যত দিন যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে ও স্ত্রীর নামে আরও সম্পত্তির(property) হদিশ পাচ্ছে সিবিআই(CBI)। সূত্রের খবর, বীরভূমের গয়েশপুর মৌজায় অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ৫ টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যা ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে কেনা হয়েছে। এছাড়া অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে রাজারহাট নিউটাউনে দুটি ফ্ল্যাটের(flat) হদিশ মিলেছে। সুকন্যার নামে বোলপুরে জমি(land) রয়েছে মকরমপুর মহকুমায় ২টি এবং বল্লমপুর মহকুমায় ৪টি জমি।
সূত্র মারফত জানা গেছে, সম্পত্তির বিষয়ে তথ্য পেতে এবার অনুব্রতকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ(interrogation) করতে চলেছে সিবিআই। আজই অনুব্রতর বাড়িতে যেতে পারে সিবিআই প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যেই অনুব্রতর মেয়ের নামে দুটি কোম্পানির(company) সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, যার একটি কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন বোলপুর পুরসভার কর্মী বিদ্যুৎ বরণ গায়েন। ইডি সূত্রে আরও জানা গেছে, দুটি কোম্পানি অনুব্রত মণ্ডলের চাল মিলের ঠিকানায় রেজিষ্টার করা। আসলে এই দুই কোম্পানির আলাদা কোনও অফিস নেই। বাবার চাল মিলকে ব্যবহার করেই খোলা হয়েছিল এই দুই কোম্পানি।
এছাড়া অনুব্রতর আয়ের উৎস সন্ধানেও লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সুকন্যার দুই কোম্পানির চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মণীশ কোঠারি ছাড়াও বেশ কয়েকজন এসবিআই ব্যাঙ্ক কর্মীদেরকেও পূর্ব পল্লির গেস্ট হাউসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল ও তার স্ত্রী ছবি মণ্ডল সহ অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ একাধিক জনের নাম পেয়েছে সিবিআই। তাদের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে সিবিআইয়ের হাতে। আর সেই তদন্ত করতেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসতে পারেন সিবিআই প্রতিনিধি।
আর্থিক লেনদেনের কারণে এক ব্যক্তিকে মেরে (murder) ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহার (Cooch Behar) দক্ষিণ খাগড়াবাড়ি এলাকায়।
জানা যায়, মৃত ওই ব্যক্তির নাম প্রদীপ মজুমদার, বয়স ৫৯ বছর। খবর পেয়ে ছুটে আসে কোচবিহার কোতোয়ালি থানা পুলিস (police)। মৃতদেহটি (deadbody) উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী সমৃষ্ঠা গোস্বামীর কাছে টাকা পয়সা পেতেন প্রদীপ মজুমদার। সেই টাকা দিচ্ছিল না বহুদিন ধরেই সমৃষ্ঠা। এরপর মঙ্গলবার রাতে সমৃষ্ঠার বাড়িতেই ঝুলন্ত অবস্থায় প্রদীপ মজুমদারের দেহ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন রহস্য ডানা বেঁধেছে।
মৃত প্রদীপ মজুমদারের দাদার অভিযোগ, সমৃষ্ঠা গোস্বামী নামে ঐ মহিলার কাছে টাকা পেতেন তাঁর ভাই। সেই টাকা চাইতে গেলে তা দিচ্ছিল না সমৃষ্ঠা। বিভিন্নভাবে হুমকি দিত উল্টো তাঁরা। এরপর মঙ্গলবার হঠাৎই ওই মহিলা তাঁকে ফোন করে বলে তাঁর বাড়িতে আসার জন্য। তিনি এই মহিলার বাড়িতে আসার পর দেখেন তাঁর ভাই ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এরপরে খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তাঁর অভিযোগ, ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁর ভাইকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
যদিও সমৃষ্ঠা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সমৃষ্ঠা গোস্বামী। তাঁর দাবি, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু (death) ঘিরে চাঞ্চল্য। প্রশ্নের মুখে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। ঘটনার সঠিক তদন্ত চেয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় (police station) অভিযোগ দায়ের মৃত যুবকের পরিবারের।
জানা যায়, মৃত যুবকের নাম রবিউল হুসেন, বয়স ২০ বছর। বাড়ি কোচবিহার (Cooch Behar) জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের কুচলিবাড়িতে। একটি পক্সো মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ২০২১ সালের অগাস্ট মাস থেকে মেখলিগঞ্জ উপ-সংশোধনাগারে ছিল সে। পরবর্তীতে দোষী সাব্যস্ত হয় এবং তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। এরপর গত ডিসেম্বর মাসে তাকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেখানেই সাজা কাটছিল সে। পাশাপাশি নিন্ম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অ্যাপিল জানিয়ে তার পরিবার হাইকোর্টে মামলা করেছিল, যা বিচারাধীন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তারামাঝেমধ্যেই কখনও সংশোধনাগারে এসে, আবার কখনও ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে রবিউলের সঙ্গে কথা বলতেন।
মঙ্গলবারও সেইরকম ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার জন্য সংশোধনাগারে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের তরফে সাড়া না পাওয়ায় তাঁদের সন্দেহ হয়। এরপর সংশোধনাগারে ফোন করে রবিউলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে জানানো হয়, সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই খবর জানার পর মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ছুটে আসে। আসার পর তাঁরা জানতে পারেন, রবিউলের সকালেই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর শোকাহত পরিবার। এরপর পরিবারের কয়েকজন সংশোধনাগারে যায় মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে। কিন্তু সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোনও সদুত্তর দেয়নি বলে অভিযোগ। এরপর মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।
পরিবারের প্রশ্ন, হাসপাতালে এসে তাঁরা জানতে পারে ১৪ ই আগস্ট রবিউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই কথা কেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানালো না? মঙ্গলবার মৃত্যুর পরও কেন পরিবারকে জানানো হল না? কীভাবে রবিউল অসুস্থ হল, তাও সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানায়নি বলে অভিযোগ।
পরিবারের দাবি, তাঁরা হাসপাতাল সূত্রে জানাতে পেরেছেন, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেই রবিউলের মৃত্যু হয়েছে। এত ঘুমের ওষুধ সংশোধনাগারের ভেতরে এত ঘুমের ওষুধ রবিউল পেলই বা কীভাবে? নাকি সংশোধনাগারের ভেতরে অত্যাচারের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে? এরকম একাধিক প্রশ্ন তুলে এবং ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত বন্দীর পরিবার।
সংশোধনাগারের তরফে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দেহের ময়নাতদন্ত হবে হাসপাতাল মর্গে। সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
রাজ্যের কোথাও বুধবার ভারী বৃষ্টির (rain) সম্ভাবনা থাকছে না। স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা (temperature) বৃদ্ধির সঙ্গেই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গে (South bengal)। তবে রাজ্যের দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। এরই মধ্যে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৯ অগাস্ট, শুক্রবার ফের উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ (low pressure) তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে আগামী ২০ ও ২১ অগাস্ট পূর্ব ও মধ্য ভারতের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বুধবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলারই কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তুলনামূলক বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। এরপরের ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ শুক্রবার, ফের নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রামে।
অন্যদিকে উত্রবঙ্গের ক্ষেত্রে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আপাতত দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই উত্তরবঙ্গের কোথাও।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ কোনও কোনও সময় মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতেপারে ৩১ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
পৈলান চিটফান্ডের আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করল তালুকদার কমিশন। মঙ্গলবার মোট ৫০০ জন আমানতকারী, যাদের ১০ হাজার টাকার নিচে বকেয়া ছিল, তাদের ডেকে পাঠিয়ে পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট অরিন্দম দাস কী জানিয়েছেন, আসুন শুনে নিই।
অবশ্য, তালুকদার কমিশন এই একটিমাত্র চিটফান্ড কোম্পানি নিয়েই পড়ে নেই। কমিশনের বিচারাধীন রয়েছে নয় নয় করে ৫৩টি কোম্পানি। এক মধ্যে তিনটি কোম্পানির টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হয়েছে। আরও ১২ থেকে ১৩টি কোম্পানির পর্যাপ্ত অর্থ কমিশনের ঘরে এসেছে। সেটাও আগামীদিনে ফেরত দেওয়া শুরু হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। তাই অন্য কোম্পানির আমানতকারীরাও কমিশন অফিসে আসছেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করতে। তেমনই একজন কী বলছেন, শোনা যাক।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বর্ধমান (Burdwan) বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের তালা ইট দিয়ে ভেঙে ও গেট টপকে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন এসএফআইয়ের (SFI) সদস্যরা। ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিন মূলত দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও বেনিয়ম নিয়ে অভিযোগ তুলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় (university) অভিযানের ডাক দিয়েছিল এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি। তবে বেলা বাড়তেই তাঁদের এই প্রতিবাদ মিছিল ভয়াবহ রূপ নেয়। এদিন কার্জন গেট (Curzon Gate) থেকে বিশ্ববিদ্যালয় গেটে মিছিল পৌঁছলে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে নিরাপত্তারক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা মেরে দেয়। কিন্তু এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের তালা ইট দিয়ে ভেঙে ও গেট টপকে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন এসএফআই-র সদস্যরা। এখানেই শেষ নয়, কার্যত উপাচার্যের কার্যালয়ের গেট আটকে তার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালান তাঁরা। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের আশ্বাসে উঠে যায় এসএফআইয়ের বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজবাড়ি চত্বর।
জানা যায়, বর্ধমানের বাদামতলা (Badamtala) থেকে শুরু হয় এসএফআইয়ের মিছিল। এরপর কার্জন গেট, বিসি রোড (B.C Road) হয়ে সেই মিছিল বেলা ১২ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশদ্বারে গিয়ে পৌঁছয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের তালা খোলার দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন এসএফআই কর্মীরা।
পাখিদের (birds) প্রতি ভালোবাসা সেই ছোট থেকেই। নিজের খাবার (food) বাঁচিয়ে রেখে দিতেন পাখিদের জন্য। আর এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্যই আজ গোটা পরিবারের মুখে অন্ন জোগাচ্ছে পাখিরাই। এমনই ঘটনার স্বাক্ষী রইলেন নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর শহরের লক্ষীতলা গুলবাজ মোড়ের বাসিন্দারা।
জানা যায়, গুলবাজ মোড়ের বাসিন্দা কৌশিক প্রামাণিক ছোট থেকেই পাখি ভালোবাসতেন। প্রতিদিন নিজের খাবারের কিছুটা অংশ ছাদে গিয়ে দিয়ে আসতেন পাখিদের। দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতেন, কোনওদিন যদি পাখিরা তাঁর কথা শোনে এবং বুঝতে পারে তাহলেই এ জীবন সার্থক হবে তাঁর। তবে তিনি তখনও জানতেন না একদিন সেই পাখিরাই তাঁর গোটা পরিবারের মুখে ভাত জোগাবে। ভাবছেন, এটা কীভাবে সম্ভব?
তাঁর বাবা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক। তিনি মারা যাবার পর ভাই এবং মায়ের সংসারের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব পড়ে কৌশিকবাবুর কাঁধে। স্নাতক হবার পর মাস্টার্স, অবশেষে ডিএলএড করেও মেলেনি চাকরি। তবে বর্তমান রাজ্যের পরিস্থিতির কথা হয়ত আগাম বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। তখনই টিউশনি এবং কম দামের নানান পাখি পুষে বিক্রি করা শুরু করেন। আজ কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ বেশ কয়েকজন কর্মচারী ও ঝাঁ চকচকে দোকান জেলার মধ্যে অন্যতম হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিচিতির দিক থেকে।
কৌশিকবাবু জানান, লাভ বার্ড, ককাটেল, ফ্রিঞ্চ, জেব্রাফিঞ্চ, জাভা, ইয়োলো সাইডেড কুনুর, পাইনাপেল কুনুর, হেলিপ্যাড বদ্রি, কোবাল্ট সিরিজ কুনুর, সান কনুর-- এ ধরনের নানান পাখি এখন তাঁর পরিবারভুক্ত। তবে সম্প্রতি যোগ হয়েছে অ্যাকোয়ারিয়ামের বেশ কিছু মূল্যবান মাছ, টেক্ট্ররা উইডো, গোল্ড ফিশ, ইমপোর্টেড মলি, সুহাঙ্গী, রেড ক্যাপ, স্প্যারট, ডিসকাস, হর্ন, ক্রোকোডাইল আরও কত কী! তাঁদের বাসস্থান, ওষুধ, খাবার পরিচর্চার যাবতীয় দ্রব্যাদি, পাখি এবং মাছের যাবতীয় পরিষেবা দিয়েই চলছে তাঁর পরিবার।
এবার দুষ্কৃতী দমনে দুর্গাপুরের (Durgapur) পথে 'রক্ষক বাহিনী'। কিন্তু কী এই 'রক্ষক বাহিনী'? জানা যায়, এই কর্মসূচিতে মূলত আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের (police) এই বাহিনী। যে রক্ষক বাহিনী টহল দেবে শহর জুড়েই।
পুলিস সূত্রে খবর, সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা হোক বা দুষ্কৃতী (criminal) দমন, সবেতেই আরও তৎপর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট। দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টার (city center) আর সিটি সেন্টারের আশেপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা ছোট-বড় অপরাধ রুখতেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর থানা এলাকার ১০ টি এলাকাকে এক একটি বিট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বিটগুলির তদারকি করবেন ১০ জন নোডাল অফিসার। ১০ টি বাইক দেওয়া হয়েছে নোডাল অফিসারদের। সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনতে নিত্যদিন পৌঁছে যাবেন বিটের দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্তারা। যাতে করে সাধারণ মানুষের সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। এভাবে দ্রুত অপরাধ দমন সম্ভব হবে বলেও আশাবাদী আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনার।
মঙ্গলবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচি শুরু করলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তম। এদিন উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা, অতিরিক্ত জেলাশাসক, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।
প্রয়াত হুগলির প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পাল। মঙ্গলবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। গত মাস ছয়েক ধরে বার্ধক্য জনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। বাড়ি থেকেই চিকিৎসা চলছিল। সোমবার গভীর রাতে আচমকাই অসুস্থতা বাড়ে। ভোর রাতে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। রূপচাঁদের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাম নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৮ সালে সিপিএম দলের সদস্য হন। সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য থাকার পাশাপাশি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন তিনি। সিআইটিইউ সংগঠনের সহ সভাপতি থাকার পাশাপাশি তিনি পিআরসির সভাপতি ছিলেন। প্রথমে মগরা বাঘাটি কলেজ এবং পরে নৈহাটি ঋষি বঙ্কিম কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। পরবর্তী সময়ে অধ্যাপনা ছেড়ে পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী ছিলেন। সপ্তম লোকসভা নির্বাচনে ১৯৮০ সালে হুগলি লোকসভা থেকে প্রথম নির্বাচিত হন সিপিএম নেতা অধ্যাপক রূপচাঁদ পাল। ১৯৮৪ সালে জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী ইন্দুমতী ভট্টাচার্যর কাছে পরাজিত হন। পরবর্তী সময় আবার ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন।
ফুড ইন্সপেক্টর (Food Inspector) নিয়োগে বেনিয়মের মামলা এক যুগ পরে ফের বিচারের জন্য ফিরল স্যাটে (SAT)। ওই নিয়োগে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি (Corruption) হয়েছে কি না, আগামী দু মাসের মধ্যে তা খতিয়ে দেখে রায় দিতে হবে স্যাটকে।
এর আগে ২০১০ সালে ৬৫০ জন ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালে স্যাট মামলায় কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দেয়। হাইকোর্টে মামলা এলে ডিভিশন বেঞ্চ স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় স্যাটকে। সেই মামলায় গত বছর স্যাট আগের নিয়োগ তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়। ফের মামলা আসে হাইকোর্টে। আজ বিচারপতি ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির বিচার করতে হবে স্যাটকে।
উল্লেখ্য, এর আগে ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চরম অস্বচ্ছতা, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কাট অফ মার্কস না প্রকাশ করা, রিজার্ভেশন নীতি প্রয়োগ না করা ইত্যাদি কারণের জন্য এই চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে ট্রাইবুনাল।
৯৫৭ টি শূন্য পদে ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে দেয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। ওই নির্দেশের ফলে ৯৫৭ জনের চাকরি নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ডাম্পিং ল্যান্ড থেকে উদ্ধার প্রায় ১৮-২০ টি শিশুর দেহ। মঙ্গলবার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার সাফাইকর্মীরা জঞ্জাল ফেলতে গিয়ে ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে গিয়েছিলেন। তাঁরাই প্রথম ওই ভ্রূণগুলি দেখতে পান। জানা গিয়েছে, তার মধ্যে ১০টি মেয়ে, ৬ টি ছেলের। বাকিগুলির ভ্রূণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাণীতলা খাঁ পাড়ার ভাগাড় থেকে এই ভ্রূণগুলি উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, জনবসতি এলাকায় এই ভাগাড় থাকায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। উলুবেড়িয়া শহর এলাকায় দেড় কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৩০টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে গর্ভপাত করানোর পর ভ্রুণগুলিকে ওই ভাগাড়ে নিয়ে এসে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের। ভ্রুণগুলি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গোটা ঘটনায় তদন্তে পুলিস।
বাড়ির অনতিদূরেই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Primary School) শিক্ষিকা (Teacher) অনুব্রত কন্যা (Anubrata Daughter) সুকন্যা মণ্ডল। ২০১২ সালে চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন স্কুলে না গিয়েই বেতন নিতেন, এমনটাই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এমনিতেও অনেক দিন হল তাঁকে স্কুলে আসতে দেখছেন না স্থানীয়রা।
এদিকে সুকন্যা ছুটিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলার প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক। সূত্রের খবর, বাবার গ্রেফতারের পর নিয়োগ-বিতর্ক এড়াতে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুকন্যা। যদিও, প্রলয় নায়েক জানাচ্ছেন, এমন কোনও খবর তাঁর কাছে নেই। তিনি ছুটিতে রয়েছেন বলে আমি জানি।
অন্যদিন স্কুলের বর্তমান শিক্ষকরা সুকন্যার বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। স্কুলের এক শিক্ষক জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে, সুকন্যার বিষয়ে কিছু না বলতে।
প্রেমের টানে প্যারিস (Paris) থেকে পান্ডুয়ায় এসে এক বাঙালি ছেলেকে বিয়ে (marriage) করে ফেললেন এক বিদেশিনী। তাঁদের বিয়ে দেখতে ভিড় যেন উপচে পড়ল মন্দির প্রাঙ্গনে। সোমবার রাতে সিমলাগড় কালিমন্দির থেকে সামাজিক রীতি মেনেই বিয়ে করলেন দুজনে। প্রসঙ্গত, গত চার মাস আগে দিল্লিতে (Delhi) কর্মরত অবস্থায় অনলাইন সাইটে পরিচয় হয় পান্ডুয়ার যুবক কুন্তল ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্যারিসের বাসিন্দা প্যাট্রিসিয়ার।
প্যাট্রিসিয়ার বরাবরই ভারতে (India) আসার ইচ্ছা ছিল। সেইমতোই একদিন হঠাৎ কুন্তলকে সারপ্রাইজ দিতে দিল্লি চলে আসেন প্যারিস থেকে এবং ফোনে সেই কথা কুন্তলকে জানান। কুন্তল তাঁকে পরের বিমানে কলকাতা আসতে বলেন। কলকাতা এসে দুজনে দেখা করেন এবং তাঁকে নিয়ে পান্ডুয়ার বাড়ি আসেন কুন্তল। এরপরই দীর্ঘ একমাস যাবত কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অবশেষে সোমবার রাতে বিখ্যাত সিমলাগড় কালিমন্দিরে বিয়ে করলেন দুজনে।
অন্যদিকে প্যাট্রিসিয়ার খুবই ইচ্ছা ছিল তাঁরা কোনও মন্দির থেকে বিয়ে করবেন। সেইমতোই সোমবার রাতে সিমলাগড় কালিমন্দিরে দুজনে বিয়ে করেন। আগামীদিনে দিঘা অথবা গোয়াতে হানিমুন যাবার ইচ্ছা রয়েছে দুজনের মধ্যে, এমনটাই জানান তাঁরা। অবশ্য এই বিয়েতে কুন্তলের বন্ধুরা ছাড়া দুই পরিবারের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। মন্দিরে এরকম বিদেশিনী একজন মেয়ে বিয়ে করছে তাও একজন বাঙালি ছেলেকে, এটি দেখতে স্থানীয় মানুষজন উপস্থিত হয় সিমলাগড় মন্দির চত্বরে। তাঁদের মধ্যে এক অন্যরকম উত্তেজনাই লক্ষ্য করা যাচ্ছিল সেদিন।
দিন দুয়েক আগেই সিএন পোর্টাল (CN) প্রথম সম্প্রচার করে, দুর্গাপুরের (Durgapur) ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুরের বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মিড ডে মিলের (Mid day meal) খাবার পাচ্ছে না খুদে পড়ুয়ারা। স্কুলে এসে খিদের যন্ত্রণায় ছটফট করছে তারা। এমনকি এই ভয়ে খুদেরা স্কুলমুখীও হচ্ছিল না। আজ সেই খবরের জেরে দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা দফতরের অফিসার সংঘমিত্রা দাশগুপ্ত নিগমের আধিকারিকদের নিয়ে চলে আসেন বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। এরপরই অভিভাবকদের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষা দফতরের এই আধিকারিকরা।
অভিবাবকদের মুখে অচলাবস্থার কথা শুনে কড়া ধমক দেন স্কুলের দুই শিক্ষিকা (teacher) রীনা বন্দোপাধ্যায়, যমুনা ভদ্র ও স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মাঝিকে। প্রশ্ন করা হয়, কেন মিড ডে মিল নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমকে অন্ধকারে রাখা হল? প্রশ্ন করেন দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা দফতরের আধিকারিক সংঘমিত্রা দাশগুপ্ত।
এদিন দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা আধিকারিক সংঘমিত্রা দাশগুপ্ত পরিষ্কার ভাষায় জানান, স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে মিড ডে মিল নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমকে অন্ধকারে রাখার জন্য শোকজ করা হবে। পরিচালন সমিতির সভাপতি বিশ্বজিত মাঝিকেও একই অপরাধে অভিযুক্ত করে সরানোর সুপারিশ করা হবে। অনিয়মিতভাবে চলছিল দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন দুর্গাপুরের আনন্দপুরের বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। নয় নয় করে ৬০ জন পড়ুয়া রয়েছে এই শিক্ষা কেন্দ্রে। তবে নিজের দোষ মানতে চায়নি বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালন সমিতির প্রধান বিশ্বজিৎ মাঝি ও স্কুলের শিক্ষিকারা। এদিন অভিবাবকরা ধন্যবাদ জানালেন সিএন পোর্টালকে।
জানা যায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলে রেজলিউশন করে মিড ডে মিল নিয়মিত শুরু করার নির্দেশ দেন দুর্গাপুর নগর নিগমের শিক্ষা দফতরের আধিকারিক সংঘমিত্রা দাসগুপ্ত। সব মিলিয়ে স্কুলে এসে ফের খেতে পাওয়ার সুযোগ হবে, এই আনন্দে খুদে পড়ুয়ারা।
বোলপুরে অনুব্রতর গড়ে ফের সিবিআই(CBI) হানা? বীরভূমে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাতে পারে সিবিআই আধিকারিকদের দল। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) একাধিক সম্পত্তির(property) হদিশ পেয়েছে সিবিআই। বিভিন্ন মিল, তেলকল, জমি, প্লট মিলেছে। সেইসব এলাকায় গিয়ে সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্যের(information) খোঁজে এ সপ্তাহে ফের সিবিআই হানা দিতে পারে বলে সূত্রের খবর। এছাড়া বোলপুরে অনুব্রতর নিচুপট্টির বাড়িতেও ফের যেতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই অনুব্রত কন্যার দুটি কোম্পানির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সেই সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধানে এবার সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে এবার সিবিআই স্ক্যানারে বোলপুর পুরসভার কর্মী বিদ্যুত্ বরণ গায়েন। তিনি অনুব্রত কন্যার দুটি সংস্থার একটিতে ডিরেক্টর(director) পদে বহাল। একজন সরকারি কর্মী হয়েও কী করে তিনি বেসরকারি কোম্পানির (private company)এই পদে আছেন, তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি সিবিআই জানতে পেরেছে, বোলপুরে ২২ নং ওয়ার্ডে একাধিক বাড়ি রয়েছে বিদ্যুৎবরণ গায়েনের, রয়েছে একাধিক প্লটও। ইতিমধ্যেই ৪ টি বাড়ির হদিশ মিলেছে। এমনকী বিদ্যুতের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন অনুব্রতর এক দেহরক্ষী, এই খবর জানা গেছে সিবিআই সূত্রে। এই সব কিছুর লিঙ্ক ধরে তল্লাশি করতেই ফের সিবিআই বোলপুরে হানা দিতে পারে বলে সূত্রের খবর।
যদিও এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ।
সিএনের প্রতিনিধি বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির হলে বাড়ির তরফে জানানো হয়, তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার কারণে বাড়িতে নেই।