Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

mla

CBI: বিধায়ক জীবনের গ্রেফতারির পর নিঃশ্বাস ঘন হচ্ছে আরও কিছু মহারথীদের, দাবি সিবিআইয়ের

মনি ভট্টাচার্য: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের (CBI) ৭ জনের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করার পর, সিএন-ডিজিটালের তরফে জানানো হয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment corruption) তদন্তের মোড় ঘুরতে পারে এ সপ্তাতেই। ঠিক তার ৭ দিনের মধ্যেই সোমবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার (Arrested) হল মুর্শিদাবাদের বড়‍ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। সোমবার তাঁর মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর উঠে আসছে আরো কিছু প্রভাবশালীদের নাম।

সূত্রের খবর, সোমবার কাকভোরে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপরেই নিঃশ্বাস ঘন হতে শুরু হয়েছে তৃণমূলের আরও কিছু বিধায়কের। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই ফের জেরা করা হতে পারে নিয়োগ দুর্নীতির আরেক মহারথী গোপাল দলপতি ও তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীকে। সম্প্রতি হৈমন্তীর বেহালার ফ্লাটেও পৌঁছে গিয়েছিল সিবিআই। পাশাপাশি কপালে চিন্তার ভাজ রয়েছে নলহাটির প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীও।

নববর্ষের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নতুন মোড় আনতে গত সোমবার অর্থাৎ ১০ই এপ্রিল একটি সাতজনের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিবিআই। ৭ দিনের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে তৎপর হয়ে পড়ে সিবিআই। শুক্রবার রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমান জেলায়, পাশাপাশি নিউটাউনেও তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের একাধিক দল। এরপর শনিবার তল্লাশি চালানো হয় নলহাটির প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়ি। শনিবারই তল্লাশি চালানো হয় গোপাল দলপতি ও হৈমন্তীর বাড়িতেও। পাশাপাশি ঐদিনই হৈমন্তীর বেহালার ফ্ল্যাটও সিল করে দেয় সিবিআই।

সূত্রের খবর, এই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসছে রাজ্যের আরও বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতা ও বিধায়কদের নাম। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এই জীবনকৃষ্ণ গরুপাচার সম্বন্ধেও অনেক তথ্য জানতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। রবিবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতারের ছক কষে ফেলে সিবিআই। সোমবার ভোর ৫ টা ১৫ নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে, সোমবার সকালেই তাঁকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসে সিবিআই। সোমবারই স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁকে সিবিআই স্পেশাল আদালতে তোলা হবে বলে খবর।

one year ago
Murshidabad: কাজে এলো না কোনও কেরামতি, সোমবার কাকভোরে গ্রেফতার পুকুরে ফোন ছুড়ে ফেলা বিধায়ক

সোমবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়‍ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সিবিআইয়ের (CBI) নাছোড়বান্দা ভাব বুঝিয়ে দিয়েছিল, জীবনকৃষ্ণর গ্রেফতারি কেবল সময়ের অপেক্ষা। আর হলও ঠিক তাই। সোমবার কাকভোরে জীবন কৃষ্ণ সাহার পরিবারের হাতে, অ্যারেস্ট মেমো তুলে দিল সিবিআই। পুকুরে মোবাইল ছুড়ে ফেলা বিধায়কের গ্রেফতারি হলো পুরো নাটকীয় কায়দায়। রবিবার রাতের পর থেকেই জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল সিবিআই।

রবিবার মাঝ রাত থেকেই মুর্শিদাবাদের বিধায়কের বাড়িতে সুরক্ষা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাত দুটো নাগাদ নিয়োগ করা হয় অতিরিক্ত জওয়ান। পাশাপাশি কলকাতা থেকে সিবিআই-এর আরও কয়েকটি গাড়ি আসে। অবশেষে ভোর পাঁচটা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় সিবিআই আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের বড়‍ঞার এলাকার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে শুক্রবার সিবিআই হানা দেয়। তারপর থেকে দীর্ঘ তিন দিন ধরে তল্লাশি চলতে থাকে। শুক্রবার অসুস্থতার নাম বিধায়কের দুটি মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেয় বিধায়ক নিজেই। তারপরেই সিবিআই ওই মোবাইল দুটি উদ্ধারের জন্য তৎপর হয়ে পড়ে। অবশেষে রবিবার সকালবেলায় একটি মোবাইল উদ্ধার করে সিবিআই আধিকারিকরা। দিনভর তল্লাশি চালাতে থাকে তারা। কুকুরের জল সেঁচে, জেসিবি দিয়ে মোবাইল খোঁজার কাজ চালানো হয়। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া মোবাইলের নথি ঘেঁটে দেখতে থাকে ফরেন্সিক দফতর। এবং সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই মোবাইলটি বিধায়কের স্ত্রী টগরি সাহার।

জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারের পর প্রশ্ন উঠছে অনেক। যেমন সিবিআই আগেভাগে জানিয়েছিল এই জীবন কৃষ্ণ সাহার নাম বারবার উঠে আসছিল, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া মহারথীদের জেরা করে জীবনের খোঁজ পায় সিবিআই। সিবিআই আরও জানিয়েছিল যে, এই জীবন কৃষ্ণ সাহা কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। এরপরে এই বিধায়কের গ্রেফতারিতে আরও কোনও প্রভাবশালীর নাম উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

one year ago
Jiban: তৃতীয় দিনে পড়ল সিবিআই বনাম বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা টেস্ট ম্যাচ, উদ্ধার ১টি মোবাইল

রবিবার তৃতীয় দিনে পড়ল সিবিআই (CBI) বনাম তৃণমূল (TMC) বিধায়ক (MLA) জীবন কৃষ্ণ সাহার টেস্ট ম্যাচ। টেস্ট ম্যাচ কেন বলছি? শুক্রবার সকালের পরেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই-এর একটি দল। তারপরেই শুরু হয় খেলা। কিন্তু এই খেলা যে গড়িয়ে তিনদিনে পৌঁছে যাবে তা আঁচ করতে পারেনি কেউই। যদিও এখনও অবধি একটা উইকেট পেয়েছে সিবিআই। অর্থাৎ জীবনকৃষ্ণ সাহার একটি মোবাইল খুঁজে পেয়েছে সিবিআই।

সিবিআই শুক্রবার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দিলে, একদল তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে থাকে, একদল তাঁকে জিজ্ঞেসাবাদ করতে থাকে। সূত্রের খবর, কিছুক্ষণ পর তিনি অসুস্থতার কথা বলে, বাথরুমে যাওয়ার নাম করে বাড়ির ছাদে গিয়ে তাঁর দুটি মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন। এর পরে ওই মোবাইল দুটির জন্য নাছোড়বান্দা হয়ে ওঠেন সিবিআই আধিকারিকরা। বিধায়কের বাড়ির আমবাগান, আঁস্তাকুড় সহ বিভিন্ন জায়গা খুটিয়ে দেখতে থাকেন সিবিআই আধিকারিকরা। সে সময় বিধায়ক পাঁচিল টপকে পালাতে যান বলে অভিযোগ। কিন্তু সে প্রচেষ্টায় সফল হয়নি বিধায়ক।

সূত্রের খবর, শনিবার দিনই স্থানীয় মানুষদের সাহায্যে ওই পুকুরের জল সেচে ফেলার কাজ শুরু হয়। সকালে আনানো হয় মোবাইল খোঁজার জন্য বিশেষ যন্ত্র। শুক্রবার একইসঙ্গে জীবনকৃষ্ণ সাহার শ্বশুরবাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও হার্ডডিস্ক মিলেছে, যা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন আধিকারিকরা। অথচ ওই মোবাইল দুটির একটির জন্য এখনো প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। একটি মোবাইল পাওয়ার পর ঘটনার পুনঃনির্মাণের জন্য জীবনকে নিয়ে ছাদে ওঠে সিবিআই। এ অবস্থায় সিবিআই-এর এই নাছোড়বান্দা রূপকে, অর্থাৎ একনাগাড়ে প্রায় তিনদিন তল্লাশিকে, টেস্ট ম্যাচ বললে কি খুব ভুল বলা হবে?

one year ago


Cbi: সিবিআই দেখে পুকুরে মোবাইল ছুড়লেন বিধায়ক, একদিন পেরিয়ে ডিভাইস খুঁজছে সংস্থা

গোটা দিন পেরিয়ে গেলেও নাছোড় সিবিআই (CBI)। বিধায়কের মোবাইল খুজতে সকাল সকাল স্পেশাল ডিভাইজ আনিয়েছে সিবিআই। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার বিধায়ক (Mla) জীবন কৃষ্ণ সাহা, শুক্রবার তাঁর মোবাইল দুটি ছুড়ে ফেলে দেন পুকুরে। সিবিআই ওই পুকুরের জল সেচে ফেলেছিল শুক্রবার রাতেই, ওই মোবাইল ফোন দুটি খোঁজার কাজ চলছিল শুক্রবার রাত থেকেই। ওই মোবাইল ফোনে কি এমন আছে! সেটা জানতে নাছোড় সিবিআই। পাশাপাশি সূত্রের খবর জীবন কৃষ্ণ সাহার বাড়ি থেকে কিছু হার্ডডিস্ক, ও নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এছাড়া সূত্রের খবর, এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই।

শুক্রবার বড়ঞার বাড়িতে এসে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শুরু হয়েছিল সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়ে শনিবার সকাল ১২টার পরেও তা চলছে। সিবিআই সূত্রে খবর, তারই মধ্যে অদ্ভুত কাণ্ড করে বসেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। বিকেলের দিকে অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে আচমকাই বাড়ির পিছনের পুকুরে নিজের দু’টি মোবাইল ছুড়ে ফেলে দেন তিনি। ঘটনায় হকচকিয়ে যান তদন্তকারীরা। এরপর পুকুরের সমস্ত জল ছেঁচে ফেলে মোবাইল দু’টির খোঁজ চালান তাঁরা। গভীর রাত পর্যন্ত যদিও সেই মোবাইল উদ্ধার হয়নি।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার বিধায়কের অফিস-সহ একাধিক জায়গা খতিয়ে দেখা হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ অসুস্থতার কথা বলে শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলেন জীবনকৃষ্ণ। এর পর বাড়ির পিছনের দিকে যাওয়ার নাম করে পাঁচিল টপকে আচমকাই নিজের দু’টি মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন তিনি। সিবিআই সূ্ত্রের দাবি, সকাল থেকে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের সহযোগিতা করলেও বেলা গড়াতেই তদন্তকারীদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন।

one year ago
CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআইয়ের তল্লাশি

মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূল (Tmc) বিধায়কের (Mla) বাড়িতে সিবিআইয়ের (CBI) তল্লাশি। ঠিক কী কারণে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দলের তল্লাশি তার বাড়িতে সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি। সূত্রের খবর, শুক্রবার বেলা ১ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি দল, মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে এসে পৌঁছন। শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের একটি গাড়ি বিধায়কের বাড়িতে প্রবেশ করতেই বিধায়কের বাড়ির প্রধান দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, বাড়িতেই আছেন বিধায়ক। জীবনকৃষ্ণ সাহাকে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি বিধায়কের বাড়ির নিচে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন আছে। তবে কোন তদন্তে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সে সম্পর্কে এখনো কিছু স্পষ্ট হয়নি।

one year ago


Canning: ভোট ঘোষণার আগেই তৃণমূলের দেওয়াল লিখন! বিধায়কের কাছে রাস্তা-জলের দাবি

পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার আগেই ক্যানিংয়ে (Canning) বিধায়কের নেতৃত্বে দেওয়াল লিখন তৃণমূলের (TMC)। রাজ্যে এখনও ঘোষণা হয়নি পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ। কিন্তু তার আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ে ভোটের প্রচার ও দেওয়াল লিখন শুরু করল তৃণমূল। 

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ক্যানিংয়ের দীঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাসের হাত ধরে শুরু হল দেওয়াল লিখন। সঙ্গে দিনভর চলেছে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারও। এদিন সকালে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিধায়ক ক্যানিং এলাকার বেশ কয়েকটি দেওয়ালে দলের প্রতীক চিহ্ন নিজেই আঁকেন। পাশাপাশি প্রখর রোদ উপেক্ষা করে একটি মিছিলও করেন দলের কর্মীদের নিয়ে। 

সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী বিধায়ক। রবিবার ভোটের প্রচার ও দেওয়াল লিখনের সময় বিধায়ককে রাস্তা ও জলের দাবিও জানানো হয় এলাকার সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। এমনকি সেই দাবি দ্রুত মেটানোর প্রতিশ্রুতিও দেন বিধায়ক।

এই বিষয়ে বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, "একটি রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে তৃণমূলের কর্মীদের দেওয়াল লিখন ও প্রচার করতে দেখি। তারপরই আমি গাড়ি থেকে নেমে তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে কয়েকটা দেওয়াল লিখেছি। এমনকি দলের হয়ে গ্রামের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটও চেয়েছি।" 

one year ago
ssc:'আমার ভাই ১২ পেতে পারে না', নিয়োগ-কাণ্ডে চাকরিহারা ভাইয়ের পাশে মন্ত্রী

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে আদালতের রায়ে চাকরি গিয়েছে প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের। এবার এই বিষয়ে এসএসসিকে তুলোধোনা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর। OMR শিটের ফরেনসিক পরীক্ষার দাবি মন্ত্রীর। স্কুলে গ্রুপ সি পদে চাকরির ক্ষেত্রে ওএমআর শিটে জালিয়াতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই চাকরি গিয়েছে রাজ্যের ৮৪২ জনের। এর মধ্যে নাম রয়েছে উপভোক্তা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই খোকন মাহাতোর।

এবার ঘুরিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত ও এসএসসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শালবনির বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। ওএমআর শিটের ফরেনসিক পরীক্ষার দাবিও তুললেন তিনি। শনিবার সকালে মেদিনীপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, 'এসএসসির ত্রুটির, অন্যায়ের শিকার হতে হচ্ছে নিরীহদের। যার জন্য অনেক ক্ষেত্রে মানসম্মান খোয়াতে হচ্ছে অনেককে, চাকরির পাঁচ বছর পর কেন ওই ওএমআর সিট প্রকাশ করা হলো? কেন আগেই চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করল না এসএসসি!' একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়ে কাজ করছে এসএসসি।

মন্ত্রীর ভাইয়ের ওএমআর শিট প্রসঙ্গে শ্রীকান্ত মাহাতো জানান, 'আমার ভাই কোনওমতেই ১২ বা ১৩ পেতে পারে না, ও কমপক্ষে ৫০ বা ৫৫-র আশপাশে পাবে। ভাই মিলিয়ে দেখেছে, ওর আত্মবিশ্বাস আছে, ও আরও বেশি পাবে।'

one year ago
Elephant: ঝাড়গ্রামজুড়ে হাতির তাণ্ডব, নষ্ট ক্ষেতের আলু-ধান! উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা

ফের হাতির হামলায় (Elephant Attack) ক্ষয়ক্ষতি। গোটা ঝাড়গ্রাম(Jhargram) ব্লকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির একটি দল। রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। ধান চাষের জমিতে গিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তারা। যার ফলে কয়েক বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে হাতির দল।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ঝাড়গ্রাম ব্লকের একাধিক জায়গায় খাবারের খোঁজে হামাল চালায় হাতির দল। ঝাড়গ্রাম ব্লকের কুনডলডিহি গ্ৰামে মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ হাতির দল হামলা করে দীপেন্দু মাহাতো নামে এক স্থানীয়ের বাড়িতে। রাতে বাড়ির বাইরে লোকজনের চিৎকার শুনে দরজা খুলে দেখে একটা হাতি কলা গাছ ভেঙে বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে। তারপরই বাড়িতে রাখা দীপেন্দুর বিয়ে বাড়ির ডেকোরেশন ব্যবসার স্ট্রাকচারগুলো পায়ে মাড়িয়ে ভেঙে দেয়। 

অন্যদিকে বুধবার সাতসকালে ওই হাতির দলটিই মোহনপুর ও মুড়াকাটি এলাকায় ধান চাষের জমিতে গিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। যার ফলে কয়েক বিঘা জমির চাষের ধান নষ্ট করে দিয়েছে হাতির দলটি, জানান গ্রামবাসীরা। এমনকি মানিক পাড়ার বৈদ্যপালে সকালে আলুচাষের জমিতে চাষিরা থাকাকালীনই ঢুকে পড়ে দাঁতালের দল। আলু খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্টও করে তারা।

পরে হাতির দলটি মোহনপুর জঙ্গল থেকে এনএইচ-৬ পেরিয়ে নেকড়াবিন্ধ্যা ও ছচমেটিয়ার দিকে চলে যায়।

one year ago


Deganga: সাতসকালে ক্ষেতে নগ্ন দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য, শরীরে-গলায় দাগ দেখে সন্দেহ

এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নগ্ন দেহ(Death Body) উদ্ধার। দেহটি উদ্ধার করল দেগঙ্গা থানার(Deganga Police) পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার উত্তরবরুনী এলাকার(North 24 Parganas) পৃথীবা রোডের পাশে এক নির্জন এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহটি। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় চাষীরা ৪৫ বছরের এক অজ্ঞাতপরিচয় ব‍্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই মৃত ব্যক্তির শরীরে গলায় কালশিটে দাগ লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। এমনকি ওই ব্যক্তির গায়ে ছিল না কোনও পোশাক, দাবি স্থানীয়দের। 

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে চাষের জমিতে সবজি তুলতে এসে নগ্ন অবস্থায় এই দেহটি পড়ে থাকতে দেখে তাঁরা। পরে দেগঙ্গা থানায় খবর দেয় তাঁরা। স্থানীয়দের অনুমান, ওই ব‍্যক্তিকে খুন করে এখানে ফেলে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এমনকি এই এলাকায় একাধিক মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা আগেও ঘটেছে, অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই এই এলাকায় পুলিসি নজরদারি বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

পুলিস ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। এমনকি মৃত ব‍্যক্তির নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস।

one year ago
Jhargram: বাড়িতে 'অতিথি' আগমন, পাম্পের জল-কলা গাছ খেয়ে তৃপ্ত রামলাল

গরম পড়তেই ক্লান্ত রামলাল (Elephant) সটান হাজির গৃহস্থর বাড়িতে। জঙ্গল ছেড়ে সোজা বাড়িতে এসে হাজির রামলাল হাতি। তার জল তেষ্টা পেয়েছে বুঝে বাড়ির লোকও তাড়াতাড়ি করে সাবমার্সেবেল পাম্প চালিয়ে দেয়। ঝাড়গ্রাম(Jhargram) রেঞ্জের পুকুরিয়া বিটের অরুণডিহি গ্রামের ঘটনা। বাড়ির লোকজন আতঙ্কে ঘরের মধ্যেই ছিল। তবে কারও ক্ষতি করেনি সে। 

জঙ্গল মহলের পরিচিত হাতি রামলাল। একডাকে জেলার সকলে চেনে। রামলাল তার খুশি মত যার-তার বাড়িতে ঢুকে খাওয়া-দাওয়া করে। তবে কারও কোনও ক্ষতি করে না। অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের রামলাল। 

জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে জল তেষ্টার জন্য রামলাল কাজু বাদামের জঙ্গল ছেড়ে সোজা এলাকাাসীদের বাড়িতে এসে হাজির হয়। রামলালের জল তেষ্টার কথা বুঝতে পেরে বাড়ির সদস্যরাও তাড়াতাড়ি করে সাবমার্সেবেল পাম্প চালিয়ে দেয়। তারপরেই জল খেয়ে নিজের তৃষ্ণা নিবারণ করে সে। এমনকি বালতিতে রাখা জল ছিটিয়ে গা ঠান্ডা করে। প্রায় আধ ঘন্টার উপর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে কলা গাছ খেয়ে নষ্ট করে রামলাল। তারপর নেটের বেড়া ভেঙে আবার কাজু বাগানে প্রবেশ করে জঙ্গল মহলের পরিচিত হাতি রামলাল।

one year ago


Yogi: বিধায়ক খুনের সাক্ষীকেও খুন! প্রয়াগরাজে পুলিস এনকাউন্টারে ঝাঁঝরা অভিযুক্ত

বিএসপি বিধায়ক রাজু পল হত্যাকাণ্ডের মূল সাক্ষীকে খুনে অভিযুক্ত ছিল আরবাজ নামে এক দুষ্কৃতী। সেই অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে এনকাউন্টারে ঝাঁঝরা করলো  উত্তরপ্রদেশ পুলিস। প্রয়াগরাজ একদা এলাহাবাদের ধুমনগঞ্জ এলাকার নেহরু পার্কে হওয়া এই এনকাউন্টারে সাক্ষী খুনে ওই অভিযুক্ত নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন।

প্রয়াগরাজ পুলিসের দাবি, 'পাল্টা আরবাজের গুলিতে রাজেশ মৌর্য নামে এক পুলিস ইনস্পেক্টর জখম হয়েছেন।' উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এক কর্তা বলেন, 'শুক্রবার উমেশ খুনে জড়িত ছিলেন আরবাজ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায় পুলিস। সে সময় আরবাজ গুলি চালানোয়, পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল পুলিস। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরবাজকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা আরবাজকে মৃত ঘোষণা করেন।'

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পল খুন হয়েছিলেন। এই খুনে অভিযোগ ওঠে কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে। সেই মামলার সাক্ষী ছিলেন রাজুর বন্ধু উমেশ পল। গত কয়েক বছরে একাধিক বার আক্রান্ত হয়েছিলেন উমেশ। কিন্তু এবার আর শেষরক্ষা হয়নি।

one year ago
Manik: 'আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, লন্ডনে বাড়িও নেই! যদি থাকে ফাঁসি হোক', সরব মানিক

আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, লন্ডনে বাড়িও নেই। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ফাঁকা এজলাসে এই দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তাঁর মন্তব্য, 'যারা এসব বলছেন, তাঁরা আমায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিক।' এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Court) মানিক জানান, 'আমার ৬৬০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট আছে যাদবপুরে। পরে ১১০০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট কিনেছি। আর নদীয়ায় বাড়ি আছে। এসব তথ্য আমি ইডিকে (ED) দিয়েছি।' নাম না করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, 'একজন সিঙ্গল বেঞ্চের জজ এসব বলছে। ডিভিশন বেঞ্চে আগে মামলা হয়নি। আজ হবে, তার আগে মিডিয়া ভুল খবর দিচ্ছে।'

এদিন কোর্ট থেকে জেলে যাওয়ার পথে এবিষয়ে সরব ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'আমার লন্ডনে বাড়ি নেই, বাড়ি নেই, বাড়ি নেই। আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, নেই, নেই। যদি থাকে আমার ফাঁসি হোক। আপনাদের একটা অনুরোধ একটু জেনে নিয়ে খবর করবেন।' 

দুটি পাসপোর্ট প্রসঙ্গে পর্ষদের অপসারিত সভাপতি বলেন, 'আমার দুটো পাসপোর্ট নেই।একটার সময়সীমা শেষ হওয়ায় অন্যটি পেয়েছি। দুটোর নম্বর এক, এটা কেউ দেখলো না। আমার দুটো পাসপোর্ট থাকলে ভারত সরকার আমাকে ছেড়ে দিতো।' মিডিয়ার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করে মানিক বলেছেন, 'সোমবার সিবিআই আমার কাছে গিয়েছিল। পাসপোর্ট নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে মিডিয়া। আমি জেলে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি। আমার মান সম্মান সব জলাঞ্জলি।'

এদিকে জানা গিয়েছে, জেলে যাওয়ার সময় পুলিসের গাড়ি আচমকা ব্রেক কষায় আহত হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। গাড়ির মধ্যেই পড়ে গিয়ে বুকে, পায়ে আঘাত লেগেছে তাঁর। তিনি এই মুহূর্তে জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


one year ago
TMC: উস্থি থানায় গিয়ে পুলিসকে 'দু'পয়সার চাকর' কটাক্ষ টিএমসি বিধায়কের, ক্ষমা চাওয়ালেন এসডিপিও

তৃণমূল নেতাকে আটক করায় থানায় গিয়ে 'দাদাগিরি'র অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত মগরাহাট (পশ্চিম)-এর বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে থানার বাইরে বসিয়ে ক্ষমা চাওয়ালেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে। এসডিপিও-র সঙ্গে গিয়াসউদ্দিন মোল্লার তীব্র বকাবিতণ্ডার এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যে ভিডিও ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা। ভাইরাল এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল। এই ঘটনায় শোরগোল পড়তেই এক সংবাদ মাধ্যমকে সেই তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, 'তিনি এ বিষয়ে যা বলার দলীয় নেতৃত্বকে বলবেন।'

ঠিক কোন ঘটনা ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। জানা গিয়েছে, রবিবার উস্থি থানার ভোলেরহাটে এক বৃদ্ধাকে খুন করে তাঁর ছেলে। আর এই খুনের ঘটনায় জয়ন্ত চৌধুরী নামে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যর অভিযোগ ওঠে। পুলিস তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এই খবর চাউর হতেই দলবল নিয়ে থানায় সটান হাজির হন মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। থানায় গিয়ে পুলিসকর্মীদেরকে হুমকি ও শাসাতে থাকেন বিধায়ক বলে অভিযোগ। এমনকি থানার বাইরে বসে এসডিপিও-র সঙ্গেও বচসায় জড়ান বিধায়ক। যদিও থানায় এসে পুলিসের উদ্দেশে কটূক্তি, ধমক এবং 'দু পয়সার চাকর' বলে বিধায়কের কটাক্ষকে তীব্র সমালোচনার সুরে বিঁধেছেন এসডিপিও।

অভিযোগ, বিধায়ক নাকি থানা ভাঙচুরের হুমকি দিয়েছেন। থানার সিঁড়িতে বসে থাকা তৃণমূল বিধায়ককে মোটেই রেয়াত করেনি এসডিপিও। তৃণমূল বিধায়ক থানায় এসে পুলিশকর্মীদের শাসানোর ঘটনায় তাঁকে ক্ষমাও চাওয়ান এসডিপিও।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল যুব সভাপতি ইমরান হাসান জানান,'আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার বলেছেন পুলিস-প্রশাসন ও সরকারি আধিকারিকের উপরে দলের কোনও কর্মী কোনও কর্তৃত্ব ফলাবে না। দলের পক্ষ থেকে পুলিস মহলের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। একটি নিন্দনীয় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন বিধায়ক। আমাদের দল এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না।'

বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদ্যুত বৈদ্য জানান,'তৃণমূল নেতার এই আচরণ নতুন কিছু নয়। কারণ সারা পশ্চিমবঙ্গ দেখেছে, পুলিস তৃণমূল বিধায়কদের দলদাস হয়ে গিয়েছিল। এখন পুলিস সক্রিয় হয়েছে, এটাই ওদের মাথাব্যাথার কারণ। পুলিসের এই উদ্যোগের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।'

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান,'তৃণমূলের ওই বিধায়ক ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও-সহ পুলিসকর্মীদের হুমকি ও গালিগালাজ করেছেন। মার্ডার কেসের আসামী তাকে গ্রেফতার করেছে সেই কারণে তৃণমূলের বিধায়ক ক্ষুব্ধ হয়েছেন। পুলিসকে দু-টাকার চাকরবাকর বলেছেন। ঠিকই করেছেন তো, এটাই তো পুলিসের প্রাপ্য।'

one year ago


Cash: কোটি টাকা উদ্ধারে চক্রান্ত দেখছেন প্রাক্তন মন্ত্রী! 'শ্রমিকদের বেতনের টাকা', দাবি জাকিরের

আমি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সবচেয়ে বেশি করদাতা। প্রতি বছর আমি কেন্দ্রের থেকে সার্টিফিকেট পাই। আয়কর হানায় (IT Raid) বাড়ি-অফিসে নগদ উদ্ধার-কাণ্ডে অবশেষে মুখ খুললেন প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন (TMC MLA Zakir Hossain)। পাশাপাশি এই ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেন। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, 'আমার বাড়ি থেকে যৎসামান্য টাকা উদ্ধার হয়েছে। আনুমানিক এক-দেড় কোটি টাকা (Cash Seized) উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই টাকা শ্রমিকদের বেতনের জন্য রাখা ছিল। কিছু টাকা আমার ছেলে আর স্ত্রী-মেয়ের। চালকল থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটাও ধান-গম কেনার টাকা, বেতনের টাকা। নগদে না দিলে ধান-গম কৃষকরা দেবেন না। তাছাড়া চালকল শরিকি ব্যবসা, অন্যদের জিজ্ঞাসা করতে হবে টাকার উৎস। ' এরকম করলে মিল বন্ধ হয়ে যাবে, এই আশঙ্কা করেন তৃণমূল বিধায়ক।  

১৫ কোটি টাকা উদ্ধারের যে খবর সংবাদ মাধ্যমে দেখাচ্ছে, সেই খবর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের জঙ্গিপুরের বিধায়ক। পাশাপাশি এভাবেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ নস্যাৎ করেন প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী। এদিকে, জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি-অফিসে বুধবার দিনভর তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর।

সূত্রের খবর, নগদ ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই অর্থের মধ্যে শুধুমাত্র ৯ কোটি টাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর মুর্শিদাবাদের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, দেশের মোট ২৮ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। তল্লাশি চলেছে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।

one year ago
Tax: এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি-অফিসে টাকার পাহাড়! আয়কর অভিযানে বাজেয়াপ্ত ১১ কোটি

এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস এবং কারখানায় টাকার পাহাড়! জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের (Zakir Hossain) বাড়ি-অফিসে বুধবার দিনভর তল্লাশি (IT Raid) চালিয়ে নগদ ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। এই অর্থের মধ্যে শুধুমাত্র ৯ কোটি টাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর মুর্শিদাবাদের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, দেশের মোট ২৮ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। তল্লাশি চলেছে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।

রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি-অফিসে মিলিয়ে বুধবার রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য জায়গাগুলোয় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বাকি অর্থ। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, শ্রম দপ্তরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে গরু পাচার-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের যোগসূত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

জাকিরের বাড়ি-অফিসে তল্লাশি চালিয়ে আয়কর দফতরের উদ্ধার হওয়া অর্থ আদতে কোন পথে এসেছে, সেটা জানতে জাকিরকে তলব করতে পারে সিবিআই। সূত্র অনুযায়ী, এই অর্থ জাকিরের বিড়ি কারখানায় ব্যবহার হয়েছে কিনা, তা জানতে চায় ইডি। এত পরিমাণ নগদ কী কাজে বাড়ি-অফিসে রাখা ছিল, সেটা জানতে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

one year ago