ভারতীয় নৌবাহিনীর ইতিহাসে মাইলস্টোন। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে নৌ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ (INS Vikrant)। প্রধানমন্ত্রী মোদী (PM Narendra Modi) এই বিমানবাহী রণতরীর শুভ সূচনা করেন। কোচির নৌ সেনা ঘাঁটি থেকে এই তরী সাগরে ভাসবে। আইএনএস বিক্রান্ত ভারতের সামরিক ইতিহাসে নির্মিত সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ (War Ship)।
শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর কেরলে সফরের শেষ দিন। প্রধানমন্ত্রী কোচি থেকে ভারতীয় তৈরি বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তকে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেন। মেক ইন ইন্ডিয়ার অধীনে তৈরি করা হয়েছে এই বিমানবাহী রণতরী। এটি এখন পর্যন্ত ভারতের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী। ভারতের আগে মাত্র পাঁচটি দেশ ৪০ হাজার টনের বেশি ওজনের বিমানবাহী রণতরী তৈরি করেছে। আইএনএস বিক্রান্তের ওজন ৪৫,০০০ টন।
এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'আইএনএস বিক্রান্ত শুধুমাত্র একটি যুদ্ধাস্ত্র নয়। ভারতের দক্ষতা এবং প্রতিভারও প্রমাণ। ছত্রপতি বীর শিবাজি মহারাজ এই সমুদ্র শক্তির জোরে এমন নৌবাহিনী তৈরি করেছিলেন, যা শত্রুদের ভয়ে রেখেছিল। ব্রিটিশরা যখন ভারতে এসেছিল, তারা ভারতীয় জাহাজের শক্তি এবং তাদের মাধ্যমে বাণিজ্যের জন্য আতঙ্কিত ছিল। তাই তারা ভারতের সামুদ্রিক শক্তির পিঠ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। তৎকালীন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ভারতীয় জাহাজ ও বণিকদের ওপর কতটা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল ইতিহাস তার সাক্ষী।'
ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন পতাকাও উন্মোচন করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজ ভারত তার বুক থেকে দাসত্বের চিহ্ন, দাসত্বের বোঝা সরিয়ে নিয়েছে। আজ থেকে নতুন পতাকা পেল ভারতীয় নৌসেনা। এখন পর্যন্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর পতাকায় দাসত্বের পরিচয় রয়ে গেছে। তবে আজ থেকে ছত্রপতি শিবাজীর অনুপ্রেরণায় সমুদ্রে ও আকাশে উড়বে নৌবাহিনীর নতুন পতাকা।' জানা গিয়েছে, আইএনএস বিক্রান্ত নামে আরও একটি যুদ্ধজাহাজ অবসর নিয়েছে। তাঁকে ভেঙেও ফেলা হয়েছে। ৭১-র যুদ্ধের স্মৃতিবাহী সেই বিক্রান্তের স্মরনেই নতুন এই যুদ্ধজাহাজের নাম রাখা হয়েছে আইএনএস বিক্রান্ত। সহজেই মিগ-২৯-র মতো বিমান এই জাহাজ থেকে ওঠানামা করতে পারবে।
ভারতের একাধিক তদন্তকারী সংস্থার খাতায় সে মোস্ট ওয়ান্টেড। সেই দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) মাথার দাম ২৫ লক্ষ টাকা ধার্য করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ (NIA)। যদিও সম্প্রতি একাধিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, করাচির (Karachi) ক্লিফটন রোডে রয়েছে বম্বে ধারাবাহিক (Bombay Serial Blast) বিস্ফোরণের মূল চক্রী। বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতার ভারে ন্যুব্জ সে। জানা গিয়েছে, শুধু দাউদ ইব্রাহিম নয় তার ভাই-সহ ডি-কোম্পানির আরও সদস্যদের তথ্যের বিনিময়ে অর্থ ঘোষণা করেছেন এনআইএ।।
ভারতে জাল নোটের কারবার, নাশকতা, আন্তর্জাতিক মাদক পাচার-সহ একাধিক মামলায় এদেশে অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম। পাকিস্তান সেনার নজরদারিতে করাচির বাসভবনে দিব্যি আছে দাউদ। একাধিক সংবাদ মাধ্যম নানভাবে এই দাবি করেছে। জানা গিয়েছে, শুধু দাউদ নয়, তার ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছোটা শাকিলের মাথার দাম ২০ লক্ষ টাকা ধার্য করেছে এনআইএ। এছাড়া আনিস ইব্রাহিম ওরফে ছোটা আনিস, জাভেদ চিকনা এবং টাইগার মেমনের নাম রয়েছে এনআইএ তালিকায়। তিন জনের মাথার দাম ১৫ লক্ষ টাকা ধার্য করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে দাউদের বর্তমান ঠিকানা একাধিকবার পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রককে হস্তান্তর করেছে নয়াদিল্লিউ। তাতে বলা, পাক সেনাবাহিনী এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নাকের ডগাতেই বাস দাউদের। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁকে নিরাপত্তা দিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। যদিও ইসলামাবাদের দাবি, দাউদ এখন পাকিস্তানে নেই।
চিকিৎসার দুরাবস্থা! নেই চিকিৎসা (Treatment), নেই কোনও ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী। পাঁচ বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে সামান্য চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের (Hospital) বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন মা। শেষমেশ জন্মদাত্রীর কোলেই মরতে হল (Child Death) শিশুটিকে। মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) জব্বল্পুরবাসীরা। খুদে ঋষির মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী।
পরিবারের অভিযোগ, অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। ছেলে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সে সময় একজন ডাক্তার তো দূর অস্ত, একজন স্বাস্থ্যকর্মী বা নার্সও নেই। শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল ছেলের। ডাক্তারের অপেক্ষা করতে করতে শেষে সন্তানহারা তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো এবং পরিষেবা নিয়ে। অভিযোগ, ডাক্তার হাসপাতালে এলে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কোথায় ছিলেন? ওই চিকিৎসক জানান, তাঁর স্ত্রী আগের দিন উপোস করেছিলেন। তাই তাঁর আসতে দেরি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকের এমন যুক্তিতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরে পৌঁছয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য দফতর।
৫৮-৮ ভোটে আস্থা ভোট (Trust Vote) জিতে দিল্লিতে সরকার টিকিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kajariwal)। যদিও ২০২০ সালে বিধানসভা ভোটে ৬২টি আসনে জিতেছিলেন আপ প্রার্থীরা। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ৮ আসন। বৃহস্পতিবারের আস্থা ভোট ৪ জন বিধায়ক আপের (AAP) পক্ষে ভোট দেয়নি। এই মিসিং লিঙ্ক দিল্লির শাসক দল আপকে ভাবালেও আপাতত স্থিতিশীল কেন্দ্রশাসিত এই রাজ্যের রাজনৈতিক অবস্থা। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যালোচকরা।
সম্প্রতি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই অভিযান হয়েছে। আবগারি দুর্নীতি-কাণ্ডে এই সিবিআই তদন্ত। তারপর থেকে দিল্লিজুড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। হয়তো বা উলটে যেতে পারে দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। আম আদমি পার্টির অভিযোগ ছিল, বিধায়ক কিনে দিল্লির সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করতে চাইছে বিজেপি।
তাই তড়িঘড়ি আস্থা ভোট ডেকে নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
পৃথিবীর যে প্রান্তে যা ঘটুক, তা এখন মুহূর্তে চলে আসে সকলের মুঠোফোনে। ভাইরাল (Viral) হয়ে যায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। তার মধ্যে যেমন থাকে চাঞ্চল্যকর কিছু ভিডিও (Video)। তেমনই থাকে হাস্যকর, আশ্চর্যজনক কিছু ভিডিও। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে রীতিমত অবাক নেটদুনিয়ার (Social Media) মানুষ।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান। যেখানে হুলুস্থুল ঝগড়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, একপ্রকার হাতাহাতি, মারামারি লেগে গিয়েছে দু'দলের মধ্যে। পাল্টা লাঠি, ঘুষি চলছে। এমনকি নিমন্ত্রিতদের জন্য রাখা খাবারভর্তি থালা ছুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সকলে নিজের প্রাণ বাঁচাতে ছুটে চলেছে।
তবে কী কারণে এই শুভ অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত পাত্রপক্ষের কয়েকজন অতিরিক্ত পাঁপড় চেয়েছিলেন, সে নিয়ে। যাঁরা খাবার পরিবেশন করছিলেন, তাঁরা পাঁপড় আর দিতে পারবেন না বলেন। এরপরই কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। শেষমেশ হাতাহাতিতে পৌঁছয় ঘটনা। পাত্র এবং কনেপক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে কেরলের (Kerala) আলাপ্পুঝার মুত্তমের।
In the great 100% literate state of Kerala, a fist fight broke out at a wedding after friends of the bridegroom demanded papad during the feast. This triggered a verbal spat and ended up in an ugly brawl. No wonder Mallus belo papad. 😆 pic.twitter.com/HgkEUYMwfy
— Rakesh Krishnan Simha (@ByRakeshSimha) August 29, 2022
রাকেশকৃষ্ণ সিংহ নামে এক টুইটার গ্রাহক মারামারির সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘যে রাজ্যে ১০০ শতাংশ মানুষই শিক্ষিত, সেখানে পাঁপড় নিয়ে হাতাহাতিতে জড়ালেন বরের বন্ধুরা।’ পুলিস সূত্রে খবর, এবিষয়ে তারা একটি অভিযোগ পেয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। আপাতত ১০ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
অটোপাইলট সিস্টেমে (autopilot system) ত্রুটির কারণে একটি নাসিকগামী (Nashik) স্পাইসজেট (SpiceJet) ফ্লাইট বৃহস্পতিবার সকালে টেক-অফের কিছুক্ষণ পরেই দিল্লিতে ফিরে আসে। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Indira Gandhi International Airport) থেকে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাসিকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল ওই স্পাইসজেট বিমানটি। ডিজিসিএর একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছে।
স্পাইসজেট ফ্লাইট SG-8363 দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ৬.৫৪ মিনিটে নাসিকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। কিন্তু অটোপাইলট সিস্টেমে বিপত্তি হওয়ায় দিল্লিতে ফিরে আসে। যাত্রীরা সকলে নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্পাইসজেটের একজন মুখপাত্র।
জুলাইয়ের শুরুতে, এভিয়েশন ওয়াচডগ বলেছিল যে স্পাইসজেট নিরাপদ, দক্ষ এবং নির্ভরযোগ্য বিমান পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। পরে এয়ারলাইনটিকে তার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ফ্লাইট পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়।
ফের অ্যাসিড হামলা (Acid attack)। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) চাতরা জেলার (Chatra district) ১৭ বছরের একটি মেয়ে অ্যাসিড হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিল। বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS) নয়াদিল্লিতে (New Delhi) রেফার করা হয়। আকাশপথে ওই আক্রান্ত কিশোরীকে রাঁচি থেকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়।
নাবালিকার উপর ৫-ই অগাস্ট অ্যাসিড আক্রমণ হয়েছিল। এরপর রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (RIMS) চিকিৎসাধীন ছিল মেয়েটি। রাজ্য সরকার-চালিত ওই হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড মেয়েটির বিভিন্ন রিপোর্ট পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এইমস হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের মেয়ে ও তার পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা হিসাবে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তার একটি পোস্ট ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, মেয়েটিকে নয়াদিল্লির AIIMS ট্রমা সেন্টারের বার্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, "ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি যেন সুস্থ হয়ে দ্রুত ফিরে আসেন।"
হামলায় আহত মেয়েটির মা বলেন, তাঁদের গ্রাম ঢেবো থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে বসবাসকারী অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। গত দুই-তিন মাস ধরে সে তাঁর মেয়েকে উক্ত্যক্ত করছিল। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন চতরা জেলা প্রশাসক আবু ইমরান।
স্কুলে শিক্ষকের কাছে বকা বা মার (Beaten) কম-বেশি সকলেই খেয়েছেন। দুষ্টুমি করলে কান মলা যেমন খেতে হয়েছে তেমনই পড়া না পারলে ভরা ক্লাসের মধ্যে কান ধরে দাঁড় করিয়েও দিতেন শিক্ষকরা। কিন্তু ছাত্ররা পেটাচ্ছেন শিক্ষককে? এমন কথা কি কখনও শুনেছেন? তবে বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) একটি স্কুলে। দুমকা (Dumka) জেলার একটি সরকারি স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক (Math teacher) এবং একজন কেরানিকে পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার গাছে বেঁধে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে।
ছাত্রদের অভিযোগ, তাদের ফেল করানোর জন্য ইচ্ছা করেই কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। এদিকে, মারধরের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কের শিক্ষক এবং কেরানিকে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। ইউনিফর্ম পরা বেশ কয়েকজন ছাত্রকে তাঁদের আশপাশে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি স্কুলেরই অন্য এক শিক্ষক সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
এরপরই হইচই পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ১১ জন পড়ুয়াকে অঙ্কে ৩২ নম্বরেরও কম দেওয়া হয়েছিল। যা ফেল করারই সমান। পুলিস সূত্রে খবর, ওই অঙ্কের শিক্ষক আগে এই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক ছিলেন। কোনও কারণে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফেও কোনোরকম অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তাদের দাবি, পুলিসে অভিযোগ করলে ছাত্ররা আরও বিগড়ে যেতে পারে। গোপীকান্দারের বিডিও অনন্ত ঝা ওই আবাসিক স্কুলে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি স্কুলে ২০০ পড়ুয়া রয়েছে। বেশির ভাগ পড়ুয়াই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
অমানবিক! পরিচারিকার উপর অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রকে (Seema Patra) সাসপেন্ড (suspended BJP leader) করা হয়েছিল। অবশেষে রাঁচি পুলিস গ্রেফতার (arrested) করেছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের বিজেপি মহিলা মোর্চার ন্যাশনাল কার্যকরী কমিটির সদস্য সীমা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত আইএএস মহেশ্বর পাত্রর স্ত্রী। পরিচারিকার উপর পাশবিক অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হতেই বিজেপি মঙ্গলবার সীমা পাত্রকে প্রথমে সাসপেন্ড ও পরে বরখাস্ত করে।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পরিচারিকা সুনিতা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। তাঁর শরীর ও মুখে আঘাতের চিহ্ন। সুনিতা অভিযোগ করেছেন, তাঁর মালকিন সীমা তাঁকে রড এবং একটি লোহার প্যান দিয়ে মারধর করেছেন। তাঁকে মেঝে থেকে প্রস্রাব চাটতে বাধ্য করা হয়েছিল। এমনকি লোহার রড দিয়ে দাঁত ভেঙে দেয় বলেও অভিযোগ।
পরিচারিকা এও বলেন, 'যখন তাঁকে মারধর করা হচ্ছিল, তখন নেত্রীর ছেলে আয়ুষ্মান তাঁকে বাঁচাতে ছুটে এসেছিলেন। আয়ুষ্মান তাঁর বন্ধুর সাহায্য নিয়ে সুনিতাকে উদ্ধার করেন। এরপর আয়ুষ্মানের বন্ধু বিবেক আনন্দ বাস্কি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বাস্কি কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগের একজন স্টেশন অফিসার।
পাত্রর বাড়ি থেকে সুনিতাকে উদ্ধার করার পর, পুলিস তাঁকে চিকিৎসার জন্য রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে (RIMS) নিয়ে যায়। সুনিতার ওই নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল। এহেন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বৈশও মঙ্গলবার পুলিসের ডিজি নীরজ সিনহার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সাসপেন্ড করা বিজেপি নেত্রীর অপরাধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি কেন, সে বিষয়ে ডিজির থেকজে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।
পুলিস জানিয়েছে, নেত্রীর স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
টানা বৃষ্টিতে (Natural Calamity) ভয়ঙ্কর অবস্থা পাকিস্তানে। ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে কয়েক হাজার। বিধস্ত অধিকাংশ প্রদেশ। এই অবস্থায় পড়শি দেশের ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবার বিবৃতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। টুইট করে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। তাঁর প্রার্থনা, 'শীঘ্রই প্রতিবেশী দেশের জনজীবন স্বাভাবিক হোক।' তবে পাকিস্তানকে সাহায্য নিয়ে কোনও ঘোষণা করেননি প্রধানমন্ত্রী।
Saddened to see the devastation caused by the floods in Pakistan. We extend our heartfelt condolences to the families of the victims, the injured and all those affected by this natural calamity and hope for an early restoration of normalcy.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 29, 2022
ইতিমধ্যে বন্যাবিধ্বস্ত পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রার্থনা করেছে। সেখানে ভারত সাড়া দেবে কি না, তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও সাহায্যে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে খবর।
এদিকে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধস্ত ভারতের দুই পড়শি দেশ পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় পাকিস্তানের অধিকাংশ প্রদেশ। পাশাপাশি হরপা বানে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানও। এই বিপর্যয়ের পাকিস্তানে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় হাজার জনের। ক্ষতিগ্রস্ত ৩ কোটিরও বেশি মানুষ। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সে দেশের হাওয়া অফিস।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানে চলা অবিরাম বৃষ্টির জেরে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মৃত্যু প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই। বিপর্যয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে জরুরি অবস্থা জারি পাকিস্তানে। সেনাবাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, বন্যায় ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত। ভেসে গিয়েছে শতাধিক ব্রিজ। অন্তত সাত লক্ষ বাড়ি বন্যার জলে হয় ভেঙেছে, নয়তো ভেসে গিয়েছে।
বন্ধুত্বের প্রস্তাব (friendship proposal) প্রত্যাখ্যান করায় পেট্রোল ঢেলে এক তরুণীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের (Jharkhand High Court)। বিষয়টিকে (murder case) গুরুত্ব দিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রবি রঞ্জন মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পুলিসের ডিজিকে তলব করেছেন। তাঁর নির্দেশে বলা, পুরো ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা উদ্বেগের। এদিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে অভিযুক্ত শাহরুখ নামে এক যুবককে। সোমবার তাঁর এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করে পুলিস।
দুমকার ওই তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার কিছুদিন আগেই শাহরুখের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ তুলে থানার দারস্থ হয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু পুলিস তাঁদের অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়নি। উলটে দুমকার ডিএসপি নূর মুস্তাফা এফআইআর দায়ের না করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সোমবারই হেমন্ত সোরেন সরকার মুস্তাফাকে সাসপেন্ড করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। তার ঠিক দিন দশেক আগে অচেনা একটি নম্বর থেকে মৃতার কাছে ফোন আসে। এবং তাঁকে বন্ধুত্বের জন্য জোর করতে থাকেন অভিযুক্ত যুবক। তিনি বন্ধুত্ব করতে রাজি না হলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ গত সোমবার আবার ফোন আসে। ভয় পেয়ে বাবাকে সব কথা খুলে বলেন তরুণী। বাবা তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন এবিষয়ে সকাল হলেই কোনও ব্যবস্থা নেবেন। এরপর সকলে ঘুমিয়ে পড়েন।
ওই তরুণী মৃত্যুশয্যায় বলেন, 'মঙ্গলবার ভোরে শরীরে হঠাৎ জ্বালা শুরু হলে ঘুম ভেঙে যায়। তখন তিনি দেখতে পান ওই যুবক বাড়ির জানলা দিয়ে তাঁর ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন। আর তিনি চিৎকার শুরু করতেই অভিযুক্ত পালায়।' অপরদিকে ততক্ষণে তাঁর সারা গায়ে আগুন ধরে যায়। তাঁর বাবা-মা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে তারাই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, ওই তরুণীর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে দুমকার মেডিক্যাল কলেজে প্রথমে ভর্তি করানো হয়। পরে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। রবিবার রাতে মৃত্যু হয় তরুণীর। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে পুলিস। ইতিমধ্যে অভিযুক্তের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
বিশ্বের তৃতীয় ধনকুবের (Third Richest Person) এখন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। বলা যেতে পারে, ফের নিজের মুকুটে নয়া পালক জুড়লেন আদানি। প্রথম এশীয় ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় তৃতীয় স্থান নিজের নামে করে নিলেন তিনি।
বর্তমানে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথমে রয়েছেন টেসলা প্রধান এলন মাস্ক। তারপরই রয়েছেন জেফ বেজোস। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স (Bloomberg Index) জানাচ্ছে, ১৩৭.৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে ফ্রান্সের বার্নার্ড আর্নল্টকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন আদানি।
দেশে আদানি এবং আম্বানির মধ্যে সর্বদা টক্কর লেগেই থাকে। কখনও উপরে থাকতেন আম্বানি। আবার কখনও আদানি। এ বছরের শুরুর দিকে ফেব্রুয়ারি মাসে আম্বানিকে পার করে যান তিনি। এপ্রিল মাসে সম্পত্তির নিরিখে হন সেন্ট বিলিয়নিওর। সবশেষে অগাস্টে আরও একবার উত্থান হয় আদানির। অগাস্টে তিনি টপকে যান বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের বিল গেটসকে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রকাশিত ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, রিলায়েন্সের কর্ণধার মুকেশ অম্বানি ১১ নম্বরে আছেন৷ তাঁর সম্পত্তি ৯১.৯ মার্কিন ডলার (৯ হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার)৷ আদানি গ্রুপের এনার্জি, বন্দর, লজিস্টিকস, খনি, গ্যাস, প্রতিরক্ষা, এরোস্পেস এবং বিমানবন্দরের ব্যবসা রয়েছে৷ রিল্যায়ান্স ইনডাস্ট্রিজ এবং টাটা গ্রুপের পর ভারতে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প সংস্থা আদানি গ্রুপ ৷
উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh), দিল্লি থেকে শুরু করে দেশের অন্য অংশে বুলডোজার দাওয়াই (Bulldozer) নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও এবার তা ভালো কাজেই ব্যবহার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিস। যৌতুকের দাবিতে (Dowry demand) পুত্রবধূর সঙ্গে অশান্তি। শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। এমনকি আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ওই মহিলাকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছিল না শ্বশুরবাড়ি। অন্যথা উপায় না দেখে পুলিস আধিকারিকরা (Police) কাজে লাগালেন বুলডোজার।
পুলিস সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশ আমান্য করে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে একটি পরিবার তাঁদের পুত্রবধূকে বাড়িতে ঢুকতে দিতে রাজি ছিল না। পুলিস প্রায় দু'ঘন্টা ধরে পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাঁরা সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। তখন পুলিস বুলডোজার এনে গেট ভাঙার কথা বলতেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই মহিলাকে ঢুকতে দেয়।
পাঁচ বছর আগে রবিন সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নূতন মালিকের। যৌতুকের জন্য বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন ওই মহিলা। ২০১৯ সালে, নূতন একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। এই মামলায় তাঁর স্বামীর জেল হয়। এরপর তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপরে, মহিলার বাবা ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে হাজির হন। আদালতই পুলিসকে নির্দেশ দেয় মহিলাকে সুরক্ষা দিতে এবং শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
কয়েকবার মহিলাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবারকে রাজি করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে পুলিস বুলডোজার নিয়ে গেট ভাঙার হুমকি দেয়। এর পর ওই মহিলাকে ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়।
নৃশংসতা! আইন রক্ষকই ভক্ষক। মেয়ের উপর হওয়া যৌন নির্যাতনের (Sexual Abuse) অভিযোগ জানাতে দারস্থ হয়েছিলেন মা। যে পুলিস অফিসার এই ঘটনার তদন্ত করছিলেন তাঁর হাতেই ধর্ষণের (Rape) শিকার হতে হল মা'কে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কনৌজ জেলায়। ইতিমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ইনস্পেক্টর অনুপ মৌর্যকে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে। এবং তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। আপাতত তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই অভিযোগকারী মহিলার ১৭ বছরের মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মা। ঘটনার তদন্তও শুরু করেন পুলিস আধিকারিকরা। তবে তদন্তের দায়িত্বে থাকা ইনস্পেক্টর নির্যাতিতা কিশোরীর মাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
মহিলার অভিযোগ, মেয়ের তদন্তের বিষয়ে কথা বলার জন্য গত ২৮ অগাস্ট ওই পুলিসকর্মী তাঁর আবাসনের কাছে একটি পেট্রল পাম্পের সামনে মহিলাকে দেখা করতে বলেন। সেই মতো ঘটনাস্থলে যান ওই মহিলা। তারপর তাঁকে ওই পুলিসকর্মী নিজের আবাসনে নিয়ে যান কিছু কাগজপত্রে সই করানোর নাম করে। সেখানে মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়।
যদিও অভিযুক্ত ইনস্পেক্টরের দাবি, তিনি কিছু নথিপত্রে সই করানোর জন্য মহিলাকে আবাসনে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে।
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তরুণীকে খুন (Murder)। এমন খবর হামেশাই কম-বেশি শোনা যায়। কিন্তু বন্ধুত্বের প্রস্তাব (friendship proposal) প্রত্যাখ্যান করায় একেবারে পুড়িয়ে মারার ঘটনা কার্যত বিরল। এমনটাই ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দুমকা গ্রামে। ইতিমধ্যে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে। স্থানীয়রা ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গত মঙ্গলবার ঘটেছে। তার ঠিক দিন দশেক আগে অচেনা একটি নম্বর থেকে মৃতার কাছে ফোন আসে। এবং তাঁকে বন্ধুত্ব করার জন্য জোর করতে থাকেন অভিযুক্ত যুবক। তিনি বন্ধুত্ব করতে রাজি না হলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ গত সোমবার আবার ফোন আসে। ভয় পেয়ে বাবাকে সব কথা খুলে বলেন তরুণী। বাবা তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন এ বিষয়ে সকাল হলেই কোনও ব্যবস্থা নেবেন। এরপর সকলে ঘুমিয়ে পড়েন।
ওই তরুণী মৃত্যুশয্যায় বলেন, মঙ্গলবার ভোরে শরীরে হঠাৎ জ্বালা শুরু হলে ঘুম ভেঙে যায়। তখন তিনি দেখতে পান ওই যুবক বাড়ির জানলা দিয়ে তাঁর ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন। আর তিনি চিৎকার শুরু করতেই অভিযুক্ত পালায়। ততক্ষণে তাঁর সারা গায়ে আগুন ধরে যায়। তাঁর বাবা-মা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে তারাই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, ওই তরুণীর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে দুমকার মেডিক্যাল কলেজে প্রথমে ভর্তি করানো হয়। পরে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। রবিবার রাতে মৃত্যু হয় তরুণীর। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে পুলিস। ইতিমধ্যে অভিযুক্তের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।