গলার স্বরই যেন তাঁর অন্যতম পরিচয়। সেই স্বর নকল করে অনেক অনৈতিক কাজের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছেন। এছাড়া যত্রতত্র তাঁর ছবি। এরফলে কড়া পদক্ষেপ উঠিয়েছিলেন "বিগ-বি"। আবেদন করেছিল দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi Highcourt)। আজ, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর অভিনেতার আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টে। আদালতের রায়ে বলা হয়, অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) নাম, ছবি বা ভয়েস তাঁর অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি, বিনা অনুমতিতে তাঁর নামটুকু অবধি নেওয়া যাবে না— এমনই নির্দেশ এল দিল্লি হাইকোর্ট থেকে।
এছাড়া আদালত ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এবং টেলিকম পরিষেবা সরবরাহকারীদের উদ্দেশেও একই নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি নবীন চাওলা বলেন, “যে কোনও সংস্থা তাদের পণ্য ও পরিষেবার প্রচারের স্বার্থে তারকাদের ‘সেলিব্রিটি স্টেটাস’ ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে সেই নির্দিষ্ট তারকার অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন।”
অমিতাভ বচ্চন, বয়স এখন ৮০ বছর। তিনি নিজেই এই মর্মে আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। তাঁর আবেদন ছিল, এক ব্যক্তির ‘নাম, ছবি, কণ্ঠস্বর এবং ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলি’ রক্ষা করার জন্য সকলের স্বার্থে তিনি এই আবেদন করেন। কোনও নির্দিষ্ট কারণের উপর ভিত্তি করে এই আবেদন করেননি।
বরিষ্ট আইনজীবী হরিশ সালভে, আইনজীবী প্রবীণ আনন্দ, অমিত নায়েক এবং মধু গাদোরিয়া অমিতাভ বচ্চনের হয়ে সওয়াল করেছিলেন। সালভে এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, "কেউ অমিতাভ বচ্চনের মুখ ব্যবহার করে টিশার্ট বানাচ্ছেন। কেউ তাঁর পোস্টার বিক্রি করছেন। কেউ তো সব মাত্রা ছড়িয়ে amitabhbachchan.com নামের ডোমেইন রেজিস্টার করে নিয়েছেন। এই কারণেই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি।"
অমিতাভের আইনজীবীরা আরও অভিযোগ করেন যে, বেশ কিছু মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার, কৌন বনেগা ক্রোড়পতি এবং সঞ্চালক অমিতাভের নাম নিয়ে বেআইনিভাবে লটারির ব্যবসা করছিলেন।, উল্লেখ্য, মেগাস্টার বই প্রকাশক, টি-শার্ট বিক্রেতা এবং অন্যান্য বিভিন্ন ব্যবসার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশও চেয়েছেন।