'বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। সারা দেশে যা হয় না, তা হয় বাংলায়।' শনিবার রাজ্য সফরে এসে বাংলার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। পুরুলিয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, সাধুদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে রাজ্য প্রশাসন। তাঁর অভিযোগ, তোষণের রাজনীতি জন্যই রাজ্যে এ ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এদিকে, সন্দেশখালির ঘটনার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও বেপাত্তা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। এ বিষয়ে তৃণমূল সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর দাবি, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাঁচানোর চেষ্টা এই রাজ্যে নতুন কিছু নয়। অভিযুক্তদের ধরার বদলে তাদের সুরক্ষা দেওয়ার কাজ করছে বাংলার সরকার।
দিন কয়েক আগেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে কার্যত বিরোধীদের তুলোধনাও করেছিলেন তিনি। তাঁর ওই মন্তব্যের পর পুরুলিয়াতে সাধুদের ওপর নক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটল। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অনুরাগ ঠাকুরের ওই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
তৃণমূলের জমানায় বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বারবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে। শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদতের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের নেতারা বলছেন, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তাহলে কেন ধরা পড়ে না শাহজাহানের মতো অভিযুক্তরা? আর কেনই বা পুরুলিয়াতে সাধুদের ওপর হামলা হলেও ঠুঁটো জগন্নাথের মতো বসে থাকে পুলিস প্রশাসন?
'এক দেশ, এক ভোট'-এর বিরোধিতায় কড়া চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মোদী সরকার গঠিত হাই লেভেল কমিটির সচিবকে চিঠি লিখে মূলত দুটি সমস্যার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পৃথক ভাবে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, 'তাহলে কি আমরা প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ গর্ভমেন্টের দিকে যাচ্ছি?'
'ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন'-এর মানে প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ ইলেকশন, যেমনটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছে। মোদী সরকারের প্রস্তাবিত ওয়ান নেশন, ওয়ান ভোট পদ্ধতিকে এভাবেই তুলোধনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। 'এক দেশ, এক ভোট' বাস্তবায়িত করতে হাইলেভেল কমিটি গড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটির সচিব নীতেন চন্দ্র মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোকে চিঠি লিখে সুপারিশ চান। জবাবি চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'ওয়ান ভোট, ওয়ান নেশন ধারণা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। আপনার ভাবনার সঙ্গে আমার ভাবনার ফারাক রয়েছে। ওয়ান নেশন, ওয়ান ভোট শুনতে নাটুকে এবং উত্তেজনাপূর্ণ।' এভাবেই কড়া জবাব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। 'দেশের সংবিধান কি ওয়ান নেশন, ওয়ান ভোটকে অনুসরণ করে? সংবিধানে বলা আমাদের দেশ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিশ্বাসী। সেখানে আপনারা কীভাবে এক দেশ, এক ভোট কার্যকর করতে পারেন?' চিঠিতে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পৃথকভাবে সাংবাদিকদের সামনেও সরব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, 'ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বলে যা খুশি করে দেবো। আমি নির্বাচন কমিশনকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে দেখতে বলবো।' তাঁর দাবি, 'আমাদের দেশ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য, ভাষার বহুত্ব, বহু ভাবনা সমৃদ্ধ। আমি ওয়ান নেশন, ওয়ান ভোটের ভাষাকে কুর্নিশ করি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিরিখে এই ভাষাকে কার্যক্ষেত্রে কার্যকর করা গ্রহণযোগ্য নয়', এভাবেই সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী।
রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আরএসএস-বিজেপির অনুষ্ঠান, তাই থাকবে না জাতীয় কংগ্রেস। মঙ্গলবার অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। দলের তরফে সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অধীর চৌধুরীকে ২২ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট। কিন্তু নির্মীয়মান রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না সোনিয়া গান্ধী, অধীর চৌধুরী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে।
প্রেস বিবৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানালেন জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমশে। কেন শতাব্দী প্রাচীন এই দলের এই সিদ্ধান্ত। সেই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন জয়রাম রমেশ। প্রেস বিবৃতিতে জয়রাম রমেশ লেখেন, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র পেয়েছেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী এবং রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। দেশে লক্ষ-কোটি মানুষ ভগবান রামের পুজো করেন। ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আরএসএস-বিজেপি অযোধ্যার রামমন্দিরকে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়েছে। নির্মীয়মান রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ভোটকে মাথায় রেখে এগিয়ে এনেছে বিজেপি-আরএসএস। ২০১৯ সালের সু্প্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানিয়ে দেশের লক্ষ-কোটি মানুষের আবেগকে সম্মান জানিয়ে আরএসএস-বিজেপির এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ সসম্মানে ফিরিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী, অধীর চৌধুরী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে।
উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারির এই অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় আসমুদ্র হিমাচল। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁরা কী করবেন, স্পষ্ট নয় অবস্থান। ইতিমধ্যে মন্দির নগরী নবরূপে নির্মিত রেলস্টেশন এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পেয়েছে। ১৪-২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় চলবে অমৃত মহোত্সব। এদিকে ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় গিয়ে কার্যত মূল উৎসবের সূচনা করেন নরেন্দ্র মোদী। এখন সব চোখে ২২ জানুয়ারির সেই পুণ্যক্ষণের দিকে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বাইরে কীভাবে মন্তব্য করছেন তিনি, সেই নিয়ে অবিলম্বে শীর্ষ আদালতকে হস্তক্ষেপ করার বুধবার আবেদন জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহার থেকে মামলা সরিয়ে নেওয়ারও আবেদন শীর্ষ আদালতে করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বিস্ফোরক কিছু মন্তব্য করেছেন। কয়েকদিন আগেই অভিষেককে তাঁর বিপুল সম্পত্তির হিসেব প্রকাশ্যে আনার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। এরপরই আজ অর্থাৎ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে নতুন মামলা করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে লাগাম টানার নির্দেশ দেওয়া হোক। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য থেকে বিচারপতিকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। বিচারাধীন বিষয়ে হাইকোর্টের কোনও বিচারপতি যেন একতরফা মন্তব্য না করেন, সেই বিষয়েও আবেদন জানিয়েছেন অভিষেক। আবার তিনি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জন্য নতুন বিশেষ বেঞ্চ গঠনের আবেদনও জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হোক বলে দাবি অভিষেকের।
সদ্য সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। তাঁর সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পরই তাঁকে সরকারি বাংলো খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবারে নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রান্ত। এখনও ছাড়েননি সরকারি বাংলো। তাই এবারে তৃণমূল নেত্রীকে শোকজ নোটিস ধরাল ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেন তিনি সরকারি বাংলো ছাড়েননি, সে বিষয়ে আগামী ৩ দিনের মধ্যে মহুয়া মৈত্রকে জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের খবর।
টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত ৮ ডিসেম্বর শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। এরপরই তাঁকে সরকারি বাংলো খালি করার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত মাসেই দিল্লি হাইকোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিলেন মহুয়া। কিন্তু ওই মামলায় কোনও রায় দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট। এই বিষয় নিয়ে মহুয়াকে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছে আবেদন করতে বলে। একই সঙ্গে মামলাটিকে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেয় উচ্চ আদালত। তারপরও কেন বাংলো খালি হয়নি, জানতে চেয়ে মহুয়াকে সোমবার নোটিশ পাঠিয়েছে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট। তিনদিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে হবে। এমনটাই কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।
বড় জয় পেলেন বিলকিস বানো (Bilkis Bano)। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ধাক্কা গুজরাত সরকারের। বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন ধর্ষকদের জামিন আটকে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ বিলকিসের ধর্ষকদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জামিন দেওয়া হয়েছিল। আদালতের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অপরাধীদের ফের জেলে যাওয়ার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলাটি মহারাষ্ট্রে চলছিল। এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র আদালতের নেওয়া উচিত ছিল। এটা আইনি বিচ্যুতি। গুজরাত সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে কখনোই পারে না।
গত বছর ১৫ অগাস্টের দিন ২০২২ সালে গোধরা হিংসার সময় বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। এই ঘটনায় দেশজুড়ে তৈরি হয় নিন্দার ঝড়। বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দু ভোটের কথা মাথায় রেখে গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ ওঠে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিল সেই নির্দেশ। দোষীদের মুক্তি দেওয়ার আদেশ ভুল ছিল পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালীন ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর তিন বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারেন হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। তাঁর পরিবারের আরও কয়েক জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই অপরাধকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ওই বিশেষ আদালত।
নতুন বছরের শুরুতেই সুখবর। আরও এক সাফল্যের পালক ইসরোর মুকুটে। ফের ইতিহাস গড়ল ইসরো, চন্দ্রযানের পর এবারে সূর্যযানও তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে সফল হয়েছে। চাঁদের পর এবারে সূর্য ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আরও একধাপ এগিয়ে গেল। ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য এল১ শনিবার বিকেল ৪ টে নাগাদ 'ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট ১' (এল১) লাগোয়া একটি 'হ্যালো' কক্ষপথে সফলভাবে স্থাপিত হয়েছে। এখন পৃথিবী থেকে ভারতের প্রথম সৌরযানটির দূরত্ব ১৫ লক্ষ কিলোমিটার।
𝐈𝐧𝐝𝐢𝐚, 𝐈 𝐝𝐢𝐝 𝐢𝐭. 𝐈 𝐡𝐚𝐯𝐞 𝐫𝐞𝐚𝐜𝐡𝐞𝐝 𝐭𝐨 𝐦𝐲 𝐝𝐞𝐬𝐭𝐢𝐧𝐚𝐭𝐢𝐨𝐧!
— ISRO InSight (@ISROSight) January 6, 2024
Aditya-L1 has successfully entered the Halo orbit around the L1 point.#ISRO #AdityaL1Mission #AdityaL1 pic.twitter.com/6gwgz7XZQx
গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে দেশের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য-এল 1 উৎক্ষেপণ করাহ হয়েছিল। মিশনের লক্ষ্য, সূর্য-পৃথিবী ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট (L1)-এর চারপাশে একটি কক্ষপথ থেকে সূর্যকে পরীক্ষা করা, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিমি দূরে অবস্থিত। ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট হল সেই অঞ্চল যেখানে পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যেকার মাধ্যাকর্ষণ নিরপেক্ষ হয়ে যায়। হ্যালো কক্ষপথে এল১ পয়েন্টের চারপাশে উপগ্রহের মাধ্যমে সূর্যকে একটানা দেখা যায়। এটি সূর্যের সমস্ত ক্রিয়াকলাপের উপর নজর রাখা যায়।
এদিন ইসরোর এই সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, "ভারত আরেকটি মাইলফলক অর্জন করেছে। ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য-এল১ তার গন্তব্যে পৌঁছেছে। এটি সবচেয়ে জটিল মহাকাশ মিশনগুলির মধ্যে একটি। তবে আমাদের বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এটি অক্লান্ত পরিশ্রমের একটি ফল।"
২২ জানুয়ারি ঘটতে চলেছে অপেক্ষার অবসান। ওইদিনই অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। সেদিন রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার সাক্ষী থাকবে গোটা দেশ। উত্তরপ্রদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওইদিন সেরাজ্যের সমস্ত জেল থেকে সরাসরি দেখানো হবে সেই মুহূর্ত। আর এ বিষয়ে ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত জেল সুপারিটেন্ডেন্টকে। যোগীরাজ্যের কারা ও গৃহরক্ষী প্রতিমন্ত্রী ধরমবীর প্রজাপতি জানিয়েছেন, বন্দিদের দেশের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকা প্রয়োজন। তাই রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা ‘লাইভ’ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনের দিন হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি অযোধ্যায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্ব আগামী ২২ জানুয়ারি ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্যে অপেক্ষা করছে। অযোধ্যাবাসীর উন্মাদনা-আবেগ অনেক বেশি। তবে আগামী ২২ জানুয়ারি দেশের প্রত্যেক বাড়িতে যাতে রামজ্যোতি জ্বালানো হয় সেই আবেদন রাখেন প্রধানমন্ত্রী। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গোটা দেশে যাতে দীপাবলি পালন করা হয় সেই আবেদনও রাখেনও। আলোয় আলোকিত হবে গোটা দেশ।
উল্লেখ্য, গর্ভগৃহে রামের যে মূর্তিটি থাকবে তা তৈরি করেছেন কর্ণাটকের মাইসুরুর বাসিন্দা অরুণ যোগীরাজ। রামলালার মোট তিনটি মূর্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, ওই তিনটি মূর্তিই মন্দিরে থাকবে এবং সমান গুরুত্ব পাবে। সূত্রের খবর, ওই মূর্তিগুলি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, আগামী ১০০০ বছরে তার কোনও সংস্কারের প্রয়োজন হবে না। রামের পাঁচ বছর বয়সী অর্থাৎ বালক রূপকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তুলসীদাস রচিত রামচরিতমানস এবং মহর্ষি বাল্মীকির রামায়ণে রামের যে রূপ বর্ণনা করা হয়েছে সেই আদলেই মূর্তিগুলিকে তৈরি করা হয়েছে।
আজ ৫ জানুয়ারি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) জন্মদিন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান সমস্ত ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা। শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের পাশাপাশি তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায় সিনেমা ও টেলিভিশন জগতের ব্যক্তিদেরও। আর এই বিশেষ দিনে সমস্ত রাজনৈতিক মতানৈক্য ভুলে তাঁকে 'দিদি' সম্বোধন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতার উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি।
সরকারি নথি অনুযায়ী, ১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি জন্ম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই হিসেবে ৬৯ বছর পেরিয়ে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এই জন্মদিনের বিশেষ দিনে কিছুটা পরে হলেও সমস্ত রাজনৈতিক মতানৈক্য ভুলে তাঁকে 'দিদি' বলে সম্বোধন করেছেন ও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মমতার উদ্দেশে শুভেচ্ছা বার্তা লিখেছেন, 'বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করি।'
Best wishes to West Bengal CM Mamata Didi on her birthday. Praying for her long and healthy life. @MamataOfficial
— Narendra Modi (@narendramodi) January 5, 2024
গতকাল অর্থাৎ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন সদ্য বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সাংসদ পদ খারিজ মামলায় কেন তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হল সেই ব্যাখ্যা চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট নোটিশ পাঠিয়েছে সংসদের সচিবালয়কে। কিন্তু আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই দিল্লি হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন না তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। এরপরই দিল্লি হাইকোর্ট থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
'টাকা নিয়ে ঘুষ' কাণ্ডে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সরকারি বাংলো খালি করে দিতে বলা হয়েছিল মহুয়া মৈত্রকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল না আদালত। খারিজ হয়ে গেল মহুয়ার আবেদন। মহুয়াকে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটসের কাছে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। এরপরই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন মহুয়া।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাড়ি খালি করার নোটিশ বাতিলের নির্দেশ চেয়ে মহুয়া মৈত্র হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন। আদালত তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে জানায়, ৭ জানুয়ারির পরেও তার সরকারী অবস্থান বজায় রাখার অনুমতি চেয়ে তার সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে যাওয়া উচিত। আদালত মহুয়াকে তাঁর আবেদন প্রত্যাহারের অনুমতিও দিয়েছে। এর পর তাঁর আইনজীবী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।
বৃহস্পতিবার সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে নয়া দিল্লির এইমসে। হাসপাতালের টিচিং ব্লকে আগুন লাগে। সেখান থেকে আশেপাশের বেশ কিছু কামরায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিন ভোরে দিল্লির এইমসের টিচিং বিভাগের দ্বিতীয় তলে আগুন লাগে। নিমেষেই সেই আগুন ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের কর্মী প্রথমে কালো ধোঁয়া দেখতে পান। এরপরই দমকলে খবর দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, এই অগ্নিকাণ্ডে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। জিনিসপত্রের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) সংসদ থেকে বহিষ্কার-মামলায় এবার লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের জবাব তলব করল সুুপ্রিম কোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব পেশের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। লোকসভার নীতি কমিটির সুপারিশেই বহিষ্কার করা হয় তাঁকে, যার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান মহুয়া। সেই আবেদনের শুনানি চলাকালীনই বুধবার লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের জবাব চাইল আদালত। পরবর্তী শুনানি ১১ মার্চ।
টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ ছিল মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে, তার জেরে তৃণমূলের হয়ে কৃষ্ণনগর থেকে জিতে আসা মহুয়াকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদিন বুধবার মহুয়া মৈত্রের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি জানান, লোকসভায় এথিক্স কমিটিকে বারে বারে অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁরা অভিযোগকারীদের ক্রস এক্সামিনেশন করার সুযোগ দেননি। আবার এদিন বিচারপতিদের প্রশ্নে মহুয়া মৈত্রের পক্ষ থেকে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, তিনি ওটিপি শেয়ার করেছিলেন। ব্যবসায়ী হিরানন্দানিকে সংসদের লগ ইন ওটিপিও শেয়ার করেছিলেন। এর পর মনু সিংভির এই মামলায় অতি দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার পর্যবেক্ষণ, 'ডঃ সিংভি আপনি কি মনে করেন এটা কি খুব সহজ মামলা?'
অন্যদিকে লোকসভার পক্ষ থেকে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সমস্ত প্রক্রিয়া অর্থাৎ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় লোকসভার আইন মেনেই হয়েছে। লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে নোটিশ পাঠানোর বিরোধিতাও করেন তিনি। দু'পক্ষের সওয়াল-জবাবের পরই বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, 'এই মামলায় আমরা নতুন করে কোনও পর্যবেক্ষণ আপাতত দেব না। আমরা লোকসভার সেক্রেটেরি জেনারেলের কথাও শুনবো।'
টাকা নিয়ে প্রশ্ন কাণ্ডের জের! একের পর এক বিপদে পড়েই চলেছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবারে তাঁর প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও সিবিআইয়ের কাছে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, মহুয়া তাঁর উপর অবৈধভাবে নজরদারি করছেন। এমনকি বাংলার পুলিসের পদস্থ কর্তাদের কাজে লাগিয়ে তিনি এসব করছেন বলে অভিযোগ করেছেন জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। শুধু তাই নয়, তিনি দাবি করেছেন যে, এর আগেও মহুয়ার আরও এক প্রাক্তন বন্ধুর উপরও এভাবেই নজর রাখতেন প্রাক্তন সাংসদ।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং সিবিআইয়ের কাছে জমা পড়া অভিযোগপত্রে দেহাদ্রাই দাবি করেছেন, কলকাতা পুলিসের সাহায্য নিয়ে মহুয়া মৈত্র তাঁর ফোনের সমস্ত ডিটেলস পাচ্ছেন ও লোকেশন ট্র্যাক করছেন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) অ্যাডভোকেট জয় অনন্ত অভিযোগ করেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) নেতা মহুয়া মৈত্র পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের সহযোগিতায় তাঁর উপর অবৈধ নজরদারি চালাচ্ছেন। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ডিরেক্টর প্রবীন সুদ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আরও লিখেছেন যে, একাধিক সময় তিনি অনুভব করেছেন তাঁর গাড়িটিকে ফলো করা হচ্ছে।
এছাড়াও জয় অনন্ত তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মহুয়ার ওপর এক প্রাক্তন বন্ধু সোহান মুখার্জির কথা। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন মহুয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকাকালীন তিনি একাধিকবার দেখেছেন সোহান মুখার্জি কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, এই সমস্ত বিষয়গুলি মহুয়া ট্র্যাক করতেন। এবং এই কাজে তাঁকে সাহায্য করতেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের উচ্চপদস্থ কয়েকজন আধিকারিক। মহুয়াও একাধিকবার এই বিষয়ে তাঁকে জানিয়েছেন এবং এই সমস্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন জয় অনন্ত দেহাদ্রাই।
ফের ইডির তলব এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নিয়ে তৃতীয়বার ইডির নোটিশ এড়ালেন কেজরিওয়াল। ফলে আশঙ্কা বাড়ছে, লোকসভার নির্বাচনর আগেই কি গ্রেফতার হতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ বুধবারও তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিনও তিনি তলব এড়িয়ে ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করা সম্পূর্ণ ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। কিন্তু এই নোটিশ 'বেআইনি' এবং 'অবৈধ'।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এরপর এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করেছে ইডি। এর আগে ১২ নভেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর তলব করা হয়েছিল। আজও তাঁর ইডির দফতরে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করার সম্পূর্ণ ইচ্ছা আছে। কিন্তু যে নোটিশটি তাঁকে পাঠানো হয়েছে সেটি বেআইনি এবং অবৈধ। তিনি বুঝতে পারছেন যে, তাকে গ্রেফতার করার জন্যই এই নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। যাতে তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে প্রচার করতে না পারেন। তিনি আরও লিখেছেন আগের চিঠিতে তিনি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেগুলির কোনও উত্তর ইডি না দিয়ে ফের নোটিশ পাঠিয়েছে। এছাড়াও লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রচার কার্যে ব্যস্ত থাকার জন্য তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। একাধিকবার ইডির তলব এড়ানোর জন্য ইডি পরবর্তী পদক্ষেপ কী নিতে চলেছে, সেটাই এখন দেখার।
খুব শীঘ্রই দেশে কার্যকর হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। বর্তমানে দেশজুড়ে এই জল্পনাই তুঙ্গে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে সরকার এই আইনের উপর কাজ করছে। এই আইনের সমস্ত নিয়মাবলী তৈরি হয়ে গিয়েছে। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার অনেক আগেই এই আইন লাগু হয়ে যাবে দেশজুড়ে।
২০১৫-র আগে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু সহ ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এই আইনে অ-মুসলিম শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই তালিকায় রয়েছে হিন্দু, শিখ, জৈন, বুদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানরা। ২০১৯ সালে এই আইনটি সংসদের অনুমোদন পেয়ে তৈরি হয়েছিল। তবে এই আইনের ৪ বছর হয়ে গেলেও নিয়ম তৈরি হয়নি এতদিনে। তবে এবার রিপোর্টে দাবি করা হল, সিএএ সংক্রান্ত নিয়ম তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই আবহে লোকসভা ভোটের আগেই তা কার্যকর করা হবে। লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগেই দেশে জারি হবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন।