সন্দেশখালির পর এবার ইডির উপর হামলার তদন্তে বনগাঁয় গেল সিবিআই। সোমবার সকালে ফরেনসিক টিম ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বাড়ি পুরো ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে গত ৫ জানুয়ারি তল্লাশি চালাতে যায় ইডি। প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পথে বাড়ির বাইরে মব তৈরি হয়। হামলা চালানো হয় ইডি আধিকারিকদের গাড়ির উপর। ইডি আধিকারিকদের গাড়ির উপরে হামলার ঘটনায় বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ইডির তরফে। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্ট সেই তদন্তভার দেয় সিবিআই-এর হাতে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিবিআই আধিকারিকরা শঙ্করের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় আসেন এবং সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন। ভিডিওগ্রাফি করে নিয়ে যান। সোমবার ফের ইডির উপর হামলার ঘটনায় বনগাঁয় তদন্তে যায় সিবিআই ও তাদের ফরেনসিক টিম। সমস্ত তদন্ত প্রক্রিয়া ডিজিটাল এভিডেন্স হিসেবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর পরবর্তীতে সিবিআই আধিকারিকরা বনগাঁ পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ-এর বাড়িতে যান। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা ধরে তদন্ত চালায় সিবিআই।
তদন্তে জানা যায়, শঙ্করের বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা CCTV ক্যামেরার তার খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই ঘটনা নিছকই কাকতালীয় নাকি এর পিছনেও লুকিয়ে কোনও রহস্য? ধন্দ কাটাতে বনগাঁ পুরসভায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে নোটিশ সিবিআই এর। ফুটেজ চেয়ে নোটিশ তলব গোপাল শেঠকেও।
সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডির উপর হামলার ঘটনায় এবার তিনজনকে তলব করল সিবিআই। তারমধ্য়ে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ সরবেড়িয়া আগারহাটি অঞ্চলের প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে তলব করলেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্য়ে নিজাম প্য়ালাসে যান জিয়াউদ্দিন।
সূত্রের খবর, আর বাকি দুই জন হলেন, দুরন্ত মোল্লা এবং শফিকুল রহমান। এর আগে এই দুই শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও সিবিআই হানা দিয়েছিল। তারপরে সোমবার তাঁদের তলব করা হয়।
গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে। ঘটনার তদন্তে নেমে শাহজাহান শেখের কললিস্টে জিয়াউদ্দিন মোল্লার নাম দেখা গিয়েছে। এই বিষয়ে এবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে তলব সিবিআই এর। জানা গিয়েছে, শাহজাহানের ডান হাত হিসেবে এলাকায় পরিচিত এই জিয়াউদ্দিন মোল্লা।
শেখ শাহজাহানকে রবিবার বসিরহাট আদালতে পেশ করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সকাল ৮.৩০ টায় নিজাম প্যালেস থেকে বের করে বসিরহাট আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা।
২৮ ফেব্রুয়ারি বসিরহাট জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করার পর ২৯ তারিখ তাকে পেশ করা হয় আদালতে। আদালতের পক্ষ থেকে দশ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। হাইকোর্টের নির্দেশেই শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। শাহজাহানের ঠিকানা হয় নিজাম প্যালেস। সিবিআই হেফাজতে এই ৫ দিন শাহজাহানকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বসিরহাট মহকুমা আদালতে শাহজাহানকে পেশের পর বাকি চার দিনের হেফাজতের আবেদন জানায় সিবিআই।
আদালতে সিবিআই জানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তে এখনও অনেক তথ্য নতুন করে পাওয়ার আছে তাই আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে আরও জানান তদন্তে অসহযোগিতা করছেন শেখ শাহজাহান। তাই তদন্তকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।
শেখ শাহজাহান সিবিআইয়ের হেফাজতে এলেও এখনও উধাও মোবাইল ফোন।তাই শেখ শাহজাহানের ফোনের খোঁজে সিবিআই। পুলিস জানিয়েছে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারের সময় তার ফোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।কিন্তু সিবিআই দাবি করেছে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোন। এমনকি সিবিআই যখন পরবর্তীতে শাহজাহানের আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায় তখনও তারা শাহজাহানের দুটি ফোনের কোনও হদিশ পায়নি বলেই দাবি করেছে সিবিআই। বসিরহাট আদালতে প্রবেশের সময় সাংবাদিকরা একাধিকবার শাহজাহানকে প্রশ্ন করেন আপনার মোবাইল ফোন দুটি কোথায়? নিরুত্তর থাকেন শাহজাহান।
অন্যদিকে এদিন শেখ শাহজাহানের তরফে জামিনের আবেদন করা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। ইডির উপরে হামলার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন শাহজাহান বলে আদালতকে জানান শেখ শাহজাহানের আইনজীবী। মূলত ইডির ওপর হামলার ঘটনায় যে মামলা সেই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই মামলাতেই এদিন বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয় শাহজাহানকে।
ইডির অভিযোগের ভিত্তিতে ন্যাজাট থানায় ২ টি এফআইআর করা হয়। একটি এফআইআর নম্বর ৯ ইডির ওপর হামলার ঘটনায়, অপরটি ৮ যা রাজ্য পুলিস সুয়ো মোটো করেছে।এদিন শুনানি শেষে ৪দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালত। আগামী ১৪ তারিখ ফের শেখ শাহজাহানকে বসিরহাট মহাকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
একেবারে নবাবি মেজাজেই সন্দেশখালিজুড়ে চলত শাহজাহান রাজত্ব। তাঁর গ্রাস থেকে বাদ যায়নি জমি, দোকান এমনকি মানুষও। প্রথমে সাহস ছিল না প্রতিবাদের, তবে ত্রাসের গ্রেফতারি পর বুকে বল পেয়েছেন বাসিন্দারা। একে একে বেরিয়ে আসছে অভিযোগের পাহাড়। সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার মোড়ে বিশাল বড় পাঁচিল দিয়ে ঘেরা রয়েছে 'শেখ শাহজাহান মার্কেট'। পিছনেও রয়েছে এক বঞ্চনায় ভরা ইতিহাস। অভিযোগ, জোর করে জমি দখল করে রাতারাতি গড়ে তোলা হয় বিশাল মার্কেট।
শেখ শাহজাহানের নামের সঙ্গে এই মার্কেটও এখন জনপ্রিয়। মার্কেট তৈরির সময়কালের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের ক্ষমতায় আসার বিস্তর মিল। মার্কেটের সামনেই জ্বলজ্বল করছে ২০১১। শাসক দল ক্ষমতায় বসার পরই বেড়েছিল শাহজাহানের প্রভাব। দলবল নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দখল করা হয়েছিল স্থানীয়দের ১ একর ১৫ শতক জায়গা। রামচন্দ্র মণ্ডল, আরতী মণ্ডল ও নিতাই চন্দ্র মণ্ডলের কাছ থেকে জোর করে জমি সাদা কাগজে লিখিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরেই রাতারাতি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় মার্কেট তৈরির কাজ। কয়েক মাসের সেই মার্কেট রমরমিয়ে চলতে থাকে। যা থেকে মুনাফার সমস্ত টাকাই ঢুকত শেখ শাহজাহানের পকেটে।
মণ্ডল পরিবারের দাবি, সরকারি কাগজপত্রে এখনও তাঁদের নামেই রয়েছে সেই জমি। শাহজাহান গ্রেফতার হতেই জমি ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছে তাঁরা। পুলিসের খাতাতেও জমা পড়েছে অভিযোগ। সেই শাহজাহন মার্কেট এখন সিবিআই স্ক্যানারে। পরপর দু-দিন শাহজাহান মার্কেটেই হানা দিয়েছিলেন আধিকারিকরা। চালানো হয়েছে তল্লাশিও। দড়ি ধরে মারো টান রাজা হবে খান খান-- সেই রাজা আজ গারদে, ভাঙছে সাম্রাজ্য, এখন শুধু অপেক্ষা বিচারের।
সন্দেশখালিকাণ্ডে পরতে পরতে রহস্য। এবার খবরের শিরোনামে শাহজাহানের অফিসের কর্মী দুরন্ত মোল্লার নাম। শাহজাহান মার্কেটে তল্লাশি অভিযানে যেতেই দিদার দুরন্ত মোল্লাকে ডেকে পাঠান ইডি আধিকারিকরা। তাঁর কথায় শাহজাহান মার্কেটের প্রত্যেক দোকানদার কাছ থেকে টাকা তুলে শাহজাহানের অফিসে পৌঁছনোই ছিল দুরন্ত মোল্লা কাজ।
সূত্রের খবর, দিদার দুরন্ত মোল্লা হচ্ছে শাহজাহানের ছায়াসঙ্গী। গত ৫ তারিখ শাহজাহান এই দিদার দুরন্ত মোল্লাকে ফোন করেছিলেন। কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখে দিদার দুরন্ত মোল্লা সম্পর্কে জানতে পারেন সিবিআই। সেই কারণে তার বাড়িতে সিবিআই পৌঁছায়। কিন্তু বাড়িতে ছিলেন না তিনি।
শুধু তাই নয়, টাকার হিসাব দিতে হতো শেখ শাহজাহানকে। প্রত্যেক দোকানদারের থেকে প্রতিদিন সংগ্রহ করা টাকার পরিমাণ ৫-১০০টাকা। মাসে ৪৫-৫০ হাজার টাকা তুলে দিতে হতো শেখ শাহজাহানের হাতে। জানিয়েছেন শাহজাহানের অফিসের কর্মী দুরন্ত মোল্লা।
সূত্র বলছে, ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়ির পাশাপাসি অফিসেও অভিযানের পর ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ন্যাজাট থানায় এফআইআর করেন এই দুরন্ত মোল্লা। দিদার দুরন্ত মোল্লার অভিযোগ ছিল, ইডির তল্লাশির পর শাহাজাহানের অফিস থেকে খোয়া যায় প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।
ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন দুরন্ত মোল্লা, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু যদি মিথ্যে প্রমাণ হয় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেটাই দেখার।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার ফের শেখ শাহজাহানের ডেরায় সিবিআই টিম। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আকুঞ্জিপাড়ায় শাহজাহানের বাড়িতে যায় সিবিআই অফিসাররা। সেই সঙ্গে রয়েছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ৫ই জানুয়ারি এখানেই আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা।
আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার দশ দিনের পুলিসি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে শাহজাহান শেখের। তারপর তাঁকে পেশ করা হবে আদালতে। তবে তার আগে একাধিক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করার উদ্দেশ্য়ে এদিন শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সিবিআই। গত ২৪ শে জানুয়ারি শাহজাহান শেখের এই বাড়ি সিল করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এদিন ইডির দুই অফিসারের উপস্থিতিতে সেই সিল খুলে ভিতরে প্রবেশ করলেন সিবিআই অফিসাররা।
পাশাপাশি সিবিআই আধিকারিকরা যান সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহান-এর মার্কেটে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে অফিস। তারপর খোলা হয় শাহজাহানের অফিসে যাওয়ার সিঁড়ির দরজা। মার্কেটে যায় সিএফএসএল-এর টিমও।
সূত্রের খবর, শাহজাহান শেখের বাড়ির বাইরে রাস্তার মাপ নেন সিবিআই অফিসাররা। তাঁর বাড়ির আশপাশের মেজারমেন্ট নিয়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। যে রাস্তায় ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল, সেই রাস্তার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ মেপে দেখেছেন সিবিআই অফিসাররা।
৫ জানুয়ারি ইডির উপর হামলার ঘটনায় ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ইডি কর্তা গৌরব ভারিল। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে ন্যাজাট থানা। এরপর সন্দেশখালিকে জুড়ে রাজ্য রাজনীতি দেখেছে একাধিক কাণ্ড ও ঘটনাপ্রবাহ। গ্রেফতার হয়েই তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত শাহজাহান। এবার ৫ জানুয়ারির মূল ঘটনার সূত্র ধরে সন্দেশখালির পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের তদন্তে শাহজাহানকে জেরা করছে সিবিআই। এই মামলায় তদন্তে গতি রাখতে ইডি কর্তা গৌরব ভারিলকে তলব করে সিবিআই। তাঁর বয়ান নথিবদ্ধ করে আকুঞ্জিপাড়ার ঘটনার বিবরণ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হতে চাইছে। সিবিআই তলবে সাড়া দিতে ইডি কর্তা নিজাম প্যালেসে হাজিরও হয়েছেন।
যদিও সিআইডির হাতে তদন্তভার থাকাকালীন রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার তলব এড়িয়েছেন গৌরব ভারিল। কোর্ট নির্দেশে সন্দেশখালি-কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েই ন্যাজাট থানার পুলিসের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলার নথিপত্র, কেস ডায়েরি সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, মামলা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে ন্যাজাট থানার পুলিস অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছে। হেফাজতে পেয়েই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘণ্টা দুয়েক জেরা করা হয়েছে শাহজাহানকে। মূলত ৫ জানুয়ারির সকালের প্রেক্ষাপট নিয়ে বেশ কিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে।
শাহজাহানকে জেরার পাশাপাশি সিবিআইয়ের তরফে বসিরহাট আদালতে জমা করা হলো এফআইআর কপি। যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ শেখ শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে, তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দায়ের করা এফআইআর কপি ও আদালতের অর্ডার কপি জমা করা হয়েছে বসিরহাট আদালতে। কোর্ট নির্দেশ থাকলেও একদিন পর সিবিআইয়ের হাতে শেখ শাহজাহানকে তুলে দিয়েছে সিআইডি। তাদের এহেন অবস্থানের কারণ রীতিমতো প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। চলতি মাসের ১০ তারিখ ফের আদালতে হাজির করতে হবে শেখ শাহজাহানকে। এখন দেখার ফের তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নেতাকে হেফাজতে পায় কিনা সিবিআই।
সমস্ত টালবাহানার পর শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে পেল সিবিআই। অবশেষে সন্দেশখালির কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এখন সিবিআই-এর হাতে। গত ৫ জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে তদন্ত করতে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই চলছে শাহজাহানের খোঁজ। দীর্ঘদিন লুকিয়ে থাকার পর দেখা দিলেও, ছিলেন সিআইডির হাতেই। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতের দ্বারস্থ হয়, শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, শেখ শাহজাহান যতদিন সিআইডি হেফাজতে থাকবেন, ততই তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা বাড়বে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তরের দাবি তুলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন মঙ্গলবারেই তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে বিকেল ৪.৩০ এর মধ্যে হস্তান্তর করতে হবে। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য যায় সুপ্রিমকোর্টে। ফের বুধবার ইডি যায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবারও প্রধান বিচারপতিৰ রায়কে বহাল রেখেই আদালত জানায়, তাঁর সিবিআই হস্তান্তরের কথা।
অপরদিকে, বিকেল গড়াতেই ভবানী ভবনে পৌঁছয় সিবিআইয়ের অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এদিকে সিবিআই হস্তান্তরের আগে সিআইডির তরফ থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখান থেকে ভবানীভবনে নিয়ে আসা হয় শাহজাহানকে। অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তরিত হন তিনি। সিবিআইয়ের আধিকারিকদের ঘেরাটোপে রেখে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে।
অবশেষে শাহজাহানের তদন্তভার পেল সিবিআই। বৃহস্পতিবার থেকে এবার শাহজাহান সম্পর্কিত কী তথ্য দেয় সিবিআই- সিআইডিকে দেওয়া জবানবন্দির সঙ্গে সিবিআইকে দেওয়া জবানবন্দি মেলে কিনা, সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করেন কিনা শেখ শাহজাহান- উত্তর দেবে সময়ই।
সন্দেশখালি-কাণ্ডের মূল চক্রী শেখ শাহজাহানকে সিবিআই-এর হেফাজতে হস্তান্তরের নির্দেশ। পাশাপাশি, সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তও করবে সিবিআই। মঙ্গলবার এমনটাই নির্দেশ প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের। সেইমত আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সিবিআই এর বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে শাহজাহানকে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভবানী ভবনে প্রবেশ করল সিবিআই আধিকারিকরা। হাইকোর্টের নির্দেশে বিকেল সাড়ে চারটের মধ্য়ে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এর আগে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই শুনানিতে সন্দেশখালি-কাণ্ডের মূল চক্রী শেখ শাহজাহান কার হেফাজতে থাকবে, তা নিয়ে ইডি, সিবিআই এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে জোর সওয়াল হয়। এই ইস্যুতে ইডির বক্তব্য ছিল যে, শাহজাহান যতক্ষণ পর্যন্ত সিআইডি হেফাজতে থাকবে, তত বেশি তথ্য প্রমাণ লোপাট হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই শাহজাহানকে সিবিআই-এর হেফাজতে দেওয়া হোক।
পাশাপাশি, মামলার তদন্ত সিবিআই-কে দেওয়ার আর্জিও জানান ইডি আধিকারিকরা। শুনানি শেষে সেই মামলার রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। মঙ্গলবার ইডির ওই দাবিকে মান্যতা দিয়েই সন্দেশখালি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে হস্তান্তরের নির্দেশও দেয় আদালত।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মূলত, রাজ্যের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা সরানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। অপরদিকে, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল এই মামলার শুনানি যাতে ভিন রাজ্যে করা হয়। কেন? কারণ, এ রাজ্যে মামলার সাক্ষীদের এবং বিপক্ষের আইনজীবীদের নানান হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে খবর। তাই সিবিআই ভিন রাজ্যে মামলা সরানোর দাবি করে।
তবে সিবিআইয়ের দাবি, মামলা এ রাজ্যে থাকলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই, এবার মামলার শুনানি হবে ভিন রাজ্যেই। এই মর্মে আপাতত মামলার শুনানিতে রাজ্যের বিশেষ আদালতগুলিকে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। তারপরেই তৎপর সিবিআই।
উল্লেখযোগ্যভাবে খবর, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেই খুন হয়েছিলেন মহম্মদ আলি নামে এক যুবক। ওই ব্যক্তি খুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকেও রবিবার বারাসতে নোটিস দেয় সিবিআই। যিনি, ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। তবে, সাংবাদিকদের যেকোনও প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে চলে যান তিনি।
রাজ্যের একাধিক বিশৃঙ্খল ঘটনার মধ্যেই শোনা গেল, এখনও ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার সাক্ষীরা হুমকি পাচ্ছেন। তদন্তকারী সংস্থা বাধ্য হচ্ছে ভিন রাজ্যে মামলার শুনানি হস্তান্তরিত করার আবেদন জানাতে। এ রাজ্যে তবে মামলার বিচারের জন্যও উপযুক্ত পরিস্থিতি নেই? শাসকের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। দাবি বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহলের।
পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় সিবিআই। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীলকে। পাশাপাশি, অয়ন শীলের সংস্থার একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিভিন্ন পুরসভার কর্মীদের-ও। জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার ক্লার্ক, পিয়ন সহ একাধিক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ২০টি সেন্টারে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এই নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিল মূলত ভুয়ো পরীক্ষার্থীরাই। এমনকি প্রার্থী সংখ্যাতেও কারচুপি করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীই সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সেই সময় কারা পরিদর্শক ছিলেন, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মতো বরানগর পুরসভার কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়। বুধবার এই মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন বরানগর পুরসভার ২ কর্মী।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে, এক প্রাক্তনসরকারি কর্মী জানান, তিনি তিনবছর আগে একটি স্কুল থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। তবে বাকি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি তিনি।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যের শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি কি আদৌ সম্ভব? সিবিআইয়ের তদন্তে কি সামনে আসবে এই দুর্নীতির মাথাদের নাম?
বুধবার নিজাম প্যালেসে আসেন দেবরাজ চক্রবর্তী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের 'প্রভাবশালী' কাউন্সিলরকে বাড়ি, অফিসে গিয়ে জেরা করেছে সিবিআই। জমা নিয়েছে কিছু নথিও। তারপর সাতদিন আগেই এই মামলার হাজিরা দিতে নিজাম প্যালেসে এলেও, বুধবার ফের হাজিরা দিতে আসেন দেবরাজ।
সকাল থেকেই জল্পনা চলছিল দেবরাজ নিজাম প্যালেসে আবারও আসবেন কিনা, তা নিয়ে। তবে, দেবরাজ আসেন, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে জানান, 'তদন্তের স্বার্থে আরও কিছু তথ্য আমায় দিতে হবে। তবে যেহেতু তা তদন্তের অংশ, তাই তিনি সেবিষয়ে কিছু বলতে চান না এখনই।'
এমনিতেই দেবরাজের বাড়িতে তদন্ত চালিয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন একাধিক অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্র সহ বেশ কিছু নথি, যা সরাসরি নিয়োগ মামলায় দেবরাজের যোগের কথাই বলে। এখন দেখার এরপর আগামী দিনে নিয়োগ দুর্নীতির চূড়ান্ত চার্জশিটে দেবরাজ চক্রবর্তীর নাম খোদাই থাকে কিনা।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের তল পেতে আবারও তৎপর সিবিআই। তদন্তের গতি বাড়াতেই এবার বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহল। ফের সিবিআই স্ক্যানারে উঠে আসে ওএমআর শিট কারচুপিতে নাম জড়ানো বিতর্কিত সংস্থা এস বসু রায় কোম্পানি। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই শ্রীঘরে ঠাঁই মিলেছে সংস্থার অন্যতম অংশীদার কৌশিক মাজির। এবার সেই সংস্থার দুষ্কর্মের হদিশ মিলল সিবিাইয়ের তদন্তে। যে 'দুষ্কর্ম'-এর অন্যতম সাগরেদ ছিলেন কৌশিক মাঝি, বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এমনকি ২০১৪ টেট পরীক্ষার দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য লোপাটও এই সংস্থার কারসাজি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত বলছে, এস বসু রায় কোম্পানির সার্ভারে দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য স্ক্যান করে রাখা থাকত। যার কোনও বিকল্প রাখা হত না। তাই প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ নতুন তথ্য সার্ভার এ আপডেট হওয়ার ফলে বিগত দিনের তথ্য অনায়াসে প্রতিস্থাপিত হয়ে গিয়েছে।কার্যত এই ভাবেই নতুন তথ্য সার্ভারে রেখে পুরনো তথ্য লোপাট করত এস বসু রায় কোম্পানি।
কিন্তু এস বসু রায় কোম্পানির সার্ভার বদলে ফেলা হয় ২০১৭ সালেই। প্রসঙ্গত, এর আগেও সিবিআই এর লাগাতার তল্লাশি ও ওই সংস্থার আধিকারিকদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে সিবিআইয়ের হাতে উঠে এসেছিল একাধিক চাঞ্চল্যকর নথি, তথ্য প্রমাণ। SSC-র চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল যেমন NYSA, ঠিক তেমনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি, যার সঙ্গে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যেরও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে উঠেছিল অভিযোগ। এই কোম্পানি থেকেই ওএমআর শিটে কারচুপি ও পরীক্ষার্থীদের নম্বর বিকৃত করা হত বলেও মিলেছিল তথ্য। এবার সেই সংস্থায় প্রমাণ গুম করার মূল কাণ্ডারী দাবি করছে সিবিআই। আগামী দিনে সিবিাআই এর তদন্তে এবার সংস্খার আর কোন কোন অপকর্ম প্রকাশ্যে আসে সেটাই দেখার।
ডিভিশন বেঞ্চে ফের ধাক্কা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মেডিক্যাল কলেজ দুর্নীতি মামলায় বুধবারই তাঁর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ হয়। এবার সিবিআইয়ের দায়ের এফআইআরও খারিজ করে দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, আদালত থেকে সংগৃহীত নথি ফেরত দিতে হবে সিবিআইকে।
সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিত করার কথা জানার পরেও কি করে রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস সেই রায়ের কপি সিবিআইকে পাঠালো? বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। আগামী সোমবার মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, ডাক্তারি পরীক্ষায় রিজার্ভ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুয়ো শংসাপত্র। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন দুর্নীতির আবহেই ডাক্তারি পরীক্ষায় এমবিবিএস-এর রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের অভিযোগে আদালতে মামলা রুজু হয়েছিল। এই ঘটনাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ১৪ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরে আবারও মিলেছে জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের তথ্য প্রমাণ। আর তারপরেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও সঙ্গীত শিল্পী অদিতি মুন্সির স্বামী তথা বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীকে তলব করল সিবিআই। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকেও তলব করল সিবিআই। আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ওই দুই তৃণমূল নেতাকে সিবিআই দফতর নিজাম প্য়ালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িত থাকায় এর আগেও তৃণমূলের ওই দুই নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। গতবছর অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকেরা। এমনকি অদিতি মুন্সির গানের স্কুলেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত কয়েকটি নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই নথির সূত্র ধরেই আবারও সিবিআই তলব করল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীকে।
তারপর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেখান থেকেও কিছু নথি ও কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছিল সিবিআধিকারিকের তরফে।