
বিদেশযাত্রার শুরুতেই বিপত্তি। পিছিয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিমান। সূত্রের খবর, অন্তত দেড় ঘণ্টা দেরিতে সফর শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দলের।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দুবাইগামী বিশেষ বিমান ছাড়ার কথা ছিল। অনিবার্য কারণ বসত ওই বিমানটি পিছিয়ে যায়। ফলে ওই বিমানটি সকাল ৮ টার জায়গায় সাড়ে ১০টা নাগাদ ছেড়েছে। কী কারণে দেরিতে ছেড়েছে বিমান, তা অবশ্য জানা যায়নি।
৫ বছর পর বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে প্রতিনিধিদল। দমদম থেকে প্রথমে দুবাই-এর বিমান, সেখানে ১৮ ঘণ্টার বিশ্রাম। সেখান থেকে আবার স্পেনের বিমান। আপাতত ১২ দিন দেশের বাইরে থাকবেন মমতা। রোজই জরুরি বৈঠক থাকবে বলে সূত্রের খবর।
ডেঙ্গির (Dengue) গতবছরের ভয়াবহতা ফিরছে এবছরেও। বর্ষার শুরু থেকেই রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির সংক্রমণ। রাজ্যে এ পর্যন্ত ডেঙ্গির বলি (Dengue Death) হয়েছে ২৩ জন। সদ্য প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুসারে, ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাবের নিরিখে ১০ জেলার মধ্যে প্রথম স্থানেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas)। দ্বিতীয় স্থানে নদিয়া আর পঞ্চমে কলকাতা (Kolkata)। ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে দক্ষিণ দমদম (South DumDum) পুরসভার একাধিক জায়গার ডেঙ্গির প্রকোপ। এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। সংক্রমণের সংখ্য বেশি দক্ষিণ কলকাতাতেও। পুরসভা সূত্রে খবর, ৯, ১০, ১১, ১২,১৩ ও ১৪ ছয়টি বরোতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০০ ছাড়িয়েছে।
তবে তাতেও কী সর্তক প্রশাসন? শহরে বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে প্রশাসনের গাফিলতির ছবি। গত বছর দক্ষিণ কলকাতার আনন্দপুরের ১০৮ নং ওয়ার্ডে দেখা মিলেছিল ডেঙ্গির প্রার্দুভাব। তবে তাতেও পাল্টায়নি এলাকার ছবি। এবছরও এলাকার বিভিন্ন জায়গা ডেঙ্গির মশার প্রজননের মোক্ষম স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোথাও জমে রয়েছে ময়লার স্তুপ, আবার কোথাও রাস্তার ওপর জমা জলে বাসা বেঁধেছে মশার লার্ভা। ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা হওয়ায় এই ছবি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় নেই পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ। যত্রতত্র জমে রয়েছে আবর্জনা, জল। বেহাল এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা। সামন্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন এলাকা। পুরসভার তরফ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ স্থানীয়দের।
এই রোদ, এই আবার মেঘলা আকাশ। কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে (Rain) ভিজেছে মহানগরী (Kolkata)। তবুও বজায় রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি (Weather Update)। গরম থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না শহরবাসী। আপাতত ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতররের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে মঙ্গলবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। শনিবার যা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৭৪ শতাংশ। রবিবারের মতো সোমবারও একই পরিস্থিতি থাকবে বঙ্গে। আপাতত কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন এলাকায় নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভবনার কথা বলেছে হাওয়া অফিস।
অন্যদিকে, রবিবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। সোমবারেও একই পরিস্থিতি থাকবে বলে পূর্বাভাস।
দফায় দফায় বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম। শনিবার সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি (Rain) হলেও বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা না থাকলেও উত্তরবঙ্গের (North Bengal) দুই জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে। পাশপাশি আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং-এ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রবিবারে সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে।
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সবকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রা বৃদ্ধিরও কোনও পূর্বাভাস নেই।
কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় দু-ওক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৯০ শতাংশ।
রাত থেকেই টানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আজও শুক্রবার কলকাতা (Kolkata) সহ শহরতলির একাধিক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। শনিবার থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। শনিবার জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন থেকে পরবর্তী দু থেকে তিন দিনে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলায়ও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।
শুক্রবারও কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
রাজ্যপালের অনুমোদনের কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ এটা আইন নয়, প্রস্তাব। পশ্চিমবঙ্গ দিবস বিতর্কে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জুন নয়, অক্টোবরও নয়, পয়লা বৈশাখই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে অনড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ১ বৈশাখই হবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস। যদিও বিজেপির বক্তব্য, প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ করানো গেলেও রাজ্যপালের অনুমোদন পাওয়া যাবে না। তাই তাঁদের দাবি, রাজ্য দিবসের প্রস্তাব পাশ হলেও তা কার্যকর করা যাবে না। তারই জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এটি প্রস্তাব মাত্র। কোনও আইন নয়। তাই এতে রাজভবনের অনুমোদনের কোনও প্রয়োজনই নেই। তবু, সৌজন্যের খাতিরে প্রস্তাবটি রাজভবনে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।
বৃহস্পতিবার তুমুল হইহট্টগোল দিয়ে শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। প্রথমে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি এবং গেরুয়া মানচিত্র আঁকা জামা পরে বিধানসভায় প্রবেশ করেন বিজেপি বিধায়করা। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন স্পিকার।
এরপর বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ নিজের বক্তব্য রাখার সময় স্পষ্ট জানিয়ে দেন ২০ জুন ছাড়া বাংলা দিবস পালন করা অসম্ভব। অন্যদিকে ১৬ অক্টোবর বাংলা দিবস পালন করার দাবি তোলেন আই এস এফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর কথায় ওই দিন বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়েছিল। সেকারণে ওই দিনটি বাংলা দিবস পালন করা যেতে পারে।
ঘোষণা হল আইএসএলের প্রথম পর্বের সূচি। লক্ষ্মীপুজোর দিন মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। ২৮ অক্টোবর আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বি। এদিন বিশ্বকাপে ইডেন গার্ডেন্সেও ম্যাচ আছে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে নামবে বাংলাদেশ। যুবভারতীতে রাত ৮টা থেকে শুরু হবে কলকাতা ডার্বির এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ।
আইএসএলে ২৩ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচ খেলবে মোহনবাগাান। এবার আইএসএলে অভিষেক হয়েছে পঞ্জাব এফসি। তাঁদের বিরুদ্ধেই নামবে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে। ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁদের প্রথম ম্যাচ।
আইএসএলে মোহনবাগানের সূচি
১. মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস বনাম পঞ্জাব এফসি – ২৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
২. মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস বনাম বেঙ্গালুরু এফসি – ২৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৩. মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস বনাম চেন্নায়িন এফসি – ৭ অক্টোবর (শনিবার), জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম, সময় – রাত – ৮।
৪. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম ইস্টবেঙ্গল এফসি – ২৮ অক্টোবর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৫. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম জামশেদপুর এফসি – ১ নভেম্বর (বুধবার), জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সময় – রাত – ৮।
৬. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম হায়দরাবাদ এফসি – ২ ডিসেম্বর (শনিবার), বালাযোগী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম, সময় – রাত – ৮।
৭. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম ওড়িশা এফসি – ৬ ডিসেম্বর (বুধবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৮. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি – ১৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার), ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম, সময় – রাত – ৮।
৯. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম মুম্বই সিটি এফসি – ২০ ডিসেম্বর (বুধবার), মুম্বই ফুটবল এরিনা, সময় – রাত – ৮।
১০. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম এফসি গোয়া – ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
১১. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি – ২৭ ডিসেম্বর, বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের সূচি
১. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম জামশেদপুর এফসি – ২৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
২. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম হায়দরাবাদ এফসি – ৩০ সেপ্টেম্বর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৩. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম বেঙ্গালুরু এফসি – ৪ অক্টোবর (বুধবার), শ্রী কান্তারাভা স্টেডিয়াম, সময় – রাত – ৮।
৪. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম এফসি গোয়া – ২১ অক্টোবর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – বিকেল ৫.৩০।
৫. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট – ২৮ অক্টোবর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৬. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি – ৪ নভেম্বর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৭. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম চেন্নায়িন এফসি – ২৫ নভেম্বর (শনিবার), জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম, সময় – বিকেল – ৫.৩০।
৮. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি – ৪ ডিসেম্বর (সোমবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
৯. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম মুম্বই সিটি এফসি – ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার), মুম্বই ফুটবল এরিনা, সময় – রাত – ৮।
১০. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম পঞ্জাব এফসি – ৯ ডিসেম্বর (শনিবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
১১. ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম ওড়িশা এফসি – ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার), বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সময় – রাত – ৮।
পশ্চিমবঙ্গ দিবসের প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ হলেও, রাজ্যপালের সই নিয়ে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর। শুভেন্দু এদিন বলেন, 'বিধানসভায় পাশ হলেও রাজ্যপাল সই করবে না।' পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে প্রাথমিক দিকে বিজেপি বিধায়করা বিরোধিতা করলেও পরে পাশ হয় প্রস্তাব। সূত্রের খবর, ১৬৭ জন বিধায়ক ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ দিবসের পক্ষে, ৬২ জন ছিলেন বিপক্ষে।
পূর্বনির্ধারিত সূচি মোতাবেক রাজ্য সঙ্গীত এবং রাজ্য দিবস নিয়ে প্রস্তাব আনা হল বিধানসভায়। ১ বৈশাখকে রাজ্য দিবস করার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। এর পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বাংলা দিবস ঘোষণার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাতে রাজভবনে যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়কেরা। বিজেপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে নাগাদ বিধানসভা থেকে মিছিল করে রাজভবনের উদ্দেশে যাবেন দলীয় বিধায়কেরা।
বিধানসভায় আনা প্রস্তাবে রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করলেও ১ বৈশাখ দিনটিই ‘বাংলা দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে। বিধানসভায় এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কে কে সমর্থন করবে জানি না, কিন্তু আমাদের নির্দেশ থাকবে ওই দিনই বাংলা দিবস হিসাবে পালন করার।” মুখ্যমন্ত্রীর আগে বক্তব্য রাখতে উঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন না রাজ্যপাল।
পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা নিয়ে চলছে বিতর্ক। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার এবিষয়ে একটি প্রস্তাব আনে রাজ্য সরকার। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল সই না করলেও ১ বৈশাখ বাংলা দিবস পালন করা হবে।
বৃহস্পতিবার তুমুল হইহট্টগোল দিয়ে শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। প্রথমে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি এবং গেরুয়া মানচিত্র আঁকা জামা পরে বিধানসভায় প্রবেশ করেন বিজেপি বিধায়করা। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন স্পিকার।
এরপর বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ নিজের বক্তব্য রাখার সময় স্পষ্ট জানিয়ে দেন ২০ জুন ছাড়া বাংলা দিবস পালন করা অসম্ভব। অন্যদিকে ১৬ অক্টোবর বাংলা দিবস পালন করার দাবি তোলেন আই এস এফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর কথায় ওই দিন বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়েছিল। সেকারণে ওই দিনটি বাংলা দিবস পালন করা যেতে পারে।
অন্যদিকে বক্তব্য দিতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন নিয়ে খোঁচা দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, প্রস্তাব পাশ করানো হলেও রাজ্যপালের অনুমোদন পাওয়া যাবে না।
নেই রাজ্যে বেতন বাড়ল বিধায়কের। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এমনই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়ক স্তরে সবারই ৪০ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বেতন বাড়াবেন না বলেই জানান।
সূত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করা হল। প্রতি স্তরেই ৪০ হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধি করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের বিধায়কদের বেতন দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। তাই আমাদের সরকার বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মূলত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়ক— এই তিন স্তরে বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিধায়কদের বেতন ছিল প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা। তা বেড়ে হল ৫০ হাজার টাকা। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীরা এত দিন মাসে ১০ হাজার ৯০০ টাকা করে পেতেন। এখন থেকে তাঁরা পাবেন ৫০ হাজার ৯০০ টাকা। এ ছাড়া, রাজ্যে যে পূর্ণমন্ত্রীরা আছেন, তাঁদের বেতন ছিল ১১ হাজার টাকা। তাঁরা বেতন বাবদ এ বার থেকে ৫১ হাজার টাকা পাবেন।
রাজ্য চালু হতে চলেছে 'এক পরিবার, এক পরিচিতি'। অর্থাৎ একটা পরিবারের একটাই পরিচয় পত্র থাকবে। সেরকমই অন্য ধরনের আইডি তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সরকারি পরিষেবা পেতে যাতে অসুবিধা না হয়,সেজন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আসলে এই বিশেষ আইডি হবে তথ্যভাণ্ডার। যেমন আধার কার্ডে একজন ব্যক্তি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পাওয়া যায়, রাজ্যবাসীর জন্য তৈরি বিশেষ আইডিতে থাকবে গোটা একটা পরিবারের তথ্য। পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য, তাঁদের কে কোন সরকারি পরিষেবার সুবিধা পান ইত্যাদি বিষয়গুলি।
জানা গিয়েছে, যেসব পরিবার সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন, তাঁদেরই এই ইউনিক আইডি কার্ড দেবে রাজ্য সরকার। তবে, অন্যদেরও ফেরাবে না সরকার।
কী সুবিধা রয়েছে কার্ডের ?
এই কার্ড চালু হলে সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের আলাদা আলাদা নথি জমা দিতে হবে না। একটা কার্ডেই সব তথ্য থাকলে, আলাদা কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে না। এতে সময়ও বাঁচবে অনেকটা।
নিম্নচাপের জেরে টানা কয়েকদিন ধরে কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি (Rain) হয়ে চলেছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কমবে বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি হারিয়েছে। এরফলেই দক্ষিণের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। যদিও তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রারও বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৪-৫ দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে। মূলত বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে। সঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়বে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। বুধবার যা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি সেলয়িসায়। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৭০ শতাংশ।
এক বছরের ব্যবধানে ফের প্রাথমিক টেট হতে চলেছে। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই ফের টেট পরীক্ষা হতে পারে। পরীক্ষা নেবে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষা হয়। এনসিটিই গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রত্যেক বছর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা নিতে হবে। সেই অনুযায়ী ফের পরীক্ষা নিতে পারে পর্ষদ। তবে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও এগোয়নি। প্রায় দেড়় লক্ষ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এরই মধ্যে ফের টেট পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিতে পারে পর্ষদ।
সূত্রের খবর, আগামী ডিসেম্বরেই প্রাথমিক টেট হতে পারে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে রবিবার এই টেট পরীক্ষা হবে। জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে পর্ষদ।
পেটের দায়ে নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি। ঘটেছে কোনও না কোনও দুর্ঘটনা। যার জেরে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। এবারেও সেই একই ছবি ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
রাজমিস্ত্রির কাজে হায়দরাবাদ পাড়ি দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা দীপক সরদার। কিন্তু ফিরল নিথর দেহ। দীপক সরদারের মৃত্যুতে অভিযোগের আঙুল উঠেছে সহকর্মী ভাগ্য সরদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কাজ চলাকালীন তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন দু'জনে। যার জেরে দীপক সরদারের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করেন ভাগ্য সরদার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীপক সরদারের। জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদেই রুজু করা হয় মামলা। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ভাগ্য সরদারকে। বাড়িতে ওঠে কান্নার রোল, তার মধ্যেই দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে পরিবারের তরফে।
অন্যদিকে কেরলে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার খান সাহেব আবাদ এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, ৯ মাস আগে কেরলের তালেস্বরিতে সেনিটারিং-এর কাজে গিয়েছিলেন শেখ জামাল। অনেক উঁচুতে উঠে কাজ করতে গিয়ে পড়ে যান শেখ জামাল।
উল্লেখ্য, ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। আর কবে হবে এ রাজ্যে কর্মসংস্থান? কবে হবে শিল্পের বিকাশ? কবে হুঁশ ফিরবে রাজ্য সরকারের? সুদিনের অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।
প্রসূন গুপ্তঃ সারা ভারতের রাজনৈতিক অবস্থান বদলে বিজেপি বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই এক ছাতার তলায় এসেছে। যদিও এখনও লোকসভা ভোটের বিস্তর দেরি আছে, কিন্তু এর আগেও এ ধরনের জোট করতে গিয়ে অবশেষে ব্যর্থতাই এসেছিলো। এই জোটের আপাতত নাম " ইন্ডিয়া "। মঙ্গলবার দেশের ৭টি কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচন হয়ে গেলেও সর্বক্ষেত্রে জোট হয়নি। উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডে জোট যেমন হয়েছে, তেমন ত্রিপুরার দুটি কেন্দ্রে কংগ্রেস/সিপিএম জোট হলেও তিপ্রা মোথা জোটে যায়নি।
আবার উত্তরাখণ্ডে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস এবং এসপি প্রার্থী দিয়েছে এবং কেরালায় কংগ্রেসের অন্যতম বন্ধু সিপিএমের বিরুদ্ধেই লড়তে হচ্ছে রাহুলের দলকে। পশ্চিমবঙ্গে তো জোট আদপে কোনও দিন হবে বলে তো আশা রাখে না তিনটি দলই। সদ্য শেষ হওয়া ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেস। আসনটি জিততে মরিয়া তিন দলই। এবারে প্রশ্ন উঠছে যে, যেখানে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দ্রুত বাম অথবা কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা হোক নতুবা তারা পরিষ্কার বার্তা দিক, তা কি সম্ভব?
তৃণমূলের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে জোট হওয়া এক প্রকার অসম্ভব কারণ সিপিএম বিরোধিতা করেই ক্ষমতায় এসেছে তারা। এই একই মনোভাব সিপিএমের যদিও বামফ্রন্টের সকলেই তা মনে করে না তবুও সিপিএমে শূন্যে চলে যাওয়ার পরেও তারাই ফ্রন্টের প্রধান শক্তি। ধূপগুড়ি নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা করেছেন সম্পাদক সেলিম শুরু করে বাকি বাম নেতারা। পক্ষন্তরে তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেস অপেক্ষাকৃত অনেকটাই নরম।সিপিএমের বার্তা পরিষ্কার বাংলা বা কেরলে জোটের অন্য দলগুলির সঙ্গে আসন রফা করা কঠিন। অবিশ্যি এদের মুম্বই বৈঠকে ঠিক হয়েছে পারদপক্ষে চেষ্টা করতে হবে জোট করার নতুবা বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই।
কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য মনে করেন তিন দল এক হলে বিরোধী সমস্ত ভোট বিজেপি নিয়ে যাবে। শোনা গিয়েছে প্রদীপবাবুকে হয়তো ফের দলের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কোনও দায়িত্ব পাওয়ার আগেই যদি এই মনোভাব হয় তবে ভবিষ্যৎ কি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।