অভিনেত্রী পার্নো মিত্র (Parno Mitra) ছোট থেকে বড় হয়েছিলেন মায়ের সান্নিধ্য পেয়েই। অন্যান্য সন্তানেরা ঠিক যেমনভাবে বড় হয় মায়ের কাছে, পার্নো ঠিক তেমনভাবেই পেয়েছেন মা কে। মা তাঁকে পরম আদরে বড় করেছেন। নিজের হাতে রান্না করে খাইয়েছেন, স্নান শেষে গা মুছিয়ে জামা পড়িয়েছেন, চুলে বিনুনি বেঁধে দিয়েছেন। এভাবেই বড় হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী পার্নো। শুধু বাড়েনি মায়ের বয়স। নানা শারীরিক সমস্যায়, মা যেন এখন তাঁরই সন্তান।
সিনেমায় ওয়েব সিরিজে চুটিয়ে কাজ করতেন পার্নো। এমনকি রাজনীতিতেও হাতেখড়ি করেছিলেন। কিন্তু হঠাতই সমস্ত কিছু থেকে খানিকটা যেন সরিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। অধিকাংশ সময় এখন তিনি মায়ের জন্য রাখেন। ফিমার বোন ভেঙে গিয়েছে অভিনেত্রীর মায়ের। বাবাকে হারানোর কয়েক বছর পর মায়ের চোখে নেমে আসে অন্ধকার। সেই অন্ধকারেই মায়ের প্রদীপ সলতে হয়ে থাকতে চাইছেন অভিনেত্রী।
সাধারণত মা'কে নিয়ে তেমন কিছু লেখেন না। তবে মাতৃ দিবসে এই প্রথম মা'কে নিয়ে মনের সমস্ত অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে পার্নো জানিয়েছেন, 'এই ভদ্রমহিলা আমি যাঁকে মা বলি, তাঁকে নিয়ে খুব কম কথা বলেছি। সে এখন আর আমার মা নেই। একজনই শিশু এবং টিনেজারের মধ্যে যুদ্ধ চলে। ভালো দিনে সে গান গাইবে, মজার কথা বলবে। আর খারাপ দিনে সে ৫ বছরের শিশুর মতো ব্যবহার করবে।'
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, '২০১৬ সালে মা দৃষ্টি হারিয়েছেন। যে ৩৬ পদের রান্না করে রান্নাঘরে তুফান তুলতেন, সে এখন অধিকাংশ পদ চিনতে পারেন না।' পার্নো লিখেছেন, তাঁর মা এখন তেমন হাঁটতে পারেন না ঠিকই, তবে তিনিই পার্নোর চালিকা শক্তি।'