আগে থেকে কোনও খবরও দেওয়া হয়নি। সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনে হঠাৎই হাজির রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে হাজির হয়ে তাঁর একটাই কথা মনে হয়েছে, এটি চিকিৎসকের চেম্বার নাকি বাড়ির শোওয়ার ঘর?
দীর্ঘদিন ধরে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠছিল। তাই মঙ্গলবার রাতে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব আচমকাই হাজির হন হাসপাতালে। সুপারের অফিসে গিয়ে দেখলেন, রোগী দেখার বদলে অফিসেই মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করছেন। হাসপাতালের যত্রতত্রে পড়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। রোগীরা শুয়ে রয়েছেন হাসপাতালের মেঝেতে। কুকুর, বিড়াল অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন বলেই সাংবাদিদের জানান নীতীশ কুমার মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজস্বী।
হাসপাতালের ওয়ার্ডে প্রবেশ করতেই রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা মন্ত্রীর কাছে হাসপাতালের ব্যবস্থা, অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার, চিকিৎসক-ওষুধ অমিল থাকার মতো নানা অভিযোগ জানান। মহিলারা জানান, হাসপাতালের শৌচাগার এতটাই নোংরা যে তাদের বাইরের পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। হাসপাতালের ফার্মেসিতে অধিকাংশ ওষুধই অমিল থাকে, তাই বাইরে থেকেই ওষুধ কিনতে হয়। পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে।
হাসপাতালগুলির বেহাল দশার কথা বলতে গিয়ে তেজস্বী বলেন, 'স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো হাসপাতালে আসেন। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে রাজ্যের আগের সরকার যে মিথ্যা দাবি করত, তা ধরা পড়ে গিয়েছে। আমাদের সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফিরিয়ে আনবে।' এমনকি তিনি কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।
বৌমা জোরে আওয়াজ দিয়ে টিভি দেখছিলেন। আর শাশুড়ি (Mother-in-law) টিভি বন্ধ করে দেওয়ায় রেগে আগুন। যার জেরে এমন ঘটনা ঘটিয়ে বসবেন বৌমা, তা ভাবাও যায় না। বৌমার কীর্তি শুনে হতবাক সকলে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা রাগে বৃদ্ধা শাশুড়ির তিনটি আঙুল কামড়ে দেন। পুলিস সূত্রে এমনটাই খবর। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) থানে (Thane) জেলার অম্বরনাথে।
শিবাজি নগর থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ব্রুশালি কুলকার্নি বাড়িতে ভজন পাঠ করছিলেন। আর সেসময় পুত্রবধূ বিজয়া কুলকার্নি (৩২) টেলিভিশন দেখছিলেন। আওয়াজ জোরে হওয়ায় শাশুড়ির ভজন পাঠে অসুবিধে হয়। তখন তিনি কমাতে বলেন আওয়াজ। এরপর শুরু হয় ঝগড়া।
ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছয় রেগে শাশুড়ি টিভি বন্ধ করে দেন। তখন ঘটে যায় বিপত্তি। শাশুড়ির হাত ধরে তাঁর তিনটি আঙুল কামড়ে দেন। এমনকি বিজয়া তাঁর স্বামীকেও চড় মারেন, দুজনের ঝগড়ার মধ্যে ঢোকার জন্য।
আহত শিবাজিনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি অপরাধ নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে।
খাবার নিয়ে পুরুষ পরিচারিকার (domestic help) উপর চিৎকারের পরিণতি যে মৃত্যু (Death) হতে পারে, তা হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করেননি দম্পতি। ঘুমের মধ্যেই দম্পতিকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা (Murder) করেন অভিযুক্ত ওই ৪০ বছর বয়সী পরিচারিকা। এবং দম্পতির মেয়ের উপরেও হামলা চালান বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) গুমলা জেলায়।
গুমলার মাঝগাঁও জামতলী গ্রামে বসবাস করেন নিহত দম্পতি রিচার্ড মিঞ্জ এবং মেলানি মিঞ্জ। তাঁদের বাড়িতেই পরিচারিকার কাজ করতেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। সোমবার গভীর রাতে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে ফেলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিসের হাতে তুলে দেন তাঁকে। কুড়ুলের আঘাতে ঘরের মধ্যেই মারা যান রিচার্ড এবং মেলানি। তাঁদের মেয়ে তেরেসা গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে রাঁচির একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
একজন পুলিস অফিসার জানিয়েছেন, সত্যেন্দ্র লাকড়া নামে অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন, কিছু দিন আগে খাবার নিয়ে রিচার্ড মিঞ্জের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়েছিল। এবং তারপরই সে পরিকল্পনা করে ওই পরিবারকে আক্রমণ করেন। যদিও তিনি সেসময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলার সময় ব্যবহৃত কুড়ুল পুলিস উদ্ধার করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বাজি ফাটানো নিয়ে কড়াকড়ি সত্ত্বেও গত বছর অন্য চিত্রই দেখা গিয়েছিল রাজধানী দিল্লিতে। দীপাবলিতে (Diwali) দিল্লিতে সবরকমের বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ (Firecrackers banned) করেছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু সেসব তোয়াক্কা না করেই দেদার দীপাবলির রাতে দিল্লির আকাশ ঢেকেছিল কালো ধোঁয়ায়। দূষণ মাত্রায় বিশ্বের মধ্যে দিল্লি (Delhi Pollution) রয়েছে প্রথমে। আর তাই এবার আরও কড়াকড়ি দিল্লি সরকার।
দিল্লিতে আগামী বছরের ১ লা জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে বাজি, পটকা বিক্রি এবং ডেলিভারি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের বাজি উৎপাদন, স্টোরেজ, বিক্রি এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী (Delhi Environment Minister) গোপাল রাই (Gopal Rai) এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, “দিল্লির মানুষকে দূষণের বিপদ থেকে বাঁচাতে গত বছরের মতো এবারও সব ধরনের পটকা উৎপাদন, মজুদ, বিক্রি ও ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাতে দূষণের হাত থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো যেতে পারে। এ বার দিল্লিতে অনলাইনে পটকা বিক্রি এবং ডেলিভারি নিষিদ্ধ করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞা ১ জানুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য দিল্লি পুলিস, ডিপিসিসি এবং রাজস্ব বিভাগের সঙ্গে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।”
৩০ শে অগাস্ট (August) মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর বাস স্ট্যান্ডে প্রাতঃরাশ সারতে এসেছিলেন বংশবাহাদুর। এক পেট খিদে নিয়ে রাকেশ সামোসা দোকানে আসেন বংশ, সেখানেই শুরু হয় গোলমাল। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, শিঙাড়া কেনার পর চামচ ও প্লেট চাইতেই দোকান থেকে মানা করে দেওয়া হয়। দোকানের থেকে তাকে বলা হয়, এ সব দেওয়া হয় না। কিন্তু ঘটনা ক্রমেই এগোয় এবং তিনিও ছাড়ার পাত্র নয়। বলেন যে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাইবেন। অনেক বিবাদের পরও চামচ, প্লেট না পেয়ে রাগের মাথায় সোজা ফোনই করে দেন মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইনে।
ফোন তুলতেই নিজের অভিযোগ নথিভুক্ত করেন বংশবাহাদুর। বলেন, 'আমি একটি অত্যন্ত গুরুতর ঘটনার অভিযোগ জানাচ্ছি। শিঙাড়ার দোকানে কেন প্লেট ও চামচ দেওয়া হবে না বলতে পারবেন? তা হলে খাব কী করে?'
মজার কথা হল যে মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইনে ওই অভিযোগ নথিভুক্তও হয়। কিন্তু খারিজ হয়ে যায় সেই অভিযোগ। কিন্তু ছতরপুর বাস স্ট্যান্ডের ওই শিঙারার দোকানে প্লেট ও চামচ দেওয়া হচ্ছে কি না তা এখনও অজানা।
১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে প্রথমে গলা কেটে খুনের চেষ্টা (Murder)। তারপর মুখে অ্যাসিড (Acid Attack) ঢেলে দেওয়ার অভিযোগে উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) নেলোর জেলার ভেঙ্কটাচালাম গ্রামে। জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটির পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিসি হেফাজতে (Arrested) নেওয়া হয়েছে তাঁকে।
মেয়েটিকে প্রথমে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অ্যাসিড হামলায় মুখ পুড়ে যায় মেয়েটির। বর্তমানে কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকরা।
নেলোরের পুলিস সুপার বিজয়া রাও জানিয়েছেন, “ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। পরিচিত এক ব্যক্তি ওই কিশোরীর উপর হামলা চালায়। প্রথমে তার মুখে অ্যাসিড ঢেলে, তারপর গলা কাটা হয় বলে অনুমান। প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে কিশোরীর বাবাকে খবর দেন। এরপর দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান মেয়েটির বাবা।”
তিনি আরও বলেন, কেন এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
সন্তানকে বাঁচাতে মা নিজের প্রাণেরও তোয়াক্কা করেন না। সন্তানের বিপদ বুঝলে সেখানে না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন একমাত্র মা-ই। আর সে কথাই ফের প্রমাণ করে দিলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) উমরিয়া জেলার এই মহিলা। ১৫ মাসের শিশুসন্তানকে বাঁচাতে একাই লড়লেন বাঘের সঙ্গে। এই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে বান্ধবগড় অভয়ারণ্যে। ২২ বছরের মা এবং শিশু দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করানো হয়। যদিও এখন বিপদমুক্ত ১৫ মাসের সন্তান বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
গুরুতর আহত তরুণীর নাম অর্চনা চৌধুরি (Archana Chowdhury)। হাসপাতালে শুয়ে অর্চনা জানিয়েছেন, তাঁর ১০ মাসের শিশুপুত্রকে (Child) রবিবার পাশে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। ভোরের দিকে হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে পড়ে বাঘ। তাঁর ছেলেকে মুখে করে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় শব্দে ঘুম ভেঙে যায় অর্চনার। সে তীব্র চিৎকার করে বাঘের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আগপিছু না ভেবেই বাঘের পিঠে, মুখে মারতে থাকেন। সেসময়, ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ।
চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। লাঠিসোটা নিয়ে ছুটে আসতে দেখেই বাঘ ভয়ে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। অর্চনার স্বামী ভোলাপ্রসাদ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর কোমরে-হাতে এবং পিঠে আঘাত লেগেছে। আর তাঁদের সন্তানের ঘাড়ে এবং মাথায় আঘাত লেগেছে।
বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভের অধিকর্তা বিএস অ্যানেগিরি জানিয়েছেন, বাঘটি অনেকদিন ধরে ওই এলাকায় খাবার শিকার করতে এলেও আগে আগে কখনও মানুষকে আক্রমণ করেনি। ঘটনার দিন একটি গবাদি পশুকে শিকার করতে গিয়ে ব্যর্থ হয় বাঘটি। তাতে ক্ষুণ্ণ হয়েই সহসা এই আক্রমণ বলে মনে করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উমারিয়া জেলা হাসপাতাল থেকে অর্চনাকে জব্বলপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছে। পিঠে এবং পেটে গুরুতর আঘাত রয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার দিল্লিতে ৪ দিনের সফরে এসেছেন। তাঁকে বিমানবন্দর থেকে অভ্যর্থনা জানিয়ে সসম্মানে শহরে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসিনা দিল্লিতে এসে খুশি। বারবার তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে বন্ধু হিসেবে ভারতের কথা। তিনি আশা করেছিলেন, তাঁর আমন্ত্রণে হয়তো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে আসবেন। কিন্তু পরে জানালেন, হয়তো এবার দেখা হলো না, পরে নিশ্চয় যোগাযোগ হবে। হাসিনা মমতাকে নবনির্মিত পদ্মা নদীর উপর সুবিশাল সেতুটি দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের কথা শেখ হাসিনার। সম্প্রতি প্রবল অর্থনৈতিক সংকট এবং পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধিতে চিন্তিত শেখ হাসিনা।
খবরে প্রকাশ, চিন অর্থনৈতিক ভাবে শ্রীলংকার পাশে দাঁড়ানোর পরে সে দেশে এমনই অবস্থা হয়েছিল, যা গৃহযুদ্ধের পথে দেশকে নিয়ে গিয়েছে। হাসিনা অবশ্য জানিয়েছেন তাঁদের দেশে সেই সমস্যা নেই। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার বিএনপির সঙ্গে একাধিক মৌলবাদী দল এখন সে দেশে গাঁটছড়া বেঁধেছে। আলোচনায় এ দেশের প্রধানমন্ত্রীর সহোযোগিতা চাইতে পারেন হাসিনা।
কিন্তু সব থেকে তাৎপর্য্যপূর্ণ বিষয়, হাসিনার মুখে কিন্তু আজও ৭১-এর স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্ধের কথা যেখানে নিঃসন্দেহে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা ভুলতে নারাজ হাসিনা। এদেশে আসার আগে এক সাক্ষৎকারে সে কথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি ভুলতে পারেন না ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার নির্মম ঘটনাও। সেবারেও ইন্দিরা তাঁদের দুই বোনকে এ দেশে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এবারের সফরে এসে সেদিনের কথা তাঁর মুখে উঠে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক চিরকাল ভালো রাখতেও আগ্রহী তাঁর সরকার। আজকের বৈঠকের পর আলাদা করে ফের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হতে পারে। সোমবার সন্ধ্যায় হাসিনার সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল।
এবার প্রধানমন্ত্রী পদের ভোটের ফল প্রকাশ হল ব্রিটেনে। মোট ১,৭২,৪৩৭ ভোটারের মধ্যে লিজ ৮১,৩২৬ (৫৭.৪ শতাংশ) এবং সুনক ৬০,৩৯৯ (৪২.৬ শতাংশ) ভোট পেয়েছেন, বাতিল হয় ৬৫৪টি ভোট।
ব্রিটেনের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে (Liz Truss) শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিটেনের রক্ষণশীল দলের নেতা নির্বাচনের ভোটাভুটিতে জয়ী লিজ ট্রাস।
Congratulations @trussliz for being chosen to be the next PM of the UK. Confident that under your leadership, the India-UK Comprehensive Strategic Partnership will be further strengthened. Wish you the very best for your new role and responsibilities.
— Narendra Modi (@narendramodi) September 5, 2022
সেমবার টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, 'ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য লিজ ট্রাসকে অভিনন্দন, আমার বিশ্বাস, আপনার নেতৃত্বে ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও মজবুত হবে।'
লিজ ট্রাস (Liz Truss) জনসনের নেতৃত্বাধীন বৈদেশিক বাণিজ্য সচিব পদে বহাল থেকে নেতৃত্ব দেন। পরে বিদেশ , কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ে সেক্রেটারি অব স্টেট পদোন্নতি পান তিনি।
বাণিজ্য সচিব থাকায় ব্রিটেন-ভারতের বাণিজ্যক সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। গত বছর মে মাসে বরিস জনসন সরকারের হয়ে ভারত-ব্রিটেন এনহ্যান্সড পার্টনারশিপে সই করেছিলেন। ভারত ও যুক্তরাজ্যর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করার কথাও তিনি বলেছিলেন।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইটা হয়েছিল ঋষি সুনক ও লিজ ট্রাসের (Liz Truss) মধ্যেই। মার্গারেট থ্যাচার এবং টেরেসা মের পর তৃতীয় মহিলা হিসেবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হবেন তিনি।
শুক্রবারের পর সোমবারেও সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়াল শীর্ষ আদালত। ইডির দায়ের করা মামলায় প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের বেঞ্চের নির্দেশ, 'চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না ইডি।'
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে অভিষেকের রক্ষা কবচ সোমবার অবধি বাড়িয়েছিল শীর্ষ আদালত। সোমবার সেই রক্ষাকবচ বাড়ল ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি। এদিন সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শুক্রবার যখন সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দেয়, তখন তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির ডাকেই হাজিরায় দিয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি ইডি দফতর থেকে বেড়িয়ে আসেন। তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
তিনি বলেন, 'এর আগে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল, এবার আদালতের নির্দেশে কলকাতায় ডেকেছে। এটা আমার নৈতিক জয়। আমি সমনের চিঠি বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছি। যদিও সংবাদ মাধ্যম আগেও খবরটা করেছে। বিজেপির একমাত্র পথের কাঁটা তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক ভাবে লড়তে পারছে না। তাই বারবার হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে তদন্তে সহযোগিতা করব, তিন বার কেন ৩০ বার ডাকলেও আসব। আমার স্ত্রীকেও তিন বার তলব করা হয়েছে। আগেও যে কথা বলেছি, আজকেও বলছি যদি ৫ পয়সাও নিয়ে থাকি প্রমাণ হয়, তাহলে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে রাখবেন, ফাঁসিকাঠে ঝুলবো। কিন্তু প্রমাণ করুন পাঁচ পয়সা নিয়েছি।'
তিনি জানান, ইডি-সিবিআই জুজু দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমি মাথা নত করার মতো ছেলে নই। দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ কী আমরা জানি। অনেক বাঙালির রক্তের বিনিময়ে দেশে স্বাধীনতা এসেছে। তাই আগের নিজের ছেলেকে দেশপ্রেমের পাঠ শেখান। আপনার ছেলে বিসিসিআইয়ের সচিব হয়েও দেশের পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার করেছেন। এভাবেই অমিত শাহকেও নিশানা বানান অভিষেক।
বছর তিনেক পর চার দিনের ভারত সফরে এলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সফরে পড়শি দু’দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জলবণ্টন, রেল, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি খাতে একাধিক চুক্তি সই করা হতে পারে। রবিবার জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, 'আশা করব, শেখ হাসিনার সফর সফল হবে। আমাদের লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করবে।' জ্বালানি নিয়েও দু’দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা হতে পারে বলে জানান তিনি। দু’দেশের মধ্যে মউ স্বাক্ষর প্রসঙ্গে মোমেন জানান, এ নিয়ে আলোচনা চলছে। চুক্তির সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে।
এই সফরে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এদিকে, গোরু পাচার নিয়ে বাংলার রাজনীতি উত্তাল, শ্রীঘরে তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সেই পরিবেশে ভারত সফরের আগে গোরু পাচার নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমরা ভারতের গোরুর উপর নির্ভর করি না। সীমান্তে গোরু পাচার বন্ধ করতে হবে। আমরা উদ্যোগী হয়েছি। ভারতকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে।' তিনি জানান, আমরা নিজেরাই দেশে গোরু উৎপাদন করছি। এতে নিজেদের স্বনির্ভরতা বাড়বে এবং আর্থিক স্বাবলম্বী বৃদ্ধি পাবে।
নৃশংস, ভয়ানক এই শব্দগুলিও কম এই ঘটনার ক্ষেত্রে। একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দশম শ্রেণির ছাত্রের প্রেম (Love Relation), সেখান থেকে তৈরি শারীরিক সম্পর্ক। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা (Pregnent) হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। এরপর স্কুলের রেস্টরুমে মধ্যেই জন্ম দেন সন্তানের। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, জন্মানোর পরই নবজাতককে(baby) ফেলে আসেন স্কুল ঝোপে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (TamilNadu) কাড্ডালোর জেলার এক বালিকা হাইস্কুলের। ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর পরিবারের লোক এবং বন্ধুদের থেকে এ কথা লুকিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঝোপের মধ্যে ওই সদ্যজাতকে দেখতে পান স্কুলেরই এক ছাত্রী। এরপর স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষককে সে কথা জানান। এরপরই তড়িঘড়ি স্কুল কর্তৃপক্ষ খবর দেন পুলিসে।
পুলিস এসে ঘটনার তদন্ত করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। প্রথমে উদ্ধার করে নবজাতকের মৃতদেহ। পুলিসের সন্দেহ যায় স্কুলের ছাত্রীদের উপরই। সমস্ত ছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। তখনই একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী স্বীকার করে নেয় সন্তান জন্মের কথা।
জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর প্রেমিক একটি বেসরকারি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র। এর পরই ওই ছাত্রকে আটক করে পুলিস। তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে হাজির করা হয়েছিল। এবং পর্যবেক্ষণ হোমে রাখা হয়েছে তাকে। ওই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য কামারাজ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারা এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল তামিলনাড়ুর গ্রামের ওই সরকারি স্কুলে।
মোমো (Momo) ভর্তি প্লেট পড়ে যাওয়ায় খুন (Murder) হতে হল এক ব্যক্তিকে। শুনে অবাক হওয়ারই কথা। আর খুনের অভিযোগ উঠল ১৮ বছর বয়সি এক কিশোরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির (Delhi) রানহোলা এলাকায়। পুলিস (Police) সূত্রে খবর, নিহত ব্যক্তির নাম জিতেন্দ্র মেহতা (৪০)। তিনি মোহন গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার রাতে তিরঙ্গা চকের কাছে একটি রেস্তরাঁয় খেতে যান জিতেন্দ্র। প্লেট হাতে নিয়ে মোমো খাচ্চিলেন তিনি। সেসময় দুর্ঘটনাবশত তাঁর সঙ্গে ধাক্কা লাগে এক কিশোরের। এর ফলে যা হবার তাই হয়েছে। ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যায় মোমোর প্লেটটি। এরপর সেখান থেকেই সূত্রপাত ঘটে অশান্তির। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চরমে পৌঁছয় বচসা।
বচসা চলাকালীন ওই কিশোর উত্তেজিত হয়ে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে বসেন জিতেন্দ্রকে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ছুরিটি।
নৌকাডুবিতে মৃত্যু (Boat Capsized) হল দুই ব্যক্তির। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে চলে আসেন বলে জানা গিয়েছে। পরে বাকি দু'জনের মৃতদেহ (Death) উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় ওড়িশার (Odisha) পুরী (Puri) জেলার চিলকা হ্রদে (Chilika lake)।
জানা গিয়েছে, একদল লোক চিলকা হ্রদের একটি দ্বীপ কালিজাইকুদা থেকে ফিরছিলেন। তীর থেকে নৌকাটি মাত্র ৩ কিমি দূরে ছিল। সেসময় প্রবল বৃষ্টি এবং প্রবল হাওয়ায় ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে নৌকাটি ডুবে যায় বলে জানিয়েছে পুরীর পুলিস সুপার কেভি সিং।
নৌকাডুবির পর তিনজন নিখোঁজ হয়ে গেলেও তাদের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে চলে যায় বলে জানান কে ভি সিং। পরে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। যাঁদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এসপি।
প্রসঙ্গত, স্থানীয়রা নৌকার অন্তত ১০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এসপি আরও জানিয়েছেন, নৌকায় কতজন লোক ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (NCRB) রিপোর্ট অনুসারে গত বছর ওড়িশায় নৌকাডুবির ঘটনায় ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মেলায় ‘জয়রাইড’ ভেঙে (joyride broke down) ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident)। শিশু ও মহিলা-সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি রবিবার সন্ধ্যার পঞ্জাবের (Punjab) মোহালির ফেজ-৪ এলাকার দশেরা মাঠে (Dussehra ground)। একটি উঁচু স্পিনিং জয়রাইড ভেঙে রাত ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। আহতদের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে মোহালির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় প্রচুর ভিড় হয়েছিল। দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। যা দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা।
ডিএসপি হরসিমরন সিং বলেছেন, 'অনুমতি নিয়ে উদ্যোক্তারা মেলার আয়োজন করেছিলেন। কোনও গাফিলতি থাকলে বরদাস্ত করা হবে না। আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ করা হবে।'
উল্লেখ্য, প্রথমে ৪ সেপ্টেম্বর অবধি মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে তা ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে মেলা প্রাঙ্গণে নোটিস টাঙানো হয়েছে। অভিযোগ, মেলা প্রাঙ্গণে কোনও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা ছিল না। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।