
গরু পাচার মামলায় এবার অনুব্রতর অন্যতম আদেশ রক্ষাকারী তৃণমূল যুব নেতাকে তলব করল সিবিআই। সূত্রের খবর, চলতি বছরের মার্চেই দিল্লিতে ডাক পড়েছিল তাঁর। এবার তৃণমূল যুবনেতা কৃপাময় ঘোষকে, গরুপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, অনুব্রতকে যখন দিল্লি নিয়ে যাচ্ছিল ইডি তখনই পথে শক্তিগড়ে দাঁড়িয়েছিল গাড়ি। সেখানে অনুব্রতর সঙ্গে সবুজ পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তিকে নিয়ে ঘনিয়েছিল রহস্য। তিনিই বাংলা ছাড়ার দিন অনুব্রতর সঙ্গে শক্তিগড়ে বেশ কিছুক্ষণ ‘গল্প’ করেন, কচুরিও খান।
আসানসোল থেকে যাওয়ার পথে বর্ধমানের শক্তিগড়ে একটি হোটেলে দাঁড়িয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। সেখানেই প্রাতঃরাশ খেতে শুরু করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই কেষ্ট মণ্ডলের খাবার টেবিলে দেখা যায় সবুজ পাঞ্জাবি পরিহিত এক ব্যক্তিকে। টিভিতে সেই ছবি দেখাতেই তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয় নানা মহলে। কে তিনি, কীভাবে তিনি অনুব্রতর কাছে গেলেন তা নিয়ে তৈরি হয় নানা প্রশ্ন। পরবর্তীতে জানা যায় এই ব্যক্তিই বীরভূমের তৃণমূল যুবনেতা কৃপাময় ঘোষ। কিন্তু, কে এই কৃপাময়?
সূত্রের খবর, ‘কেষ্টদার’ যে কোনও দরকারে, যে কোনও কাজে সর্বদাই হাজির থাকতেন ‘ভাই’ কৃপাময়। কেষ্টর ছায়াসঙ্গী হিসাবেও পরিচয় রয়েছে তাঁর। তবে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারির পর যে শুধু শক্তিগড়েই তাঁকে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল এমনটা নয়। এর আগে দুবরাজপুর আদালতে অনুব্রতকে তোলার সময় দেখা মিলেছিল কৃপাময়ের।
বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনায় (Balasore Train Accident) অবশেষে শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর চার্জশিট পেশ করল সিবিআই (CBI)। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে তিন রেলকর্মীর। তাঁদের বিরুদ্ধে আগেই একাধিক ধারায় মামলা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ৭ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল রেলের এই তিন কর্মীকে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা তিন অভিযুক্ত হলেন অরুণ কুমার মহাপাত্র, মহম্মদ আমির খান এবং পাপ্পু কুমার। উল্লেখ্য, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বালাসোরের এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল মোট ২৯৬ জনের ও আহত হয়েছিলেন ১,২০০ জনের বেশি।
চলতি বছরের ২ জুন ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল ওড়িশার বালাসোরে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি। সেই দুর্ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। এর পর দুর্ঘটনার তদন্তভার পায় সিবিআই। এই তদন্তের মাঝেই চলতি মাসের প্রথম দিকে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি ছিল না। কর্মীদের ভুলেই এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। একই কারণ দেখিয়ে গত ৭ জুলাই রেলের তিন কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
আর এবারে এই তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। এই তিন রেলকর্মীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ ধারা অর্থাৎ অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ড ও ২০১ ধারা অর্থাৎ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় মামলা করেছে সিবিআই। এদিন বিশেষ সিবিআই আদালতে সেই চার্জশিট পেশ করে সিবিআই।
ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই ইডি এবং সিবিআইয়ের সক্রিয়তা বাড়বে। মুম্বইয়ে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র বৈঠকে উপস্থিত হয়ে নেতাদের সতর্ক করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। তাঁর আশঙ্কা, লোকসভা ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীদের উপর অত্যাচার আরও বাড়াবে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে এজেন্সির সক্রিয়তা আরও বাড়বে। গ্রেফতারিও করা হতে পারে দাবি তাঁর।
শুক্রবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হয় মুম্বইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে। সেখানে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, "পাটনা ও বেঙ্গালুরুর বৈঠক দেখে আশঙ্কা বেড়েছে বিজেপির। সেকারণে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে আক্রমণ বাড়ানো হচ্ছে। তাঁর আশঙ্কা, মণিপুর, মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে চাপে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে সেখান থেকে নজর ঘোরাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে সক্রিয় করা হবে।
তবে শুধু মল্লিকার্জুন খড়গে নয়, এর আগেও এই দাবি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজেন্সি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।
তথ্য জালিয়াতি করে চাকরি পাওয়ার একটি মামলায় সিআইডিকে প্রশংসা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। পাশাপাশি এ বিষয়ে সিবিআইকে টেনে হেনস্থাও করেন তিনি। মুর্শিদাবাদের গোথা স্কুল মামলায় সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে সন্তুষ্ট আদালত। শুক্রবারের একটি শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, এবার ঠিক পথে তদন্ত এগোচ্ছে। তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “মনে হচ্ছে সিবিআই-এর আগে সিআইডি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।” এদিনের শুনানিতে বিচারপতি সিআইডি-র আইনজীবীর কাছে জানতে পান, “নথি জালিয়াতি করে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে?” সিআইডি-র আইনজীবী উত্তরে জানান, ‘হ্যাঁ’। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “তাঁদের ডেকেছেন?” সিআইডি-র আইনজীবী উত্তরে জানান, “না, আমরা এখন নথি পরীক্ষা করে দেখছি।” বিচারপতি নির্দেশ দেন, “জেলা স্কুল পরিদর্শকদের বলুন এই শিক্ষকদের ওপর নজর রাখতে।”
প্রসঙ্গত, বাবার স্কুলেই নথি জালিয়াতি করে চাকরি পান অনিমেশ তিওয়ারি। তিনি মুর্শিদাবাদের সুতির গোঠা এ আর রহমন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। অভিযোগ, নথি জাল করে স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন অনিমেশ। বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
তদন্ত করতে একাধিকবার ওই স্কুলে যান সিআইডি আধিকারিকরা। স্কুলের নথিপত্র খতিয়ে দেখেন তাঁরা। উল্লেখ্য, অনিমেশের বাবা আবার ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ ওঠে, তিনিই প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে স্কুলে চাকরি করিয়ে দিয়েছেন। সেই মামলায় বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ ছিল, রাজ্যের অধীনস্থ সংস্থাগুলি পরস্পরকে সহযোগিতা করে কাজ করুন। সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।” সিটকে যাতে সাহায্য করে, তার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেন তিনি। আগামী ১৮ ই সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি।
সুপ্রিম কোর্টের থেকে নির্দেশ পেয়ে রাজ্যের পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আদাজল খেয়ে নেমেছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই দুর্নীতির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে তলব করেছিল সিবিআই। সেই তদন্তে বৃহস্পতিবার হাজিরা এড়ালেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী। তাঁর দাবি, এই ব্যাপারে তাঁকে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি।
সল্টলেকে থেকে গ্রেফতার অয়ন শীলকে জেরা করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানতে পেরেছিল, রাজ্যের ১৫টির বেশি পুরসভায় নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছিল ইডি এবং সিবিআই। সম্প্রতি এই তাদেরই এই তদন্ত চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালত থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই এই দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের প্রথম মন্ত্রী হিসাবে তলব করা হয়েছিল সুজিত বসুকে। সিবিআইয়ের দাবি, অনেক আগে থেকেই রাজ্যের মন্ত্রীকে এই ব্যাপারে নোটিস পাঠানো হয়েছে। যদি তিনি না আসেন পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ করা হবে তা পরে বিবেচনা করে দেখা হবে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে তলব সিবিআইয়ের। ৩১ অগাস্ট সকাল ১১ টায় মন্ত্রীকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই হাজিরার নোটিস মন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, পুর নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছে।
ধৃত অয়ন শীলের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক উল্লেখযোগ্য তথ্য পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। তারপর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি। তদন্তে নেমে ১৪ টি পুরসভায় তল্লাশি চালিয়ে ২০১৬ থেকে পুরসভায় নিয়োগে একাধিক দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে গোয়েন্দাদের হাতে। তালিকায় ছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভার নাম।
আর ২০১৬ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপুরপ্রধান ছিলেন সুজিত বসু। সেকারণেই মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবার মন্ত্রী হাজিরা দেন কি না, সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।
পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে তলব করল সিবিআই। সূত্রের খবর, ৩১ অগাস্ট, তাঁকে তলব করা হয়েছে। বুধবার সেই নোটিস স্পিড পোস্টে পাঠানো হয়েছে। পুর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে হাকোর্টের আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ার পর আরও তৎপর সিবিআই। নিজাম প্যালেস এবার রাজ্যের এক মন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছে।
সূত্রের খবর, পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই। সেই সময় ওই মন্ত্রী একটি পুরসভার দায়িত্বে ছিলেন। সেই পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। পুরনিয়োগ দুর্নীতি চক্রের অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় কীভাবে, সব জানতেই তলব করা হয়েছে ওই মন্ত্রীকে।
উল্লেখ্য, অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ প্রথম সামনে আসে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও সেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টও হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে।
ভারতীয় সেনায় পাক নাগরিক। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছিল এই অভিযোগ। গৃহিত হয়েছিল মামলাও। বুধবার সেই মামলায় নতুন মোড় নিল। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে এবার এফআইআর করার নির্দেশ দিলেন। আদালতের নির্দেশে প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি দেখছিল সিবিআই। এদিন এই মামলায় হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা পড়ে। তারপরেই এফআইআরের নির্দেশ।
নথি জাল করে ভারতীয় সেনায় নিয়োগ হয়েছে। নিজেদের রিপোর্টে দাবি করেছে সিবিআই। এমনকী এই ব্যাপারে তথ্য প্রমাণ রয়েছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও নথি জাল করে ভারতীয় সেনা কোনও পাক নাগরিক চাকরি করছেন কীনা, তা এখনও নিশ্চিত নয় বলেই দাবি। গুরুত্ব বিচার করে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্ত শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মূলত বারাকপুরে ভারতীয় সেনায় চাকরি করছেন দুই পাক নাগরিক। এই অভিযোগেই সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলাকারী বিষ্ণু চৌধুরীর অভিযোগ ছিল ছদ্মনামে দুই পাক নাগরিক ভারতীয় সেনায় চাকরি করছেন। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। পরে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।
অগ্নিগর্ভ মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো ও গণধর্ষণের ঘটনা। এবার বৃহস্পতিবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত ৪ মে রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁদের বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ এই ঘটনায় আগেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এবার ঘটনার তদন্ত শুরু করবে সিবিআই।
মণিপুরের ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে সব মহলে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঘটনার নিন্দা করে। বাদল অধিবেশনে মণিপুরকে হাতিয়ার করে প্রচার শুরু করেছে বিরোধী শিবিরও। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। মণিপুরের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক ব্যক্তি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, দুই মহিলার উপর অত্যাচারের ভিডিও করেছিলেন যিনি, তাঁকেই এবার গ্রেফতার করা হল। ধৃতের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনায় আগে মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ৮।
মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সংসদে। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে সামিল হন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'। সেইসঙ্গে, ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের প্রতিনিধি দল মণিপুর যাচ্ছে। জানা গিয়েছে ২৯ ও ৩০ জুলাই মণিুপুরে যাবেন ২৬ দলের সাংসদরা।
বিরোধী জোট সূত্রে খবর, ২৯ জুলাই সাংসদরা দিল্লি থেকে মণিপুর পৌঁছবেন। দুদিন ধরে সেই রাজ্যে থাকবেও তাঁরা। বিরোধী সাংসদদের দলে কে কে থাকবেন, সেই নাম জানা যায়নি। অন্যদিকে, মণিপুর ইস্যুতে অশান্তির আবহে বৃহস্পতিবার গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত ৪ মে রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁদের বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয় গোটা দেশ। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঘটনার নিন্দা করে।
রাতের পর ফের সকালে প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার রাতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিককে। ফের সকাল হতেই জেরা শুরু প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে ঢোকেন তদন্তকারীরা। প্রেসিডেন্সির ভিতরে রয়েছে চার সদস্যের দল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই মানিককে জেরা করছে সিবিআই। এমনকী, তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরার অনুমতি রয়েছে হাইকোর্টের তরফে। তবে সূত্রের খবর, জেল হেফাজতে থাকা মানিককে সিবিআই নিজের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘পোস্টিং’ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগ ছিল, বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে বলা হয়েছিল বীরভূম, হুগলিতে কোনও শূন্যপদ নেই। যাদের বাছাই করা হয়েছিল তাদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৭ দিন পর জানা যায়, শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ওই জেলায়। সেখানে চার জেলা মিলিয়ে ৪০০ প্রার্থীকে নেওয়া হয়। অভিযোগ তুলে এই সংক্রান্ত মামলাও দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। সেখানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, এত তাড়াতাড়ি কীভাবে এতগুলি শূন্যপদ তৈরি হল? সেক্ষেত্রে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতির যোগ রয়েছে বলেই মনে করছেন বিচারপতি। সেটাই খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফের অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের (Bail) আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। প্রায় ৩২৩ দিন জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। শুক্রবারও প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করে জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআই (CBI) আইনজীবী। শুক্রবার ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথম থেকেই জামিনের জন্য আবেদন করে আসছিলেন অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। কিন্তু পাল্টা যুক্তি দেন সিবিআই আইনজীবী। দুপক্ষের শুনানি শেষে ফের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
শুক্রবার শুনানি চলাকালীন, বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সি বি আইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যর উদ্দেশে বলেন, ২৮৩ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। আর কতজনের সাক্ষী লাগবে?? জবাবে সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, তদন্তে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। তাই এখনও কয়েকজনের বয়ান প্রয়োজন। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, দ্রুত শেষ করা হবে তদন্ত।
দুপক্ষের বক্তব্য শুনে প্রথমে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। যদিও তার ঘণ্টা দুয়েক পর অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ৫টি চার্জশিট জমা পড়েছে। তবে কবে থেকে ট্রায়াল শুরু হবে তা এখনও জানা যায়নি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নের (Nomination) নথি বিকৃতির ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশকে খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে মনোনয়নের নথি বিকৃতির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। উক্ত মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। ওই মামলার শুনানিতে গত সপ্তাহে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ অর্থাৎ সোমবার ওই মামলার রায়দান ঘোষণা হল।
সূত্রের খবর, সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে খারিজ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ একটি সিট গঠন করার নির্দেশ দেয়। এবং ঐ সিট-ই এই ঘটনা তদন্ত করে দেখবে বলে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়া ডিভিশন বেঞ্চের আরও নির্দেশ যে, এই সিটের তদন্তে নজরদারি রাখবে কলকাতা হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্ব-তে বিডিও বিরুদ্ধে নথি বিকৃতির অভিযোগ তোলেন উলুবেরিয়া এক ব্লকের দুইজন প্রার্থী। ওমজা বিবি ও কাশ্মীরা বিবি। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টের একটি মামলাও দায়ের করা হয়। ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। যদিও ওই নির্দেশ সোমবার খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
মাত্রাতিরিক্ত ইলেকট্রিক বিলের (Electric Bill) জন্য ভোগান্তির শেষ নেই সাধারণ মানুষের। প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে নাজেহাল পরিস্থিতি। ফলে এই অবস্থায় এসি, ফ্যানের ব্যবহার বেশি পরিমাণে করতেই হয়। তাই প্রচুর পরিমাণে বিলও আসে। ফলে এবারে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই কেন্দ্রের তরফে এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক। বিদ্যুৎ (Electricity) পরিষেবার নিয়মে পরিবর্তন আনল শক্তি মন্ত্রক (Power Ministry)।
শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, দিনে খরচ হওয়া বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ কম ট্যারিফ (Tarrif) লাগবে। অর্থাৎ দিনের বেলায় যত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে, তার সাপেক্ষে যত টাকা বিল হয়, তার থেকে ২০ শতাংশ কম খরচ লাগবে। তবে রাতের ক্ষেত্রে অন্য নিয়ম। জানানো হয়েছে, রাতের বেলা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে, তার ২০ শতাংশ বেশি ট্যারিফ লাগবে।
গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের যে ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে এবং তার জেরে বিদ্যুতের গ্রিডগুলির উপরে যে চাপ পড়ছে, তা কমানোর উদ্দেশেই শক্তি মন্ত্রকের তরফে এই বদল আনা হচ্ছে। আগামী ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই নিয়ম চালু করা হবে। প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক গ্রাহক ও শিল্পাঞ্চলগুলির জন্যই এই নিয়ম চালু করা হবে। এর এক বছরের মধ্যে বাকি সমস্ত গ্রাহকদের জন্যই এই নিয়ম কার্যকর করা হবে বলে খবর।
বাড়িতে রয়েছে মাত্র দুটি বাল্ব, কিন্তু ইলেকট্রিক বিল (Electric Bill) এসেছে লক্ষাধিক। অবাক হচ্ছেন তো! তবে এটাই সত্যি। ঘটনাটি কর্নাটকের (Karnataka) কোপ্পালের (Koppal)। জানা গিয়েছে, সেই ছোট্ট বাড়িটিতে থাকেন এক নব্বই বছরের বৃদ্ধা গিরিজাম্মা। তিনিই জানিয়েছেন যে, তাঁর বাড়িতে রয়েছেই মাত্র দুটি বাল্ব, কিন্তু তাঁর ইলেকট্রিক বিল এসেছে ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকা। এই বিল দেখে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কোপ্পালের ভাগ্যনগরের বাসিন্দা গিরিজাম্মা। সেরাজ্যের সরকারের ভাগ্য জ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমেই বাড়িতে ইলেকট্রিক পেয়েছেন তিনি। আর এই প্রকল্পের অধীনেই ১৮ ইউনিট পর্যন্ত বিনা পয়সায় ইলেকট্রিক পাওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু এর একেবারেই বিপরীতটা ঘটেছে। বিনা পয়সায় ইলেকট্রিক পাওয়া তো দূর, গিরিজাম্মার এমন বিল এসেছে, যার জন্য বড় সমস্যায় পড়েছেন তিনি।
গিরিজাম্মা জানিয়েছেন, প্রত্যেকমাসে ৭০-৮০ টাকা তাঁর ইলেকট্রিক বিল আসে। কিন্তু মে মাসের বিল দেখে তাঁর চক্ষু চড়াকগাছ। তাঁর বাড়িতে রয়েছেই মাত্র দুটি বাল্ব, একটি ঘরের ভিতরে ও একটি বাইরে। ফলে কীভাবে এত বিল আসে, তাই নিয়ে দিশাহারা বৃদ্ধা। এরপর এই খবর স্থানীয়েরা জানতে পেরে বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে জানালে, দফতর থেকে প্রতিনিধিরা এসে দেখেন যে, তাঁর মিটারটি অনেকদিনের পুরনো ও ত্রুটিপূর্ণ। ফলে এমনটা ঘটেছে। বিদ্যুৎ দফতরের থেকে এও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে তারা এটা বদলে দেবে ও ইলেকট্রিক বিলও ঠিক করে নতুন করে পাঠানো হবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayet Election) মনোনয়নের (Nomination) নথি বিকৃতির ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশকে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই জানাল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার দুপুর ২টোয় এই মামলার রায় ঘোষণা করবে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
নির্বাচনী নথি বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য সরকারের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)-এর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই প্রার্থী। সেই মামলায় বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে।
সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শুক্রবার মামলাটি শোনা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের কাশ্মীরা বিবি, ওমজা বিবির মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে ওই বিডিও-র বিরুদ্ধে। মামলাকারীদের অভিযোগ, নথি বিকৃত করার ফলেই স্ক্রুটিনি থেকে বাদ চলে যায় এই প্রার্থীদের নাম। বিডিও-র কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে দাবি করা হয়। মামলা হলে বিচারপতি অমৃতা সিংহ সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করল ডিভিশন বেঞ্চ।