বেশ কয়েকদিন ধরেই নতুন করে চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি চোখে ইনফেকশন জনিত সমস্যার কারণে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় সভায় অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আজ, শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন ডায়মন্ডর হারবারের তৃণমূল সাংসদ। তৃণমূল সূত্রে খবর, চোখের চিকিৎসা করতে হায়দরাবাদ উড়ে যাচ্ছেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, এর আগেও হায়দরাবাদে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া পুজোর আগেও প্রায় একমাস আমেরিকায় থেকে চোখের চিকিৎসা করিয়েছেন। শনিবার কলকাতা বিমানবন্দরে গাড়ি থেকে নেমে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের দিকে হাত নেড়ে বিমানবন্দরে ভিতর ঢুকে যান তৃণমূল নেতা। তাঁর চোখে এখন কেমন রয়েছে, সেই নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি অভিষেক। কেমন আছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে অভিষেক জানান তিনি ভাল আছেন।
২৯ নভেম্বর রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মেগা সমাবেশ করছেন বিজেপি (BJP)। এই পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যবাসীর মন পেতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ঘাসফুল শিবির। এবারে শাহী সভার আগেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দেওয়া মানুষের বাড়িতে পৌঁছে গেল অভিষেকের চিঠি। আর সেই চিঠিতেই উল্লেখ রয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সঙ্গে কীভাবে 'বঞ্চনা' করেছে, তা নিয়ে জানিয়েছে তৃণমূল।
'বঞ্চনা'কে হাতিয়ার করে লোকসভা নির্বাচনের আগে সমুখ সমরে তৃণমূল-বিজেপি। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লি ও রাজভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। এবার ২৯ নভেম্বর রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মেগা সমাবেশ করছেন বিজেপি। সভায় থাকার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। ইতিমধ্যেই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের হাতে বঞ্চিতদের সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যবাসীর মন পেতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ঘাসফুল শিবির। শাহী সমাবেশের আগেই বাড়ি বাড়ি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল। মূলত দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দেওয়া মানুষের বাড়িতে চিঠি পাঠাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। সেই চিঠিতে থাকছে, কেন্দ্রীয় সরকার কত টাকা আটকে রেখেছে। কবে থেকে আটকে রেখেছে। রাজ্য কিভাবে চেষ্টা করছে। আন্দোলনে পাশে থাকার আবেদন জানিয়েই এই চিঠি। জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই চিঠি পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
একদিকে যখন রাজ্য জুড়ে নিত্যনতুন দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে। নাম জড়িয়ে পড়ছে শাসক দলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর, সেখানে তৃণমূলের এই কৌশল কতটা কাজ করে উত্তর মিলবে সময় এলেই।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে আরও তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মামলায় শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রুজিরা ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের প্যান কার্ডের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। এবারে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের প্যান কার্ডের তথ্যও খতিয়ে দেখতে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ফলে এই সংস্থার প্যান কার্ড সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতেই মুম্বইয়ে প্যান কার্ডের সদর দফতর ন্যাশনাল সিকিউরিটি ডিপোজিটরি লিমিটেড (NSDL)-কে চিঠি দিল ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, অভিষেক, রুজিরা এবং সুজয় কৃষ্ণের ব্যক্তিগত প্যান কার্ড ছাড়াও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস এর প্যান কার্ড সম্পর্কিত তথ্য জানতে চিঠি দিয়েছে NSDL কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর আয়-ব্যয় এবং সম্পত্তি নিয়ে আরও খোঁজ করতে শুরু করেছে ইডি। কিছুদিন আগেই ৫ হাজার পাতার যে নথি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সেগুলোর তথ্য মিলিয়ে দেখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর সংস্থার প্যান কার্ড সংক্রান্ত তথ্যও চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
'টাকা নিয়ে প্রশ্ন' কাণ্ডে তোলপাড় দেশ। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠলে একের পর এক বিপদে পড়ছেন তিনি। এবারে সাংসদ পদ খারিজ করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এরই মাঝে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে ইডি তলব করে। হাজিরা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি প্রথমবার মহুয়া বিতর্কে মুখ খুললেন। তিনি বললেন, 'আমার মনে হয় মহুয়া নিজেই নিজের লড়াই লড়ার জন্য যথেষ্ট।'
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর এথিক্স কমিটি ও মহুয়াকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এথিক্স কমিটির ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠে অভিযোগ নিয়ে এতটা তৎপরতা দেখায় না এথিক্স কমিটি, যতটা মহুয়াকে নিয়ে তারা তৎপর। তিনি বলেন, 'এথিক্স কমিটিতে অনেকগুলি অভিযোগ পড়ে রয়েছে। আপনারা দেখেছেন, নতুন সংসদ ভবনে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি কুকথা বলে কী করে সংসদের গরিমা নষ্ট করেছেন। বিজেপির এমন বহু সাংসদ রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশের শুনানি বকেয়া রয়েছে। কিন্তু যদি কেউ সরকারের বিরোধিতা করে, সরকারকে প্রশ্ন করতে চায়, আদানির অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতে চায় তাহলে কী করে তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।'
অভিষেক আরও বলেন, 'মহুয়া মৈত্র নিজের লড়াই লড়তে সক্ষম। আমাকেও চার বছর ধরে ডেকে পাঠাচ্ছে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা। নতুন নতুন মামলায় আমার নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।'
ইডি (ED) দফতরে পৌঁছে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর জন্মদিনেই তাঁকে সমন পাঠান ইডি। এর পর বুধবারই জানানো হয় যে, তিনি বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্স হাজিরা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে নিজের গাড়িতে চেপে বাড়ি থেকে বেরোন অভিষেক। এর পর ১১টা ৫ মিনিট নাগাদ তিনি সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছে যান।
আজ ইডি দফতরে ফের হাজিরা দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর হাজির হওয়ার কথা ইডি দফতরে। ফলে মনে করা হচ্ছে, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার মধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি তাঁকে ফের তলব করেছে, বুধবার সকালেই এই খবর প্রকাশ্যে আসে।
গত মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন ছিল। জন্মদিনেই ইডি নোটিস পাঠায় অভিষেককে। এরপরেই তিনি যাবেন কিনা সেটা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। তবে অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা যে বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি দফতরে যাবেন।
'মমতাদি-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানে।' শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠল রেশন বন্টন দুর্নীতি কান্ডের মূল অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গলায়। নাম উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোনোর সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সাংবাদিকদের জানান, 'আমি নির্দোষ,আমি খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবো। বিজেপি আমাকে ফাঁসিয়েছে। দল আমার পাশে আছে। মমতাদি-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানে।'
সম্প্রতি রেশন বন্টন দুর্নীতি কান্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হয় রাজ্যের বর্তমান বনমন্ত্রী তথা তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তদন্তে বেরিয়ে আসে তার দুই আপ্ত সহায়ক অমিত দে ও অভিজিৎ দাসের নামও এছাড়া রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানও।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্ত হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি সিনহার একাধিক নির্দেশে তাঁর অধিকার ও স্বার্থে প্রভাব পড়ছে, এই আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক। তৃণমূল নেতার বক্তব্য, সিঙ্গল বেঞ্চ তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ করছে। অভিষেক, তাঁর পরিবার ও লিপ অ্যান্ড বাউন্ডস কম্পানির বিরুদ্ধে ইডিকে নির্দিষ্ট করে নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেন, তদন্তের স্বার্থে ওই নথি কোনও ভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। এবার সেই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন অভিষেকের।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে। সোমবার সাড়ে বারোটার মধ্যে ইডির কলকতার দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মত কিছুক্ষন আগেই ইডি দফতর সিজিও কমপ্লেসে এসে পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্ম সহায়ক সুমিত রায়। হাতে একটি হলদে ইনভেলাপ নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢুকলেন তিনি।
গত সপ্তাহেইরাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে। ইডির তরফে এই তলব হলেও তা চ্যালেঞ্জ করে সুমিত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা ব্যানার্জিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিষেককেও। পাশাপাশি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক সহ অন্যান্য ডিরেক্টরদের সম্পত্তির নথি চেয়েছে ইডি। যা ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছেন অভিষেক। পাশাপাশি সূত্রের খবর, দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুমিত। আজ অর্থাৎ সোমবার সেই মামলারও শুনানি হবে বলে সূত্রের খবর।
প্রসূন গুপ্তঃ তৃণমূলের নেতারা প্রায় প্রত্যেকে এখন ব্যস্ত নিজের নিজের পুজো নিয়ে। একেবারে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার থেকেই পুজো উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন। অবিশ্যি তাঁর পায়ে আঘাত থাকার ফলে এ বছর তিনি আপাতত গৃহবন্দী, চিকিৎসকদের কড়া নির্দেশে। বাড়ির থেকেই কয়েকশো পুজো ভার্চুয়ালি তিনি উদ্বোধন করবেন। শোনা যাচ্ছে আগামী দ্বাদশীর দিন তিনি হয়তো নিরঞ্জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। মমতা পুজোর দিনগুলি এমনিতেও বাড়িতে থাকেন। অষ্টমীর দিন তাঁর জন্মদিন হলেও পালন করেন কোথায়?
অন্যদিকে, এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক কিন্তু দলের পুজোগুলিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনিও পুজোর কদিন বাড়িতেই থাকেন এবং অবশ্যই সংগঠনের নানান কাজ দেখেন তাঁর সেনাপতি সুমিত রায়ের সহযোগিতায়। তিনি পুজো উদ্বোধন করেন না, কিন্তু হয়তো সময় পেলে কোনও পুজো দেখতে যেতেন এক সময়ে। আপাতত বঙ্গ রাজনীতির প্রধান মুখ তিনি কাজেই খবরওয়ালাদের চেষ্টা থেকেই তাঁকে নিয়ে খবর করার।
আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর তিনি সারাটা দিন কাটাবেন তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে। যদিও নিজের কেন্দ্রে তিনি প্রায়ই যান, নানান কাজ বা অনুষ্ঠান থাকেই। তবে এবারে টানা চার পাঁচ দিন কাটাবেন নিজের কেন্দ্রেই। ডায়মন্ডহারবার থেকে অনুরোধ থাকেই পুজো থেকে ইদে তাঁর উপস্থিতির। ইতিমধ্যে তাঁর ফুটবল দল প্রথম ডিভিশনে খুব ভালো ফল করেছে। এতে উৎসাহী এলাকার মানুষ। এতদিন বালি প্রতিভা থেকে টালিগঞ্জ অগ্রগামী ইত্যাদি নানান এলাকার নাম ক্লাব থাকলেও আঞ্চলিক মানুষের কোনও দিনও ক্লাব নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না কিন্তু অভিষেক সেটি হতে দেননি।
পুজোর আগে এলাকায় গিয়ে দুস্থ মানুষদের বস্ত্র বিতরণ ছাড়াও নানান সমস্যার বিষয় দেখবেন। দীর্ঘদিনের অসাম্প্রদায়িক অঞ্চল ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র। অভিষেকের বক্তব্য পরিষ্কার, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার কাজেই শারদ উৎসবে এই বার্তা নিয়েই তিনি যাচ্ছেন নিজের এলাকায় আরও একবার।
অভিষেক (Abhishek Banerjee) পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rujira Banerjee) উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলি অযথা অতিরঞ্জিত খবর করছে। আর এই অতিরঞ্জিত খবরের জেরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানহানি হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের। এই দাবি নিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বুধবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার নির্দেশ দিতে পারে না আদালত। আর এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের বিরোধিতা করে কেন আদালত অবমাননার মামলা করছেন না? বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
এদিন মামলার শুনানিতে আবেদনকারী আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, 'সংবাদ মাধ্যমের একটা সীমা থাকা প্রয়োজন। ইডি সিবিআই নিয়ে তারা যা যা খবর করছে তাতে মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে। আমার পরিবার আছে এবং তাঁদের প্রত্যেকেই সম্মানীয়। সম্মান নিয়ে বাঁচার অধিকার সবার আছে। আদালতের এই সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার রয়েছে।' এর পর বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'একটা সাংবিধানিক আদালত যদি সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে থাকে তাহলে সেটা গণতন্ত্রের জন্য ভাল ব্যবস্থা নয়। তবে সবকিছুর মধ্যে একটা ব্যালান্স থাকা উচিত। সেটা দেখতে হবে।' তিনি রুজিরার উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, 'কেন এই খবরগুলোর বিরুদ্ধে আদালতে অবমাননার মামলা করছেন না?' বিচারপতি আরও বলেন, 'মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার আবেদন শুনে মনে হচ্ছে কালীঘাট থানা যেন সারা রাজ্যের নিয়ন্ত্রক।'
অন্যদিকে কেন্দ্রের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, 'এই অভিযোগ নিয়ে মামলাকারী এখন বিদেশি আদালত অবমাননার মামলা করতে পারেন। কিন্তু তার নাগরিক অধিকার রক্ষার দাবি এই ক্ষেত্রে আযৌক্তিক। কারণ তিনি এই দেশের নাগরিক নন। এই মামলাকে কোনওভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। কারণ স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পরিবার সমেত রক্ষার নির্দেশ দেওয়ার সুযোগ নেই।'
উল্লেখ্য, বুধবার ইডি দফতরে নিয়োগ দুর্নীতিতে হাজির হন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর এই মামলা এবং বিচারপতির পর্যবেক্ষণে যেন উঠে এল একাধিক প্রশ্ন। ভারসাম্য রাখার কথা বললেও সংবাদমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার আবেদনে সায় দিলেন না বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার ফের রয়েছে এই মামলার শুনানি।
অবশেষে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। ইতিমধ্যেই ইডি দফতরে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-যোগে তাঁকে তলব করেছিল ইডি। এর আগে কয়লা পাচার কাণ্ডে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এই প্রথম অভিষেক পত্নীকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করা হল। বুধবার সকাল ১০.৫৭ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি।
সূত্রের খবর, ইডির নোটিস অনুযায়ী, বুধবার সকাল ১১টায় রুজিরার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের আগেই রুজিরা পৌঁছে যান সিজিও কমপ্লেক্সে। একটি সাদা গাড়িতে তাঁকে প্রবেশ করতে দেখা যায়। দফতরে প্রবেশ করেই তিনি সোজা চলে যান ৬ তলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে। সেখানেই তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে রুজিরার হাজিরাকে ঘিরে সিজিও কমপ্লেক্সে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। প্রচুর পুলিস মোতায়ন করা হয়েছে। ব্যারিকেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া গিয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সের গেট।
জানা গিয়েছে, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে হেফাজতে নিয়ে, যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই একাধিক প্রশ্ন তৈরি করেছে ইডি। রুজিরাকে ইডি যেসব প্রশ্ন করতে পারে, সেগুলো হল-
১) লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টর পদে কবে যোগ দিয়েছিলেন?
২) কেন সেই পদ থেকে পড়ে সড়ে গেলেন?
৩) এই সংস্থার কাজ কী ছিল?
৪) নিয়োগ দুর্নীতির টাকা এই সংস্থার অ্যাকাউন্টে এলো কিভাবে?
আজই কলকাতা নামছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। একদিকে রাজ্যপাল ছিলেন দিল্লি সফরে। অন্যদিকে রাজ্য পালের সঙ্গে দেখা করে ১০০ দিনের বকেয়া টাকার দাবিতে জনসাধারণের চিঠি তারই হাতে তুলে দেবেন বলে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। সেখানেই অর্থাৎ দিল্লির কৃষি ভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত সাংসদের। এরপরেই দিল্লি থেকে কলকাতার রাজভবন অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করে অভিষেক। চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার কলকাতা অভিযানে নেমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনেই ধরনায় বসেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তার হাতে চিঠি তুলে দেবেন বলে।
ওদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করতে দার্জিলিং আসার জন্য অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। এরপর তার আবেদনে সাড়া দিয়ে তৃণমূলে তিন প্রতিনিধি সহ একটি দল অর্থাৎ মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও দুই সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। গতকাল অর্থাৎ শনিবার এই বৈঠকের পরে আজ অর্থাৎ রবিবারে কলকাতা আসতে চলেছেন রাজ্যপাল বোস। সূত্রের খবর সন্ধ্যা সাতটা দশ মিনিটে তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছাবেন। এ অবস্থায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার যে সাক্ষাৎ তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা রাজনীতি মহলে।
কলকাতায় ফিরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার দার্জিলিঙে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্য সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে বকেয়া নিয়ে আলোচনা করতে খুব দ্রুতই কলকাতা ফিরছেন রাজ্যপাল। কিন্তু এর মধ্যে যদি কোনও রাজনৈতিক বাধা থাকে, তা হলে রাজ্যপাল কিছু করতে পারবেন না বলেও দাবি কল্যাণের।
রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে এদিন দার্জিলিং গিয়েছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ মহুলা মৈত্র এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বৈঠক শেষে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলবেন রাজ্যপাল।
এদিকে, বাহাত্তর ঘণ্টা হল রাজভবনের সামনে ধরনায় বসে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর পর পাল্টা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এই পরিস্থিতে এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল অর্থাৎ ৬ অক্টোবর ইডির দফতরে হাজিরার কথা ছিল লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর হিসাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে শুক্রবার তিনি হাজিরা দেননি। সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে আইনজীবী মারফত লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইডিকে চিঠি পাঠান। জানান, নোটিস অনুযায়ী এদিন হাজিরা দিতে পারছেন না। ইডি যদিও অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করে। আজ অর্থাৎ শনিবার অভিষেকের বাবা অমিত বন্দোপাধ্যায়কে হাজিরা দিতে বলা হয়। এ অবস্থায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বাবা কি হাজিরা দেবেন এ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে এই মুহূর্তে জড়িয়ে রয়েছে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার নামও। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতার করার পরই এই সংস্থার খোঁজখবর শুরু করে ইডি। এরপরই এই সংস্থার ডিরেক্টর-সহ অন্যান্য পদাধিকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
সেইমতো তলব করা হয়েছে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর মা-বাবাকে। ৬ তারিখ অভিষেকের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকার পাশাপাশি ৭ অক্টোবর শনিবার অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, অভিষেক-পত্নী রুজিরাকেও ডাকা হয়েছে। যদিও আদালতের নির্দেশে অভিষেককে ১০ তারিখ ইডি দফতরে সশরীরে হাজিরা দিতে হচ্ছে না। এদিনের মধ্যে ইডি নথি জমা দেবেন ইডিকে। ভাল করে তা খতিয়ে দেখবে তদন্তকারী সংস্থা। এরপর দরকার হলে সমন। সেক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা আগে নোটিস পাঠাতে হবে। তবে শনিবার অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন কি না সেদিকেই নজর।