দমদম জংশনের প্ল্যাটফর্ম নম্বর ৫-এর ব্যালাস্টলেস ট্র্যাকের মজবুতীকরণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের দরুণ আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে ৭ মে পর্যন্ত ট্রাফিক ব্লক করা হয়েছে। রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, যার জন্য মোট ৪৮০ ঘণ্টা ট্রাফিক ব্লকের প্রয়োজন হবে। তার জন্য আগামী ২০ দিন বেশ কয়েকটি ট্রেনের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দেখে নিন কোন কোন ট্রেন রয়েছে বাতিলের তালকায়-
৩০৩৫১ ও ৩০৩১৩ মাঝেরহাট-বারাসত
৩৩১১ বারাসত-হাসনাবাদ
৩০৩২২ হাসনাবাদ-বিবাদী বাগ
৩০১৪৫ বিবাদী বাগ-কৃষ্ণনগর সিটি জংশন
৩০৩৫৭ মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম
৩০৩৫৮ মধ্যমগ্রাম-মাঝেরহাট
৩০৩৬১ মাঝেরহাট-হাসনাবাদ
৩৩২৮২ হাসনাবাদ-দমদম জংশন
৩৩২৩১ দমদম জংশন-ব্যারাকপুর
৩৩২৩২ ব্যারাকপুর-দমদম জংশন
৩৩২৭১ দমদম জংশন-গোবরডাঙ্গা
৩৩৬৮৬ গোবরডাঙ্গা-শিয়ালদহ
৩০৩৩৩ মাঝেরহাট-হাবরা
৩০৩৩২ হাবরা-মাঝেরহাট
৩০৩৫৩ মাঝেরহাট-দত্তপুকুর
৩০৩১৪ দত্তপুকুর- মাঝেরহাট
৩৩৪৩৫ শিয়ালদহ-বারাসত
৩১২২৩ শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর
৩০১১৬ ব্যারাকপুর-বিবাদী বাগ
৩০১১৩ বিবাদী বাগ-ব্যারাকপুর
৩১২৪২ ব্যারাকপুর- শিয়ালদহ
৩০৩১২ বারাসত-মাঝেরহাট
আর যে যে ট্রেনগুলির যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি হল-
৩০৩৪৬ বনগাঁ জংশন-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্টেই যাত্রা শেষ করবে। ৩০৩৪৪ বনগাঁ জংশন-মাঝেরহাট এবং ৩০৩২৪ হাসনাবাদ-মাঝেরহাট লোকাল বারাসতে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শেষ করবে। ৩০১৪২ গেদে-মাঝেরহাট লোকাল যাবে রানাঘাট পর্যন্তই। ৩০৭১১ লক্ষ্মীকান্তপুর-মাঝেরহাট লোকাল বালিগঞ্জ অবধিই চলবে।
অন্যদিকে ৩০৩৩১ মাঝেরহাট-হাবরা লোকাল বারাসত থেকে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শুরু করবে। ৩০৩১১ মাঝেরহাট-বারাসত লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শুরু করবে। কর্ড লাইন হয়ে চলবে এই ট্রেনগুলি ৩০৩১৭ মাঝেরহাট-দত্তপুকুর লোকাল বালিগঞ্জ থেকে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শুরু করবে ও পথ পরিবর্তন করে আপ কর্ড লাইন হয়ে চলবে।
দমদম জংশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ব্যালাস্টিন ট্র্যাকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ১৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত ট্রাফিক ব্লকের ঘোষণা পূর্ব রেলের। মাঝেরহাট-বারাসত, হাসনাবাদ-বিবাদি বাগ, বারাসাত-হাসনাবাদ, মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম, দমদম-ব্যারাকপুর, গোবরডাঙ্গা-শিয়ালদহ, ব্যারাকপুর-বিবাদি বাগ সেকশনের কিছু ট্রেন বাতিল থাকবে। মূলত, পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে যে ট্রেন চলে, সেগুলো বাতিল ঘোষণা পূর্ব রেলের। এছাড়া একটি বনগা-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত যাত্রা করবে, জানালেন পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র।
তিন সপ্তাহের এই ট্রাফিক ব্লকে অসুবিধার মুখে পড়বেন নিত্যযাত্রীরা। স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা সিপিআরও-র। তবে, বৈশাখের দাবদাহে দীর্ঘ ২১ দিনের এই পাওয়ার ব্লকে অফিস যাত্রীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
ইদের দিন সকাল থেকেই কলকাতায় মেঘলা আকাশ। মার্চের শেষে এবং এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে দেখা গিয়েছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। কিন্তু এপ্রিলের মাঝামাঝিতে গিয়ে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে সেই তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়লে মিলছে অস্বস্তিকর গরম। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সামন্য় স্বস্তি পাওয়া গেলেও, এখনই গরমের হাত থেকে রেহাই নেই। রোদ না থাকলেও গরম বজায় থাকবে। এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার, ইদের দিন দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বাকি সব জেলায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম থাকলেও অন্য়দিকে উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলাতে থাকবে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে। সেই সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় ৪০ কিমি বেগে বইতে পারে দমকা ঝড়ো হাওয়া।
এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রস্তুতি তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার খুশির ইদ। এদিকে আবহাওয়ার ভাব গতি বোঝা বেশ কঠিন। কখনও চড়া রোদ-গরম, আবার কখনও বৃষ্টি। বুধবার ফের একবার চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তবে ইদের দিন রাজ্যের সমস্ত জেলাতে কমবেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই হতে পারে বৃষ্টিপাত।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময় উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে বৃহস্পতিবার এই জেলাগুলিতে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। শুক্রবার ও শনিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া এই সময় বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকতে চলেছে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর, বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবারও উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানের কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার ও শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৬ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩৫ শতাংশ।
বৃষ্টির জেরে সামান্য় স্বস্তি পেয়েছিল রাজ্য়বাসী। মঙ্গলবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। তারপর ধীরে ধীরে কিছুটা বাড়বে তাপমাত্রা। দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন ঝড়-বৃষ্টি জারি থাকবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। বৃহস্পতিবার ইদের দিন ফের কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া জেলাতে। বাকি জেলাতে আংশিক মেঘলা আকাশ ও শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে।
অন্য়দিকে আজ ও কাল অর্থাৎ মঙ্গল-বুধবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেই সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। আগামী বুধবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। মালদহ ও দিনাজপুরে আংশিক মেঘলা আকাশের সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে বেশি বৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে।
সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা মহানগরের আকাশ। নেই রোদের দেখা। চৈত্রের চড়া রোদে নাজেহাল হচ্ছিল বঙ্গবাসী। বৃষ্টিতে সামন্য় হলেও স্বস্তি নি:শ্বাস ফেলেছে মানুষ। তবে বৃষ্টি হলেও এখনই গরম থেকে রেহাই নেই। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গও। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন দিনভর আংশিক মেঘলা থাকবে আকাশ। বজ্রবিদুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। সেই সঙ্গে বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদে। বৃষ্টির সম্ভবনা পশ্চিমের জেলাগুলিতেও। আগামী মঙ্গলবার থেকে ফের বৃষ্টি কমে বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
অন্য়দিকে আগামী ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্য়ে বজ্রবিদুৎ সহ বৃষ্টির উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। ঘন্টায় বইতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো দমকা হাওয়া। আগামী বুধবার থেকে বদলাতে পারে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া।
রাজ্যজুড়ে বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা। রবিবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন মহানগরের আকাশ। আগামী ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্য়ে কালবৈশাখী পরিস্থিতি, দমকা ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও এদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বইতে পারে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া। এরফলে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। বিকেল বা সন্ধ্যার পর থেকে দমকা ঝড়ো হওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে আবার কোথাও কোথাও কালবৈশাখীর পরিস্থিতিও তৈরী হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির কারণে কমবে তাপমাত্রা। অন্য়দিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আজ ও কাল বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এদিন আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং ও কালিম্পং সহ পার্বত্য এলাকায়।
রবিবার কলকাতায় দিনভর আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি সঙ্গে দমকা ঝড়ো হাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। বেলা বাড়লে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৪ থেকে ৮৮ শতাংশের কাছাকাছি।
তীব্র দাবদহে নাজেহাল হচ্ছে রাজ্য়বাসী। অস্বস্তিকর গরমের মধ্য়ে স্বস্তির আভাস দিল আবহাওয়া দফতর। সপ্তাহান্তে বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরবঙ্গ। যার জেরে হলুদ সতর্কবার্তা বার্তা জারি করা হয়েছে। তবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে এখনই কোনও সুখবর শোনাতে পারল না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাই আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বজায় থাকবে গরম।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী দু’দিন রাজ্যের তাপমাত্রা আরও ২ ডিগ্রির মতো বাড়তে পারে। অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে এখনই রেহাই মিলবে না। তবে আগামী রবিবারের পর তাপমাত্রা একটু হলেও কমতে পারে। সে ক্ষেত্রে যে খুব স্বস্তি মিলবে, এমন আশার কথাও শোনাচ্ছে না আবহাওয়া দফতর।
শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিন কলকাতার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
তীব্র তাপপ্রবাহে জেরবার আমজনতা। যত বেলা বাড়ছে তত যেন গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আপাতত শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের অন্তত নটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি সুখবরও শোনাল মৌসম ভবন। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক গরম থাকলেও সপ্তাহান্তে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা গোটা রাজ্যে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। অন্যদিকে পশ্চিমের জেলাগুলি যা ছিল ৩৮-৪০ ডিগ্রির মধ্যে। মুর্শিদাবাদের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রির আশপাশে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শুক্রবার নাগাদ উল্লিখিত জেলাগুলি ছাড়াও কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ওইদিন দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সাধারণভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকতে চলেছে। শুক্রবার, পাঁচ এপ্রিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। ওই দিন বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৭ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ।
সকাল থেকে রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ। সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ। এখনই ৪০ ছুঁইছুঁই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। যার জেরে চৈত্র মাসেই তীব্র দাহদহে নাজেহাল হচ্ছে গোটা বাংলা। দিনে দিনে আরও বাড়বে উষ্ণতা। এমনটাই আভাস আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনর মধ্য়েই বইতে পারে লু। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্য়ে শুরু হয়েছে তীব্র গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। ক্রমশ আরও বাড়তে তাপমাত্রা। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে ক্ষেত্রে কোনও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকায়, শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে।
অন্য়দিকে এদিন উত্তরবঙ্গে থাকছে বজ্রবিদুৎ সহ বৃষ্টির আশঙ্কা। সেই সঙ্গে বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া। এদিন বজ্রবিদুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায়।
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। গতকাল অর্থাৎ সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে হয়ে গেল জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। উড়ে গেল একের পর এক ঘরের চাল, দোকানের টিন। পরপর ভেঙে পড়ল গাছ। ভেঙে পড়া গাছে চাপা পড়েও হল সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি। উত্তরবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দার্জিলিং-এর কিছু এলাকায় আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। উত্তরবঙ্গের পর কালবৈশাখী বা টর্নেডো ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন জেলায়। বর্ধমান, বীরভূম ও হুগলিতে দিল্লীর মৌসম ভবন থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রেও রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামী দু'দিন কলকাতা সহ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্বাঞ্চলে দু-এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুত্-সহ ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাবে না বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাও।
সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এর কাছাকাছি।
চৈত্র মাস থেকে শুরু হয়েছে তীব্র গরম। বেলা গড়াতেই বাড়ছে সূর্যের প্রখর তাপমাত্রা। এই নাজেহাল গরম থেকে রক্ষা পেতে সুখবর শোনাল আবহাওয়া দফতর। সপ্তাহান্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গে। তবে বৃষ্টি হলেও, গরম থেকে আপাতত রেহাই নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্য়ে বাড়তে পারে তাপমাত্রার পারদ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার ছুটির দিনে অস্বস্তিকর গরমের মধ্যেই শহর কলকাতায় বর্জ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। এদিন ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়ায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাকি জেলাগুলি শুকনো থাকবে। বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরবঙ্গও। এদিন বর্জ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে।
রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির বেশি থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এর কাছাকাছি। গতকাল, শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশাপাশে।
দোলপূর্ণিমা যেতে না যেতেই শুরু সূর্যের চোখ রাঙানি। মার্চের শেষেই তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে নাজেহাল হচ্ছে বঙ্গবাসী। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। চলতি সপ্তাহজুড়ে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাও। এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণমুখী বায়ুর সঙ্গে জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। তাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এবং বাংলাদেশের উপর ঘূর্ণাবর্তের জেরে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কয়েকটি এলাকা।
আগামী শনিবার এবং রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়া জেলায়। আগামী রবিবার পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
সকাল থেকেই রোদের দাপট কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায়। তবে বিকেল বা সন্ধের পর বদলাতে পারে আবহাওয়া। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বাড়বে। আগামী দু-তিন দিনে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন ও শুক্রবার বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শনিবার নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শনিবার উল্লিখিত জেলাগুলিতে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে উওরবঙ্গের ক্ষেত্রে, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে মালদহ ও দিনাজপুরেও বিক্ষিপ্ত ভাবে দু এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা।
মৌসম ভবন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। বুধবার যা ছিল ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯১ শতাংশ এবং ৫৪ শতাংশ।
ফের বঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস। দোলযাত্রার দিন থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মহানগরে। পরের দিনও মেঘলা আকাশের বিশেষ সতর্কবার্তা আবহাওয়া দফতরের। মঙ্গলবার ও বুধবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি বয়ে যেতে পারে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো দমকা হাওয়া।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশ এবং অসমের মাথার উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত বিস্তৃত রয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় উপমহাদেশের উপর তৈরি হয়ে রয়েছে একাধিক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা৷ যার জেরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টি, কোথাও আবার বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে নাকাল হতে হবে মানুষকে৷ আজ, মঙ্গলবার রাত ১০ টার পর থেকে আগামী ২ থেকে ৩ ঘণ্টার জন্য উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই সতর্কতাবার্তা চলবে আলিপুরদুয়ার, বীরভূম, কোচবিহার, দার্জিলিং, পূর্ব মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলায়।
এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা খানিকটা হ্রাস পেলেও আগামী কয়েকদিনের মধ্য়ে ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রার পারদ।