প্রসূন গুপ্তঃ যে যে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আছে এবং একক শক্তিতে সেখানে আসন ছাড়তে নারাজ কাউকে কেন্দ্রীয় বিজেপি সংগঠন। যথা উত্তরপ্রদেশ। এখানে যদিও দু'একটি ছোট দল তাদের সহযোগী রয়েছে, কিন্তু আদৌ তাদের একটিও আসন ছাড়া হবে কিনা সন্দেহের। গো-বলয়ে তাদের সহযোগীর দরকার হবে না পরিষ্কার বার্তা একমাত্র হরিয়ানা বাদে। এই রাজ্য জোটসঙ্গীদের দু'একটি আসন ছাড়তে পারে। পঞ্জাবে তাদের প্রাক্তন জোটসঙ্গী অকালি দল।
আপাতত যা খবর, জোট হচ্ছেন না। বিহারে তাদের জোট প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের দলের সঙ্গে। হয়তো একটি আসন ছাড়তে পারে। বাকি মহারাষ্ট্রে কিন্তু সংকটে বিজেপি। ৪৮টি আসন রয়েছে এ রাজ্যে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি, ভাঙা এনসিপি, ভাঙা শিবসেনা। শেষ দুটি দলের দাবি ২৪টি আসন ছাড়তে হবে তাদের। বিজেপি কোনও ভাবেই ১৬টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। উত্তর, পূর্ব, পশ্চিম ভারতে বিজেপি চাইছে যে কোনও ভাবেই হোক ২৪০/২৫০ টি আসন একক শক্তিতে জেতার। ২০১৯-এ কিন্তু তা পেরেছিলো তারা। কিন্তু এবারে এনডিএর বহু জোটসঙ্গী বিজেপির সঙ্গে নেই কাজেই কাজটি কঠিন। বিজেপিকে তাকিয়ে থাকতে হবে 'ইন্ডিয়া' জোটের ভাঙ্গনের দিকেই।
দক্ষিণে এক কর্ণাটক ছাড়া বিজেপির কোনও সংগঠন খুব সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। বিজেপির সমস্যা হচ্ছে তারা মূলত হিন্দি ভাষার উপর জোর দিয়েছে। দক্ষিণ ভারত একেবারেই হিন্দি বিরোধী। তেলেঙ্গানা বা কর্ণাটকের কিছু জায়গায় তবু হিন্দি চললেও, বাকি অংশে একদম অচল। বিজেপির বর্তমান নেতাদের বেশিরভাগই হিন্দি ভাষায় অভ্যস্ত। ইংরেজি বলে না। অমিত শাহ তো যে কোনও রাজ্যে গিয়ে হিন্দিতেই ভাষণ দেন এবং তাঁর সঙ্গে স্থানীয় কেউ সেই ভাষণ নিজেদের ভাষায় অনুবাদ করে শোনায়। রাজনীতিতে বারবার এই ফর্মুলা চলে না। কারুর এতো সময় নেই যে একই ভাষণ দুবার করে শুনবে। অন্যদিকে বিপাক বুঝেই কর্নাটকে তারা জনতা দল (এস) এর সঙ্গী হয়েছে কিন্তু একই সাথে হারিয়েছে এআইডিএমকে দলকে। তাই বিজেপি চাইছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্তত ৩০টি আসন যদি জয় করা যায়। ৩২ শতাংশ মুসলিম রাজ্যে এ এক কঠিনতম কাজ।
পঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসাওয়ালা খুনের অন্যতম অভিযুক্ত গোল্ডি ব্রার (Goldy Brar)। আবার বলিউড অভিনেতা সলমান খানকে হুমকি দেওয়ার পিছনের মূলচক্রী এই গোল্ডি ব্রার। এবারে এই গ্য়াংস্টারকে 'জঙ্গি' তকমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন বছরের শুরুতেই, সোমবার এই বিষয়ে নোটিস জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করল কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোল্ডি ব্রার নিষিদ্ধ খালিস্তানি সংগঠন বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যুক্ত।
জানা গিয়েছে, ভারতবিরোধী কাজের সঙ্গে একাধিকবার জড়িয়েছে বব্বর খালসার নাম। আর এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগেই গ্যাংস্টারকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছে ভারত। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পরেই আলোচনায় উঠে এসেছিল গোল্ডি ব্রারের নাম। কানাডানিবাসী গ্যাংস্টারের মদতেই মুসেওয়ালাকে খুনের অভিযোগ ওঠে। তার পরে নিজেই এই খুনের দায় স্বীকার করে গোল্ডি ব্রার। এর পর সলমান খানকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এবারে তাকেই জঙ্গি তকমা দিল কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি একটি সংস্থার মদতে খুন, হুমকি ফোন, অস্ত্র পাচারের মতো একাধিক অপরাধ করেছে গোল্ডি ব্রার। এছাড়া পঞ্জাবে অশান্তি ছড়ানো, নাশকতা-সহ দেশ-বিরোধী কার্যকলাপে গোল্ডি ব্রারের নাম রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে খলিস্তানি নেতার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের নোটিস, জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট সমস্ত কিছু জারি করা হলেও এখনও পাকড়াও করা যায়নি গোল্ডি ব্রারকে।
আর মাত্র হাতে গোনা দিন। খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। আর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরেই রামরাজ্যে সাজো সাজো রব। ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করা হল রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার কোন মূর্তি স্থাপন করা হবে। জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের বাসিন্দা বিখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের তৈরি রামলালার মূর্তিই রাম মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, "যেখানে রাম, সেখানেই হনুমান। অযোধ্যায় ভগবান রামের প্রাণ প্রতিস্থাপনের জন্য মূর্তি নির্বাচন চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমাদের দেশের প্রখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের খোদাই করা ভগবান রামের মূর্তিটি অযোধ্যায় স্থাপন করা হবে।" ফলে অরুণ যোগীরাজের তৈরি করা প্রভু রাম, লক্ষণ, সীতা এবং হনুমানজির মূর্তি যুগ যুগ ধরে শোভা পাবে অযোধ্যার রাম মন্দিরে।
এই বিষয়ে যোগীরাজের মা সরস্বতী বলেন, "এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। যখন ওঁকে প্রতিমা তৈরি করতে দেখি তখন সেই মূর্তি একবার দেখতে চেয়েছিলাম। তখন ছেলে বলেছিল পরে আমাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়েই দেখাবে তার আগে নয়। আমি প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন অযোধ্যায় যাব। প্রায় ৬ মাস হল ও অযোধ্যায় আছে। আমার ছেলের উন্নতি ও সাফল্য দেখে আমি খুশি।"
কামদুনি মামলায় এল নয়া মোড়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার পৃথক মামলা দায়ের করলেন নির্যাতিতার দাদা। মঙ্গলবার সেই মামলার প্রাথমিক শুনানির পর ৮ অভিযুক্ত এবং রাজ্য সরকারকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্য সরকারও যেহেতু একই আবেদন জানিয়েছে, সেই কারণে রাজ্য সরকারের আবেদনের সঙ্গে মামলাটি ট্যাগ করে দেওয়া হল। বিস্তারিত শুনানি আজ হয়নি। আরও জানা গিয়েছে, আজই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য চিঠি দেবেন নির্যাতিতার পরিবার এবং প্রতিবাদীরা।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল নির্যাতিতার পরিবার। এরপর নির্যাতিতার দাদাও আরও একটি পৃথক মামলা করেন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, 'এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলা। এটি সারা দেশের ক্ষেত্রে নজির হতে পারে।' আপাতত এই মামলার শুনানি স্থগিত করা হয়েছে ও মামলায় যুক্ত সব পক্ষের থেকে জবাব চেয়ে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আবার নির্যাতিতার দাদার দায়ের করা এই মামলার পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং সেই মামলায় একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশও জারি করা হয়েছে। তাহলে এখন কি করে তাদের আবার হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে শীর্ষ আদালত? বিষয়টি বিরল হিসেবেই দেখতে হবে। একটি মামলার জন্য কি এই নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে? তাই আপাতত বিবাদীপক্ষকে নোটিশ দেওয়া হোক।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার। এদিন সেই মামলার কথা উল্লেখ করেই এই মামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর এই নোটিশের জবাব পেলেই পরের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
ইসরোর মুকুটে নতুন পালক। কৃষ্ণগহ্বর গবেষণার লক্ষ্যে মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর নতুন উপগ্রহ 'এক্সপোস্যাট'। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর এই উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য বছরের প্রথম দিনটিকে বেছে নিয়েছে। সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে পিএসএলভি -সি৫৮ রকেটে চড়ে মহাকাশের উদ্দেশ্য পাড়ি দিল এক্সপোস্যাট। নাসার পর ইসরোই দুনিয়ার একমাত্র মহাকাশ গবেষণা সংস্থা যারা এমন উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাল।
চন্দ্রযান-৩ ও আদিত্য এল-১-এর সাফল্যের পরে নতুন বছরের প্রথম দিনে আরও এক সাফল্য ইন্ডিয়ান স্পেল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের। এদিন সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছে ইসরোর 'এক্সপোস্যাট'-এর। মহাকাশে এই বড় পদক্ষেপের সঙ্গে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হয়ে উঠল। এর আগে এই ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর কৃতিত্ব রয়েছে কেবল নাসার।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহের আয়ু পাঁচ বছর। এক্সপোস্যাট পৃথিবীর ওপরে নিচু কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করবে। ভূমি থেকে তার সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫০০ থেকে ৭০০ কিমি। ইসরোর তরফে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে এই সাফল্যের কথা জানানো হয়েছে।
অনেকগুলি নিউট্রন কণা একত্রিত হয়ে যা তৈরি হয়, তার নাম নিউট্রন স্টার। এই ধরণের নক্ষত্র অনেক ছোট আকারের হয়। নিউট্রন স্টারের ব্যাসার্ধ ৩০ কিমির বেশি নয়। সেইসব নক্ষত্রকে পর্যবেক্ষণ করবে এক্সপোস্যাট। মহাকাশে এক্স রশ্মির উৎসব খুঁজবে এক্সপোস্যাট। ইসরো এর মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে গবেষণায় নতুন দিশে পেতে চলেছে।
ইসরো সূত্রে খবর টানা ২১ মিনিট উড়ে এই রকেট পৌঁছে যাবে ৬৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়। তারপর এটি তার কক্ষপথে স্থির হবে। মোট ৭৪০ কোটি ওজন নিয়ে উড়ে গেল পিএসএলভি -সি৫৮। গত বছর ইসরোর মুকুটে উঠেছিল দুটি পালক। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান নামিয়েছিল ইসরো। পাশাপাশি সূর্য অভিযানে পাঠিয়েছিল আদিত্য এল ওয়ান। এবার নতুন বছরের প্রথম দিনেই ইসরো মহাকাশে পাঠাল তার নতুন উপগ্রহ এক্সপোস্যাটকে বা এক্স রে পোলার মিটার স্যাটেলাইট।
বর্ষবরণের জন্য যখন বিশ্ববাসী আনন্দে মেতে উঠেছে, সেসময়ই দেশে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা। বছরের শেষদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪১ জন। যা গত ২২৭ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফলে নতুন বছরের শুরুতে আবার কোভিড আতঙ্ক। ফের সেই মাস্ক, ফের সেই করোনা বিধি ফিরবে কিনা সেই ভয় জাঁকিয়ে বসছে সাধারণ মানুষের মনে।
বছর শেষের আগে করোনার নয়া উপপ্রজাতি জেএন.১ ঘিরে আবার আতঙ্ক ফিরেছে দেশে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা ৮৪১। গত ৭ মাসে যা সর্বোচ্চ। শনিবার এই সংখ্যাটা ছিল ৭৪৩। মৃত্যু হয়েছিল ৭ জনের। রবিবার নতুন করে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা কেরল, কর্নাটক, বিহারের বাসিন্দা। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪,৩০৯।
গত ১৯ মে ভারতে নতুন করে ৮৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি মাসের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্তও দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দুই অঙ্কে নেমে এসেছিল। কিন্তু করোনা জেএন.১ নতুন ভ্যারিয়েন্ট এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আবার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
নতুন বছর শুরুর আগেই নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা (Corona)। ইতিমধ্যেই করোনার নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্টে জেএন.১-এ (JN.1) আক্রান্ত হয়েছে শতাধিক মানুষ। এছাড়াও দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৩ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭জনের।
বছরের শেষে ফের ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ। বর্ষবরণের আগেই নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে করোনা ও সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭৪৩ জন নতুন করে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি তথ্য অনুসারে, দেশে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯৯৭। মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, কেরলে তিন জন, কর্ণাটকে দুই জন এবং তামিলনাড়ু ও ছত্তীসগড়ে একজন করে কোভিড আক্রান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতে মোট ১৭৮ টি জেএন.১-এর কেস ধরা পড়েছে। গোয়াতে নতুন করে ৪৭ জন এই উপপ্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর কেরলে ৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে হু-এর মতে, কোভিডের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে জেএন.১-এ আক্রান্তদের ঝুঁকি অনেক কম।
অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ রামভূমি থেকে মোদী উদ্বোধন করলেন মালদহ- বেঙ্গালুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের অপেক্ষায় ছিল উত্তরবঙ্গবাসী। ৩০ নভেম্বর বেলা ১২টা নাগাদ উদ্বোধন করলেন নমো। এদিন অযোধ্যা ধাম স্টেশনের ফেজ ১ উদ্বোধনের পাশাপাশি, মোট ৮টি নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ৮টি ট্রেনের মধ্যে ২ টি হল বহুল প্রতীক্ষিত অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ও ৬ টি হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
#WATCH | Ayodhya, Uttar Pradesh: PM Narendra Modi flags off two new Amrit Bharat trains and six new Vande Bharat Trains. pic.twitter.com/Q1aDQc8wG7
— ANI (@ANI) December 30, 2023
আজ অর্থাৎ শনিবার রামরাজ্য অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই সবুজ পতাকা উড়িয়ে একইসঙ্গে একাধিক ট্রেনের শুভ সূচনা করলেন তিনি। ২ টি অমৃত ভারত ট্রেনের মধ্যে একটি ট্রেন ছুটবে দ্বারভাঙা- অযোধ্যা- দিল্লি (আনন্দ বিহার টার্মিনাল)-এর মধ্যে। অন্যদিকে দ্বিতীয় অমৃত ভারত ট্রেনটি ছুটবে মালদা টাউন- বেঙ্গালুরু (স্যার এম. বিশ্বেশ্বরাইয়া টার্মিনাল)-এর মধ্যে। অর্থাৎ দেশের প্রথম দুটি অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের মধ্যে একটি পাচ্ছে বাংলা। এই অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে রয়েছে একাধিক সুবিধা। নিরাপত্তার জন্য প্রথমত পুরো ট্রেনের কামরা মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। তবে এই ট্রেনের ভাড়া বন্দে ভারতের থেকে তুলনামূলকভাবে কম ও যেতেও কম সময় লাগে। বর্তমানে এই ট্রেনরে এসি কামরা না থাকলেও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে জানিয়েছেন, এই ট্রেন দুটি জেনারেল ও স্লিপার কোচ সম্বন্বিত হলেও, শীঘ্রই আসন্ন অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে থাকবে এসি কোচও।
এদিন অমৃত ভারত ছাড়াও ৬টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ৬ টি ট্রেনের রুট হিসেবে রয়েছে, শ্রীমাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা- নয়াদিল্লি, কোয়েম্বাটুর-বেঙ্গালুরু, জালনা-মুম্বই, অযোধ্যাধাম জংশন-দিল্লি (আনন্দ বিহার টার্মিনাল), ম্যাঙ্গালুরু-মাদগাঁও, অমৃতসর-দিল্লি। এতদিন দেশজুড়ে মোট ৩৪টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পরিষেবায় যুক্ত ছিল, শনিবার থেকে সেই সংখ্যা বেড়ে হল ৪০।
আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগামী ২২ জানুয়ারি অবশেষে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। আর সেই উদ্বোধনের আগে আজ অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর, শনিবার অযোধ্যায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন রূপে বিমানবন্দর, রেলস্টেশন উদ্বোধনের পাশাপাশি অযোধ্যাবাসীকে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উপহার দেবেন তিনি। তাই এদিন প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে অযোধ্যা। বিমানবন্দরে গিয়ে অযোধ্যার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর অযোধ্যা সফর নিয়ে সাজ সাজ রব। ফুলে ফুলে সেজেছে পথ। মোদীর উপর পুষ্পবৃষ্টি করতে রাস্তার পাশে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। এখন ধর্মপথ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি এগিয়ে চলেছে রেলস্টেশনের দিকে। জনতাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানিয়েছেন মোদী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকাল সাড়ে ১০ টায় অযোধ্যা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ও সেখান থেকেই তাঁর ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রোডশো শুরু হয়। এদিন পুনর্নির্মিত অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশন বা অযোধ্যা ধাম রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধন করেন এবং নতুন অমৃত ভারত ট্রেন এবং বন্দে ভারত ট্রেনগুলিকে পতাকা দিয়ে উদ্ধোধন করবেন। মোদী আরও কয়েকটি রেল প্রকল্প দেশকে উৎসর্গ করবেন। দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত অযোধ্যা বিমানবন্দর বা মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। দুপুর ১ টায়, মোদী একটি জনসভায় অংশ নেবেন যেখানে তিনি একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। রাজ্যে ১৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে অযোধ্যা এবং এর আশেপাশের এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রায় ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প এবং উত্তরপ্রদেশ জুড়ে অন্যান্য প্রকল্পগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প। এছাড়াও আজ ৬টি বন্দে ভারত ও ২ টি অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্য়ে একটি অমৃত ভারত পাচ্ছে বাংলা।
প্রসূন গুপ্ত: বিরোধী জোটের নিঃসন্দেহে সবথেকে শক্তিশালী দল কংগ্রেস। তবে এই কংগ্রেস ইন্দিরা বা রাজীবের কংগ্রেস নয়। ইন্দিরা গান্ধী বিরোধীদের আমলই দিতেন না ব্যতিক্রম একমাত্র সিপিআই। সিপিআই পাশে না থাকলে ইন্দিরার রাজনৈতিক জীবন কঠিন হতো ১৯৬৯ এ , যখন ইন্দিরা দলটাকেই চটিয়ে নব কংগ্রেস গঠন করলেন। তখন পুরাতনী কংগ্রেসি বা সিন্ডিকেট কংগ্রেস সরে যাওয়ার পরে ইন্দিরার সরকার পরে যাচ্ছিলো কিন্তু বন্ধু দেশ রাশিয়ার নির্দেশে সিপিআই কংগ্রেসকে সহযোগিতা করে এবং ৬৯ থেকে ১৯৭১ অবধি সরকার চালান ইন্দিরা। এরপর তো জোট ইত্যাদি হয়েও ভেঙে যায়। ফের ক্ষমতায় ইন্দিরা। ইন্দিরার মৃত্যুর পরে রাজীব গান্ধী ক্ষমতায় আসেন এবং প্রবল শক্তিশালী সরকার পান। কিন্তু পরেরবারের ভোটে রাজীব নিজে জিতলেও কংগ্রেস ক্ষমতা হারায়। ফের জোট ফের পতন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯১ তে রাজীবের হত্যার পরে ক্ষমতায় আসে নরসিমা রাওয়ের সরকার। এবারে কিন্তু বামেদের ভোটের দরকার হতো পার্লামেন্টে , যা রাও পেয়েছিলেন।
আজকের কংগ্রেস কিন্তু জোট ছাড়া ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আজকের কংগ্রেস 'রাহুলের কংগ্রেস'। যদিও মলিকার্জুন খাড়গে বলে এক বৃদ্ধ আছেন নাম কি বাস্তে সভাপতির আসনে। দল চালাচ্ছেন কিন্তু রাহুল গান্ধী। সাম্প্রতিক ভোটে তিন রাজ্যে পরাজিত হওয়ার পরেও রাহুলই শেষ কথা। ইতিমধ্যে একটি জোট হয়েছে "ইন্ডিয়া' যেখানে ২৬ টির বেশি বিরোধী দল আছে। সব দলেরই ভোটে আসন নিয়ে আলোচনা রয়েছে। কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে বর্তমানের এই জোটের ডিএমকে ও আরজেডি বাদে প্রায় প্রতি দলের বিরুদ্ধে গত ১০/১৫ বছরে রাহুলের কংগ্রেস লড়াই করেছে। এই জোট বৈঠকে যা হোক না কেন, রাহুল অনেক বেশি ভরসা করছেন সিপিএমের উপর। অথচ এই সিপিএমের ক্ষমতা কমে এখন কেরালায় গিয়ে ঠেকেছে। আবার ওই কেরালায় সিপিএম কংগ্রেস পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। রাহুল এই পরিসংখ্যান জানা সত্বেও সিপিএমের উপরে কেন এতো ভরসা রাখছেন তা বোঝা দুস্কর। এই ভরসার স্থান থেকে কংগ্রেস /বাম জোটের নিদারুন পরাজয় হয়েছে বাংলায় এবং ত্রিপুরায় | তবু রাহুল পুরাতন স্থানেই অবস্থান করছেন। জোটের মধ্যে তাই সৃষ্টি হয়েছে উপজোট যার নাম জিঞ্জার গ্রুপ।
ফের কোভিডের (Covid) চোখরাঙানি দেশজুড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাস করোনায় বলি হলেন ৬জন। তার মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের এক ব্যক্তিও। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি। দেশজুড়ে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও চার হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আবার ইতিমধ্যে দিল্লিতেও ঢুকে পড়েছে করোনার উপপ্রজাতি জেএন.১।
করোনার নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর রূপ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। ভারতেও একাধিক রোগীর দেহে মিলেছে এই ভ্যারিয়েন্ট। গোয়া, কর্নাটক, কেরলের পর রাজধানী দিল্লিতেও মিলল এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের খোঁজ। গতকাল অর্থাৎ বুধবারই দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ জানান, দিল্লিতে জেএন.১ সাব ভ্য়ারিয়েন্টে প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এই নিয়ে দেশে জেএন.১ ভ্য়ারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পার করল। এই নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্টে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০৯ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ছ'জনের মৃত্যু হয়েছে গোটা দেশে। তার মধ্যে দুজন মহারাষ্ট্রে। করোনার থাবায় একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কর্নাটক ও কেরলে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৭০২। বর্তমানে দেশের অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪ হাজারেরও বেশি। ফলে বর্ষবরণের আগেই নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে করোনা।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা কংগ্রেসের। এবারে ইডির চার্জশিটে নাম উঠে এল কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। মূলত আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির র্যাডারে সোনিয়া কন্যা। এই প্রথমবার আর্থিক প্রতারণা মামলার চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কার নাম উল্লেখ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে শুধুমাত্র প্রিয়াঙ্কা নন, তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরার নামও রয়েছে ইডির চার্জশিটে।
জানা গিয়েছে, হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি কৃষিজমি কেনা-বেচা ঘিরে দুর্নীতি হয়েছে। তাতেই জড়িত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরা। ইডির দাবি, ২০০৬ সালে দিল্লির এক রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এইচএল পাহার কাছ থেকে হরিয়ানায় ৪০ একরের তিনটি কৃষিজমি কিনেছিলেন প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরা। ২০১০ সালে আবার সেই রিয়েল এস্টেট এজেন্টের কাছেই ওই জমি বিক্রি করে দেন। এই জমি কেনা-বেচা ঘিরেই বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে ইডির দাবি। শুধু তাই নয়, একাধিক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত প্রবাসী ব্যবসায়ী সিসি থাম্পির সঙ্গেও নাকি গভীর সম্পর্ক রয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং রবার্ট বঢরার।
উল্লেখ্য, এই মামলায় নাম রয়েছে কুখ্যাত ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারী এবং প্রবাসী ব্যবসায়ী সিসি থাম্পির। ইডির দাবি, আর্থিক দুর্নীতি করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই লন্ডনে সম্পত্তি কিনেছিলেন সঞ্জয় ভান্ডারি। সেই সম্পত্তিতেই বসবাস করতেন রবার্ট বঢরা। ইডি সূত্রে খবর, ব্ল্যাক মানি অ্যান্ড ইম্পোজিশন অফ ট্যাক্স আইন ২০১৫-এর অধীনে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে আয়কর দফতর। সেই মামলার তদন্তই শুরু করেছে ইডি। ফলে লোকসভার নির্বাচনের আগেই ইডির চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কার নাম উল্লেখ করায় বড়সড় বিপাকে কংগ্রেস।
নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা ভাইরাস। করোনার নতুন উপপ্রজাতি জেএন.১-এ সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেঠে। ইতিমধ্যেই গত ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে কোভিডের নয়া স্ট্রেন জেএন.১-এ আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১০৯ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫২৯ জন। এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৩। সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছেন তিনজন। এদের মধ্যে দুজন কর্নাটকের বাসিন্দা এবং একজন গুজরাটের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আবার কলকাতাতেও বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আজ অর্থাৎ বুধবার আরও ২ করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। দুইজনেই কলকাতার দুই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭।
দেশে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। ফলে দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্ট। উদ্বেগ রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, কেরালা নিয়ে। কর্নাটকে কোভিডের জেএন.১-এ আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৪ জন। তার মধ্যে কেবলমাত্র বেঙ্গালুরুতেই ২০ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে জেএন.১। গুজরাটে জেএন.১-এ আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। গোয়াতে করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪, মহারাষ্ট্রে ৯, কেরালায় ৬, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুতে ৪ এবং তেলঙ্গানায় ২।
এদিন কলকাতাতে যে দু'জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা শহরের দুটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে একজন বছর ৫৫-এর মধ্য বয়স্ক মহিলা। মুকুন্দপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি। এর পাশাপাশি একজন ৭২ বছরের বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত। তিনি ভর্তি রয়েছেন আনন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এই দুজনই কলকাতার বাসিন্দা। তবে বাংলায় এখনও পর্যন্ত নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এ আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি।
'ভারত জোড়ো যাত্রা'র পর এবারে কংগ্রেসের নয়া উদ্যোগ 'ভারত ন্যায় যাত্রা'। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফের এক কর্মসূচি নিলেন রাহুল গান্ধী। এবার তার নাম 'ভারত ন্যায় যাত্রা'। জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলবে কংগ্রেসের 'ভারত ন্যায় যাত্রা'। ৬ হাজার ২০০ কিমি পথ হাঁটবেন রাহুল, অতিক্রম করবেন ১৪টি রাজ্য। এবার উত্তর-পূর্বের মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বই পর্যন্ত হাঁটবেন রাহুল। বাংলাকেও ছুঁয়ে যাবেন রাহুল, এমনটাই সূত্রের খবর।
কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, 'ভারত ন্যায় যাত্রা' শুরু করতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে কংগ্রেসের এই কর্মসূচি। এই যাত্রা মোট ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। যে রাজ্যগুলির মধ্যে দিয়ে এই যাত্রা হবে, সেগুলি হল নাগাল্যান্ড, অসম, মেঘালয়, বিহার, ওড়িশা, ছত্তিসগড়, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত হয়ে এটি শেষ হবে মহারাষ্ট্রে৷ বাংলাকেও ছুঁয়ে যাবেন রাহুল, এমনটাই জানা গিয়েছে। ১৪ জানুয়ারি মণিপুরে এই যাত্রার সূচনা করবেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বাস থাকবে এই যাত্রায়, মাঝে মাঝে কিছুটা পথ হেঁটে পেরনো হবে।
কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ২১ ডিসেম্বর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির তরফে রাহুল গান্ধীকে একটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ভারতের পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত পদযাত্রা করতে পারেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী CWC-এর এই পরামর্শ মেনে নিয়েছেন। AICC সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৪ জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত 'ভারত ন্যায় যাত্রা' চলবে।
শহরের ১১ জায়গায় থাকা বোমা বেলা দেড়টা নাগাদ ফাটবে! মঙ্গলবারে এহেন হুমকি ই-মেল ঘিরে হুলূস্থূল-কাণ্ড মুম্বই পুলিসে। হুমকি ই-মেলে উল্লিখিত জায়গাগুলোর মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-সহ দুটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখাও রয়েছে। যদিও তড়িঘড়ি ১১ জায়গায় পৌঁছে যায় মুম্বই পুলিস।
বোমা বিস্ফোরণের একটি হুমকি ই-মেল আর তা ঘিরেই হূলুস্থূল মুম্বইজুড়ে। মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ-সহ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে ই-মেলে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের হাতে থাকা সেই ই-মেলে লেখা, 'আমরা মুম্বইয়ের ১১টি ভিন্ন জায়গায় বোমা পেতে রেখেছি। আরবিআই-সহ একাধিক বেসরকারি ব্যাঙ্ক বড়সড় দুর্নীতিতে মদত দিয়েছে। এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন-সহ একাধিক ব্যাঙ্ক কর্তা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।' হুমকি মেলে আরও লেখা, 'আমরা দাবি করছি, আরবিআই গর্ভনর এবং অর্থমন্ত্রী অবিলম্বে পদত্যাগ করুক আর প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দুর্নীতির খতিয়ান সামনে আনুক। এই দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাঁদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক সরকার', এমন দাবিও করা সেই হুমকি মেলে।
মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর, হুমকি মেলে লেখা ১১টি বোমা শহরের একাধিক জায়গায় রাখা। RBI, নিউ সেন্ট্রাল বিল্ডিং ফোর্ট মুম্বই, HDFC হাউস, চার্চগেট, মুম্বই আর ICICI ব্যাঙ্ক টাওয়ার, বিকেসিতে রাখা বোম। এই বোমাগুলি দুপুর দেড়টা নাগাদ ফাটবে, এমন হুমকির উল্লেখ ই-মেলে। এই ই-মেলের গুরুত্ব বিচার করে মুম্বই পুলিস উল্লিখিত জায়গাগুলোতে পৌঁছলেও কোনও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়নি, তদন্তের স্বার্থে মামলা রুজুও হয়েছে, এমনটাই মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর।