Breaking News
ED: ফের ইডি হাজিরা এড়ালেন সুকন্যা, 'মণীশ কী করেছে জানি না', জবাব অনুব্রতর      Ayan: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বহু পুরসভার চেয়ারম্যানের, তবে কি ইডির ডাক পাবেন তাঁরাও?      Covid 19: ছয় রাজ্য করোনা প্রবণ, এখন থেকেই সতর্ক হতে কেন্দ্রের চিঠি      Bony: 'ভুল হয়ে গিয়েছিল, শুধরে নিলাম', টাকা ফেরতের পর বললেন বনি      Meet: অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্বে খোদ মমতা, সংখ্যালঘু সেলেও রদবদল      ED: কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ইডিকে ফেরালেন বনি, সোমাও একই পথে হাঁটলেন      KIFF: কুন্তল প্রযোজিত ছবির স্ক্রিনিং কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে, টাকা সাদা করার ফন্দি?      DA: মার্চেই কেন্দ্রের আরও একদফা ডিএ ঘোষণা, কত বাড়তে পারে মহার্ঘ ভাতা?      Nabanna: শাহরুখের জায়গায় বাংলা পর্যটনের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর দেব      Mamata: আদালত অবমাননার অভিযোগে মমতার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে বিকাশরঞ্জন     

রাজনীতি

Arrest: ভোররাতে কৌস্তভ বাগচির দুয়ারে কলকাতা পুলিস, গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata) উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্যর অভিযোগ। শনিবার সকালে নিজের বাড়ি থেকেই বড়তলা থানার হাতে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা (Congress) কৌস্তভ বাগচি (Kaustav Bagchi)। পেশায় আইনজীবী কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে শনিবার ভোর ৩টে নাগাদ অভিযান চালায় পুলিসের ১৫ জনের একটি দল। অবশেষে সকাল ৭টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় কৌস্তভকে। জানা গিয়েছে, বড়তলা থানায় এক ব্যক্তির দায়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেফতারি। যদিও অ্যারেস্ট মেমোতে গ্রেফতারির কারণ উল্লেখ নেই বলে সূত্রের খবর। শনিবার ভোররাতে গ্রেফতারির পরেই 'নৈতিক জয়', 'ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী' বলে সুর চড়ান কৌস্তভ।

পাশাপাশি কৌস্তভের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিস। কৌস্তভের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ধারার মধ্যে অন্যতম যৌন হেনস্থার ধারা। তাঁর বিরুদ্ধে ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র)-সহ দাঙ্গায় উস্কানির মতো ধারায় মামলা।

এদিন গ্রেফতারির পর কৌস্তভকে ব্যারাকপুরের বাড়ি থেকে বড়তলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য আরজি কর হাসপাতাল, ফের থানা এবং বেলা বাড়লে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয় আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতাকে। এদিন গ্রেফতারির পর কৌস্তভ বলেন, 'এই গ্রেফতারির কোনও ভিত্তি নেই। মাতৃসম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন পুত্রসম কৌস্তভ বাগচীকে।' তিনি জানান, 'প্রদেশ কংগ্রেস সর্বত্র ভাবে আমার পাশে আছে। এই আশ্বাস দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।'

এদিন গ্রেফতারির আগে নিজের বাড়িতে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান কংগ্রেস নেতা। পুলিসি অভিযান প্রসঙ্গে এক কংগ্রেস নেতা জানান, শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে দীপক ঘোষের লেখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কিত একটি বই প্রকাশ করেছি। দীপক ঘোষ তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। সেই বই প্রকাশের জন্য হয়তো রোষানলে পড়েছে কৌস্তভ বাগচি।

ধৃত কংগ্রেস নেতার বাবা বলেন, 'রাত ৩টে নাগাদ টিটাগড় থানা, সাদা পোশাকের পুলিস এবং বড়তলা থানার পুলিস আসে গ্রেফতার করতে। এই সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার।' এদিকে এই গ্রেফতারির ঘটনায় এককাট্টা বিরোধী শিবির। কৌস্তভের হয়ে আদালতে সওয়াল করবেন বিকাশ ভট্টাচার্য। এদিন এমনটাই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে এই গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। 

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, 'এই ধরনের দমন-পীড়ন রাজনীতির বিরোধী বিজেপি। তবে ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করেছিল প্রদেশ কংগ্রেস। সেই প্রতিদান ফিরিয়ে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' 


কংগ্রেস মুখপাত্র এবং আইনজীবী কৌস্তভ বাগচির গ্রেফতারিকে ন্যক্কারজনক আখ্যা দিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। যদিও এই গ্রেফতারির পর তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় জানান, 'নিজেকে মাতব্বর মনে করছেন কৌস্তভ বাগচি। ওর মন্তব্যর কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। ও কোন হরিদাস পাল।' অপরদিকে, এদিন প্রথমে বড়তলা থানার সামনে এবং পরে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা।   


2 weeks ago
TMC: কেন সাগরদিঘিতে তৃণমূলের পরাজয়

প্রসূন গুপ্ত: একুশের ভোটে ৫০ হাজারে জেতা আসনে পরাজিত তৃণমূল। ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কেন পারলো না সাগরদিঘি ধরে রাখতে? কেনই বা কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস জিতলো? এই আসনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী জিতবে, তা আগেই পরম দর্পে প্রকাশ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সিএন পোর্টালের বিশ্লেষণে কী উঠে আসে, তাই ব্যক্ত করি।

১) সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া শিক্ষাক্ষেত্রের কেলেঙ্কারি কিন্তু কিছুটা ছাপ নিশ্চিত ফেলেছে কিন্তু এই ইস্যুর উপর ভোট হয়নি।

২) সাগরদিঘি মুলসিম অধ্যুষিত বিধানসভা। ৬৮ শতাংশ সংখ্যালঘুর বাস। কংগ্রেসের গড় ছিল একসময়। কিন্তু এখন থেকে সুব্রত বিশ্বাসের জেতার কারণ তিনি ছিলেন মুসলিমদের "মসীহা"। 

৩) কংগ্রেস এখানে প্রার্থী করে একেবারে নতুন মুখ ব্যবসায়ী বাইরন বিশ্বাসকে।  অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু এলাকায় তেমন জনপ্রিয় ছিলেন না।

৪) অন্যদিকে বিজেপি এখানে জিততো না কোনওসময়েই। কাজেই ব্যবসায়ী দিলীপ সাহাকে প্রার্থী করে পদ্ম শিবির।

৫) প্রচারের মূল দায়িত্বে ছিল কংগ্রেসের জোট সঙ্গী সিপিএম। রেজিমেন্টেড দল সিপিএম। কাজেই তারা জানে কোথায় কোন তাস খেলতে হয়। এলাকায় এলাকায় তারা প্রচার করেছে। গুঞ্জন প্রচারে তারা বলেছে, তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে একটা সমঝোতা আছে। জনতা দেখুক ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে শুধুমাত্র বিজেপিকে জেতানোর জন্য। দ্বিতীয় তাস পড়েছে এই যে, সংখ্যালঘু এলাকায় কেন এক ব্রাহ্মণকে প্রার্থী করা হলো? তৃতীয় তাস মমতা আজকাল আর গরিবের দুঃখ বোঝে না, নেতারা বিশাল বড়োলোক অতএব এদের ভোট নয়। এই প্রচার কিন্তু সুনামির মতো ছড়িয়ে গিয়েছিল।

৬) বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী পরিষ্কার প্রচারে বলেছিলেন, সনাতনী ভোট বিজেপিতে পড়ুক এবং সংখ্যালঘু ভোটার জন্য অন্য ব্যবস্থা আছে। প্রশ্ন সেই অন্য ব্যাপারটি কী? দিন শেষে দেখা গেলে সংখ্যালঘু ভোটের ৬০ শতাংশ পড়েছে কংগ্রেসের বাক্সে এবং ৩৪ শতাংশ অন্য ভোটের প্রায় ২৫ হাজার ভোট বিজেপিতে পড়েনি, যা কিনা গত ২০২১ এর নির্বাচনে পড়েছিল। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তৃণমূলকে সাগরদিঘিতে পরাজিত করেছে। 


2 weeks ago
Bye Poll:'মমতাকে পরাজিত করা সম্ভব', দাবি অধীরের! মুখ্যমন্ত্রীর 'অনৈতিক জোট',খোঁচা

মানুষ জোটকে ভরসা করে ভয় কাটিয়ে ভোট দিয়েছে। প্রমাণ হয়েছে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নয়। তাঁকে পরাজিত করা সম্ভব। আমাদের জয়ের অঙ্ক বিশাল। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে এই মন্তব্য করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ফল নিশ্চিত হতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতাকে কুর্নিশ জানান অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতায় সাধারণ মানুষ ভোট দিতে বেরোতে পেরেছে। শাসক দল ছাপ্পা ভোটের প্রস্তুতি নিলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনী সেই উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিয়েছে।'  

এদিকে, সাগরদিঘি উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনৈতিক জোটকে কাঠগড়ায় তুলেছে। তিনি বলেছেন, 'সাগরদিঘিতে অনৈতিক জোটের তীব্র নিন্দা করছি। বিজেপির ভোট কংগ্রেসে গিয়েছে, সিপিএম-র ভোটও কংগ্রেসে গিয়েছে। তবে গণতন্ত্রে হারজিত থাকবেই। এই ফলকে স্বাগত জানাই।' বিরোধী দলগুলো সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেছে। তাই এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, এভাবেও সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী।

তাঁর দাবি, 'তৃণমূল কংগ্রেস এই তিন শক্তিকে একাই পর্যুদস্ত করবে। যেভাবে একুশের ভোটে করেছে, আগামি দিনেও করবে। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।' 

এই দুই দলের পাশাপাশি সাগরদিঘি উপনির্বাচনের তৃতীয় শক্তি বিজেপির দাবি, 'আমরা সাংগঠনিকভাবে ওখানে দুর্বল। বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ সাংগঠনিক শক্তির নিরিখে আশানুরূপ। গতবার যে বুথে বিজেপি ঢুকতে পারেনি, এবার সেই বুথে দলের পোলিং এজেন্ট ছিল।'   

2 weeks ago


Result: ত্রিশঙ্কু মেঘালয়ে কি এনপিপি-বিজেপি সরকার, নাগাল্যান্ডে সেই এনডিএ জোট

ত্রিপুরায় (Tripura) বিজেপি জোট অনেক আগেই ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছে। আগরতলায় গেরুয়া দলের (BJP+) মসনদে বসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। পাশাপাশি সেভেন সিস্টার্সের অন্যতম সদস্য নাগাল্যান্ডেও এনডিএ সরকার (NDA Government)। মেঘের দেশ মেঘালয়ে (Meghalaya) অবশ্য ত্রিশঙ্কু বিধানসভা। তবে সরকার গঠনে আশাবাদী এনপিপি-র প্রধান কনরাড সাংমা (Conrad Sangma)। তাঁর দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি বা এনপিপি শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ২৬ আসনে এগিয়ে। তাদের পিছনেই আছে অপর এক আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি বা ইউডিপি (প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ ১৬.২৪%)। তাদের ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত ১১টি আসন। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের তিন নম্বর স্থানে তৃণমূল কংগ্রেস।

জানা গিয়েছে, বিজেপি এবং কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এই রাজ্যে টিএমসি এগিয়ে ৫ আসনে। বিজেপি এবং কংগ্রেস ২টি করে আসনে এগিয়ে সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত। ৬০ আসন বিশিষ্ট এই বিধানসভা সরকার গঠনে ম্যাজিক ফিগার ৩১। কিন্তু প্রথমসারির কোনও দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, একক বৃহত্তম দল হিসেবে মেঘালয়ে এগিয়ে এনপিপি (প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ প্রায় সাড়ে ৩১)। সেক্ষেত্রে সে রাজ্যে সরকার গড়তে কনরাড সাংমার দলকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ট্যুইট করে এ খবর জানান। তবে যেহেতু মেঘালয়ে ফল গণনার ট্রেন্ড মেনে তৃতীয় টিএমসি (প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ প্রায় ১৪), সেক্ষেত্রে সরকার গড়তে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পারে বাংলার শাসক দল।

এদিকে, নাগাল্যান্ডে সরকার গড়ছে এনডিপিপি এবং বিজেপি। এই দুই দল  এগিয়ে ৩৭ আসনে (এনডিপিপি ২৫ এবং বিজেপি ১২)। তারপরেই আছে ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি। তারা এগিয়ে রয়েছে ৭ আসনে। নাগাল্যান্ডে এনডিএ জোটের ফল নিশ্চিত হতেই ট্যুইট করে ভোটারদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  তথ্যসূত্র: নির্বাচন কমিশন

3 weeks ago
Tripura: গেরুয়া ঝড় তুলে প্রত্যাবর্তন বিজেপির, প্রধান বিরোধী কি তিপ্রা মোথা

গেরুয়া ঝড় তুলে ত্রিপুরায় (Tripura Assembly Poll) প্রত্যাবর্তন বিজেপির। ৬০ আসনের বিধানসভায় ৩৩টি আসন পেয়েছে বিজেপি এবং জোটসঙ্গী আইপিএফটি (BJP+)। ১৪ আসন ঝুলিতে পুড়েছে বাম এবং কংগ্রেস জোট (Left+)। তিপ্রা মোথা পার্টি পেয়েছে ১৩টি আসনে। প্রথমবার ভোটে লড়ে খাতা খুলতে ব্যর্থ তৃণমূল কংগ্রেস। নোটার চেয়েও কম ভোট ঘাসফুল শিবিরের ঝুলিতে। যদিও প্রথমবার ভোটে লড়ে ত্রিপুরায় বিরোধী দলের স্বীকৃতি পাবে তিপ্রা মোথা। ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ভোট পড়েছিল ৮০%-র বেশি। সেদিন থেকেই ক্ষমতা ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (CM Manik Saha)। বৃহস্পতিবার তিনি টাউন বরদোলাই আসনে ১১৮০ ভোটে জিতেছেন। মানিক সাহা হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের আশিস সাহাকে।


এদিকে, ত্রিপুরায় ভোট গণনার প্রাথমিক পর্বে বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ছিল বিজেপি। একটা সময় পর্যন্ত ম্যাজিক ফিগার (৩১) থেকে দূরে থাকলেও বেলা বাড়লে সম্পূর্ণ বদলে যায় চিত্র। বিরোধী জোটকে অনেক পিছনে ফেলে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই ভোটে তিপ্রা মোথা প্রথম থেকেই ফ্যাক্টর। ত্রিপুরায় বিজেপির ঝুলিতে ৩৯% ভোট, বাম এবং কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে ৩৩% ভোট, এক শতাংশের কম ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে।

এদিকে, ভোট গণনায় ফল চূড়ান্ত হওয়ায় এখন দেখার জনজাতি কেন্দ্রিক দল তিপ্রা মোথা বিজেপিকে সমর্থন করে কিনা সেদিকে তাকিয়ে জাতীয় রাজনীতি। ইতিমধ্যে সূত্রের খবর, বিজেপি শিবির থেকে সমর্থনের জন্য তিপ্রা মোথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোত কিশোর মানিক্য দেববর্মার কাছে দূত পাঠানো হয়েছে। ভোটের আগেও এবার গেরুয়া শিবির দৌত্যর জন্য প্রদ্যোত কিশোরের কাছে লোক পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই দৌত্য ব্যর্থ হয়েছে।   

3 weeks ago


Poll: বঙ্গ বিধানসভায় খাতা খুললো কংগ্রেস, প্রায় ২৩ হাজার ভোটে জয় বাইরনের

অবশেষে বঙ্গ বিধানসভায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে হাত শিবিরের বিধায়ক শূন্য ছিল বিধানসভা। সেখানে দু'বছর পর সাগরদিঘিতে (Sagardighi By Poll) লাল আর সবুজ আবীরের 'অকাল হোলি'। বিধানসভা উপনির্বাচনে জয় কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের। ২২ হাজার ৯৮০ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। এই ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী ছিলেন বাইরন। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৮৫ হাজার ৪৩৭, পাশাপাশি শাসক দলের প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৬৩, ০০৩ এবং বিজেপির দিলীপ সাহা পেয়েছেন ২৫,৫০৬টি ভোট। পদ্ম শিবিরের ঝুলিতে ১৪.১১% ভোট। এই উপনির্বাচনে তিন নম্বরে বিজেপি।

কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের হার ৪৭%-এর বেশি।  তৃণমূল পেয়েছে প্রায় ৩৮% ভোট। ঘটনাচক্রে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর এই আসন ফাঁকা হলে উপনির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশের দুই রাজ্যের বিধানসভার সঙ্গে এই আসনে উপনির্বাচন আয়োজিত হয়। ভোট পড়ে প্রায় ৭৪%। প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সম্পন্ন হয় ভোট।

এদিন ইভিএম খুলতেই ক্রমেই এগোতে শুরু করেন কংগ্রেস প্রার্থী। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেই লিড ধরে রাখেন জোট প্রার্থী। কংগ্রেসের এই জয়  পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে অনেকটা অক্সিজেন যোগাবে বাম-কংগ্রেসের জোট রাজনীতিকে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তথ্যসূত্র: নির্বাচন কমিশন

3 weeks ago
Exit Poll: ভোটপর্বে ইতি, এবার কোন রাজ্যে কী সমীকরণের সম্ভাবনা?

প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরার ভোট আগেই হয়ে গিয়েছিল। সোমবার হয়েছে নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ের বিধানসভা ভোট এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘির উপনির্বাচন। ফলাফল আগামী ২ মার্চ, বৃহস্পতিবার। এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন লক্ষ্মীবারে, লক্ষ্মীপ্রাপ্তি কার হয়! ভোট পর্ব চুকতেই বিভিন্ন চ্যানেল, তাদের নিজস্ব সেফোলজি (নম্বর বিশ্লেষণ) সংস্থাকে দিয়ে বুথ ফেরত সমীক্ষা চালিয়েছে। এই সমীক্ষার পথে অনেকেই বিশ্বাসী আবার অনেকেই বিশ্বাস করে না। কারণ স্যাম্পেল টেস্ট হয় সমগ্র ভোটারদের মধ্যে মাত্র ২-৫ শতাংশ মানুষের প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই। কিন্তু সিএন ক্রমাগত চেষ্টা করেছে মানুষের মনের ভাবনা নিয়ে খবর করতে, তারই বিবরণ খানিকটা এই প্রকার।

প্রথমেই নাগাল্যান্ড, এই রাজ্যের বিষয়ে আগেই জানিয়েছিলাম যে এরা দেশের বাসিন্দা হলেও কোথাও একটা বিদ্রোহ একদা এঁদের মধ্যে বিরাজ করেছে। যদিও এঁরা এখন পুরোপুরি রিপাবলিক অফ ইন্ডিয়ার সার্বভৌম অংশ। ভোট উৎসবের অংশীদার। এখানকার ভোটে দেশের প্রধান দুই দল বিজেপি বা কংগ্রেসকে গত দুই যুগ ধরে খুব একটা ভালো ফল করতে দেখা যায়নি। কাজেই বিজেপি এখানকার স্থানীয় শক্তি এনডিপিপির সঙ্গে জোট বেঁধে ভোট লড়ছে। আপাতত খবর যা তাতে এই জোটকে অর্থাৎ এনডিএ-কে ফের ক্ষমতায় দেখা যেতে পারে। 

মেঘালয়, এখানেও জোট সরকার। এখানে সব দল আলাদা হয়ে ভোটে লড়েছে। তাতে করে আবারও ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত। প্রধান দল এনপিপি হয়তো ৬০ আসনের মধ্যে কমবেশি ২৫টি আসনের দাবিদার। এরপর যা বোঝা যাচ্ছে হয়তো তৃণমূল বা কংগ্রেস বেশি আসন পেতে পারে। কিন্তু বিজেপি কোনওমতেই ৩-৫টির বেশি আসন পাবে না। এমনটাই একাধিক একজিট পোল সূত্রে খবর। এনপিপি সরকার গড়তে বিজেপির হাত ধরতে পারে গতবারের মতোই।

এবার জাতীয় রাজনীতির অন্যতম টার্গেট রাজ্য ত্রিপুরা। এখানে আবার দু'টি বিষয় হতে পারে ১) ত্রিপুরার বাঙালিরা, বাংলার মতো কাউকে সরকারে আনলে চট করে সরিয়ে দিতে চায় না

২) সিপিএম-কংগ্রেস জোট বেঁধে লড়ছে বলে কংগ্রেসের সমর্থকরা বিজেপিকে ভোট দিতে পারে। তবে তিপরা মাথা এবারের যুদ্ধে রাজ্যের 'রাজা'কে প্রচারে নামিয়ে ভোটের রং বদলাতে পারে| অবশ্য সেক্ষেত্রেও বেশি আসন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বিজেপির।

যদি এরপরেও বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হয় তখন কিন্তু অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছেন ভোট কারবারিরা। শেষের প্রসঙ্গ সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচন। একটা রব উঠেছে এই আসনটি নাকি কংগ্রেস জিততে পারে। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ তো জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর দল লড়াইয়ে নেই। তবে যদি নীরবে "চুপ চাপ ফুলে ছাপ" হয়ে থাকে তবে ফের তৃণমূল। সব সম্ভাবনার নিশ্চিত জবাব কী, তার জন্য অপেক্ষা ২ মার্চের।

3 weeks ago
Murshidabad: মোটের উপরে শান্তিতেই ভোট সাগরদিঘিতে, রেজাল্ট আউট ২ মার্চ

প্রসূন গুপ্ত: পশ্চিমবঙ্গের মানুষের নজরে ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি উপনির্বাচনের দিকে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা এই আসনের বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুতে উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশনা। লড়াই তিন প্রধান দলের মধ্যেই। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে বিজেপির দিলীপ সাহা এবং সিপিএম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ বায়রন বিশ্বাস।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর পর্যবেক্ষণে ভোট হচ্ছে সঙ্গে বুথের বাইরে থেকেছে রাজ্য পুলিস। সাধারণত উপনির্বাচনে ভোট কম হয়ে থাকে। কিন্তু বেলা ১১-টার মধ্যেই ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। বেসরকারিভাবে জানা গিয়েছে, বেলা ১-টার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। সাগরদিঘির প্রায় ২৫ হাজার ভোটার কর্মসূত্রে রাজ্যর বাইরে, তাঁদের মধ্যে জানা গেল মাত্র ৫ হাজার ফিরেছে ভোট দিতে। এরা সবাই সংখ্যালঘু ভোটার।

এই কেন্দ্রে আড়াই লক্ষের মতো ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ শতাংশ সংখ্যালঘু অর্থাৎ এরাই এই কেন্দ্রের সংখ্যাগুরু। বাকি ৩২ শতাংশ হিন্দু ভোটার। শোনা যাচ্ছিল, হাড্ডাহাড্ডি ভোট হবে মূলত তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে। একটা সময়ে এই মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস ও বামেদের চারণভূমি ছিল। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা থেকে ভোটাররা তাদের মত-মন পাল্টিয়ে তৃণমূলকেই ভোট দিচ্ছে, ব্যতিক্রম অধীর চৌধুরী।

অধীর মুর্শিদাবাদের অবিসংবাদিত নেতা। কিন্তু সেই তিনি কিন্তু ২০২১-এ দলকে এই জেলা থেকে একটিও আসন দিতে পারেননি। আসন পায়নি বামেরাও। বিধানসভায় স্বাধীনতা উত্তরযুগে কংগ্রেস-বাম ব্যতিত কর্মসূচি শুরু হয়। এবার কিন্তু মরিয়া লড়াই দেওয়ার জন্য এই জোট এলাকার পর এলাকায় প্রচার করছে। এবার ভোট প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভোটই হচ্ছে।

একটু হৈ-চৈ ছাড়া এমন ভোট কোনদিকে হেলবে এখনও বোঝা মুশকিল। তবে বেলা দুটোতে কংগ্রেস প্রার্থী জানালেন তাঁকে নাকি কোনও বুথে গেলেই ঘেরাও করা হচ্ছে। অল্প অভিযোগ বিজেপিরও, তবে অনেকটাই রিলাক্স দেবাশিস। এবার অপেক্ষা ফলের।

3 weeks ago


Vote: মেঘালয়-নাগাল্যান্ডে ভোট গ্রহণ! 'দলে দলে ভোট দিন', ট্যুইট মোদীর

সোমবার উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্যের ১১৯টি আসনে চলছে ভোট গ্রহণ। ৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের ৫৯টি আসনে সকাল থেকে শুরু ভোটগ্রহণ। জানা গিয়েছে সেভেন সিস্টার্সের আওতাভুক্ত এই দুই রাজ্য মিলিয়ে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৫৫২ জন। ভোটগ্রহণ শুরু বিকেল ৪টে পর্যন্ত এবং ভোটগণনা হবে ২ মার্চ। সকাল ৯টা পর্যন্ত মেঘালয়ে ভোট গ্রহণ প্রায় ১১ শতাংশ আর নাগাল্যান্ডে ভোট গ্রহণ প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ।

মেঘালয়ে গত পাঁচ বছর ন্যাশানাল পিপলস পার্টি বা এনপিপি এবং বিজেপির জোট সরকার চলেছে। কিন্তু এবার ভোটে পৃথক ভাবে লড়ছে দুই দল। এদিকে ত্রিপুরার পর প্রথমবার মেঘালয়ের ভোটে অংশ নিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। অন্যদিকে নাগাল্যান্ডে জোট করে লড়ছে বিজেপি। এনডিপিপি-র সঙ্গে জোট করে লড়ছে পদ্মশিবির।

এদিকে, সোমবার ভোট শুরু হওয়ার পরেই ‘কংগ্রেসকে সুযোগ দিন’ বলে দুই রাজ্যের ভোটারদের কাছে আর্জি করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। পাশাপাশি দলে দলে এসে ভোট দিতে, মেঘালয়-নাগাল্যান্ডের নতুন ভোটারদের টুইটবার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে নাগাল্যান্ডের ভোট হিংসা এড়াতে পারেনি। ভোটকেন্দ্রে চলা গুলিতে আহত এক এনপিপি সমর্থক।

অভিযোগ, বুথের ভিতরেই এনপিপি সমর্থককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন এক এনপিএফ সমর্থক। ওই বুথে ভোটগ্রহণ কিছু সময়ের জন্য স্থগিত থাকলেও আবারও শুরু ভোটগ্রহণ। এখন সেভেন সিস্টার্সের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে ২ মার্চ ফল ঘোষণা। মানুষের রায় কোনদিকে যায়, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

3 weeks ago
Political: ভোটপর্ব অতীত, ফল নিয়ে চিন্তিত সব দল (পর্ব -৩)

প্রসূন গুপ্ত: সোমবার নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ের ভোট। আর কয়েক ঘণ্টা পর সমস্ত দলের প্রচার শেষ হবে এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট। ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকেই শুরু হয়ে যাবে বিভিন্ন চ্যানেলের বুথ ফেরত সমীক্ষা। অবশ্য সারা ভারতের মিডিয়ার নজরে কিন্তু ত্রিপুরা। নাগাল্যান্ড বা মেঘালয়ে মিলিজুলি সরকারের রাজ্য ছিল এবং এই দুই রাজ্যে বিজেপি কিন্তু সহযোগী দল সরকারের। কিন্তু ত্রিপুরায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি কাজেই দেখার বিষয় তারা তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে কিনা।

ত্রিপুরার অন্দরে কিন্তু সবকটি দল ইতিমধ্যে প্রচার মাধ্যমের কাছে দাবি করেছে যে তারা ক্ষমতায় আসছে, কিন্তু সেসব তো রাজনৈতিক কথা। আসল পরীক্ষা তো ২ মার্চে সকাল ৯টা থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই।

বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন যে ভোট সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে এবং রাজ্যের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছে। ফলে বিজেপির ফের ক্ষমতায় আসাটা শুধু সময়ের অপেক্ষা | মানিকবাবু মিষ্টিভাষী মানুষ, ধৈর্য্য ধরে মিডিয়ার নেতিবাচক প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর  দেন। তাঁর একটাই কথা , আমার ফিরে আসছি।

ত্রিপুরার জনপ্রিয় নেতা তথা কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন সরাসারি সিএন পোর্টালকে জানালেন যে এবারের ভোট বিজেপির বিদায় আসন্ন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ক্ষমতায় জোট নাকি জোটের সঙ্গে তিপরা মোথাও থাকবে? ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর দিলেন সুদীপ। জোট ক্ষমতায় আসবে কিন্তু ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যোত দেববর্মার ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না।

শুক্রবার মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন সিপিএম প্রার্থী তথা ত্রিপুরা সিপিএমের সম্পাদক জিতেন চৌধুরী। তিনি বললেন, ফলের আগে কোনও কথা বলাটা উচিত না হলেও জোটটির ক্ষমতায় আসাটা নিশ্চিত। তিনি বললেন, ভোট দিতে বাধা দেওয়া হলে সাধারণ মানুষ পথে নেমে প্রতিবাদ করে ভোট দিয়েছে। তাঁর ধারণা ৯০% বেশি মানুষের ভোট পড়েছে এটি নাকি সরকার  বিরোধের লক্ষণ। তবে জিতেনবাবু কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন | এখন অপেক্ষা ২ মার্চ অবধি। (পরের পর্ব দেখুন)

3 weeks ago


Vote: সোমবার উত্তর-পূর্বের আরও দুই রাজ্যে ভোট, জানুন বর্তমান অবস্থান

প্রসূন গুপ্ত: উত্তরপূর্ব ভারতের দুটি রাজ্য। একটা সময় মেঘালয় অসমের অন্তর্ভুক্ত ছিল পরে আলাদা রাজ্যে পরিগণিত হয়। অন্যদিকে নাগাল্যান্ড ভারতের অঙ্গরাজ্য হলেও, দীর্ঘদিন নাগারা ভারতকে পরম ঘৃণা দেখত। দেখা গিয়েছিলো স্বাধীনতা উত্তর যুগে ওই রাজ্যে কেউ গেলে তার প্রাণসংশয়ে থাকতো। ধীরে ধীরে নাগারা বুঝেছে মূল স্রোতে না থাকলে খাদ্য-পানি কোনওটাই মিলবে না। তখন তারা খানিক সমঝে চলতে শুরু করে।

দুটিই মূলত পার্বত্য অঞ্চল। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং একদিকে ব্রিটিশদের প্রিয় স্থান ছিল এবং রবীন্দ্রনাথেরও প্রিয় শহর ছিল শিলং। মেঘালয় অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় স্থান। একসময় অসম যখন সন্ত্রাসদীর্ণ ছিল, তখনও শান্তির জায়গা ছিল মেঘালয় তথা শিলং। পাশাপাশি নাগাল্যান্ড কিন্তু ইউরোপিয়ানদের প্রিয় স্থান ছিল।

নাগাল্যান্ডের কোহিমা বা দিমাপুরকে পূর্বের সুইৎজারল্যান্ড বলা হতো। দুটি রাজ্যেই ৬০টি করে বিধানসভার কেন্দ্র , যেখানে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী ভোট। দুটি রাজ্যের কোথাও বিজেপি বা কংগ্রেসের আধিপত্য নেই। তবে নাগাল্যান্ডে বিজেপি জোট ক্ষমতায়। এখানে এনডিপিপি ৩৫ আসন , বিজেপি ১৩, এনপিএফ ৪ ও এক নির্দল নিয়ে সরকার। এবারে বিজেপি একক ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে কিন্তু কাজটি কঠিন। অন্যদিকে এক সময়ে আধিপত্য কায়েম করা কংগ্রেস সবকটি আসনেই নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে।

অন্যদিকে মেঘালয় কিন্তু দীর্ঘদিন কংগ্রেসের চারণভূমি ছিল। এই রাজ্য মূলত খ্রিস্টীয় ধর্মাবলম্বী। কংগ্রেসের প্রিয়পাত্র ছিলেন পিএন সাংমা। পরে তিনি দল ছেড়ে দিলে কংগ্রেস কিছুটা দুর্বল হয়। কিন্তু এ সত্বেও গত নির্বাচনে কংগ্রেস দল সব থেকে বেশি আসন পেয়েও সরকার গড়তে পারেনি। মাত্র দুটি আসন পেয়ে বহু ছোট দলকে সঙ্গে নিয়ে এনডিএর সরকার গড়ে বিজেপি। অবস্থান এখন এনপিপি ২০, ইউডিপি ৮,বিজেপি ২, পিডিএফ ৪, এইচএসপিডিএফ ২, নির্দল ১, এই নিয়ে সরকার। এখানে কংগ্রেস ২১টি আসনে জয় পেলেও কয়েক মাস আগে কংগ্রেস ভেঙে ১২ সদস্য তৃণমূলে চলে যায়। সুতরাং এবারের লড়াই বহুমুখী। কী হতে পারে এই দুই রাজ্যে জানা যাবে ২ মার্চ হলে। এবারেও কি জোড়াতালি সরকারের দিকেই সেভেন সিস্টার্সের অন্যতম এই দুই সিস্টার্স?

3 weeks ago
Explain: ভোটপর্ব অতীত, ত্রিপুরার ফল নিয়ে চিন্তিত সব দল (পর্ব -২)

প্রসূন গুপ্ত: না আমরা বুথ ফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোল নিয়ে কিছু লিখছি না। এই মুহূর্তে লিখবো না, কারণ এখনও অন্য রাজ্যের ভোট হতে বাকি। ভোটপর্ব মিটলে একটা ধারণা দেওয়াই যেতে পারে ২ মার্চের আগে। কিন্তু কী হলে, কী হতে পারে ত্রিপুরায়, তা নিয়ে একটা সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করা যেতেই পারে। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার ভোট রাজনীতির একটা ইতিহাস আছে, শাসক দলকে খুব সহজে গদিচ্যুত করে না সে রাজ্যের আম আদমি।

তবে ১৯৮৮-তে রাজীব গান্ধীর পৌরহিত্যে এবং সন্তোষমোহন দেবের হাতযশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। কিন্তু ৫ বছর বাদে ফিরেও যেতে হয়েছিল। যদিও এই ইতিহাসে ভর করে এই মুহূর্তে ত্রিপুরা নিয়ে কিছু বলা অসম্ভব। যদিও শাসক বিজেপি দাবি করেছে, এই ভোটে তাদের আসন বাড়বে। পাল্টা গদি উলটোবে, এই আশায় বুক বাঁধছে বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট।

অন্যদিকে আদিবাসী এলাকার ২০টি আসনের মধ্যে তিপরা মোথা যদি ফ্যাক্টর হয় তবে নিঃসন্দেহে ত্রিশঙ্কু অবস্থান হবে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এ ক্ষেত্রে সরকার গড়বে কে, এটাই বড় প্রশ্নচিহ্ন!

ফল ঘোষণার পর তিপরা মোথা ফ্যাক্টর হলে, এই দল তাদের দর বাড়াবে। জোট বা বিজেপিকে সমর্থনে জন্য হয়তো বা তারা শর্ত দেবে যে মুখ্যমন্ত্রীর পদের।এক্ষেত্রে কী হতে পারে?

সম্ভাবনা উসকে বলা যেতে পারে, প্রথমত বিজেপি হয়তো বা রাজি হবে না। কারণ ২০২৪-র লোকসভা ভোটে ত্রিপুরার দুটি আসনে তাদের নজর আছে। বিজেপি জানে ৭০ শতাংশ বাঙালির বাস যেখানে, সেখানে উপজাতির মুখ্যমন্ত্রী হলে বাঙালিরা হয়তো বা মেনে নেবে না। কিংবা মহারাষ্ট্রের মতো শাসক জোটের শরিক হলেও হতে পারে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হলে বিজেপি এখনই প্রধান চালিকাশক্তি হওয়ার জন্য ত্রিপুরায় হয়তো বা ঝাঁপাবে না। তারা অপেক্ষা করবে লোকসভা নির্বাচনের ফলের দিকে। কাজেই গো স্লো পদ্ধতিতে এগোবে পদ্মশিবির।

মনে রাখতে হবে এই বিশ্লেষণ পুরোটাই সম্ভাবনা এবং অনুমান ভিত্তিক। আদতে ভোটের ফলের উপর নির্ভরশীল শাসক-বিরোধী রাজনীতির দাড়িপাল্লা। সেটা জানতে অপেক্ষা করতেই হবে ২ মার্চ অবধি। (চলবে)


4 weeks ago
Rahul:'বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে টিএমসি',মেঘালয়ে রাহুলের তোপ, পাল্টা অভিষেকের ট্যুইট বাণ

মেঘালয়ে ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে ভোটে লড়ছে তৃণমূল। সরাসরি এই অভিযোগ তোলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। এমনকি গোয়া ভোটে বিপুল অর্থ খরচ করে বিজেপিকে (BJP) সাহায্য করেছিল টিএমসি। মেঘালয়ে (Meghalaya Vote 2023) সেই কৌশল নিয়েছে বাংলার শাসক দল বলে বুধবার তোপ দাগেন রাহুল।

পাশাপাশি বাংলায় হিংসা এবং দুর্নীতির দায়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে বিদ্ধ করেছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। যদিও কংগ্রেস সাংসদকে পাল্টা বিঁধতে ছাড়েননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একগুচ্ছ ট্যুইট করেন। তিনি রাহুল গান্ধীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন,   'কংগ্রেস বিজেপিকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিকতা এবং অযোগ্যতায় তাঁরা পাগলের প্রলাপ বকছেন। আমাদের আক্রমণ করার পরিবর্তে অহঙ্কারের রাজনীতি ছাড়ুক কংগ্রেস।'

আমরা অর্থ দিয়ে নয়, মানুষের ভালবাসা দিয়ে পরিচালিত। এভাবেই কংগ্রেস সাংসদকে পাল্টা কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

4 weeks ago


Tripura: ভোটপর্ব অতীত, ত্রিপুরার ফল নিয়ে চিন্তিত সব দল (প্রথম পর্ব)

প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরার ভোট হয়ে গিয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি, ফল ঘোষণা ২ মার্চ। সমস্ত দলের কাছেই ফল কিন্তু টেনশনের। যদিও ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা থেকে বিজেপির বিভিন্ন নেতা মিডিয়ার সামনে জয় সুনিশ্চিত বলে দাবি করেছেন। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্বের বাকি দুই রাজ্যে ভোট।

তারপর বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে শুরু বুথ ফেরত সমীক্ষা অর্থাৎ পরিভাষায় যাকে বলে স্যাম্পেল টেস্ট। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে বিভিন্ন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে এই বুথ ফেরত সমীক্ষা তৈরি হয়। যদিও বহু সময়ে এই অগ্রিম বার্তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে, তেমনই প্রায় ঠিকও হয়েছে বহুবার। তবে এই সমীক্ষায় ভরসা রাখে না অনেকেই। তবে কী করে অগ্রিম জানা যাবে? এক্সিট পোল না করেও ধারণা যা দাঁড়ায় তাই ব্যক্ত করা হচ্ছে। প্রথমত বিপুল সংখ্যাই ভোট পোল হয়েছে। কোথাও ৯১ শতাংশ অবধি বলেই খবর, তবে শতাংশের হিসাবে ৮৭%-এর মতোই। প্রশ্ন হচ্ছে এই বিপুল ভোট কার বাক্সে যেতে পারে?

ইন্দিরা গান্ধীর সময় থেকেই ভোটবাক্সে বিপুল ভোট মানে সরকার-বিরোধী ভোট! ১৯৭৭-এ জরুরি অবস্থার পর যে ভোট হয়েছিল লোকসভায়, তা সাধারণ ভোট শতাংশের থেকে অনেক বেশি ছিল। ইন্দিরা পরাজিত হয়েছিলেন, আবার ইন্দিরার মৃত্যুর পর বিপুল যে ভোট হয়েছিল তাতে সুবিধা হয়েছিল ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের। রাজীব গান্ধী রেকর্ড গড়েছিলেন, ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৪১৩ আসন পেয়ে।

ফলে এই দুই ধরণের ভোটের ফল হয়েছিল। ত্রিপুরায় এই মুহূর্তে জল্পনা হচ্ছে যদি ত্রিশঙ্কু হয়? তবে কি তিপরা মোথা ফ্যাক্টর? নাকি বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ফের আগরতলার মসনদে বিজেপি সরকার? অপেক্ষা কিন্তু ২ মার্চের। (চলবে) 

4 weeks ago
Samavay: তেহট্ট সমবায় সমিতির ভোটে বামেদের জয়জয়কার, সিপিএম-র পক্ষে ৬৬ ভোট

নদীয়ার (Nadia Samavay Vote) তেহট্ট থানার তেহট্ট সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে বামেদের জয়জয়কার। রবিবার অনুষ্ঠিত এই ভোটে ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭০০। সমবায় সমিতির ৭২ জন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করতে হওয়া এই ভোটে বিজেপি শূন্য, তৃণমূল (TMC) ৬ এবং সিপিএম (CPM) ৬৬ ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ বিপুল জনসমর্থনে সমবায় বোর্ড নিজেদের দখলে আনল বামেরা।

অন্যদিকে তৃণমূল ২০১৮ সালের এই ভোটে ২১ আসন পেলেও এবারের ভোটে মাত্র ৬টি আসন পেয়েছে। তৃণমূলের ভোটের সংখ্যা কমে,বেড়েছে সিপিএম-র ভোট। ভোট পর্ব শেষ হয় রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ। তারপরেই জয়যুক্ত ঘোষণা হওয়ার পরই সিপিএম কর্মীরা উচ্ছ্বাস দেখিয়ে দলীয় পতাকা হাতে বিজয় মিছিল করেন।

এই ফল প্রসঙ্গে স্থানীয় সিপিএম নেতা বলেন, 'এই ফলকে আমরা খুব সদর্থকভাবে নিচ্ছি। আমাদের কাছে এই জয় প্রত্যাশিত ছিল। মানুষ এখন তৃণমূল-বিজেপিকে বিশ্বাস করছে না। কেন্দ্রে-রাজ্যে একসঙ্গে চলছে বিজেপি-তৃণমূল। তাঁদের আমানত নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করতে মানুষ বামপন্থীদের জিতিয়েছে।'

শাসক দলের এক নেতা জানান, 'সমবায়ে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাঁরা কিছুই জানে না। দলীয় কর্মীরা ভোট করিয়েছে এবং গণতান্ত্রিক ভাবে রেজাল্ট বেড়িয়েছে। উচ্চ নেতৃত্ব এখনই তেহট্ট বিধানসভায় সংগঠন আরও মজবুত করুক। পাশাপাশি নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়া আরও বাড়াক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ত্রুটি-বিচ্যুতি শুধরে ফেলা উচিৎ।'

4 weeks ago