নয়, রাজ্যের আয়কর দফতরের কর্তারাও তল্লাশিতে যোগ দিয়েছেন। তবে এই তল্লাশি প্রসঙ্গে ইডির তরফে সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
ইডি-র তলবে হাজিরা দিতে মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে যাওয়ার কথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan)। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) আসবেন কিনা তা নিয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত কিছু জানাননি ওই টলি অভিনেত্রী।
অন্যদিকে সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে। সেখানে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে নুসরতের। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হবে না তাঁকে।
সম্প্রতি বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণা অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা। তাঁর অভিযোগ নিউটাউনে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মীদের থেকে টাকা তুলেছেন নুসরত ও তাঁর কোম্পানি। টাকা তোলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। পাল্টা দাবি করেছিলেন, অফিস থেকে যে টাকা লোন হিসাবে নিয়েছিলেন, তা সুদ সহ ফেরত দিয়েছেন।
যদিও ৫ সেপ্টেম্বর হিঙ্গলগঙ্গের একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন নুসরত। বৈঠক শেষে ইডি-র নোটিশ দেওয়ার প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। সেপ্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ইডি-র নোটিশ এসেছে কিনা তিনি জানেন না। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকলে অবশ্যই হাজিরা দেবেন।
ওটিটি মাধ্যমে একেবারে সফলভাবে অবতরণ করেছে রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) পরিচালিত প্রথম সিরিজ, 'আবার প্রলয়' (Abar Proloy)। ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁরই পরিচালিত সিনেমা প্রলয়। প্রসঙ্গত এই সিনেমা দিয়েই রাজকে নিয়ে টলিউডের দর্শকদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করে। সেই সিনেমারই দ্বিতীয় পার্ট এই সিরিজ। সামান্য কিছু অসঙ্গতি ছাড়া সিনেমা বোদ্ধা ও সমালোচকরাও এই সিরিজের প্রশংসা করেছেন। পরিচালকের কেমন লাগছে এই সাফল্যে? ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।
দেরি করে ওটিটিতে এলেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ বলেন , 'দেরি হয়েছে ঠিকই। তবে এই সময়ে দাঁড়িয়ে এমন একটি দিক নির্ধারণ করে দেওয়া প্রোজেক্ট তৈরী করতে একটু সময় তো লাগেই।' পরিচালক আরও জানিয়েছেন, 'এই টলিউড বহু গুণী অভিনেতায় সমৃদ্ধ। প্রত্যেকেই চমৎকার কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন। আমি একটু জমাটি কাস্ট নিয়ে কাজ করতে চাই। এতে কাজে আরও জোর পাই।'
সিরিজের সাফল্য নিয়ে রাজের মন্তব্য, 'থ্রিলার সিরিজ তৈরী করতে হলে, একেবারে শেষ পর্যন্ত সারপ্রাইজগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে হয়। দর্শক যা চেয়েছেন, তাই দিতে পেরেছি। তাই আবার প্রলয় সফল।'
ফের ইডির তলব ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren)। গতবছরও ইডি (Enforcement Directorate) তলব করেছিল হেমন্ত সোরেনকে। তবে সেবার অন্য এক মামলায় তলব করা হয়েছিল। এবারে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে (Money Laundering Case) তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ১৪ অগাস্ট তাঁকে রাঁচির ইডির দফতরে হাজির দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত এক আইএএস অফিসারকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এরপর তার বয়ানের ভিত্তিতেই হেমন্ত সোরেনকে আর্থির তছরুপের অভিযোগে জেরা করতে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গতবছর নভেম্বর মাসে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান হেমন্তকে তলব করা হয়েছিল খনি কেলেঙ্কারি কাণ্ডে। সেসময়, তাঁকে নয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। এবারে তাঁকে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ফের তলব করল ইডি। ফলে এখন এটাই দেখার যে, তিনি ১৪ অগাস্ট ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন নাকি এড়িয়ে যাবেন।
লোকসভার ভোটের আগে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে বিরোধী দলের। এছাড়াও হেমন্ত সোরেন 'ইন্ডিয়া' জোটের সক্রিয় সদস্য, তাই তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর দলের নেতা-নেত্রীদের।
বলিউড জগতে শোকের ছায়া। বুধবার জনপ্রিয় শিল্প নির্দেশক নিতিন দেশাইয়ের (Nitin Desai) মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁরই ষ্টুডিও থেকে। করজাটের এনডি ষ্টুডিওর কর্মচারীরা প্রথমে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন, তারপরেই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিসের এসপি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরা স্টুডিওতে পৌঁছে নিতীনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
যে স্টুডিওতে শিল্প নির্দেশকের দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেই স্টুডিও তাঁর নিজের। বলিউডের যোধা আকবর সিনেমার শ্যুটিং, জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো বিগ বসের বেশ কয়েকটি সিজনের শ্যুটিংও সেখানে হয়েছে। তবে কোভিড পরবর্তী সময় থেকেই নাকি কমতে শুরু করেছিল স্টুডিওর চাহিদা। এদিকে বেশ কিছু ঋণ নিয়ে ফেলেছেন নিতিন।
তাঁর এক সহকারী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'নিতিন দেশাইয়ের কিছু আর্থিক সমস্যা ছিল। আমার কাছে সে সাহায্যের জন্য এসেছিলেন। তাঁর ব্যাঙ্ক লোনের দরকার ছিল, অন্য লোন চোকাতে। অন্যদিকে স্টুডিওর ব্যবসাও ভালো যাচ্ছিল না। কোভিডের পর থেকে বেশিরভাগ শ্যুটিংই মুম্বইয়ের দিকের স্টুডিওতেই হচ্ছে।'
নিতিন দেশাই, 'দেবদাস', 'লাগান', 'হাম দিল দে চুকে সনম', 'যোধা আকবর', হালফিলের 'বাজিরাও মাস্তানি'-র মতো সিনেমায় শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়াও বেশ কিছু সিনেমা ও ধারাবাহিকে সফলভাবে প্রযোজনা করেছেন। কিন্তু অর্থকষ্টে তিনি শেষ পর্যন্ত আত্মহননের পথ বেছে নিলেন।
বড়সড় ধাক্কা খেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। এবারে দিল্লির আবগারি মামলায় (Delhi Liquor Scam) প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ অন্যদের ৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রী সীমা সিসোদিয়ার সম্পত্তিও।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইডির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'মণীশ সিসোদিয়া-সহ দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্তদের ৫২ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।' গত ফেব্রুয়ারি মাসে তদন্তে নেমেই দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে একই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটিকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতার হওয়ার পরে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও নিম্ন আদালত ও দিল্লি হাইকোর্ট এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
এদিন ইডির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত মণীশ সিসোদিয়া, তাঁর স্ত্রী সীমা সিসোদিয়া, আমনদীপ সিং ঢাল, রাজেশ জোশি, গৌতম মালহোত্রা-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে মণীশ ও তাঁর স্ত্রীর দুটি সম্পত্তি রয়েছে। এর বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। এই দুটি সম্পত্তি ছাড়াও ব্যাঙ্কে থাকা ১১ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
শাহরুখ (Shahrukh Khan) পুত্র আরিয়ান খানের (Aryan Khan) এই বছরটা বেশ ভালোই যাচ্ছে। কয়েক মাস আগেই ব্যবসায় হাতেখড়ি করেছেন। বাজারে নিয়ে এসেছেন নিজের পোশাকের ব্র্যান্ড। মাত্র একদিনেই সাড়া ফেলেছিল আরিয়ানের 'ডি ইয়াভল'। কিন্তু গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, শাহরুখ পুত্র আরিয়ানকে কী সিনেমার পর্দায় দেখা যাবে না! জানা গিয়েছে, ব্যবসার পাশাপাশি আরিয়ান পা রাখতে চলেছেন বিনোদন জগতেও। তবে অভিনেতা হিসেবে নয়। তিনি থাকবেন ক্যামেরার পিছনে।
আরিয়ান বর্তমানে ব্যস্ত হয়েছেন নিজের ওয়েব সিরিজ পরিচালনায়। গল্প লেখা থেকে সিনেমার কাস্টিং নিয়ে নাকি যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন আরিয়ান। নতুন পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাদশা পুত্র পরিচালিত ৬ এপিসোডের ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে রণবীর কাপুরকে। সম্প্রতি নাকি সিরিজের শ্যুটিংয়ে 'সারপ্রাইজ ভিজিট' করেছিলেন অভিনেতা। কাজের অগ্রগতি দেখে নাকি আরিয়ানের প্রশংসা করেছেন। এমনকি কোনও সাহায্য প্রয়োজন হলে আরিয়ানের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রণবীর। এই সিরিজে নাকি পরিচালক ও প্রযোজক করণ জোহরকেও দেখা যেতে চলেছে।
পরিচালনায় অবশ্য আরিয়ান এই প্রথম নয়। নিজের পোশাকের ব্র্যান্ড 'ডি ইয়াভল'-এর প্রোমোশনের জন্য ভিডিওর পরিচালনা করেছিলেন খোদ আরিয়ান। সেই বিজ্ঞাপনের পর্দায় শাহরুখ খানকে দেখা গিয়েছিল ছেলের পরিচালনায়। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বড় পরিচালনার দিকে এগোচ্ছেন আরিয়ান।
টলিউডের (Tollywood) জনপ্রিয় পরিচালকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। গ্রামের এক যুবককে সিনেমায় হিরো বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর থেকে লক্ষাধিক টাকা আত্মস্যাৎ করেছেন সেই পরিচালক (Director), এমনটাই অভিযোগ। প্রসঙ্গত পরিচালকের হাত ধরে সিনেমায় অভিনয় করে পরবর্তীতে নাম কামিয়েছেন, এমন উদাহরণ অনেক আছে। সেই পরিচালককে নিজের সঞ্চয় দিয়ে ঠকে গিয়েছেন, এই অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন প্রতারিত যুবক।
প্রতারিত ওই যুবকের নাম অক্ষয় গুপ্ত। তিনি বীরভূমের রামপুরহাটের বাসিন্দা। অভিনয় জগতে আসতে চেয়ে পরিচালক পীযূষ সাহার অভিনয় ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, পীযূষ পরিচালিত 'কেল্লাফতে' সিনেমায় অভিনয় করে সিনেমা জগতে নাম কামিয়েছিলেন অঙ্কুশ হাজরা। এমনকি 'বাজিমাত' সিনেমায় অভিনয় করে 'মাস্টার বিট্টু' থেকে হিরো সোহম চক্রবর্তী যাত্রা শুরু করেছিলেন, সেই সিনেমাটির পরিচালকও ছিলেন পীযূষ। পরিচালকের কৃতিত্ব দেখেই তাঁকে অন্ধ বিশ্বাস করে বসেন অক্ষয়।
২০১৯ সালের দিকে পরিচালক নাকি অক্ষয়কে বলেন, তাঁকে সিনেমায় হিরো হিসেবে নিতে চান। সিনেমা তৈরী করতে খরচ হবে ১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে অক্ষয়কে। এসব শুনে প্রথমটায় অক্ষয় অবাক হয়ে গেলে পরিচালক তাঁকে বোঝান, 'এভাবেই সিনেমা তৈরী হয়'। একেই মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে, তার উপর ছোটবেলায় পিতৃহারা। ফলে কিছু কিছু করে টাকা জমিয়ে পরিচালকের হাতে ২০ লক্ষ টাকা তুলে দেন।
কিন্তু সময় পেরিয়ে যায়। করোনা আসে, লকডাউন আসে কিন্তু সিনেমা আর তৈরী হয় না। অক্ষয়ের ফোন ধরা কমিয়ে দেন পরিচালক। এদিকে অক্ষয়ের মা ক্যান্সার আক্রান্ত হন, এই সময় পরিচালকের কাছে অনেক আকুতি মিনতি করেও অক্ষয় টাকা ফেরত পায় না। অবশেষে ২০২২ সালে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে ২৭ মে পুলিস গ্রেফতার করে পরিচালককে। আদালতে অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। এই মামলায় তদন্ত চলছে।
বিনোদন জগতে ফের শোকের ছায়া। একের পর এক মৃত্যু হয়েই চলেছে বিনোদন জগতে। আদিত্য সিং রাজপুত, বৈভবী উপাধ্য়ায়, নীতেশ পাণ্ডের পর এই ভোজপুরী (Bhojpuri) পরিচালক সুভাষচন্দ্র তিওয়ারি (Subhash Chandra Tiwari)। ভোজপুরী ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক হোটেলের রুম থেকে। তাঁর মৃত্যুর কারণ ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, পরিচালক সুভাষচন্দ্র এক ছবির শ্যুটিং-এর জন্য উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রায় তিরুপতি হোটেলে তাঁর টিমের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন। পুলিস সুপারইনটেন্ডড যশবীর সিং বলেছেন, 'হোটেলের কর্মীরা তাঁর ঘরের দরজা ভাঙতেই তাঁর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর দরজায় অনেকক্ষণ ধাক্কা দেওয়ার পর তিনি উত্তর না দেওয়ায় তাঁর ঘরের দরজা ভাঙা হয়। এরপরই তাঁকে মৃত অবস্থা দেখা যায়। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানার জন্য মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পরবর্তী তদন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর করা হবে।'
ফের বিপাকে এডু-টেক কোম্পানি বাইজুস (Byju)। বাইজুর কর্ণধার বাইজু রবীন্দ্রনের (Byju Raveendran) বাড়ি ও অফিসে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। শনিবার সকালেই রবীন্দ্রনের বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার অধীনে বাইজুস সংস্থা, এই সংস্থার বিরুদ্ধে ফেমা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগেই ফেমা আইনের অধীনে ইডি হানা দিয়েছে এই সংস্থায়।
সূত্রের খবর, বাড়ি-অফিসে ইডি আধিকারিকদের তল্লাশি চালানোর পর একাধিক নথি উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই সংস্থায় বিদেশ থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। আবার থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থাও ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা বিদেশি সংস্থায় বিনিয়োগ করেছে। আবার ৯৪৪ কোটি টাকা মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করা হয়েছে। কিন্তু ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত সংস্থার অ্যাকাউন্টের অডিট ঠিকমতো করা হয়নি।
আরও জানা গিয়েছে, এই সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তির থেকে অভিযোগ আসার পরই এই তল্লাশি করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ উঠে এসেছে যে, রবীন্দ্রনকে তলব করা হলেও তিনি তাতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছে, এই সংস্থার সমস্ত তথ্য যাচাই করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।