আজ বিজেপির (bjp) নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) ধুন্ধুমার গঙ্গার দু' পাড়। সাঁতরাগাছিতে বিজেপি-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল। হাওড়া ময়দানে অবস্থান বিক্ষোভ সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পালদের। পাশাপাশি ব্র্যাবোর্ন রোডে ধুন্ধুমার। পুলিসের লাঠিতে মাথা ফাটল বিজেপি কাউন্সিলর মিনাদেবী পুরোহিতের। বিজেপি-পুলিস সংঘর্ষে আহত দুপক্ষের একাধিক। এমজি রোডে পুলিসের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। সাঁতরাগাছিতে পুলিস পিকেটে ভাঙচুরের অভিযোগ। শুধু শহর কলকাতা (Kolkata) নয়, হাওড়ায় যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিত সামলাতে তত্পর পুলিস (police)। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিশাল পুলিস বাহিনী নামানো হয়। নবান্নের সামনে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। গতকাল রাত থেকেই নবান্ন চত্বরে বাড়তি পুলিস কর্মী মোতায়ন করা হয়েছে। এদিন সকালে রাস্তায় বাস প্রায় নেই। বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে শহরের একাধিক ব্যস্ততম রাস্তায় এদিন যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। কলকাতা ও হাওড়া থেকে নবান্নে পৌঁছনোর প্রতিটি পথে মিছিল আটকাতে রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। লোহার ব্যারিকেডগুলিকে লোহার ক্ল্যাম্প দিয়ে মাটির সঙ্গে আটকে দেওয়া হয়েছে। যাতে তা কোনওভাবেই ভেঙে না যায়৷
কোথাও কোথাও লোহার ব্যারিকেড একটার উপর আরেকটা চাপিয়ে দিয়ে শক্ত করে বেঁধে ফেলা হয়েছে৷ এদিন বেলার দিকে একে একে আটক করা হয় রাজ্য বিজেপির তিন পরিচিত মুখ শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল সিনহাকে। আলিপুর পিটিএস-র সামনে থেকে এই তিন নেতাকে প্রিজন তোলে পুলিস। যদিও পুলিসি এই অতি সক্রিয়তার বিরোধিতায় আদালতে যাওয়ার হুমকি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, সাঁতরাগাছিতে রাস্তা খুড়ে লোহার গার্ডরেল পুঁতে তার সঙ্গে ব্যারিকেডগুলিকে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও জল কামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ সকাল থেকে ব়্যাফও নামানো হয়েছে হাওড়া শহরের বিভিন্ন রাস্তায়৷ ড্রোনের মাধ্যমে চলছে নজরদারি। বিজেপির কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিকল্প পথ হিসাবে এজেসি বোস রোড, এক্সাইড মোড়, এজেসি বোস রোড হয়ে উত্তর অভিমুখে এপিসি রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অথবা এজেসি বোস রোড, জহরলাল নেহরু রোড, উত্তর অভিমুখে জহরলাল নেহরু রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতু এবং দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভোর ৪ টে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত শহরে মালবাহী গাড়ি ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে পুলিস।
পুজোর আগে রাজ্যে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গি (dengue)। এই সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই নজরদারি কমিটি গঠন করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
জানা যায়, উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জন্য চার সদস্যের চিকিৎসকদের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের কমিটিতে থাকছেন-
১. ডক্টর দীপায়ন বন্দোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জেনারেল মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান।
২. চিকিৎসক সন্দীপ সাহা, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জেনারেল মেডিসিনের অধ্যাপক।
৩. অধ্যাপক মধুমিতা নন্দী, বিভাগীয় প্রধান, পেডিয়াট্রিক মেডিসিন ও
৪. চিকিৎসক শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য, কমিউনিটি মেডিসিন।
অন্যদিকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির (hospital) জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছেন ৩ জন চিকিৎসক। তাঁরা হলেন-
১. চিকিৎসক জ্যোতির্ময় পাল, অধ্যাপক, জেনারেল মেডিসিন, বারাসাত হাসপাতাল
২. ডক্টর অরিজিৎ সিনহা,অধ্যাপক জেনারেল মেডিসিন, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
৩.ডক্টর সৌমেন্দ্র নাথও হালদার, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন
এছাড়াও কলকাতা (Kolkata) পুর এলাকা এবং দক্ষিণবঙ্গের যেসমস্ত জেলাতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেই জায়গাতে নজরদারির জন্য আরও তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) ডেঙ্গির জন্য মোট ৫ টি নজরদারি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে গত দুদিন ধরে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে বৃষ্টির (rain) উপেক্ষা করে সোমবার চলে ডেঙ্গি অভিযান। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। শুধু তাই নয়, ডেঙ্গি নিয়ে প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে সতর্কবাণী দিয়েছে নবান্ন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করে রাজ্য প্রশাসনকে ডেঙ্গি রোধে বিশেষ জোড় দিতে বলা হয়েছে। সেইমত দক্ষিণ দমদম পুরসভা ডেঙ্গি অভিযানে নামে। সোমবার বৃষ্টি মাথায় নিয়েই দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডে চলে ডেঙ্গি সচেতনতা অভিযান। ওয়ার্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে সচেতন করতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাও করা হয়। এছাড়াও মশা মারার ধোঁয়া ও তেল ছড়ানো হয় এলাকার বিভিন্ন জায়গায়।
সপ্তাহের শুরুতেই আকাশের মুখ ভার। শহর কলকাতা (Kolkata) সহ বেশ কিছু জায়গায় দু-এক পশলা বৃষ্টি (rain) শুরু হয়েছে সোমবার সকাল থেকেই। এরই মধ্যে মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। বৃষ্টিতে আশ্রয় নিতে এসেই প্রাণ গেল এক হনুমানের। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় তার। ঘটনাটি শহর কলকাতা শহরতলির মহেশতলার চট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে ঘটে।
জানা যায়, চট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বেশ কয়েকটি হনুমান আসে আশ্রয় নিতে। আজও তেমনই ঘটনা ঘটেছিল। সকালে বেশ কয়েকটি হনুমান আসে এবং তাদের মধ্যে একটি হনুমান লাফ দিয়ে বিদ্যুতের তারের উপরে চলে যায়। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে উপর থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ওই হনুমানটি। সেই সময় বিকট একটি শব্দ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। কিন্তু সেখানে এসে তাঁরা দেখেন হনুমানটি মারা গিয়েছে ততক্ষণে। এরপর স্থানীয়রা কালিতলা আশুতি থানার পুলিসকে খবর দেয়। পুলিস এসে ওই হনুমানের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, একদল হনুমান এলেও একটি হনুমানের বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর বেশ কয়েকটি হনুমান বৃষ্টিতে ভিজে মন খারাপ করে মৃত হনুমানের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। কখন উঠবে তাদেরই সঙ্গী? সেই আশা হয়ত। পশু হয়েও তাদের মধ্যে যে ভালোবাসা দেখা গেল, তা সত্যিই বিরল।
প্রসূন গুপ্ত: রবি সাহিত্যে বর্ণিত গ্রীষ্মের গরম প্রবল কিন্তু ভাদ্র মাসের গরমে পাগলের প্রতিক্রিয়া বাড়ে। এবার বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে খুবই কম। ফসলের ক্ষতিও হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। পক্ষান্তরে বাংলার উত্তরভাগে বৃষ্টি ছিল স্বাভাবিক। ভাদ্র মাসে দক্ষিণবঙ্গে সাধারণত এতটাই বৃষ্টি হয়ে থাকে যে বর্ষাকালের কম বৃষ্টিকে অনেকটাই মেকআপ হয়ে যায়। করোনাকালের দু-তিন বছর কিন্তু শ্রাবণ ভাদ্রে বৃষ্টি হয়েছিল স্বাভাবিক বা কিছুটা বেশি, কিন্তু ব্যতিক্রম ২০২২। এ বছর গরম যথেষ্ট পড়েছে, পক্ষান্তরে বৃষ্টিও হয়নি স্বাভাবিক স্তরে। নিম্নচাপ এই বছর যা হয়েছে, তাতে কয়েকঘন্টা বৃষ্টি হয়েছে মাত্র কিন্তু টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতখামারে যথেষ্টও জল পায়নি। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রে যখন প্লাবন এসেছে, বাংলা থেকেছে শুকনো।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস মেলেনি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। সাধারণত কলকাতা লাগোয়া বাংলায় ভাদ্র মাসে প্রবল বৃষ্টি হয় এবং প্লাবিত হওয়ার ঘটনা যা কিছু হয়েছে। তা ওই পুজোর আগেভাগেই ১৯৬০-এ প্লাবিত হয়েছিল সেপ্টেম্বরে। ১৯৭০-এ বন্যা এসেছিল এই ভাদ্রেই। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বন্যা বা প্লাবন কলকাতা লাগোয়া বাংলার মানুষ পেয়েছিলো ১৯৭৮-এ। কলকাতা-সহ উত্তর ২৪ পরগনা এবং বিস্তীর্ণ দক্ষিণবঙ্গ প্লাবিত হয়েছিল। এমনও দেখা গিয়েছিলো পুজোর সময়ে কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপের সামনে পা ডোবানো জল। দীর্ঘদিন লেগেছিল এই জল নামতে। প্রশ্ন এবার কী হতে পারে?
আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, রবিবার থেকে টানা বুধবার অবধি আকাশে সূর্যদেবের দর্শন পাওয়া যাবে না। অল্প থেকে ভারী বৃষ্টি হবে, মঙ্গলবার বৃষ্টি বাড়বে। জল দাঁড়াতে পারে কলকাতা হাওড়া-সহ বিভিন্ন স্থানে। পুজোর বাজারের অবস্থা এমনি খারাপ তার উপর আসন্ন কয়েক দিন যে বিক্রি কমবে তা বলাই বাহুল্য।
বাগুইআটি (Baguiati) জোড়া খুনের (murder) ঘটনায় নয়া তথ্য ফাঁস। ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরিকে গ্রেফতার (arrest) করেছে সিআইডি (CID)। শুরু হয়েছে জেরা। তবে জেরাতে উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে ঠিক কী কারণে এই জোড়া খুন, সে ব্যাপারে এখনও ধন্দে রয়েছেন তদন্তকারীরা।
সিআইডি সূত্রে খবর, জেরায় সত্যেন্দ্র এই খুন নিয়ে নানান কথা বলছে। তবে এর মধ্যে সঠিক কোনটি তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। জেরায় সত্যেন্দ্র জানায়, তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিল অতনু। অন্যদিকে মোটরবাইক কেনার জন্য বাড়ির লোককে না-জানিয়ে সত্যেন্দ্রকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল অতনু দে। কিন্তু মোটরবাইক না পাওয়ায় টাকা ফেরত চায় সে। এরপরই অতনু ব্ল্যাকমেলিং শুরু করেছিল ধৃতকে। তবে এবিষয়ে সম্পূর্ণই অজানা অতনুর পরিবার। তবে কি এই ব্ল্যাকমেলিং-এর জন্যই এই জোড়া খুন? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, খাস কলকাতায় (Kolkata) এমনও ঘটনা ঘটে যাবে ভাবলেও অবাক হচ্ছেন শহরবাসী। প্রথমে বাগুইআটির দুই স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ৷ তারপর মুক্তিপণের দাবি করে দুষ্কৃতীদের বার্তা অপহৃতদের পরিবারকে৷ আর এই ঘটনার প্রায় ১২ দিন পর বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে সন্ধান মিলল অপহৃতদের মৃতদেহ৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে৷ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস৷ যদিও মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে হাওড়া এলাকা থেকে শুক্রবার সকাল ৯ টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয়। ভিন রাজ্যে পালানোর চেষ্টা করছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর।
ফের শহর কলকাতায় (Kolkata) ইডির হানা। শনিবার শহরের মোট ৬ টি জায়গায় হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এরপরই উদ্ধার হয় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে সাত কোটি টাকারও বেশি। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাসের খানের ছেলে আমির খান। গার্ডেনরিচের (Garden Reach) বাসিন্দা এই নাসের খান। তিনি পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এমনটাই জানা গিয়েছে। ৮ টি মেশিনে চলছে টাকা গোনার কাজ।
ইডি সূত্রে খবর, ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয় আমির খান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই সূত্র ধরেই এদিনের এই হানা বলে খবর। অভিযোগ, একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপ লঞ্চ করা হয়। সেই অ্যাপে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক খেলা রয়েছে। অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে সেই গেম খেললে প্রচুর টাকা জিততে পারা যাবে। পাশাপাশি সেখান থেকে প্রচুর রিওয়ার্ড পাওয়া যাবে এমনই প্রলোভন দেখানো হয়েছল। প্রচুর মানুষ সেই গেমে টাকা ইনভেস্টও করেছিল। এমনকি ওই গেম থেকে টাকা পেয়েও ছিলেন অনেকেই।
কিন্তু হঠাৎ করে একদিন সেই গেমিং অ্যাপ বন্ধ হয়ে যায়। যারা যারা এই মোবাইল গেমিং অ্যাপের মধ্যে টাকা ইনভেস্ট করেছিলেন তাঁরা তাঁদের টাকা আর পাননি। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কোম্পানিরা পার্ক স্ট্রিট থানায় ফেব্রুয়ারি মাসে ২০২১ সালে অভিযোগ করে। মোট পাঁচটি থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিস (police)।
রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় ডেঙ্গিতে (dengue) আক্রান্তের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে করে উদ্বেগ আরও বাড়ছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ডেঙ্গি রোধে নতুন কিছু পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই মূহুর্তে কলকাতা (Kolkata), উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া (Howrah), হুগলি (Hooghly), মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিংয়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
এই সব জেলায় ডেঙ্গি রোগীদের সাহায্যের জন্য আলাদা কল সেন্টার তৈরি করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষ টিম গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাওড়া ও হুগলির বিভিন্ন হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালু করতেও স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি হাওড়াতে ডেঙ্গি টেস্ট কিটের সংখ্যাও বাড়াতে বলা হয়েছে। জোরদার প্রচার অভিযান চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি, স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে একটি বুলেটিন প্রকাশ পায়। সেখানে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৪০১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৩১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের চিকিত্সা চলছে সরকারি হাসপাতালে।
ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু বেলুড়ের জয় বিবি রোডে। মৃত্যু হয়েছে ছয় মাসের শিশুর। গত ২ তারিখ তাকে ভর্তি করা হয় কলকাতার মেডিকেল কলেজে। গত রাতে তার মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় গত মঙ্গলবার এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গিতে।
অর্থাৎ ফের ডেঙ্গি ছড়াল হাওড়া শহরাঞ্চলে। ডেঙ্গিতে চারজনের মৃত্যু হল। গতকাল বালি রবীন্দ্রভবনে ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ডেঙ্গি প্রতিরোধে উপযুক্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে সভা হয়।
অন্যদিকে শহরে ফের মৃত্যু এক ডেঙ্গি আক্রান্তের। মৌমিতা মুখার্জি হালতুর কায়স্থপাড়ার বাসিন্দা। সোমবার জ্বর নিয়ে যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। আজ সকালে তাঁর ক্যার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। ছোট ছেলেও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয় এবং আজ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রকে।
বাংলায় পুজোর রেশ। নির্মল আকাশে আনন্দের আমেজ। মোটের উপর শুকনো দিন। তবে কোনো কোনো জায়গায় হালকা এবং বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) উপর একটি অক্ষরেখা সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) এবং উত্তরবঙ্গে (North Bengal) এই মুহূর্তে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বেশ কিছু জায়গায়।
তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। বাড়বে ঘামের অস্বস্তি। গরমের বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৪৬ শতাংশ। পূর্বাভাস অনুযায়ী কলকাতায় তাপমাত্রা থাকবে সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি।
বিকেলের পর থেকে বিক্ষিপ্তভাবে একটু বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কলকাতায় এবং সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। এছাড়াও জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং আরও অন্যান্য জেলায়। বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে এক নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় হালকা এবং অতি মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গে এখনও অল্পবিস্তর বৃষ্টি হলেও স্বস্তি মিলবে না। দু-এক পশলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকায়। দুপুরের পর থেকে মেঘলা আবহাওয়া থাকবে।
দেখতে দেখতে ৯০ বছরে পা উত্তর কলকাতার (North kolkata) নলিন সরকার স্ট্রিট দুর্গাপুজোর (Nalin Sarkar Street)। অতিমারীর দু'বছর পেরিয়ে এবারে তাদের ভাবনা গর্ভধারিনী। প্রতি বছর স্বল্প পরিসরের মধ্যে থেকেই বিষয়ের অভিনবত্ব তুলে ধরে নলিন সরকারের পুজো (Durga Puja 2022)। এবারও মাকে অন্য ভাবনায় তুলে ধরছেন তাঁরা। তবে এ মা ধরিত্রী মা।
একটি মনভালো করা পরিবেশ উপহার দিতে চলেছে নলিন সরকার স্ট্রিট। একটুকরো প্রকৃতি উঠে আসবে এদের মণ্ডপে। মণ্ডপ নির্মাণে ব্যবহার হচ্ছে লোহা, টিন, বাঁশ। আর যেহেতু বিষয় প্রকৃতি, তাই থাকবে মাটি আর খড়। মণ্ডপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে ঠাকুর। বানাচ্ছেন সুব্রত মৃধা। ভাবনা ব্যাখ্যায় শিল্পী জানালেন
ছোট রাস্তার মধ্যে এই পুজো। জায়গা অপ্রতুল। তা সত্ত্বেও প্রতিবারই এদের পুজোয় থাকে অভিনবত্বের ছোঁয়া। এবারেও দর্শকরা পছন্দ করবেন তাদের ভাবনা। প্রত্যয়ী পুজো কর্তারা।
কয়লা-কাণ্ডে সকাল থেকে আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের একাধিক বাড়িতে সিবিআই অভিযান। মন্ত্রীর আসানসোল এবং কলকাতায় থাকা ৫টি বাড়িতে চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযান। আসানসোলের আপকার গার্ডেন ও চেলিডাঙার বাড়ি-সহ কলকাতার আলিপুর, লেকগার্ডেন্স ও গভর্নমেন্ট প্লেসের বাড়িতেও তল্লাসি। ফলস সিলিং ভেঙে অভিযান চালায় সিবিআই। মলয় ঘটকের পাঁচটির মধ্যে একটি বাড়ি তালা বন্ধ। চাবিওয়ালা এনে সেই তালা খোলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। কয়লা পাচার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে পেতেই এই ম্যারাথন তল্লাশি সিবিআইয়ের।
সূত্রের খবর, আসানসোল এবং কলকাতা মিলিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সাত জায়গায় চলছে তল্লাশি। বুধবার প্রথমে আসানসোলের আফতার রোড গার্ডেন এবং চেলিডাঙায় মন্ত্রীর দু’টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলে পরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোন জমা রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর আগে পুরসভা ভোটের সময় কয়লা পাচার-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি।
আসানসোলের উপকার গার্ডেনে মন্ত্রীর বাড়ির আলমারি ভেঙে তল্লাশি চালায় সিবিআই এমনটাই সূত্রের খবর। এমনকি। ফলস সিলিংও ভাঙা হয়েছে। এদিকে কয়লা-কাণ্ডে ধৃত লালার ডায়রিতে মন্ত্রীর নাম উল্লেখ আছে। এমনকি, মলয় ঘটকের আত্মীয়দের সম্পত্তিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার স্ক্যানারে। লালার ডায়রির সূত্র ধরেই একাধিক প্রভাবশালীকে চিহ্নিত করে কয়লা-কাণ্ডের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমনটাই মত প্রাক্তন গোয়েন্দাদের। এদিকে, ২০১৯ সালে পুরুলিয়ার পর্যবেক্ষক করা হয়েছিল মলয় ঘটককে। সেই সময় লালার সঙ্গে মন্ত্রীর যোগাযোগ হয়েছিল কিনা, খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই।
খাস কলকাতায় (Kolkata) এমনও ঘটনা ঘটে যাবে ভাবলেও অবাক হচ্ছেন শহরবাসী। প্রথমে বাগুইআটির (Baguiati) দুই স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ৷ তারপর মুক্তিপণের দাবি করে দুষ্কৃতীদের বার্তা অপহৃতদের পরিবারকে৷ আর এই ঘটনার প্রায় ১২ দিন পর বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে সন্ধান মিলল অপহৃতদের মৃতদেহ (deadbody)৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে৷ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস৷ যদিও মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক৷ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। তদন্তে নেমে বুধবার উঠে আসে বেশ কিছু তথ্য।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী গাড়ি কিনতে চেয়েছিল। একটি গাড়ি নিয়ে এই এলাকায় আসেন সত্যেন্দ্র। তিনি বাইক কেনাবেচা করতেন। ইতিমধ্যেই সত্যেন্দ্রের স্ত্রী পুলিসের সেফ ক্যাস্টার্ডিতে। সত্যেন্দ্রের শ্বশুর রণজিৎ ঘোষ, তাঁর গোপাল ভবনের পাশে দোকান রয়েছে। মৃত অতনু বাইক কিনতে যায় সত্যেন্দ্রের কাছে। সত্যেন্দ্রকে বাইকের জন্য ৫০০০০ টাকা দিয়েছিল অতনু। ওই গাড়িটি পরীক্ষা করতেই বাসন্তী হাইওয়েতে যায় অতনু।
অন্যদিকে বাগুইআটি জোড়া অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় মঙ্গলবারই রিপোর্ট তলব করেছিলেন ডিজি। প্রাথমিক তদন্তে বাগুইআটি থানার গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে, পাশাপাশি আইসি বাগুইআটির গাফিলতিরও প্রমাণ মিলেছে। ইতিমধ্য়েই তদন্ত চলাকালীন আইসি বাগুইআটিকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘকালীন ছুটি বা ক্লোজ করা হতে পারে আইসি বাগুইহাটি কল্লোল ঘোষকে এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।
এছাড়াও, মঙ্গলবার রাতে বসিরহাট মর্গ থেকে অপহৃত দুই যুবকের মৃতদেহ বাগুইআটি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে বাড়ি পৌঁছলেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। পাশাপাশি সেদিন বাগুইহাটি থানার সামনে হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় অভিষেক নস্করের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এরই সঙ্গে শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে সুদেষ্ণা রায় বাগুইআটি থানায় এসে পৌঁছয়। তারা পাঁচদিনের মধ্যে পুলিসের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে।
২৩ দিনে ২৩ জনকে চাকরি দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের (High court)। ছয়টি ভুল প্রশ্নের ভিত্তিতে হওয়া মামলার ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি পর্ষদকে প্রশ্নপত্রে থাকা ভুল শোধরাতে হবে। তাই ২৩ জন উত্তীর্ণদের চাকরি দিতে হবে, যারা ওই ছটি ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। আগামী ২৩ দিনের মধ্যেই তাদেরকে চাকরি দিতে হবে নির্দেশ বিচারপতি (Justice) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Avijit Ganguly)।
২০১৪ সালের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় সোহম চৌধুরী-সহ আরও ২৩ জন আবেদন করে ২০১৬ সালে ও ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রশ্নে ছটি প্রশ্নে ভুল ছিল। ২০১৩ সালের পরীক্ষা, সে সময় কিছু এবং এরপর কিছু নিয়োগ হয় ২০২০ সালে। কিন্তু এই ২৩ জন-সহ বেশ কয়েকজনকে টেট অনুত্তীর্ণ বলে ঘোষনা করা হয়। RTI করে তারা জানতে পারেন, তাদের দেওয়া উত্তরপত্রে ছটি প্রশ্ন ভুল ছিল, কিন্তু তারা সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন অথচ নম্বর পাননি।
পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫-র ডিসেম্বরে সোহমদের ছয় নম্বর দেয় পর্ষদ। ফলে তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তের যুক্তি, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় এমন অনেকে যদি চাকরি পান, তবে এই মামলাকারীরাও চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কারন প্রশিক্ষণহীনরা যদি চাকরি পেতে পারে তাহলে সোহমরা কেন নয়? সোহমরা তো প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী। ছয় বছর ধরে এই ২৩ জন বঞ্চিত হয়েছেন, এখন তারা এই চাকরির পাওয়ার অধিকার রাখে। এরপরই এই শুনানির ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
এই ২৩ জনকে আগামি ২৩ দিনের মধ্যে চাকরি দেবার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ২৩ দিনের মধ্যে পর্ষদকে নিয়োগ পত্র দিতে হবে এমনটাই নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
এবার সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর অফিসে 'অনুপ্রবেশ'এর ঘটনা।অভিযুক্ত যুবককে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার(Arrest)করা হয়েছে।সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, পলাশ বাগ নামে ওই যুবককে এদিন সন্দেহজনক ভাবে সেনা ছাউনির দক্ষিণ গেটের ভেতরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল। এরপর সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এক কর্নেল পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে।ওই যুবককে তল্লাশি চালিয়ে নকল পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।পরে তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই যুবকের সঙ্গে কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে,সেনাবাহিনীর জাল পরিচয়পত্র, নিজেকে আর্মি অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামে ঢোকার চেষ্টা।কমান্ডিং অফিসার জেএস কোহলির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার পলাশ বাগ।ময়দান থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তকে।পরে কালনা থানার হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে অভিযুক্তকে।এদিন তাঁকে কোর্টে তোলা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে (South bengal) বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরেই। তবে আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এই বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত জারি থাকছে দুই বঙ্গেই। আগামী দুই থেকে তিনদিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রধানত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রযেছে। মূলত, কিছুটা বেশি থাকবে পশ্চিমের দিকে জেলাগুলিতে। সেই সঙ্গে দু-এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পরবর্তী দুদিন অর্থাৎ অগাস্টের ৭-৮ তারিখে বৃষ্টি কমে যাবে দুই বঙ্গেই। প্রধানত হালকা ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ক্ষেত্রে প্রথমত তিনদিন অর্থাত্ অগাস্টের ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ করে উত্তরের যে পাঁচটা জেলা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এই জেলাগুলিতে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা ক্ষেত্রে আগামী দু-তিনদিন বজ্রবিদ্যুত্সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।