Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

রাজনীতি

Bengal: রিষড়া-কাণ্ডে যুযুধান! 'দাঙ্গাবাজদের রেয়াত নয়', সরব মমতা, সুকান্তর তিরে পুলিস

রবিবার এবং সোমবারের পর মঙ্গলবারেও রিষড়া-কাণ্ডে (Rishra Violence) তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এদিন বেলার দিকে রিষড়ার উপদ্রুত স্থান ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor Bose)। পাশাপাশি ডানকুনিতে আটকানো হয় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) কনভয়। এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পুলিস প্রশাসনকে তির্যক ভাষায় সমালোচনা করেন। যদিও রাম নবমীর মিছিল ঘিরে হওয়া অশান্তি প্রসঙ্গে মঙ্গলবার দিঘায় মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। এই উত্তেজনা তৈরির পিছনে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলেন মমতা।

মঙ্গলবার ডানকুনিতে তাঁর কনভয় আটকানো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'পুলিস তৃণমূলের উপরতলার নির্দেশে কাজ করছে। যেখানে রাজ্যপাল ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমকে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না। পুলিস কী লুকনোর চেষ্টা করছে। কী এমন ঘটেছে? পুলিস তৃণমূলের পার্টি ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে।' পুলিস প্রশাসনের ভূমিকাকে তোপ দেগে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি ডানকুনিতে জানান, 'রেলগেটে বোমাবাজি হয়েছে, আগুন জ্বালানো হয়েছে ১৪৪ ধারা থাকা স্বত্বেও। পুলিস কী করছিল, এখানেই বোঝা গিয়েছে। আমাদের আটকাতে পুলিস এখানে চলে এসেছে। ওদের কাজ রিষড়ায় গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। আমাদের ইচ্ছা করে আটকে একটা অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা চলছে।' 

রিষড়ার উপদ্রুত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি সভাপতি বলেন, '১৪৪ ধারার নিয়ম ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। আমরা এখানে দু'জন সাংসদ যেতে চাইছি। ওদের যদি মনে হয় আমরা কিছু নিয়ে ঢুকছি আমাদের তল্লাশি করুক। পুলিস আইন ভেঙে নিজেই আইন তৈরি করছে। আইন তৈরি করার কাজ সাংসদ-বিধায়কের, সেই কাজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিস করছে।'

এদিকে মঙ্গলবার বেলার দিকে সুকান্ত যখন ডানকুনিতে দাঁড়িয়ে পুলিস প্রশাসনকে তোপ দাগছেন, তখন দিঘায় অন্য মুডে মুখ্যমন্ত্রী। এদিন হাত জোর করে মমতা আবেদন করেন, 'গোষ্ঠী সংঘর্ষে পা দেবেন না, উসকানি দেবেন না। শান্তি বজায় রাখুন। বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে, তাই হিংসায় এঁরা জ্বলে যাচ্ছে। জ্বলবি আর ফুলবি কিন্তু বাংলায় কিছু করতে পারবি না।' সুর চড়িয়ে তাঁর মন্তব্য, 'কখন বিজেপি গিয়ে কোথায় দাঙ্গা করবে, দেখতে আমাকে পড়ে থাকতে হয়। এঁরা বোঝে না বাংলার মানুষ দাঙ্গা পছন্দ করে না। বিজেপির লোকেরা পারে না, তাই বাইরের গুণ্ডা এনে দাঙ্গা করায়। এটা দুষ্কৃতী তাণ্ডব।' তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, 'বাংলায় যারা দাঙ্গায় প্ররোচনা দিচ্ছে, দাঙ্গার মাথাদের আমি রেয়াত করবো না। আমাকে সিবিআই-ইডি দেখাবেন না, আমাদের পুলিস তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। যারা দাঙ্গাবাজ, গাড়ি, সরকারি সম্পত্তি পোড়াবে, তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকার নিলামে তুলে সেই ক্ষতি পূরণ করবে। আমি নজর রাখছি, কারা বাইরে থেকে আসছেন, দাঙ্গায় ইন্ধন যোগাচ্ছে, এসব আমরা মেনে নেবো না।'

one year ago
Mamata: 'রাম নবমীর মিছিল ৫ দিন কেন?' শিবপুর-রিষড়া কাণ্ডে সরব মমতা

রাম নবমীর মিছিল (Ram Navami Rally) ঘিরে উত্তপ্ত হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলির রিষড়া। ক্রমেই ছন্দে ফিরছে শিবপুর (Shibpur-Rishra), কিন্তু ১৪৪ ধারা রিষড়ায়। এই আবহে রাম নবমীর মিছিল ঘিরে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। সোমবার তাঁর প্রশ্ন, 'রাম নবমীর মিছিল ৫ দিন ধরে হবে কেন? রাম নবমী যেদিন হয়, সেদিন তোমরা মিছিল করো আমাদের আপত্তি নেই।' হুঙ্কারের সুরে তাঁর মন্তব্য, 'কিন্তু বন্দুক-বোমা নিয়ে মিছিল করবেন না। অনুমতি না পেয়েও মিছিল করছে। এত রাস্তা থাকতেও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকে পড়ছে। ফলের গাড়িতে তাণ্ডব চালাচ্ছে। বন্দুক নিয়ে ডান্স করছে।'

তিনি পুলিস প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন, '৬ তারিখ দাঙ্গার নামে কোনও পরিকল্পনা করতে না পারে সতর্ক থাকবেন। আমরা বজরঙবলিকে সবাই সম্মান করি। বুলডোজার নিয়ে কে মিছিল করতে যায়? বুলডোজার তো রাস্তা তৈরির কাজে লাগে। বাড়ি ভাঙার কাজে লাগে। মিছিলে বুলডোজার নিয়ে যাচ্ছে আর বন্দুক নিয়ে নাচ করছে।' 

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, 'মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী চালাকি করছেন। ৬ তারিখ বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস, আমরা ওদিন রাস্তায় থাকবো। তাই উনি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষদের এবং দলীয় কর্মীদের উস্কাচ্ছেন বিজেপির উপর হামলা করতে। আপনারা নির্ভয়ে পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করবেন। এতদিন আমরা আইন মেনে চলেছি। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে না দিলে আমরা আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবো। ওরা লাঠি নিয়ে আসলে লাঠির উত্তর কীভাবে দিতে হয় আমরা জানি।'

one year ago
Sukanta: ১৪৪ ধারা, ব্যারিকেড গড়ে এবার রিষড়ায় ঢুকতে সুকান্তকে পুলিসের বাধা

পরপর দু'দিন, শিবপুরের পর এবার রিষড়ায় (Rishra Violence) ঢুকতে বাধা বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder)। কোন্নগরে পুলিসি ব্যারিকেড গড়ে ঢুকতে বাধা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদকে। ১৪৪ ধারা জারির কারণ দর্শিয়ে কোন্নগরেই সুকান্ত-সহ বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় পুলিস (Hooghly Police)। তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। ব্যারিকেড ভাঙতে পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, তিনি সোমবার উত্তরপাড়ার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষকে দেখতে যান।

সেখান থেকে রিষড়ায় ঢোকার মুখে ব্যারিকেড গড়ে পুলিস বাধা দেয় সুকান্ত মজুমদারকে। এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, 'মানুষদের উপর হামলা হয়েছে। আমাদের সাংসদরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাবে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও টিএমসি সাংসদ ঘুরছেন। কিন্তু আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের কর্মী, যারা আক্রান্ত, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ১৪৪ যেখানে নেই সেখানেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গ কাশ্মীর হয়ে গিয়েছে। বোমাবাজি চলছে। আইনশৃঙ্খলা কোথায়?' পুলিস কথা না শুনলে ধর্নায় বসবো বলেও হুঙ্কার ছাড়েন তিনি। তিনি ফিরে গিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাবেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কথা হয়েছে বলে সোমবার জানান সুকান্ত মজুমদার।


এদিন পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান সুকান্ত মজুমদার। পুলিসি বাধার মুখে পড়ে বিজেপি সভাপতির আবেদন, 'আপনারা কিছু করুন। মার খেলে, বোমাবাজি হলেও কিছু করবেন না? ১৪৪-র বাইরে আপনারা কীভাবে আটকাচ্ছেন?' কোন কোন জায়গায় ১৪৪ ধারা, সেই অর্ডার পুলিসকর্তাকে দেখাতে বলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। যদিও পুলিসের আবেদন, '১৪৪ জারি রয়েছে আপনারা সহযোগিতা করুন। আপনারা পরে অনুমতি নিয়ে নিশ্চয় যাবেন। ওই এলাকাতেই যাওয়া যাবে না।' যদিও রিষড়ায় যেতে অনড় সুকান্ত মজুমদার।

 

one year ago


Governor: শিবপুর-কাণ্ডে কড়া ব্যবস্থার পক্ষে রাজ্যপাল, কী বলছে রাজভবন

প্রসূন গুপ্ত: ফের রাজ্যের পাশে রাজ্যপাল। তিনি যে জগদীপ ধনকরের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন না, তা প্রথম থেকেই তাঁর কর্মপদ্ধতি দেখে বোঝা গিয়েছিল। তিনি শিক্ষিত মানুষ এবং সাহিত্যিক। লেখাপড়ার জগৎ ছাড়াও প্রশাসনের কাজে সুচারু। প্রশংসা পেয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীরও। মোদী বলেছিলেন, তিনি দক্ষ কাজের মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, 'দিদি যাকে পাঠানো হচ্ছে তাঁকে আপনার পছন্দ হবে।' তিনি নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নতুন রাজ্যপাল আসার পর খুব ভালো সম্পর্ক হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের সঙ্গে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন বোস, ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সরকারের।

এরপর কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভেলে উপস্থিত থেকে বাংলা সিনেমার উন্নয়নে সঙ্গে থাকার কথা বলেছেন। এরপরেই যেন খানিক সুর কেটে গিয়েছিল রাজ ভবনের সচিব বদলি ঘিরে। কিন্তু এখানে রাজ্য সরকার কোনও সংঘাতে যায়নি।

অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যপাল এমন কিছু বলেননি যাতে সরকার বিপাকে পড়তে পারে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কলকাতায় এসেছিলেন। তাঁকে সংবর্ধনা জানায় রাজ্য সরকার। সেই অনুষ্ঠানে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে মমতা ও আনন্দ বোসকে। পরস্পর কুশল বিনিময় করে হৃদ্যতা বজায় রেখেছেন। সম্প্রতি রামনবমীকে কেন্দ্র করে মস্ত সংকট তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন কেন্দ্রে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বাক-বিতন্ডা যেমন হয়েছে আবার সৌহার্দের চিত্রও দেখা গিয়েছে। কিন্তু সুরতাল কেটে গেলো হাওড়ায়।

শিবপুরে এই রামনবমীকে কেন্দ্র করে একদল যে হৈ-চৈ ও হামলা চালালো বলে  খবর তা মোটেই স্বাস্থ্যকর ছিল না। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, মিছিল, দুষ্কৃতী বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিসের উপর প্রবল ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। এখানেই শেষ নয় বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবধি পৌঁছয়। শাহ রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন।সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখে বোস প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। তিনি জরুরিভিত্তিতে পতাকা না দেখে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, যে কেউ যদি ভাবেন মানুষকে বোকা বানাতে হিংসার আশ্রয় নেবেন, তবে তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। ইঙ্গিতটি কোনদিকে তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। কাজেই কোনও বেচাল যে বোস বরদাস্ত করবেন না তা বলাই বাহুল্য।

one year ago
Rahul: পাবলিক সেন্টিমেন্ট টানতে রাহুল কি গ্রেফতার বরণ করবেন?

প্রসূন গুপ্ত: রাহুলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে এই মুহূর্তে? রাহুল গান্ধী বিরোধীদের মধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছেন। কংগ্রেস তথা নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যরা সাধারণত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে একটি শ্রদ্ধার স্থান পেয়ে থাকেন। ব্যতিক্রম ছিলেন রাহুল। অনেকটাই তাঁর খামখেয়ালি মনোভাবের জন্য নিজের জায়গা, বিরোধীদের মধ্যে নেতার আসন পাননি। বিরোধীদের মধ্যে তাঁর নিয়মিত সুহৃদ পাওয়া দুষ্কর ছিল। এক সময়ে এসপি-র সভাপতি অখিলেশ যাদব রাহুল ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের গত নির্বাচনের পর তা নষ্ট হয়ে যায়। রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু কেউই থাকে না, এটা একসময় বলেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কিন্তু সম্পর্ক ভালো রাখার ফর্মুলাটি সোনিয়া গান্ধী খুব ভালো বুঝতেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোনিয়ার সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। রাজীব পত্নীকে মমতা খুবই শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছেন। কিন্তু রাহুল ওই সম্পর্কে বারবার বাধা হয়ে উঠেছিলেন।দেখা গিয়েছিলো ২০১৫-র বিহার নির্বাচনের পরে একই মঞ্চে লালু নীতীশের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মমতা-রাহুল। সেবার সিপিএম এই জোটের বিরোধী ছিল। অনুষ্ঠান শেষে মমতা ব্যক্তিগত ভাবে রাহুলকে নাকি অনুরোধ করেন সিপিএমের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে।

কিন্তু রাহুল এই ব্যক্তিগত অনুরোধটি প্রেসের সামনে বলে দেন, সেই থেকেই রাহুলের সঙ্গে মমতার শীতল সম্পর্ক। কিন্তু রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর মমতা-সহ অধিকাংশ বিরোধী দল কংগ্রেসের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন রাহুল কি করবেন?  আইনজীবীদের বক্তব্য যে, রাহুল উচ্চ আদালতে গেলে এই আদেশ হয়তো পরিবর্তিত হবে। কিন্তু কংগ্রেস কর্মীদের একটি অংশ বলছে যে,  সুরাত কোর্টের রায়ে রাহুল জেলে যেতে পারেন। রাহুল গ্রেফতার হলে ওই সেন্টিমেন্ট সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে, যার ফসল তুলতে পারবে বিরোধীরা। রাহুলের বড় পরিচয় তিনি ইন্দিরার নাতি এবং দুঃসময়ে ইন্দিরা গ্রেফতার হওয়ার পর হারিয়ে যাওয়া ক্ষমতা ফের কংগ্রেস ফিরে পেয়েছিলো।দেশের ভোটারদের কাছে এই বার্তা গিয়েছিলো যে দেশের নেত্রীকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করেছে জনতা পার্টির পুলিস।রাহুল কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাইছেন?

one year ago


Mamata: বাম আমলের নিয়োগ নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী, ফাইল খুঁজে বের করার নির্দেশ

বৃহস্পতিবার ধরণা মঞ্চ থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ফের সুর চড়িয়েছেন। ডিএ আন্দোলনকারীদের (Protest) উদ্দেশ্য করে তিনি আজ আবার বলেন চিরকুটে চাকরি পেয়েছে সব। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, 'জনগনের টাকা নিয়ে পেন ডাউন করবে! নিজেদের ভালোর জন্য চুপ থাকুন, আগে তো বেতনই পেতেন না, এখন ১ তারিখে পেনশনও পান।' মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে, বৃহস্পতিবার বাম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, 'সরকারি কর্মচারীরা নিজের যোগ্য দাবি করছে, ডিএ তাঁদের প্রাপ্য, সেই টাকা তৃণমূল চুরি করে নিয়েছে।' 

বৃহস্পতিবার মমতা হাইকোর্ট ও বিজেপিকে কটাক্ষ করে আরও বলেন, 'কথায় কথায় চাকরি বাতিল, কখনও ২ হাজার জনের চাকরি বাতিল, কখনও ৫ হাজার জন ছাটাই, এই ঝামেলায় আমরা নতুন নিয়োগও করতে পারছি না।' সে বিষয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'টাকা নিয়ে ভুয়ো উপায়ে চাকরি দিয়েছেন, তাদের দলের নেতা মন্ত্রীরা তো জেলে, ওনার মুখে এসব কথা মানায় না, উনি এসব বলছেন কারণ হাইকোর্টকে ভয় পেয়েছেন।' 

বৃহস্পতিবার মমতা বন্দোপাধ্যায়, বাম আমলের নিয়োগ সমন্ধে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, 'এখন বড় বড় কথা বলছেন, বাম আমলে নিয়োগের কাগজ আপনি খুঁজতে যান না, কোনো কিছুই খুঁজে পাবেন না, আমি সব দফতরকে বলেছি কাগজ খুঁজতে হবে, সব বুঝে নেব।' এ প্রসঙ্গে অবশ্য রাজ্যের বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'ওনার দম থাকলে মুখে না বলে আদালতে যান, সবই তো মিথ্যে এবং সাজানো বলছেন, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে আর কত মিথ্যে বলবেন!' 

মমতা বন্দোপাধ্যায় ভয় পেয়ে এমন বলছেন, এমনই দাবি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক আন্দোলনকারী শিক্ষকের। আন্দোলনকারী শিক্ষক বারাসতের বাসিন্দা, তিনি বলেন, 'একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার, সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কর্মচারীদের অসম্মান করছেন, পদত্যাগ করুন।' 

one year ago
Abhishek: বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ অভিষেকের, 'হিসাব দিয়ে টাকা নাও', পাল্টা বিজেপি

বুধবার অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) শহীদ মিনারে কেন্দ্রের (Central) বঞ্চনা ও জনবিরোধী নীতি নিয়ে একটি প্রতিবাদ সভা করেন। সেখানে তিনি বিজেপিকে (BJP) তির্যক আক্রমণ করেন। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিলকে জড়িয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাংসদ পদ বাতিলের দাবি করেন। পাশাপাশি অভিষেক কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্র সরকার বাংলার বহু টাকা আটকে রেখেছে, এছাড়া তিনি বুধবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও অভিষেকের বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।

শহীদ মিনারের সভা থেকে রাহুল গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রীর সদস্যপদ কেড়ে নেওয়ার দাবি করে বুধবারের সভায় অভিষেক বলেন, 'যদি সামান্য বক্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ যায়, তবে মোদির কেন যাবে না, তিনি তো রাজ্যে ২০২১ সালে নির্বাচনী প্রচারে এসে, 'দিদি, ও দিদি' এভাবে ডেকে মহিলাদের ব্যঙ্গ করেছেন, তবে ওনার বেলায় আলাদা নিয়ম কেন?' সিএন-ডিজিটালের পক্ষ থেকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, 'ওনাকে দিদি বলব না তো কি পিসি বলব, অভিষেকের পিসি হতে পারেন উনি কিন্তু আমাদের দিদিই। মোদীজি যেটা ডেকেছে সেটা ঠিকই বলেছে।' এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'আসলে সব দুর্নীতিগ্রস্তদের এক হতে হবে, তৃণমূল দুর্নীতিতে কোনঠাসা, সে জন্যই এতদিন বিরোধিতা করতে এখন এক হতে চাইছে।' 

বুধবারের সভামঞ্চ থেকে অভিষেক দাবি করেন, বিপুল অংকের টাকা কেন্দ্রের কাছে বকেয়া, প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা, পাশাপাশি আবাস-যোজনার টাকা, ১০০ দিনের কাজ সমস্ত কিছুর টাকা আটকে রেখেছে, যার ফলে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কয়েক লক্ষ সাধারণ মানুষ।' এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ' টাকা জনগণের, জনগনের টাকা দেখভালের দায়িত্ব মোদির, যদি দেখা যায় টাকা মাঝপথে তৃণমূলের পকেটে যাচ্ছে তাহলেও কেন দেবে, কিছু করার দরকার নেই দিদির দূত, প্রোগ্রামটি দেখুন, দেখবেন মানুষ কীভাবে অভিযোগ করছে, দিদির দূতেরা বলে দেবে কী চরম দুর্নীতি হয়েছে, যে কারণে দিদির দূত প্রোগ্রাম বন্ধ।' 

তিনি বুধবার এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার তো টাকা দেবে বলে হিসাব চেয়েছিল, সরকার সৎ হলে হিসাব দিলো না কেন, কোন টাকা কীভাবে ব্যবহার করেছে, এর হিসাব দিচ্ছে না কেন, তারমানে চুরি করেছে, তাই কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে হিসাব দাও টাকা নাও, হিসাব নেই টাকা নেই।' 

বুধবারের সভা থেকে অভিষেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধেও আঙুল তোলেন, তিনি বলেন, 'গত ২২ মাসে আমাদের রাজ্যে ২১টি ঘটনা সিবিআই-ইডি তদন্ত করছে, বিজেপি চক্রান্ত করে এসব করাচ্ছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।' পাশাপাশি অভিষেক বুধবার বলেন, 'সব চেষ্টা করে দেখুন, আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে, শহীদ মিনারে মৃত্যুবরন করব।' অভিষেকের এই বক্তব্যকেও কটাক্ষ করে রাহুল সিনহা বলেন, 'ও তো অনেক বার এসব বড় বড় কথা বলেছে, ওকে মৃত্যুবরন করতে হবে না, ওকে কারাবরণ করতে হবে।' তিনি আরও বলেন, 'এখানে যে বিজেপির নাম করছে, কেন্দ্রের ক্ষমতা নেই ইডি-সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার। যদি কোনও প্রমাণ থাকে আদালতে দিক, সব তদন্ত কোর্টের নির্দেশেই হচ্ছে।'

one year ago
TMC: ধরনা মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ করা থেকে সরলেন মমতা

প্রসূন গুপ্তঃ কলকাতা ময়দানে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে দুদিনব্যাপী অবস্থান করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার শেষ। বিষয় অবশ্যই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা বা কেন্দ্রের অসহযোগিতা নিয়ে। এর আগে বিরোধী থাকার সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ধরনের আন্দোলন হামেশাই করতেন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ক্ষমতায় আসার পর এ ধরনের লাগাতার অবস্থান পুরাতন দিনকে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস বলেই দাবি তৃণমূলের।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর ধর্মঘট, বনধ এক প্রকার তুলেই দিয়েছিলেন। কিন্তু ফের সেই পথে ফিরে গেলেন এবং মধ্য কলকাতা এক প্রকার স্তব্ধ হয়ে গেলো এই অবস্থানে। যদিও বছরে একবার ২১ জুলাই এবং একবার ২৮ অগাস্ট মমতা ধর্মতলায় সভা করেন। কিন্তু এবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে পরপর দু-দিন।

বুধবার মমতার অবস্থানের সঙ্গে ছিল জাতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। পরে অবশ্য অভিষেক মমতার ধরনা মঞ্চেও আসেন। শুধু অবস্থান নয়, মাঝে মধ্যেই সকাল থেকে ছোট্ট ছোট্ট ভাষণ দেশব্রতী গান ইত্যাদি চলেছে। মমতা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না কাজেই উন্নয়ন আটকে রয়েছে। তিনি বাজেট থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় এজেনন্সির তৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। ডিএ নিয়ে আন্দোনকারীরা মমতার মঞ্চের খুব কাছেই ছিল। তাঁদের একাংশকে সমালোচনা করেন তিনি।

মমতা বলেন, বাম আমলে চিরকুট নিয়ে চাকরি পাওয়া মানুষ আজ বেতন নিয়ে আন্দোলন করে যাঁরা তাঁরা চোর-ডাকাত ইত্যাদি বলেই সংবাদ। এই বক্তব্যে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ফলে একদিকে যেমন তিনি ও অভিষেক তীব্র বিরোধিতা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের তেমনই সমালোচিত হয়েছে সিপিএম বা বামেরা।

কিন্তু এবারে কংগ্রেস নিয়ে একটিও বিরূপ মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী বা অভিষেক।  মমতা জানিয়েছেন, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করতে হবে। এতদিন তিনি বলেছেন আসন্ন ভোট তৃণমূল একাই লড়বে। কিন্তু বুধবার সেই কথা থেকে সরলেন কি মমতা? রাহুল গান্ধীর পাশে বক্তব্যের মাধ্যমে দাঁড়ালেন অভিষেক। তিনি বললেন যে, 'মোদী' নিয়ে বক্তব্য তিনি সমর্থন করেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যখন 'দিদি ও দিদি' বলেন তখন নীতি কোথায়? এবারে প্রশ্ন উঠেছে সাগরদিঘির ফলাফলের পর কি মমতা স্ট্রাটেজি বদলাচ্ছেন? সময় বলবে।

one year ago


Picket: ধরনা মঞ্চে দ্বিতীয় দিনে ফুরফুরে মুখ্যমন্ত্রী, গাইলেন ' কারার ওই লৌহ কপাট '

দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা অবধি চলবে মমতার (Mamata Banerjee) ধরনা মঞ্চ। বিজেপির (Bjp) বিরুদ্ধে বুধবার সকাল ১২ টা থেকে রেড রোডে ধরনায় (Picket) বসেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুধবার ধরনা মঞ্চে রাত যাপনের পর আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে, আবার ধরনা মঞ্চে আসেন তিনি। ছিলেন বেশ ফুরফুরে মেজাজেও। বৃহস্পতিবার মঞ্চে এসেই সংবিধানে ফুল দিলেন, গাইলেন গানও, গাইলেন ' কারার ওই লৌহ কপাট।' গানের লাইন ভুল হওয়ায় মিষ্টি ধমকের সুরে ধরিয়ে দিলেন সঠিক লাইন। এরপর চলল যুবদের গলায় গান। মোটের উপর বুধবার বিজেপি ও বামেদের কড়া সুরে আক্রমণের পর, আজ সকাল থেকেই ধরনা মঞ্চে অন্য মুডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

বুধবার বিকেলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ সৌগত রায় এবং অনেকে। এরপরে নিজের সভামঞ্চ সেরে মমতার ধরনা মঞ্চে আসেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বক্তব্যও রাখেন কিছুক্ষণ। তারপরেই মমতা বন্দোপাধ্যায়, কেন্দ্রের বঞ্চনা, এজেন্সির অপব্যবহারে সরব হন। তীর বিঁধতে ছাড়েননি বামকে। ওই মঞ্চ থেকেই ডিএ আন্দোলনকারীদের চোর-ডাকাত বলে দাবি করেন।

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ওই সভাকে নাটক বলে দাবি করেছেন, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার তিনি বলেন, 'উনি যদি কাজ করে থাকেন সেটা দেখতে পারছেন না কেন, আসলে এত পরিমাণ চুরি করেছেন, সেই হিসাব নেই। এখন এই নাটক না করলে ধরা পড়ে যাবে।'

one year ago
Dharna: 'ডিএ-র মঞ্চে চোর-ডাকাতরা বসে', সরব মমতা! 'শয়তান' খোঁচা বিকাশের

মনি ভট্টাচার্য: বুধবার দুপুর ১টা থেকে রেড রোডে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানে বিকেলে ওই ধর্না মঞ্চে যোগ দেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, তারপর তিনি বক্তব্যও রাখেন। অভিষেকের বক্তব্যের পর কেন্দ্র সরকারকে তির বিঁধতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। বক্তব্যর মধ্যেই ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে করে তির্যক ভাষায় কটাক্ষ করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ধর্না মঞ্চ থেকে প্রায় ১ কিমি দূরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন মঞ্চ। বুধবার ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, 'ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে চোর ডাকাত বসে আছে, চিরকুটে যারা চাকরি পেয়েছিল ওরাই ওখানে বসে আছে।'

বুধবার সিএন ডিজিটালের পক্ষ থেকে, আইনজীবী তথা রাজ্যসভার বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'উনি একটা পাগল, ওনার কথার উত্তর দেওয়া আমার সাজে না।' সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর করা এমন বক্তব্যে বিকাশবাবু মমতাকে শয়তান বলে কটাক্ষ করেন। তিনি সিএন-ডিজিটালকে জানান, 'এই কথাগুলো যখন বলেন একজন, তখন বুঝতে হবে হয় তাঁর মানসিক ভারসাম্য নেই, অথবা তিনি অত্যন্ত শয়তান এবং শয়তানিসুলভ বক্তৃতা দিচ্ছেন, কর্মচারীদের কলুষিত করার জন্য।' তিনি বুধবার আরও বলেন যে, 'যারা তাঁর ন্যায্য ডিএ-র জন্য আন্দোলন করছে দিনের পর দিন, ধর্মঘটের দিন ৭০ শতাংশ কর্মচারী ধর্মঘট করেছেন, তাদের তিনি চোর-ডাকাত বলছেন! উনি যদি নিজের কর্মচারীদের পাগল বলে সম্বোধন করেন, তবে ওনার তো ক্ষমতায় থাকায় অধিকার নেই।' 

মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক আন্দোলনকারী কিঙ্কর অধিকারী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন সেটা তিনি করতে পারেন! তবে আমাদের রুচিতে বাঁধছে।' তিনি বুধবার আরও বলেন, 'আমরা যদি চোর-ডাকাত হই, উনি তো প্রশাসনের শীর্ষ জায়গায় আছেন, ওনার অনেক ক্ষমতা, ওনার হাতে পুলিস-প্রশাসন আছে, তবে এই চোর ডাকাতকে তিনি ধরছেন না কেন?' বুধবার কিঙ্করবাবু বলেন, 'চিরকুটে চাকরি পেয়ে থাকলে তদন্ত করুন, তদন্ত করে সবটা বার করুন, সবটাই তো ওনার হাতে।' এছাড়া তিনি মমতাকে পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, 'তার সরকারের দোষ ঢাকতে, একথা বলছেন তিনি, সরকার যে কত হাজার হাজার ভুয়ো নিয়োগ করেছে, কত টাকার দুর্নীতি করেছে, সেটা তো কোর্টে প্রায় প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, সব বাংলার মানুষ দেখছে, কে চোর! কে ডাকাত! সেটা বাংলার মানুষ বিচার করবে।'

one year ago


DA: অভিষেকের সভার মাঝেই ডিএ মঞ্চে টিএমসির হামলার অভিযোগ, আহত এক আন্দোলনকারী

ডিএ আন্দোলনকারীদের শঙ্কা সত্যি হলো, অভিযোগ বুধবার তাদের আন্দোলন মঞ্চে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত এক আন্দোলনকারী। সূত্রের খবর ওই যুবকের নাম পিন্টু পাইক। আহত পিন্টুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযোগ বুধবার দুপুরে তৃণমূলের সভা চলাকালীন হঠাৎ ৪-৫ জন দুষ্কৃতী ওই পিন্টু-সহ কয়েকজনের উপর হামলা চালায়, বাকিরা পালিয়ে গেলেও পিন্টু পালতে পারেনি, পিন্টুকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

সূত্রের খবর, আহত পিন্টু হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা। এবিষয়ে ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'একটা অভিযোগ এসেছে, কী করে হলো জানি না, ওখানে পুলিস ছিল, অভিযোগ এসেছে তদন্ত করে দেখতে হবে।' যদিও গোটা ঘটনা করে চক্রান্ত বলে দাবি করছেন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। বুধবার আন্দোলনকারীদের পক্ষে, কিঙ্কর অধিকারী বলেন, 'আমরা এই আশঙ্কা করেছিলাম আগে থেকেই, সে জন্যই আদালতকে অনুরোধ করেছিলাম যে তৃণমূলের সভার অনুমতি যেন এখানে দেওয়া না হয়।' তিনি আরও বলেন, 'এই হামলার দায় কি এবার পুলিস নেবে?'

বুধবার ৬২ দিনে পড়ল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন। হাইকোর্ট অভিষেকের সভার শর্তসাপেক্ষে  অনুমতি দিলেও, সেখানে বিচারপতি মান্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং শর্ত দিয়েছিলেন যদি কোনও দুর্ঘটনা হয় সেটার দায় পুলিসের। সে বিষয় নিশ্চিত করেছিলেন রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল। এডভোকেট জেনারেল আদালতকে  জানিয়েছিল, পুলিস নিরাপত্তা দেবে, সেক্ষেত্রে এমন ঘটনা কি করে ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সব মহলেই।

যদিও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছে তৃণমূল, সংগ্রামী মুক্ত মঞ্চের আনা এই অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এ বিষয়ে তৃণমূলের দাবি, 'পুলিস তৎপর ছিল। তৃণমূলের নামে কুৎসা রটানোর জন্যই এমন অভিযোগ আনছেন তাঁরা।'

one year ago
Rezzak Molla: বুদ্ধ বাবু সৎ লোক, একটু আবেগপ্রবণ, মমতা খুব চালাক: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা

সক্রিয় ভাবে যুক্ত নেই তিনি। দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকার আক্ষেপ যেমন আছে, তেমন ভোলেন নি তাঁর পুরোনো দলকেও। সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন একদা বাম নেতা, পরবর্তীকালে ভাঙড়ের তৃণমূলের বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা। সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর, তাঁর আক্ষেপ তাঁর দল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কেউই যোগাযোগ রাখেন না। এমনকি মমতা বন্দোপাধ্যায় অবধি উদ্যোগ নিয়ে যোগাযোগ করে না বলে জানান তিনি।  

ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা শনিবার সিএন-কে জানান, ' ৮০ বছর বয়স হয়েছে, আগেকার মত দৌড় ঝাঁপ করতে পারি না। সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে এসেছি আক্ষেপ হয়। ভাঙ্গর নিয়ে  তিনি শনিবার জানান, ' পঞ্চায়েতের আগে ভাঙ্গর কিছুটা রিকভার হবে, সবটা হবে বলে মনে হয় না, শওকতকে দায়িত্ব দিয়েছে, ও দক্ষ সংগঠক।  যদিও ওখানে প্রার্থী ঘোষণার পর, নিজেদের মধ্যে একটা মতবিরোধ হয়। তবে সবাই চেষ্টা করছে।  '

ভাঙড়ের প্রার্থীর জন্যই কি এই দুরাবস্থা ভাঙড়ের, এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন , ' আমি নিজেই চাই নি প্রার্থী হতে, আমি চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম, শারীরিক অসুস্থতার কারণে, আমি প্রার্থী হতে চাই না, তাই মমতা আমাকে প্রার্থী করেন নি। তিনি আরও বলেন,  ' মমতা বলেছিল, আপনার যদি কোনো অসুবিধা হয় বলবেন, যদিও আমার কোনো প্রয়োজন পড়েনি, তাই জানাই নি,  আমাদের যোগাযোগ সেরকম নেই।  '

শনিবার তিনি আরও বলেন, ' বার্ধক্য কালে বাম জামানার লোকদের পাশে পাই, এই জন্য আক্ষেপ হয়, ওরা আন্তরিক ভাবে আমার খেয়াল নেয়। দলের শীর্ষস্তরের নেতৃত্ব আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। ' শনিবার তিনি জ্যোতি বাবু, বুদ্ধ বাবু ও মমতা বন্দোপাধ্যায়, তিন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে জ্যোতি বাবুকে এগিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন,  '  জ্যোতি বাবুর সঙ্গে কারোর তুলনা হয়না, উনি একটা কথা বললে সেটাই ফাইনাল, বুদ্ধ বাবু আবেগ প্রবন, আবেগের বসে মন্ত্রিসভা ছেড়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি মমতা চালাক, পিপলস পালসটা বোঝেন। ' তিনি মমতা সম্পর্কে আরও বলেন, ' মমতা প্রান্তিক মানুষের জন্য যা করেছেন গ্রাম বাংলায় মমতাকে সরাতে পারবেন ন। ' শনিবার দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, ' আরও কড়া হওয়া উচিত ছিল, শীঘ্রই ব্যবস্থা নিতে হবে।  ' যদিও মমতার পর, অভিষেক কি যোগ্য নেতা! সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,  ' মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরে বড় জিজ্ঞাসা চিহ্ন, একজন তৈরী নেতা, ও  একজন তৈরী করা নেতা, দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে।  '   

one year ago
Rahul: কেন্দ্র বিরোধী পরিস্থিতে মাখনে ছুরি চালাতে পারলেন কি রাহুল?

মানহানি মামলায় গুজরাটের সুরাট আদালতের নির্দেশে ২ বছরের সাজা হয় কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul gandhi)। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী বাতিল করা হলো রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ। যা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা দেশে। এ ঘটনা নিয়ে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুলের পরিচিত সংবাদকর্মীদের একাংশের দাবি, শনিবার রাহুল অনেক কিছুই বলতে পারতেন। বলতে পারতেন গোটা দেশের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে, বলতে পারতেন গোটা দেশের বিরোধীদের এক করা নিয়ে। সম্প্রতি রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিজেপি বিরোধী সমস্ত দল গুলি? এরফলে তিনি শনিবার কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনতে পারতেন যে, চাপ দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এমনটা তিনি করলেন না। কেন?

কেন্দ্র বিরোধী মাখনের মত এমন একটা পরিস্থিতি, কেন তিনি ছুরি চালিয়ে গোটা পরিস্থিতিটা নিজের পক্ষে করলেন না? জানা নেই। শনিবার রাহুলের মুখে শুধু শোনা গেল, আমি, আমি, আর আমি। আর শোনা গেল মোদী আর আদানির নাম। যদিও রবিবার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের পথে নামবেন বলে জানিয়েছেন রাহুল। রবিবারই নিজের টুইটারে নিজের বায়ো বদলে রাখেন 'ডিস্কোয়ালিফায়েড এমপি'। গোটা সাংবাদিক সম্মেলন জুড়ে একবারও বিরোধীদের একজোট হবার ডাক দিলেন না। তিনি যদি বলতেন বিরোধীদের একজোট করার পর, তাদের মধ্যেই কেউ সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতার খাতিরে মোদী বিরোধী মুখ হবেন, যেমনটা তিনি তাঁর দলে করেছেন, মল্লিকার্জুন খাগড়েকে সভাপতি বানিয়েছেন। যদিও অভিজ্ঞতার খাতিরে এখনও অবধি বিরোধী মুখ কেউ হলে সেক্ষেত্রে রাহুলই এগিয়ে থাকতেন। তাও তিনি মোক্ষম সময়ে বিরোধীদের সঙ্গবদ্ধ করতে চাইলেন না। আদতে চাইলেন না, নাকি করলেন না, সেটা বোঝা সময়ের দায়। 

লোকসভার অধ্যক্ষের সচিবালয় সূত্রে খবর, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২(১) ১৯৫১-র জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। এবিষয়ে শনিবার তাঁর দুই প্রিয় সাগরেদ ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক ঘেলট, দু'জনকে দুই পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন রাহুল। রাহুল সাংবাদিক বৈঠকে আদানিকে কাঠগড়ায় তুললে, সাংবাদিকরা তাঁর সাগরেদদের রাজ্যে আদানির ব্যবসার কথা মনে করিয়ে দিলেন। সেই মুহূর্তে কিছুটা রেগে গিয়ে রাহুল বললেন, 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ আছে।' এতে কি রাহুলের সাগরেদ রা ছোট হলেন না? এত সুন্দর পরিস্থিতে তিনি কি পারতেন না বিরোধীদের একজোট করার ডাক দিতে? এটাকে কি প্রস্তুতির অভাব বলা চলে? নাকি আপনি বলবেন, তাঁর দিদা ইন্দিরা গান্ধীর মত বা তাঁর পূর্ব পুরুষের মত ক্ষুরধার বুদ্ধির মালিক এখনও হয়ে উঠতে পারেননি রাহুল।

one year ago


Firhad: চিরকুটে চাকরি হয় নাকি,উদয়নকে কটাক্ষ ফিরহাদের

নিয়োগ দুর্নীতিতে বামেদের (Cpim) বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan guha)। বাম আমলের কৃষিমন্ত্রী (Minister), নিজের বাবা কমল গুহকে আক্রমণ  করতে ছাড়েননি তিনি। শনিবার মন্ত্রী বলেন, ' বাবা একটা লিস্ট করে পাঠাত, সেই লিস্ট অনুযায়ী চাকরি হত।' এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন, রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে, এই বিষয়ে মন্ত্রী ফিরহাদকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, 'ও পাগলের মত কি বলেছে জানা নেই। '

দুজনেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী, একজন পুর দফতরের এবং একজন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী।  উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী দাবি করলেন, ' আমার বাবাও বাম আমলে চিরকুটে চাকরি দিয়েছেন, আমার সুপারিশেও হয়েছে চাকরি। ' এরপরেই অপর মন্ত্রী অর্থাৎ পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম উদয়নকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'ও একটা পাগল লোক।'  পাশাপাশি ফিরহাদ শনিবার বলেন, 'চিরকুটে চাকরি হয় নাকি? অন্তত একটা অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োজন।' নিজের দলের মন্ত্রীর বেলাগাম মন্তব্য ঢাকতে, মন্ত্রীকেই পাগল বললেন ফিরহাদ।

এ বিষয়ে বামদের কটাক্ষ, ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে ফিরহাদ, কুনাল বাবু-সহ দলের অন্যদের বিপাকে ফেলছেন না তো? শিক্ষায় অবৈধ নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের নাম জড়ানোর পর তৃণমূলেরই সিংহভাগের দাবি ছিল, বাম আমলে চিরকুটে চাকরি হত। তাহলে এত দিন ধরে নিশ্চই দাবি করে এসেছেন তৃণমূল নেতারা।

one year ago
Udayan: বাম আমলকে দুষতে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মৃত বাবাকেও বিঁধলেন মন্ত্রী উদয়ন

মনি ভট্টাচার্য: 'বাম আমলে চাকরি ভাগ হত, অনেককে চাকরি (Job) দিয়েছেন আমার বাবা, আমিও অনেকের জন্য সুপারিশ করেছি,' এই মন্তব্য খোদ রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী (Minister) উদয়ন গুহের। তাঁর অভিযোগের তীর বাম আমলের নিয়োগের দিকে, উদয়ন গুহ (Udayan guha) সিএন-ডিজিটালকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেন, 'নিজের দলের ছেলেদের চাকরি দেওয়া দুর্নীতি হলে, আমিও সেই দুর্নীতিতে যুক্ত, বাম আমলে আমিও অনেককে চাকরি দিয়েছি।' যদিও এর পাল্টা উত্তরে সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, 'বাম আমলে যদি ওর বাবা আর উনি চাকরির সুপারিশ করে থাকেন, ভালো তো, তাঁর বাবাকে তো আর পাওয়া যাবে না, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে বলুক, জেলে ঢুকিয়ে বাটাম দিলেই, বলে দেবে কাকে চাকরি দিয়েছে, কে অযোগ্য ছিল।'

উদয়ন গুহ বামেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নিজের বাবাকেও দোষী বলতে ছাড়েননি। শনিবার উদয়নবাবু বলেন, 'বাম আমলে চাকরির জন্য আমিও সুপারিশ করেছি, আমি যখন সুযোগ পেয়েছি, আমিও চাকরি দিয়েছি, এবং সেক্ষেত্রে আমি যাকে চাকরি দিয়েছি, তার থেকে কী যোগ্য প্রার্থী ছিল না!' শনিবার তিনি আরও বলেন, 'যে আমার দল করত, তাকে চাকরি দিয়েছি।' এখন মন্ত্রী হিসেবে আপনি কাউকে সরকারি চাকরি দিয়েছেন? বা সুপারিশ করেছেন? এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি তো মন্ত্রী হিসেবে তিনজনকে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে নিয়েছি, আমি কি অন্য দলের কাউকে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে নেব? আমার অধিকার আছে ৩ জনকে নেওয়ার তাই নিয়েছি।'

শনিবার, মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, 'বাম আমলে দুজন করে অ্যাটেনডেন্ট নিয়েছে প্রতিটা মন্ত্রী। প্রতি বছর নিয়োগ করেছে, প্রতি বছর ওই দুজন করে পার্মানেন্ট হয়ে গিয়েছে। আবার দুজনকে নিয়েছে, জ্যোতি বাবু করেননি? বুদ্ধবাবু করেন নি? হয়ত বুদ্ধবাবু নাম সাজেস্ট করেননি। কিন্তু বামদের কেউ নাম সাজেস্ট করেছে আর প্রতি বছর অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ করেছে, আর পুরোনো দুজনকে পার্মানেন্ট করেছে।' এবিষয়ে শনিবার সিএন ডিজিটালকে সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, 'অ্যাটেনডেন্ট কোনও সরকারি পদ নয়, বুদ্ধবাবুর অ্যাটেনডেন্ট বামেদের দলের, কেউ হবে না তো কি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাইপো হবে? উনি ফালতু বকছেন, বুদ্ধবাবুর অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন জয়দীপ মুখার্জী, সে এখন গণশক্তির হোলটাইমার।'

শনিবার উদয়ন গুহ আরও বলেন, 'কেউ সাধু নয়, আবারও আমি বলছি, দুর্নীতি মানে ৫ টাকা নিলেও দুর্নীতি, ৫০০০ টাকা নিলেও দুর্নীতি, ৫ লক্ষ টাকা নিলেও দুর্নীতি। আমার হোলটাইমারকে আমি টাকা দিতে পারছি না, দল টাকা দিতে পারছে না, তার বদলে তাঁর বৌকে একটা সরকারি চাকরি পাইয়ে দিলাম সেটাও দুর্নীতি। এসব কংগ্রেস আমলে হয়েছে, বাম আমলে হয়েছে, এখনও হচ্ছে, যদি এটাকে দুর্নীতি বলেন, আপনারা সবাই ভাবের ঘরে চুরি করছেন।' তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূল দীর্ঘদিন ঘরে ক্ষমতায় আসার পরেও বাম আমলে নিয়োগ নিয়ে কেন আদালতে যাচ্ছেন না, কেন তদন্ত করছেন না? এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রীমশাই বলেন, 'এটা তো নিয়ম আছে, প্রত্যেক মন্ত্রী, বছরে দুজন-তিনজন করে অ্যাটেনডেন্ট নিয়ে তাদের চাকরি পাকা করে দিয়েছে। তাহলে সেটা যদি অন্যায় না হয় এখন কেন অন্যায় বলা হচ্ছে?'

তিনি আরও বলেন, 'প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ হত কোচবিহার জেলা-সহ গোটা রাজ্যে, সিপিআইএম পেত ৬০ শতাংশ, ফরওয়ার্ড ব্লকের ভাগে যেত ৫ শতাংশ , আর আরএসপি-সিপিআই পেত ৫ শতাংশ, সেখানে মাধ্যমিক পাশ হলেই চাকরি হয়ে যেত। সেখানে কোনও কোয়ালিফিকেশনের ব্যাপার ছিল না!' পরবর্তীকালে পরীক্ষা চালু করল, ৯০ দশকে বামেরা যত পারলো লোক ঢুকিয়ে নিলো, শেষবেলায় এসে সতীত্ব দেখানোর জন্য তারা পরীক্ষা চালু করলো। এভাবেই পূর্বতন বাম জমনাকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

one year ago