প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। শুক্রবার মাঝরাতে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন সাংসদ তথা ভগবানগোলার বিধায়ক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। জানা গিয়েছে, ক্যানসারে ভুগছিলেন ইদ্রিশ আলি। বিধানসভায় নিয়ে আসা হয় তাঁর মৃতদেহ। সেখানেই শোক জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী-বিধায়করা। ইদ্রিশ আলির মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব হয়ে শেষ হল বিধানসভার শুক্রবারের অধিবেশন। শোক প্রস্তাব করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রদ্ধা জানালেন অধ্যক্ষ।
সূত্রের খবর, ক্যানসারের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু রোগ তাঁর শরীরে বাসা বেধেছিল। অনেকদিন ধরেই বিধায়কের শরীর অসুস্থ ছিল। ইদানিং রাজনীতির জগতেও সক্রিয়তা কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এদিনই পার্ক স্ট্রিটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রয়াত বিধায়কের।
ইদ্রিশ আলির রাজনৈতিক জীবন শুরু কংগ্রেসে। তাঁর রাজনীতিতে আসা কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর হাত ধরে। ২০১১ সালে তিনি ভোটে লড়েন তৃণমূলের হয়ে। সেবার জয় পাননি। ২০১৪ সালে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি জয়ী হয়ে সাংসদ হন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তিনি ভগবানগোলা আসনে জিতে বিধায়ক হন।
শত অপেক্ষার অবসান। আজ উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দির। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য় অধির আগ্রহে রয়েছেন গোটা দেশের মানুষ। তবে শুধু দেশ নয় গোটা বিশ্ব মুখিয়ে রয়েছে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা দেখার অপেক্ষায়। সরয়ূর তীরে মহোৎসবের সাজে সেজে উঠেছে অযোধ্য়ার রামলালা ধাম। এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আচার। আবেগের উৎসবে আনন্দিত।
সোমবার দুপুরে নবনির্মিত কৃষ্ণশিলা মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা। আর সেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্য়েই অযোধ্য়ায় পৌঁছে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বিমান বন্দর থেকে অযোধ্য়া যাবেন হেলিপ্য়াডে। তাই নিরাপত্তায় চাদরে মোড়া রয়েছে রাম মন্দির। মোতায়েন রয়েছে ১৩ হাজার নিরাপত্তারক্ষী। আমন্ত্রিত অতিথি ও বিশেষ অনুমতিপত্র ছাড়া প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে হাজির হয়েছেন রাজনৈতিক ব্য়ক্তি থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিরা।
মনের ভক্তি ও ইচ্ছা শক্তিতে নিজের হাতে ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের রামায়ণের গোটা চিত্র তুলে ধরেছেন তাঁত শাড়িতে। প্রায় এক বছর সময় ধরে একটির পর একটি সুতো দিয়ে নিখুঁতভাবে গোটা রামায়ণের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁত শাড়িতে রানাঘাট থানার হবিবপুর রাঘবপুর মাঠপাড়ার বাসিন্দা হস্তচালিত তাঁতশিল্পী পিকুল রায়।
সেই শাড়ি অযোধ্যার রামমন্দিরের রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন ভগবান সীতা মায়ের চরণে অর্পণ করতে চান শিল্পী পিকুল রায়। আগামী ২২ তারিখে অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। সেই দিনের উদ্দেশেই হবিবপুর স্টেশন থেকে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে ট্রেনে রওনা তাঁতশিল্পী পিকুল রায়ের। তিনি সঙ্গে নিয়েছেন হাতে তৈরি রামায়ণের গোটা চিত্র ফুটিয়ে তোলা তাঁত শাড়ি। ভাইয়ের এই মহৎ কাজে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন দাদা অনন্ত রায়। তাই ভাইকে সঙ্গ দিতে ভাইয়ের সাথে দাদা অনন্তও অযোধ্যায় রওয়ানা দিয়েছেন। তিনি জানালেন, অযোধ্যার রামমন্দিরের তরফ থেকে তেমন কোনও সাড়া মেলেনি। অযোধ্যা মন্দিরের তরফে কোনও সাড়া না মিললেও, মনের ভক্তির বলেই সেই ইচ্ছাপূরণের জন্যই অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা। তবে পিকুল রায় ও দাদা অনন্ত রায়ের অযোধ্যায় যাওয়ার খবর জানাজানি হতেই গোটা গ্রাম উপচে পড়ে উৎসাহিত করতে।
পিকুল রায়ের একবছর সময় লেগেছে শাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করতে। সম্পূর্ণ তাঁতের উপর হাতের বুনোনে তৈরি এই শাড়ি দেখলে মনে হবে এটা ছাপা অথবা প্রিন্টের, কিন্তু না গোটাটাই হস্তশিল্প। এই হচ্ছে বাংলার তাঁত শিল্পের অবদান, যা আজকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন শিল্পী পিকলু রায়। রাম-সীতা, লক্ষণ, হনুমানকে হাতের বুনোনের মাধ্যমে শাড়িতে ফুটিয়ে তুলেছেন পিকলু। আগামী ২২শে জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে শাড়িটি উপহার হিসেবে দেবেন ও সেখানে উপস্থিত থেকে অঞ্জলিও দেবেন দাদা-ভাই।
রাত পোহালেই ২২ জানুয়ারি, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা, এর পাশাপাশি নবনির্মিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ফলে সেই ঐতিহাসিক ক্ষণের জন্যই অপেক্ষায় সারা দেশবাসী। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের শুভ ও ঐতিহাসিক উপলক্ষ্যে, সকাল ১০টা থেকে প্রাণ-প্রতিষ্ঠা মুহুর্তের ঠিক আগে পর্যন্ত, প্রায় ২ ঘণ্টা শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে শুভ পবিত্রতার জন্য 'মঙ্গল ধ্বনি'র আয়োজন করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ৫০টিরও বেশি মনোমুগ্ধকর বাদ্যযন্ত্র প্রায় ২ ঘন্টা ধরে বাজানো হবে। ভগবান শ্রী রামের সম্মানে বিভিন্ন ঐতিহ্যকে একত্রিত করে এই গ্র্যান্ড কনসার্টটি প্রতিটি ভারতীয়র জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ্য চিহ্নিত করবে। এই শুভ সংগীতানুষ্ঠানের ডিজাইনার এবং সংগঠক হলেন যতীন্দ্র মিশ্র, যিনি একজন প্রখ্যাত লেখক, অযোধ্যা সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ এবং শিল্পী। এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেছে কেন্দ্রীয় সঙ্গীত নাটক আকাদেমি, নয়াদিল্লি।
মন্দির প্রাঙ্গণে ভারতীয় ঐতিহ্যে ব্যবহৃত সব ধরনের যন্ত্র বাজানো হবে। এর মধ্যে রয়েছে পাখাওয়াজ, বাঁশি, উত্তর প্রদেশের ঢোলক, কর্ণাটকের বীণা, মহারাষ্ট্রের সুন্দরী, পাঞ্জাবের আলগোজা, ওড়িশার মর্দাল, মধ্যপ্রদেশের সান্টুর, মণিপুরের পুং, অসমের নাগারা ও কালি, ছত্তিশগড়ের তাম্বুরা, বিহারের পাখাওয়াজ, দিল্লির পাখাওয়াজ, শেহনাই, রাজস্থানের রাবণহাঠ, বাংলার শ্রীখোল, সরোদ, অন্ধ্রের ঘটম, ঝাড়খণ্ডের সেতার, গুজরাটের সান্তার, নাগাস্বরম, তাভিল, তামিলনাড়ুর মৃদং এবং উত্তরাখণ্ডের হুডা-এর মতো বাদ্যযন্ত্র বাজানো হবে।
রবিবার পেরোলেই সোমবার রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। অবশেষে রামলালা বিরাজমান হবেন তাঁর নিজগৃহে। তারই কাউন্টডাউন এখন শুরু হয়ে গিয়েছে রামনগরীতে। ২২ জানুয়ারির পুণ্যক্ষণকে বরণ করে নিতে সেজে উঠছে অযোধ্যা। দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রামের মূর্তি। জনতার ঢল সামলাতে বন্ধ অযোধ্যা আসার দুটি স্টেশনও। শুধু চূড়ান্ত কাউন্টডাউনের প্রহর গুণছে ১৪০ কোটির দেশ।
পাঁচ বছর বয়সী রামলালার মূর্তি বসেছে গর্ভগৃহে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে সেই মূর্তির ছবি। কন্নড় শিল্পী যোগীরাজ অরুণের হাতে তৈরি কৃষ্ণশীলার এই মূর্তি ঘিরে আবেগও উঠেছে তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, ২০০ কেজি ওজনের এই মূর্তির উচ্চতা ৪.২৪ ফুট আর চওড়ায় তিন ফুট। ভগবান রামের বাল্যকালকে হাতে ফুটিয়ে তুলেছেন যোগীরাজ অরুণ। সূত্রের খবর, মূর্তি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে বিষ্ণুর দশ অবতার স্থান পেয়েছে মূর্তিতে। একদম নীচে রয়েছেন হনুমানজি এবং গরুর। মাথায় সূর্য ভগবান। মৎস্য, কুর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, কল্কি অবতার খোদাই করা মূর্তিতে।
এদিকে প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার থেকে বন্ধ অযোধ্যা ধাম এবং ফৈজাবাদ স্টেশন। পুণ্যার্থীদের চাপ সামলাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। জেলা প্রশাসনের অনুরোধেই এই দুই স্টেশনে ট্রেন ঢোকানো বন্ধ করে দিয়েছে রেল মন্ত্রক। অযোধ্যা ধাম এবং ফৈজাবাদ স্টেশনে ঢোকার আগে অনেক ট্রেনের অভিমুখ বদলে দেওয়া হয়েছে। ফলে রবিবার থেকে যাঁদের বুকিং টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করেছে রেল মন্ত্রক, এমনটাই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে পুণ্যার্থীদের ভিড়ে হিমশিম অবস্থা জেলা প্রশাসনের। লতা মঙ্গেশকর চক থেকে নির্মীয়মান রামমন্দির এবং সরযূ তীরে শুধুই কালো মাথার ভিড়। ট্রেন ছাড়াও পায়ে হেঁটে, ব্যক্তিগত গাড়িতে কিংবা গোরু-মহিষের গাড়িতে চেপে সহস্র পুণ্যার্থী অযোধ্যায় প্রবেশ করছেন। তাঁদের সামলাতে হিমশিম অবস্থা স্থানীয় প্রশাসনের। তাই মূল অনুষ্ঠানের দিন ভিভিআইপিদের উপস্থিতির মধ্যে কোনওপ্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রেলপথ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের।
আবার শনিবার কাজী নজরুল ইসলামের একটি গান সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন জপ নাম এই গানটি গেয়েছেন বাঙালি শিল্পী পায়েল কর। সেই ইউটিউব লিঙ্ক-সহ সামাজিক মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'প্রভু শ্রীরামের প্রতি বাংলার মানুষের অগাধ আস্থা। সোমবারের অনুষ্ঠানের পর মিষ্টিমুখ আবশ্যিক। তাই হায়দরাবাদ থেকে অযোধ্যায় এসেছেন ১২৫৬ কেজির লাড্ডু। তিরুপতি বালাজি মন্দির পাঠিয়েছে ৩ টনের লাড্ডু।'
২২ জানুয়ারি ঘটতে চলেছে অপেক্ষার অবসান। ওইদিনই অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। সেদিন রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার সাক্ষী থাকবে গোটা দেশ। উত্তরপ্রদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওইদিন সেরাজ্যের সমস্ত জেল থেকে সরাসরি দেখানো হবে সেই মুহূর্ত। আর এ বিষয়ে ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত জেল সুপারিটেন্ডেন্টকে। যোগীরাজ্যের কারা ও গৃহরক্ষী প্রতিমন্ত্রী ধরমবীর প্রজাপতি জানিয়েছেন, বন্দিদের দেশের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকা প্রয়োজন। তাই রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা ‘লাইভ’ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনের দিন হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি অযোধ্যায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্ব আগামী ২২ জানুয়ারি ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্যে অপেক্ষা করছে। অযোধ্যাবাসীর উন্মাদনা-আবেগ অনেক বেশি। তবে আগামী ২২ জানুয়ারি দেশের প্রত্যেক বাড়িতে যাতে রামজ্যোতি জ্বালানো হয় সেই আবেদন রাখেন প্রধানমন্ত্রী। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গোটা দেশে যাতে দীপাবলি পালন করা হয় সেই আবেদনও রাখেনও। আলোয় আলোকিত হবে গোটা দেশ।
উল্লেখ্য, গর্ভগৃহে রামের যে মূর্তিটি থাকবে তা তৈরি করেছেন কর্ণাটকের মাইসুরুর বাসিন্দা অরুণ যোগীরাজ। রামলালার মোট তিনটি মূর্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, ওই তিনটি মূর্তিই মন্দিরে থাকবে এবং সমান গুরুত্ব পাবে। সূত্রের খবর, ওই মূর্তিগুলি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, আগামী ১০০০ বছরে তার কোনও সংস্কারের প্রয়োজন হবে না। রামের পাঁচ বছর বয়সী অর্থাৎ বালক রূপকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তুলসীদাস রচিত রামচরিতমানস এবং মহর্ষি বাল্মীকির রামায়ণে রামের যে রূপ বর্ণনা করা হয়েছে সেই আদলেই মূর্তিগুলিকে তৈরি করা হয়েছে।
আর মাত্র হাতে গোনা দিন। খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। আর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরেই রামরাজ্যে সাজো সাজো রব। ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করা হল রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার কোন মূর্তি স্থাপন করা হবে। জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের বাসিন্দা বিখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের তৈরি রামলালার মূর্তিই রাম মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, "যেখানে রাম, সেখানেই হনুমান। অযোধ্যায় ভগবান রামের প্রাণ প্রতিস্থাপনের জন্য মূর্তি নির্বাচন চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমাদের দেশের প্রখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের খোদাই করা ভগবান রামের মূর্তিটি অযোধ্যায় স্থাপন করা হবে।" ফলে অরুণ যোগীরাজের তৈরি করা প্রভু রাম, লক্ষণ, সীতা এবং হনুমানজির মূর্তি যুগ যুগ ধরে শোভা পাবে অযোধ্যার রাম মন্দিরে।
এই বিষয়ে যোগীরাজের মা সরস্বতী বলেন, "এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। যখন ওঁকে প্রতিমা তৈরি করতে দেখি তখন সেই মূর্তি একবার দেখতে চেয়েছিলাম। তখন ছেলে বলেছিল পরে আমাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়েই দেখাবে তার আগে নয়। আমি প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন অযোধ্যায় যাব। প্রায় ৬ মাস হল ও অযোধ্যায় আছে। আমার ছেলের উন্নতি ও সাফল্য দেখে আমি খুশি।"
লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা কংগ্রেসের। এবারে ইডির চার্জশিটে নাম উঠে এল কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। মূলত আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির র্যাডারে সোনিয়া কন্যা। এই প্রথমবার আর্থিক প্রতারণা মামলার চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কার নাম উল্লেখ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে শুধুমাত্র প্রিয়াঙ্কা নন, তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরার নামও রয়েছে ইডির চার্জশিটে।
জানা গিয়েছে, হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি কৃষিজমি কেনা-বেচা ঘিরে দুর্নীতি হয়েছে। তাতেই জড়িত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরা। ইডির দাবি, ২০০৬ সালে দিল্লির এক রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এইচএল পাহার কাছ থেকে হরিয়ানায় ৪০ একরের তিনটি কৃষিজমি কিনেছিলেন প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরা। ২০১০ সালে আবার সেই রিয়েল এস্টেট এজেন্টের কাছেই ওই জমি বিক্রি করে দেন। এই জমি কেনা-বেচা ঘিরেই বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে ইডির দাবি। শুধু তাই নয়, একাধিক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত প্রবাসী ব্যবসায়ী সিসি থাম্পির সঙ্গেও নাকি গভীর সম্পর্ক রয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং রবার্ট বঢরার।
উল্লেখ্য, এই মামলায় নাম রয়েছে কুখ্যাত ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারী এবং প্রবাসী ব্যবসায়ী সিসি থাম্পির। ইডির দাবি, আর্থিক দুর্নীতি করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই লন্ডনে সম্পত্তি কিনেছিলেন সঞ্জয় ভান্ডারি। সেই সম্পত্তিতেই বসবাস করতেন রবার্ট বঢরা। ইডি সূত্রে খবর, ব্ল্যাক মানি অ্যান্ড ইম্পোজিশন অফ ট্যাক্স আইন ২০১৫-এর অধীনে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে আয়কর দফতর। সেই মামলার তদন্তই শুরু করেছে ইডি। ফলে লোকসভার নির্বাচনের আগেই ইডির চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কার নাম উল্লেখ করায় বড়সড় বিপাকে কংগ্রেস।
এবারে আসানসোলে তল্লাশি অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকে পুরো অ্যাকশনে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এদিন ফের এক তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর বাড়িতে হানা দিল আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, তাঁর কলকাতার বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর স্ত্রী বর্তমানে তৃণমূলের কাউন্সিলর। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আসালসোলে শুধুমাত্র এই প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতেই নয়, আরও কয়েকজনের বাড়িতে ত্ল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর।
জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর থেকে তল্লাশি চলছে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলীর বাড়িতে। ৫টি গাড়ি নিয়ে আসেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। আসানসোলের বার্নপুর এলাকায় প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ি ছাড়াও আসানসোল দক্ষিণ থানা অন্তর্গত পায়েল এন্টারপ্রাইজ-এর অফিস ও বার্নপুরের পুরানো হাট এলাকাতেও পঙ্কজ আগারওয়াল নামে একজনের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশি চলছে বলে খবর। পায়েল এন্টারপ্রাইজ এর মালিকের নাম ইমতিয়াজ বলে জানা গিয়েছে এবং পঙ্কজ পায়েল এর সঙ্গে যুক্ত বলে সূত্রের খবর। আসানসোলের হিরাপুরে পুরানো হাট এলাকায় অরুণ আগারওয়াল-এর বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানা। সূত্রের খবর, রেশনের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। সেই বিষয়ে হানা হতে পারে। তাঁর ভাই পঙ্কজ আগারওয়াল চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্ট বলে খবর। পায়েল এন্টারপ্রাইজ এর সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আবার, আসানসোলের নুরুদ্দিন রোড এলাকায় মহেন্দ্র শর্মার অফিসেও হানা দিয়েছে আয়কর দফতর। জানা গিয়েছে, নুন, বালি সহ আরও বেশ কিছু ব্যবসা বাংলা-ঝাড়খণ্ডে রয়েছে তাঁর।
বুধবার বিধানসভায় বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল পাস হয়। বিরোধী বিধায়কদের অনুপস্থিতিতে বিধানসভায় সহজেই এই বিল পাস করিয়ে নেয় বাংলার শাসকদল। এদিন বিধানসভায় বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, অনেক বিধায়কের কোটি কোটি টাকা রয়েছে। তাঁদের ভাতা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁরাই বেতন বৃদ্ধির বিরোধিতা করছেন। তাঁর দাবি, তৃণমূলের অনেক বিধায়ক রয়েছেন, যাঁদের মাটির বাড়ি, কোনও সম্পদও নেই। পাশাপাশি, এক লক্ষ কৃষকের জন্য ২,৮০০ কোটি টাকার বরাদ্দ রেখেছেন বলেও জানান। বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, বেতন বাড়িয়েছি, বেশ করেছি। সুযোগ পেলে আবার বাড়াব।
এদিন বকেয়া ডিএ-র জন্য বামেদের ঘাড়ে দোষও চাপান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ২০১১ সাল পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ ডিএ বকেয়া রেখেছিল বামেরা। আমাদের সরকার পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশকে মান্যতা দিয়ে ধাপে ধাপে ৯০ শতাংশ ডিএ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, বকেয়া ডিএ নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে বর্তমান রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এ নিয়ে রাজপথে নেমে অবস্থান, বিক্ষোভ কর্মসূচিও তাঁরা পালন করেছেন। বিষয়টির জল গড়িয়েছে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত।যদিও এ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই বাংলার সরকারের। তাদের সাফাই, সরকারের ভাঁড়ার শূন্য। তাই ইচ্ছে থাকলেও কর্মচারীদের প্রাপ্য ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার মেলা, খেলার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় করছে। কিন্তু কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলেই বলা হয়, টাকা নেই। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, সরকারের ভাঁড়ার শূন্য হলে বিধায়কদের বেতন, ভাতা বাড়ানো হচ্ছে কি করে ? নাকি দল ধরে রাখার জন্য বিধায়কদের খুশি রাখতেই এই পদক্ষেপ ? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
ঘটনার ঘনঘটায় প্রায়ই গরম থাকে ভাঙড়ের হাওয়া। এবার ফের সেই দ্বন্দ্বই যেন ফের উস্কে দিল একটা কালিমাখা পোস্টার। কালিতে মাখামাখি বিধায়ক শওকত মোল্লার পোস্টার। বাসন্তী হাইওয়ের বালিগাদা মোড়ে এই ছবি দেখেই দিন শুরু হল ভাঙড়বাসীর। কিন্তু, কে বা কারা করল এই কাজ? যদিও সেই ব্যাপারে স্পিক টি নট এলাকাবাসী।
১৮ নভেম্বর থেকে ক্যানিংয়ে চলছে এমএলএ কাপ। সেই কারণেই বাসন্তী হাইওয়ের বালিদা মোড় সহ একাধিক জায়গায় তোরণ লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে, সেই বালিদা মোড়েই দেখা গেল এই ঘটনা। কালি মাখা পোস্টার নিয়ে আইএসএফকে একহাত নিতে ছাড়ল না তৃণমূল। ছবি ছিঁড়ে লাভ নেই, ভাঙড়ের মনে মমতা, দাবি শওকতের।
পোস্টারে পড়ছে কালি। তাও কিনা আবার বিধায়কের ছবিতে। এমন কাণ্ড করল কারা সেই রহস্য তো আছেই। এই সুযোগে আবার দুই দলে যুদ্ধ বাধে নাকি সেটাই দেখার।
প্রায় ৪৬ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। এখনও বিষ্ণপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের পরিবারের মালিকানাধীন চালকলে তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাড়ি, চালকল এবং কার্যালয়ে গত বুধবার হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। তল্লাশি অভিযান চলতে থাকায় বুধবার থেকে মিলেই আটকে রয়েছেন অফিস কর্মীরা। বিধায়ক তন্ময় ঘোষ বৃহস্পতিবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা রাইস মিলে ছিলেন। রাত্রি সাড়ে ন'টা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ১৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ, শুক্রবার ফের তন্ময় ঘোষকে ডেকে পাঠান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ রাইস মিলে ঢোকেন বিধায়ক। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তন্ময় ঘোষের সমস্ত নথি পুনরায় খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। পাশাপাশি বুধবার বিধায়কের দফতর লাগোয়া একটি অতিথিশালা এবং মদের দোকানেও তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানোর সময় পুরো এলাকা ঘিরে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী।
উল্লেখ্য, তন্ময় ঘোষ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ২০১৫ সাল থেকে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেও ৩০ অগাস্ট তিনি ফের তৃণমূলে যোগ দেন। সেই তন্ময় ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন? ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বলছে, ২০১৬ সালে তাঁর আয় ছিল ৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৪৫ টাকা। ২০১৯ সালে তা দাঁড়ায় ২৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৩০ টাকা। ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৪৮ টাকা।
সাংসদ বা বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ উঠলে সেই মামলার শুনানিতে কোনওরকম ঢিলেমি নয়। প্রয়োজনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করতে হবে রাজ্যের হাইকোর্টগুলিকে। 'অপরাধী' জনপ্রতিনিধিদের আজীবন নির্বাচন লড়ায় নিষেধাজ্ঞার দাবিতে দায়ের হওয়া মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ফৌজদারি মামলায় দোষী রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে লড়ার অধিকার বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
অপরাধী সাংসদ, বিধায়করা যাতে পাকাপাকিভাবে ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার হারায়, এই দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতে ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করেছিলেন অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। গত ৭ বছর ধরে মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু অপরাধী জনপ্রতিনিধিদের জন্য তেমন কোনও নির্দিষ্ট রায় না দিলেও সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলি আছে, তার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রত্যেক রাজ্যের হাইকোর্টকে বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, যে সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলাগুলি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়, সেগুলিকে অন্যান্য মামলার চেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বাড়িতে ও চালকলে হানা দিল আয়কর দফতর। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এরপর ৩০ অগাস্ট তিনি ফের তৃণমূলে যোগ দেন। বুধবার বিধায়কের বাড়ি, চালকল এবং কার্যালয়ে হানা দেয় আয়কর দফতর।
এর পাশাপাশি বিধায়কের দফতর লাগোয়া একটি অতিথিশালা এবং মদের দোকানেও তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা তল্লাশি চালানোর সময় পুরো এলাকা ঘিরে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী।
তন্ময় ঘোষ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ২০১৫ সাল থেকে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। ২০২১ সালে তৃণমূলের টিকিটের দাবিদার ছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর বিজেপি-র টিকিটে জয়ী হয়ে ফের তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।
পুজোর আগে বসতে চলেছে বিধানসভার অধিবেশন। বিধায়ক-মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধির বিল পাস করানোর জন্য এই অধিবেশন ডাকা হচ্ছে বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তের অধিবেশন সোমবার বসার সম্ভাবনা রয়েছে। অধিবেশন ডাকার জন্য পরিষদীয় মন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের কাছে অধিবেশন ডাকার ফাইল পাঠাচ্ছেন পরিষদের মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বিধানসভায় বিল আনতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুজোর আগেই বিধায়কদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। সেইকারণে সোমবার বসতে চলেছে বিধানসভার অধিবেশন।
সূত্রের খবরম দুটি বিলে সংশোধনী আনা হবে একদিনের এই অধিবেশনে। একটি হল The Bengal Legislative Assembly (Members emoluments) Act 1937। এই বিলটি হল বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর জন্য। অপরটি হল West Bengal Salaries And Allowances Act 1952। এই বিলটি মন্ত্রীদের বেতন বাড়ানোর জন্য।