ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ হয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (Brenodn McCulum)। তাঁর জায়গায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR Coach) নতুন কোচ হলেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। বুধবার এই নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে নাইট রাইডার্স। রঞ্জিজয়ী মধ্যপ্রদেশের কোচকে আগামি আইপিএল-র জন্য কোচ হিসেবে নিয়োগ করলেন শাহরুখ খান-বেঙ্কি মাইসোরররা। কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোর বলেন, 'কলকাতা দলে চন্দ্রকান্তকে পেয়ে আমরা দারুণ খুশি। তাঁর হাত ধরেই আমাদের দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওঁর সাফল্য রয়েছে। শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে ওঁর জুটি দেখার জন্য আমরা মুখিয়ে।'
এবার রঞ্জি ফাইনালে মুম্বইকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মধ্যপ্রদেশ। আর এই সাফল্যের পিছনে ছিলেন গুরু চন্দ্রকান্ত। ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচ হিসাবে তাঁর সাফল্য নজর কেড়েছিল। এবার আইপিএল মতো টুর্নামেন্টে দায়িত্ব পেয়ে চন্দ্রকান্ত বলেন, 'আমার কাছে এটা গর্বের দায়িত্ব। নাইটদের দলে থাকা একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। এই দল সম্পর্কে আমি জানি। এই দলের সাপোর্ট স্টাফ এবং ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।'
২০২১-এ আইপিএলের ফাইনালে উঠে হেরে গিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়াররা। এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’বার আইপিএল জিতেছে তারা। এবার চন্দ্রকান্তের হাত ধরে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছে কেকেআর।
ভারতীয় ফুটবল সংস্থা বা এআইএফএফ-র উপর থেকে ফিফার নির্বাসন তুলতে ইতিমধ্যে দৌত্য শুরু করেছে কেন্দ্র। খুব দ্রুত বেরোবে সমাধানসূত্র। সুপ্রিম কোর্টকে বুধবার এই তথ্য দিলেন দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। কেন্দ্রের এই অবস্থানে সন্তুষ্ট শীর্ষ আদালত আগামি সোমবার পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে শুনানি। ভারতীয় ফুটবলের সঙ্কট কাটাতে সুপ্রিম কোর্টে দরবার করেছিল মোদী সরকার। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। সেই শুনানিই সোমবার পর্যন্ত স্থগিত রাখলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। মঙ্গলবারই ফিফার সঙ্গে দু'দফায় কথা হয়েছে। কিছুটা হলেও বরফ গলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি এই সঙ্কট মিটে যাবে।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভারতীয় ফুটবল সংস্থার উপর থেকে কী ভাবে নির্বাসন উঠবে! কারণ, এআইএফএফ নির্বাসিত হওয়ার পরে ভারতে মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ময়দানের আরও একটি সূত্র বলছে, বিশ বাঁও জলে এটিকে মোহনবাগানের এএফসি কাপের ভবিষ্যৎ। যদিও সলিসিটর জেনারেলের এদিনের দাবিতে কোর্ট মনে করেছে, সঠিক পথেই এগোচ্ছে কেন্দ্রের সরকার।
তাই সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রকে আরও কয়েক দিন সময় দিতে চাইছেন তাঁরা। তাই শুনানি পাঁচ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: একদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রাজ্যের সর্বত্র 'খেলা হবে' বলে জানিয়েছেন। এই খেলা কী শুধু ফুটবল কিনা, জানা যায়নি। যদিও আজ বাংলার 'খেল দিবস' বা খেলা দিবস। ১৫ আগস্টের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই জানা গেল, ভারতীয় ফুটবল সংস্থা বা এআইএফএফ-কে বিশ্ব ফুটবলে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ফুটবল সংস্থা বা ফিফা। এর ফলে ডুরান্ড কাপ থেকে আইএসএল-সহ সমস্ত টুর্নামেন্ট বাতিল হয়ে গেল। কারণ, এ সমস্তই ফিফা অনুমোদিত। সামনেই মোহনবাগান দলের দেশের বাইরে এএসফসি টুর্নামেন্ট। হয়তো তাতেও বাধা আসতে চলেছে। তবে বিশ বাঁও জলে ভারতে হতে চলা অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। অক্টোবর-নভেম্বরে এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এদেশে আয়োজনের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। কিন্তু ফিফার সিদ্ধান্তে সেই বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ যারপরনাই অন্ধকারে।
এদিকে প্রশ্ন থাকছে, খেলা দিবস এ রাজ্যে পালন করা হোক না কেন, আসলে ১৬ অগাস্ট বাংলা ফুটবলের কালো দিন। ১৯৮০ তে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের লিগ ম্যাচে মাঠের অভ্যন্তরে ঘটা অনভিপ্রেত ঘটনায় ইডেন গার্ডেনে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তৎকালীন রঞ্জি স্টেডিয়ামে ১৬ জন সমর্থক এই কলহে প্রাণ হারায়। তারপর সেদিনের খেলা শেষে বাতিল হয় কলকাতা লিগ এবং শিল্ড। তৎকালীন সরকারের ত্রুটিতেই এই গন্ডগোল এবং মৃত্যু।
সে বছর ইস্টবেঙ্গল থেকে ১৫ জন খেলোয়াড় দল ছেড়ে বেরিয়ে যায়। অনেকেই বলে, সুরজিৎ সেনগুপ্তের নেতৃত্বে নাকি এই দল বদল। সেবার দলের কোচ ছিলেন পি কে ব্যানার্জি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে নতুন করে দল গড়েন। বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল মজিদ জামশেদকে। কার্যত এই যুগল ইস্টবেঙ্গলকে ফেড কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন করে।
তারপর থেকেই তেতে ছিল দুই দলের সমর্থকরা। সেবারই সরকার এক অদ্ভুত কাণ্ড করে। সারা স্টেডিয়ামে দুই দলের সমর্থকদের মিলেমিশে বসার ব্যবস্থা করে, যা অভূতপূর্ব। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের বিদেশ বসুকে ইস্টবেঙ্গলের ব্যাক দিলীপ পালিত ট্যাকেল করেন। তারপর বিদেশ উঠে দিলীপকে লাথি মারেন। রেফারি দুজনকেই লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। এরপরই ইট-পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়। পাশাপাশি বসে থাকা দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর ওই অঘটন। আর কোনও দিনও এই দুই সমর্থকদের পাশাপাশি বসানো হয়নি। কিন্তু যারা প্রাণ দিল?
সদ্যসমাপ্ত কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতলেও দেশে ফিরেই দুঃসংবাদ অনুরাগীদের দুঃসংবাদ দিলেন পিভি সিন্ধু। চোটের জন্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে গেলেন এই শাটলার। চোট এতটাই গুরুতর যে প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কমনওয়েলথ গেমসেই গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন সিন্ধু। সেই চোট নিয়েই ফাইনাল খেলেন এবং সোনা জেতেন।
জানা গিয়েছে, সিন্ধুর বাঁ পায়ের গোড়ালির হাড়ে চিড়। সুস্থ হতে এক থেকে দেড় মাস। তাঁকে ঘিরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও ভাল ফলের আশায় ছিল ব্যাডমিন্টন মহল। কিন্তু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতেই পারবেন না তিনি। পিভি সিন্ধুর বাবা পিভি রামানা বলেন, 'বার্মিংহাম গেমসেই সিন্ধুর গোড়ালিতে চোট লেগেছে। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়েই সেমিফাইনাল খেলেছে। পরে অবশ্য সোনাও জিতেছে। ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারবে না। এটা খুবই হতাশজনক। বেশ ভাল ছন্দে ছিল। সিঙ্গাপুর ওপেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা জিতেছে। কিন্তু সব কিছু আমাদের হাতে নেই।'
২২টি সোনা-সহ মোট ৬১টি পদক জিতে সদ্যসমাপ্ত কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) চতুর্থ স্থানে ভারত। এমন অনেক ইভেন্ট আছে, যেখান থেকে এবারই প্রথম পদক জিতেছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা (Indian Athletes)। এবার কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়া ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হওয়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিভি সিন্ধু, সাক্ষী মালিক, অচিন্ত্য শিউলিরা। প্রত্যেকের সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'ভারতের খেলাধুলোয় সুদিন এসে গিয়েছে।'
শুধু পদক দেখে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সাফল্য মাপা উচিত নয়। এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'শুধু পদকের সংখ্যা দিয়ে আমাদের ক্রীড়াবিদদের সাফল্য বিচার করা যাবে না। অনেকে এক সেন্টিমিটারের জন্য পদক জিততে পারেনি। আমি জানি আগামী দিনে তারা পারবে। এটা সবে শুরু। ভারতের খেলাধুলোর সোনার দিন দরজায় কড়া নাড়ছে।'
সদ্যসমাপ্ত বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে মোট ১২টি খেলায় পদক জিতেছে ভারত। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যে খেলাগুলোতে আমরা শক্তিশালী ছিলাম সেগুলোতে আরও উন্নতি করার পাশাপাশি অনেক নতুন খেলায় ভাল করেছি। চারটে নতুন খেলায় পদক এসেছে। লন বলে আমাদের দল নজর কেড়েছে। এরপরে অনেকে এই খেলায় উৎসাহ দেখাবে। হকিতে পুরনো গৌরব ফিরে এসেছে।'
এই কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবার মহিলা ক্রিকেটের শুরু। সেই খেলায় রুপো পেয়েছেন স্মৃতি মন্দানা, হরমনপ্রীত কৌররা। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের এই সাফল্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় বোলার রেণুকা সিংয়ের কথা আলাদা ভাবে বলেছেন তিনি। মোদী বলেন, 'হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে ভারত ক্রিকেটে সাফল্য পেয়েছে। রেণুকার সুইংয়ের জবাব কারও কাছে ছিল না। এত বড় বড় ক্রিকেটারের মাঝে সব থেকে বেশি উইকেট পাওয়া মুখের কথা নয়।’
স্বাধীনতার ৭৫-এ কমনওয়েলথের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের এই সাফল্যের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। ক্রীড়াবিদরা তাঁদের সই করা জার্সি, কেউবা গ্লাভস তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কমনওয়েলথের পাশাপাশি দাবা অলিম্পিয়াডে ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দলকে ব্রোঞ্জ জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সোমবারই শেষ হয়েছে কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games 2022)। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে বসেছিল এবারের প্রতিযোগিতার আসর। কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। মোট ৬১টি পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। তার মধ্যে রয়েছে ২২টি সোনা। তবে সোমবারের পর থেকেই নিখোঁজ পাকিস্তানের (Pakistan) দুই বক্সার (Boxer missing ) বলে জানিয়েছে দেশের জাতীয় বক্সিং সংস্থা।
পাকিস্তান বক্সিং সংস্থার সচিব নাসির টাং জানিয়েছেন, বক্সার সুলেমান বালোচ এবং নাজিরউল্লাহ নিখোঁজ। এবারের কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণ করা পাকিস্তান দল ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার দু’ঘণ্টা আগে কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না তাঁদের। নাসির আরও বলেন, ওই দুই বক্সারের পাসপোর্ট এবং যাবতীয় নথি ফেডারেশনের কর্তাদের কাছেই রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের দূতাবাসকে জানানো হয়েছে বিষয়টি। তদন্তের জন্য পাকিস্তান অলিম্পিক্স সংস্থা চার জনের একটি টিম তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, এবারের কমনওয়েলথ গেমসের বক্সিং প্রতিযোগিতায় কোনও পদক জিততে পারেনি পাকিস্তান। ভারোত্তোলন এবং জ্যাভলিন থ্রোতে দুটি স্বর্ণ সহ মোট আটটি পদক জিতেছে পাকিস্তান।
অবশেষে বাড়ি ফিরলেন হাওড়া দেউলপুরের সোনার ছেলে অচিন্ত্য শিউলি (Achinta Sheuli)। কমনওয়েলথ গেমসে এবার সোনা (gold) পেয়েছেন বাংলার অচিন্ত্য। ভারোত্তোলনের ৭৩ কেজি বিভাগে গেমস রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন তিনি। একাদশতম বাঙালি হিসাবে কমনওয়েলথে (Commonwealth) সোনা জেতাই শুধু নয়, অচিন্ত্য গেমস রেকর্ড গড়েছেন মোট ৩১৩ কিলো তুলে। একেবারে বাজিমাত করে এবার ঘরে ফিরলেন সোনার ছেলে। তাঁকে স্বাগত জানাতে ও বরণ করতে সকাল সকালই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর মা পূর্ণিমা শিউলি ও স্থানীয়রা। বিকেল থেকেই ছেলেকে খাওয়ানোর জন্য নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন কড়াইশুঁটির কচুরি ও চানা মশলা। সঙ্গে দই, মিষ্টি তো রয়েছেই।
এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas), ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari), বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে অচিন্ত্য শিউলিকে ফুলের স্তবক ও মুকুট পরিয়ে সংবর্ধনা জানান ক্রীড়ামন্ত্রী ও অন্যান্যরা।
এছাড়াও বাড়ি ফেরার পর তাঁকে বরণ করতে প্রস্তুত ছিল পাড়ার মাসি, বৌদি,দিদি থেকে গোটা দেউলপুর গ্রামবাসী। অচিন্ত্য আসতেই আনন্দ উচ্ছাসে মেতে উঠল গোটা গ্রাম। এদিন এতটাই ভিড় ছিল যে তাঁকে কোনওমতে তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সে ছাদে উঠে হাত তুলে অভিবাদন গ্রহণ করেন। তাঁর মাও বাড়িতে ছেলেকে বরণ করে নেন।