গ্রীষ্ম (Summer) হোক বা বর্ষা, যেকোনও পরিস্থিতিতেই ছেদ নেই বিনোদনে (Entertainment)। কিন্তু পর্দায় গা ভর্তি গয়না, বেনারসি শাড়ি পরিহিতা যে বিলাসী চরিত্রদের দেখা যায়, বাস্তবে শ্যুটিংয়ের (Shooting) অভিজ্ঞতা কিন্তু অন্যরকম। প্রত্যেক মাসের দ্বিতীয় রবিবার ছাড়া বাকি প্রত্যেকটি দিন ১৪ ঘন্টা শ্যুটিং করতে হয়। এই গরমের মধ্যে ফ্লোরে শক্তিশালী আলোর সামনে কাজ করতে হয় অভিনেতাদের। আবার প্রয়োজনে আউটডোর শ্যুটিংয়েও যেতে হয়। এই পরিস্থিতিতে অভিনেতাদের নিয়ে চিন্তিত 'ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স এন্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া'র সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। শ্যুটিং নিয়ে একাধিক নতুন নিয়ম তৈরী করতে চাইছেন তিনি।
স্বরূপ রায় জানিয়েছেন, এই গরমে শ্যুটিং করা, আউটডোর শ্যুট করা সত্যিই কষ্টের। তাই তিনি ইতিমধ্যেই প্রযোজক গিল্ড (ডব্লুএটিপি) এবং ইম্পা অর্থাৎ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স এসোসিয়েশকে আলোচনায় বসার জন্য মেইল করেছেন। তিনি আবেদন জানিয়েছেন, এই গরমে যেন আউটডোর শ্যুটিং বন্ধ রাখা যায়। একইসঙ্গে দুপুরবেলা শ্যুটিং বন্ধ রাখা হোক, এই আবেদনও জানিয়েছেন।
অন্যদিকে গরমে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন অভিনেতারা। শরীর ডিহাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমানে জল, ফল এবং ওআরএস জাতীয় পানীয় খাচ্ছেন তাঁরা। প্রত্যেকদিনের শ্যুটিংয়ে এই পরিবর্তন এলে, তাঁরা এই গরমে খানিকটা রেহাই পাবেন।
গরমে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহে (Heat) যখন-তখন শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে। যার জন্য মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। এই প্রখর রোদের তেজে সাধারণত মানুষদের হিট স্ট্রোকের (Heat Stroke) মত সমস্যা দেখা যায়। প্রচন্ড গরমের ফলে শরীর যখন খুব গরম হয়ে যায়, সেই অবস্থাকেই হিট স্ট্রোক বলা হয়। এই অবস্থায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি সঙ্গে সঙ্গে দেহের তাপমাত্রা না কমানো হলে বা তাঁর চিকিৎসা না করানো হলে তাঁর প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারে। সূত্রের খবর, গ্রীষ্মকাল (Summer) পড়তেই দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন হিট স্ট্রোকে।
তীব্র সূর্যালোকে থাকার ফলে মানুষের হিট স্ট্রোকের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় দেহের তাপমাত্রা প্রচন্ড বেড়ে যায়, বমি-বমি ভাব হয়, হার্ট রেট বেড়ে যায়, প্রচন্ড ঘাম হয়, এমনকি অজ্ঞানও হয়ে পড়েন মানুষ। এই সময় সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না করা হলে মৃত্যুও হয়ে যায়।
ফলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কীভাবে হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। সবসময় হাইড্রেটেড থাকতে হবে। সানস্ত্রিন ব্যবহার করতে হবে। তীব্র সূর্যালোকে হালকা রংয়ের ও ঢিলে ধরনের পোশাক পরতে হবে, সবসময় ছাতা ব্যবহার করতে হবে। সূর্যের প্রখর তেজ থেকে দূরে থাকাই ভালো, তবে যাদের বাইরে বেরোতেই হয়, তাঁদের এসব নিয়ম মেনে চলা উচিত।
গরমে হিমশিম খাচ্ছেন কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। নবাব কন্যা হয়েও সারা আলি খান (Sara Ali Khan) বাদ যাননি গরমের তাপ থেকে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আবহে থাকেন ঠিকই। তবু এই গরমে জলে গা এলাতে চাইলেন সারা। ঝাঁপ দিলেন জলে। অন্য কিছু নয়, এই গরম থেকে রেহাই পেতে নামলেন সুইমিং পুলের জলে। সবুজ সুইমিং পুলের জলে, হালকা বেগুনি রঙের বিকিনি পরে সাঁতার কাটছেন অভিনেত্রী। দেখে মনে হবে যেন মৎস-কন্যা।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সেই ভিডিও আপলোড করে সারা লিখেছেন, 'সাঁতার কাটা রৌদ্রজ্জ্বল ব্যাপার। বেঁচে থাকা খুব সুন্দর।' এদিকে সারা আলির সাঁতার সেশন দেখে নেটিজেনরা খুব খুশি। কেউ কেউ কমেন্ট করেছেন 'কিউটি'।
কল আছে জল নেই। প্রখর গরমে জল সংকটে (Water problem) ভুগছেন বাঁকুড়া (Bankura) এক নম্বর ব্লকের রুমারডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা। এখন বাঁকুড়ার তাপমাত্রার পারদ প্রায় ৪৪ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। অভিযোগ, বারংবার পঞ্চায়েতে জানানো হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
বেশ কয়েকটি পরিবারের বসবাস রয়েছে এই গ্রামে। এই গ্রামের বাড়ি বাড়ি কল থাকলেও জল কিন্তু নেই। পাঁচ ছয় দিন পর পর কলে আসে জল। এমনকি আধঘণ্টার বেশি জল পাওয়া যায় না। ফলে দূরদূরান্তু থেকে পানীয় জল আনতে হয়। কাঠফাটা রোদের মধ্য়েও এক-দুই কিমি পথ অতিক্রম করে জল আনতে হয়। গোটা এলাকায় একটি টিউবওয়েল রয়েছে, সেটিও আবার খারাপ। যার কারণে প্রখর গরমের মধ্য়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা গ্রামবাসীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই জলের সমস্যায় ভুগছেন। চার-পাঁচ দিন পর পর কলে জল আসে। এলাকার মানুষকে জল আনতে যেতে হয় কয়েক কিলোমিটার দূরে। বার বার ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, জলের ব্য়বস্থা করে দেওয়া হোক।
দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। আবহাওয়া (Weather) পরিবর্তনের জন্যে মানুষের মধ্যে যেমন শারীরিক অসুস্থাতা দেখা যাচ্ছে, তেমনি ত্বকের উপরেও এর প্রভাব পড়ে। সূর্যের প্রখর তেজে ট্যান তো পড়েই ত্বকে, এর পাশাপাশি দেখা যায় সানবার্ন (Sunburn)। সূর্যের আলোতে দীর্ঘক্ষণ থাকার ফলে সূর্যের ইউভি ও আইআর রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। ফলে ত্বক কালো হয়ে যায়, সেখানে জ্বালাও শুরু হয়, একেই সানবার্ন বলা হয়। অনেকেই এই বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও সানবার্নের প্রতি বিশেষ নজর রাখা উচিত কারণ এর ফলে ত্বকের ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ফলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কীভাবে এই সানবার্নের থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
সূর্যের মধ্যে বেশিক্ষণ না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হালকা রংয়ের জামা-কাপড়, ঢিলে ধরনের পোশাক, ফুল হাতার জামা পরতে বলেছেন যাতে সূর্যের সরাসারি তেজ ত্বকে না পড়ে। বেশি করে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বাইরে বেরোতে হলে প্রতি ৩ ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেশি করে জল খেয়ে শরীরকে হাইড্রেটেড করে তুলতে হবে। আবার অনেক বিশেষজ্ঞরা জলের পরিবর্তে লেবু জল, ডাবের জল, মিন্ট জল খাওয়ার নির্দেশ দেন। আবার শরীররে যে অংশে সানবার্ন হয়েছে, সেখানে বরফ লাগানোর পরামর্শও দেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।
গরমে একেবারে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় রবিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Temperature) ছিল ৪০ ডিগ্রির ওপরে। পশ্চিমের জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় তা ছিল ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই-ছুঁই। সোমবারেও পরিস্থিতি বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া (Weather) দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী পাঁচদিন হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের দিনের তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। সোমবার, মঙ্গলবার এবং বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের কোনও কোনও জায়গায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। যে কারণে এই দুই জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার মালদহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৪ এবং বালুরঘাটে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী পাঁচদিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির দিনের তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্র তাপপ্রবাহজনিত পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে জেলাগুলিতে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
পাশাপাশি হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪০ ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। রবিবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এপ্রিলের মাঝামাঝিতেই ভরা গরম দেশে। এই সময় টলিউড হোক কিংবা বলিউড, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য ছুটি কাটাতে যাওয়ার যথার্থ সময়। এই সময় বেশিরভাগ তারকা গরমের ছুটি কাটাতে উড়ে যান বিদেশে। শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুরও (Janhavi Kapoor) কাজের ফাঁকে গরমের ছুটি বিলাসে উড়ে গেলেন আজ,রবিবার। শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী স্বভাবত মিষ্টি। ওমন সুন্দরীর পিছনে দৌঁড়ে কূল কিনারা পান না পাপারাৎজিরা। আজ জাহ্নবীকে এয়ারপোর্টে ক্যামেরাবন্দি করলেন তাঁরা।
জাহ্নবীকে এয়ারপোর্টে সাদা ট্যাঙ্ক টপের সঙ্গে ওভারসাইজড স্যুট পরেছিলেন। তাঁর পিছু পিছু দেখা গিয়েছে শিখর পাহাড়িয়াকে। জাহ্নবী, শিখরের সঙ্গে প্রেম করছেন, এমন খবরে ছয়লাপ বলি-পাড়া। এয়ারপোর্টে আজ শিখরকে দেখা গিয়েছে নীল টিশার্ট ও সাদা ট্রাউজার্সের ক্যাজুয়াল লুকে। কিছুদিন আগেই তিরুপতি বালাজী মন্দিরে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল, জাহ্নবী কাপুর, খুশি কাপুর এবং শিখরকে।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার শিণ্ডের নাতি শিখর পাহাড়িয়া। দীর্ঘদিন একে অপরকে ডেট করেছিলেন জাহ্নবী এবং শিখর। ২০২২ সালে তাঁদের বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়েছিল। তবে শোনা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা আবারও পুরোনো তিক্ততা ভুলিয়ে সম্পর্কে যান। একাধিক পার্টিতেও একসঙ্গে দেখা যায় যুগলকে। কাজের ফাঁকে সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গেই বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে নিতে চাইছেন জাহ্নবী।
গ্রীষ্মের তাপে (Heat) যখন পুড়ছে বাংলা (Bengal), তখন সরকার বারবার করে সতর্কতা (Caution) জারি করেছে ঠান্ডা পান করুন। নিষ্প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বেরোবেন না। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবাই তেলে ভাজা অর্থাৎ ভাজাটাই এড়িয়ে চলছে। কিন্তু ব্যারাকপুরের চিত্রটা ঠিক উল্টো। তাহলে ব্যারাকপুরের চিত্রটি ঠিক কি?
শনিবারও রাজ্যের তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রীস্মের সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন ছিল গতকাল অর্থাৎ শনিবার। শনিবার বিকেলে ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দেখা গেল একটি ফুচকার দোকানে ভীষণ লাইন। গরমে যখন সাধারণ মানুষ তেলেভাজা এড়িয়ে চলছেন সেই সময় ওই ফুচকার দোকানে এত ভিড় দেখে অবাক হওয়ার জোড়। এই ভিড়ের আসল কারণ কি? এগিয়ে খোঁজ নিতে দেখা গেল, এই ফুচকার যে টক জল অর্থাৎ ফুচকার সঙ্গে যে টক জলটি দেওয়া হয় সেটিতে বরফ মেশানো, অর্থাৎ টক জলটি বেশ ঠান্ডা।
স্বাভাবিকভাবেই গ্রীষ্মকালীন বাজারে এই অভিনব উদ্যোগ মন কেড়েছে সকলেরই। ব্যারাকপুরের ওই ফুচকা দোকানীর নাম পবন শাউ। শনিবার পবন সিএন-ডিজিটালের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, ফুচকার ওই টক জলে বরফ দেওয়ার কোন বৈজ্ঞানিক কারণ অবশ্য নেই, কিন্তু এই তীব্র গরমে যখন সাধারণ মানুষ তেলেভাজা এড়িয়ে চলছেন, তখন এই বরফ মেশানো টক জলের কুচকায় অনীহা করছেন না কেউই। শনিবার তিনি আরও জানিয়েছেন, ঠান্ডা টক জলের ফলে বিক্রিও অনেকটা বেড়েছে। শনিবার বিকেলে ওখানে ফুচকা খাচ্ছিলেন সুদেষ্ণা চৌধুরী নামের এক তরুণী। তিনি জানান, গরমে কিছু খাওয়াই যাচ্ছে না, কিন্তু ফুচকার সঙ্গে এই ঠান্ডা টক জলের কম্বিনেশনটা দারুন। স্বাদও দারুন। পাশাপাশি ওখানে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছিলেন, বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি সুমন সেন, ব্যারাকপুরের বাসিন্দা সুমন শনিবার বলেন, 'ঠান্ডা টক জলের ফুচকা, বেশ দারুন লাগছে।'
প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ছে তাপমাত্রা (Temperature) পারদ। সকাল থেকেই রোদের দাপটে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া (Weather) শুকনো থাকবে। আগামী পাঁচদিন হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের দিনের তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) জেলাগুলিতে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির অনেকটা নিচেই রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর, জানিয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪০ ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। শনিবার এই তাপমাত্রা একই ছিল। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে তামিলনাড়ু পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা থাকায় প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাহে প্রবেশ করছে। যে কারণে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা শুক্রবারের তুলনায় এক থেকে দু ডিগ্রির মতো কম ছিল। তবে রবিবার ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বাতাসের সঙ্গে বইবে লু বলেও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: গরমকালে দুপুরের খাবারে লেবুর গন্ধে ভরা সুস্বাদু লেবু লঙ্কা মুরগি দিয়ে ভাত মেখে খাওয়ার মজাই আলাদা। নিজের হাতে এই পদটি রান্না করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে জমিয়ে খেয়ে সবার মন জয় করতে পারেন।
লেবু লঙ্কা মুরগি তৈরির পদ্ধতি--- পাঁচশো গ্রাম ড্রেসড চিকেনের সাতটা খণ্ড করে নিন। চিকেনের খণ্ডগুলো জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছে নিন। একটি পাত্রে চার টেবিল চামচ পেঁয়াজে রস, দুই টেবিল চামচ আদার রস, দুই টেবিল চামচ রসুনের রস, ভাতের হাতার দুই হাতা ফেটানো টকদই, দুটো গন্ধরাজ লেবুর রস, একটা পাতি লেবুর রস, আন্দাজমতো নুন, দুই চা চামচ ধনের গুঁড়ো, দুই চা চামচ কাচা লঙ্কা বাটা, দুই টেবিল চামচ সাদা তেল নিয়ে চামচের সাহায্যে নেড়ে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন।
এবার চিকেনের খণ্ডগুলো এই মিশ্রণের মধ্যে দিয়ে হাতের সাহায্যে চিকেনের খণ্ডগুলোর গায়ে মিশ্রণটা ভাল করে মাখিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো ফ্রিজে ঢুকিয়ে ঘন্টা দুয়েক রেখে দিন। ঘন্টা দুয়েক বাদে কড়া আঁচে বসিয়ে ভাতের হাতার এক হাতা দেশি ঘি গরম করে ছটা ছোট এলাচ ফোড়ন দিন। এবার ম্যারিনেট করা চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে ক্রমাগত নেড়ে কিছুক্ষণ কষান। আন্দাজমতো জল দিয়ে দশটা গন্ধরাজ লেবুর পাতা, আটটা চেরা কাচা লঙ্কা দিয়ে নিভু আঁচে মিনিট পাঁচেক রান্না করুন। এবার ওর মধ্যে ভাতের হাতার দুই হাতা ঘন টক দই, হাফ চা চামচ চিনি, আন্দাজমতো নুন দিয়ে খুন্তির সাহায্যে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে মিনিট দশেক রান্না করুন।
মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে দেবেন। চিকেন সম্পূর্ন সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ বাড়িয়ে অতিরিক্ত ঝোলটা টানিয়ে নিন। গা মাখা কাই-কাই হবে। আঁচ থেকে নামিয়ে রুটি, পরোটা বা ভাত সহযোগে পরিবেশন করুন।
স্কুলের পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে আনা হল গরমের ছুটি (Summer Vacation)। বুধবার স্কুলের গরমের ছুটি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্কুলের পড়ুয়াদের (School Student) কথা চিন্তাভাবনা করে এগোনো হয়েছে গরমের ছুটি। মে মাসের ২৪ তারিখে গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল, তা এগিয়ে ২রা মে করা হয়েছে। এমনকি স্কুলের শিক্ষক ও বাকি কর্মচারীদেরও গরমের ছুটি দেওয়া হবে। তবে এখন প্রয়োজন হলে পড়ুয়াদের বাড়তি ক্লাসও করানো হবে। এই বৈঠক থেকে আরও জানা যায়, রাজ্যের জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হলে, খুব তাড়াতাড়ি খুলে যেতে পারে স্কুল।
প্রবল গরমে নাজেহালজেলার মানুষজন। বৃস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরও জোড়ালোভাবে বাড়তে পারে, এমনটাই দাবি আবহাওয়া দফতরের। এমনকি কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বইতে পারে লু। তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। এমনকি আবহাওয়া নিয়ে প্রত্যেককেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
বৈশাখের আগেই সূর্যের তাপে পুড়ছে রাজ্যের মানুষ। এই তীব্র গরমে থেকে ছাড় পাননি কলকাতাবাসীও (Kolkata)। বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতায় তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি রয়েছে৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পয়লা বৈশাখের দিন কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে ভয়ঙ্কর গরম (Heat Wave) পড়বে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া (Weather) বজায় রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া সূত্রে খবর, শুক্রবার ও শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাগুলিতে তাপচপ্রবাহের সতর্কতা এবং পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি রয়েছে। এই দুই দিন প্রবল তাপপ্রবাহ চলবে। যারকারণে এই গরমে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষজন। সেই কারণে বয়স্ক এবং শিশুদের সকাল ১১টা থেকে বেলা ৪ টে পর্যন্ত খুব জরুরী দরকার ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করা হচ্ছে।
এই তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৈশাখের শুরুতে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। এমনকি আগামী পাঁচদিন বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। বৃহস্পতিবার, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় লু-বইতে পারে। তাপমাত্রা ক্রমশ আরও বাড়বে। আবহাওয়া নিয়ে প্রত্যেকেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
হাঁসফাঁস গরম থেকে এবার রেহাই। সূর্যের (Sun) দাপটে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য়। এই তীব্র গরম (Summer) থেকে মুক্তি পেতে বর্ষার পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। এপ্রিল থেকেই গরমে নাজেহাল মানুষ। বেলা যত বাড়ছে সূর্যের তাপও ঠিক ততটাই বেড়ে চলেছে। এই কাঠফাটা রোদে টিকে থাকা দায়। দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহের (heat Wave) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অস্বস্তিকর গরমে বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে সকলে। এবার বর্ষার খবর জানাল মৌসম ভবন।
মঙ্গলবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে। পশ্চিমবঙ্গেও কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে বর্ষার পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। দেশে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় জুন মাস। তার আগেই বর্ষা নিয়ে পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। বর্ষার বৃষ্টির উপর অনেকটা নির্ভর করে থাকেন কৃষকরা। ফলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা।
নববর্ষের আগেই হাঁসফাঁস করা গরম (Summer)। নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। বেলা যত বাড়ছে, গরম যেন ততটাই বাড়ছে। বিকেলের দিকে গরমের তাপ কিছুটা কমলেও, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কিন্তু বজায় থাকছে। আবহাওয়া (Weather) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Temperature) থাকবে ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে প্রায় ৭৮ শতাংশ থেকে ৮৫ শতাংশ।
পাশাপাশি, আপাতত কালবৈশাখী বা বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আকাশ একদম পরিষ্কার থাকবে দিন-চারেক। শহর কলকাতার মানুষকে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী দিন পাঁচেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গিয়েছে।
তাপমাত্রার (Temperature) পারদ যেন চড়চড় করে বেড়ে চলেছে। রোদের তেজে একেবারে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। দহনে পুড়ছে (Weather) শহর কলকাতাও (Kolkata)। এপ্রিল মাসেই রেকর্ড গরম। পরিসংখ্যান বলছে, সাত বছরের মধ্যে উষ্মতম এপ্রিল মাস অনুভব করতে চলেছেন কলকাতাবাসী। ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছবে কলকাতা ও আশেপাশে এলাকার তাপমাত্রা বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। পাশাপাশি তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যজুড়ে। তাপপ্রবাহ হতে পারে কলকাতায়ও। বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস আপাতত নেই।
মে মাস পড়েনি এখনও এপ্রিল মাসেই গ্রীষ্মের দহন জানান দিতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৩৭ ডিগ্রি পার করে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়বে কলকাতা শহরে এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। চার থেকে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গরমের দাপট কলকাতা শহরে যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে জেলাগুলিতেও। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তো বৈশাখের দহনের মত পরিস্থিতি রয়েছে। ১৫ এপ্রিলের পর থেকে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এপ্রিলের ১১ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে ১৫ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, আসানসোল, বোলপুর, মুর্শিদাবাদের তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪০ ডিগ্রির কাছে পৌঁছে গিয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই সেখানেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী চার-পাঁচদিন উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি বাড়বে। বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ হতে পারে। যেমন মালদহ, জলপাইগুড়ি দুই দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পাহাড়ের দুই জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।