
বেশ কিছুটা সময় পেরিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান (Sikhar Dhawan) এবং তাঁর স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায় (Ayesha Mukherjee) জীবনে। দুজনেই পথ আলাদা করেছেন। তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরেছে, এই গুজব উঠেছিল আগেই। যদিও তাঁরা দু'জন জনসমক্ষে কিছু বলেননি। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে নীরবতা ভাঙলেন ধাওয়ান। তিনি বলেছেন, কীভাবে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী বিচ্ছেদের পথ বেছেছেন। আবারও কী বিবাহবন্ধনে (Remarriage) আবদ্ধ হবেন শিখর? এই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে শিখর ধাওয়ান বলেছেন, তিনি বিবাহে 'ব্যর্থ' হয়েছেন। যদিও এই বিচ্ছেদে তিনি কারও দিকে আঙ্গুল তুলতে চান না, কারণ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের। তিনি বলেন 'আমি ব্যর্থ হয়েছি কারণ বিয়ের ময়দান আমার পরিচিত ছিল না। ২০ বছর আগে আমি বিয়ে সম্বন্ধে কিছুই জানতাম না। অভিজ্ঞতার সঙ্গে এই শিক্ষা আসে।' শিখর এবং আয়েশার বিবাহবিচ্ছেদ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে তিনি কতটা প্রস্তুত আরও একবার ছাদনাতলায় যেতে? সেই বিষয়ে জানিয়েছেন।
ধাওয়ান ইন্টারভিউতে বলেছেন, 'বর্তমানে আমার বিচ্ছেদ মামলা চলছে। আগামীকাল যদি আমাকে আরও একবার বিয়ে করতে হয়, আমি সেই বিয়েতে আরও বেশি অভিজ্ঞ হয়ে যাব। আমি বুঝে যাব আমার কেমন জীবনসঙ্গী প্রয়োজন, যার সঙ্গে আমি সারা জীবন কাটাতে পারব।' তিনি আরও বলেন, 'আগে যখন আমি প্রেমে পড়েছিলাম তখন লাল পতাকাগুলো দেখতে পায়নি। কিন্তু আজ যদি আমি প্রেমে পড়ি তাহলে অবশ্যই সেই লাল পতাকাগুলো দেখতে পাব।'
এখানেই শেষ নয়, ধাওয়ান নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সকলকে বার্তা দিয়েছেন, 'সম্পর্কে গেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। বুঝতে হবে, সে সঙ্গীর সান্নিধ্য উপভোগ করছে কিনা।'
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ফ্যান ফলোয়িং যে কত বড়, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। তিনি ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এক আদর্শ খেলোয়াড়ই বটে। খেলা ছাড়াও তাঁর ব্যক্তিত্বের ফ্যানও অগণিত। ফলে খুব কম সময়ের মধ্যেই বিশ্ববাসীর মন জয় করে নিয়েছেন বিরাট কোহলি। তবে এবারে এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটল। বিরাটকে এবারে দেখা গেল নবম শ্রেণীর এক ইংরেজি প্রশ্নপত্রে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ইংরেজির প্রশ্নপত্রে বিরাটের একটি ছবি দেওয়া হয়েছে এবং সেই ছবি দেখে ১০০-১২০ শব্দ লিখতে বলা হয়েছে। আর এই ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল (Viral)। ছবি দেখে বিরাট ভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে।
A question for the English exam of 9th Standard.
— Johns. (@CricCrazyJohns) March 25, 2023
Showing the picture from the hundred of Virat Kohli against Afghanistan in the Asia Cup. pic.twitter.com/j2bhv6p1pu
তবে এই প্রশ্নপত্র কোন বোর্ডের তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর আগে বিরাটকে মাঠে তাঁর ছন্দে দেখা না গেলে সমালোচকরা তাঁর সমালোচনায় মেতেছিলেন। কিন্তু বিরাটের ভক্তরা তাঁর পাশে থেকেছেন, তাঁকে বিশ্বাস করেছেন। পরে তিনি মাঠে রাজার মতই ফিরে এসেছেন ও বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তবে বিরাটকে এবারে পড়ার বিষয়ের মধ্যে থাকতে দেখে নেটদুনিয়া বলেছে, ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে খেলাধুলো যে কতটা দরকার ও বিরাট যে কতটা বড় জায়গা করে নিয়েছেন, তা এই ছবি দেখেই প্রমাণিত।
আবার এই ছবির নীচে বয়ে গিয়েছে কমেন্টের বন্যা। নেটিজেনরা উচ্ছ্বসিত হয়ে কেউ লিখেছেন, এই ছবি দেখে ১২০ শব্দ কেন হাজার হাজার শব্দ লেখা যাবে। কেউ লিখেছেন, এই ছবি দেখে তিনি পুরো বই লিখে ফেলতে পারবেন। এই ছবিতে অনেক কিছু বলার আছে। কেউ বলেছেন, একেই আসল সাফল্য বলে। কেউ আফসোস করেছেন, এমন প্রশ্ন তাঁদের সময়ে কেন এল না? উল্লেখ্য, বিরাটের এই ছবিটি ২০২২ সালের এশিয়া কাপের, যখন তিনি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
ষষ্ঠ ভারতীয় (Indian) হিসেব সোনা (Gold) জয় নিখাত জারিনের। আরও এক বার মেয়েদের বিশ্ব বক্সিং (Boxing) চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলেন নিখাত জারিন। এই নিয়ে পর পর দুই বার সোনা জিতলেন তিনি। ফাইনালে ভিয়েতনামের গুয়েন থি তামকে ৫-০ ব্যবধানে হারান জারিন।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেই ভিয়েতনামের তি থাম জিততে পারেননি। তি থাম কে হারিয়ে রবিবার তৃতীয় সোনা দিলেন জারিন। মেরি কমের পর তিনিই দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা, যিনি একাধিক বার বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলেন। শনিবার নীতু ঘাঙ্ঘাস, সুইটি বোরা সোনা এনে দিয়েছিলেন ভারতকে।
সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। এতদিন তাঁকে জ্যাভলিনের (Javelin) রানওয়েতে একের পর এক রেকর্ড গড়তে দেখা গিয়েছে। টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জিতে ভারতের মুখ বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল করেছেন তিনি। তবে এবারে তাঁকে এক অন্য মুডে, অন্য ছন্দে দেখা গেল। এককথায়, তাঁর যেন এক অন্য রূপ সবার সামনে ফুটে উঠল, যা দেখে 'ফিদা' নেটিজেনরা। নীরজকে এবারে রানওয়ে ছেঁড়ে ডান্স ফ্লোর কাঁপাতে (Dance) দেখা গেল। আর এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে (Social Media) ঝড়ের গতিতে ভাইরাল।
মুম্বইয়ের জুহুতে ভারতীয় ক্রীড়াজগতের এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন স্বর্ণপদক জয়ী নীরজ চোপড়া। সেখানেই তাঁকে জনপ্রিয় কিছু ইউটিউবার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে হার্ডি সান্ধুর 'বিজলি বিজলি' গানের সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে। এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে রাতারাতি ভাইরাল। মেয়েরা খাচ্ছে 'ক্রাশ'। এই ভিডিওতে ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারের কাছাকাছি লাইক পড়েছে। আর বয়ে গিয়েছে কমেন্টের বন্যা। কেউ কমেন্টে দিয়েছে হার্ট ইমোজি। কেউ বলেছেন, 'কবুল হ্যাঁ'। আবার কেউ লিখেছেন, নীরজ তাঁদের এখন ক্রাশ হয়ে গিয়েছে।
এর আগেও নীরজকে টিভির পর্দায় বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল। তাঁর সেই রূপ, অভিনয় তাক লাগিয়ে দিয়েছিল নীরজ অনুরাগীদের। আর এবারে কোমর দুলিয়ে ডান্স ফ্লোর কাঁপালেন নীরজ।
প্রসূন গুপ্তঃ আর কয়েক দিন বা কয়েক ঘণ্টা। তারপরেই শুরু বিশ্বের সবথেকে পেশাদারি ক্লাব ক্রিকেট আইপিএল। আজকের বিশ্বসেরা ক্রিকেটারদের লক্ষ্যই আইপিএল খেলা। এতো টাকা, এতো সুবিধা এর আগে ক্রিকেট দুনিয়ার কেউ দেখেননি। আজকের যুবা মহল শৈল্পিক ক্রিকেটে আগ্রহ রাখে না। অবাক বিষয় এই যে, ৬০/৭০/৮০-র দশকে ভারতীয় ক্রিকেট ডালে বঙ্গ সন্তান পাওয়া যেত না, কিন্তু দেশি বা বিদেশী ক্রিকেটারদের অন্যতম প্রিয় মাঠ ছিল ইডেন গার্ডেন। তাঁরা বলতেন, বাঙালির মতো ক্রিকেট সমঝদার দুনিয়ার কোথাও নেই। এ কারণে টেস্ট ক্রিকেটে এই মাঠে প্রিয় খেলোয়াড় ছিলেন মুস্তাক আলী, পাতৌদি, বিশ্বনাথ, কপিলদেব, আজহারউদ্দিন লক্ষণ ইত্যাদি। এই বাংলার ইডেনে আজ কোনও খেলা থাকলে মাঠ ভরেও যায় অবাঙালিতে। কারণ তাঁদের পয়সা আছে যা আম-বাঙালির নেই। কাজেই ক্রিকেট শিল্প বোঝার লোক কমে গিয়েছে কলকাতায়।
কিন্তু এসব অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। আজকের এন্টারটেনমেন্টের মাধ্যম সিনেমার অবস্থান কোথায়। সিনেমা হাউস উঠে গিয়েছে, চলছে শপিং মলগুলিতে। সেরকম টেস্ট ওয়ান ডে রয়েছে ঠিকই, কিন্তু ওসবে মন ভরে না। ২০ ওভারের খেলা অফিসে বা ব্যবসা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে মাঠে যাওয়া এবং ধাঁই ধাঁই করে প্রতি বলে হিট করো, রান বাড়াও। বোলার নামক অসহায় খেলোয়াড়দের কাজ হলো প্রতি বলে রান না দিয়ে ডট বল করো। কিসের সুইং কিসের অর্থডক্স স্পিন যা কিনা করে গিয়েছেন বেদি প্রসন্ন চন্দ্রশেখররা।
অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের টেস্ট ম্যাচে রান আর ওঠে না ৪০০ বা ৫০০। খেলবেন কাঁরা? ওই তাঁরা, যাঁদের কেউ মুম্বই, কেউ দিল্লির ক্লাবে প্রচুর টাকা নিয়ে খেলছেন। দেশের কথা ভেবে কি হবে? নিশ্চই সব ধরণের ক্রিকেট চলবে, কিন্তু সাবেকি ক্রিকেট স্টাইলের বিদায় মেনে নেওয়া যায় কি আইপিএলের দাপটে?
যত দিন যাচ্ছে শুভমন গিলের (Shubhman Gill) প্রেম জীবন নিয়ে ততই চর্চা বাড়ছে। খেলার (Cricket) ময়দানে যেমন চার ছয় হাকাচ্ছেন, ঠিক তেমন ভাবেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও যে বর্ণময়, সেই ধারণা অনেকের মনেই। সামাজিক মাধ্যমে শুভমনের মহিলা ভক্ত অনেক, তাঁকে প্রকাশ্যে দেখতে পেলেই যেন মহিলারা ধেয়ে যান তাঁর দিকে। ব্যক্তিগত জীবনে গিল কাকে ডেট করছেন তা জানতে আগ্রহী ভক্তকূল। এবার তাঁর সঙ্গে নাম জড়াল আরও এক ষ্টার কিডের।
তবে এই প্রথম নয়, গুঞ্জন ছিল শচীন তেন্ডুলকার কন্যা সারাকে ডেট করছেন শুভমন। একই রেস্তোরাঁয়, একই দিনে, অপরিবর্তিত রেস্তোরাঁ পরিবেশে তাঁদের দুজনের ছবি নিয়ে চর্চা হয়ে গিয়েছে কয়েক দফা। অন্যদিকে সইফ আলি খান ও অমৃতা সিং-এর কন্যা সারার সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুজব রটে। এক নেটিজেন তাঁদের রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে বসে থাকতে দেখে সেই মুহূর্তের ভিডিও করেন।নিমেষেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। এক ইন্টারভিউতে শুভমনকে, অভিনেত্রী সারার সঙ্গে প্রেম করছেন কিনা জিজ্ঞেস করাতে তিনি উত্তরে বলেন, 'হয়তো হ্যাঁ, হয়তো না। ' তাঁর এই উত্তরে জল্পনার পলে হাওয়া লাগে। এবার আবারও তাঁকে নিয়ে নতুন জল্পনা।
এবার পরিচালক বিধু চোপড়ার মেয়ে জুনি চোপড়া শুভমনকে নিয়ে লিখলেন। সম্প্রতি এক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শুভমন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জুনি। দুটি পুরস্কার পান শুভমন। এই ট্রফি দুটি হাতে ছবি পোস্ট করে জুনি লেখেন, 'অভিনন্দন শুভমন এই ট্রফিগুলি জেতার জন্য। ধন্যবাদ আমাকে এই ট্রফিগুলি ধরতে দেওয়ার জন্য। ভালোবাসি, গর্বিত।' শুভমনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেটিজেনরাও। একইসঙ্গে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা কি কেবলই বন্ধু ! নাকি শুভমনের মনের নাগাল পেয়েছেন জুনি?
প্রাক্তন ক্রিকেটার ও রাজনীতিক নভজোৎ সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu) বর্তমানে জেলে। এমন সময়েই ক্যান্সার ধরা পড়ল তাঁর স্ত্রীর। প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার নয়, একেবারে স্টেজ টু ক্যান্সারে (Cancer) আক্রান্ত সিধুর স্ত্রী নভজোৎ কৌর (Navjot Kaur)। এতদিন পাশে ছিলেন স্বামীর। কিন্তু মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে ভেঙে পড়েছেন তিনি। হতাশ হৃদয়ে স্বামীর উদ্দেশে টুইটারে লিখলেন নিজের মনের কথা। সেই চর্চায় এখন সামাজিক মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত ৩৪ বছর আগের একটি পথ দুর্ঘটনার মামলায় সিধুকে এক বছরের জেলের সাজা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমানে পাতিয়ালা সেন্ট্রাল জেলে বন্দি তিনি। সিধুর স্ত্রী টুইট করে লেখেন, 'সে এমন এক অপরাধের জন্য জেলে রয়েছেন, যে অপরাধ সে করেইনি। যারা জড়িত রয়েছে তাঁদের ক্ষমা করো। প্রত্যেকদিন তোমার জন্য বাইরে অপেক্ষা করছি, তোমার থেকেও বেশি কষ্ট পেয়ে। বরাবরের মতোই তোমার কষ্ট দূর করতে চাইছি, তোমার কষ্টের ভাগীদার হয়ে।'
নভজোৎ কৌর আরও হৃদয়বিদারক লেখা লেখেন তাঁর মারণ রোগের কথা লিখে। তিনি লিখেছেন, ' তোমার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম, দেখলাম বারংবার ন্যায় তোমাকে প্রত্যাখ্যান করছে। সত্য ক্ষমতাশালী কিন্তু তা বারংবার তোমার পরীক্ষা নিচ্ছে। কলিযুগ। মাফ করো, তোমার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারলাম না। আজ ছুরি চলবে আমার উপর। কাউকে দোষ দেওয়ার নেই, কারণ সবই ঈশ্বরের পরিকল্পনা। যথাযথ।'
অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে আইসিসির ওডিআই তালিকায় শীর্ষস্থান হারালো ভারত। ভারতকে ২-১ ব্যাবধানে হারিয়ে সিরিজ জয় করে অস্ট্রেলিয়া। তারপরেই বদল হয় আইসিসির তালিকা। যেখানে ভারতকে শীর্ষস্থান থেকে সরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে রাখা হয়েছে, তালিকায় ভারত বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
চেন্নাইয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পরেই নতুন ক্রমতালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। তাদের পয়েন্ট ৩৯৬৫। রেটিং পয়েন্ট ১১৩। সমান রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত। যদিও রোহিতদের পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়ার থেকে অনেকটাই বেশি (৫২৯৪)। তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে নিউজ়িল্যান্ড। তাদের পয়েন্ট ৩২২৯। রেটিং পয়েন্ট ১১১। চার নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডেরও রেটিং পয়েন্ট ১১১। জস বাটলারদের পয়েন্ট ৩৯৯৮। এই তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। বাবর আজ়মদের পয়েন্ট ২৬৪৯। তাদের রেটিং পয়েন্ট ১০৬।
চেন্নাইয়ে তৃতীয় ম্যাচে সিরিজ়ের মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল। সেখানে প্রথমে ব্যাট করে ২৬৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিল ভারত। অর্ধশতরান করেন বিরাট কোহলি। হার্দিক করেন ৪০ রান। কিন্তু অসি স্পিনারদের দাপটে ২৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ২১ রানে ম্যাচ ও সেই সঙ্গে সিরিজ় জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজে সূর্যকুমার যাদব তিনটে ইনিংসেই শুন্য রানে আউট হয়েছেন।
প্রসূন গুপ্ত: অবশেষে ভারত সেরা মোহনবাগান। স্বাভাবিকভাবেই এটা বাংলার আবেগ। আজকাল দুই প্রধানের কর্মকর্তারা হয়তো ট্রফির পিছনে দৌড়ন না। একেবারেই ইউরোপিয়ান ফুটবল ক্লাবের মতো মানসিকতা (যা অবশ্যই পেশাদারি)। আজ আর লোকাল লিগ বা আইএফএ শিল্ড বা ডুরান্ড কিংবা ভারতের অন্য ট্রফির দিকে নজর নেই ক্লাব কর্তাদের। আইএসএল আসার পর যেন ওটাই একমাত্র মোক্ষধর্ম। আজকের দিনে ক্লাবকে ভালোবেসে দিনের পর দিন একই ক্লাবে খেলে যাওয়ার রেওয়াজ নেই।
চিরকাল মোহনবাগানে খেলা বাঙাল চুনি গোস্বামী বা সুব্রত ভট্টাচার্য অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলে খেলা খাস ঘটি শান্ত মিত্র বা প্রশান্ত সিনহার মতো ক্লাব প্রেম কোথায়? ফেলো টাকা পায়ে বল, সংস্কৃতি হারিয়ে গিয়েছে। সোমবার মোহনবাগান তাঁবুতে ট্রফি এসে পৌঁছলে যে উচ্ছ্বাস সমর্থকদের মধ্যে পাওয়া গেল তা এক সময়ে দেখা যেত ৫০ থেকে ৯০ দশকে। তারপর কোথাও কী হারিয়ে গেল? ইস্টবেঙ্গল ৬০-এর দশক থেকে ২০১০ অবধি মাত্র একটিই বছর ট্রফি শূন্য ছিল। ১৯৭৯-এ, অথচ ওই বছর ইস্টবেঙ্গল সারা ভারত থেকে সেরা খেলোয়াড়দের ক্লাবে সই করিয়েছিল। নিশীথ ঘোষ, তিনি জানতে পেরেছিলেন নাকি সুরজিৎ সেনগুপ্তর নেতৃত্বে বাঙালি খেলোয়াড়রা দলের মধ্যে গ্রুপবাজি করছে।
সে বছর প্রবল ক্ষোভের মধ্যে পড়েছিলেন নিশীথবাবু। ১৯৮০-তে দল ভেঙে গেল সুরজিৎ সেনগুপ্ত, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়-সহ প্রায় এক ডজন বাঙালি খেলোয়াড় এবং অন্য রাজ্যের খেলোয়াড়রা ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে চলে যান। নিশীথবাবু পিকে ব্যানার্জিকে কোচ করে নিয়ে আসেন। প্রদীপবাবুর হাতে রাইট ব্যাক টমাস ম্যাথুজ এবং স্টপার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য ছাড়া কেউই তেমন ছিল না। পরে হাবিব, সুধীর কর্মকাররা দলে এলেন এবং তিন বিদেশী নিয়ে আসলেন পিকে।
মজিদ বাস্কর,জামশেদ নাসিরি এবং খাবাজি। ওই বছর দুটি ট্রফি জয় করল ইস্টবেঙ্গল এবং কোনও দেশীয় টিমের কাছে হারে ক্লাব সেই বছর। এরপর থেকে প্রতি বছর শুধু ট্রফি আর ট্রফি। আর আজ দীর্ঘদিন এই ইস্টবেঙ্গলে কোনও ট্রফি নেই। তাপ-উত্তাপও নেই কর্মকর্তাদের। নিয়মিত প্রধান ক্রীড়া শত্রু মোহনবাগানের কাছে হারছে আর শুনতে হচ্ছে যত বার ডার্বি ততবার হারবি।
মোহনবাগান আইএসএল জয়ের (ISL Champion) পর শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ক্লাব ডেভেলপ ফান্ডে এবং সমর্থকদের মিষ্টি খাওয়ার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করেন তিনি। তিনি বলেন, 'আমি দেখলাম বাংলারাও অনেক ছেলে এগিয়ে এসেছে। ভারতের হয়েও খেলেছেন এখানেও খেলছেন এবং তাঁদের জীবনে একরাশ স্বপ্ন। বুকভরা স্বপ্ন। আমরা সবাই স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, মোহনবাগান (Mohan Bagan Club) একটা করে জিতছে। ইস্টবেঙ্গল বেচারা এবছর দল তৈরি করতে পারেনি ঠিক করে। আমি ওদের দোষ দিচ্ছি না।'
তিনি জানান, 'কারণ হচ্ছে ওরা টিমটা ভালো করে তৈরি করতে পারেনি। কারণ ওদের আর্থিক অসুবিধা ছিল। কিন্তু মোহনবাগান যে খেলাটা আগেই খেলে দিয়েছে, সেটা হচ্ছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার তো টাকার অভাব নেই। আর ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশনের কর্ণধার, বাড়তি সাহায্য করে ক্লাবটাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। মোহনবাগান সুপার চ্যাম্পিয়ন, সুপার জায়ান্ট।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি অরূপকে বলেছিলাম সঞ্জীবের সঙ্গে কথা বলো। এই ATK শুনতে ভালো লাগে না। মোহনবাগান মোহনবাগান। তার ইতিহাস গোর্খাদের বিরুদ্ধে খালি পায়ে লড়াই করে এই মোহনবাগানকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর নাম গোষ্ঠ পাল, আমরা যেন ভুলে না যাই। আমার মনে আছে আমি তখন বেশ ছোট, আর আমার মা খুব খেলা দেখতেন। আমি কার সাপোর্টার বলবো না। আমি সবার সাপোর্টার।'
মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'কিন্তু আমার মা মোহনবাগানের খেলা হলেই কালীবাড়িতে পুজো দিতে যেতেন। আর আমার দাদা মোহনবাগানের সাপোর্টার তবে এখন নিজেই ইস্টবেঙ্গলে আছে। ওর বাড়ি প্রায় ভেঙেই যাচ্ছিল, সারাক্ষণ শুধু ফুটবল ফুটবল ফুটবল। এই করে ওর বৌ একদিন আমায় বলল, ওকে আমি ডিভোর্সই দিয়ে দিব। আমি বললাম কেন? বললো বাড়িতে সময় দেয় না সারাক্ষণ ফুটবল করে বেড়াই। এই করে জীবনটাও কাটিয়ে দিয়েছে। আমাদের পাড়ায় ছোট্টো একটা ক্লাব আছে মিলন সংঘ ক্লাব। সুপার লিগে খেলে। আমি একদিন ইতিহাস বাছতে গিয়ে খবর পেলাম আমার বাবা নাকি স্বাধীনতার আগে ওই ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আজও বাবার নামেই রেকর্ড আছে। এই জন্য আমাদের পরিবার এমনিতেই ফুটবলের সঙ্গে আন্তরিকভাবে যুক্ত।'
তাই তিনি আরও বলেন, 'আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, স্বপ্ন আমিও দেখি। যেদিন ফাইনাল খেলা সেদিন ভোরবেলা আমি দেখছি মোহনবাগান জিতে গিয়েছে। আমি বাড়িতে বললাম তখনও খেলাই শুরু হয়নি। তার মানে মাথায় একটা ক্লিক করছে, বাংলা এত দূর এসেও পিছিয়ে যাবে। এটা কখনও হয় না। এবং এটা আমি অরূপকে ম্যাসেজ করে জানিয়েও দিয়েছিলাম। যাতে চিন্তা করিস না বাংলা আজ ভারত সেরা, আমরা গর্বিত। আমরা কথায় কথায় বলি, what bengal thinks today, India thinks tomorrow- মোহনবাগানই এই পথটা আমাদের দেখিয়েছে। সব খেলার সেরা বাঙালির ফুটবল প্রমাণ করে দিয়েছে মোহনবাগান ক্লাব।'
এটা শুধু মোহনবাগানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটা ভারত সেরা। আগামী দিনে চাই আপনারা বিশ্বসেরা হোন। একদিন মোহনবাগান কেন ব্রাজিলের সঙ্গে খেলবে না, একদিন মোহনবাগান কেন পোল্যান্ডের সঙ্গে খেলবে না, একদিন মোহনবাগান কেন ইতালির সঙ্গে খেলবে না, খেলতে হবে এবং বিশ্বজয় করতে হবে। বাংলাকে নেগলেক্ট করলে হবে না। বাংলা করে দেখাতে পারে। বাংলা জয় করতে পারে। একদিন আপনারা বিশ্বজয় করবেন। সেইদিন মনে রাখবেন এই ছোট্টো কথাটা আমি বলে গিয়েছিলাম কারণ আমি মনে করি সারা পৃথিবী একদিন আপনাদের দরজায় আসবে। এভাবেই মোহনবাগান সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আমি সমর্থকদের মিষ্টি খাওয়ার জন্য এবং মোহনবাগান ক্লাবকে ডেভলপ করতে রাজ্য সরকারের তরফে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে যাচ্ছি। আপনারা আরও ভালো খেলুন, আমাদের গর্ব আপনারা। এই মন্তব্য এদিন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, 'খেলা হয়েছে, খেলা হবে, আবার খেলা হবে। আবার জিততে হবে। বিশ্বজয় করতে হবে, আমি বিশ্বকাপ নিয়ে আসতে চাই।'
স্টিভন কনস্ট্যানটাইনের নেতৃত্বে ব্যর্থ দল (Eastbengal)। সে জন্যই হয়ত পরিবর্তন হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ। কিন্তু সেই দৌড়ে কে এগিয়ে? প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরমহল-সহ ভক্তমহলে। স্টিভন কনস্ট্যানটাইনের কোচিংয়ে আইএসএলে (Isl) ভাল ফল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। সেই জায়গা দখলের লড়াইয়ে কে এগিয়ে? নাম উঠছে জোসেফ গোম্বাউয়ের। লিয়োনেল মেসির প্রাক্তন ক্লাব, বার্সেলোনার যুব দলের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। আইএসএলেও কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে জোসেপের। ওড়িশা এফসির কোচ ছিলেন তিনি। এ বারের প্রতিযোগিতা শেষে ওড়িশার দায়িত্ব ছেড়েছেন তিনি।
পরপর দু'বছর ভালো ফল না করতে পেরে ভারতের প্রাক্তন কোচ স্টিভন কনস্ট্যানটাইনকে কোচ করে আনে ইস্টবেঙ্গল। তাতে অবশ্য পরিস্থিতি বদলায়নি ইস্টবেঙ্গলের। এবছরও ইস্টবেঙ্গল নবম স্থানে লীগ শেষ করে। তারপরেই কোচ বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই দলের তরফে খবর। সেই দৌড়ে এখনও অবধি এগিয়ে মেসির প্রাক্তন প্রশিক্ষক জোসেপ গোম্বাউ। এখন কতদিনে ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ হিসেবে চুক্তি সই করবেন গোম্বাউ সেটাই দেখার!
দশ উইকেটে ভারতকে (India) হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরালো অস্ট্রেলিয়া (Australia)। রবিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্টার্কের দাপটে ভারত শেষ হয়ে যায় ১১৭ রানে। যদিও বাঁহাতি পেসারে দাপট মানতে চাননি ভারত অধিয়ানক রোহিত (Rohit sharma) শর্মা। রবিবার বিরাট কোহলির উইকেট ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ৫ উইকেটই নিয়েছেন ক্যাঙ্গারু বাহিনীর এই বাঁহাতি পেসার।
রবিবার ম্যাচের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ভারত অধিয়ানক রোহিত শর্মা বলেন, 'আমরা ডান হাত, না বাঁ হাত সেটা দেখি না। উইকেট হারানোটাই চিন্তার। সেটার দিকে নজর দেব আমরা। কী ভাবে আউট হচ্ছি, কী করতে হবে, সেই সব নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। পেসারদের বিরুদ্ধে আরও ভালওো ভাবে তৈরি হয়ে নামতে হবে। কিছু জিনিস ঠিকঠাক না হলে সেটা নিয়ে নানা ভাবনা আসে। আমাদের জন্য আজ কোনও কিছুই ঠিক করে কাজ করেনি। '
রবিবারের ম্যাচে সেরা হন অস্ট্রেলীয় পেসার স্টার্ক। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন বিরাট কোহলি। রবিবার ভারতের হারের পর সিরিজ় ১-১। শেষ ম্যাচ ২২ মার্চ চেন্নাইয়ে। সেই ম্যাচের গুরুত্ব বেড়ে গেল। সিরিজ় কে জিতবে তা ঠিক হবে ওই ম্যাচে।
প্রসূন গুপ্ত: অবশেষে আইএসএল (ISL) ট্রফি জয় করলো শতাব্দী প্রাচীন মোহনবাগান দল। থুড়ি এটিকে মোহনবাগান (Mohunbagan)। যদিও শনিবার রাতেই উল্লাসিত দলের কর্নধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা দলের এটিকে নামটিকে বিদায় দিলেন, এবার থেকে নতুন মোড়কে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টস। কিন্তু সাহেবদের ১৯১১-তে পরাজিত করা মোহনবাগান সমর্থকরা চায়, স্বাধীনতার লড়াইয়ে প্রথম ক্রীড়া দল স্বনামেই বিরাজমান হোক।
আরব সাগরের তীরে কাজু আর ফেনির গন্ধে ম-ম করা অথবা চিরকালের বাঁধা না মানা বাঙালির রোমান্টিকতা খোঁজা গোয়া কিন্তু বঙ্গবাসীকে বেড়াতে যাওয়ার বোনাস দিল আইএসএল ট্রফি। পমফ্রেট ফ্রাইয়ে শনিবার রাতে উপস্থিত বাঙালি আনন্দ করতে পারেনি। মন পড়ে রয়েছে মানিকতলা বা মালদা বাজারের গলদা চিংড়ির দিকে। রবিবার বোধহয় ধর্মতলার নিউ মার্কেটে কুঁচো চিংড়িও পাওয়া যাবে না।
আজ টুটু বোস বা মন্ত্রী অরূপ রায়ের বাড়ির লাঞ্চের মেনু কী জানতে উৎসুক ঘটি-বাঙাল সবাই। আজ আর ঘটি বাঙালের ঝগড়া নেই। আমরা পারছি না তা বলে বাংলায় ট্রফি আসবে না তা মোটেই চাই না, বলেই ফেললেন বাঙাল মন্ত্রী ইস্টবেঙ্গলের গোড়া সমর্থক পার্থ ভৌমিক। দিলীপ ঘোষকে খুশি মনেই ট্রফি জয়ের শুভেচ্ছা জানাবেন কি গর্বিত কাঠ বাঙাল রূপা গাঙ্গুলি?
বহুদিন বাংলায় ট্রফি নেই। আজকাল আর আই লিগ, আইএফএ শিল্ড বা ডুরান্ড ইত্যাদি ট্রফির দিকে নজরই নেই কলকাতার দুই প্রধানের। এখন তো আর জ্যোতিষ গুহ বা ধীরেন দেরা ক্লাব চালান না বা ওই ঐতিহ্য রাখাও সম্ভব নয়। ওসব অতীত মূল্যহীন। এটা ফেল কড়ি মাখো তেলের যুগ। কোটি কোটি টাকা ঢালো দল গড়ো। কে বাঙাল কে ঘটি কিছু আসে যায় না। যদি এমন হয় যে, গোটা দলটিতেই অবাঙালি বা বিদেশী দরকার তো কোই পরোয়া নেহি। দলের নামের আগে বা পরে যদি স্পনসরের নাম বসাতে হয় তবে তাই সই। হচ্ছেও তাই। আজকের বাজারে ট্রফি নিয়ে কেউ পাত্তা দেয় না। দুই দলের সুস্থ শত্রুতাটিও বিদায় নিয়েছে। টার্গেট একটিই আইএসএল ট্রফিতে কটা জয় জরুরী তাই ভাবো।
কিন্তু মালিকরা কি ভাবল তা নিয়ে কী আসে যায়। আজও দুই ক্লাবে খ্যাপা দর্শকের প্রাচুর্য, তারা জয় চায় ট্রফি চায়, তা ফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-৩ হোক না কেন।
সেই জয়ই পেল মোহনবাগান। মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা রাতেই এসে গেল কর্মকর্তাদের কাছে। এল শুভেচ্ছা ইস্টবেঙ্গল সহ বিভিন্ন ক্লাব থেকে। শুভেচ্ছা তো চিরকালীন কিন্তু ওপার থেকে আসা উদ্বাস্তুদের একটা গর্বের জায়গা ছিল ইস্টবেঙ্গল, কিন্তু তার হতশ্রী অবস্থা দেখে ওপার থেকে আসা মানুষগুলো ভাবে কবে আর স্বনির্ভর হবো।
আইএসএল (isl) জয়ের পরেই মোহনবাগানের নাম পরিবর্তনের বড় ঘোষণা ক্লাব মালিক গোয়েঙ্কার (goenka) । শনিবারই পেলান্টিতে ৪-৩ গোলে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে প্রথম বারের জন্য আইএসএল জিতে নেয় এটিকে মোহনবাগান। এর পরেই মোহনবাগান ক্লাব মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ঘোষণা করে দলের নাম পরিবর্তনের কথা। শনিবার তিনি জানান, আইপিএলে তাঁর দল লখনউয়ের আদলে মোহনবাগানের আগে জুড়বে ' সুপারজায়ান্ট' অর্থাৎ মোহনবাগানের নামের শুরু থেকে সরে গেল ‘এটিকে’। পরের মরসুম থেকে দলের নতুন নাম হচ্ছে ‘মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস’। শনিবার মোহনবাগান জেতার পরে সঞ্জীব বলেন, ‘বাগান সমর্থকরা মোহনবাগানের নামের সামনে থেকে এটিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিলেন। এটাই মোহনবাগান সদস্য ও সমর্থকেদের আমার উপহার।’
ফুলটাইম হওয়ার পর দুপক্ষেরই গোল সংখ্যা ছিল ২-২, পরে পেলান্টিতে ৪-৩ গোলে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে দেয় এটিকে মোহনবাগান। মোহনবাগান এর আগে তিন বার জাতীয় লিগ এবং দু’বার আই লিগ জিতেছিল। এটিকের সঙ্গে জুটি বাঁধার পর এই প্রথম আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান। মোট ছ’বার ভারতসেরা হল সবুজ-মেরুন। প্রথম বার তারা জাতীয় লিগ জিতেছিল ১৯৯৮ সালে। ২০০০ এবং ২০০২ সালেও জাতীয় লিগ জেতে মোহনবাগান। জাতীয় লিগের নাম পাল্টে আই লিগ হওয়ার পর বেশ অনেক বছর অপেক্ষা করতে হয় সবুজ- মেরুনকে। ২০১৫ সালে ট্রফি জিতেছিল তারা। এ বারের লিগে মোহনবাগান শেষ করে তিন নম্বরে। ২০ ম্যাচে তারা পেয়েছে ৩৪ পয়েন্ট। লিগে ইস্টবেঙ্গলকেও দু’বার হারায় সবুজ-মেরুন।
প্রসূন গুপ্ত: সুনীল গাভাসকারকে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব হিসাবেই সম্মান করা হয়। করা হবেই বা না কেন, তাঁর আমলে তিনি ছিলেন বিশ্বসেরা ওপেনার। স্বয়ং স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস থেকে ইমরান খানের মতো বিশ্বসেরার বলেছেন যে তাদের আমলের সেরা ব্যাটার সানি গাভাসকার। সানি শুধু ক্রিকেটের মাঠেই পড়ে থাকেননি, তিনি দুর্দান্ত ভাষ্যকার এবং নানা টক শো-এর প্রধান মুখ। তাঁর ফ্লিক বা স্ট্রেট ড্রাইভের মতোই যেকোনও তর্কে সেরা বক্তা হতেই পারেন সানি গাভাসকার।
গাভাসকার অত্যন্ত বুদ্ধিমান, তিনি চিরকাল অন্য ক্রিকেটারদের তাঁর থেকে সেরা বলেছেন। যেমন কপিল দেব বা গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ। কিন্তু ক্রিকেটে ত্রুটি দেখলে তিনি কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না। সৌরভ দল থেকে বাদ পড়লে তিনি সমালোচনা করেন, আবার বিরাট কোহলি ফর্ম হারালে তাঁকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েন না। ইদানিং তাঁর শহরের রোহিত শর্মার ফর্ম নিয়ে তিনি চিন্তিত। তিনি বলেছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন অধিনায়ক খোঁজার সময় এসেছে। অবশ্য তিনি সাদা বলের কথা বলেছেন অর্থাৎ ৫০ ও টি-২০-র নতুন অধিনায়ক।
বর্তমানে রোহিতের বয়স প্রায় ৩৬। এই বয়সে গাভাসকার খেলা ছেড়ে দিয়েছিলেন। সানি মনে করেন আগামী বিশ্বকাপ, যা কিনা ভারতে হতে চলেছে, ওই বিশ্বকাপ অবধি রোহিত অধিনায়ক থাকুন তারপর আসুন নতুন অধিনায়ক। ইদানিং ভারতীয় দলে এতো অধিনায়ক বদল হয়েছে, যা প্রায় রেকর্ড। এমন এক অধিনায়ক আসুক যিনি সব ধরণের ক্রিকেট পরিচালনা করতে পারবেন। কিন্তু তেমন ক্রিকেটার কোথায়?
কেএল রাহুল ভালোই খেলছিলেন কিন্তু এখন ফর্মহীন। গাভাসকার হয়তো চাইছেন রোহিত আরও দু-এক বছর টেস্টের অধিনায়ক থাকুন। কিন্তু তিনি বলেই ফেলেছেন যে ওয়ান ডে বা টি ২০-র অধিনায়ক করা হোক হার্দিক প্যাটেলকে। হার্দিক অলরাউন্ডার এবং ভালো ফিল্ডার। দল পরিচালনায় পটু তা আইপিএলে দেখা গিয়েছে। কাজেই হার্দিকের জন্যই হাত তুলেছেন সানি গাভাসকার।