
আমেরিকার (America) গুরুদ্বারে চলল গুলি, গুরুতর জখম দু'জন। সূত্রের খবর, প্রাথমিক অনুমান করা হয়েছে যে, এই ঘটনা বিদ্বেষমূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তবে তাঁদের গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রেমেন্টোর একটি গুরুদ্বারে রবিরার বেলা আড়াইটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে দুই ব্যক্তির মধ্যে কোনও ঝামেলার কারণেই এই ঘটনা। তবে ঠিক কোন বিষয়ে এই ঘটনা গোলা-গুলি পর্যন্ত গড়ায়, তা এখনও জানা যায়নি।
স্যাক্রেমেন্টোর শেরিফ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রেমেন্টোর এক গুরুদ্বারে দুজন মানুষ একে অপরকে গুলি করে। এই দুই ব্যক্তি একে অপরকে চিনতেন ও কোনও কারণে ঝগড়ার কারণেই তাঁরা একে অপরকে গুলি করেছেন। ঘটনাটিকে 'হেট ক্রাইম' হিসাবে বিবেচনা করেনি মার্কিন পুলিস। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
স্যাক্রেমেন্টো কাউন্টি শেরিফের দফতরের মুখপাত্র অমর গান্ধী দাবি করেছেন, ঝামেলাটি তিনজনের মধ্যে শুরু হয়েছিল। তার জেরেই গুলি চলেছে। প্রথম সন্দেহভাজন ব্যক্তি দ্বিতীয় সন্দেহভাজনের বন্ধুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাল্টা দ্বিতীয় সন্দেহভাজন ব্যক্তি প্রথমজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই একে অপরকে চিনতেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার পর এবার মিসিসিপিতে দেখা গেল বিধ্বংসী টর্নেডোর (Tornado) প্রভাব। প্রবল হাওয়া এবং ঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড হল মিসিসিপি (Mississippi)।
শুক্রবার মধ্যরাতে মিসিসিপি জুড়ে দমকা হাওয়ার সঙ্গে শক্তিশালী টর্নেডো ঝড়ের আবির্ভাব হয়। এই বিধ্বংসী ঘূর্নিঝড়ের কারণে কম করে ২৩ জনের মৃত্যু হয় এবং ৪ জন নিখোঁজও হয়। এছাড়াও প্রচুর মানুষ আহত হয়ে পড়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, টর্নেডোর ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে যায়।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে অনুমান, এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০০ মাইল এলাকা জুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই টর্নেডোর প্রভাব গিয়ে পড়েছে পশ্চিম মিসিসিপির সিলভার সিটি নামে একটি ছোট শহরে। যার কারণে গোটা শহরজুড়ে বিদ্যুৎহীন ছিল। এমনকি শক্তিশালী এই ঘূর্নিঝড়ের কারণে শহরের অনেক ঘর-বাড়ির নানান ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং প্রচুর গাছপালাও ভেঙে পড়েছে।
মাঝ আকাশে বিমান চালক(Pilot) হঠাত্ অসুস্থ! এক বিমান যাত্রী তথা পেশায় পাইলটের সাহায্যে এক যাত্রীবাহী বিমানকে নিরাপদে নামানো হয় এয়ারপোর্টে(Airport)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার(America)লাস ভেগাসে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের ৬৩০১ যাত্রিবাহী বিমানটি লাস ভেগাস থেকে ওহায়োর কলম্বাসে যাচ্ছিল। বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ বাদেই পাইলট অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বিমান চালানোর মতো কোনও অবস্থাতে ছিলেন না পাইলট। তাঁর অসুস্থতার খবর বিমানের যাত্রীদের মধ্যে পৌঁছতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই বিমানেই যাত্রীদের আসনে ছিলেন অন্য বিমানের এক পাইলট। তিনি সেই মুহূর্তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিমানটিকে নিরাপদে নামিয়ে আনতে সাহায্য করেন। লাস ভেগাস বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ওই পাইলটের পেটে যন্ত্রণা হচ্ছিল। তারপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মার সেই ঐতিহাসিক কথোপকথনের কথা মনে রয়েছে তো? মহাকাশ থেকে ভারতকে দেখতে কেমন লাগছে এই প্রশ্নের উত্তরে রাকেশ শর্মা বলেছিলেন, 'সারে জাঁহা সে আচ্ছা'। মহাকাশ থেকে আমাদের দেশকেই যে সবথেকে বেশি সুন্দর লাগে দেখতে, ফের একবার যেন তা প্রমাণিত। সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একটি ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছে, যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে আপনারও। এর আগেও এমন পৃথিবীর অনেক ছবি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে মহাকাশ সংস্থাগুলিতে। কিন্তু এবারের ছবিটির যেন এক আলাদাই আকর্ষণ রয়েছে। সমাজমাধ্যমে শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই এটি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। তবে কী এমন আছে ছবিতে?
জানা গিয়েছে, এই ছবিটি ২০১৬ সালের। আর তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে পৃথিবীর উপর মানুষের বসবাস। রাতের অন্ধকারে তোলা ছবিতে এক নীল রং-এর আভাও সাফ দেখা যাচ্ছে। এর থেকেও আশ্চর্য বিষয়টি হল, এখানে আমাদের দেশ ভারতকেই রাতের অন্ধকারে বেশি উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। আর ভারতের এমন দৃশ্য দেখে ভারতবাসীদের মন জুড়িয়ে গিয়েছে। ভারত ছাড়াও, ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকার আলো দেখা যাচ্ছে, তবে ভারতের মত অতটা উজ্জ্বল নয় এই আলো।
দু'দিন আগের শেয়ার করা এই ছবিতে ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষের বেশি লাইক পড়েছে, কমেন্টও এসেছে হাজার হাজার। কেউ লিখেছেন, 'আমাদের অপূর্ব সুন্দর পৃথিবী'। তবে ভারতীয়দের মুখে একটিই কথা, 'ভারতবর্ষই সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল' ('India Shining too bright')।
তৃতীয়বারের জন্য বাবা হলেন মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg)। জুকারবার্গ ও প্রিস্কিলা চ্যানের (Prischilla Chan) কোল আলো করে ফুটফুটে কন্যা সন্তান এসেছে। ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও মেটার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মার্ক জুকারবার্গ শুক্রবার নিজেই এই সুখবর সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন। শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে সন্ধ্যার দিকে এই জানান যে, তাঁদের এই কন্যা সন্তানের নাম দেওয়া হয়েছে অরিলিয়া চ্যান জুকারবার্গ।
শুক্রবার দুটো ছবি শেয়ার করেছেন জুকারবার্গ, সঙ্গে লিখেছেন ক্যাপশনও। প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে সদ্যজাত শিশুকে নিয়ে রয়েছেন জুকারবার্গ নিজে, মুখে তাঁর চওড়া হাসি, পরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর স্ত্রী প্রিস্কিলা চ্যান সন্তানকে নিয়ে শুয়ে রয়েছেন। মার্ক ক্যাপশনে লিখেছেন, 'অরেলিয়া চ্যান জুকারবার্গকে এই পৃথিবীতে স্বাগত। তুমি আশীর্বাদ।' এই ছবিটি সমাজমাধ্যম শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ও বয়ে গিয়েছে শুভেচ্ছাবার্তার বন্যা। এই ছবিতে ১০ লক্ষের উপরে লাইক এসেছে।
উল্লেখ্য, মার্ক জুকারবার্গ ও তাঁর স্ত্রীর আরও দুই কন্যাসন্তান হল ম্যাক্স ও অগাস্ট। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁর স্ত্রী তৃতীয়বারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর সমাজমাধ্যমে দিয়েছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, ম্যাক্স ও অগাস্টের জীবনে আগামী বছর ছোট বোন আসতে চলেছে। তাঁদের এই খবরে বেজায় খুশি হয়েছিলেন নেটিজেনরা।
জলের তলায় পারমাণবিক (atomic bomb) হামলা চালানোর অত্যাধুনিক অস্ত্রের মহড়া চালাল পিয়ংইয়ং। সমুদ্রের তলায় পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি বিশেষ ড্রোনের পরীক্ষামূলক মহড়া উত্তর কোরিয়ায় (North Korea)। এই অস্ত্রের হামলায় তেজস্ক্রিয় সুনামি ঘটবে বলে দাবি, উত্তর কোরিয়ার। তাই নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
কোরিয়ার একটি সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, অস্ত্র বহন এই ড্রোনের নাম রাখা হয়েছে ‘আনম্যানড আন্ডারওয়াটার নিউক্লিয়ার অ্যাটাক ক্র্যাফ্ট, হেইল’। আর এই ‘হেইল’ শব্দের অর্থ সুনামি। এই অস্ত্র পরীক্ষার সময় ৫৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জলের তলায় ছিল ড্রোনটি। জলের তলায় প্রায় ৮০ থেকে ১৫০ মিটার গভীরতায় ছিল ড্রোনটি।
শুক্রবারই এই অস্ত্রের কথা প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন সময় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ঘুম কেড়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে এবার এই দেশের হাতে এল নতুন অস্ত্র। জলের তলায় পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম এই ড্রোন। এমনকি ড্রোনের আঘাতে তেজস্ক্রিয় সুনামি ঘটবে বলে দাবি, উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের।
বিধ্বংসী টর্নেডো (Tornado) ঝড়ের দাপটে উড়ে গেল বাড়ির ছাদ। ক্যালিফোর্নিয়ার (California) এই বিধ্বংসী ঝড়ের ছবি ও ভিডিও (Viral Video) ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিওগুলিতে দেখা গিয়েছে, চারদিক থেকে পাক খেতে খেতে ধেয়ে আসছে টর্নেডো ঝড়। তার অভিমুখে থাকা সমস্ত কিছু নিমেষে উড়ে যাচ্ছে। এমনকি একাধিক বাড়ির ছাদ, জানালা, দরজা খুলে উড়ে যাচ্ছে টর্নেডোর হাওয়ায়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যেতে টর্নেডো ঝড় শুরু হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেবেলো শহরেকে পুরো লন্ডভন্ড করে দেয় এই ঝড়। এমনকি এই ঝড়ে আহত হন শহরের বেশ কিছু মানুষও। এছাড়াও ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে শহরেরে ২৫টি বাড়ি। সেই সঙ্গে বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়েছে শহরে। মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার টর্নেডোয় হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৫ মাইল। তাই ক্যালিফোর্নিয়ার আবহাওয়া অফিসের তরফ থেকে এই টর্নেডোকে অবশ্য ‘দুর্বল’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ টর্নেডো আরও শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক হয়। এই ঝড় ঘণ্টায় ৩০০ মাইল বেগে বইতে পারে।
সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ঝড় নিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ‘আমি চোখের সামনে দেখলাম, উঁচু উঁচু বহুতলের মধ্যে দিয়ে কীভাবে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি চরকির মতো পাক খাচ্ছে।’
এ কি কাণ্ড! আদালতে চলছে খুনের মামলার শুনানি, আর তারই মধ্যে কোর্ট রুমে আগমন লক্ষ্মীর বাহনের (Owl)। শুনতে অবাক লাগছে! এটাই ঘটেছে একটি আদালতে। কিন্তু এই ঘটনা এই দেশের নয়, ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রাকপান নামক জায়গায়। তবে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে কোর্ট রুমে ঢুকে পড়ল পেঁচা? আর কীভাবেই বা ঘটল এই ঘটনা?
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) ব্রাকপানের (Brakpan) একটি আদালতের কোর্ট রুমে সিলিং-এর গর্তে ঢুকে যায় একটি পেঁচা। এরপর তা ম্যাজিস্ট্রেটের দিকে উড়ে যায়, আর কোর্ট ভর্তি মানুষরা ছুটোছুটি করে চিৎকার করতে শুরু করেন। এ যেন এক্কেবারে সিনেমার দৃশ্য।
এই খবর এক পেঁচা উদ্ধারকারী সেন্টার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছে। সঙ্গে পেঁচার একটি ছবিও পোস্ট করেছে। তারাই ক্যাপশনে জানান, তাদের কাছে একটি পেঁচার উদ্ধারের খবর এসেছিল, এরপর তারা সেই কোর্ট রুমে গিয়ে পেঁচাকে উদ্ধার করেছে। আর সেসময়েই তাঁরা শুনতে পান যে, সেখানে তখন এক খুনের মামলার শুনানি চলছিল।
সোশাল মিডিয়ায় এই খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নেটিজেনদের। নেটিজেনদের একাংশ অবাকই হয়েছেন যে, এমন কাণ্ডও ঘটতে পারে বলে। কেউ লিখেছেন, এই পেঁচার যদি নাম দিতে হয়, তবে এটার নাম হওয়া উচিত, 'OIC' অর্থাৎ 'Order in court'। কেউ লিখেছে, 'এটা দেখতে খুবই সুন্দর। কেন তাঁরা কোর্টে রুমের মধ্যে চিৎকার করছে ভগবানই জানে? কোনও ক্ষতি করবে না এটা।' পেঁচাটিকে উদ্ধার করার জন্য এই উদ্ধারকারী দলকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
দাঁত মাজার ব্রাশ (Tooth Brush) দিয়ে জেলের দেওয়ালে গর্ত করে পালিয়ে গেলেন দুই বন্দি (Jail Inmates)। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার (America) ভার্জিনিয়া প্রদেশে। যদিও পালিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই একটি রেস্তোরাঁয় প্যানকেক খাওয়ার সময় পুলিস (Police) তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়ার পর দুই আসামি জানান, 'টুথব্রাশ এবং একটি ধাতব বস্তু ব্যবহার করেই জেলের ভিতরে গর্ত করেছিল তারা।'
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, জেল পালানো ওই দুই আসামির নাম জন গারজা এবং আরলি নিমো। মূলত গারজা আদালত অবমাননার জন্য এবং নিমো ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির জন্যই জেলের সাজা খাটছেন। সোমবার সন্ধ্যায় তারা দু'জন জেল থেকে পালিয়ে যান। জেল কর্তৃপক্ষর কানে পালানোর বিষয়টি পৌঁছতেই তাঁরা তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর ওই দুই আসামির কক্ষ তল্লাশি করে জেলের দেওয়ালে একটি গর্ত দেখতে পান তাঁরা। যদিও মঙ্গলবার ভোরবেলা জেলের কাছেই হ্যাম্পটন শহরের একটি রেঁস্তোরা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিস।
কথায় বলে পুরুষদের দাড়ি গোঁফ থাকা পুরুষত্বের লক্ষণ। যদিও বাঙালি পুরুষদের দাড়ির চেয়ে গোঁফ রাখারই প্রচলন বেশি। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশেও আলাদা আলাদা রকমের মানুষ পাওয়া যায় যাঁরা অদ্ভুত দর্শন দাড়ি-গোঁফ (Beard) রাখেন। দেশের এক এক অঞ্চলে এক এক ধরনের দাড়ি গোঁফের প্রচলন দেখতে পাওয়া যায়। রাজস্থানের মানুষদের যেমন দেখা যায় লম্বা লম্বা গোঁফের পাশাপাশি কানচাপা দাড়ি রাখতে, তেমনি আবার অনেক ভারতীয় মানুষকেই দেখা যায় চাপ দাড়ি রাখতে। তবে নিজের উচ্চতার চেয়ে দাড়ির উচ্চতা (World’s Longest Beard) বেশি এমন মানুষ কী দেখেছেন? বাস্তবে এমন কেশরাশির জন্য বিশ্বের দরবারে নজির গড়লেন ভারতীয় শিখ সারওয়ান সিং। যদিও বর্তমানে তিনি কানাডার (Canada) বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিশ্বের সব থেকে লম্বা দাড়ি থাকার কৃতিত্ব তাঁরই ছিল। নিজেই নিজের সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে আবারও জায়গা করে নিলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। সারওয়ানের দাড়ি লম্বায় ২.৫৪ মিটার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে আট ফুট। শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। দীর্ঘদিন ধরে পরিচর্যা করে যত্ন করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৭ বছর বয়স থেকে দাড়ি রাখা শুরু করেছেন। এরপর থেকে কোনওদিন দাড়ি কাটেননি। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, তেল সবরকমভাবে যত্ন নেন দাড়ির।
তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জানিয়েছেন, দাড়ি ঈশ্বরের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন। তাই সেটার উপর কোনওরকম কারুকার্য তাঁর পছন্দ নয়। যে জিনিস যেমন দিয়েছেন ঈশ্বর তেমনই রাখা উচিত বলে তিনি মনে করেন। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথম বিশ্বের সব থেকে লম্বা দাড়ি থাকার নজির গড়েন সারওয়ান। সেই সময় তাঁর দাড়ির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় আট ফুট। সারওয়ানের আগে এই নজির ছিল সুইডেনের বাসিন্দা বার্গার পেলসের। ২০১০ সালে সারওয়ানের দাড়ি লম্বায় আরও বেড়ে আট ফুটের বেশি হয়েছিল।
জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে প্রাণ (Death) হারালেন পাকিস্তানের এক গোয়েন্দা আধিকারিক। দু'পক্ষের মধ্যে অনবরত গুলি চলার কারণে জখম আরও সাত গোয়েন্দা। মঙ্গলবার রাতে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে (Pakistan) এই জঙ্গি হামলার(Attack) ঘটনা ঘটেছে। একদিকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা এবং অন্যদিকে জঙ্গির দল, যার কারণে অনবরত গোলাগুলি চলতে থাকে। আর এই গুলিবর্ষণের মাঝে পড়ে প্রাণ হারালেন ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স বা আইএসআই-এর উচ্চপদস্থ কর্তা মুস্তাফা কমল বারকি।
স্থানীয় সংবাদ সূত্রে খবর, এর আগেও এই অঞ্চলে জঙ্গিদের হামলা হয়েছে। অধিকাংশ হামলাগুলো তেহরিক-ই-তালিবান সংগঠনের থেকেই হয় বলে সন্দেহ। তবে এই জঙ্গি হামলার দায়ভার কোনও সংগঠন নেয়নি। এর আগে পেশোয়ারে একইরকম জঙ্গি হামলায় একাধিক পুলিসকর্মীর মৃত্যুর খবর মিলেছিল।
মোটরসাইকেল চুরি করার অভিযোগে গ্রেফতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক মেধাবী ছাত্র। তাঁর সঙ্গী আরও একজন বলে পুলিস সূত্রে খবর। দুজনে একত্রে সুকৌশলে, রীতিমতো চুরিবিদ্যা শিখে মোটরসাইকেল চুরি করেছে বলেই খবর।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন রেজা মহম্মদ সাইমুন বয়স ৩৫ এবং সাদমান সাকিব বয়স ২৯ বছর। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে খবর, অভিযুক্ত সাইমুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। কম্পিউটার সায়েন্সের মেধাবী ছাত্র হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ নামডাক ছিল তাঁর। তবে পড়াশোনা শেষপর্যন্ত করতে পারেনি সাইমুন। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মোট ৭টি মামলা চলছে। সাইমুনের সঙ্গী সাদমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ডিপ্লোমা ডিগ্রিও রয়েছে তাঁর। সাইমুনের মতো তাঁর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন থানায় মোট ৭টি মামলা রয়েছে।
অভিযোগ,সাইমুন এবং সাদমান ইউটিউবের মাধ্যমে সুকৌশলে মোটরসাইকেল চুরি করে। ইন্টারনেটের এই মাধ্যম কাজে লাগিয়ে ঢাকার নানা জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করেছে। মোটরসাইকেল চুরি করে অভিযুক্ত সাইমুন এবং সাদমান মুন্সিগঞ্জে বিক্রি করে দেন। শনিবার রাতে মিরপুরের রাইনখোলা বড় মসজিদের সামনে থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভয়াবহ ভূমিকম্প (Earthquake)। ভূমিকম্পের ফলে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু (death) হয়, আহত প্রায় ৩৮০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এক সংবাদ সংস্থা। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, শনিবার ভারতীয় সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিট নাগাদ ইকুয়েডরে (Ecuador) ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮।
সূত্রের খবর, ইকুয়েডরের ভূমিকম্পে ৪৪টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং ৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহতদের উদ্ধারের কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, শনিবার ইকুয়েডরে ভূমিকম্প হয়। আচমকাই কম্পনে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ে। এমনকি স্কুল, কলেজ, চিকিৎসা কেন্দ্রেও ফাটলের সৃষ্টি হয়। এমনকি ইকুয়েডরের পাশাপাশি কেঁপে উঠেছে পেরুর উত্তরাংশও।
আমেরিকান জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, ইকুয়েডরের বালাও শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মাটি থেকে ৬৬.৪ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন হয় এই ভূমিকম্প। উপকূলবর্তী এলাকাতেই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে। তবে এর ফলে এখনও পর্যন্ত সুনামির কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয়নি, দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তবে এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলেরমো লাসো টুইট করেছেন, এই দুর্যোগে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের যথাসম্ভব সাহায্য করবে সরকার।
'যুদ্ধ অপরাধী' তকমা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট (Russian Presedent) ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা (Arrest Warrant) জারি করেছে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (International Criminal Court)। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে চলবে মামলা। পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, 'তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন সেদেশের শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন।' যদিও মস্কো এই গ্রেফতারি পরোয়ানাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ।
উল্লেখ্য, একই অভিযোগে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সরকারি আইনজীবী করিম খান জানিয়েছেন, 'এই গ্রেফতারি পরোয়ানার জেরে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না পুতিন। বিশ্বের ১২৩টি দেশের যেখানেই পুতিন যাবেন, সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।'
ক্রেমলিনের দাবি, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা চিনের মতো আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সদস্য নয় রাশিয়া। ফলে ওই জারি করা পরোয়ানা কার্যকর করা রীতিমতো অনেকটা কঠিন।' রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জ়াখারোভা বলেন, ‘‘রাশিয়া এই আদালতের বিচারের আওতায় পড়ে না। তাই এই আদালত কী বলল তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’
স্বাভাবিকভাবে আদালতেই এই নির্দেশে আনন্দিত ইউক্রেন। সেদেশের সেনা আধিকারিক টুইটে জানিয়েছেন, 'এই সবে শুরু।' যদিও ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসন থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে আগামী দিনে পুতিনের উপর যে চাপ বাড়তে চলেছে তা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের নির্দেশ থেকে কিছুটা স্পষ্ট।
বর্তমান বিশ্বে অন্যতম বড় সমস্যা মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হারের নিরিখে দেশগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিক্স (World of Statistics)। যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হারের নিরিখে বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা (Argentina)। গত মাসে আর্জেন্টিনার বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আর্জেন্টিনার মুদ্রাস্ফীতি সূচকের বৃহত্তম অংশ হল খাবারের দাম। যা এক মাস আগের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মুদ্রাস্ফীতির তালিকায় আর্জেন্টিনার পরই রয়েছে তুরস্ক। ভারত ১০ নম্বর তালিকায়। কোন দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার কত, দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিক্স-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতির হারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। সেখানে জিনিসের দাম এক বছর আগের থেকে ১০২.৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তুরস্ক (৫৫.১৮)। এই দুই দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার অত্যাধিক বেশি। এরপর অবশ্য দেশগুলির মুদ্রাস্ফীতির হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া (১১ শতাংশ), এরপর যথাক্রমে ব্রিটেন (১০.১ শতাংশ), ইতালি (৯.২ শতাংশ), জার্মানি (৮.৭ শতাংশ)। অস্ট্রেলিয়া রয়েছে অষ্টম স্থানে (৭.৮ শতাংশ)। তালিকার দশম স্থানে রয়েছে ভারত, মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৪৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, এই বছরে রয়েছে আর্জেন্টিনায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ফলে মুদ্রাস্ফীতি একটি কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে উঠেছে। দেশের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে ভোটারদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।