২০ বছর আগে জোহানেসবার্গ। ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল। সেই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম ইন্ডিয়া। এবার আহমেদাবাদে সেই ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রতিশোধ নেওয়ার পালা রোহিতদের। তৎকালীন অধিনায়ক ও প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, এই ভারতকে রোখা খুবই কঠিন।
ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে থ্রিলার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচের পরই টিম ইন্ডিয়াকে শুভেচ্ছা জানান মহারাজ। জানান, ভারত গ্রুপ লিগে ও সেমিফাইনালে দাপট দেখিয়েছে। আর মাত্র একটা ম্যাচ। মাঝখানে অস্ট্রেলিয়া। এই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে, ভারতকে আটকানো কঠিন। ম্যাচটাও খুবই ভাল হবে।
কাতারে বিশ্বজয়ের পর টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত ছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান আর্জেন্তিনা। কিন্তু শুক্রবার সব অঙ্ক ভেস্তে দিল উরুগুয়ে। ২০২৬-এর বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন ম্যাচে তারা আর্জেন্তিনাকে হারিয়ে দিল ২-০ গোলে। মেসির আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে গোল করলেন রোনাল্ডো। তবে তিনি পর্তুগালের নন। এই রোনাল্ডোর পুরো নাম রোনাল্ডো আরাউহো। আরও একটি গোল করেন ডারউইন নুসেস। ২০২২ সালের নভেম্বরে কাতারের সৌদি আরবের কাছে শেষ ম্যাচ হেরেছিল আর্জেন্তিনা।
যদিও বাছাই পর্বেও টানা তিন ম্যাচে জিতেছে আর্জেন্তিনা। ইতিমধ্যে তাদের ঝুলিতে রয়েছে ১২ পয়েন্ট। সেকারণে পয়েন্ট টেবিলেও একদম শীর্ষে রয়েছে তারা।
খেলার প্রথমার্ধে দুই দলই একাধিক ফাউল করেছিল। মোট ১৭টি ফাউলের মধ্যে ১১টি ফাউলই করে উরুগুয়ে। অন্যদিকে পোস্টে শট ছিল মাত্র ৩টি। একাধিক ফাউল হওয়ায় ১৯ মিনিটের মাথায় মেজাজ হারান দুই দলের খেলোয়াড়রা। জড়িয়ে পড়েন ধাক্কাধাক্কিতে। তাতে খেলা কিছুসময়ের জন্য বন্ধও থাকে।
কুয়েতের মাটিতে কুয়েতকেই হারাল ভারত। ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে জিতল ভারতীয় ফুটবল টিম । বিদেশের মাটিতে কুয়েতের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জেতেন সুনীল ছেত্রীরা। ভারতের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মনবীর সিং।
জাবের আল-আহমেদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে কুয়েতের মুখোমুখি হয় ভারত। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম গোল করে ভারত। ৭৫ মিনিটে গোল করেন ফুটবলার মনবীর সিং। মাঠের বাঁ দিক থেকে ছাংতে বল দেন মনবীরকে। তাঁর বাঁ পায়ের শটে কুয়েতের ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেন মনবীর।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ নভেম্বর ভুবনেশ্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। কাতার, কুয়েত এবং আফগানিস্তানের পাশাপাশি ভারতকে গ্রুপ এ-তে রাখা হয়েছে।
১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭, ২০১৫। এর আগেও চারবার হয়েছে। ২০২৩-এ দক্ষিণ আফ্রিকার অভিশপ্ত সেমিফাইনালের সাক্ষী থাকল ইডেন গার্ডেন্স। ১৯৯৯ সালে টাই করেও ছিটকে যায় তাঁরা। এবার অস্ট্রেলিয়ার মুখের গ্রাস টেনে নেওয়া সময়ের অপেক্ষা ছিল। কিন্তু ম্যাচ হেরে চোকার্স তকমা নিয়েই চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন কুইন্টন ডি কক, রাবাদারা। সেঞ্চুরি করেও পূর্বসূরিদের অভিশাপ কাটাতে পারলেন না ডেভিড মিলার।
এবার টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে খেলে। কুইন্টন ডি-কক টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। রাসি ভ্যান্ডার ডাসেন, আইডেন মারক্রম, হেনরি ক্লাসেন, ডেভিড মিলার। দুরন্ত ফর্মে ছিলেন প্রত্যেকেই। রাবাদার জুড়ি হিসেবে ছিলেন কেশভ মহারাজ। কোয়েটজে, শামসিরাও নজর কেড়েছিলেন। কিন্তু ইডেনে সেই অভিশাপ মুক্ত হতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। চোখের জলে মাঠ ছাড়তে হল অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও তাঁর দলকে।
১৯৯২ বিশ্বকাপে ১৯ রানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ম্যাচ ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। টাই করেই বিদায় নিতে হয় তাঁদের। ২০০৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই হারতে হয় তাঁদের। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডেপ বিরুদ্ধে শেষ বলে এসে হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইডেনে ১৬ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে হারলেন টেম্বা বাভুমারা।
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (বিধায়ক/অভিনেতা ): প্রায় ২০ ঘন্টা হয়ে গেলো এখনও বুধবারের ভারত নিউজিল্যান্ডের খেলাটা চোখে ভাসছে। কি ভীষণ টেনশন হচ্ছিলো যখন উইলিয়ামসন আর মিচেলের জুটি দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো। তবে কি জানেন একদিবসীয় ক্রিকেটটা তো দীর্ঘদিন ধরে দেখছি, এই ৩৯৭ রান তোলা অসম্ভব ছিল। পারা যায় না। দেখবেন ভালো দল হলে দুএকটা জুটি কিছু রান তুলে নেবে ঠিকই কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হতেই হয়ে থাকে। এর উপর বিশ্বকাপ বলে কথা। আমি তো অবাক হলাম নিউজিল্যান্ডের দুই বিখ্যাত ওপেনার কনওয়ে এবং রাচিনের দ্রুত বিদায় নেওয়া দেখে।সাংঘাতিক এই দুই খেলোয়াড়।
আসি ভারতের খেলা নিয়ে। আমি আগেও সিএন সংবাদে লিখেছিলাম যে, এই ভারত সাংঘাতিক শক্তিশালী। সর্বকালের সেরা, বিশ্বেও বোধকরি। ২০১৯-এ নিউজিল্যান্ডের কাছে বিলেতের বিশ্বকাপে আমরা জঘন্য হেরেছিলাম। ২৩৯ রান তুলতে পারিনি। সেই ক্ষোভ আজকেও আমাদের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে দগদগে ঘা হয়ে ছিল, বুধবার তার সংগঠিত সুমিষ্ট প্রতিশোধ নেওয়া গেলো। দেখুন এই ম্যাচে কাকে খারাপ বলবেন? সূর্য্য যাদবের হাতে বল ছিল না কাজেই তাঁকে চালিয়ে খেলতে হয়েছে এবং আউটও হয়েছেন, এটাতে আমি কোনও দোষ দেখি না। এ ছাড়া একেবারে পাকা উইকেট, বোলারদের বদ্ধভূমি। এই পিচ ঠিকই আছে। যদি ভারত পরে ব্যাট করতো তবে আরামসে খেলতে পারতো। দ্বিতীয়ত মুম্বইয়ের মাঠে শিশির পরে না কাজেই পেসাররা পরে বল করে সুবিধা পায় নি।
কোহলির ইনিংস অনবদ্য। ৫০টি একদিবসীয়তে সেঞ্চুরি হয়ে গেলো, আমি মনে করি ও আরও একডজন করতে পারবে। প্রথমেই বলেছিলাম এই মাঠ একেবারেই ব্যাটটারদের কাজেই বোলাররা সুবিধা পাবে না, কিন্তু নিউজিল্যান্ডকে ৩২৭ রানে শেষ করার অন্যতম অস্ত্র বাংলার ম.শামি। ওকে যতই দেখছি অবাক হচ্ছি। ৭টি উইকেট তাও বিশ্বকাপে? ওকে দলের বাইরে রাখা হয়েছিল কেন স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগে। তবে কি এখানেও রাজনীতি। কোহলি ঘনিষ্ঠ শামি দেখিয়ে দিলো ধংসাত্বক বোলিং কাকে বলে? এটাই টিম ইন্ডিয়া।চলুন রোববারের মাঠে। আহমেদাবাদ না যাই টেলিভিশনে তো চোখ রাখতে পারি। রোহিতকে অনুরোধ টস জিতলে ব্যাট। পরে ব্যাট হলেও ক্ষতি নেই। শামি তো আছে। (অনুলিখন-প্রসূন গুপ্ত)
নিউজিল্যান্ডের প্রথম পাঁচ-ছয় বিশ্বমানের ব্যাটারকে একাই ফেরালেন মহম্মদ শামি। ফাইনালে ওঠার পর সতীর্থের প্রশংসায় হিটম্যান। এবার লক্ষ্য আহমেদাবাদের ফাইনাল। টিমের প্রত্যেক সতীর্থের প্রশংসা করেন ভারত অধিনায়ক।
রোহিত জানান, আরও ৩০-৪০ রান কম করলে ঝুঁকি নিতে পারত নিউজিল্যান্ড। কিন্তু উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা না করে পারেননি হিটম্যান। তিনি জানান, ওই সময় ওয়াংখেড়ে নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে চাপ ছিল। কিন্তু শামির বোলিং অভাবনীয়, মত রোহিতের।
ম্যাচের পর টিমের প্রশংসা করতে গিয়ে রোহিত জানান, প্রত্যেকেই দারুণ খেলেছেন। বিরাট ভাল ফর্মে আছেন। অভূতপূর্ব সেঞ্চুরি করেছেনয ব্যাট করতে গিয়ে শুভমানের পায়ে ক্র্যাম্প ধরে। কিন্তু পার্টনার গিলেরও প্রশংসা করেন রোহিত। প্রশংসা করেন টানা দু ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া শ্রেয়স আইয়ারেরও।
বিশ্বকাপে দ্রুততম ৫০ উইকেট তুলে নিয়ে নজির গড়লেন মহম্মদ শামি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে যে উইকেটে, সব বোলাররাই প্রায় ব্যর্থ, সেই রুক্ষভূমিতেও সোনার ফসল ফলিয়ে তাক লাগালেন। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে কেন উইলিয়ামসনকে ফেরার পরই একাধিক রেকর্ড গড়লেন শামি।
বিশ্বকাপে এর আগে কোনও ভারতীয় বোলার ৫০ উইকেট পাননি। প্রথম কয়েকটি ম্যাচ না খেলেও ৫০ উইকেটের মালিক হলেন তিনি। এর আগে দ্রুততম ৫০ উইকেট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। তাঁর থেকে ২টি ম্যাচ কম খেলে এই রেকর্ড গড়ে ফেললেন শামি। ১৭ ম্যাচে এই রেকর্ড গড়েন শামি। এদিন ৬ ওভারে মাত্র ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন শামি। শামির গতি ও লেনথের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হন কিউয়ি ব্যাটসম্যানরা। শেষ কয়েক ওভারে আরও ৩ উইকেট নিয়ে মোট ৭ উইকেট নেন শামি।
সাড়ে নয় ওভার। ৫৭ রান। সাত উইকেট। বাংলার মহম্মদ শামির এই স্বপ্নের স্পেলে ১২ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। এই সাত উইকেটে মধ্যে তাঁর সবচেয়ে বড় শিকার কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। যেখান থেকে মুম্বইয়ে ঘুরে গেল ম্যাচ। তাই ম্যাচের সেরা হয়ে শামি জানালেন, জায়গায় বল রেখেছিলেন, সফল হলেন। এবার তাঁর টার্গেট বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখা। অপেক্ষা করছে আমেদাবাদ।
এই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করেছিলেন বাংলার এই স্পিডস্টার। আগের দুটি ম্যাচ বাইরে থাকার পর ধর্মশালায় প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছিলেন। সেই শুরু। তার এই বিশ্বকাপে বাকিটা ইতিহাস। বিলেতের মাটিতে যেখানে শুরু করেছিলেন, পাহাড় কোলে যেন ঠিক সেখান থেকেই ছুটেছেন।
তাই আমেদাবাদে এখন দ্রুত পৌঁচ্ছতেই চাইছেন বাংলার এই বোলার। শামি মনে করেন, জীবনে একবারই আসে বিশ্বকাপকে ছুঁয়ে দেখার। কে জানে কাল হো না হো!
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে ১২ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া। বিরাট কোহলির ৫০তম সেঞ্চুরির ম্যাচে একাই ৭ উইকেট তুলে নিলেন মহম্মদ শামি। এবার বিশ্বকাপে বোলিং আক্রমণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। ৩২৭ রানে অলআউট হয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
এদিন ভারতের ৩৯৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল না হলেও একা লড়াই করেন ড্যারিল মিচেল। শামির ডেলিভারিতে পরপর যখন একদিক থেকে উইকেট হারায় ভারত।৬৯ রান করে ফেরেন কেন উইলিয়ামসনও। কিন্তু থামেননি ড্যারিল মিচেল। ১৩৪ রান আসে তাঁর ব্যাটে। ৩৩ বলে ৪১ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। কিন্তু শামির বিধ্বংসী বোলিং আক্রমণ ফিরতে হয় মিচেলকেও। কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ ও জসপ্রীত বুমরাও একটি করে উইকেট তুলে নেন। আর খেলায় ফিরতে পারেনি কিউয়ি শিবির।
২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল বিরাট-রোহিতদের। এবার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে রবিবার আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া।
অবশেষে এক যুগ পর ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালে (ICC World Cup Final 2023) উঠল ভারত। পুরো দেশ যেন উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা, আনন্দে ভাসছে। আর এই ক্রিকেট জ্বরে কাবু খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে (ICC World Cup Semi Final) ৭০ রানে কিউয়ি বধ করার পিছনে বড় অবদান রয়েছে মহম্মদ শামির (Mohammad Shami)। তিনি নিজেই ৭টি উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপ জেতার পথ এক ধাপ এগিয়ে দেন 'মেন ইন ব্লু'-কে। ফলে পুরো ক্রিকেট টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী, এর পাশাপাশি পৃথকভাবে শামির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, 'শামিকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে।'
বুধবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত ফাইনালে উঠতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "অভিনন্দন টিম ইন্ডিয়া! অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে স্মরণীয়ভাবে ফাইনালে প্রবেশ করল ভারত। আমাদের টিমের অসাধারণ ব্যাটিং ও দারুণ বোলিংই ম্যাচ জিতিয়েছে। ফাইনালের জন্য শুভেচ্ছা রইল।" এর পরই শামিকে নিয়ে তিনি লেখেন, "আজকের এই সেমিফাইনাল ম্যাচটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছিল একক পারফরম্য়ান্সের জন্যও। এই ম্যাচে মহম্মদ সামির বোলিং এবং গোটা বিশ্বকাপ জুড়েই তাঁর পারফরম্যান্স ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। ওয়েল প্লেড সামি!" প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছার উত্তর দিয়ে তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন শামি।
সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নেতৃত্ব ছাড়লেন বাবর। জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপে খারাপ ফলের পরেই নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেন বাবর। জানা গিয়েছে, ভালো রাঙ্কিং থাকা সত্ত্বেও বিশ্বকাপে ভালো ফল না করায় নেতৃত্ব ছাড়লেন বিরাট। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং, তিনটি বিভাগেই ব্যর্থ হয়েছেন বাবরেরা। দেশে ফিরেই তাই নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেন তিনি।
সমাজমাধ্যমে নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান বাবর। তিনি লেখেন, “তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়ছি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন ছিল কিন্তু আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময়। নেতৃত্ব ছাড়লেও আমি পাকিস্তানের হয়ে তিন ফরম্যাটেই ক্রিকেট খেলব। নতুন অধিনায়ককে সব রকম সাহায্য করব। আমার সব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেব তাঁর সঙ্গে।”
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির ব্যাটে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বাধিক রান করে পেরিয়ে গেলেন সচিন তেন্ডুলকরকে। ২০০৩ সালে সচিন তেন্ডুলকর জোহানেসবার্গে ৬৭৩ রান করেছিলেন। এদিন সেই রেকর্ড ভাঙলেন কিং কোহলি।
সেমিফাইনালের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে এদিন আরও রেকর্ড গড়েন বিরাট। বিশ্বকাপে নন-ওপেনার ব্যাটার হিসেবে সর্বাধিক রান করেন তিনি। শুধু তাই নয় ওয়ানডে ক্রিকেটে রানের নিরিখে পেরিয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিংকেও। এখন তাঁর আগে আছেন কুমার সাঙ্গাকারা ও সচিন তেন্ডুলকর।
২০ বছর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপে সচিন তেন্ডুলকর ১১ ম্যাচে ৬৭৩ রান করেছিলেন। জোহানেসবার্গ বিশ্বকাপে একটি সেঞ্চুরি ও ৬টি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। সেই নজির ভেঙে দিলেন বিরাট।
শ্রেয়স ও বিরাটের জোড়া সেঞ্চুরিতে সেমিতে নিউজিল্যান্ডের সামনে পাহাড় সমান লক্ষ্যমাত্রা ভারতের। ২০১৯ এর পর ২০২৩এ ভারত ফের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি। টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রোহিত। কথামত ভালো শুরু করে রোহিত। ভালো সঙ্গ দেয় গিল। রোহিত ৪৭ রানে আউট হলে ব্যাট করতে আসে রোহিত। এরপর গিল পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে মাঠে আসে শ্রেয়স। এরপর শ্রেয়স ও বিরাট জোড়া সেঞ্চুরির উপর বড় করে ৫০ ওভারে ৩৯৭ রান করে ভারত। অর্থাৎ নিউজিল্যান্ডের সামনে ৩৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিল ভারত।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে, প্রথম থেকেই রণমূর্তি ছন্দে খেলতে শুরু করে রোহিত। একেরপর এক. রোহিত আউট হলে গিল, গিলের পর বিরাট, বিরাটের পর শ্রেয়স। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং ফর্মের ছবি ফুটে উঠল ভারতের ব্যাটিংয়ে। একদিকে রোহিত করে ৪৭ রান, বিরাট করে ১১৭ রান, শ্রেয়স করে ১০৫ রান, গিল নট আউট ৮০ রানে। ওদিকে রাহুল ২০ বলে ৩৯ রানে নট আউট। বলের দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তেমন ভালো কেউই করতে পারে নি। বোল্ট ১০ ওভারে ৮৬ রান দিয়ে ১ টি উইকেট পায়। অন্যদিকে ১০ ওয়াভরে ১০০ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট পায় সাউদি।
ফের শতরান বিরাটের। একদিবসীয় ক্রিকেটে ৫০টি শতরান হলো বিরাট কোহলির। এর পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ৪৯ তম শত রান করে শচীনের রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি। এবার তিনি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করে শচীনের রেকর্ড ভেঙে দিলেন। একদিবসীয় ক্রিকেটে শচীনের মোট ৪৯ টি সেঞ্চুরি ছিল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নয়া রেকর্ড বিরাট কোহলির। এক দিবসীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলির ঝুলিতে এখন ৫০ টি সেঞ্চুরি।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে ভারত। রোহিত ভালো শুরু করলেও একটুর জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস হয় রোহিতের। যদিও এরপর ইনিংসের হাল ধরে গিল ও বিরাট। বিরাট প্রথম দিকে একটু ধরে খেলা চেষ্টা করলেও, হাফ সেঞ্চুরির পর হাত খুলে খেলে বিরাট। ১০৫ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করে বিরাট। বিরাটের সেঞ্চুরির পর দর্শকদের মধ্যে প্রবল উল্লাস শুরু হয়। পাশাপাশি ক্রিকেট রাজা কোহলিকে অভ্যর্থনা জানাতে শুরু করে সবাই। পাশাপাশি মাঠে থাকা দর্শকরাও তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে ৪৯ তম সেঞ্চুরি করে বিরাট। এই নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি বিরাটের। এবং গোটা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান বিরাটের।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিতে গিলের পরে হাফ সেঞ্চুরি কোহলিরও। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু ভারতের। গিলের পরে হাফ সেঞ্চুরি বিরাটের। ৫৯ বলে হাফ সেঞ্চুরিটি পূরণ করেন তিনি। রোহিত প্রথম থেকেই আক্রমন শুরু করলেও ৪৭ রানে তাঁকে ঘরে ফিরতে হয়। এরপরে গিল ও বিরাটের পার্টনারশিপের উপর ভরসা করে বড় রানের লক্ষ্যে ভারত। যদিও কিছুক্ষন আগেই পায়ের সমস্যা নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফায়ার আসেন গিল। গিলের জায়গায় ব্যাট করতে এসেছেন শ্রেয়স। ২৭ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ১৯৪ রান।