বর্ষাকালের প্রথমদিকে সেইভাবে বৃষ্টি (rain) না হলেও, অগাস্টে বৃষ্টির দাপট ছিল। মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় থাকাতেই এই বর্ষণের দাপট বেড়েছিল। তবে ধীরে ধীরে সেই দাপট এবার কমতে শুরু করেছে। আর এরফলেই দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) জেলাগুলিতে কমবে বৃষ্টি, এমনটাই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এখনই নয়, শনিবার এবং রবিবার বিক্ষিপ্ত বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সোমবার থেকে আবার কমবে বর্ষার দাপট।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষণ কমতে শুরু করলেও উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে, আবহাওয়া দফতর। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, কালিম্পং-এ ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মূলত, শনিবার থেকে দার্জিলিং, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সর্বত্র সব জেলাতেই হবে বৃষ্টি।
এছাড়া, সোমবার থেকে বর্ষণের দাপট বেড়েছিল শহর কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের আকাশ মেঘলা। সঙ্গে রয়েছে অসহ্য গরম। এবার আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার থেকে তাপমাত্রার পারদ আরও চড়বে। একইসঙ্গে বাড়বে অস্বস্তিও। তবে এরই মধ্যে শনিবার এবং রবিবার বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯২ শতাংশ রয়েছে তার জেরেই তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে।
ফের উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আজ, শুক্রবার রাজ্যে কম বৃষ্টি হওয়ার ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার সকালের মধ্যে হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি তিন জেলা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার ও রবিবার হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন পাঁচ জেলার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দুদিন জেলাগুলিতে তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তন না হলেও পরের তিন দিনে তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রির মতো কমতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও বলা হয়েছে, শনিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ।
ফের তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের (South bengal) জেলাগুলিতে। আজ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজ্য়ে কমতে শুরু করবে বৃষ্টি (rain)। শনিবার থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর। অন্যদিকে, শুক্রবার থেকে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) হিমালয়ের পাদদেশের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) শুরু হবে। এই মুহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেখা রাজ্যের দক্ষিণে পুরুলিয়া থেকে ক্যানিং হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর অবস্থান করছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালের মধ্যে কালিম্পং-এ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে শুক্রবার থেকে উত্তরবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। আগামী তিন দিন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেও, তারপরের ২ দিন তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস বলা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও বলা হয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ শুক্রবার সকালের মধ্যে কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন না হলেও, এর পরে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি বাড়বে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতার আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি নিচে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ।
এক দশকের পরেও বাকি জ্ঞানেশ্বরী(Gyansehwari rail accident)) রেল দুর্ঘটনার সাক্ষ্য গ্রহণ। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, চলতি বছরে মার্চ মাস থেকে নিম্ন আদালতে(lower court) নেই বিচারক। বাকি রয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণও। বন্ধ শুনানি পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে। কি অবস্থায় তদন্ত? কি অবস্থায় রয়েছে মামলা? এর প্রেক্ষিতে সিবিআইকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata Highcourt)।
সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনার ১৪৮ জনের মৃত্যু হয় ১৭০ জন আহত হয়। রেল কর্তৃপক্ষ ২৫ কোটি টাকার সম্মুখীন হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। জ্ঞানেশ্বরী মামলায় জামিনের আবেদনে দ্বারস্থ হয় মোট ৫ জন। এরা হলেন মন্টু মাহাত, লক্ষ্মণ মাহাত, সঞ্জয় মাহাত,তপন মাহাত এবং বাবলু রানা। সেই মামলাতেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। রিপোর্টের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন। উল্লেখ্য এই মামলার বিচার চলছে মেদিনীপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের (আরডি কোর্ট অর্থাৎ রি-ডেজিগনেটেড কোর্ট) আদালতে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৭ মে গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের সরডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ঠিক ওই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির। মৃত্যু হয় জ্ঞানেশ্বরীর ১৪৮ জন যাত্রীর। ১৭০ জন যাত্রী আহত হন। উল্টো দিকের মালগাড়ির চালকও নিহত হন। অভিযোগ, মাওবাদী-মদতপুষ্ট জনসাধারণের কমিটির লোকজন আপ লাইনের প্যানড্রোল ক্লিপ ও ফিসপ্লেট খুলে দেওয়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস।
আপাতত দক্ষিণবঙ্গে নেই ভারী বৃষ্টির (rain) সম্ভাবনা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলাগুলিতে তাপমাত্রা (Temperature) বাড়তে শুরু করবে। তবে মঙ্গলবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) জেলাগুলিতে। কিন্তু উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আগামী দুদিন তাপমাত্রা বেশ খানিকটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া (weather) দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ, সোমবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বাকি দুই জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার কোথাও কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ২৩ অগাস্ট মঙ্গলবার সকালের মধ্যে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারের কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বাকি পাঁচ জেলায় হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৫ দিন হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেশি হতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস আপাতত নেই। আগামী দুদিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে তার পরের তিন দিন তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তন হবে না।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কোথাও প্রবল বৃষ্টি (Heavy Rain), কোথাও আবার জলের স্রোতে ভেসে গেল ব্রিজ। প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত বানভাসি (Flood) দশা হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), ঝাড়খণ্ড (Jharkhand), ওড়িশা (Odisha), উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বিস্তীর্ণ এলাকায়। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কার্যত ধস, প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার জেরে মৃত্যু (Death) হয়েছে মোট ৩১ জনের। আহত বেশ কয়েকজন, নিখোঁজ আরও অনেকে।
হিমাচল ছাড়াও উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) আগামী দিনে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে।
শুক্রবার থেকে ভারী বর্ষণের জেরে হিমাচল প্রদেশে কমপক্ষে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে একটি পরিবারের আট জন। জখম হয়েছেন আরও ১০ জন। মান্ডি জেলায় ছ’জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
প্রবল বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ হয়েছেন আরও ১০ জন। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। একাধিক গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরানো হয়েছে। ওড়িশায় বৃষ্টি বিপর্যয়ে চার জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে।
#WATCH | J&K: Flash-flood-like situation as Darhali river in Rajouri district overflows due to torrential rainfall in upper reaches of Pir Panjal mountain range (20.08) pic.twitter.com/oqANiF1pks
— ANI (@ANI) August 21, 2022
দুর্যোগ ঝাড়খণ্ডেও। প্রবল বর্ষণে ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। একাধিক জেলার নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পশ্চিম সিংভূমে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ ও পূর্ব রাজস্থানে রবিবার অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
ভয়াবহ গাড়ি বোমা (Car Bomb) বিস্ফোরণে নিহত পুতিন (Vladimir Putin) ঘনিষ্ঠ এক গোয়েন্দা কর্তার মেয়ে। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম দারিয়া দুগিন। ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine War) মাস্টারমাইন্ড আলেকজেন্ডার দুগিনের মেয়ে দারিয়া। স্পষ্টতই এই নাশকতার পিছনে ইউক্রেনীয় জঙ্গিদের হাত দেখছে মস্কো। প্রাথমিক তদন্তে রুশ পুলিস জানতে পেরেছে, মস্কোর অদূরে জাতীয় সড়কের এক ধারে পার্ক ছিল দারিয়ার গাড়ি। রাতের দিকে এক অনুষ্ঠানবাড়ি থেকে ফিরে সেই গাড়িতে উঠতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় সেই গাড়ি-সহ পাশের একটা ট্রাকেও আগুন ধরে যায়।
পুলিসের সন্দেহ, দারিয়া নয় বরং তাঁর বাবা আলেকজেন্ডার ছিলেন এই নাশকতার লক্ষ্য। কিছু সময়ের গরমিলে প্রাণ হারান দারিয়া দুগিন।
আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাদের কাছে অ্যালেকজান্ডার পুতিনের মাথা হিসেবে পরিচিত। ইউক্রেন যুদ্ধ-সহ রাশিয়ার পড়শি দেশগুলোকে ধমকে চমকে রাখা। প্রতি ক্ষেত্রেই রুশ সেনাকে পরিকল্পনা ছকে দেন আলেকজেন্ডার। পুতিন-ঘনিষ্ঠদের দাবি, আলেকজান্ডারকে খুনের এই হামলা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। পাল্টা জবাব দেবে রাশিয়া। অধুনা রুশ নিয়ন্ত্রিত ডনেৎস্কের গণপ্রজাতন্ত্রের প্রধান তথা পুতিন-ঘনিষ্ঠ ডেনিস পুশিলিনের দাবি, ইউক্রেনীয় জঙ্গিরাই আলেকজান্ডারের মেয়েকে খুন করেছে।
ইতিমধ্যেই এরাজ্যে নিম্নচাপের (Low pressure) প্রভাব পড়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিঘার কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) অতিক্রম করে গিয়েছে এই নিম্নচাপ। এটি পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার ওপরে দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়। তবে এবার আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই নিম্নচাপ উত্তর ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ের ওপরে থাকবে এবং তা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। নিম্নচাপের জেরে অগাস্টে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলেও, এখনও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি রয়ে গিয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ রবিবার সকালের মধ্যে দমকা হাওয়ার দাপট থাকবে না আর। এছাড়াও রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ ২১ অগাস্ট রবিবার সকালের মধ্যে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ ২২ অগাস্ট সোমবার সকালের মধ্যেও উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দু-এক পশলা বৃষ্টি অথবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ও ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রবল বর্ষণ (Heavy Rain) এবং হড়পা বানে (Flash Flood) ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীরের কাটরা, যার জেরে বন্ধ করে দিতে হয়েছে বৈষ্ণোদেবী যাত্রা। এবার ভয়াবহ বিপর্যয়ের খবর মিলল হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। সেখানে একইসঙ্গে বৃষ্টি, হড়পা বান এবং ধসের জেরে ৬ জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে। আরও ১৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। হরিমপুর জেলায় হড়পা বানে ২২ জন আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের অবশ্য উদ্ধার (Rescue) করা সম্ভব হয়েছে।
মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে জোরকদমে উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে তিনজন চম্বা জেলার। সেখানে হঠাত্ করে ধস (Landslide) নামায় বেশ কিছু বাড়ি মাটিতে মিশে যায়। তারই একটি বাড়ি চাপা পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। ধসের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হতে থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টে নাগাদ। অনেকেই তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তার মাঝেই এই বিপর্যয়। ফলে কেউই নিজেদের জীবন রক্ষা করার সুযোগটুকু পাননি। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে মান্ডিতে। সেখানে ভূমিধস, হড়পা বান এবং প্রবল বৃষ্টিতে একটি মেয়ের মৃত্যু হয়। কিন্তু আরও ১৩ জনের হদিশ নেই। তাদের মৃত্যু হয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে অন্তত আধ কিলোমিটার দূরে ওই মেয়েটির দেহ খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু তারই পরিবারের আরও পাঁচজনের কোনও খোঁজ নেই। তাদের সম্ভবত ভাসিয়ে বহু দূরে কোথাও নিয়ে গিয়ে ফেলা হয়েছে। আতঙ্কে বহু মানুষ নিজেদের বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
গোহার ব্লকের কাষান গ্রামে ধসের জেরে চাপা পড়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা। মাটি সরানোর পরই প্রকৃত পরিস্থিতি বোঝা যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
একের পর এক ধস এবং হড়পা বানের ফলে একাধিক রাস্তা যান চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। অজস্র গাড়িও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত। বহু মানুষ কার্যত গৃহবন্দি। ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিতেও।
মুষলধারে বৃষ্টি (Heavy Rain)। সঙ্গে হড়পা বান (Flash Flood)। এই দুইয়ের দাপটে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর। আর এর জেরে পুণ্যার্থীরা পড়েছেন সমস্যায়। বিশেষত রিয়াসি জেলার কাটরায় (Katra) এর জেরে বৈষ্ণোদেবী (Vaishnodevi) মন্দিরে পুণ্যার্থীদের যাতায়াত সাময়িক বন্ধ হয়ে গেল।
শুক্রবার রাতে আচমকাই জলের স্রোত শুরু হয়ে যাওয়ার মন্দির কর্তৃপক্ষ উপরে ওঠা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। একমাত্র নিচের দিকে আসা চালু রাখা হয়। ফলে অনেকে মাঝপথ থেকেই ফিরে আসতে বাধ্য হন।
অন্যদিকে, ওই সময় মন্দির চত্বরেও ছিলেন প্রচুর পুণ্যার্থী। বৃষ্টির দাপট সন্ধ্যা থেকে শুরু হলেও তা চলে মাঝরাত অবধি। ফলে শুধু হেঁটে যাওয়া পুণ্যার্থীদের জন্যই নয়, ব্যাটারিচালিত গাড়ির যাতায়াতও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরিস্থিতির মোকাবিলায় নামানো হয় পুলিস এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্স। পরিস্থিতির উপর সবসময় কড়া নজর রাখা হচ্ছে। শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর জেরে এখনও পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। পুণ্যার্থীরা যাতে কোনওভাবে বিভ্রান্ত না হন, তার জন্য প্রতিনিয়ত মাইকে পরিস্থিতির কথা জানানো হচ্ছে। সতর্ক করা হয়েছে মেডিক্যাল এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমকে।
তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের যাত্রী শুরু করা হবে, এমনটাই আশ্বাস মিলেছে।
সারা দিন অস্বস্তিকর আবহাওয়া (Weather) থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতের হাল্কা বৃষ্টিতে খানিকটা স্বস্তি পেলেন কলকাতাবাসী (Kolkata)। ফের একবার চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। আজ,শুক্রবার নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর- পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। আর এর জেরে ভারী বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনাও রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। অর্থাৎ ফের একবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ, শুক্রবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ২০ অগাস্ট শনিবার সকালের মধ্যে ওই তিন জেলার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দু'দিনের তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও বলা হয়েছে, আজ, শুক্রবার সকালের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ২০ অগাস্ট শনিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে তুলনামূলক বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গেও আগামী দুদিনে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো হ্রাস পেতে পারে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮৮ শতাংশ।
নতুন করে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। দক্ষিণ মায়ানমারে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যা ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে (Weather Update) পরিণত হবে। এই নিম্নচাপটি বাংলাদেশ ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে। তার জেরে ফের বঙ্গে (North Bengal) বর্ষণের (Rain) সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) জেলাগুলির বেশিরভাগ জায়গায় কোথাও ভারী আবার কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেগিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই কারণে ১৯ অগাস্ট শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার কোনও কোনও জায়গায়। এই সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ১৯ অগাস্ট নাগাদ উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তরবঙ্গেও বাড়ছে গরমের দাপট। আগামী ২ দিন উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নতুন নিম্নচাপের জন্য গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, ছত্তিসগড় এবং মধ্যপ্রদেশে কোথাও ভারী কোথাও অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে আগামী কয়েকদিন।
শখে কেনা জিনিসের প্রতি সকলেরই টান থাকে। আর সেটা যদি হয় গাড়ি (Car), বাইক (Bike) বা স্কুটি (scooter), তাহলে তো কথাই নেই। নো-পার্কিং জোনে (No-Parking Zone) রাখায় ক্রেনে করে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল স্কুটিটি। আর তা জানতে পেরে ছুটে আসেন স্কুটির মালিক। ততক্ষণে ক্রেনের দড়িতে বেঁধে ফেলা হয়েছে স্কুটিটি। উপায় না দেখে স্কুটির উপরেই বসে পড়লেন তিনি। তাঁকে সহ ক্রেন স্কুটিটি তুলে নিল। এমন ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral Video) নেটপাড়ায়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাধের স্কুটির উপর বসে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে অনুরোধ করছেন কর্তব্যরত কর্মীরা। কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা। তাঁর প্রিয় স্কুটি ছাড়তে কিছুতেই রাজি নন। বাধ্য হয়ে মালিকসমেত স্কুটিকে তুলে নেয় ক্রেন। স্কুটির হ্যান্ডেল ধরে তার উপরেই বসে শূন্যে ঝুলতে থাকেন ওই ব্যক্তি।
এমন দৃশ্য দেখে হতচকিত পথচারীরা। পাশপাশি ভিডিও শেয়ার হতেই আসে কমেন্টের ঝড়। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের নাগপুরের সদর বাজারের। ইনস্টাগ্রামে হামনাগপুরকর নামে অ্যাকাউন্টে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে।
রাজ্যের কোথাও বুধবার ভারী বৃষ্টির (rain) সম্ভাবনা থাকছে না। স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা (temperature) বৃদ্ধির সঙ্গেই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গে (South bengal)। তবে রাজ্যের দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। এরই মধ্যে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৯ অগাস্ট, শুক্রবার ফের উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ (low pressure) তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে আগামী ২০ ও ২১ অগাস্ট পূর্ব ও মধ্য ভারতের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বুধবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলারই কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তুলনামূলক বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। এরপরের ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ শুক্রবার, ফের নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রামে।
অন্যদিকে উত্রবঙ্গের ক্ষেত্রে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আপাতত দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই উত্তরবঙ্গের কোথাও।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ কোনও কোনও সময় মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতেপারে ৩১ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
রাতের অন্ধকারে নতুন টোটোর (toto) নম্বর দেওয়ার অভিযোগে চাকদহ (Chakdah) থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ টোটো চালকদের৷ সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টির (rain) মধ্যেই চাকদহ শহরের শতাধিক টোটো চালক চাকদহ থানার মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন৷
তাঁদের অভিযোগ, রবিবার রাতের অন্ধকারে টাকার বিনিময়ে, চাকদহ শহর আইএনটিটিইউসির (INTTUC) সভাপতি তিমির সরকার নতুন করে টোটো নম্বর দিয়েছেন। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাকদহ থানার (Police station) মোড় উত্তাল হয়ে ওঠে টোটো চালকের অবস্থান-বিক্ষোভে। পরে পুলিসের (police) হস্তক্ষেপে রাস্তা ছেড়ে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিবাদ দেখান তাঁরা৷
এ বিষয়ে চাকদড় শহর আইএনটিটিইউসির সভাপতি তিমির সরকারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কোনও টোটো নতুন করে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ১০ জনকে আইএনটিটিউসির পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে। পরিচয় পত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে অর্থের যদি কোনও অভিযোগ করে, তাহলে যাদেরকে পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে তাঁদেরকে প্রশ্ন করলেই বেরিয়ে আসবে অর্থ নেওয়া হয়েছে কিনা৷ পুরোটাই ভুয়ো এবং ফেক অভিযোগ তুলছেন টোটোচালকেরা, প্রতিক্রিয়া তিমির বাবুর৷ তবে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর দায়িত্ব পাওয়ার আগেই শহরে ৪০০-৫০০ টোটো ছিল। এরপর সেখান থেকে শহর জুড়ে শুরু হয়েছে যানজট। নেই হাঁটার রাস্তাটুকুও। তবে তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নতুন করে টোটো না কেনার অনুরোধ করে গিয়েছেন। বর্তমানে যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের স্বার্থে আঘাত পড়েছে হয়ত কোনও কারণে তাই এই ধরনের কাজ, এমনটাই জানান তিনি।
যদিও টোটো চালকরা প্রশাসনের কাছে দাবি তুলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন টোটো নম্বর তুলে না নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন৷