আজ স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। তবে সকাল থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির দেখা মিলেছে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৫ অগাস্ট থেকে ১৮ অগাস্টের মধ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি (Rain) হতে পারে, এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। অর্থাৎ আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে মধ্য-ভারতে এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমে বর্ষার দেখা মিলবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। মূলত, উত্তর বঙ্গোসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ (low pressure) অতিগভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে তা পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যায়, একটি নিম্নচাপ উত্তর-পূর্ব এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম আরব সাগরে অবস্থান করছে। এছাড়াও সঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্তও রয়েছে। যার জেরেই মূলত নিম্মচাপের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ, ১৫ অগাস্ট দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। বর্ষা আসলেও দক্ষিণবঙ্গে ছিল বৃষ্টির ঘাটতি। যার ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছিল কৃষি ক্ষেত্রে। তবে এবার দক্ষিণবঙ্গে কৃষিকাজের জন্য এই বৃষ্টি পর্যাপ্ত বলেই মনে করছে কৃষক মহল। এছাড়াও এই নিম্নচাপের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ছে ওড়িশায়।
তবে ১৫ অগাস্ট বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে দক্ষিণবঙ্গে।
অন্যদিকে, আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে মৎস্যজীবীদের প্রতি লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মৎস্যজীবীরা যেন ১৪ ও ১৫ অগাস্ট সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান।
নিম্নচাপের প্রভাব পড়েছে শহর কলকাতাতেও। রবিবার বিকেল থেকেই বদলে গিয়েছে আবহাওয়া। মেঘের আনাগোনা বেড়েছে আকাশে। গতকাল হালকা বর্ষণও হয়েছে শহরে। রবিবার যে আবহাওয়ার বদল হবে তা আগেই জানয়েছিল হাওয়া অফিস। নিম্নচাপের জেরে সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় বর্ষণে ভিজছে শহর।
উত্তরবঙ্গের একটানা বৃষ্টি (rain) হলেও দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বৃষ্টির ঘাটতি থেকেই গিয়েছিল। তবে গত কয়েকদিনে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ (low pressure) সৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টির দেখা মিলেছিল শহর কলকাতা (Kolkata) সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। কিন্তু সেই নিম্নচাপও শক্তি হারায়। এবার ফের একটি নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করছে বলেই হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। এই নিম্নচাপ উত্তর বঙ্গোপসাগরে মূলত শক্তি বৃদ্ধি করছে। ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণাবর্তটি। ফলে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় আসছে বড়সড় পরিবর্তন, এমনটাই পূর্বাভাস। আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শনিবার থেকে বদলাতে শুরু করবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া একেবারে বদলে যাবে।
আবহাওয়া অফিসে (Meteorological Office) সূত্রে খবর, উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। এরমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি হবে বেশি। বৃষ্টি হবে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও। শনিবার বিকেল থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যাবে। তবে রবিবার সেই বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে।
এছাড়াও আরও পূর্বাভাস, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়েছে শনিবারই। বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার ফলে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হবে। রবিবার সেই বৃষ্টির দাপট বাড়বে। তবে ভারী বৃষ্টির সঙ্গেই ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে উপকূলবর্তী এলাকায়। যার জেরে ইতিমধ্য়েই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। সৈকতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে পর্যটকদের। সোমবার পর্যন্ত এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁদের শনিবারের মধ্যেই ফিরে আসার বার্তা দেওয়া হয়েছিল আগেই।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে আগেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, গত কয়েকদিনে যে নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে কমবে। অর্থাৎ ক্রমশই শক্তি হারিয়ে ফেলবে এই নিম্নচাপ। আর শুক্রবার থেকে তাই হচ্ছে।আর এই নিম্নচাপের (Low Pressure) প্রভাব কমতেই দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) জেলাগুলিতে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির পরিবেশের দেখা মিসছে। তবে আবহাওয়া (Weather) দফতরের পূর্বাভাস, ফের একটি নিম্নচাপ সক্রিয় হতে চলেছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal)। যার জেরে মূলত, শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা থাকছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তা আরও শক্তিশালী হবে বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর। তবে তা পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাবে। এর প্রভাবে ১৩ থেকে ১৫ অগাস্টের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোনও কোনও জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হতে পারে। তবে মূলত এই নিম্নচাপের প্রভাবে রবিবার ১৪ অগাস্ট পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিরকোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টির সঙ্গেই বইতে পারে দমকা হাওয়াও।
অন্যদিকে শনিবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও শনিবার এবং রবিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতেও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
কলকাতায় মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। সঙ্গেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরবে।
চলতি মরশুমে সেভাবে বৃষ্টিপাত (Rain) পায়নি দক্ষিণবঙ্গবাসী (South Bengal)। অবশেষে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে স্বস্তি ফিরেছে কিছুটা। তবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দিলেও তার দেখা মেলেনি। মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টিতে ভিজেছে দক্ষিণবঙ্গ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ,শুক্রবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও বাকি জেলাগুলির কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
অন্যদিকে, ১৩ অগাস্ট শনিবার সকালের উত্তরবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দিন পাঁচেকে তাপমাত্রার হেরফের হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ মেধলা থাকবে। সঙ্গে কয়েক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ।
মর্মান্তিক মৃত্যু (Death)। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় গত দুদিনে শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি (rain)। আর তাতেই ঘটে গেল অঘটন। হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুর থানা এলাকার নরেন্দ্রপুর পশ্চিম পাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক নাবালিকার।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম তৃষা ধক। বয়স ১৩ বছর। মঙ্গলবার বাড়ির সামনে একটি বিদ্যুতের খুটি থেকে তড়িতাহত হয় ওই নাবালিকা। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ায় আমতা হাসপাতালে (hospital)। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস (police)। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে যে আর্থিং এর তার রয়েছে, সেটি দীর্ঘদিন মাটিতেই পড়েছিল। গ্রামের মানুষের আরও অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের লোকেদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
পুলিস সূত্রে আরও জানা যায়, এই ঘটনার পর রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পক্ষ থেকে কর্মীরা গিয়ে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং বিদ্যুতের খুঁটিতে যে সমস্যা ছিল তা ঠিক করে দেওয়া হয়।
এপ্রসঙ্গে জগৎবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ জানিয়েছেন, এটি একটি দুর্ঘটনা এবং দুঃখজনক ঘটনা। তবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের কর্মীরা প্রতিনিয়তই এলাকায় বিভিন্ন অঞ্চলে নজরদারির সঙ্গে মেরামতের কাজ চালু রাখেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি যারা আছেন তাঁরাও নজরদারি রাখেন।
তবে গ্রামেগঞ্জে গাছপালার সংখ্যা বেশি থাকার কারণে সামান্য ঝড়, বৃষ্টিতে গাছের ডালপালা তারের ওপরে পরে অনেক সময়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। গাছের ডালপালা ছাঁটা হলেও একদিকের কাজ শেষ হয়তো অন্য দিকে বেড়ে যায়। এটা একটি সমস্যা।
প্ল্যাটফর্মে জনাকয়েক মানুষ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি (Viral Video)দেখে আঁতকে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি স্টেশনে (Mumbai Station) ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন এক যুবক। নিজের জীবন বাজি রেখে কুকুরকে বাঁচাতে (save a dog) প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়েন সেই যুবক। সে সময় ওই লাইনে ঢুকছিল ট্রেন। বাকি যাত্রীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। সকলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। কুকুরটি লাইনের মধ্যে চলে আসে। আর সেসময় প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার কথা ঘোষণা হয়। তখনই যুবকের চোখে পড়ে কুকুরটিকে। সাত-পাঁচ না ভেবেই লাইনে নেমে পড়েন ওই পশুপ্রেমী। আর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা সকলে তাঁর কাণ্ড দেখে হইচই জুড়ে দেন।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দূর থেকে ওই যুবকে প্ল্যাটফর্মে নামতে দেখে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন চালক। কুকুরটিকে উদ্ধার করে প্ল্যাটফর্মে তুলে দেন। তারপর নিজে ওঠেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। ওই পশুপ্রেমী যুবকের এমন কাণ্ড দেখে সকলে অবাক হলেও প্রশংসা করছেন নেটাগরিকরা। এবং তাঁর সাহসকে কুর্নিশও জানাচ্ছেন।
স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে রেলমন্ত্রকের (Rail ministry) কাছ থেকে উপহার পেতে চলেছে জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়ি। আগামী ১৫ই আগস্ট থেকে হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে ছেড়ে, জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে শিয়ালদহ পর্যন্ত চলবে দার্জিলিং মেল। সোমবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই খবর জানিয়েছে ভারতীয় রেলমন্ত্রক(Indian Rail Board)। খুশির হাওয়া জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার হলদিবাড়িতে।
এবার থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন, নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) হয়ে শিয়ালদহ যাবে দার্জিলিং মেল। এত দিন শিয়ালদহ থেকে দার্জিলিং মেল ছেড়ে এনজেপি পর্যন্ত আসত। এ বার থেকে দার্জিলিং মেল এনজেপির বদলে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে হলদিবাড়ি পর্যন্ত যাবে। এবং দার্জিলিং মেল হলদিবাড়ি থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত যাবে।
এর আগে দার্জিলিং মেলের দুটি কামরা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে হলদিবাড়ি স্টেশন পর্যন্ত আসত। বিকেলে ফের সেই দুটি কামরা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে এনজেপি পর্যন্ত যেত। এরপর সেই দুটি কামরা মূল দার্জিলিং মেলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হত শিয়ালদহ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই এই ব্যবস্থা চলছিল। এই দুই এলাকার মানুষের আবেগের সঙ্গে জূড়ে গিয়েছিল দার্জিলিং মেল। অতিমারির সময় সমস্ত ট্রেনের সঙ্গে এই ট্রেনও বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হয়। কিন্তু দার্জিলিং মেলের কোচ দুটি আর চালু হয়নি। ২০১৯ সালের ১২ই ডিসেম্বর উত্তরপূর্ব রেলওয়ের তরফের নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০২০ সালের ১০ই এপ্রিলের পর থেকে স্থায়ীভাবে ওই দুটি কোচ তুলে নেওয়া হবে। তারপর থেকেই জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়িতে বন্ধ হয়ে যায় দার্জিলিং মেলের পরিষেবা। ক্ষোভ দানা বাঁধে মানুষের মধ্যে। ফের দার্জিলিং মেল চালু করার দাবি নিয়ে একাধিকবার আন্দোলন করে বাম, তৃমমূল এবং বিভিন্ন গণ সংগঠন, নাগরিক মঞ্চগুলি। সাধারণ মানুষের দাবি মেনে বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ও একাধিকবার রেল মন্ত্রক এবং রেল দফতরের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। তার চেস্টা এতদিনে সফল হল।
৮ই আগস্ট রাতে দিল্লি থেকে সাংসদ জানান, ১৫ই আগস্ট থেকে ফের চালু হতে চলেছে দার্জিলিং মেল। এর থেকেও বড় বিষয় দুটি কোচ নয়, পুরো দার্জিলিং মেলটাই এবার শিয়ালদহ -হলদিবাড়ি আপ-ডাউন করবে। সবগুলি কোচই হবে অত্যাধুনিক এলএইচবি কোচ। স্বাভাবিক ভাবেই এই খবরে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়িতে। সাধারণ মানুষ থেকে নাগরিক মঞ্চ সকলেই স্বাগত জানিয়েছেন রেলের এই উপহারকে।
তবে ট্রেন চালানোর কৃতিত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, সাংসদের ক্রমাগত তদবিরেই ফের দার্জিলিং মেল চালু হয়েছে । অন্যদিকে, তৃণমুলের দাবি, তাদের আন্দোলনের জেরেই এটা সম্ভব হয়েছে। তবে রাজনৈতিক তরজা চলতে থাকুক । সাধারণ মানুষ শুধু পরিষেবা পেয়েই খুশি। তাদের কাছে এটা স্বাধীনতা দিবসের উপহার।
দার্জিলিং মেল চালু হওয়ার খবরে খুশির হাওয়া জলপাইগুড়িতে। এদিন জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে, স্টেশন মাস্টার, রেলকর্মী,টিকিট কাটতে আসা যাত্রীদের মিষ্টিমুখ করান বিজেপি নেতৃত্ব।