ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড লখনউয়ের হজরতগঞ্জ এলাকার একটি হোটেলে।সোমবার সকালেই শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ওই হোটেলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের এলাকা। আবাসিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আতঙ্ক। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করলেও ভিতরে কয়েকজন আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে।
#WATCH | Window panes of rooms at Hotel Levana in Hazratganj, Lucknow being broken to facilitate rescue and relief operations.
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) September 5, 2022
DG Fire says, "Rooms are filled with smoke making it difficult to go in. Work is underway to break window panes and grills, 2 people have been rescued" pic.twitter.com/6Hh5wdN6A9
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, উদ্ধারকারীরা জানালা ভেঙে আবাসিকদের বের করার চেষ্টা করছেন।
হোটেলের বাইরের অংশ থেকেও সিঁড়ি দিয়ে তাদের বের করছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু ভিতরে যারা আটকে পড়েছেন তাদের জীবন নিয়ে টানাটানি চলছে। সব মিলিয়ে এলাকায় জুড়ে প্রবল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
মুম্বইয় শহরতলির পালঘরে পথদুর্ঘটনা। মৃত্যু বিশিষ্ট উদ্যোগপতি সাইরাস মিস্ত্রির। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পালঘরের এসপি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইরাসের গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মারতেই সেটা উলটে যায়। তাতেই এই দুর্ঘটনা। তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি দু'জন গুরুতর জখম অবস্থায় গুজরাতের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রাথমিক তদন্তে, বিষয়টা দুর্ঘটনাই মনে করছে পুলিস। আহমেদাবাদ থেকে সড়ক পথে মুম্বই আসার পথে রবিবার সাড়ে ৩টা নাগাদ ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। তিনি রিয়াল এস্টেট গোষ্ঠী শাপুরজি, পালোনজি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি। রতন টাটা টাটা সন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে অবসর নেওয়ার পরেই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যদিও পরে সাইরাস মিস্ত্রিকে সরিয়ে অন্য একজন চেয়ারম্যান করেছিল টাটা সন্স।
দাঙ্গামুক্ত উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। সমাজকল্যাণ প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের যোগ্যতম ব্যক্তিরা পেয়েছেন। বাণিজ্য-বান্ধব রাজ্য হিসেবে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠছে ইউপি। শনিবার বিজনৌরে একটি সভা থেকে এমনই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।
এদিন, বিজনৌরে ২৬৭ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প (Project) শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, 'গত সাড়ে পাঁচ বছরে কোনও দাঙ্গা হয়নি। রাজ্যে বিপুল বিনিয়োগ হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এখন উত্তরপ্রদেশে হাইওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সম্পূর্ণ দাঙ্গা এবং অপরাধমুক্ত হয়ে গিয়েছে। সরকার উত্তরপ্রদেশে ব্যবসায়ী ও উদ্যোগপতিদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হতে দেবে না।'
উল্লেখ্য, সাড়ে পাঁচ বছর আগে যোগী আদিত্যনাথ যখন বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন অনেকেই মনে করেছিলেন, যোগী শাসনে দাঙ্গা-হাঙ্গামা প্রতিদিনকার ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু যোগীর মুখ্যমন্ত্রিত্বের সাড়ে পাঁচ বছর পর নাকি পুরোপুরি অন্য ছবি দেখা যাচ্ছে। যোগীর এই দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে তা বড় সাফল্য।
খালের জল ফুঁসছিল (Flash Flood),জলের স্রোতে ভেসে যাচ্ছিলেন দুই ব্যক্তি। পারে তখন দাঁড়িয়ে অনেক মানুষ। অবাক কান্ড কেউই ওই দুই ব্যক্তিকে বাঁচাতে এগোলেন না। ডুবে যাচ্ছেন দু’জন, এই দৃশ্য দেখে স্থির থাকতে পারেননি এক মহিলা (Mother)। কোলের সন্তানকে মাটিতে রেখেই খালের খরস্রোতা জলে ঝাঁপ দিলেন তিনি। তারপর কোনওরকমে এক জনের প্রাণ বাঁচালেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে ভোপালে (Bhopal)। ৩২ বছর বয়সি এই মহিলার নাম রবিনা।
তাঁর এই সাহসিকতার তারিফ করেছেন অনেকেই। তাঁকে সম্মানিত করেছেন নাজিরাবাদের এসএইচও (স্টেশন হাউস অফিসার)। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, খাজুরিয়া গ্রামে সয়াবিনের খেতে রাসায়নিক স্প্রে করতে গিয়েছিলেন দুই কৃষক নাম জিতেন্দ্র আহিরওয়ার ও রাজু আহিরওয়ার। খাল পারাপারের সময় জলের প্রচন্ড স্রোতে তাঁরা ভেসে যান। সে সময় ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন রবিনা। তাঁর কোলে শিশুপুত্রকে রেখে সাতপাঁচ না ভেবে খালের খরস্রোতা জলে ঝাঁপ দেন সাহসীনি। সাঁতরে জিতেন্দ্রকে উদ্ধার করে আনেন। পরে আবার ঝাঁপ দিয়ে রাজুকে উদ্ধার করতে খালে নামেন রবিনা। কিন্তু ততক্ষণে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন রাজু। অবশেষে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দুষ্কৃতীদের গুলিতে (shot) উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন দুই ছাত্র-সহ চার। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার (Haryana) রোহতকে মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Maharshi Dayanand University)। রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছাড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এই দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর্থিক লেনদেন (monetary dispute) সংক্রান্ত বিরোধের কারণেই এমনটা ঘটিয়েছে বলে অনুমান পুলিসের। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
এদিন গভর্নর বান্দারু দত্তাত্রেয়, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরও, ক্যাম্পাসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যেতেই এমন উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ ঘটনায় তিনজন জড়িত বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে পালিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু হয়েছে।
এসএইচও প্রমোদ গৌতম বলেন, ইতিমধ্যে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ চারজনের নাম কুলদীপ, বিদিত, সুশীল হুদা এবং হর্ষ। এঁদের মধ্যে কুলদীপের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফের মাদক কারবারের (Drug) পর্দাফাঁস। গাড়িতে করে মাদক নিয়ে যেতে গিয়ে পুলিসের জালে ধরা পড়ল দু'জন। শনিবার দিল্লির (Delhi) এই ঘটনায় দু'জনকেই গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দু'জনকে উত্তর দিল্লির রোহিণী এলাকা থেকে দু’কোটি টাকার হেরোইন (Heroin)-সহ উদ্ধার করেছে পুলিস (Police)।
এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁরা অভিযানে নামেন। তদন্তে নেমে মণীশ এবং টিঙ্কু নামে দু'জনকে মাদক-সহ গাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ১.৩ কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য প্রায় দু’কোটি টাকা।
সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ বছর জেলে খেটেছিল মণীশ। পূর্ব দিল্লির নন্দনাগরি এলাকার বাসিন্দা মণীশ। ডাকাতি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। ২০১৯-এ জেল থেকে মুক্তি পেয়ে জুয়ার কারবারে যুক্ত হয়ে পড়ে। সেই থেকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে সে।
বিগ বস (Bigg Boss) খ্যাত অভিনেত্রী তথা হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী (BJP Leader) সোনালি ফোগাটের (Sonali Phogat)মৃত্যু ঘিরে প্রতি মুহূর্তে রহস্য দানা বাঁধছিল। তদন্তে উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। সূত্রের খবর, সোনালিকে হত্যা (Murder) করেছেন অভিযুক্তরা। আর সে কথা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরই ব্যক্তিগত সহকারী (সিএ) অভিযুক্ত সুধীর সাংওয়ান।
পুলিস সূত্রে খবর, ফোটোশ্যুটের নাম করে গোয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। আদৌ কোনও ফোটোশ্যুট ছিল না। খুন করার পরিকল্পনা করেই সোনালিকে গুরুগ্রাম থেকে গোয়ায় নিয়ে যান তাঁরা। পুলিসি জেরায় সে কথা নিজেই স্বীকার করেছেন সুধীর।
প্রথমে জানা গিয়েছিল, গত ২৩ শে অগাস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হয়ে মৃত্যু হয়েছিল সোনালি ফোগাটের। এরপর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয় ময়নাতদন্ত। রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এরপরই গ্রেফতার (Arrested) করা হয় মূল দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর ও আরও এক সহযোগী সুখবিন্দর সিংকে। এরপর সোনালির এক রেস্তোরাঁ মালিক এডউইন নুনেজ এবং সেই সঙ্গে দত্তপ্রসাদ গাওঁকর ও রামদাস মান্দ্রেকর নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, গোয়ার অঞ্জুনা সমুদ্র সৈকতে বিখ্যাত রেস্তোরাঁ-কাম-নাইটক্লাব কার্লিতে অভিযুক্তরা সোনালিকে মেথামফেটামিন ড্রাগ (মেথ) পান করতে বাধ্য করেছিলেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এবং জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সেই ছবিও সামনে এসেছে।
অভিযোগ, কোভিশিল্ড টিকা (Covishield Vaccine) নেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তাই এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে (Bombay High Court) মামলা করেন এক ব্যক্তি। সেই মামলায় হাইকোর্ট সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (Serum Institute of India) এবং মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (Bill Gates), এইমস-র ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া (Randeep Guleria), ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI) প্রধান ভিজি সোমানি (VG Somani) এবং অন্যদের নোটিশ পাঠাল।
অভিযোগকারী দিলীপ লুনাওয়াত নামের ওই ব্যক্তি ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা। তিনি আদালতে অভিযোগ করেন, কোভিশিল্ড টিকা নেওয়ার পরই নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে পেশায় চিকিৎসক তাঁর মেয়ের। সে কারণেই মেয়ে স্নেহাল লুনাওয়াতের মৃত্যু হয়েছে বলেও কোর্টে দাবি করেন তিনি।
দিলীপ বাবু জানান, তাঁর মেয়ে ধামনগাঁওয়ের এসএমবিটি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালে শিক্ষকতা করতেন। আর ওই হাসপাতালে যাঁরা পড়াতেন তাঁদের সকলকে টিকা নিতে একপ্রকার বাধ্য করা হয়। যে কারণে টিকা নিয়েছিলেন স্নেহালও।
জানা গিয়েছে, স্নেহাল গত বছর ২৮ জানুয়ারি টিকা নিলেও পয়লা মার্চ টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয় বলে দাবি করেন তাঁর বাবা। দিলীপের আরও দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে টিকাগুলি নিরাপদ। কিন্তু তার পরেও তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছেন।
খুনের মামলায় ৩০২ (IPC 302) ধারায় সাজা হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Jail Term)। দোষীদের এই সাজা দিয়েছিল মধ্য প্রদেশের এক নিম্ন আদালত। এবার সেই রায়ের বিরোধিতা করে মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টে (Madhya Pradesh High Court) দরবার করে আসামিপক্ষ। এই আবেদনকালে অপরাধীরা ৭ বছর জেল খেটে ফেলেছে। তাই যাবজ্জীবন থেকে ৭ বছর কমিয়ে নতুন সাজা বহাল করে হাইকোর্ট। এবার হাইকোর্টের এই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দরবার করে মধ্যপ্রদেশ সরকার। শীর্ষ আদালত নিম্ন আদালতের যাবজ্জীবনই বহাল রাখল শুক্রবার।
এই মামলায় শুক্রবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এমআর শাহ এবং কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চ জানায়, নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকবে। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলায় অভিযুক্ত দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত।
৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্তদের সর্বনিম্ন সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড। এর ব্যতীত সেই সাজা ৩০২ ধারায় অন্তর্ভুক্ত হয় না। এবং এই ধরনের দোষীদের সাজার যথাযোগ্য মূল্যায়নও সম্ভব নয়।
ছাত্রকে লাঞ্ছিত (assaulting) করার অভিযোগে একটি বেসরকারি স্কুলের একজন শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষককে (teacher and a headmaster) গ্রেফতার (arrested) করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, ছাত্রের পরিবার এবং স্কুলের অন্য এক শিক্ষক এই ঘটনায় পৃথক এফআইআর (FIR) দায়ের করেন। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাজস্থানে। বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের হয়েছে।
সার্কেল অফিসার কানহাইয়ালাল বলেন, 'স্কুলের প্রার্থনাসভা চলাকালীন, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আশিস তেটওয়াকে অভিযুক্ত শিক্ষক সঠিকভাবে লাইনে না দাঁড়ানোর জন্য চড় মেরেছিলেন। আশিস এর প্রতিবাদ জানালে তাঁকে প্রধান শিক্ষক সাগরমল ও অভিযুক্ত শিক্ষক প্রদীপ, কক্ষে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের সদস্যদের।
যদিও স্কুলের অন্য একজন শিক্ষক ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ করেছেন, ওই ছাত্রই সেদিন শিক্ষককে চড় মেরেছিলেন। পুলিস জানায়, উভয় মামলাই তদন্ত করা হচ্ছে।
আর্থিকবৃদ্ধির (Financial Growth) অর্থের ভারত ছাপিয়ে গেল ব্রিটেনকে (Britain)। বিশ্ব অর্থনীতির ক্রমতালিকায় পঞ্চম স্থানে ভারত (Indian Economy)।দেশের জাতীয় গড় উৎপাদন (GDP) বা জিডিপির পরিসংখ্যান-সহ যে তালিকা পেশ হয়েছে, সেই তালিকায় বিট্রেনের স্থান ষষ্ঠ। এই তালিকা তৈরির গোটা হিসেবনিকেশ দেখানো হয়েছে আমোরিকান ডলারে। ব্রিটেনে গত কয়েক মাস ধরেই রাজনৈতিক টানাপোড়েন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদে বরিস জনসনের উত্তরসূরি কে হবেন, তাই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। যিনিই মসনদে বসুন না কেন, তাঁকে এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে খুব দাপটের সঙ্গে।
বর্তমানে কোভিড-ধাক্কাকে কাটিয়ে চলতি অর্থবর্ষেও ভারতীয় অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধির সম্ভাবনা। প্রায় সাত শতাংশ হারে বাড়তে পারে আর্থিকবৃদ্ধি। বর্তমান রির্পোর্টে বলা, দেশীয় অর্থভাণ্ডারে চিনকে ছাপিয়ে বিশ্বের উন্নয়নশীন রাষ্ট্রের শিরোপা পেতে চলেছে ভারত। জানা গিয়েছে, বিশ্ব পরিসংখ্যানে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ১৩.৫%, এপ্রিল-জুন মাসের জিডিপির বহর গত বছরের তুলনায় বেড়ে হয়েছে ১৩.৫%। অতএব স্পষ্টই বেঝা যাচ্ছে কোভিডের ধাক্কা ফের কাটিয়ে উঠেছে ভারত।
প্রকাশিওত তথ্যে উল্লেখ, হোটেল, পরিবহণ ব্যবসা, যোগাযোগ এবং পরিষেবার মতো যে সব ক্ষেত্র অতিমারির জেরে সব চেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছিল ভারত এবং লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও বিশাল ধাক্কার মুখে সারা বিশ্ব, সেখানেও পরিস্থিতির ইতিবাচক বদল ঘটেছে।
পঞ্জাবে (Punjab) দেশীয় অস্ত্র চোরাচালান র্যাকেট (smuggling racket) ফাঁস করল পুলিস। ডিজিপি গৌরব যাদব শুক্রবার বলেছেন, 'পঞ্জাব পুলিস মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) দুই বাসিন্দাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার (Arrested) করেছে এবং অস্ত্র তৈরি এবং চোরাচালান র্যাকেটের পর্দা ফাঁস করেছেন তাঁরা।'
তিনি আরও বলেন, 'পঞ্জাব পুলিসের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট মধ্যপ্রদেশ পুলিসের সহায়তায় দু'জনকে গ্রেফতার করেছে। অস্ত্র তৈরির পাশাপাশি পঞ্জাব এবং অন্যান্য রাজ্যে অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে জড়িত ছিল অভিযুক্তরা।'
গ্রেফতার হওয়া দু’জন হলেন খরগাঁয়ের রাতোয়া গ্রামের ভোরেলাল ওরফে মনীশ বাদে এবং বুরহানপুর জেলার দত্ত পাহাড়ি গ্রামের কৈলাস মাল সিং। তাঁদের কাছ থেকে ৩২ বোরের ৫৫টি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিস। এই বিষয়ে, ১০ অগাস্ট অমৃতসরে আইপিসি এবং অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে। ডিজিপি বলেন, 'অভিযান চলছে এবং আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।'
পঞ্জাব পুলিস একটি বিবৃতিতে বলেছে, 'অপরাধ ও মাদকমুক্ত করার জন্য এই অবৈধ অস্ত্র এবং মাদক সরবরাহ নেটওয়ার্কগুলিকে উচ্ছেদ করা যথেষ্ট প্রয়োজন। তার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন দল কাজ শুরু করেছে।'
বড় ঘোষণা! মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে কেন্দ্রের নয়া সিদ্ধান্ত। এতে লাভবান হবেন কেন্দ্রীয় মহিলা কর্মচারীরা (Female Central Government Employees)। ঘোষণায় বলা হয়েছে, জন্মের কয়েকদিনের মধ্যে একটি শিশুর মৃত্যু (Infant Death) হলে বা প্রসবকালীন সদ্যোজাতের মৃত্যু হলে মায়েদের ৬০ দিনের সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি (Special Maternity Leave) দেওয়া হবে। কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকের এমনই সিদ্ধান্তের কথা শুক্রবার জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, কর্মীবর্গ আরও জানিয়েছে, মৃত সন্তান প্রসব করা বা প্রসবের কয়েকদিন পর সন্তানের মৃত্যু হলে একজন মা-এর মানসিক স্থিতিশীলতা থাকেনা। অসম্ভব মানসিক যন্ত্রণা ও শোকের মধ্যে কাটাত্বে হয় মাকে। তাই সেসময় একজন মায়ের দরকার প্রয়োজনীয় বিশ্রাম এবং পরিষেবা। সেই কারণেই এই সবেতন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রক থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই স্পর্শকাতর বিষয়টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ করে তারপর একটি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গিয়েছে। তবে, নতুন এই নিয়ম চালু হবে শুধুমাত্র দুইয়ের কম জীবিত সন্তান থাকা অবস্থাতেই। দুটি সন্তান হওয়ার পর তৃতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে কেউ এই সুবিধা পাবেন না।
এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে উঠে আসছে নানা প্রশ্ন। নির্দেশিকায় বলা অনুযায়ী, যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ইতিমধ্যে সন্তানের মৃ্ত্যুর আগে পর্যন্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়ে থাকেন, তবে তাঁকে মেডিক্যাল সার্টিফিকিট দিতে হবে। সন্তানের মৃত্যুর দিন বা মৃত সন্তান প্রসবের দিন থেকেই ৬০ দিনের সবেতন ছুটির মেয়াদ শুরু হবে। অন্যদিকে, জন্মের বেশ কয়েকদিন পর যদি সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রে মায়ের ছুটির মেয়াদ বেড়ে ২৮ দিন করা হবে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জন্মের ২৮ দিন পর একটি শিশুর মৃত্যু হলে তবেই পাওয়া যাবে ২৮ দিনের ছুটি। গর্ভাবস্থায় ২৮ সপ্তাহের পরে বা তারও পরে ভ্রুণের মৃ্ত্যু হলে সে ক্ষেত্রে একজন মা মৃত সন্তান প্রসব করেছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।
নাম, যশ-এর লোভে মানুষ কী না করতে পারে? লাইম লাইটে আসতে গিয়ে একের পর খুন (Murder) করেছেন ওই ব্যক্তি। শেষমেশ পুলিসের (Police) জালে ধরা পড়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন অভিযুক্ত ওই 'সিলিয়ার কিলার' (Serial killer)। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সাগর জেলায়।
উল্লেখ্য, ওই এলাকায় ত্রাস হয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন তিনি। তদন্তে জানা গিয়েছে, কেবল নিরাপত্তারক্ষীরাই ছিল তাঁর টার্গেট। তবে খুন করার জন্য কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতেন না। কেবল হাতুড়ি, পাথর এবং কোদাল দিয়ে তাঁদের মাথা থেঁতলে খুন করতেন অভিযুক্ত। যখন রাতে নিরাপত্তারক্ষীরা ঘুমাতেন তখনই তাঁদের উপর আক্রমণ করতেন।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তিন জন নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করেছেন অভিযুক্ত। জেরায় অভিযুক্ত দাবি করেছেন, একের পর এক খুন করে ‘বিখ্যাত’ হতে চেয়েছিলেন। অভিযুক্তের ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে শুক্রবার ভোররাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিস।
সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার বড়সড় ধাক্কা খেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তির জন্য উপযুক্ত জায়গা কলকাতা হাইকোর্ট। এই মন্তব্য করে শুভেন্দুর আবেদন ফেরালো শীর্ষ আদালত। নন্দীগ্রামের বিধানসভা ভোট গণনাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলা ভিনরাজ্যে স্থানান্তরের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে হাইকোর্টেই মামলা ফেরাল শীর্ষ আদালত। এরপরেই পিটিশন প্রত্যাহার করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম আসনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনে SC আদেশ দিতে অস্বীকার করেছে। তিনি পিটিশন প্রত্যাহার করেন।
শুভেন্দুর নির্বাচনকে কলকাতা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন মমতা। সুভেন্দু দাবি করেছিলেন যে বিষয়টি অন্য কোনও হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হোক।