
নবমীতে ভিলেন হতে পারে বৃষ্টি, এমন আভাস আগেই দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে নবমীর সকালটা কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে কাটল রোদ ঝলমলে হয়েই। বেলা বাড়লে আকাশের মুখ কতোটা কালো হয়, সেই আশঙ্কায় বাঙালি।
আলিপুর জানিয়েছে, যেভাবে নিম্নচাপের গতিপথ বাঁক খাচ্ছে তাতে। সোমবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ পাঁচ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। কলকাতা ছাড়া বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং হাওড়ায়। নবমীতেই ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে। শক্তি বাড়িয়ে সোমবার বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবন উপকূলে ধেয়ে আসবে। যদিও অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে বাংলাদেশেই যাবে বলে মত আবহাওয়াবিদদের।
নিম্নচাপের জেরে, ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। আকাশের মুখ ভার থাকবে দ্বাদশীতেও। দ্বাদশীর দিনও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে।
অষ্টমীর সকালে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ। জেলাগুলিতে রয়েছে হালকা উত্তর-পশ্চিম বাতাস। শনিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হয়েছে। যা ক্রমণ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি করবে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার এবং নবমী অর্থাৎ সোমবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া মূলক শুকনো থাকবে। দশমী অর্থাৎ মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে একমাত্র মালদহ জেলায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
বুধবার অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর মালদহের সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আপাতত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির দিন ও রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। রবিবার সকালে দেওয়া দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে নবমী অর্থাৎ সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়ায় খুব হাল্কা থেকে হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। এইসময় বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
মঙ্গলবার ও বুধবার যথাক্রমে দশমী ও একাদশীর দিন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে এই সময় হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ আংশিকভাবে মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ও ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সোমবার হাল্কা বৃষ্টি, মঙ্গলবার ও বুধবার কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকের ১ ডিগ্রি বেশি। শনিবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৬ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি।
সপ্তমীর সকালে রোদ ঝলমলে আকাশ। তবে আবহাওয়া বড়সড় পরিবর্তন হতে পারে, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। যার প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২.২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। যা শুক্রবার থেকে ১ ডিগ্রি কম। সপ্তমীর দিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গের আকাশে সামান্য মেঘ থাকতে পারে।
যদিও পুজোর মধ্যে বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। নবমী ও দশমীর দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাওয়া অফিস জানিয়েছে। তবে ওই দু দিন উত্তরবঙ্গের আকাশ থাকবে পরিষ্কার। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এবং দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। সেকারণেই বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ছিল ৯০। এবার থেকে হবে ১২৫। রাজ্যে বাড়তে চলেছে শব্দবাজির মাত্রা। চলতি সপ্তাহে এই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দবাজি ফাটানো যাবে।
তবে একইসঙ্গে ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সবুজ বাজি ছাড়া আর কোনও বাজি ফাটানো যাবে না। এবং বাজি ফাটাতে হবে বসতিহীন ফাঁকা জায়গায়। কিন্তু প্রশ্ন হল রাজ্যে সবুজ বাজি তৈরির কারখানা কোথায় ?
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল একাধিক মানুষের। শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড়। উদ্ধার হয়েছিল লক্ষাধিক কেজি বাজি। পুলিশকে এই ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও।
তারপরেও শব্দবাজির মাত্রা বাড়ানোর ঘটনায় নানা মহল থেকেই প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই অনেকের অভিযোগ শব্দবাজি ব্যবসায়ীদের খুশি করতেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও সরকারের অন্দরের খবর এই নির্দেশিকা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিজস্ব নয়। এই ব্যাপারে রাজ্যের পরিবেশ দফতরের সঙ্গে কথা বলেই এবং আইনি দিক খতিয়ে দেখেই তৈরি করা হয়েছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের যুক্তি, শব্দবাজির ক্ষেত্রে মাত্রা কত হবে, তা শীর্ষে আদালতের নির্দেশে তা নির্দিষ্ট ভাবে মাপা নেই। এতদিন চিকিৎসক দুলাল বসুর নেতৃত্বে তৈরি কমিটি রাজ্য শব্দবাজির মাপকাঠি ৯০ ডেসিবেলে বেধে রেখেছিল। সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, এবার কালীপুজোতে যে চকোলেট বোমা লুকিয়ে বিক্রি করা হত, তা হয়তো এখন থেকে ফের প্রকাশ্যেই বিক্রি করা হবে।
পুজোয় বৃষ্টি ! ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ। ভাসতে পারে নবমী ও দশমী । তবে, অষ্টমী পর্যন্ত রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন থাকবে একেবার শুষ্ক। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, কড়া রোদের জন্য দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। রাতের দিকে হালকা ঠান্ডার আমেজ থাকলেও ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে রীতিমতো গলদঘর্ম পরিস্থিতিই হচ্ছে শহরবাসীর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে। যার জেরে সোমবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। নবমী ও দশমীতে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। তবে ভারী বৃষ্টি হবে না। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কমতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার আবহাওয়া থাকবে রোদ ঝলমলে। এদিন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ডিগ্রি।
ইতিমধ্যে রাতের দিকে কিংবা ভোরের দিকে হালকা শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে। এবার বর্ষা শেষে শীতের অপেক্ষায় বাঙালি।
পুজোর মধ্যে সপ্তমীর দিন বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। শক্তিশালী হয়ে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে উত্তরবঙ্গে। আপাতত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায়। ক্রমশ বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। ধীরে ধীরে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমবে এবং বৃষ্টিও কমে যাবে উত্তরবঙ্গে। বৃহস্পতিবার থেকে শুষ্ক আবহাওয়ার পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকা ছাড়া বাকি অংশে।
পাশাপাশি জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আপাতত মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ। দু-এক জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশ হতে পারে। অষ্টমীর দিন রবিবার পর্যন্ত রোদ ঝলমলে পরিষ্কার আকাশ থাকার পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন। নবমীর দিন থেকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পরোক্ষ প্রভাব পড়তে পারে বাংলায়। সোম ও মঙ্গলবার নবমী ও দশমীর দিন কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে আংশিক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, কলকাতায়ও জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমছে। ধীরে ধীরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও কমবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই।বৃহস্পতিবারের পর আবহাওয়ার একটু পরিবর্তন হবে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।
বাঙালি মেতে উঠেছে পুজোর আনন্দে। মহালয়ার দিন থেকেই পুজো মণ্ডপে ভিড়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আকাশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত বৃষ্টির সেরকম কোনও পূর্বাভাস নেই।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের তিন জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি পাঁচ জেলা জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পাশাপাশি মঙ্গল ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। হালকা কিংবা ভারী, কোথাও বৃষ্টির তেমন কোনও পূর্বাভাস নেই। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও পূর্বাভাস নেই। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সোমবারেও এই একই তাপমাত্রা ছিল। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৫১ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি।
রাজ্যের যুবসমাজকে নিজের বই 'আলোকবর্তিকা' পড়ার জন্য পরামর্শ দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার পুজো সংখ্যার উদ্বোধন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, একটা বই আছে আলোকবর্তিকা। ছোট্ট ছোট্ট কথার মাধ্যমে তা লেখা। যখনই জীবনে সঙ্কট আসবে সেটা যদি পড়ে দেখেন তার থেকেই সঙ্কটের সুরাহা পাবেন।
নজরুল মঞ্চে এদিন ছিল জাগো বাংলার পুজো সংখ্যার উদ্বোধন। প্রথমে ঠিক ছিল এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শে এবার কালীঘাটের বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালে পুজোর সংখ্যার উদ্বোধন করেন তিনি। এদিনই প্রকাশ করা হল মুখ্যমন্ত্রী গানের নতুন সিডি আলো দাও।
এদিনও জেলা ও শহরতলী সহ একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। সবাইকে সতর্ক হয়ে পুজো কাটাতেও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবার ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের তদন্তে সিবিআই হানা রাজ্যের একাধিক জায়গায়। মহালয়ার দিনও তৎপরতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি চালাচ্ছে শিলিগুড়িতে (Siliguri)। সূত্রের খবর, শুধু শিলিগুড়ি নয়, শিলিগুড়ি, গ্যাংটক-সহ মোট ৫০ জায়গায় একসঙ্গে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। তল্লাশি চলছে উলুবেড়িয়াতেও (Uluberia)।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, শিলিগুড়ির নকশাল বাড়ির পানিঘাটা এলাকায় বরুণ জিৎ সিং রাঠোর-এর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তল্লাশি চলছে অটল চা বাগানের অফিসেও। এর পাশাপাশি আরও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও অভিযান চলছে। পুলিস সূত্রে খবর, সিবিআই জানতে পেরেছে, ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের একাধিক আধিকারিকরাও যুক্ত রয়েছেন বলে সিবিআই জানতে পেরেছে। এমনকি একজন এজেন্ট-এর কাছ থেকে এক লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
অন্যদিকে উলুবেড়িয়ায়ও চলছে সিবিআই তল্লাশি। উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের মহিষালি গ্রামে শেখ শাহানুরের বাড়িতে সিবিআই হানা চলছে। ভোর চারটে নাগাদ চারজনের একটি দল শাহানুরের বাড়িতে ঢোকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহানুর পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে কাজকর্ম করতেন। দীর্ঘ সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে দশটার পর সিবিআই টিম শাহানুরের বাড়ি থেকে বের হয় এবং আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শেখ শাহানুরকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যজুড়ে সিবিআই তল্লাশি চলছে। বেশিরভাগ সময় বাইরেই থাকত কাজকর্ম নিয়ে। বাড়িতে খুব বেশি সময় থাকতেন না। এলাকায় ভালো ছেলে বলেই সকলে জানত কিন্তু তার মাঝখানে জাল পাসপোর্টের কাজ করত সেটা ভেবে পাচ্ছে না গ্রামের বাসিন্দারা।
দেখতে দেখতে দেবী পক্ষের সূচনা হয়ে গেল। রোদ ঝলমলে আকাশ। শনিবার বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এক সপ্তাহ বাকি নেই বাঙালির দুর্গাপুজোর। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ১০-১২ দিন অক্টোবরে রাজ্যে কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনি এবং রবিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি তিন জেলা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আপাতত দিনের তাপমাত্রা পরিবর্তনের কোনও পূর্বাভাস নেই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, অনুযায়ী, শনি ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। হালকা কিংবা ভারী, কোথাও বৃষ্টির তেমন কোনও পূর্বাভাস নেই। দক্ষিণবঙ্গেও তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও পূর্বাভাস নেই। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ সাধারণভাবে পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার যা ছিল ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৩৭ শতাংশ।
পুজোতেও ঘরবন্দি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পেন সফর থেকে ফেরার পর পায়ে চোট থাকায় চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কালীঘাট থেকে রাজ্যের ৮০০ পুজোর উদ্বোধন করলেন। জানালেন, ২৭ অক্টোবর, দুর্গাপুজোর কার্নিভালে সশরীরে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা ও জেলার প্রায় ৮০০ পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই মঞ্চেই নিজের শরীর নিয়ে আপডেট দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পায়ে সংক্রমণ রয়েছে। এমনি আমি ঠিক আছি। আইভি ইঞ্জেকশন নিচ্ছি। ভাল করে হাঁটতে পারছি না। চিকিৎসকরা আরও কিছু দিন হাঁটাচলা না করতে বলেছেন।"
শনিবার দলের মুখপাত্রের পুজোসংখ্যার উদ্বোধনে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এই অনুষ্ঠানেও থাকতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার। সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে শরতের আকাশ। চারপাশ যেন মেতে উঠেছে পুজোর আমেজে। আর তারমধ্য়ে পুজোর আগেই ক্রমশ বিদায় নিচ্ছে বৃষ্টি। নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির থেকে আপাতত রেহাই। তবে পুজোর সময় কি হতে পারে বৃষ্টি..? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার শহরের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কলকাতা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বজ্রপাত সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত তিন থেকে চার দিন শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আগামী বুধবার পর্যন্ত পরিষ্কার থাকবে আকাশ। তাপমাত্রার বিশেষ কোনও হেরফের হবে না। তবে বৃষ্টি না হলেও বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কিন্তু বজায় থাকবে। বৃহস্পতিবারের পর থেকে ফের আবহাওয়ার বদল ঘটবে।
পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙ এই দুই জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায়। প্রসঙ্গত, উত্তর সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, তিস্তার হড়পা বানে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই, এদিকে সূত্রের খবর, উত্তর সিকিমেরও আবহাওয়াও কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
এবারে রামভক্ত হনুমান দেখা দিল একেবারে বাংলার প্রধান প্রশাসনিক ভবনের অন্দরে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নবান্নে (Nabanna) হানা দিয়েছে হনুমান। দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হওয়া ধরনা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে ধুন্ধমার পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার প্রতিবাদে এদিন বাংলায় রাজভবন অভিযানে যখন ব্যস্ত শাসক দলের নেতা-নেত্রী, এমনকি পুলিসও। সেই ফাঁকে নবান্নে ঢুকে পড়ল 'বজরংবলী'। আর এই নিয়েই হইহই পড়ে যায় নবান্নে।
'জয় শ্রী রাম', এই ধ্বনি বাংলার শাসকের কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, একাধিকবার এই ধ্বনি নিয়ে বাংলায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেসময় রামের ভক্ত দাপিয়ে বেড়়ালো একেবারে বাংলার প্রধান প্রশাসনিক ভবনের অন্দরে। শুধু ঢুকে পড়াই নয়, এক এক করে নবান্নের সবকটি তলাতেই ঘুরে বেরিয়ে সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণও করে সে। এর পরই তাকে ধরতে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে ব্যর্থ হয় নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে প্রশ্ন উঠছে, জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তার বেষ্টনি পেরিয়ে নবান্নের ভেতরে কীভাবে ঢুকে পড়লেন এই রাম ভক্ত?
অন্যদিকে আবার স্বয়ং 'পবনদেব'কে চাক্ষুস করতে পেরে তার ছবি ক্যামেরাবন্দী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নবান্নের কর্মীরা। বারান্দায় দাপাদাপি শেষে রেলিং ধরে নানা ভঙিমায় পোজ দিয়ে চিত্র গ্রাহকদের ছবি তোলার সুযোগও করে দেন সে। বেশ কয়েকজনকে আবার রামভক্তের সাথে নিজস্বী তুলতেও দেখা যায়। আবার অনেকে তাকে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে দেন বিস্কুটও। অবশেষে বিস্কুট খেয়ে কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করে নিজেই বেরিয়ে যায় পবনপুত্র হনুমান।
ভয়াল রূপ ত্যাগ করে শান্ত হচ্ছে তিস্তা। ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে জলপাইগুড়ির গজলডোবায় সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। ভয় নেই আর আশ্বস্ত করছেন মন্ত্রী, তিস্তা পারের বাসিন্দারাও একটু স্বস্তিতে। তবু খচখচ করছে ভয়ের কাঁটা। উত্তাল প্রকৃতি নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে গোটা মানবজাতিকে। বুধবার সব শেষ হওয়ার ভয়টাকে খুব কাছ অনুভব করেছে বঙ্গের উত্তর। সিকিমের লোনক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার উথাল পাথাল স্রোতে জলপাইগুড়ির গজলডোবায় ভেসে এসেছিল ৩ টি মৃতদেহ। গজলডোবার উঠতি পর্যটন কেন্দ্র রাজ্য সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলো নিয়েও শঙ্কার শেষ নেই। বৃহস্পতিবার সেই গজলডোবার হাওয়া মহলেই বিশেষ বৈঠকে বসলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী।
শুধু সেচমন্ত্রী নয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেত্রী মহুয়া গোপ সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের নজর এখন শুধুই তিস্তার মাতাল স্রোতে। ঘাড়ের ওপর ৪৮ ঘণ্টার অশনি সংকেত। যদি আবার বাড়ে জল? তবে বৃহস্পতিবার একটু হলেও ভরসা দিচ্ছে তিস্তা। বুধবারের ভয়াল রূপ ত্যাগ করে স্রোতস্বিনী এখন ধীর প্রবাহিনী। ভয়ের কাঁটা খচখচ করছেই। খামখেয়ালি প্রকৃতির কখন আবার কি মর্জি হয়!
'ওঁরা ঠিকই বলছেন, হ্যাঁ পালিয়েই তো এসেছি। দিল্লি থেকে পালিয়ে এসেছি।' সংবাদমাধ্যমকে ঠিক এমনই জবাব দিলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, রাজভবন অভিযানের কথা পূর্বেই ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। দিল্লিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিসের ব্যাবহার, এবং অভিষেক সহ অন্যান্য সাংসদদের আটক করার অভিযোগে দিল্লি থেকেই রাজভবন অভিযানের ডাক দেয় অভিষেক। অথচ এই দিনেই রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে, বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছেন।
এরই পাল্টা, রাজভবন অভিযানের দিনই তাঁর উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তাঁদের কথায়, রাজ্যপাল 'পালিয়ে' গিয়েছেন। এদিন, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তারও জবাব দিলেন সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের বন্যা প্রবন এলাকা গুলি ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। মানুষ ভোগান্তির শিকার। এরপরেই সাংবাদিকরা রাজ্যপালকে প্রশ্ন করেন, তৃণমূলের মন্তব্য নিয়ে, এরই পাল্টা রাজ্যপাল বলেন, 'ওঁরা ঠিকই বলছেন, হ্যাঁ পালিয়েই তো এসেছি। দিল্লি থেকে পালিয়ে এসেছি। যখনই শুনেছি, বাংলার মানুষ সমস্যায় রয়েছেন, তখনই আমি পরের ফ্লাইট ধরে দিল্লি থেকে পালিয়ে এসেছি। এটা একদম ঠিক। '