আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে আজ সারাদিনই রোদ ঝলমলে আকাশ থাকবে। কিন্তু বিকেলের পর থেকে বিক্ষিপ্তভাবে কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, আসানসোল এই সব জায়গায় বজ্রবিদ্যুত সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।
কলকাতায় তাপমাত্রা থাকছে সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রির কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রির কাছাকাছি। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৭৯ শতাংশ। আপাতত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও বলা হয়েছে, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে সবকটি জেলাতেই মেঘলা আকাশের সঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি রকমের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা
দক্ষিণবঙ্গে (South bengal) বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরেই। এই বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত জারি থাকছে দুই বঙ্গেই। আগামী দুই থেকে তিনদিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রধানত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রযেছে। মূলত, কিছুটা বেশি থাকবে পশ্চিমের দিকে জেলাগুলিতে। সেই সঙ্গে দু-এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ দুপুর থেকে সন্ধের মধ্যে কলকাতা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।এই সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকার সর্তকবার্তা জারি করা হয়েছে।
তাছাড়াও দুই জেলা বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ও দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গে (North Bengal) মৌসুমিবায়ুর প্রবেশ হয়েছে। সেইজন্য ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রযেছে অবশ্যই। কিন্তু জানা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে।
হাওড়া-বর্ধমান শাখায় কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে লোকাল ট্রেন চলাচল। ইতিমধ্যেই আপ-ডাউন মিলিয়ে একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল (Local Train) করা হয়েছে। হাওড়া (Howrah)-বর্ধমানের (Bardhaman) মেন এবং কর্ড লাইনে হাতেগোনা কয়েকটি লোকাল ট্রেন চলছে বর্তমানে। প্রায় ১০ দিন ধরে এই দুর্ভোগ চলবে বলে জানা গিয়েছে রেল সূত্রে।
হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনের রসুলপুর ও শক্তিগড়ের (Shaktigarh) মধ্যে তৃতীয় লাইন সংযুক্তিকরণের জন্য বিগত কয়েক মাস ধরেই পূর্ব রেলওয়ে ধারাবাহিকভাবে ব্লক নিচ্ছে। গত ৩ তারিখ থেকে আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ব্লকের ফলে একাধিক হাওড়া বর্ধমান মেন ও কর্ড লাইন শাখার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। মেমারি ও মশাগ্রাম স্টেশনে বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সময়মত গাড়ি না চলায় এদিন হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইন শাখার পান্ডুয়া ও মগরা স্টেশনের রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। ঘটনাস্থলে রেল পুলিস পৌঁছলেও রেল অবরোধ চলতে থাকে। বেলা বাড়লে রেল পুলিসের আশ্বাসে অবশেষে অবরোধ উঠে যায়।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া ডিভিশনের রসুলপুর এবং শক্তিগড়ের মধ্যে তৃতীয় লাইন নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ চলছে। ৩ সেপ্টেম্বর থেকেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজ চলবে। প্রি-নন ইন্টারলকিং কাজের জন্য হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন, মেন লাইন এবং রিভার্স লাইনে ট্র্যাফিক ও পাওয়ার ব্লক থাকবে। এদিকে, ট্রেন বাতিলের খবরে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। সপ্তাহের প্রথম দিন, সোমবার কম ট্রেন চলায় সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা।
হাওড়া (Howrah) ডিভিশনের রসুলপুর ও শক্তিগড় (Saktigarh) স্টেশনে কাজের ফলে ট্রেন (train) বাতিল। একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করেছে পূর্ব রেল (Eastern Railway)। শিয়ালদহ, হাওড়া ও কলকাতা স্টেশন থেকে বেশ কিছু ট্রেন সোমবার থেকে আগামী ১৩-ই সেপ্টম্বর পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। পুজোর মুখে এভাবে ট্রেন বাতিল হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বীরভূমের ব্যবসায়ীদের একাংশ।
পুজোর আগে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বা ব্যবসার কাজে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু মানুষ রিজার্ভেশন করে রেখেছিলেন। কিন্তু এবার সেসব যাত্রীরা সমস্যায় পড়তে পারেন এমনটাই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে বীরভূম লাইনের ময়ূরাক্ষী ট্রেন বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন সিউরি, দুবরাজপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
ট্রেন যাত্রীরা জানান, ময়ূরাক্ষী, হূল এই সমস্ত ট্রেন সরাসরি হাওড়ায় পৌঁছয়। কিন্তু এই সমস্ত ট্রেনগুলি বাতিল হওয়া সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর যা আরও বাড়বে। তবে রবিবার এমন খবর আচমকাই পেয়ে দীর্ঘক্ষণ স্টেশন চত্বরেই কাটাতে হয় বহু যাত্রীদের।
এবার পুজোয় বাংলা ভাসতে পারে নিম্নচাপের জেরে, এমনটাই জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। আবহবিদদের অনুমান সেপ্টেম্বরে ৩ থেকে ৫টি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। তার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। তবে এখনও অবধি আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কাটেনি দক্ষিণবঙ্গে (North Bengal)। যদিও ভোররাত থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা সামান্য কমেছে। রবিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জেলাগুলিতে শনিবারেও কমলা সতর্কতা জারি রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া (Weather) দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ, রবিবার আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে এই দুই জেলার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে মালদহে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং আলিপুরদুয়ারে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। যে কারণে এই দুই জেলার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সঙ্গে বাকি ৬ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আপাতত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে আরও বলা হয়েছে, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে সবকটি জেলাতেই আকাশ মেঘলা আকাশের সঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি রকমের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও আপাতত তাপমাত্রা পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। ভ্যাপসা গরম থেকে পুরোপুরি রেহাইয়েরও কোনও সম্ভাবনা নেই।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ অংশত মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ।
আপাতত দক্ষিণবঙ্গবাসীকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে থাকতে হবে। নেই কোনও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বেলা বাড়তেই দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) অস্বস্তির আবহাওয়া বিরাজ করবে বলে আবহাওয়া (Weather) দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে দক্ষিণে ভারী বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস না থাকলেও উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ক্ষেত্রে তা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই উত্তরের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে ভারী বৃষ্টি। যার জেরে নিচু এলাকাগুলিতে প্লাবনের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। মৌসুমী অক্ষরেখা অবস্থান করছে হিমালয়ের পাদদেশে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ, শুক্রবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দার্জিলিং, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মালদহে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। পরবর্তী ২৪ ঘ ণ্টা অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালের মধ্যে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার সারাটা দিনও একই পরিস্থিতি থাকার সম্ভাবনা। আপাতত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ অংশত মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৯ শতাংশ।
রেল ট্র্যাক মেনটেনেন্সের জন্য শিয়ালদহ-নৈহাটি লাইনে রেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের। শনিবার রাত ১০টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কাজ চলবে। অর্থাৎ ৩ তারিখ রাত-৪তারিখ সকাল পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা ট্রাফিক ব্লক থাকবে। কাকিনারা স্টেশনে ডাউন লাইনে এই ট্রাফিক ব্লক।
ফলে একজোড়া শিয়ালদহ–কল্যাণী সীমান্ত ইএমইউ লোকাল এবং একজোড়া শিয়ালদহ– নৈহাটি ইএমইউ লোকাল রবিবার বাতিল থাকবে। পাশাপাশি নৈহাটি–কল্যাণী সিমান্ত ইএমইউ লোকাল নৈহাটি থেকে ছাড়বে ভোর ৫টা বেজে ১২ মিনিটে। এই ট্রেনের সূচি ভোর ৪টে বেজে ১০ মিনিট।
পাশাপাশি ব্যারাকপুর–নৈহাটি বিভাগের মোট ১৯২টি ইএমইউ-র মধ্যে শুধুমাত্র ৪টি ইএমইউ বাতিল থাকবে৷
আপাতত দক্ষিণবঙ্গবাসীকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে থাকতে হবে। নেই কোনও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বেলা বাড়তেই দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) অস্বস্তির আবহাওয়া বিরাজ করবে বলে আবহাওয়া (Weather) দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে দক্ষিণে ভারী বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস না থাকলেও উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ক্ষেত্রে তা রয়েছে। মৌসুমী অক্ষরেখা অবস্থান করছে হিমালয়ের পাদদেশে। এমনকি উত্তরের কয়েকটি জেলার জন্য হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার হিমালয়ের পাদদেশষ সংলগ্ন ৫ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালের মধ্যে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি পাঁচ জেলার মধ্যে মালদহকে বাদ দিয়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি চলার সম্ভাবনা শনিবার পর্যন্ত। আপাতত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। জেলাগুলির কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতার আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে। কোথাও কোথাও বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতেওপারে আবার নাও হতে পারে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ।
বিধ্বংসী বন্যায় (Flood) ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে (Pakistan) হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু (Death) হয়েছে। ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। গ্রামের পর গ্রাম কার্যত জলের নিচে। বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে সিন্ধু নদ। আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা। উদ্ধার কাজে নেমেছে নৌবাহিনী এবং উদ্ধারকারীর দল। বন্যার জলে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে গিয়ে নৌকা উলটে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এককথায় বিপদের উপর বিপদ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাক সিন্ধু প্রদেশের সেহওয়ান এলাকার বিলাবলপুর গ্রামে। প্রবল বৃষ্টিতে (Heavy Rain) সিন্ধু নদের জলে ভেসে গিয়েছিল গ্রামটি। উদ্ধারে নেমেছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। একটি নৌকায় সেখান থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছিল। ফুলে ফেঁপে ওঠা নদে উল্টে যায় নৌকাটি। ১৩ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ অনেকে।
প্রবল বন্যার ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের খাদ্য ভাণ্ডার। সেই কারণেই ভারত থেকে সবজি এবং অন্য খাদ্যদ্রব্য আমদানি করার কথা ভাবতে হচ্ছে পাকিস্তানকে, এমনটাই জানিয়েছেন সেদেশের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল।
জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী দেশের বিপদে সাহায্য প্রদানের বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে দাবি করা হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে। প্রসঙ্গত, গত জুন মাস থেকে বৃষ্টি চলছে পাকিস্তানে। এই বছর বর্ষায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে, তা গত ৩০ বছরের সহ রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আর এই বিপুল বৃষ্টিপাতের কারণেই সিন্ধু এবং কাবুল নদী-সহ পাকিস্তানের অধিকাংশ নদীতেই জল এখন বন্যার সীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে।
টানা বৃষ্টিতে (Natural Calamity) ভয়ঙ্কর অবস্থা পাকিস্তানে। ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে কয়েক হাজার। বিধস্ত অধিকাংশ প্রদেশ। এই অবস্থায় পড়শি দেশের ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবার বিবৃতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। টুইট করে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। তাঁর প্রার্থনা, 'শীঘ্রই প্রতিবেশী দেশের জনজীবন স্বাভাবিক হোক।' তবে পাকিস্তানকে সাহায্য নিয়ে কোনও ঘোষণা করেননি প্রধানমন্ত্রী।
Saddened to see the devastation caused by the floods in Pakistan. We extend our heartfelt condolences to the families of the victims, the injured and all those affected by this natural calamity and hope for an early restoration of normalcy.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 29, 2022
ইতিমধ্যে বন্যাবিধ্বস্ত পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রার্থনা করেছে। সেখানে ভারত সাড়া দেবে কি না, তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও সাহায্যে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে খবর।
এদিকে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধস্ত ভারতের দুই পড়শি দেশ পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় পাকিস্তানের অধিকাংশ প্রদেশ। পাশাপাশি হরপা বানে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানও। এই বিপর্যয়ের পাকিস্তানে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় হাজার জনের। ক্ষতিগ্রস্ত ৩ কোটিরও বেশি মানুষ। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সে দেশের হাওয়া অফিস।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানে চলা অবিরাম বৃষ্টির জেরে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মৃত্যু প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই। বিপর্যয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে জরুরি অবস্থা জারি পাকিস্তানে। সেনাবাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, বন্যায় ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত। ভেসে গিয়েছে শতাধিক ব্রিজ। অন্তত সাত লক্ষ বাড়ি বন্যার জলে হয় ভেঙেছে, নয়তো ভেসে গিয়েছে।
ফের উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি। মৌসুমী অক্ষরেখা (axis) বেশ খানিকটা সরে গিয়ে হিমালয়ের বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে অবস্থান করছে। এরফলে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়লেও দক্ষিণবঙ্গে (south bengal) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম। হাওয়া অফিসের সূত্র অনুসারে চলতি সপ্তাহে ইতস্থত বিক্ষিপ্ত কম ও অতি কম মাত্রায় বৃষ্টিপাত হবে দক্ষিনবঙ্গে। অপরদিকে আগামী ৪-৫ দিন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে বেশ খানিকটা বেশি হবে। উত্তর বঙ্গের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আজ শহর কলকাতা ও তার উপকন্ঠে সারা দিনের তাপমাত্রা (temperature) ঘোরাফেরা করবে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছেপিঠে। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ৭০ শতাংশের কাছে পিঠে থাকলেও। বৃষ্টিপাতের (rainfall) সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। বাতাস বইবে ১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার আশেপাশে। গোটা দিন ধরেই গুমোট অস্বস্তিকর পরিবেশ বজায় থাকবে।
বঙ্গবিজেপির (BJP) তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবির বসছে বিলাসবহুল রিসর্ট বৈদিক ভিলেজ (Vedic Village)। প্রশিক্ষণ দিতে আসছেন দিল্লির তাবড় তাবড় বিজেপি নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ প্রকল্পের প্রচারের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বিলাসবহুল সেভেন স্টার রিসর্টে। আর সেটা নিয়েই বেদিক ভিলেজের প্রবেশ পথ হাতিশালাতে ঝাড়ু, জুতো-সহ পোস্টার তৃণমূল (TMC) কর্মীদের।
একদিকে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, অপরদিকে লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যের ভোট ক্যালেন্ডার মেনে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। তাই এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন জোরদার করতে তৎপর গেরুয়া শিবির। এ জন্য সোমবার থেকে তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবির হবে রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজে। নিউ টাউন সাপুরজি মোড় হয়ে ভাঙড়ের হাতিশালা, পাকাপোল হয়ে বৈদিক ভিলেজ যাওয়ার মূল রাস্তা। সেই রাস্তার মোড়ে মোড়েই পোষ্টার তৃণমূলের। ২৯ থেকে ৩১ অগাস্ট টানা তিনদিনের এই প্রশিক্ষণ শিবির।
বিজেপির এই প্রশিক্ষণ শিবিরে থাকবেন রাজ্যের দলীয় সব সাংসদ এবং বিধায়করাও। রাজ্যস্তরের নেতারাও থাকবেন। কর্মসূচিতে ক্লাস নেবেন সংগঠনের দায়িত্বে থাকা বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ, অমিত মালব্যরা। ক্লাস নেবেন অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ রাজ্যের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলও।
জানা গিয়েছে এ জন্য ওই রিসর্টে দেড়শোর বেশি রুম বুক করা হয়েছে। একইসঙ্গে সুইমিং পুল, ক্যাফে, রেস্তোরাঁ বুক করা হয়েছে। তাই বিলাস-বৈভবের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে আসা বিজেপি নেতাদের ঝাড়ু হাতে 'স্বাগত' জানাতে তৈরি ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্ব। এ জন্য বৈদিক ভিলেজের প্রবেশদ্বার নিউটাউন সংলগ্ন ভাঙড়ের হাতিশালায় রীতিমতো মঞ্চ তৈরি হয়েছে। হাতিশালা থেকে গাবতলা রাস্তার দু'পাশে বিজেপির বিরুদ্ধে পোষ্টারে ছয়লাপ।
পোষ্টারে লেখা 'বিজেপির তিন জামাই ইডি, আইটি, সিবিআই।' ১০০ দিনের টাকা-সহ জিএসটির পাওনা টাকা নিয়ে পোষ্টার তৈরি করে রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাগিয়ে প্রতিবাদে মুখর ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার সকাল থেকেই হাতিশালা মোড়ে এজন্য সভা করবেন ভাঙড় বিধানসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও তার অনুগামীরা। এই সভা থেকে যাতে কোন অপ্রতীকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য হাতিশালাতে পুলিশ মোতায়েন করবে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা।
উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) হলেও দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। তবে মৌসুমী অক্ষরেখার হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থানের কারণে কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া (Weather) দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ, সোমবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৩০ অগাস্ট মঙ্গলবার সকালের মধ্যে জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং-এর কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে মঙ্গলবারে হিমালয় সংলগ্ন পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি পরের দুদিন অর্থাৎ বুধবার ও বৃহস্পতিবারেও চলতে পারে বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে। আপাতত উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। পরের দুদিন অর্থাৎ ৩১ অগাস্ট বুধবার সকালের মধ্যে বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমবে দক্ষিণবঙ্গে। কোথাও কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার তুলনামূলক বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গেও তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই।
আপাতত কলকাতায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। এদিন বিকেলে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কলকাতার আকাশ অংশত মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২৭ ডিগ্রির আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ।
ফের বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) অস্বস্তিকর আবহাওয়া, আপাতত এমনটাই জানান দিয়েছে হাওয়া অফিস। এবঙ্গের বৃষ্টিতে স্বস্তির কোনও বার্তা দেয়নি আবহাওয়া (Weather) দফতর, তবে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির (rain) পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মৌসুমী অক্ষরেখা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থান করছে। অন্যদিকে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্য ভাগের ওপরে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, আজ, ২৮ অগাস্ট রবিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি তিন জেলা অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ২৯ অগাস্ট সোমবার সকালের মধ্যে হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন পাঁচ জেলার কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামীদিন ৫ দিন উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাতেই তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, ২৯ অগাস্ট সোমবার সকালের মধ্যে কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, অর্থাৎ দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা না থাকলেও আর্দ্রতাজনিক অস্বস্তি বজায় থাকবে। এদিন দুপুর থেকে হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৭ ডিগ্রির আশপাশে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে (Natural Calamity) বিধস্ত ভারতের দুই পড়শি দেশ পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান (Pakistan-Afghanisthan)। টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় পাকিস্তানের অধিকাংশ প্রদেশ। পাশাপাশি হরপা বানে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানও। এই বিপর্যয়ের পাকিস্তানে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় হাজার জনের। ক্ষতিগ্রস্ত ৩ কোটিরও বেশি মানুষ। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির (Rainfall) পূর্বাভাস দিয়েছে সে দেশের হাওয়া অফিস।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানে চলছে অবিরাম বৃষ্টির জেরে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মৃত্যু প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই। বিপর্যয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে পাকিস্তানে। সেনাবাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, বন্যায় ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত। ভেসে গিয়েছে শতাধিক ব্রিজ। অন্তত সাত লক্ষ বাড়ি বন্যার জলে হয় ভেঙেছে, নয়তো ভেসে গিয়েছে।
পাকিস্তানের একাধিক সংবাদপত্রের দাবি, দেশের অন্তত অর্ধেক এই মুহূর্তে জলের তলায়। বন্যা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়া, বালুচিস্তান এবং সিন্ধ প্রদেশে। এদিকে, কয়েক সপ্তাহের টানা বৃষ্টি ও হড়পা বানে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানও। চলতি মাসের শুরুতে প্রবল বর্ষণের পর বন্যা পরিস্থিতিতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়েছে তালিবান সরকার।
তালিবান মুখপাত্র জানান, পূর্ব আফগানিস্তানে বন্যার কারণে ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। কয়েক হাজার গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি বাড়ি। দেশে অর্থনৈতিক ও মানবিক সঙ্কটের আবহে বন্যা পরিস্থিতির কারণে সমস্যা আরও বেড়েছে।