
প্রসূন গুপ্ত: আহমেদাবাদ টেস্ট ড্র, এই ভবিষ্যৎবাণী এই মুহূর্তে ছোট বাচ্চাও করে দিতে পারবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে শেষ টেস্ট অমীমাংসিত শেষ করেও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত। নেপথ্যে বরুণ দেবের কৃপাদৃষ্টি। বিশ্বের এক গোলার্ধে রোদের তেজ যখন শরীরে নেওয়া দায়, তখন অপর গোলার্ধে প্রবল বৃষ্টি। কথা হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের। এই টেস্টে কিউইদের বাগে পেয়েও ম্যাচ পকেটে পুড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির কারণে প্রায় ৪ ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকায় অ্যাডভান্টেজ পায় কিউইরা। আর সেই অ্যাডভান্টেজকে কাজে লাগিয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজদের পরাস্ত করেন কেন উইলিয়ামসনরা।
আর শ্রীলঙ্কার কপাল পুড়লেও শিকে ছিঁড়ল ভারতের। আহমেদাবাদ টেস্ট শুরুর আগে ভবিষ্যৎবাণী ছিল জেতা অবশ্যম্ভাবী ভারতীয় দলের। কারণ জিতলেই জুন মাসে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে লন্ডনে উড়ে যাবেন রোহিত, বিরাট, শুভমন গিলরা।
ইতিমধ্যে পয়েন্টের নিরিখে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে চলে গিয়েছে। দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট হিসেবে দৌড়ে ছিল শ্রীলঙ্কা অথবা ভারত। ইন্ডিয়া এই টেস্ট জিতলেই সরাসরি ফাইনালে চলে যেত। হারলে সমস্যা ছিল নিশ্চিত, কিন্তু ড্র করলে তাকিয়ে থাকতে হতো নিউজিল্যান্ডের দিকে। সেই তিন নম্বর সম্ভাবনাই সত্যি করে লন্ডনের বিমানের টিকিট পাকা রাহুল দ্রাবিড়ের দলের।
এবার প্রশ্ন হলো এই গাভাসকার-বর্ডার টেস্ট সিরিজ থেকে প্রাপ্তি কী? প্রথমত বলতেই হয়, জেদাজেদিতে আগের তিন টেস্টে এমন উইকেটে হয়েছে যাকে ক্রিকেটের পরিভাষায় বলে আন্ডার প্রিপেয়ার্ড উইকেট। ঝুরঝুরে উইকেট, যেখানে আগের টেস্টগুলি তিনদিনের মধ্যে শেষ হয়েছে। ব্যাট হাতে ক্রিকেটাররা রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছে। ব্যাটিংয়ের পরিবেশ ছিল না। প্রথম দিন থেকেই দুরন্ত ঘূর্ণির এই লেগেছে পাকের মতো স্পিনারদের বল ব্যাটারদের কাহিল করেছে।
প্রাপ্তি একমাত্র প্রথম টেস্টে অধিনায়ক রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি। কিন্তু ইন্দোর টেস্টের পিচ তৃতীয় টেস্টে বুমেরাং হয়েছে ভারতের। নির্মম ভাবে পরাজিত হতে হয়েছিল রোহিতদের। দুই দলই দল গঠন করেছিল স্পিনার নিয়ে। কে কবে শুনেছে অস্ট্রেলিয়া তিন স্পিনার নিয়ে খেলছে!
শেষ টেস্টে ওই স্ট্র্যাটেজি থেকে সরে আসে ভারত। আহমেদাবাদ টেস্টের জন্য পিচ একেবারে ব্যাটারদের উপযুক্ত করে খেলতে নামে ভারত। ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ফল করে দুই দল। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার উসমান খোওয়াজা ও ক্যামেরন গ্রিনের সেঞ্চুরি-সহ অস্ট্রেলিয়ার ৪৮০ রান করে। প্রথম ইনিংস ভারতের শেষ হয় ৫৭১ রানে। ওপেনার শুভমান গিল দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন, সবাইকে ছাপিয়ে ৩ বছর বাদে টেস্টে বিরাটও সেঞ্চুরি করেন। ভিকে-র অসাধারণ ১৮৬-র এক ইনিংসের উপর ভর করে খেলে ভারতের ইনিংস ৫৭১-এ শেষ হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে পিচে সময় কাটায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ২-১-এ সিরিজ জিতে ট্রফি যায় ভারতের ঝুলিতে।
ইন্দোর টেস্টের ঘূর্ণি উইকেটের পালা চুকিয়ে আমদাবাদে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। ফলে যত দিন গড়াচ্ছে কমছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্টে ফলাফলের আশা। শনিবার এই টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের প্রথম ইনিংসের রান ৩ উইকেটে ২৮৯। শতরান শুভমান গিলের, পাল্লা দিয়ে অর্ধ সেঞ্চুরি বিরাট কোহলির। এই টেস্টে দ্বিতীয় শতরান করলেন শুভমন। প্রায় ১৪ মাস পর টেস্টে অর্ধশতরান কোহলির। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ ৪৮০ রানে।
ক্রিকেট লিখিয়েরা বলছেন, ব্যাটাররা ভুল না করলে আমদাবাদের ২২ গজে তাঁদের আউট করা প্রায় অসম্ভব। ভারতীয় বোলারদের মতো অস্ট্রেলিয়ার বোলারদেরও উইকেটের জন্য সারা দিন মাথা খুঁড়তে হয়েছে। ম্যাচের তৃতীয় দিনে স্টিভ স্মিথদের প্রাপ্তি মাত্র ৩ উইকেট। অন্যদিকে ভারতের প্রাপ্তি ২৫৩ রান। সাদা বলের ক্রিকেটে আগেই রানে ফিরেছেন ভিকে। এবার লাল বলের ক্রিকেটে রান পেলেন কিং কোহলি। দিনের শেষে তিনি অপরাজিত ৫৯ রানে। শুরুতে একটু সাবধানে খেললেও সময়ে সঙ্গে সঙ্গে সাবলীল লেগেছে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে।
এদিকে, কেএল রাহুলের প্রথম একাদশে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ করে নজরকারা শুভমনের শতরান। ইন্দোর টেস্টে রান পাননি এই তরুণ ক্রিকেটার। তবে আমদাবাদে খেলেছেন নিখুঁত ইনিংস। তাঁর ১২৮ রানের ইনিংসে ছিল পরিণত টেস্ট ওপেনারের ছাপ। তাঁর ২৩৫ বলের ইনিংসে রয়েছে ১২টি চার এবং ১টি ছয়।
প্রসূন গুপ্ত: বৃহস্পতিবার থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরু চতুর্থ তথা শেষ টেস্ট। আহমেদাবাদের এই টেস্টে ভারতকে জিততেই হবে। ইতিমধ্যে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারত যদি এই টেস্ট জিততে পারে তবে ১২ পয়েন্ট পেয়ে লর্ডসে যেতে পারবে। অবশ্য ড্র করলে ৪ পয়েন্ট পেয়ে একটা ক্ষীণ আশায় তাকিয়ে থাকবে নিউজিল্যান্ডের দিকে। আহমেদাবাদের প্রবল গরমে খেলা শুরু হয়েছে। অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপাতত মধ্যহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ অস্ট্রেলিয়া (এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)। ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। প্রথম দিনের খেলা শেষ হতে হাতে এখনও ৩৭ ওভার।
এ তো খেলার মাঠের কথা। কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার আগে অনেক বিতর্ক হয়েছে আহমেদাবাদ টেস্টকে ঘিরে। আগের তিন টেস্ট নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে শেষ হয়ে যাওয়ায় একাধিক প্রশ্ন তুলেছে আইসিসি। তাদের প্রশ্ন, বিশেষ করে গত ইন্দোর টেস্টকে ঘিরে। সেই টেস্ট একেবারে ব্যাটেরদের বদ্ধভূমি ছিল। ঝুরঝুরে পিচ, ব্যাট নাকি করা যায়নি প্রথম দিন থেকে। বাস্তবিক যে, যেকোনও ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ তার নিজের মতো উইকেট তৈরি করতে পারে। কিন্তু তা বলে এই রকম ঘূর্ণি পিচ নিয়ে প্রশ্ন বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থার।
কোচ দ্রাবিড় যদিও জানিয়েছেন, এসব পিচে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা সেঞ্চুরি-সহ ৩০০র বেশি রান করেছেন। বিরাট কোহলির রানও ২০০-র বেশি, তবে প্রশ্ন উঠছে কেন। এই বিতর্ক যদিও ঢাকা দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। এবার তিনি রয়েছেন কমেন্ট্রি বক্সে।
শাস্ত্রী, ইন্দোর টেস্টে ভারত বিপাকে পড়ার পর ধারাভাষ্যে বলেছেন, অতিরিক্ত আত্মতুষ্টি এসে গিয়েছিল নাকি রোহিত বাহিনীর। এটাই নাকি টেস্টে হারার কারণ।এই কথায়, শাস্ত্রীর পাল্টা রোহিত জানান, পরপর দুটি টেস্ট জেতার পর নিজেদের আত্মবিশ্বাস আসতেই পারে। যারা বলে (পড়ুন রবি শাস্ত্রী) আত্মতুষ্টি, তাদের কথা "জঞ্জাল", এভাবেই রোহিত শর্মা শাস্ত্রীকে ডাস্টবিনে ফেলেছেন। আপাতত খেলায় মন ভারতের। পিচ স্পিনের হলেও প্রথম থেকেই সাহায্য পাওয়া যাবে কম। সেকারণে ভারতীয় দল সেরা ফাস্ট বোলার শামিকে ফিরিয়ে এনেছে। বাংলার পেসার কিন্তু দ্রুত একটি উইকেট পেয়েছেন। এবার নজরে বাকি চার দিন।
প্রসূন গুপ্ত: তিনটি টেস্ট ভারতের মাটিতে হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। গত দুই শতাব্দী ধরে বলতেই হবে ক্রিকেট বিশ্বে অজিরাই সেরা। কিন্তু এহেন অস্ট্রেলিয়ানদের সঙ্গে টক্কর তো ভারত দিয়েছে। বছর দুয়েক আগে ভাঙাচোরা দল নিয়ে তাদের মাটিতে সিরিজ জয় করেছিল সফরকারী ভারত। এবারও ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৩টি টেস্টের মধ্যে দুটিতে পরাজিত করে অবশেষে পরাজিত হতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। অজিদের নতুন টেস্ট অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
কোনও টেস্টই আড়াই বা তিন দিনের বেশি গড়ায়নি বিদঘুটে ঘূর্ণি পিচের কল্যাণে। এমন উইকেট বা পিচ করা হয়েছে যে স্পিনারদের বল লাট্টুর মতো ঘুরেছে। দুই দলের কেউই সুবিধা করতে পারেনি। ক্রিকেট বিশ্বে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে এ কেমন উইকেট?
এই ঘূর্ণি পিচ যে এর আগে কখনও হয়নি তা নয়, কিন্তু অনেকের মতে এ যেন ধানক্ষেতের মতো উর্বর মাঠ। প্রথম বল থেকেই বল ঘুরছে। এই নিয়ে অবশ্য রবি শাস্ত্রী প্রমুখদের বক্তব্য, অস্ট্রেলিয়ায় গেলে কি ওরা স্পোর্টিং পিচ দেবে? সেখানে তো সবুজ পিচ ফাস্ট বোলারদের চারণভূমি!
কিন্তু এটা মোটেই সঠিক যুক্তি নয়। ফাস্ট বোলারদের পিচে গাভাস্কার থেকে তেন্ডুলকররা অজস্র রান করেছেন। উইকেট পেয়েছেন কপিল দেব থেকে আজকের শামিরা। বাস্তবিক অর্থে আজকে ভারতের হাতেও সত্যিকারের ফাস্ট বোলার রয়েছে অন্তত এক ডজন। যাদের মধ্যে হাফ ডজন নিয়মিত টেস্ট বা ওয়ান ডে খেলছেন। নিশ্চয় ভারত স্পিনিং ট্র্যাক করতেই পারে, কিন্তু তাই বলে এমন উইকেট যেখানে খেলা তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায়!
বুমেরাং হয়েছে গত ইন্দোরের টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া এবারের সফরে ৪ স্পিনার নিয়ে এদেশে এসেছিল, আজ তাঁরাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এমনটি দাঁড়িয়েছে যারা আগে টস জিতবে বা পিচ দেখে ব্যাট করবে, তারাই ম্যাচের সিকন্দর হবেন।
কামিন্স দেশে ফিরে যাওয়ার দায়িত্বে এসেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তিনি দেখিয়ে দিলেন ভারতের মাটিতে এবং স্পিনিং ট্র্যাকে কীভাবে জিততে হয়। চতুর্থ টেস্ট আহমেদাবাদে ৯ মার্চ থেকে। এর আগে হোলি উৎসব কাজেই হালকা মেজাজে রয়েছেন খেলোয়াড়রা। চতুর্থ টেস্টে জিতলে বিশ্ব টেস্ট ক্রিকেটের ফাইনালে যেতে পারবে ভারত। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই ফাইনালে চলে গিয়েছে। রোহিত শর্মা ভাবছেন কী?
আগের দুই টেষ্টের মতোই তৃতীয় টেস্টেও ইন্দোরে ঘূর্ণি পিচ করেছিল ভারত। আগের দুই টেস্টে ভারতের কাছে দুরমুশ হয়েছিল প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া। দিল্লির টেষ্টের পরেই কামিন্স দেশে ফিরে যান মায়ের অসুস্থতার জন্য। অনেকেই বলেছেন, অসুস্থ হওয়াটা নাকি বাহানামাত্র, আসলে ভারতে এসে সবকটি টেস্ট হেরে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার দায়ভার নিতে চায়নি কামিন্স। অবশ্য তা একদিকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ভালোই হয়েছে, নেতৃত্বে ফিরেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
স্মিথকে কোনও একটি দোষের জন্য শাস্তিস্বরূপ নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। এটা বাস্তব স্মিথ কিন্তু যেমন ভালো ব্যাটার তেমনই ভালো অধিনায়ক। কামিন্স ফিরে আসাতে ভালোই হল স্মিথের পক্ষে। ভারতের উইকেট সম্বন্ধে ভালো ধারণা রয়েছে তাঁর। আইপিএলে অধিনায়কও হয়েছেন। ভারতের পিচ বা উইকেট নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে যে, এ কোন ধরণের উইকেট যেখানে ব্যাট ধরতেই পারছেন না।
দুই দলের খেলোয়াড়রা। আইসিসি-তে অভিযোগ দেওয়ার কোথাও হয়েছে। ভারতের বক্তব্য এবিষয়ে পরিষ্কার যে, অস্ট্রেলিয়ায় গেলে গ্রিন টপ উইকেট দেওয়া হয় যেখানে গোলার মতো ফাস্ট বোলাররা বল করে, সেখানে ভারতে উইকেট স্পিনারের উপযুক্ত হবে এটাই তো স্বাভাবিক। যদিও ভারতে বিশ্বসেরা ফাস্ট বোলার রয়েছে। কিন্তু ওই বল খেলে অভ্যস্ত অজিরা, কাজেই তাদের বিপাকে ফেলার উপায় স্পিনিং ট্র্যাক।
বুধবার ইন্দোরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার দল মাত্র ১০৯ রানে সবাই আউট হয়ে যায়। বেশি রান করেন বিরাট কোহলি মাত্র ২২। অস্ট্রেলিয়া এবার ভারতে ৪ জন স্পিনার নিয়ে এসেছিল। ম্যাথু কুনেমান ৫ উইকেট, নাথান লায়ন পান ৩ উইকেট এবং টড মার্কি একটি। এরপর ব্যাট করতে নেমে কিন্তু এক উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ভারতের রানকে টপকে যায়।
কিন্তু তারপরেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন জাদেজা। তিনি পরপর ৩ উইকেট এবং সর্বোপরি ৪ উইকেট দখল করেন। আপাতত অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ১৫৪। সেরা ব্যাটাররা সবাই আউট। কিন্তু কোনওভাবে যদি প্রথম ইনিংসে ১০০ বা তার বেশি রানের লিড নিতে পারে অজিরা তবে ভারত চাপে পড়বে। কাল এই টেস্টের দ্বিতীয় দিন।
২০২২ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি ক্লাব ফুটবলে নিজের ৭০০তম গোলটি করে ফেললেন রবিবার রাতে। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে মার্সেইলের বিপক্ষে পিএসজি জয় পায় ৩-০ গোলে। প্রথম গোলটি করেন ফরাসি তারকা এমবাপে। ২৯ মিনিটে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন প্রাক্তন বার্সা তারকা মেসি। দলের পক্ষে শেষ গোলটি আসে সেই এমবাপের পা থেকেই। গত ডিসেম্বরে বার্সেলোনা থেকে পিএসজি-তে আসার পর এটা তাঁর নতুন ক্লাব জার্সিতে ২৮ তম গোল। ১৩ বছর বয়সে কাতালান ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন মেসি।
সেই জার্সিতে ৭৭৮টি ম্যাচ খেলে ৬৭২টি গোল করেছিলেন এলএম-১০। ৭টি ব্যালন-ডি-ওর পাওয়ার রেকর্ডও তাঁরই দখলে। পাশাপশি বার্সেলোনার হয়ে ৩৫টি প্রতিযোগিতামূলক ট্রফি জিতেছিলেন মেসি। ফিফার সেরা খেলোয়াড়ের খেতাবও তাঁরই পকেটে আসছে বলেও ফুটবল বিশ্বে খবর। দেশের হয়ে ৯৮টি গোল করে রেকর্ডের সামনে দাড়িয়ে রয়েছেন লিও। ১০০টি গোল করলেই তিনি হবেন তৃতীয় আর্জেন্টাইন, যিনি ১০০টি গোলের মালিক হবেন। স্বভাবতই মেসি প্রেমীরা উচ্ছসিত এই সাফল্যে।
ফের ছন্দে রোনাল্ডো।করলেন হ্যাট্রিক। নতুন ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেই পুরনো মেজাজে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। শনি রাতে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসারের হয়ে হ্যাট্রিক করলেন এই পর্তুগিজ তারকা।শনিবার প্রিন্স সুলতান বিন আব্দুল আজিজ স্টেডিয়ামে রোনাল্ডোকে দেখার জন্য কানায় কানায় পূর্ণ ছিল স্টেডিয়াম।১৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করেন রোনাল্ডো।
প্রাক্তন রিয়াল তারকার পা থেকে দ্বিতীয় গোলটি এলো ২৩ মিনিটে।শেষ গোলটি করেন ৪৪ মিনিটে। গোটা ম্যাচে কোনো ভাবেই দাড়াতে পারেনি প্রতিপক্ষ ড্যামাক।ম্যানচেস্টার ইউনইটেড থেকে সৌদি ক্লাবে আসেন রোনাল্ডো। তা নিয়েও জল ঘোলা কম হয়নি।যদিও খেলার মাধ্যমেই জবাব দিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
ফের ডার্বির রং সবুজ-মেরুন (ATK Mohun Bagan)। আইএসএল ডার্বিতে শনিবার এটিকে মোহনবাগান জয় পেল ২-০ গোলে। বাগান শিবিরের দুই গোলদাতা স্লাভকো দামজানোভিচ ও দিমিত্রি পেত্রাতোস। লাল-হলুদকে (East Bengal) পরাজিত করে সুপার লীগের প্লে অফে পৌঁছে গেল জুয়ান ফেরান্দর দল।
আগামী ৪ঠা মার্চ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওড়িশার মুখোমুখি হবে টিম এটিকে মোহনবাগান। এদিন শুরু থেকেই ছন্নছাড়া দেখাচ্ছিল দুই দলকেই। মিস পাস, মাঝ মাঠের ভঙ্গুর অবস্থা দেখা গিয়েছে। যদিও লাল হলুদের তুলনায় ধারে ও ভারে এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরে মোহনবাগান। প্রথম গোলটি আসে ৬৮ মিনিটে। গ্যালারিতে তখন আপামর মোহন সমর্থকদের উচ্ছাস। যদিও আর পাঁচটা ডার্বির মতো উত্তাপ ছিল না শনিবার। টিকিটের জন্য হা হুতাশ সেভাবে চোখে পড়েনি।
উল্লেখ্য, টানা ৮ ডার্বিতে জয় পেল বাগান শিবির। এই পরাজয়ে খানিক প্রশ্নের মুখে পড়ে গেলো ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিভন কনস্টান্টাইনের ভবিষ্যৎ। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লীগ তালিকায় ১০ নম্বরে শেষ করল ইস্টবেঙ্গল।
২০১৯ থেকে ২০২৩ চার চারটে বছর কেটে গিয়েছে। তবু হতাশা কাটেনি ভারতের। দু’বারই সেমিফাইনালে এসে স্বপ্নভঙ্গ হলো ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের (ICC Women’s World Cup T20)। টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল হরমনপ্রীত কৌররা (Harmanpreet Kaur)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ছন্নছাড়া ছিল টিম ইন্ডিয়া। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে অজি বাহিনী ৪ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে করে ১৭২। জবাবে ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ভারতীয় দলের রান ১৬৭। মাত্র ৫ রানে পরাজিত হলো ভারত।
অধিনায়ক হরমনপ্রীতের রান আউটের পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন। একা ২২ গজে দাঁড়িয়ে জেমাইমা রডরিগেজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টানছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। ব্যক্তিগত রান করেন ৫২। কিন্তু রান আউটের পর আর খেলায় ফিরতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। নিজের রানআউট নিয়ে মুষড়ে পড়েছিলেন হরমনপ্রীত।
ম্যাচ শেষের সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি জানিয়েছেন, আরো একটু সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন ছিল। এর আগে ২০২০ সালে মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০২২ সালে কমনওয়েলথ গেমসে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয় ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।
চলতি বছর ১৬তম আইপিএল (IPL)-এর পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করল বিসিসিআই (BCCI)। আইপিএল শুরু হচ্ছে ৩১ মার্চ। মোট ১২টি স্থানে হবে এবারের আইপিএল। তিন বছর পর হোম ও অ্যাওয়ে ফর্ম্যাটে হচ্ছে আইপিএল। প্রথম ম্য়াচে মুখোমুখি হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স ও মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
প্রথম ম্য়াচ আয়োজিত হবে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হবে ম্য়াচ। মোট ৭০টা লিগ ম্যাচ আয়োজিত হবে। যার মধ্যে ১৮টা দিন ম্যাচ হবে দিনে দুটো করে। প্রতিটা দল সাতটা করে ঘরোয়া ও সাতটা করে বাইরের ম্যাচ খেলবে।
সূচি অনুযায়ী আমেদাবাদ, মোহালি, লখনউ, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, কলকাতা, জয়পুর, মুম্বই, গুয়াহাটি ও ধর্মশালার মাঠকে বেছে নেওয়া হয়েছে। লিগের শেষ ম্যাচটি আয়োজিত হবে ২১ মে। আর আইপিএল-এর ফাইনাল ম্যাচটি হবে ২৮ মে।
এবার মোট দুটো গ্রুপে রাখা হয়েছে ১০টি দলকে। গ্রুপ-এ তে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, দিল্লি ক্যাপিটালস, লখনউ সুপার জায়ান্টস। গ্রুপ বি-তে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস, পঞ্জাব কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও গুজরাট টাইটান্স।
স্টিং অপারেশনের জের? বিসিসিআইয়ের (BCCI) নির্বাচক কমিটির প্রধানের পদ ছাড়লেন চেতন শর্মা। বোর্ড সচিব জয় শাহকে নিজের ইস্তফা পত্র পাঠান চেতন। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের করা স্টিং অপারেশনে (Sting Operation) চাঞ্চল্যকর দাবি করেন প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান (Chetan Sharma)। সৌরভ বনাম কোহলি দ্বন্দ্ব এবং চোট লুকিয়ে যশপ্রীত বুমরার মাঠে নামা। এই দুই চাঞ্চল্যকর দাবিতে শোরগোল পড়ে ভারতীয় ক্রিকেটে। তাঁর বিরুদ্ধে বোর্ড ব্যবস্থা নিতই, কিন্তু তার আগেই নিজে থেকে পদ ছাড়েন চেতন শর্মা। এমনটাই বিসিসিআই সূত্রে খবর। তবে এই মুহূর্তে পদ ছাড়ার জন্য বোর্ডের তরফে চেতন শর্মার উপর কোনও চাপ ছিল না। এমনটাই জানিয়েছে বিসিসিআই।
বোর্ডের এক কর্তা এক সংবাদ সংস্থার কাছে এই খবর স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'বোর্ড সচিব জয় শাহের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন চেতন। তা গ্রহণও করা হয়েছে। স্টিং অপারেশনের পর ওর ভবিষ্যৎ এমনিতেই টলোমলো ছিল। নিজে থেকেই পদত্যাগ করেছে। কেউ জোর করেনি।' আপাতভাবে প্রাক্তন ক্রিকেটার শিবসুন্দর দাসকে নির্বাচক কমিটির প্রধানের পদ সামলাতে বলা হয়েছে বলে খবর।
রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল ম্যাচের জন্য কলকাতায় ছিলেন নির্বাচক কমিটির প্রধান। সে সময় এক টিভি চ্যানেলের ‘স্টিং অপারেশন’-এ চেতন বলেন, 'সৌরভ এবং বিরাটের মধ্যে একটা ইগোর লড়াই ছিল। সৌরভ এক সময় ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিরাট সেই সময় নেতা ছিলেন। কে বড় তা নিয়ে একটা লড়াই ছিল।'
পাশাপাশি চেতন দাবি করেন, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে চোট পুরোপুরি না সারিয়েই খেলেছিলেন বুমরা। তিনি একটি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন। বুমরা ব্যথা কমিয়ে খেলতে গিয়ে নাকি নিজের চোট আরও বাড়িয়ে ফেলেন। যে কারণে এখনও ভুগছেন তিনি।'
পিকে, চুনি, বলরাম, এই ত্রয়ীর প্রথম দু'জন কবেই অমৃতলোকে যাত্রা করেছেন। এবার ৮৬ বছরে প্রয়াত হলেন তুলসীদাস বলরাম (Tulsidas balaram)। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এই প্রবীণ ফুটবলারের (Veteran Footballer)। দীর্ঘ দিন ধরেই রোগে ভুগে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। শেষের দিকে কিছুটা স্মৃতিভ্রম হয়েছিল। এবার ময়দানকে ফাঁকা ফেলে অভিন্ন হৃদয় দুই বন্ধু পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামীর মতোই তুলসীদাস বলরামের মৃত্যু (Death) হল নীরবে।
১৯৫৬ সালে ভারতে যে দল অলিম্পিক্সে খেলেছিল, সেই দলের শেষ জীবিত সদস্য ছিলেন বলরাম। ভারতীয় ফুটবলে একসঙ্গে উচ্চারণ করা হতো পিকে, চুনী এবং বলরামের নাম। ভারতের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ছিলেন তিনি। দুই কাছের বন্ধুকে শেষ কয়েক বছরে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে মিলিয়ে গেল 'পিকে-চুনী-বলরাম’ ত্রয়ীর যুগ।
বলরামের প্রয়াণে শোকবার্তা পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, 'কিংবদন্তি ফুটবলার তুলসীদাস বলরামের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তাঁর প্রয়াণে ইতিহাসের একটি অধ্যায় শেষ হয়ে গেল। ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগের অন্যতম সেরা ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম অলিম্পিক্স-সহ বহু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অধিনায়কও হয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১৩ সালে 'বঙ্গবিভূষণ' সম্মান প্রদান করে। এছাড়া তিনি অর্জুন-সহ অজস্র সম্মানে ভূষিত। তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়াজগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি তুলসীদাস বলরামের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'
মহিলাদের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (Women IPL) নিলাম চলছে মুম্বইয়ে। জমে উঠেছে নিলাম অনুষ্ঠান। বাংলার রিচা ঘোষকে খেলতে দেখা যাবে স্মৃতি মান্ধানার নেতৃত্বাধীন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে (RCB)। রবিবার ভারতকে টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকা নিয়েছেন রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। শিলিগুড়ির রিচাকে দলে নিয়েছে আরসিবি। রিচাকে নিয়ে নিলামে দর কষাকষিতে সামিল হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও দিল্লি ক্যাপিটালস (DC)। যদিও শেষ অবধি ১.৯০ কোটি টাকার বিনিময়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যোগ দিলেন রিচা।
দিল্লি ইতিমধ্যেই নিয়েছে জেমাইমা রডরিগেজ ও শেফালি ভার্মাকে। জেমাইমার বেস প্রাইস ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। তাঁকে ইউপি ওয়ারিয়রজ নিতে উৎসাহ দেখায়। লড়াই চলতে থাকে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে। এরপর দর কষাকষিতে নামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শেষ অবধি জেমাইমাকে ২.২ কোটি টাকায় দলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক শেফালি ভার্মাও খেলবেন দিল্লি ক্যাপিটালসে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে পিছনে ফেলে তাঁকে দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। শেফালির দর উঠেছে ২ কোটি টাকা। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মেগ ল্যানিংকেও ১.১ কোটি টাকায় কিনেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
শেফালি, জেমাইমা ও ল্যানিংয়ের মধ্যে কাকে অধিনায়ক করা হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে। রাধা যাদব, শিখা পাণ্ডেকেও নিয়েছে ক্যাপিটালস। সোফি ডিভাইন, এলিসা পেরি, রেণুকা সিং, রিচা ঘোষদের নিয়ে শক্তিশালী দল গড়ছে আরসিবি।
ভারতীয় দলের অপর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যস্তিকা ভাটিয়াকে নিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পূজা বস্ত্রকারও খেলবেন এই দলের হয়ে। হরমনপ্রীত কৌরই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে এই প্রিমিয়ার লিগে নেতৃত্ব দেবেন।
বাংলার দীপ্তি শর্মাকে নিলামে নিয়েছে ইউপি ওয়ারিয়রজ। লখনউয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে দেখা যাবে রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়, অঞ্জলী সর্বাণীকেও। অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিসা হিলি, তাহলিয়া ম্যাকগ্রা, দক্ষিণ আফ্রিকার শবনিম ইসমাইলকে নিয়েছে ইউপি ওয়ারিয়রজ। দীপ্তি শর্মাকে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শেষ অবধি তাঁকে ২.৬ কোটি টাকায় দলে নেয় ইউপি।
রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালে বাংলা (Bengal)। মধ্যপ্রদেশকে ৩০৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠল বাংলা। ২০১৯-২০ সালের পর আবারও ফাইনালে বঙ্গ ব্রিগেড। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু রঞ্জি ফাইনাল।
এর আগে ২০১৯-২০ মরসুমে এই মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধেই সেমিফাইনালে হেরেছিল বাংলা। দায়িত্ব ছাড়েন কোচ অরুনলাল। কোচের হট সিটে বসেন প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা। অধিনায়ক করা হয় মনোজ তেওযারিকে। ফল মিলেছে হাতেনাতে। রঞ্জি জয়ের সোনার সুযোগ বাংলার সামনে। এই নিয়ে ১৪ বার ফাইনালে উঠলো বাংলা। শেষবার ঘরের মাঠে দল যখন রঞ্জি যেতে তখন অধিনায়ক ছিলেন সম্বরণ বন্দোপাধ্যায়।
১৯৮৯-৯০ সালের পর রঞ্জির সোনার হরিণ অধরাই থেকে গিয়েছে। এবার ট্রফি ঘরে তুলতে মরিয়া বাংলা। বিশেষ করে দারুন ছন্দে আছে দল। সেমিফাইনালে প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রানের ইনিংস খাড়া করেছিলেন মনোজরা।। জোড়া শতরান করেছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার আর সুদীপ ঘরামী। জবাবে ৫ উইকেট নিয়ে মধপ্রদেশকে ভেঙে দিয়েছিলেন আকাশ দীপ সিং। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে মধ্যপ্রদেশকে শেষ করে দিলেন প্রদীপ্ত প্রামানিক। শেষ দিনে চা বিরতির আগে ২৪১ রানেই শেষ মধ্যপ্রদেশ। এবার মিশন ফাইনাল। তৃতীয়বার ট্রফি জেতার সুযোগ টিম বাংলার সামনে।
রাস্তায় বন্ধুর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ার জেরে খুন (Footballer Murder) হলেন অস্ট্রিয়ার প্রাক্তন ফুটবলার। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ্যে এনেছে। দিনে দুপুরে রাস্তায় গুলি করা হয়েছে ভকলান কাহরামান নামে প্রাক্তন এই ফুটবলারকে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে অস্ট্রিয়ার (Austria Incident) হয়ে খেলেছেন তিনি।
পুলিস সূত্রের খবর, রাজধানী ভিয়েনার একটি পানশালার বাইরে প্রাক্তন বন্ধু তথা ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলছিলেন ভকলান। কোনও একটি বিষয় নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা তর্কাতর্কিতে জড়ান। হঠাৎই বন্দুক বের করে গুলি চালিয়ে দেন ফুটবলারের সেই প্রাক্তন বন্ধু। তারপরে নিজেকেও গুলি করার চেষ্টা করেন বলে পুলিস সূত্রে খবর। অস্ট্রিয়ার পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ভলকান যে ক্লাবে খেলেন, সেই অস্ট্রিয়া ভিয়েনা টুইটে বলেছে, 'যেখানেই থেকো ভাল থেকো ভলকান। যাঁদের রেখে গেলে, তাঁরা যেন এই সময়টা কাটিয়ে ওঠার মতো শক্তি পায়।' নেদারল্যান্ডসের ফেয়েনুর্ড অ্যাকাডেমি থেকে ফুটবল খেলা শুরু করলেও অস্ট্রিয়ার ক্লাবেই পেশাদার ফুটবলজীবন শুরু ভকলানের। ২০০২-এ অস্ট্রিয়ার হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেন। তার মধ্যে ইউরো ২০০৪-এর যোগ্যতা অর্জন পর্বে বেলারুশের বিরুদ্ধে খেলেছেন। ২০০৯-এ অবসর নেন তিনি।