সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার বড়সড় ধাক্কা খেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তির জন্য উপযুক্ত জায়গা কলকাতা হাইকোর্ট। এই মন্তব্য করে শুভেন্দুর আবেদন ফেরালো শীর্ষ আদালত। নন্দীগ্রামের বিধানসভা ভোট গণনাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলা ভিনরাজ্যে স্থানান্তরের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে হাইকোর্টেই মামলা ফেরাল শীর্ষ আদালত। এরপরেই পিটিশন প্রত্যাহার করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম আসনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনে SC আদেশ দিতে অস্বীকার করেছে। তিনি পিটিশন প্রত্যাহার করেন।
শুভেন্দুর নির্বাচনকে কলকাতা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন মমতা। সুভেন্দু দাবি করেছিলেন যে বিষয়টি অন্য কোনও হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হোক।
এবার খাস কলকাতায় (Kolkata) পুলিস পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। জানা যায়, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এলাকায় পুলিসকর্মী (police) পরিচয় দিয়ে মাছ ব্যবসায়ীর এক কর্মীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সমীর হাজরা-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার (arrest) করেছে মুচিপাড়া থানার পুলিস।
বছর ৩৬-এর মাছ ব্যবসায়ী সৈয়দ আসিফ মাকসুদের অভিযোগের ভিত্তিতে তৎপর হয় পুলিস। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এক কর্মচারী মহম্মদ সানাউল্লাহ মাছ বিক্রির ১০ লক্ষ টাকা ব্যাগে করে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই টাকা প্রথমে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তা পরে ব্যাঙ্কে জমা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বাড়ি যাওয়ার পথে তাঁর পথ আটকান চার ব্যক্তি। এরপর পুলিসকর্মী পরিচয় দিয়ে ওই চার ব্যক্তি সানাউল্লাকে জোর করে একটি দোকানে নিয়ে যান। তারপর তাঁর ব্যাগ থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
ঘটনার পরই মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মাছ ব্যবসায়ী সৈয়দ। তদন্ত চলাকালীন নারকেলডাঙা পিএস এলাকায় রাতভর অভিযান চালানো হয়। এরপর গ্রেফতার করা হয় ৪ জনকে। এদিন তাদের নারকেলডাঙা মেইন রোডের ক্রসিং থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা হল সানি হাজরা, সমর দত্ত, টিঙ্কু সাহানি ও পাপ্পু খটিক। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ লাখ টাকা।
এরপর তাদের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, এই ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড সমীর হাজরা। তাকেও ১৬৭/এ বিবি গাঙ্গুলী থেকে গ্রেফতার করা হয়। হেফাজতে থাকা সকল অভিযুক্তকে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হবে।
এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে সানি হাজরা বিধানসভার একজন কন্ট্রাকচুয়াল স্টাফ। সেদিন সে নিজেকে পুলিস পরিচয় দিয়ে অতীতের শত্রুতা থেকেই ওই মাছ ব্যবসায়ীর কর্মচারীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের (Safest City) তকমা পেল কলকাতা (Kolkata)। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বা এনসিআরবি (NCRB) রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে এই দাবি করেছে। তিলোত্তমার পরেই অপরাধের নিরিখে নিরাপদ শহর পুনে, হায়দরাবাদ, কানপুর, বেঙ্গালুরু, মুম্বই। জানা গিয়েছে, পরপর দু'বছর অর্থাৎ ২০২০ এবং ২০২১ সালের নিরিখে দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতাই। এর আগে ২০১৮ সালে সেরার তকমা পেয়েছিল সিটি অফ জয়। যদিও এনসিআরবি দাবি করেছে তাদের কাছে কলকাতার ২০১৯-র কোনও তথ্য নেই। তবে গত ৪ বছরের হিসেবে মোট তিনবার দেশের নিরাপদ শহর হিসেবে শীর্ষে গঙ্গার পূর্বপাড়ের এই শহর।
এনসিআরবি সূত্রে খবর, দেশের যে শহরগুলোর জনসংখ্যা ২০ লক্ষের বেশি, তাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এনসিআরবি এই তালিকা বানায়। কলকাতায় প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় নথিভুক্ত অপরাধ ১০৩ আর পুনেরর ২৫৬। ২০২০-তে প্রতি লক্ষে কলকাতায় নথিভুক্ত অপরাধ ছিল ১২৯। এনসিআরবির দাবি, গত ৬ বছরে কলকাতার বুকে অপরাধ ক্রমেই কমছে। এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব কলকাতা পুলিসের কঠোর পরিশ্রম এবং জনগণের সহযোগিতার।
জানা গিয়েছে, নারী নির্যাতনঘটিত অপরাধও কমেছে কলকাতায়। বিশেষ করে ধর্ষণ ১১টি এবং খুন ৪৫টি গত এক বছরে নথিভুক্ত হয়েছে। পথ দুর্ঘটনা এবং ধর্ষণের নিরিখে একদম উপরের সারিতে রয়েছে দিল্লি।
জাল নোট উদ্ধারে একনম্বর রাজ্য বাংলা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (NCRB) সাম্প্রতিক তথ্যে এই দাবি করা হয়েছে। গত বছর প্রায় জাল নোট উদ্ধারের ৮২টি ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, কলকাতার উপকণ্ঠে সম্প্রতি জাল নোটের (Fake Currency) কারখানা হদিশ পেয়েছে এসটিএফ। এসটিএফ-র (STF) সক্রিয়তায় বুধবার টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে থেকে সাড়ে ৭০ হাজার টাকার জাল নোট-সহ গ্রেফতার হয়েছিল দুই। তাঁদের জেরা করে ইকো পার্ক থানার (Eco Park) হাতিয়ারায় উদ্ধার হয় জাল নোটের কারখানা। সেই কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে জাল নোট ছাপানোর একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, হাতিয়ারা পূর্বপাড়ার সাহি মসজিদ এলাকার এক বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার টাকার জাল নোট-সহ ল্যাপটপ, কাঠের ফ্রেম, রঙ, ডাইস, ছুরি, সেলোটেপ, কাঁচি ইত্যাদি ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।
জাল নোট ছাপাতে যা যা দরকার, সবই মিলেছে পূর্বপাড়ার ওই বাড়িতে। এমনটাই এসটিএফ সূত্রে খবর ছিল। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে অভিযান চালায় এসটিএফ। আটক করা হয় নারকেলডাঙার বাসিন্দা চাঙ্গেজ আলম এবং আসগর আলিকে। তল্লাশিতে তাঁদের থেকে সাড়ে ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। একশো টাকার নোট ৭০০টি এবং একটি ৫০০ টাকার জাল নোট ছিল তাঁদের কাছে।
এরপরেই হেফাজতে নিয়ে ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কলকাতার উপকণ্ঠে হাতিয়ারায় এই জাল নোটের কারখানার হদিশ মিলেছে বলে খবর। এই গ্রেফতারির এক সপ্তাহের মাথায় প্রকাশিত এনসিআরবি রিপোর্টে আরও চাঞ্চল্য।
ফের আক্রমণের মুখে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি এজলাসে দেরিতে বসেন। এই অভিযোগ পত্র বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় প্রধান বিচারপতির (chief justices ) কাছে। এই চিঠি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে জানান যারা এই চিঠি লিখেছেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার (contempt of court)মামলা করা হবে। তার আগে তাদের হলফনামা (affidavit) দিয়ে আদালত জানতে চাইবে এই চিঠি তে সই করার কারণ।
বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই বার্তা পেয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে আবেদন করেন আইনজীবী অরুনাভ ঘোষ (Arunavo Ghosh)। অরুণাভ ঘোষের দাবি, যত দিন যাচ্ছে বিচারপতি-আইনজীবীদের সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে। এর প্রত্যুত্তরে প্রধান আইনজীবী জানান আদালতের গরিমা রক্ষার দায়িত্ব বিচারপতি এবং আইনজীবী উভয়েরই। পাশাপাশি আইনজীবীদের দাবি, কোর্টে সংবাদমাধ্যমের (media) অবাধ বিচরণ বিচার ব্যবস্থাকে ক্ষুণ্ণ করছে। কোর্টরুমের প্রসিডিং ভিডিওগ্রাফি করছে সংবাদ মাধ্যম। সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার আবেদনও জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তাঁদের এই আবেদন ও ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
সম্প্রতি ভরা এজলাসে একেরপর এক উত্তপ্ত কথোপকথনে জড়িয়ে পড়েন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এবং আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ। সুকন্যা মণ্ডল শুনানিতেও উত্তেজক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল। এই বাগযু্দ্ধের জেরে আইনজীবীর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত চত্ত্বরে ব্যানারও পড়েছিল। এবার অভিযোগ স্বয়ং বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় দ্বিধাবিভক্ত বিচার ব্যবস্থা।
পরপর ছ'বার বড় ম্যাচ মোহনবাগানের কাছে হারের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল। যদিও রবিবারের ডুরান্ড কাপ ডার্বিতে গোটা নব্বই মিনিট ভালো খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু প্রথমার্ধের এক্সট্রা টাইমে ইস্টবেঙ্গলের সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলই বিপদ বাড়ায় লাল-হলুদ ব্রিগেডের। এদিন ৯০ মিনিট শেষে মোহনবাগানের পক্ষে ফল ১-০।
এই যুবভারতীতেই বছর তিনেক আগে শেষ ডার্বিতেও হারতে হয়েছিল লাল-হলুদ শিবিরকে। সেই ডার্বির পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বইয়েছে। আইএসএল-এ মুখোমুখি হয়েছে এই দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু ফল গিয়েছে মোহনবাগানের পক্ষেই। তবে এদিন ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে কিছুটা হারের জ্বালা জুড়িয়েছে সমর্থকদের। অন্তত বল পজেশন থেকে গোল শটে মোহনবাগানের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। একাধিবার মোহনবাগানের গোলের কাছে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ চলে গেলেও তিন কাঠি পার করতে পারেননি ইভান গঞ্জালেজরা।
রবিবার ইমামি ইস্টবেঙ্গলের অভিজ্ঞ কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন দল গঠনে চমক দিয়েছিলেন। প্রথমার্ধে কারালাম্বোস কিরিয়াকু, ইভান গঞ্জালেজ, আলেক্স লিমা এবং এলিয়ান্দ্রো, এই চার বিদেশিকে দলে রেখেছিলেন তিনি। অপরদিকে, এটিকে মোহনবাগানের চার বিদেশি ছিলেন এফ পোগবা, জনি কাউকো, কার্ল ম্যাকহিউ এবং হুগো বুমোস। যদিও প্রথমার্ধে কিছু সময় ম্যাচে দাপট ছিল মোহনবাগানের। শুরু থেকেই আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেও ভাঙতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। ফুটবল সমালোচকরা বলছেন, এই অতিরিক্ত রক্ষণই কাল হয়েছে লাল-হলুদ শিবিরের। প্রথম ৪৫ মিনিট প্রত্যাশা জাগিয়েও অউন গোলে পিছিয়ে থেকেই খেলা শেষ করে লাল-হলুদ।
ব্যবসার কাজে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে অপহৃত হয়ে প্রায় ৪ দিন মাদুরদহে নজরবন্দি। অবশেষে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে কলকাতার পুলিস কমিশনারকে ফোন। সিপির নির্দেশ এবং আনন্দপুর থানার সক্রিয়তায় দুষ্কৃতী ডেরা থেকে উদ্ধার দিল্লির ব্যবসায়ী অশোক থাপা। টানটান এই চিত্রনাট্য কোনও ওয়েব সিরিজের নয়, বরং বাস্তবের কলকাতার। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিসের হাতে গ্রেফতার তিন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানতে পেরেছে ব্যবসায়িক শত্রুতার জের এই ঘটনা।
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা বছর ৫৫-র প্রৌঢ় অশোক থাপা। তিনি পাইপ লাইনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দিন পনেরো আগে ব্যবসার কাজে কলকাতা আসেন এবং ইডেন গার্ডেন্সের সামনে থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। এরপর ছ’দিন ধরে শহরেই আটকে রাখা হয়েছিল অশোকবাবুকে। খানিকটা নিজের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পেলেন অশোক।
ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, অশোক থাপাকে দু’দিন ধরে কলকাতার একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছিল। তারপর চারদিন তাঁকে রাখা হয়েছিল মাদুরদহের একটি পরিত্যক্ত গুদামে। সেখান থেকে দুষ্কৃতীদের চোখ এড়িয়ে সটান কলকাতার পুলিস কমিশনারকে ফোন করেন তিনি। গুগল থেকে খুঁজে বার করেন নম্বর। এরপরই তাঁর অবস্থান চিহ্নিত করে ওই গুদামের কাছে পৌঁছে যায় আনন্দপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার করে প্রৌঢ়কে।
যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের নাম আলি, শাহানওয়াজ এবং শম্ভু। এঁরা সকলেই কুন্তল গুছাইত নামের এক ব্যক্তির লোক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, এই কুন্তলের সঙ্গেই দিল্লিতে ব্যবসায় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত গোলমাল ছিল অপহৃত অশোক থাপার। সেই কারণেই ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে লক্ষাধিক টাকা চেয়েছিলেন দুষ্কৃতীরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত করছে পুলিস।
প্রসূন গুপ্ত: আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার বাজারে যে আর পার্থ অনুব্রত থাকছে না, তা হলফ করে এখনই বলে দেওয়া যায়। অনেকদিন বাদে কলকাতা বিশেষ করে যুবভারতীতে ফের ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান মুখোমুখি হচ্ছে। তবে এই দল এখন শুধু নিজেদের নাম নিয়েই চলছে না। গায়ে লেগেছে কর্পোরেট তকমা। একটি ইমামি ইস্টবেঙ্গল, অন্যটি এটিকে মোহনবাগান। এই নাম নিয়েও বিস্তর বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে আপাতত ইস্টবেঙ্গল বাণিজ্যিক সাপোর্ট রয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের মোহনবাগান ক্লাবের নামের আগে এটিকে বসায় প্রবল প্রতিবাদ।
ক্লাব সমর্থকরা ঐতিহ্যবাহী মোহনবাগান নামের আগে কিছু নাম থাক চাইছেন না। হয়তো এবারে সমাধানের পথ খুঁজতে চলেছে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। সেই দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। হয়তো এটিকে নাম বদলে মোহনবাগান এসজি হতে চলেছে। তবে এখনই নাম পরিবর্তন নয়, কিছু আইনি জটিলতা কাটিয়ে নাম পরিবর্তন হবে।
নাম ধাম পরের কথা, এখন প্রশ্ন একটাই, এটিকে নিজের নামে দু'বার আইএসএল জিতেছে। কিন্তু এটিকের সঙ্গে মোহনবাগান জুড়ে যাওয়ায় শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের দেরাজে কোনও জাতীয় ট্রফি নেই। যদিও তারা আইএসএল-র মতো বড় টুর্নামেন্টে রানার্স হয়েছে। কিন্তু ট্রফি কোথায়। অন্যদিকে তথৈবচ ইস্টবেঙ্গল। শতাব্দীপ্রাচীন এই ক্লাবেরও আইএসএল পারফরম্যান্স তথৈবচ। কলকাতা ক্লাব ফুটবলের এত দৈন্যদশা এর আগে ১৯৭৯-তে একবার দেখা গিয়েছিল। তারপর বর্তমানে এই অবস্থা। আগের দিনে নামধাম স্পনসর নিয়ে দুই দলের সমর্থকরা মাথা ঘামাতো না। তারা চাইতো ডুরান্ড, রোভার্স, কলকাতা লিগের ট্রফি আসুক ঘরে। কিন্তু সে সব দিন গিয়েছে।
আজকের দর্শকরা বিশ্বকাপ থেকে বিদেশি ফুটবল দেখছে নিয়মিত। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক টার্ফে প্রিয় দল বা ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এটাই এখন বড় প্রত্যাশা ফুটবলপ্রেমী বাঙালির কাছে। ডুরান্ড কাপ কে পাবে তা নিয়ে ভাবনা নেই সমর্থকদের। কিন্তু অনেকদিন বাদে রবিবারের ডার্বি নিয়ে জল্পনা উত্তেজনা তুঙ্গে। অন্যদিকে টিকিটের জন্যও হাহাকার। যুবভারতীতে ১ লক্ষর বেশি দর্শক প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু আগামীকালের ম্যাচে কিছু টিকিট দেওয়া হচ্ছে দর্শকদের। বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে অনলাইন আর বেশ কিছু ফ্রি টিকিট। এই ভাবেই রবিবারের যুবভারতী জমজমাট হবে বলাইবাহুল্য।
বাংলার শাসক-বিরোধী নেতাদের সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset Case) নিয়ে মামলা চলছে হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের (Union Minister) এবং রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর একাধিক নেতার সম্পত্তি খতিয়ান চেয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা (PIL)। আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার প্রধান বিচারপতির কাছে এই মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলে, কোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।
নতুন এই মামলায় রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, রাজনাথ সিংয়ের নাম রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে বিরোধী দলের দুই পরিচিত মুখ সুজন চক্রবর্তী এবং রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও যুক্ত হয়েছে মামলায়। আদালতের কাছে আইনজীবীর আবেদন, 'ইডি এবং সিবিআইয়ের কাছে এই নেতারা তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান দিক। সেই খতিয়ান তদন্ত করে দেখুক কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। গরমিল পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক।'
সম্প্রতি তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় ইডিকে পার্টি করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশের বিরোধিতায় আবার পাল্টা আবেদন করেছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। সেই আবেদনের শুনানি চলছে হাইকোর্টে। পাল্টা রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর ১৭ জনের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে দায়ের হয়েছে মামলা। এই মামলায় তালিকাভুক্ত হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, তন্ময় ভট্টাচার্য, মহম্মদ সেলিমের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নামে মামলার দিকে তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।
কলকাতার উপকণ্ঠে জাল নোটের (Fake Currency) কারখানা। এসটিএফ-র (STF) সক্রিয়তায় বুধবার টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে থেকে সাড়ে ৭০ হাজার টাকার জাল নোট-সহ গ্রেফতার দুই। তাঁদের জেরা করে ইকো পার্ক থানার (Eco Park) হাতিয়ারায় উদ্ধার জাল নোটের কারখানা। সেই কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে জাল নোট ছাপানোর একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, হাতিয়ারা পূর্বপাড়ার সাহি মসজিদ এলাকার এক বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার টাকার জাল নোট-সহ ল্যাপটপ, কাঠের ফ্রেম, রঙ, ডাইস, ছুরি, সেলোটেপ, কাঁচি ইত্যাদি ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।
জাল নোট ছাপাতে যা যা দরকার, সবই মিলেছে পূর্বপাড়ার ওই বাড়িতে। এমনটাই এসটিএফ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে অভিযান চালায় এসটিএফ। আটক করা হয় নারকেলডাঙার বাসিন্দা চাঙ্গেজ আলম এবং আসগর আলিকে। তল্লাশিতে তাঁদের থেকে সাড়ে ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। একশো টাকার নোট ৭০০টি এবং একটি ৫০০ টাকার জাল নোট ছিল তাঁদের কাছে।
এরপরেই হেফাজতে নিয়ে ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কলকাতার উপকণ্ঠে হাতিয়ারায় এই জাল নোটের কারখানার হদিশ মিলেছে বলে খবর।
রীতিমতো পোস্ট অফিসের (Post Office) মাধ্যমে ক্যুরিয়ারে মাদক পাচার! এই ঘটনায় ট্যাংরা সাব-পোস্ট অফিসের সামনে থেকে চলতি সপ্তাহেই ধৃত দুই। মহম্মদ জুনেইদ এবং ফৈয়াজ আলম নামে এই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ (STF)। তাঁদের কাছে থাকা নিষিদ্ধ মাদকও (Drug) বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করেছে একটি গাড়িও। জানা গিয়েছে, সেই হন্ডা গাড়িতেও তল্লাশি চালিয়ে মাদক উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, সাধারণ পার্সেল যেভাবে আসে একটি কন্টেনারে সেভাবেই গোয়া থেকে ক্যুরিয়ার করা হয়েছিল সেই বিশেষ পার্সেল। কিন্তু এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ট্যাংরা সাব পোস্ট অফিসে উদ্ধার করে সেই পার্সেল। পাশাপাশি সেই পার্সেল নিতে আসা জুনেইদ এবং ফৈয়াজকে আটক করে তাঁরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট না হয়ে পরে ওই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এদিকে, বৃহস্পতিবার তিলজলা থানার পিকনিক গার্ডেন এলাকা থেকে কৌস্তভ বিশ্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাঁর থেকেই অনেক পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে এসটিএফ।
কীভাবে রীতিমতো পার্সেল পাঠিয়ে এই মাদক পাচার, তা জানতে চায় এসটিএফ। পাশাপাশি আদৌ কোনও চক্র কাজ করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।
চলতি সপ্তাহে বুধবারই সিবিআই(CBI) জেরার মুখে পড়েছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(Vice Chancellor) তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান(ex Chairman) সুবীরেশ ভট্টাচার্য(Subiresh Bhattacharya)। এরপর এদিন সকালে সোজা রওনা হলেন কলকাতার(Kolkata) উদ্দেশে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে সমন পাঠিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷ মনে করা হচ্ছে সিবিআই তলবে দফতরে হাজিরা দিতে গেলেন তিনি । সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা যাচ্ছেন। তবে কেন যাচ্ছেন তিনি তা স্পষ্ট করেননি।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাংলোয় রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। সকাল থেকেই মোতায়েন রয়েছে একাধিক নিরাপত্তারক্ষী। এরই মাঝে এদিন সকাল প্রায় ৮ টা বেজে ১৪ মিনিটে একটি লাল রঙের গাড়ি প্রবেশ করে উপাচার্যের বাংলোয়। তার কিছু সময় বাদেই প্রবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব একটি গাড়ি সহ সাদা রঙের আরও একটি গাড়ি। প্রতিটি গাড়িই অবশ্য ফাঁকা ছিল বলে জানা গেছে।
গতকাল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হানা দিয়েছিল সিবিআই । সূত্রের খবর, প্রায় ১০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় উপাচার্যকে। উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের ১১ জনের একটি দল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থাকা বাংলো এবং প্রশাসনিক ভবনের কার্যালয়ে হানা দেয়। পাশাপাশি উপাচার্যের বাঁশদ্রোনীর বাড়িটিও সিল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ।
গতকালের পর আজও ফের সিবি আই হানার খবর রয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন ফের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যেতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআইয়ের (CBI) উদ্দেশে করা তাঁর মন্তব্য ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই তপ্ত পরিবেশের মধ্যেও নিজের অবস্থানে অনড় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণ সেরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। সেই সময়েও দিলীপবাবুর মন্তব্য, 'সিবিআই তদন্ত নিয়ে আমি নতুন কিছু বলিনি। কোর্ট নিজেই হতাশা ব্যক্ত করেছে। একজন কর্মী হিসেবে আমি নিজেই হতাশা ব্যক্ত করছি।' পাশাপাশি এদিন কলকাতা (Kolkata) থেকে বিজেপির বিধানসভা এবং লোকসভায় আসন পাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
তাঁর প্রশ্ন, 'বিজেপি কলকাতায় কবে সিট পেয়েছে? কলকাতার লোক দুর্নীতি নিয়ে ভাবে না। নিজের সুবিধা নিয়েই থাকে। গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ চলছে। কলকাতায় প্রতিবাদ কোথায়? তাঁরা নিজেরা নিজেদের নিয়ে থাকেন। আমি যা বলি সত্য বলি। কারও খারাপ লাগলে আমার কিছু করার নেই। কারও যদি দম থাকে, কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখাক। এখানকার বাঙালিদের এটাই চরিত্র। কালীঘাটের কাছে থাকি, আনন্দে থাকি। ভিখারি হয়ে থাকি। কিচ্ছু যায় আসে না। পুজোর টাকা পেয়ে খুশি থাকি।' এভাবেই সরব ছিলেন দিলীপ ঘোষ।
পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় অর্থ বন্ধ রাখা নিয়ে ফের সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'দেবে না তো। আমরাই দিতে বারণ করেছি। টাকার হিসেব না দিলে টাকা দেবে না। হিসেব দিন, টাকা নিন।'
যদিও দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'দিলীপবাবু কোনও মানসিক অবসাদে ভুগছেন। কলকাতার মানুষকে অপমান করার কোনও অধিকার নেই দিলীপ ঘোষের। শুধু কলকাতায় নয়, জেলাতেও হারছে বিজেপি। উনি হতাশাগ্রস্ত, বিজেপির মধ্যে থেকেই অপমানিত, অবহেলিত, উপেক্ষিত।'
প্রসূন গুপ্ত: স্বাধীনতার পর থেকেই কলকাতার পুজোর জাঁকজমক ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। বিধান রায় থেকে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় অবধি পুজোর জাঁকজমক। বড় প্যান্ডেল থেকে ভোগপ্রসাদেই সীমাবদ্ধ ছিল। জ্যোতি বসুদের জমানায় সরকার সরাসরি পুজোতে অংশগ্রহণ না করলেও তাঁদেরই পরোক্ষ সহযোগিতা থাকতো। কারণ বাম জমানাতে ৭০ দশক থেকে অন্তত ৩০ শতাংশ দুর্গাপুজো বেড়েছে বাংলায়। তারই সঙ্গে বুদ্ধবাবুর আমলে শুরু হয়েছে প্রবল ভাবে থিম পুজো।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে দুর্গাপুজোর ঐতিহ্যর দায়ভাগ অনেকটাই মুখ্যমন্ত্রী নিজের স্কন্ধে নিয়েছেন। আজ যতটা ধর্মীয় বিষয়ে পুজো হয়। তার থেকে বেশি পুজোগুলি একটা এক্সিবিশনে বা প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে। শহর কলকাতা থেকে শুরু করে বনগাঁ অন্যদিকে কল্যাণী অবধি জুড়ে যায় শারদ উৎসবে। গ্রাম বা মফস্বলের পুজো হয়তো আগের তুলনায় অনেক আধুনিক হয়েছে। কর্পোরেটের গন্ধও সেখানে কিন্তু তাহলেও সেখানে আজও দুর্গাপুজো মানে স্রেফ একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
গত কয়েক বছর ধরে বাংলার কয়েক হাজার পুজোকে মুখ্যমন্ত্রী কয়েক হাজার (গত বছর ৫০ হাজার ছিল এই বছর ৬০ হাজার) টাকা করে অনুদান করে থাকেন। কলকাতা থেকে দূরের পুজোগুলির হয়তো টাকার দরকার নিশ্চয় কিন্তু মহানগরীতে? কলকাতার পূজো মানে কোনও ক্লাবের হলেও এদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কিন্তু কোনও না কোনও রাজনৈতিক নেতা বা মন্ত্রী। আজকাল বিরোধী বিজেপির নেতারাও পুজো করে আসছেন। কলকাতার এই পুজো মানে শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান আজ আর নেই। লক্ষ লক্ষ (নাকি কোটি) টাকা খরচ হয় এই পুজোতে। থিম বা এমন কিছু এই পুজোগুলিতে থাকে যা দেখতে বিদেশিদের ভিড় পর্যন্ত হয়। ইতিমধ্যে কলকাতার এই পুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। এই পুজো সরকারি অনুদানের উপর নির্ভরশীল নয়। অনায়াসেই কর্মকর্তারা এই অনুদান শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করতেই পারেন, তাতে সাধারণ জনতার আশীর্বাদই তারা পেতে পারেন। নেতারা ভাববেন কি?
দুঃসাহসিক কাণ্ড শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে। সোমবার নারকেলডাঙায় (Narkeldanga) প্রোমোটিং বিবাদের জেরে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল (Paresh Pal), স্থানীয় এক কাউন্সিলর ও তাঁদের অনুগামীরা। আক্রান্ত মহিলাকে তড়িঘড়ি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হয়। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরেশ পাল। মঙ্গলবার ফের অভিযোগ আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিস। পরিষ্কার বলা হয়েছে, বাড়িতে এখন ঢোকা যাবে না।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানায়, হাসপাতালে দীপক দাসের পরিবারকে বলা হয়, তাঁর স্ত্রীর জন্য জামা কাপড় লাগবে। এই কথা শুনে দীপক বাড়িতে গেলে দেখেন, কিছু লোকজন বাড়ির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এমনকি সেই পরিবারের দাবি, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করা যাবে না। যদি করা হয় তবে মহিলা তৃণমূল কর্মীদের দিয়ে আক্রমণ করা হবে দীপকের পরিবারের উপর। এমনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এলাকাবাসীদের দাবি, দীপক এবং তাঁর পরিবার এই বাড়িতে থাকতেন না। তাঁরা জোর করে এই বাড়িতে ঢুকেছিলেন। অন্যদিকে দীপকের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে এখনও কোমরে ব্যাথা রয়েছে।