জমিতে জল দেওয়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদ। আর যার জেরে বোমা (bomb) নিয়ে চলল হামলা। ঘটনায় গুরুতর আহত (injured) একই পরিবারের মোট ৫ জন সদস্য। সোমবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ (Mursidabad) জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত কুমারষণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্লভপুর গ্রামে ঘটে। আহত অবস্থায় ৫ জনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (hospital)। তাঁদের মধ্যে দুজন মহিলা ও একজন শিশু রয়েছে।
জানা গিয়েছে, জমিতে সেচের জল দেওয়াকে কেন্দ্র করেই মূলত পারিবারিক বিবাদ তৈরি হয়। হাবিব সেখের পরিবারের সঙ্গে সরফরাজ সেখের পরিবারের সদস্যদের শুরু হয় প্রথমে কথা কাটাকাটি ও এরপর বিবাদ। ঘটনার জেরে হাবিব সেখের পরিবারের ওপর বোমা নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওঠে, সারফারাজ সেখ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা হাবিব সেখের বাড়িতে ঢুকে বোমা হামলা চালিয়েছে। ঘটনার জেরে এক শিশু ও দুই মহিলা সহ মোট পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিব সেখ, দুলাভ সেখ, শাহানা বিবি, আসরাফা বিবি ও এক শিশু আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সকলকেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্তমানে সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কান্দি থানার পুলিস। তবে সঠিক কী কারণে এই বোমা নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিস জানিয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) দিন রাতে শহর শিলিগুড়িতে (Siliguri) চলল গুলি। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জমি ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ সাহা। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে, গুলি কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (police)। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি (cctv) ক্যামেরার ফুটেজ। ঘটনায় উত্তেজনা শিলিগুড়ির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত নগর এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সুকান্ত নগর এলাকার বাসিন্দা বিদ্যুৎ সাহা। তিনি সোমবার রাতে তাঁর বাড়ি লাগোয়া অফিস ঘরে বসেছিলেন। সেই সময় আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, দুই দুষ্কৃতী সেই সময় বাইকে চেপে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিদ্যুৎ সাহাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং মুহুর্তের মধ্যেই চম্পট দেয় ঘটনাস্থল থেকে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে৷
আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিদ্যুৎ সাহাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। জমি সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে এই গুলি কাণ্ডের নেপথ্যে কোনও ঘটনা রয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। গতকাল ঘটনার পরপরই বিদ্যুৎ সাহার বাড়ি পৌঁছন ডিসিপি হেডকোয়াটার জয় টুডু সহ অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জখমের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। অন্যদিকে, রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিটেকটিভ ডিপার্মেন্টের কর্মীরা।
আপাতত দক্ষিণবঙ্গের(south bengal) উপর থেকে নিম্নচাপের(depression) রেশ কেটে গেছে। তবে বৃহস্পতিবার নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) ফের ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যে কারণে সেই সময় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি(heavy rain) হতে পারে, এমনই পূর্বাভাস(forecast) দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
নিম্নচাপটি এই মুহূর্তে শক্তি হারিয়ে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ছত্তিশগড়র ওপরে অবস্থান করছে। এছাড়াও মৌসুমী অক্ষরেখা বিকানের, কোটা, সাগর হয়ে উত্তর ছত্তিশগড়ে নিম্নচাপ কেন্দ্রের মধ্যে দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
রাজ্যের কোথাও আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে রাজ্যের পশ্চিমাংশের কোনও কোনও জায়গায় দমকা হাওয়া বইতে পারে। বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানাল হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে।
আগামী ১৭ অগাস্ট বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সব কটি জেলাতে কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত উত্তরবঙ্গের কোথাও তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বাবা (Father) এবং বড় দাদার (Elder Brother) ষড়যন্ত্রে খুন (Murder) হলেন মেজ ভাই। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভক্তিয়াডাঙ্গি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫-২০ দিন আগে সমীর বালা নামে এক যুবক নিখোঁজ (Missing) হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু পাঁচদিন আগে ওই এলাকায় ওই পরিবারেরই বাড়ির পাশ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। জানানো হয় চোপড়া থানার পুলিসকে। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায়, পোলট্রির প্রচুর মুরগি সেই স্থানে পোঁতা হয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানানো হয়, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ওই পরিবারের পোলট্রি ফার্মের ৬০০-৭০০ মুরগি মারা যায়। তাই তাঁরা সেখানে মুরগিগুলিকে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। এরপরেও চলে পুলিসের তদন্ত।
প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর সংগ্রহ করে পুলিস বাবা হরষিত বালা এবং বড় ছেলে খোকন বালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চোপড়া থানায় নিয়ে আসে। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁরা পুলিসের কাছে স্বীকার করেন, পরিবারের মেজ ছেলে সমীর বালা মদ্যপান করে প্রায়শই জমিজমার জন্য বাবাকে বিরক্ত করতেন। আর এই বিরক্তি থেকে মুক্তি পেতে বাবা এবং তাঁর বড় ছেলে ষড়যন্ত্র করে মেজ ছেলেকে হত্যা করে বাড়ির কিছুটা দূরে মাটিতে পুঁতে দেন। সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক এবং প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, ওই যুবক অববিবাহিত ছিলেন এবং তাঁকে তাঁর পরিবারের লোকজন না বিয়ে দিচ্ছিলেন, না তাঁকে সম্পত্তির কোনও অংশ দিয়েছিলেন। তাই মাঝে মধ্যেই মদ্যপান করে বাড়িতে তাঁর সম্পত্তির হিসাব দাবি করতেন ওই যুবক। আর এর জেরেই বিরক্ত হয়ে বাবা এবং তাঁর বড় ছেলে এই ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হন বলে স্বীকার করেছেন পুলিসের কাছে।
পুলিস মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আর এমন ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার কথা জানামাত্রই ওই গ্রামের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন ভিড় জমাতে শুরু করেন ঘটনাস্থলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিস।
শ্যামনগরের কাউগাছি এলাকায় গড় শ্যামনগর জুনিয়র বেসিক স্কুল, স্কিম-টু এর এক শিক্ষককে (Teacher) বেদম মারধর করার অভিযোগ উঠল পাশেরই হাইস্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বিরুদ্ধে। রানা চৌধুরী নামে ওই শিক্ষককে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর (Beaten) করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই শিক্ষকের স্কুলে ব্যান্ড বাজিয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান (Independence Day Programme) চলছিল। তা নিয়ে পাশের বিবেকানন্দ হাইস্কুল থেকে আপত্তি জানানো হয়। সেই বিষয়েই কথা বলতে ওই শিক্ষক গিয়েছিলেন পাশের স্কুলে। তখনই ওই তৃণমূল নেতা নাকি নিজের ক্ষমতা জাহির করে তাঁর কথা না শুনে তাঁকে ব্যাপক মারধর করেন। ঘটনার কথা শুনুন আহত ওই শিক্ষকের মুখ থেকেই।
এ ব্যাপারে ওই শিক্ষকের সহকর্মীরা ব্যাপক ক্ষুব্ধ। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, বিবেকানন্দের নামে যে স্কুল, সেখানে এমন বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে কীভাবে? তাঁরা দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি যে তৃণমূলেরই কর্মী, সেকথা স্বীকার করেছেন কাউগাছি অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি স্বপন মণ্ডল। তিনি জানান, বিষয়টি ঠিক হয়নি। উপর মহলে তিনি বারবার জানিয়েছেন। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
তৃণমূলে (TMC) সরষের মধ্যে ভূত রয়েছে। কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) যখন জেলে ছিলেন, তখন অন্যান্য তৃণমূল নেতারা আনন্দ উদযাপন করছিল। সেই সময় কুণাল ঘোষ ধর্মেন্দ্র প্রধানের (Dharmendra Pradhan) সাথে দেখা করেছিলেন। তখন তিনি ইডি, সিবিআই-এর (ED CBI) হাতে সমস্ত তথ্য তুলে দিয়েছেন। কার কাছে কত টাকা আছে, সে সব তথ্য যেখানে দেওয়ার, সেখানেই তিনি তুলে দিয়েছেন। তবে শুধু কুণাল ঘোষ নয়, তৃণমূলের ডান হাত, বাম হাত অনেকেই আছেন, যাঁরা নিয়মিত আমাদের তথ্য সরবরাহ করছেন।
আজ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের বৈলাপাড়ায় বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পালটা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, সৌমিত্র খাঁ এখন তৃণমূলে নাম লেখানোর জন্য তৎপর হয়ে আছেন। সেজন্য তৃণমূলের বহু নেতার সাথে তিনি যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
অন্যদিকে, তৃণমূলের যাঁর বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তিনি, সেই কুণাল ঘোষ বলেন, সৌমিত্র খাঁয়ের কথার গুরুত্ব দেওয়া আর সার্কাসের জোকারকে সিরিয়াস নেওয়া একই। উনি হচ্ছেন নিপাট বিনোদন। রাজনীতির ক্লাসে যাঁরা ১,২ তে পড়েন, তাঁরা এইসব বলেন। ওনার স্ত্রী দক্ষ৷ যার জন্য উনি জিতলেন। যে লক্ষ্মী রাখতে পারে না ঘরে, সে লক্ষ্মীছাড়া। সন্দেহের বাতাবরণ করে লাভ নেই৷
বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখন গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) জালে। কিন্তু তাঁর গ্রেফতারিতে (arrest) মহাযজ্ঞের আয়োজন নিয়ে ছিল টানাপোড়েন। গ্রেফতার হওয়ার পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার তাঁর বাড়ির ছাদে তৈরি করা মহাযজ্ঞের জন্য বাড়ির ছাদের প্যান্ডেল খুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়। সিবিআই হেফাজতেই অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই-এর ফোন থেকে মেয়ে (daughter) সুকন্যা মণ্ডলকে ফোন করেন। এরপরেই নতুন করে প্যান্ডেল (pandel) তৈরির কাজ হয় এবং সোমবার চলে মহাযজ্ঞের আয়োজন। ফলে সিবিআই হেফাজতে থাকলেও অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সোমবার শুরু হল মহাযজ্ঞ।
এদিন এই মহাযজ্ঞকে ঘিরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত রকম প্রস্তুতি আগে থেকেই সেরে ফেলা হয়েছে। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের ইচ্ছেতেই যজ্ঞ করা হয়৷ দলের নেতা, কর্মীরাই যজ্ঞের সব রকম ব্যবস্থা করেন৷
উল্লেখ্য, প্রতি বছরই রীতি মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পুজো সহ এই যজ্ঞ করা হত। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছিল না। প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগে থেকেই। কিন্তু হঠাত্ সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করায় যজ্ঞের আয়োজন বন্ধ করা হয়।
পুজোর উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকজন পুরোহিতকে তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা যায়। অনেকেই পুজোর সামগ্রী খবরের কাগজে ঢেকে থালায় করে মাথায় করে নিয়ে যান। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এক পুরোহিত জানান, তিনি আমন্ত্রিত। অতিথি আপ্যায়নের দায়িত্বেও নিযুক্ত দলের একাধিক কর্মী। তবে এদিন তাঁর বাড়িতে ঢোকার ক্ষেত্রে ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা৷
যদিও গৃহকর্তা এখন সিবিআই হেফাজতে, তবে আয়োজনের কোনও ত্রুটি নেই। খোল-কীর্তন সহযোগে একটি দলও বাড়িতে পৌঁছয়। বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়িতে পৌঁছেছেন আত্মীয়রাও। জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের নামে সংকল্প করেই এই হোমযজ্ঞর আয়োজন করা হয়েছে। ৫ পুরোহিত পৌরোহিত্য করছেন বলে সূত্রের খবর।
আমি জানতাম, দিদি বুঝতে পারবে, আমি কোনও অপরাধ করিনি। আমি কোনওভাবে এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নই। সোমবার নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা। অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করার পর বাইরে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, অনুব্রত (Anubrata) এখন অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী (Self Confident)। উনি আগে থেকেই জানতেন যে মুখ্যমন্ত্রী (CM) উনাকে সাপোর্ট (Support) করেছেন। উনাকে ভরসা জুগিয়েছেন। বলেছেন যে অত্যন্ত অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, যেটা আমরা আদালতেও বারবার বলেছি। দলনেত্রী সমর্থন করায় উনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুব্রত বলেছেন, আমি জানতাম, দিদি আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন।
অনির্বাণবাবু বলেন, শারীরিকভাবে উনি (অনুব্রত) অত্যন্ত অসুস্থ। এই অবস্থার মধ্যেও উনার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস অবশ্যই এসেছে। আমরা আদালতে বারবার বলেছি, গরু পাচারের সঙ্গে উনার কোনও সম্পর্ক নেই। গরু পাচার যদি হয়ে থাকে, সেটা সীমান্তের সমস্যা। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সম্পর্ক রয়েছে। কাস্টমস এবং বিএসএফ, তারাই সীমান্তের দায়িত্বে থাকে। যদি পাচার হয়ে থাকে, তাহলে ওই বিভাগের অফিসাররা যুক্ত। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়নি। এফআইআরে নাম থাকা একজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে, তাও ৩২ দিনের মাথায় জামিন পেয়ে গিয়েছেন। অথচ এঁদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই একই অভিযোগ ফুটে উঠেছে উনার দলনেত্রীর কথায়। সেই কারণেই উনি আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন।
অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে ফের হানা দিতে চলেছে সিবিআই। চলতি সপ্তাহে বোলপুরে যাচ্ছে সিবিআইয়ের বিশাল টিম। অনুব্রতর নামে যে ৪৩ টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়ে তল্লাশি চালানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে তদন্ত চলাকালীন উঠে আসা বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে বীরভূম জেলার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হতে পারে সিবিআইয়ের তরফে।
সিবিআই সূত্রে খবর, আজ ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। আগামীদিনে ডাকা হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েকেও। ইতিমধ্যে সিবিআই-এর হাতে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের নামে থাকা দুটি কোম্পানির তথ্য। গরুপাচারের টাকা কি কোনওভাবে এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে ইনভেস্ট করা হত, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বাধীনতার (Independence Day) ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এবং ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। এই উৎসব উপলক্ষে এদিন বীরভূমের (Birbhum) কীর্ণাহারে একটি ১৫০ ফুটের পতাকা সহযোগে তেরঙ্গা যাত্রা করা হয়। একটি ক্লাবের তরফ থেকে এই তেরঙ্গা যাত্রার আয়োজন করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
ওই ক্লাবের এক সদস্য জানান, এবছর করোনা (COVID-19) মহামারী কাটিয়ে উৎসবের মেজাজে ভারতবর্ষবাসী। সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। কিন্তু এখানকার এবছরের ভাবনা নজর কেড়েছে বহু মানুষের। এবছর তাঁরা ১৫০ ফুটের পতাকার আয়োজন করেছেন। যা এখনও অবধি বঙ্গের একাধিক জায়গার জাতীয় পতাকা উত্তোলন হলেও এখানকার মতে, এত বড় জাতীয় পতাকা আর কোনও জায়গায় হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দের মেজাজ বীরভূমবাসীদের মনে।
১৪ ই অগাস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন নতুন রাষ্ট্রপতি (President) দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। পাশাপাশি ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) লালকেল্লায় (Red Fort) নবমবারের জন্য জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি তুলে ধরেন দুর্নীতি ও পরিবর্তনের কথা। তারপরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। অন্যদিকে কলকাতার রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
আজ ১৫ই অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। দেশ জুড়ে স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদ্যাপন করা হচ্ছে। আর এই দিনেই ঘটে গেল বিপত্তি। সাত সকালে পতাকা টাঙাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু (death) হল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের (Engineering student)। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা যায়, উত্তর আসানসোলের (North Asansol) হাউসিং এলাকায় পতাকা লাগাতে গিয়ে মৃত্যু হয় ইঞ্জিনিয়ার এক ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম সৌমিক দত্ত। ওই এলাকায় বাড়ি ঘেঁষে গিয়েছে বিদ্যুতের তার। আজ পতাকা টাঙাতে গিয়ে বাড়ির ছাদ থেকে কোনওমতে সংযোগ হয় বৈদ্যুতিক তারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্য হয় ওই ছাত্রের। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকায় বাড়ির গা ঘেঁষে গিয়েছে বিদ্যুতের লাইন। আবার কিছু মানুষ নিয়ম না মেনেই বাড়ির সামনের অংশ বাড়িয়ে নিয়েছে। যে কারণে বাড়ির কাছাকাছি বিদ্যুতের তার হয়ে গিয়েছে।
এলাকার কাউন্সিলর অনিমেষ দাস জানিয়েছেন, মানুষ বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন নিয়ম না মেনেই। তবে পতাকা লাগাতে গিয়ে জিআই তার ব্যবহার করা উচিত ছিল না। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা টাঙাতে গিয়ে ইঙ্গিয়ারিং পড়ুয়ার মৃত্যতে শোকাহত গোটা এলাকা।
ভয়ানক কাণ্ড! স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) দিনই স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে মরণঝাঁপ। সোমবার সাত সকালেই রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন মা। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই ছেলেও। ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরে (Durgapur)। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত মায়ের নাম সীমা পণ্ডিত, বয়স ২৬ বছর। মৃত দুই ছেলের নাম প্রেম পণ্ডিত, বয়স ৮ বছর। অন্যজন বছর ৬ এর প্রাণিত পণ্ডিত। পানাগড়ের (Panagarh) অনুরাগপুরে থাকতেন তাঁরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সীমাদেবীর স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিত অত্যাচার করতেন স্ত্রী এবং তাঁর দুই ছেলের উপর। রবিবার সেই অত্যাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আর সেই অত্যাচারের শিকার হয়ে সোমবার সাত সকালেই পানাগর রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন মা এবং দুই ছেলে।
ঘটনার পরই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিস। পুলিস পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাচ্ছে। পাশাপাশি স্বামীর খোঁজে পুলিস।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Accident) গুরুতর আহত (injured) হলেন দুই বিএসএফ জওয়ান (BSF jawan)। ঘটনাটি মাথাভাঙা (Mathavanga) ১ নং ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চানন মোড় সংলগ্ন এলাকার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোচবিহারের (Cooch Behar) দিক থেকে মাথাভাঙার দিকে আসা একটি ট্রাক এবং মাথাভাঙার দিক থেকে কোচবিহারের দিকে যাওয়া একটি বিএসএফ জওয়ানের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে বিএসএফ জওয়ানদের গাড়ির সামনের অংশ একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। পাশাপাশি ঘটনাস্থলেই আহত হন দুই বিএসএফ জওয়ান। পথদুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে আহত দুই বিএসএফ জওয়ানকে উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তাঁরা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রাতের অন্ধকারে নতুন টোটোর (toto) নম্বর দেওয়ার অভিযোগে চাকদহ (Chakdah) থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ টোটো চালকদের৷ সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টির (rain) মধ্যেই চাকদহ শহরের শতাধিক টোটো চালক চাকদহ থানার মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন৷
তাঁদের অভিযোগ, রবিবার রাতের অন্ধকারে টাকার বিনিময়ে, চাকদহ শহর আইএনটিটিইউসির (INTTUC) সভাপতি তিমির সরকার নতুন করে টোটো নম্বর দিয়েছেন। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাকদহ থানার (Police station) মোড় উত্তাল হয়ে ওঠে টোটো চালকের অবস্থান-বিক্ষোভে। পরে পুলিসের (police) হস্তক্ষেপে রাস্তা ছেড়ে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিবাদ দেখান তাঁরা৷
এ বিষয়ে চাকদড় শহর আইএনটিটিইউসির সভাপতি তিমির সরকারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কোনও টোটো নতুন করে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ১০ জনকে আইএনটিটিউসির পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে। পরিচয় পত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে অর্থের যদি কোনও অভিযোগ করে, তাহলে যাদেরকে পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে তাঁদেরকে প্রশ্ন করলেই বেরিয়ে আসবে অর্থ নেওয়া হয়েছে কিনা৷ পুরোটাই ভুয়ো এবং ফেক অভিযোগ তুলছেন টোটোচালকেরা, প্রতিক্রিয়া তিমির বাবুর৷ তবে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর দায়িত্ব পাওয়ার আগেই শহরে ৪০০-৫০০ টোটো ছিল। এরপর সেখান থেকে শহর জুড়ে শুরু হয়েছে যানজট। নেই হাঁটার রাস্তাটুকুও। তবে তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নতুন করে টোটো না কেনার অনুরোধ করে গিয়েছেন। বর্তমানে যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের স্বার্থে আঘাত পড়েছে হয়ত কোনও কারণে তাই এই ধরনের কাজ, এমনটাই জানান তিনি।
যদিও টোটো চালকরা প্রশাসনের কাছে দাবি তুলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন টোটো নম্বর তুলে না নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন৷
আজ স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। তবে সকাল থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির দেখা মিলেছে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৫ অগাস্ট থেকে ১৮ অগাস্টের মধ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি (Rain) হতে পারে, এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। অর্থাৎ আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে মধ্য-ভারতে এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমে বর্ষার দেখা মিলবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। মূলত, উত্তর বঙ্গোসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ (low pressure) অতিগভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে তা পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যায়, একটি নিম্নচাপ উত্তর-পূর্ব এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম আরব সাগরে অবস্থান করছে। এছাড়াও সঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্তও রয়েছে। যার জেরেই মূলত নিম্মচাপের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ, ১৫ অগাস্ট দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। বর্ষা আসলেও দক্ষিণবঙ্গে ছিল বৃষ্টির ঘাটতি। যার ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছিল কৃষি ক্ষেত্রে। তবে এবার দক্ষিণবঙ্গে কৃষিকাজের জন্য এই বৃষ্টি পর্যাপ্ত বলেই মনে করছে কৃষক মহল। এছাড়াও এই নিম্নচাপের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ছে ওড়িশায়।
তবে ১৫ অগাস্ট বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে দক্ষিণবঙ্গে।
অন্যদিকে, আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে মৎস্যজীবীদের প্রতি লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মৎস্যজীবীরা যেন ১৪ ও ১৫ অগাস্ট সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান।
নিম্নচাপের প্রভাব পড়েছে শহর কলকাতাতেও। রবিবার বিকেল থেকেই বদলে গিয়েছে আবহাওয়া। মেঘের আনাগোনা বেড়েছে আকাশে। গতকাল হালকা বর্ষণও হয়েছে শহরে। রবিবার যে আবহাওয়ার বদল হবে তা আগেই জানয়েছিল হাওয়া অফিস। নিম্নচাপের জেরে সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় বর্ষণে ভিজছে শহর।
নিম্নচাপ ও কোটালের জোড়া ফলায় বড়সড় দুর্যোগের মুখে সুন্দরবন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও ঝড়ের দাপট বেড়েছে। নদী ও সমুদ্রে শুরু হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। জলোচ্ছ্বাসের জেরে সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জের একাধিক এলাকায় বাঁধ উপচে জল ঢুকছে৷ ফ্রেজারগঞ্জ থানা ও পাশের এলাকায় নোনা জল ঢুকতে শুরু করেছে। মৌসুনির বাগডাঙাতেও বাঁধ উপচে জল ঢুকছে। সাগরের বঙ্কিমনগরে ভাঙা বাঁধ দিয়েও জল ঢুকছে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় শঙ্কিত সুন্দরবনবাসী। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে। বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। দেখুন সেই দৃশ্য।
হঠাত্ যে এভাবে জল বেড়ে যাবে, তা বাসিন্দারা বুঝেই উঠতে পারেননি। একেবারে তিন হাত জল বেড়ে যাওয়ায় ঘরবাড়ি সব ভাসিয়ে দিয়েছে। ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড অবস্থা। হাঁস-মুরগি সহ গৃহপালিত পশুরা কোথায়, তা কেউ জানেন না। কোথায় গিয়ে উঠবেন, কী খাবেন, তার কোনও ঠিকঠিকানা নেই। এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন এক বাসিন্দা।
রান্নাবান্না হয়ে গিয়েছিল। তৈরি হচ্ছিলেন ছেলেমেয়েদের খেতে দেবেন বলে। কিন্তু এক নিমেষে পুরো চিত্রটাই যেন বদলে গেল। ভাত, তরকারি সব ভেসে গেল। চাল পুরোপুরি নষ্ট। ঘরের জিনিসপত্রেরও কিছুই অবশিষ্ট নেই। শুধু তাঁর বাড়ির এমন দুর্দশা, তা নয়। গোটা গ্রামেরই একই অবস্থা। ছেলেমেয়েদের কী খেতে দেবেন, তার কোনও ঠিক নেই। খুবই অসহায় অবস্থার কথা শোনালেন গ্রামেরই এর গৃহবধূ।