Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

AbhishekBanerjee

Governor: কলকাতা ফিরছেন রাজ্যপাল বোস! জোর জল্পনা অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে

আজই কলকাতা নামছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। একদিকে রাজ্যপাল ছিলেন দিল্লি সফরে। অন্যদিকে রাজ্য পালের সঙ্গে দেখা করে ১০০ দিনের বকেয়া টাকার দাবিতে জনসাধারণের চিঠি তারই হাতে তুলে দেবেন বলে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। সেখানেই অর্থাৎ দিল্লির কৃষি ভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত সাংসদের। এরপরেই দিল্লি থেকে কলকাতার রাজভবন অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করে অভিষেক। চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার কলকাতা অভিযানে নেমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনেই ধরনায় বসেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তার হাতে চিঠি তুলে দেবেন বলে।

ওদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করতে দার্জিলিং আসার জন্য অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। এরপর তার  আবেদনে সাড়া দিয়ে তৃণমূলে তিন প্রতিনিধি সহ একটি দল অর্থাৎ মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও দুই সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। গতকাল অর্থাৎ শনিবার এই বৈঠকের পরে আজ অর্থাৎ রবিবারে কলকাতা আসতে চলেছেন রাজ্যপাল বোস। সূত্রের খবর সন্ধ্যা সাতটা দশ মিনিটে তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছাবেন। এ অবস্থায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার যে সাক্ষাৎ তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা রাজনীতি মহলে।

7 months ago
Kalyan: কলকাতায় অভিষেকের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল, দাবি কল্যাণের

কলকাতায় ফিরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার দার্জিলিঙে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্য সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে বকেয়া নিয়ে আলোচনা করতে খুব দ্রুতই কলকাতা ফিরছেন রাজ্যপাল। কিন্তু এর মধ্যে যদি কোনও রাজনৈতিক বাধা থাকে, তা হলে রাজ্যপাল কিছু করতে পারবেন না বলেও দাবি কল্যাণের।

রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে এদিন দার্জিলিং গিয়েছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ মহুলা মৈত্র এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বৈঠক শেষে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলবেন রাজ্যপাল।

এদিকে, বাহাত্তর ঘণ্টা হল রাজভবনের সামনে ধরনায় বসে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর পর পাল্টা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এই পরিস্থিতে এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

7 months ago
Summon: নোটিশ দিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন অভিষেকের মা! কি করবেন বাবা অমিত বন্দোপাধ্যায়

গতকাল অর্থাৎ ৬ অক্টোবর ইডির দফতরে হাজিরার কথা ছিল লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর হিসাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে শুক্রবার তিনি হাজিরা দেননি। সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে আইনজীবী মারফত লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইডিকে চিঠি পাঠান। জানান, নোটিস অনুযায়ী এদিন হাজিরা দিতে পারছেন না। ইডি যদিও অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করে। আজ অর্থাৎ শনিবার অভিষেকের বাবা অমিত বন্দোপাধ্যায়কে হাজিরা দিতে বলা হয়। এ অবস্থায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বাবা কি হাজিরা দেবেন এ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে এই মুহূর্তে জড়িয়ে রয়েছে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার নামও। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতার করার পরই এই সংস্থার খোঁজখবর শুরু করে ইডি। এরপরই এই সংস্থার ডিরেক্টর-সহ অন্যান্য পদাধিকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

সেইমতো তলব করা হয়েছে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর মা-বাবাকে। ৬ তারিখ অভিষেকের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকার পাশাপাশি ৭ অক্টোবর শনিবার অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, অভিষেক-পত্নী রুজিরাকেও ডাকা হয়েছে। যদিও আদালতের নির্দেশে অভিষেককে ১০ তারিখ ইডি দফতরে সশরীরে হাজিরা দিতে হচ্ছে না। এদিনের মধ্যে ইডি নথি জমা দেবেন ইডিকে। ভাল করে তা খতিয়ে দেখবে তদন্তকারী সংস্থা। এরপর দরকার হলে সমন। সেক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা আগে নোটিস পাঠাতে হবে। তবে শনিবার অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন কি না সেদিকেই নজর।

7 months ago


Abhishek: ফাঁকা রাজভবনের সামনেই রাতভর ধরনা মঞ্চে নাছোড়বান্দা অভিষেক

কথামতো রাতভর ধরনা মঞ্চেই কাটালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি থেকেই রাজভবন অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন। এরপর বৃহস্পতিবার অর্থাৎ গতকাল বিকেলে রাজভবন অবধি তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একটি মিছিল আয়োজন করে তৃণমূল। দায়িত্ব ছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। রাজভবন ওই মিছিল পৌঁছানোর পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে যতক্ষণ অবধি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না হচ্ছে ততক্ষণ তিনি ওখানেই ধরনা দেবেন। এবং তিনি সেখানেই ঘোষণা করেন কোনও ভাবেই তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না করে রাজভবন ছাড়বেন না।

এরপর যে কথা সেই কাজ, রাতভর ধর্নামঞ্চেই কাটালেন অভিষেকরা। রাত বাড়লে ধর্নামঞ্চেই হল গানও। দিল্লিতে ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদে অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন, বৃহস্পতিবারের ‘রাজভবন চলো’ কর্মসূচির কথা। ঠিক ছিল, মিছিল করে এসে কেন্দ্রের প্রতিনিধি অর্থাৎ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁকেই স্মারকলিপি দেবে তৃণমূল।

কিন্তু বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে উত্তরবঙ্গে এসে বন্যা পরিস্থিতি দেখে আবার দিল্লিতেই ফিরে যান রাজ্যপাল, রাজভবনে না ফেরায় তাঁর সঙ্গে দেখাও হয়নি অভিষেকদের। এরপরই অভিষেক জানিয়ে দেন, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না করা পর্যন্ত ধরণা চলবে। ওদিকে ফাঁকা রাজ ভবনের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরণা কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী শিবির। তাদের দাবি ফাঁকা রাজভবনের সামনে ধরণা করে তিনি লোককে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন। এতে কোন লাভ হবে না। এছাড়া বিজেপির তরফ থেকে বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য জানান, লোকসভা ভোটে মানুষকে ফের বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে আদতে ১০০ দিনের টাকা ও আবাস যোজনা, সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতিতে যুক্ত তৃণমূল। এ অবস্থায় মানুষকে বোকা বানাতে এ ধরনের ধরণা, প্রতিবাদ, করছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল।

7 months ago
ED: আজ কি হাজিরা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা!

প্রাথমিক শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে বারবার তদন্তে উঠে এসেছে লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থার নাম। এ অবস্থায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এরপর তদন্ত যতই এগিয়েছে তলব করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোটা পরিবারকে। শুক্রবার অবশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দোপাধ্যায়কে। হাজিরা দিতে বলা হয় ইডির কলকাতার দফতর অর্থাৎ সিজিও কমপ্লেক্সে। এ অবস্থায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের মা কি হাজিরা দেবেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অর্থাৎ অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়। পাশাপাশি সোমবার অর্থাৎ ৯ই অক্টোবর তলব করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এছাড়া অভিষেকদের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করা হয় ১১ই অক্টোবর। এ অবস্থায় আদালতের নজরদারি অর্থাৎ অমৃতা সিনহার নজরদারিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই মামলার তদন্ত সহযোগিতা করতে বলা হয়। তদন্তে আদালতের একতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অবশ্য জোর ধাক্কা খায় রাজ্য তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় ইডির চাওয়া নথি দশই অক্টোবরের মধ্যে অভিষেককে দিতে হবে। তাতে কোনও দেরি করা যাবে না। প্রয়োজনে ইডি তাঁকে ডেকে ১০ থেকে ১৫ ঘন্টাও জিজ্ঞাসা করতে পারে।

7 months ago


Abhishek: অভিষেককে ইডির হাজিরা দিতেই হবে! ডিভিশন বেঞ্চে জোর ধাক্কা তৃণমূল সাংসদের

তদন্তকারী সংস্থা অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিচ্ছে। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের রায়েও হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই। এটা আদালতের নজরদারিতে তদন্ত। তাই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নামে ইডি-র সমন বা সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ কোনোটাতেই এখনই স্থগিতাদেশ নয়। স্পষ্ট জানিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন সংক্রান্ত মামলায় এই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের। ফলে ইডি তদন্তের মুখে যে পড়তেই হচ্ছে অভিষেককে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। (ডিভিশন বেঞ্চে কার্যত জোর ধাক্কা তৃণমূল সাংসদের। ) কিন্তু, একই সঙ্গে বিচারপতির প্রস্তাব, ১২ অক্টোবরের মধ্যে হাজিরা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত তথ্য দিয়ে দিন। আরও তথ্যের প্রয়োজন হলে আরও কিছুদিন সময় দিতে পারে ইডি। এটাও হতে পারে, হাজিরার আগে সব তথ্য পাঠিয়ে দিতে পারেন তিনি ও পরে হাজিরা দিতেই পারেন। পাশাপাশি, ইডি-কেও চরম ভর্ৎসনা করে বিচারপতি জানান, অর্ডার শুধু বলে যে সম্পদ প্রকাশ করুন। ব্যালেন্স শিট-এ গিয়ে ইডি-র খুঁজে বের করা উচিত ছিল, কী সম্পত্তি অর্জিত হয়েছে। আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে একেবারেই অযোগ্য তদন্তকারী সংস্থা। তারা ১৯ মাস ধরে কী করছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত হতে পারেন না।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র কাছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও ও ডিরেক্টরদের সম্পত্তির হিসেব চেয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই রিপোর্ট ইডি জমা দিলেও তা দেখে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি। ফের ১০ তারিখ রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি। পাশাপাশি, ৩ অক্টোবর ইডি অভিষেককে তলব করেছিল, সেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনও ব্যাঘাত যাতে না হয়, তা ইডি-কে নিশ্চিত করতে হবে বলেও নির্দেশ ছিল বিচারপতি সিনহার। তবে হাজিরা এড়িয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন অভিষেক।

মামলার শুনানিতে বুধবার আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, আগামী ৯ তারিখ অভিষেককে ডাকা হয়েছে ইডি দফতরে। বিচারপতির প্রশ্ন, অভিষেকের ভয় কিসের? তাঁর সম্পত্তির হদিস তদন্তকারী সংস্থাকে দিতে অসুবিধা কোথায়? তাঁর অর্জিত সম্পত্তি, তাঁর উপার্জনের ফলে হলে অসুবিধা কোথায়? সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ভুল নেই। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপের প্রয়োজনও নেই  বলেই মনে করছে আদালত। অর্থের উৎস খুঁজে বের করতে হবে ইডি-কেই। নির্দেশ বিচারপতির।

7 months ago
ED: লিপস এন্ড বাউন্ডস প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের অভিষেককে তলব ইডির

অক্টোবর তিন তারিখ হাজিরা না দিলেও ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব ইডির। ইডি সূত্রে খবর, আগামী সোমবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ জন্য এর পূর্বেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে ইডি। এবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে লিপস এন্ড বাউন্ডস প্রসঙ্গে ওই কোম্পানির সিইও হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে ইডি। সেই হাজিরা এড়ালেও ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে, পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর মা, বাবাকেও তলব করেছে ইডি।

7 months ago
Abhishek: 'প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে,' অভিষেকদের মনে করিয়ে দিল দিল্লি পুলিশ

মণি ভট্টাচার্য: দুটি লড়াই-ই সমগোত্রীয়, দুটিই অধিকারের দাবিতে। একটি, রাজ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির দাবিতে, অন্যটি বাংলার বকেয়া আদায়ের দাবিতে। আর এই দুই লড়াইকেই এখন একই দাঁড়িপাল্লায় মাপছে বাংলার জনসাধারণের একাংশ। একদিকে বাংলায় দিনের পর দিন অধিকারের দাবিতে পুলিশের লাঠির বাড়ি জুটেছে চাকরিপ্রার্থীদের। অন্যদিকে, সোমবার ও মঙ্গলবারে দিল্লিতে তৃণমূলের আন্দোলনের চিত্রটিও যেন কিছুটা একইরকম। কখনও খেলেন পুলিশের তাড়া, কিংবা কখনও অভিষেক সহ সমস্ত সাংসদদের টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। ঠিক যেমনটা চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে করা হয় এ রাজ্যে। দিল্লির পুলিশ যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে মনে করিয়ে দিলেন, 'প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।'

হ্যাঁ, একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি জর্জরিত রাজ্য, ঠিক তখনও রাস্তায় বসে কাতরাচ্ছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। তখনও হুশ ফেরে না প্রশাসনের। চ্যাংদোলা করে, কখনও আন্দোলনকারীদের কামড়ে, কখনও রাত বাড়লেই মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে লাঠিচার্জ, সে এক নির্মম অত্যাচার। এই ঘটনা লিখতে গেলেই মনে পড়ে যায়, ক্যা-এনআরসি আন্দোলন চলাকালীন কবি আমির আজিজের লেখা কবিতার দুটি লাইন। 'রাত্রি হলে অধিকার দাবিতে গুলি আর লাঠির বাড়ি, যাদের গায়ে আঘাত তাদেরকেই বলা বদমাইশের ধারি,' আন্দোলন ও প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও লাইন দুটি আজ বড়ই প্রাসঙ্গিক। এভাবেই প্রত্যেকবার বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কেউ কখনও তাঁদের কথা শোনেইনি। বরং রাজনীতির আঙিনা বাঁচাতে প্রতিশ্রুতি জুটেছে তাঁদের। ঠিক তেমনই তৃণমূল দিল্লির রাজপথে ধরণা-প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করলেও কেউই শুনলো না তাঁদের কথা, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও দেখা মিলল না কেন্দীয় মন্ত্রীর। বরং চ্যাংদোলা করে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে।

আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজে বকেয়ার দাবি তুলে দিল্লির রাজপথে কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। চলতি সপ্তাহেই সোমবার অর্থাৎ তৃণমূলের আন্দোলনের প্রথম দিনই কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং জানিয়েছিলেন, ৫৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল আবাস যোজনা খাতে। সেই টাকার হিসাব তৃণমূল দেখাতে পারছেনা। ফলে গিরিরাজ সিংয়ের অভিযোগ সেখানেও টাকার নয়-ছয় হয়েছে। পাশাপাশি জবকার্ডের ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ জবকার্ড ভুয়ো বলে দাবি করেন তিনি।

কেন্দীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কৃষি ভবনে ধরনা দিলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সাংদেরও জোরপূর্বক প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। মোটের উপর প্রথম বারের জন্য প্রিজন ভ্যানে ওঠার অভিজ্ঞতা হলো তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডের। এরই প্রতিবাদের সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি দাবি করেন, '৩রা অক্টোবর দেশের জন্য কালো দিন।' প্রশ্ন উঠছে, জোর করে, টেনে-হিঁচড়ে, কামড়ে, লাঠির বাড়ি মেরে বাংলায় প্রতিনিয়ত চাকরিপ্রার্থীদের মারধর করা হয়। ওদের আন্দোলনও তো অধিকারের দাবিতে। ওদের ক্ষেত্রে তবে আপনাকে সরব হতে দেখা যায় না কেন? নাকি আপনি কেবল আপনার সাংসদদের মুখ্যমন্ত্রী! রাজ্যের যোগ্য চাকরিপ্রার্থী কিংবা সমস্ত আপামর জন সাধারণের মুখ্যমন্ত্রী নয়?

7 months ago


Abhishek: দিল্লির থানা থেকে বেরিয়ে কলকাতায় রাজভবন অভিযানের ডাক অভিষেকের

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রতিবাদ সত্যাগ্রহ আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করা হলেও, মঙ্গলবার দিনশেষে তা আর সত্যাগ্রহ বলা চলে না। একদিকে যেমন সোমবার রাজঘাটে, দিল্লি পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানদের তাড়া খায় তৃণমূল, অন্যদিকে মঙ্গলবার কৃষিভবনে অবস্থান বিক্ষোভ করতে গিয়ে ফের দিল্লি পুলিশের হেনস্তার মুখে তৃণমূল উচ্চ নেতৃত্ব সহ সংসদরা। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করবেন বলে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল সাংসদরা।

এরই পাল্টা ওই বিক্ষোভ তুলতে এলে পুলিশ রীতিমতো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত তৃণমূল নেতৃত্বকে টেনে-হিচড়ে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তুলে আটক করে। প্রায় দু'ঘণ্টা পর ওই সংসদের মুখার্জিনগর থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই এর পরেই পাল্টা গর্জন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। থানা থেকে বেরিয়েই দিল্লিতে হেনস্থার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাজভবন অভিযানের ডাক দেন অভিষেক। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের সময় রাজভবন অভিযানের কথা ঘোষণা করেন তিনি।

থানা থেকে বেরিয়ে অভিষেক আরও বলেন, 'কৃষি ভবনে ঢোকার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়ে দেন তিনি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করবেন না। বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি সেই অনুরোধ রাখেননি। আমরা সন্তানহারাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি রাজি হননি।' অভিষেক আরও বলেন, 'বেশ খানিকক্ষণ বসে থাকার পর আমরা জানতে পারি মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন না। তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন। সন্তানহারাদের সঙ্গে দেখা না করে পালিয়ে গেলেন মন্ত্রী।'

7 months ago
Mamata: 'আমরা ভয় করব না, দু'বেলা মরার আগে মরব না', দিল্লির ঘটনায় সরব মমতা

কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও ১০০ দিনের টাকাও আবাস যোজনায় বকেয়ার দাবিতে, দিল্লিতে কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। সোমবার ও মঙ্গলবার অর্থাৎ অক্টোবর ২ এবং ৩ তারিখ গ্রহণ করা হয়েছিল এই আন্দোলন। এই আন্দোলন সত্যাগ্রহ আন্দোলন হলেও কোনও ভাবেই তা আর সত্যাগ্রহ আন্দোলন রইল না। একদিকে সোমবার রাজঘাটে পুলিশের তাড়া খেল তৃণমূল, অন্যদিকে কৃষি ভবনে জোর করে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলো তৃণমূল সাংসদ, নেতৃত্ব সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এ ঘটনার পর এবার সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি ভবন থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন সংসদদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়, আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মুখাজিনগর থানায়। এরপরই মুহূর্তে এ ঘটনা বৃহৎ আন্দোলনের আকার নেয়। এর পরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লড়াইয়ের বার্তা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পোস্টে লেখেন, 'আজ গণতন্ত্রের জন্য একটি অন্ধকার, অশুভ দিন। বাংলার জনগণের প্রতি বিজেপির ঘৃণা, দরিদ্রদের অধিকারের প্রতি তাদের অবজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।' তিনি আরও লেখেন, 'কিন্তু আমরা ভয় করব না ভয় করব না, দু বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।'

7 months ago


Abhishek: টেনে-হিঁচড়ে উচ্ছেদ সাংসদদের, জীবনে প্রথমবার প্রিজন ভ্যানে অভিষেক

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ তৃণমূল সাংসদদের তথা তৃণমূল উচ্চ নেতৃত্বের। এই বিক্ষোভ তুলতে গেলেই হুলুস্থুল কান্ড বেঁধে যায় দিল্লিতে। সেসময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত সাংসদকে টেনে-হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে হটিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ মহিলা সংসদেরও মারধর করা হয়। এর পরই তাদেরকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে অর্থাৎ ১০০ দিনের টাকা ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে অক্টোবর দুই ও তিন তারিখ দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। সেই মত আজ অর্থাৎ শেষ দিন দিল্লিতে যন্তর মন্তরে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। এদিন সন্ধ্যেবেলায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ হবার কথা ছিল। সেই মতোই যন্তর মন্তর থেকে পায়ে হেঁটে দিল্লির কৃষিভবনে পৌঁছায় তৃণমূল। সেখানে তৃণমূল নেতৃত্বরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে, এরপর তাদের জানানো হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।

এরই পাল্টা সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি দেখা না করে যাবেন না এরপরই বেধে যায় হুলুস্থুল কান্ড। জোরপূর্বক পুলিশ টেনে হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে তৃণমূল সাংসদ সহ সমস্ত উচ্চ নেতৃত্বদের আটক করে নিয়ে যায় মুখার্জি নগর থানায়। ভিডিও কিছুক্ষণ আটকে রাখার পর তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীর কর্মসূচি গ্রহণ করেন। পাশাপাশি এর পূর্বে কখনোই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রিজন ভ্যানে ওঠেননি।

7 months ago
Abhishek: লড়াই চলছে চলবে অভিষেকের নেতৃত্বে

পার্থ ভৌমিক (সেচমন্ত্রী: প.ব.সরকার ): রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ এবং ১০০ দিনের কাজের পাওনার জন্যই আমাদের দিল্লি যাত্রা। দীর্ঘদিন ধরে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে দরবার করেছেন, নিজে ব্যক্তিগত ভাবে গিয়েছেন। অনুরোধের পরেও রাজ্যের গরিব ১০০ দিনের কর্মীরা যখন তাদের প্রাপ্ত টাকা পায়নি তখনই আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করেছিলেন একেবারে সদলে দিল্লিতে গিয়ে অবস্থান আন্দোলন করবেন। সেই মোতাবেক তিনি বেশ কয়েক মাস আগে জানিয়ে দিয়েছিলেন আমরা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা ২ অক্টোবর, মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে দিল্লিতে প্রতিবাদ আন্দোলন করবো এবং শুরুটাই হবে গান্ধীঘাট থেকে।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় দেখুন, হঠাৎ শেষ মুহূর্তে ৩ তারিখেই কোর্টের নির্দেশে ডেকে পাঠালো কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অভিষেক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি অপারগ। এরপর আমাদের ভাড়া করা ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হলো। বাধ্য হয়েই আমরা বাসের ব্যবস্থা করলাম। আমরা তো ঠিকই করেছিলাম সবাই একসাথে যাবো কিন্তু সিকিউরিটি থেকে এবারে নিষেধ করা হলো। কাজেই অসহায় মানুষগুলিকে বাসে করে দিল্লিতে পাঠাতে হলো। ৪২ ঘণ্টার বাস জার্নি যে অতি কঠিন বিষয় তা আর বলার অবকাশ রাখে না। এর মধ্যে ঝাড়খন্ড এবং বিহারের প্রশাসন যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন, কিন্তু বাধা এলো যোগীর রাজ্যে। শেষ পর্যন্ত ২ অক্টোবর ভোররাতে যখন সবাই দিল্লিতে গিয়ে পৌছালো তখন তাঁদের শরীরে আর কিছুই নেই কিন্তু কেউ তাতে দমে যায়নি।

২ অক্টোবর দুপুরে আমরা গান্ধী স্মৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে প্রতিবাদ শুরু করলে দিল্লি পুলিস এসে প্রবল বাধা দেওয়া শুরু করলো। এই পুলিস কিন্তু অমিত শাহের অধীনস্ত। এই বাধা শেষ পর্যন্ত ধাক্কাধাক্কিতে পরিণত হয়। আহত হয় আমাদের কর্মী নেতারা। মোবাইল হারায় কয়েকজন, সুজিত বোসতো যতটাই হারিয়ে ফেললেন ধাক্কায় এবং চোটে। অভিষেকের দিকেও ধেয়ে আসছিলো প্রশাসন। প্রতিবাদের প্রাথমিক কাজ সেরে আমরা ফিরে আসি।

মঙ্গলবার আমাদের সাধারণ সম্পাদক ঠিক করেন যে, এই আহত এবং বিধ্বস্ত মানুষদের আর কষ্ট না দিয়ে তাদের ফেরত পাঠাতে হবে। সেই মোতাবেক যন্তরমন্তরে জমায়েতের পরে তাদের আমরা কলকাতাগামী বাসে তুলে দিয়ে আমরা বিভিন্ন পদে থাকা নেতামন্ত্রীরা মিছিল করে কৃষি ভবনের দিকে যাবো, তাতে আমাদের উপর হামলা হলে হবে। আন্দোলন তো শুরু, এর শেষ দেখতে চাই, জানিয়েছেন অভিষেক। এখন অভিষেক দেশের সমস্ত মিডিয়ার কাছে 'জাতীয় নেতার' উপাধিটা পেয়ে গেলেন, সরকার ও বিরোধী ঐক্যও তাই বলছে।

7 months ago
ED: ইডিকে আগেই জানানো উচিত ছিল, অভিষেকের মামলায় মন্তব্য ডিভিশন বেঞ্চের

মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হচ্ছে না। পরিবর্তে ওই আবেদনের শুনানি হবে বুধবার। যদিও এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরা এড়ানোর বিষয়টি আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু দিল্লিতে দলীয় কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত তিনি। সেকারণে হাজির হতে পারেননি। সেই ইঙ্গিতও আগেই দিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু ইডিকে লিখিতভাবে কিছু না জানানোয় প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

নিয়োগ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু দিল্লিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কারণে তিনি এদিন হাজিরা দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে ৩ অক্টোবরের তদন্তপ্রক্রিয়া যাতে ব্যহত না হয় তার জন্যও তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেকারণে ফের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

7 months ago


TMC: সামান্য পরিবর্তিত তৃণমূলের কর্মসূচি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন অভিষেক

মঙ্গলবার দিল্লিতে ফের তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি। তবে সেখানে কিছুটা রদবদল ঘটেছে। সকালের পরিবর্তে দুপুরে যন্তর মন্তরের সামনে ধরনা হবে। একইসঙ্গে এদিন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে কথা বলবেন সাংসদরা।

সোমবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে দলীয় বৈঠকের পর অভিষেক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে যন্তর মন্তরে ধরনা কর্মসূচি। সেখানে থাকবেন ১০০ দিনের ‘জব কার্ড হোল্ডার’রা । সঙ্গে থাকবেন তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। এরপর সন্ধে নাগাদ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সেখানে রাজ্যের দাবিদাওয়া জানাতে যাবেন তাঁরা। অভিষেক স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁদের প্রশ্নের যদি যথাযথ উত্তর না দেওয়া হয়, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষনা করবেন তাঁরা।

 রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী দিনই ধরনা শুরু করেছে বাংলার শাসক দল। রাজ্যের বকেয়ার পরিসংখ্যান দিয়ে আনা হয় পোস্টার। যদিও এই মঞ্চে কোনও রাজনৈতির স্লোগান দেওয়া যাবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

7 months ago
TMC Dharna: 'সাধারণ মানুষের গায়ে হাত দিলে...,' কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আগামীকালের কর্মসূচি ঘোষণা অভিষেকের

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে (Delhi) তৃণমূল (TMC)। মোদী সরকারকে নিশানা করে একাধিক অভিযোগ এনেছে। সোমবার রাজঘাটে ধরনায় বসলেও কিছুক্ষণ পরই সেখান থেকে উঠিয়ে দেয় দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। আর এবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে আনলেন আগামীকালের কর্মসূচি। এছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, মঙ্গলবার দুপুরে যন্তর-মন্তরে প্রতিবাদ সভায় যোগ দেবেন সাধারণ মানুষ, জব কার্ড হোল্ডাররা। দিল্লি পুলিস তাঁদের গায়ে হাত দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

সূত্রের খবর, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বৈঠকের পড়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, 'কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রথমে আমাদের সঙ্গে দুপুর ১২টায় দেখা করার কথা জানিয়েছিলেন। পরে ই-মেল করে জানানো হয়, দুপুরে তাঁর সময় হবে না, সন্ধ্যায় দেখা করবেন। তাই দুপুর ১টা থেকে আমরা যন্তর-মন্তরে সভা করব। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষেরা এসেছেন, এই সভায় যোগ দেবেন। তাদের গায়ে দিল্লি পুলিস হাত দিলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে।'

তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তাঁদের সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টায় কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে যাবে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। আগামীকাল তাঁদের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে রাজ্যের দাবি জানাতে যাবে। যদি তাঁরা তাঁদের প্রশ্নের জবাব সঠিক ভাবে না পায়, তা হলে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়েই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

7 months ago