কুলতলী (Kultali) ব্লকের কৈখালী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র (Kaikhali Primary Health Centre)। যেখানে মূলত মানুষেরা যান স্বাস্থ্যপরীক্ষা বা রোগ নিরাময়ের জন্য। তবে এখানে চিত্রটাই অন্যরকম। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (hospital) ঢুকলেই দেখা যাবে সেখানে চলছে যাত্রাপালার রিহার্সাল। যাত্রার নাম "সুন্দরীর বুকে শয়তানের থাবা"। কিন্তু কেন এই অবস্থা? রোগীদের দেখাই বা মিলছে না কেন?
কৈখালী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। হাসপাতালে চিকিৎসকেও পাওয়া যায় না। চিকিৎসার জন্য ১২ কিলোমিটার দূরের জামতলা ব্লক হাসপাতালে যেতে হয় স্থানীয় রোগীদের। এমনকি, হাসপাতালের গর্ভবতী মায়েদের চেকআপের ঘরেরও ছাদ থেকে টপ টপ করে পড়ছে জল। এখানে ওখানে সিলিং-এর চাঙর ভেঙে পড়ছে। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। নজর নেই স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের। একাধিকবার বলেও মেলেনি সুরাহা।
তবে হ্যাঁ! এই অব্যবহৃত ঘরগুলিতে দেদার হচ্ছে যাত্রাপালার রিহার্সাল। ঘরগুলিতে ঢুকতেই দেখা যাবে সিলিং-য়ে ঝুলছে একাধিক প্লাস্টিকের গ্লাস। যেটা মূলত মাইক ভেবে রিহার্সাল দেওয়া হয় যাত্রাপালায়। কিন্তু হুঁশ কোথায় প্রশাসনের? প্রশ্ন তুলে সরব স্থানীয়রা। তাঁরা চান গ্রামের মধ্যেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে গড়ে তোলা হোক সুষ্ঠভাবে।
চলতি মরশুমে সেভাবে বৃষ্টিপাত (Rain) পায়নি দক্ষিণবঙ্গবাসী (South Bengal)। অবশেষে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে স্বস্তি ফিরেছে কিছুটা। তবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দিলেও তার দেখা মেলেনি। মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টিতে ভিজেছে দক্ষিণবঙ্গ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ,শুক্রবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও বাকি জেলাগুলির কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
অন্যদিকে, ১৩ অগাস্ট শনিবার সকালের উত্তরবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দিন পাঁচেকে তাপমাত্রার হেরফের হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ মেধলা থাকবে। সঙ্গে কয়েক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ।
বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রমণ (Corona New Cases) সামান্য বাড়ল। তবে মৃত্যুসংখ্যা (Death) সামান্য হলেও কমেছে। বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫১৯, মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৫। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বেড়ে হয়েছে ৫৯৮ এবং মৃত্যুসংখ্যা কমে হয়েছে ৪। অর্থাত্, বৃহত্তরভাবে দেখতে গেলে রাজ্যের করোনা-চিত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ২৪ ঘণ্টায় হয়নি। যদিও গত কদিনের পরিসংখ্যান বিচার করে বলাই যায়, সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। কমেছে মৃত্যুও। কিন্তু একজনেরও মৃত্যুও কখনও কাম্য নয়। সেই হিসাবে মৃত্যুসংখ্যাকে শূন্যে নামিয়ে আনাটাই রাজ্যের কাছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় রাজ্য আগামিদিনে কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার। কারণ, দিল্লিতে সংক্রমণের মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই জনবহুল স্থানে মাস্ক (Mask) ব্যবহার নিয়ে সেখানকার প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। মাস্কবিহীন অবস্থায় ধরা পড়লেই ৫০০ টাকা জরিমানার (Fine) কথা ঘোষণা করেছে সেখানকার প্রশাসন। এমনকী নজরদারি চালানোর জন্য সেখানে বিশেষ বাহিনীও গঠন করা হয়েছে। সেই জায়গায় রাজ্যে সচেতনতার বিষয়টি সাধারণ মানুষের সদিচ্ছার উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
করোনায় সুস্থতার (Recovery) সংখ্যা বেড়ে যাওয়াটাই রাজ্যের কাছে এখন সবচেয়ে আশার কথা। বৃহস্পতিবারও যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯৮, সেখানে সুস্থতার সংখ্যা ৮০২। ফলে সক্রিয় আক্রান্তের (Active Cases) সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। যেমন এদিন তা ছিল ৬২১৭। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মাত্র ২২১ জন। করোনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। এদিন তা ছিল ১২ হাজারের কাছাকাছি। এদিন পজিটিভিটি রেট ছিল ৫.০২ শতাংশ।
নিম্নচাপ(depression) শক্তি হারিয়ে পূর্ব মধ্যপ্রদেশে অবস্থান করছে। এই নিম্নচাপ সরে গেলেও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে(gangetic West Bengal) একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে, এই ঘূর্ণাবর্তের ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি (rain)চলবে । শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টি (heavy rain)হবে। এছাড়া হাওড়া ও কলকাতার কয়েকটি জায়গায় মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ,পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম একটু বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ফের ১৪ আগস্ট দক্ষিণবঙ্গের জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। উত্তরবঙ্গে যদিও খুব বেশি বৃষ্টিপাত নেই হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে কয়েক দিন। মৎস্যজীবীদের (fisherman) ১১ তারিখ পর্যন্ত মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের জন্য রয়েছে লাল সতর্কতা(red alert)। আগামীকাল অর্থাত্ শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূলে হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। এর ফলে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।
কলকাতায় দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে নামতে পারে তাপমাত্রার পারদও। এ ছাড়া, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া দফতরের। নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্তের জোড়া প্রভাবে কলকাতা শহর-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বুধবারের করোনা-চিত্রে তেমন বড় কোনও পরিবর্তন এল না। মঙ্গলবারের নিরিখে এদিন আক্রান্ত (Corona New Cases) ও মৃতের (Death) সংখ্যা মোটের উপর একই রয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৫১৯ এবং ৫। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এই দুটি সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫২৫ এবং ৫। দুটি পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণেই বোঝা যায়, আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় একই রয়েছে।
গত কদিনে করোনার পরিসংখ্যানে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল, সুস্থতার (Recovery) সংখ্যায় উর্ধ্বমুখী প্রবণতা। গত দুদিন ধরে সেই পরিসংখ্যানেও তেমন বড় কোনও পরিবর্তন হয়নি। যেমন, মঙ্গলবার সুস্থতার সংখ্যা যেখানে ছিল ৮৬৮, বুধবার তা ছিল ৮২২। অর্থাত্, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সুস্থতার সংখ্যা সামান্য হলেও কমেছে।
সুস্থতার সংখ্যায় সামান্য ওঠানামা থাকলেও সামগ্রিকভাবে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে। কারণ, বরাবরই আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি থাকছে। এদিন সক্রিয় আক্রান্তের (Active cases) সংখ্যা ছিল ৬৪১৯। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মাত্র ২২৭ জন। বোঝাই যায়, করোনার এই দফার সংক্রমণে সিংহভাগ মানুষ বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। হাসপাতালে ভর্তির তেমন প্রয়োজন পড়ছে না।
করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা মঙ্গলবার ছিল ১১ হাজারের কাছাকাছি। এদিন তা সামান্য কমে হয়েছে ৯২১৪। পজিটিভিটি রেট ছিল ৫.৬৪ শতাংশ।
অন্যদিকে, বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ০৪৭ জন। যা মঙ্গলবার ছিল ১২ হাজার ৭৫১ জন। গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। মঙ্গলবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪২। মৃত্যুসংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৮২৬ জন।
হাওয়া অফিস সূত্রে আগেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, দক্ষিণবঙ্গে ধেয়ে আসছে নিম্নচাপ। তবে নিম্নচাপ (Low Pressure) নিয়ে যতটা পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, বর্ষণ ততটা হয়নি এবঙ্গে। ফলে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার অভাব সেই রয়েই গেল। আবহাওয়া (Weather) দফতরের তরফে বলা হয়েছিল, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতা ছাড়াও হাওড়া (Howrah), উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম (Jhargram) এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেইভাবে দেখা মেলেনি বৃষ্টির।
হাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়, বুধবার সকালে ওড়িশা ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি অবস্থান করেছে। ভুবনেশ্বর থেকে এর অবস্থান ছিল ৭০ কিমি উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে। তবে পরবর্তী সময়ে তা ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা শক্তি হারাবে এবং ১০ অগাস্ট তা ছত্তিশগড় এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে অবস্থান করবে। ১১ ই আগস্টের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে কোনও কোনও জায়গায় আবার ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই বলেও জানানো হয়েছে।
তবে ঝোড়ো হাওয়া নিয়ে সতর্কবার্তায় দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, ১০ আগস্টের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কলকাতা ও হাওড়ায় এই দমকা হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে।
কলকাতা ও আশপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আকাশ স্বাভাবিকভাবেই মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজ্যে একধাক্কায় সামান্য বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় একই রয়েছে মৃতের সংখ্যা। মঙ্গলবার রাজ্যে সংক্রমিত ৫২৫ জন, মৃত ৫। এই মুহূর্তে রাজ্যে পজিটিভিটি রেট বা আক্রান্তের হার ৪.৭৭%। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮৬৮ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৬৫%। এবার অনেকটা স্বস্তি। আরও কমল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ (Corona Cases India)। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোভিড গ্রাফ (Covid Graph In India) নেমেছে ১২ হাজারের ঘরে। কমে এল অ্যাকটিভ কেস (Active case), পজিটিভিটি রেটও (Positivity Rate)। সব ঠিকঠাক থাকলে মহামারী থেকে মুক্ত হতে চলেছে দেশ। এমনটাই মনে করছে স্বাস্থ্যমহলের একাংশ।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৫১ জন। যা সোমবার ছিল ১৬ হাজার ১৬৭ জন। গতকালের তুলনায় কম। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। সোমবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪০। মৃত্যুসংখ্যা সামান্য ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৭২ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.৩০ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৮০৭। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ৩.৫০ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৭ লক্ষ ১৬ হাজার ০৭১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ হাজার ৪১২ জন। দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৩.৫০ শতাংশ।
মন্ত্রী হয়ে কোচবিহারে (Cooch Behar) ফিরে আলাদা রাজ্য নিয়ে বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। মঙ্গলবার মন্ত্রী হয়ে পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে নিউ কোচবিহার স্টেশনে নামেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক (TMC Leader)।
এদিন নিউ কোচবিহার স্টেশনে তাঁকে সম্বর্ধনা জানাতে প্রচুর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-নেতাদের ভিড় হয়। সেই সম্বর্ধনা মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন গুহ বলেন, '২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে বহুবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন। এখানে উত্তরবঙ্গে বহু কাজ হয়েছে এবং হবে। উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত, আগামীদিনে এই কথা কারও মুখে আসবে না। এই কথা বলে যারা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবি করে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে সমাজ থেকে আলাদা করে দিতে হবে।'
তিনি জানান, রাতারাতি সব হবে না। সবার সঙ্গে কথা বলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি আগে করতে হবে। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এই মঞ্চ থেকে উদয়ন গুহ বলেন, 'কেউ দাদা ধরে পঞ্চায়েত টিকিট পাবে না। জোর করে কেউ পঞ্চায়েত প্রধান হবে না।'
এই মঞ্চ থেকে এদিন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, 'দলে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই।' বুথে কর্মীদের এক হওয়ার বার্তা দেন তিনি। পাশপাশি তিনি বলেন, 'বর্তমান রাজ্যে ইডি-সিবিআই বলে একটা প্যানিক চলছে। তাই যারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, তাদের ইডি সিবিআই মামলায় এক থেকে দেড় বছর জেল খাটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।'
তবে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুর চড়িয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা সুকুমার রায়ও। কী বললেন তিনি?
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) অবস্থিত নিম্নচাপ আগামী ২৪ ঘণ্টায় শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে(deep depression)। তার জেরে আজ, মঙ্গলবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে। তবে বেশি বৃষ্টি এবং দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলবর্তী অঞ্চলে (Coastal Area)। তাই দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর সহ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সেখানে সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায়। মৎস্যজীবীদের(fisherman) জন্য জারি হয়েছে লাল সতর্কতা(red alert)। দিঘায় গত কাল সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। তার উপর পূর্ণিমার ভরা কোটালে জলোচ্ছ্বাসের(high tide) সম্ভাবনা।
কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে জুলাইয়ে তেমন বৃষ্টি(rain) হয়নি বললেই চলে। যার ফলে চাষের (agriculture)উপরেও এর প্রভাব পড়েছে। নিম্নচাপের প্রভাব যেহেতু অনেকটা অঞ্চল জুড়ে থাকে, তাই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ৯ থেকে ১১ তারিখ বৃষ্টি একটু বাড়বে। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে নিম্নচাপের গতিমুখ পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে। অর্থাত্, ওড়িশা, ছত্তিশগড়ের দিকে, আমাদের দিকে নয়। উপকূলবর্তী জেলা দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের দু-একটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্বাবনা থাকছে। সংলগ্ন কলকাতা ও হাওড়ার দু-একটি জায়গাতেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
৯ থেকে ১১ তারিখ সমস্ত মত্স্যজীবীকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াও বয়ে যেতে পারে। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।