'আমি কোন কথা যে বলি! কোন পথে যে চলি!' গানের লাইনটি ভীষণ ভাবে সার্থক এ ক্ষেত্রে, যেখানে বাংলা ভাষা প্রয়োগ নিয়ে বাঙালিরা কেত দেখানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কেন? কারণ, জানেন সারাদিনে আমরা যা বলি তার মধ্যে কত শতাংশ বাংলা?
চায়ের কাপে বিস্কুট ডুবিয়ে খাওয়ার সময় হঠাৎ মাথায় আসলো যে এই চা চীনা শব্দ। আবার বিস্কুট ফরাসি শব্দ। বিস্কুটের সাথে থাকা চানাচুর হিন্দি। চায়ে যে চিনি ও পানি থাকে সেখানে চিনি চীনা অথচ পানি হিন্দি শব্দ। আবার চা ভর্তি পেয়ালাটা ফারসি কিন্তু কাপটা ইংরেজি শব্দ। এদিকে ইংরেজি শব্দটাই আবার পর্তুগিজ। চা চীনা হলেও কফি কিন্তু তুর্কি শব্দ। আবার কেক পাউরুটির কেক ইংরেজি, পাউরুটি পর্তুগীজ।
একটু দামী খানাপিনায় যাই। আগেই বলে রাখি, খানাপিনা হিন্দী আর দাম গ্রীক। রেস্তোরাঁ বা ব্যুফেতে গিয়ে পিৎজা, বার্গার বা চকোলেট অর্ডার দেওয়ার সময় কখনও কি খেয়াল করেছেন, রেস্তোরা আর ব্যুফে দুইটাই ফরাসী ভাষার, সাথে পিৎজাও। পিৎজাতে দেওয়া মশলাটা আরবি।
মশলাতে দেওয়া মরিচটা ফারসি! বার্গার কিংবা চপ দুটোই আবার ইংরেজি। কিন্তু চকোলেট আবার মেক্সিকান শব্দ। অর্ডারটা ইংরেজি। যে মেন্যু থেকে অর্ডার করছেন সেটা আবার ফরাসী। ম্যানেজারকে নগদে টাকা দেওয়ার সময় মাথায় রাখবেন, নগদ আরবি, আর ম্যানেজার ইটালিয়ান। আর যদি দারোয়ান কে বকশিস দেন, দারোয়ান ও তার বকশিস দুটোই ফারসি। এবার চলুন বাজারে, সবজি ফলমূল কিনতে। বাজারটা ফারসি, সবজিও। যে রাস্তা দিয়ে চলছেন সেটাও ফারসি। ফলমূলে আনারস পর্তুগিজ, আতা কিংবা বাতাবিলেবুও। লিচুটা আবার চীনা, তরমুজটা ফারসি, লেবুটা তুর্কী। পেয়ারা-কামরাঙা দুইটাই পর্তুগীজ। পেয়ারার রঙ সবুজটা কিন্তু ফারসি। ওজন করে আসল দাম দেওয়ার সময় মাথায় রাখবেন ওজনটা আরবি, আসল শব্দটাও আসলে আরবি। তবে দাম কিন্তু গ্রীক, আগেই বলেছি।
ধর্মকর্মেও একই অবস্থা। মসজিদ আরবি দরগাহ/ঈদগাহ ফারসি। গীর্জা কিন্তু পর্তুগীজ, সাথে গীর্জার পাদ্রীও। যিশু নিজেই পর্তুগীজ। কেয়াং এদিকে বর্মিজ, সাথে প্যাগোডা শব্দটা জাপানি। আর, মন্দিরের ঠাকুর হলেন তুর্কী। আর কি বাকি আছে? ও হ্যাঁ। কর্মস্থল! অফিস আদালতে বাবা, স্কুল কলেজে কিন্ডারগার্ডেনে সন্তান। বাবা নিজে কিন্তু তুর্কী, যে অফিসে বসে আছেন সেটা ইংরেজি, তবে আদালত আরবি, আদালতের আইন ফারসি, তবে উকিল আরবি। ছেলে যে স্কুলে বা কলেজে পড়ে সেটা ইংরেজি, কিন্তু কিন্ডারগার্ডেন আবার জার্মান! স্কুলে পড়ানো বই কেতাব দুইটাই আরবি শব্দ। যে কাগজে এত পড়াশোনা সেটা ফারসি। তবে কলমটা আবার আরবি। রাবার পেনসিল কিন্তু আবার ইংরেজি! পুরো স্ট্যাটাস মনে না থাকলে অন্তত এটা মনে রাখবেন যে মন শব্দটা আরবি। শব্দের কেচ্ছা-কাহিনী এখানেই খতম। তবে কেচ্ছাটা আরবি, কাহিনীটা হিন্দি, উভয়ের খতমটা আরবিতে। মাফ চাইলাম না বা সরি বললাম না, কারণ মাফটা আরবি আর সরিটা ইংরেজি।
(সোমনাথ পাঠকের পাতা থেকে)
একেবারেই উধাও শীতের আমেজ। মঙ্গলবার রাতে কলকাতা-সহ আশপাশের বেশ কিছু এলাকা ভিজেছে বৃষ্টিতে। তবে বাদ যায়নি হাওড়া, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। আজ, বুধবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যের ১০ জেলায়। জারি হলুদ সতর্কতা। বৃষ্টিতে ভিজতে পারে তিলোত্তমাও।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এদিন ও বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সবকটি জেলাতেই ঘণ্টা ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। আপাতত জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও পূর্বাভাস নেই।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, বুধবার পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবার সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উল্লিখিত জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও আপাতত রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও পূর্বাভাস নেই। বুধবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশের মুখভার। সঙ্গে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে ভিজেছে মহানগরী। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনায় মাতবে বঙ্গবাসী। প্রেমিক-প্রেমিকাদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে, সঙ্গে বাঙালির সরস্বতী পুজো। বাংলার একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টির হাত ধরে ঊর্ধ্বমুখী হবে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মালদহ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বুধবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ওই দিন উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবার সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
মঙ্গলবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বুধবার সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ও ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। সোমবার যা ছিল ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪৪ শতাংশ। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে তার পরের তিন দিনে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না।
এবার রাজ্য সরকারের স্ক্যানারে বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ভিন রাজ্যের চিকিৎসকরা।বাংলায় চিকিৎসা করতে গেলে এই রাজ্যে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক বলে জানাল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এই নিয়ে নতুন নিয়ম আনতে চলছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।রাজ্যের সাতটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের তালিকা চাইল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে হাসপাতালগুলোকে। ইতিমধ্যে ওই হাসপাতাল গুলির চিকিৎসকদের আধার ও প্যান কার্ডের তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। দিতে হবে কোন রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশনের নম্বর রয়েছে ওই চিকিৎসকের।
এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে মেডিক্যাল কাউন্সিল জানিয়েছে, রাজ্যে চিকিৎসায় গাফিলতির তদন্তের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অভিযোগ ওঠা চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন ভিন রাজ্যের। সেক্ষেত্রে নিয়মে ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। আর এই সমস্যার সমাধানে এই রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করতে চলেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তিন মাসের মধ্যে ভিন রাজ্যের চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে।
যে সমস্ত ভিন রাজ্যের চিকিৎসকের, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন নেই। কিন্তু এই রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত, তাদেরকে তিন মাসের মধ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। উচ্চশিক্ষায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করতে ভিন রাজ্য থেকে যে সমস্ত ডাক্তারি পড়ুয়ারা এ রাজ্যে আসবেন, তাঁদেরকেও বাধ্যতামূলক নিজের নাম রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল নথিভুক্ত করতে হবে।
ডিএ আন্দোলনের মাঝে ফের বড় চমক মমতা সরকারের। রাজ্য বাজেটে আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হল। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন। বাজেট ঘোষণার সময় রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছেন তিনি।
রাজ্য সরকার চার শতাংশ ডিএ বাড়ালেও কেন্দ্রের সঙ্গে ডিএ-র ফারাক রইল ৩২ শতাংশ। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখেই রাজ্য সরকারের এই ডিএ ঘোষণা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এখনও বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে অনড় রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাঁরা দাবি করেছিলেন ৩৪ শতাংশ ডিএ বকেয়া পড়ে রয়েছে তাঁদের।
আগামী মে মাস থেকে কার্যকর হবে নতুন মহার্ঘ্য ভাতা। তবে এই মহার্ঘ্য ভাতায় খুশি নন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা তাঁদের দাবি মতো মহার্ঘ্য ভাতা দাবি করেছেন। লোকসভা ভোটের আগে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বাজেট পেশের সময় বিজেপির বিধায়করা তুমুল বিক্ষোভ দেখান। বারবার থমকে গিয়েছিল বাজেট বক্তৃতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরক্ত হয়ে বিরোধী দলের নেতাদের বাজেট বক্তৃতা শেষ করতে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি বিজেপি সাংসদদের নিশানা করে বলেছেন, বিধানসভা ভবন এটি বিজেপির পার্টি অফিস নয়। লোকসভায় বাজেট পেশের সময়ও এই ধরনের আচরণ বিরোধীরা করে না। তাহলে কেন বিধানসভায় এই আচরণ করা হচ্ছে। তারপরেও বিরোধীরা শান্ত হতে চাননি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার তাঁদের শান্ত হওয়ার আর্জি জানান। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেন আমি হাতজোর করে বলছি শান্তিপূর্ণ ভাবে বাজেট পেশ করতে দিন। আপনাদের সময় এলে আপনারা সমালোচনা করবেন।
একাধিকবার বিরোধিতার পরে শেষে নির্বিঘ্নে বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। এদিন রাজ্যের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
সরস্বতী পুজো পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদের উত্থান পতন চলবে। তারপর ধীরে ধীরে রাজ্য থেকে শীতের বিদায় ঘটবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কিছুটা নেমেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। গত ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা কমল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আপাতত দিনের বেলায় গরম অনুভূত হলেও রাত ও সকালের দিকে শীত থাকবে।
আগামী দু'দিনে আরও সামান্য পারদ পতন বঙ্গে। সামান্য পারদ পতনের ইঙ্গিত কলকাতায়। তবে কোনোভাবেই পারদ ১৫ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা এই মরশুমে আর নেই। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৫ ও ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। বুধবার যা ছিল ২০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার যা ছিল ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫১ শতাংশ।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। কোথাও বৃষ্টিপাতের তেমন কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে এর মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং মালদহের কোনও কোনও জায়গায় ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। বাকি সব জেলায় হালকা কুয়াশার সম্ভাবনা।
মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে এই সময়ের মধ্যে জেলাগুলিতে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। তবে তারপরের দুই দিন তাপমাত্রার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না।
শুক্রবার সকাল থেকেই কুয়াশায় ঢাকা আকাশ। কলকাতার পাশাপাশি গোটা রাজ্যেই কার্যত একই ছবি। বৃহস্পতিবার দুই বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কোথাও হালকা আবার কোথাও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। এদিনও বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দার্জিলিং-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমবে। তবে পরের তিন দিনে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি ও নদিয়া জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শনিবার সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে এমনটাই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। আপাতত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা পরিবর্তনের তেমন কোনও পূর্বাভাস নেই বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪ ও ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস মহানগরে। সকাল থেকে কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে আকাশ। বেলা গড়াতে মেঘলা আকাশ। ক্রমশ উর্দ্ধমুখী হচ্ছে তাপমাত্রার পারদ। ফলে ভরা মাঘেও মিলছে না শীতের দেখা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে পূবালী হাওয়ার সংস্পর্শে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায়। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ বঙ্গোপসাগরে তৈরী হবে উচ্চতাপ বলয়। যার জেরে এদিন দিনভর মেঘলা আকাশ থাকবে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণের একাধিক জেলা। হালকা বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলাতে। শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। তবে শনিবারের পর থেকে আবহাওয়া ফের উন্নতি হবে বলে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তুষারপাত হতে পারে সিকিমে। সেই প্রভাব পড়তে পারে দার্জিলিংয়ের উঁচু পার্বত্য় এলাকায়। সেই সঙ্গে থাকবে কুয়াশার সতর্কবার্তা। বেশি কুয়াশার সম্ভাবনা থাকবে মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারেও থাকবে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা।
বদলে যেতে পারে আবহাওয়া। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। তারপর মেঘলা আকাশের পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। পাশাপাশি জানুয়ারির একেবারে শেষ লগ্নে এসে তাপমাত্রা বৃদ্ধিরও পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। এছাড়াও পরপর তিন দিন বাংলার বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। মঙ্গলবার দার্জিলিং-এর কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। আগামী তিন দিন হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া বুধবার ও বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার কোথাও না কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে সবকটি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও বৃদ্ধি না হলেও, তারপর থেকে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। সোমবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৩ ও ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
রবিবার সকালে আরও কমল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকালের দিকে কোনও কোনও জায়গায় কুয়াশা দেখা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বেলা বাড়তেই আকাশ পরিষ্কার হবে। সোমবার থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সোমবার তিন জেলা, মঙ্গলবার পাঁচ জেলা এবং বুধবার নয় জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের উপরে ঘূর্ণাবর্ত এবং বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয়ের জন্য এই পরিস্থিতি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং-এর কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ সোমবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে দার্জিলিং-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এই সময়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রার সেরকম বড় কোনও পরিবর্তন না হলেও পরবর্তী দিন তিনেকে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। সোমবার নাগাদ কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ার এবং মঙ্গলবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
মৌসম ভবন সূত্রে আরও খবর, রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সবকটি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরের তিন দিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। দক্ষিণবঙ্গে বুধবার নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতার কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৩ ও ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি নিচে। শনিবার যা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৩৮ শতাংশ।
পাহাড়বাসীর জন্য সুখবর। পাহাড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবিপূরণ। রাজ্যের পার্বত্য এলাকার জন্য গঠিত হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের আঞ্চলিক শাখা। কালিম্পঙের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিজয়কুমার রাইকে কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মোট সাত সদস্যের গঠিত কমিটি কাজ কবরে আগামী ২০২৮ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, এমনই ঘোষণা রাজ্যের শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে।
সূত্রের খবর, কেবলমাত্র পার্বত্য এলাকার স্কুল সার্ভিস কমিশনের আঞ্চলিক শাখা গঠনই নয়, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে বদল করা হয়েছে বেশ কিছু আঞ্চলিক এসএসসির চেয়ারম্যানকেও। এই মর্মে উত্তর রিজিয়নের চেয়ারম্যান বদলি করে সেখানকার এসএসসির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে অধ্যাপক সাধন কুমার সাহাকে। এছাড়াও বদলি পশ্চিম রিজিয়নের চেয়ারম্যানকেও। নতুন করে পশ্চিম রিজিয়নের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে ডঃ দেবপ্রসাদ সাউকে।
রাজ্যজুড়ে এখন শুধু দুর্নীতির মরশুম বলা চলে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে ছাড়া হয়নি শিক্ষা জগৎকেও। শিক্ষা নিয়োগে ভয়ানক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে বহুদিন। তার মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের দাবিপূরণের এই খবরে কিছুটা খুশির আমেজ পাহাড়বাসীর মনে।
মাঘেও শীতের দাপট ছিল তীব্র। হাড় কাঁপুনি ঠান্ডায় কেঁপেছে কলকাতাবাসী। তবে বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরে বৃদ্ধি পেয়েছে সাড়ে চার ডিগ্রির মতো। এদিন দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। একদিকে উত্তরে হাওয়ায় বাধা এবং সেখানে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়ায় এই পরিস্থিতি।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং-এ হালকা বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হতে পারে। কালিম্পং-এ হতে পারে হালকা বৃষ্টি। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং-এ হালকা বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এই সময়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমবে।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এছাড়া বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সবকটি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। দক্ষিণবঙ্গেও বৃহস্পতিবার থেকে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে আরও খবর, আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকতে পারে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২১ ও ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৪২ শতাংশ।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও জেলে। তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক নাম। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তার মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিনকে এসএসসি-র পদ থেকে স্মঅরীয়ে দিল রাজ্য সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। যার ভিত্তিতে সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্যকে নির্দেশ দেন, যত দ্রুত সম্ভব সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার।
জানা গিয়েছে, শেখ সিরাজউদ্দিনের স্ত্রী জাসমিন খাতুন ২০১৯-এর মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি পেয়েছিলেন। যেখানে থেকে ২০১১ সালে পরীক্ষা দেন। আর ২০১৫ সালে সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। অভিযোগ, নিজের স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দেন খোদ শেখ সিরাজউদ্দিন। ঘটনা সামনে আসতেই উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন।
তবে বিকাশভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কর্তাকে আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছিল পদ থেকে। তবে সোমবার হাইকোর্টে এই বিষয়ে কিছু জানাননি রাজ্যের আইনজীবী। আচার্য সদন থেকে জানানো হয়েছে, চিঠি পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
রাজ্যে বাড়লো মহিলা ভোটারের সংখ্যা। সোমবার প্রকাশ্যে এল ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা। বর্তমানে রাজ্যের মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭,৫৮,৩৭,৭৭৮ জন। যার মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা ১১,৩৩,৯৩৬ জন। এছাড়াও ১৮ থেকে ১৯ বছরের ভোটারের সংখ্যা হলো ১৫,৩১,৯২৩ জন। নতুন ভোটারের মধ্যে ৫,৬৩,৫২১ জন পুরুষ এবং ৫,৭০,৩৪১ জন মহিলা ও ৭৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। পাশাপাশি এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩,৮৫,৩০,৯৮১ জনন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩,৭৩,০৪,৯৬০ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ১৮৩৭ জন।
এবারের ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের সংখ্যার উপর প্রথম থেকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাই মৃত ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,৪৭,৭৫৭ জন। সবমিলিয়ে ২০২৪ সালে ৪,৫১,৭০৬ জন ভোটার বাড়লো এই রাজ্যে। তবে লক্ষণীয় বিষয় একটাই, এই প্রথমবার রাজ্যে পুরুষ ভোটারের তুলনায় বাড়লো মহিলা ভোটারের সংখ্যা। প্রতিবছর ভোটার তালিকা প্রকাশ পায় ৫ই জানুয়ারি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়ার পর নিখুঁতভাবে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আরও সময় দরকার। সে কারণেই ২০২৪ সালে ভোটার তালিকা প্রকাশ পেল ২২শে জানুয়ারি। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের এই ভোটার তালিকা একশো শতাংশই নির্ভুল।
সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ সঙ্গে কুয়াশার দাপট। বেলায় কুয়াশা কেটে গেলেও মিলছে না রোদের দেখা। অন্য়দিকে মেঘ কাটতে না কাটতেই পারদ নেমেছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। কনকনে শীত বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। হালকা বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম। এছাড়াও বৃষ্টি হবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলার কিছু অংশে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার মেঘে ঢাকা থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ সহ কলকাতার আকাশ। আগামী ২৪ ঘণ্টা আবহাওয়ার বিশেষ কোনও হেরফেরের সম্ভাবনা নেই। তবে সোমবার থেকে পরিস্থিতির বদল ঘটতে পারে। দেখা মিলতে পারে ঝলমলে রোদের। মঙ্গলবার থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতে। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। ২৪ ও ২৫ শে জানুয়ারি বৃষ্টি একটু বাড়তে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই থাকবে ঘন কুয়াশার দাপট। এছাড়াও একাধিক জেলায় চলছে তীব্র শৈত প্রবাহ। বিরাজ করছে ব্যাপক ঠান্ডা। দার্জিলিংয়ের উপরিভাগে এবং সিকিমে রয়েছে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস। সব জেলাতেই কুয়াশার দাপট থাকলেও বেশি কুয়াশা হবে মালদহ এবং দিনাজপুরে।