Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

SSC

Babita: অঙ্কিতার চাকরি দাবিদার কে? এবার ববিতার বিরুদ্ধে নম্বর বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ

আইনি লড়াই (SSC case) শেষে পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary) তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে (Ankita Adhikary) হটিয়ে সম্প্রতি চাকরি পেয়েছেন ববিতা সরকার। শুরুতে সব ঠিকঠাক থাকলেও ফের একবার সংবাদ শিরোনামে ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। প্রশ্ন উঠছে ববিতা সরকারের আবেদনের বৈধতা নিয়ে। অভিযোগ, তাঁর নাকি দুই নম্বর নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। যদিও ববিতার সাফাই, 'আমাদের নম্বর এসএসসি প্রকাশ করেনি। আমি র‍্যাঙ্ক জানতাম। ওয়েটিং লিস্টের র‍্যাঙ্ক জানতাম। সেই র‍্যাঙ্ক বদল নিয়ে আমি আইনি লড়াই চালিয়েছি। কোনও সদুত্তর না পেয়ে আইনি পথে লড়াই চালাই।'

তাঁর দাবি, 'তিনি আবেদনের সময় সঠিক তথ্যই পেশ করেছিলেন। তাঁর তরফে কোনও ভুল নেই। সেক্ষেত্রে ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি। আদালতের যা নির্দেশ হবে তা শিরোধার্য। কিন্তু অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।' চাকরি চলে গেলেও তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন। এমনটাই জানিয়েছেন ববিতা সরকার।

এদিকে ববিতা সরকারের আবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই আরও এক চাকরিপ্রার্থী নিজেকে ওই পদের দাবিদার হিসেবে প্রকাশ্যে এসেছেন। তাঁর নাম অনামিকা রায়। শহর শিলিগুড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুধমোড় এলাকার বাসিন্দা অনামিকা। তাঁর কথায়, 'দু'নম্বর কমে যাওয়া মানে মেরিট লিস্টের অনেক পিছনে চলে যাওয়া। তাতে এই পদের পরবর্তী দাবিদার আমি। কীভাবে এই ভুল হয়েছে বা ভুল এড়িয়ে গিয়েছে জানি না। যখন বিষয়টি সামনে এসেছে, তখন আমার প্রাপ্য চাকরিটা আমাকে দেওয়া হোক। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আইনি পথে যাবো।' জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শেষে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ কলেজ অফ এডুকেশন থেকে বিএড করেন অনামিকা। বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন তিনি।

অপরদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, চাকরি দেওয়ার সময় এলিজিবিলিটি মিলিয়ে নেওয়া হয়। ইন্টারভিউ ও তার আগে ভেরিফিকেশন হয় ২ বার। এখন আমরা নিজে থেকে কোনও পদক্ষেপ করবো না। আদালতে মামলা হলে দেখা হবে। যখন উনি চাকরি পান তখন সার্ভার রুম বন্ধ ছিল। তখন মেলানোর উপায় ছিল না। এখন আদালত নির্দেশ দিলে দেখবে এসএসসি। ববিতা তথ্য আপলোড ঠিক করে থাকলে যদি এসএসসির তরফ থেকে ভুল হয় সেটাও দেখতে হবে। তথ্য আদালত তলব করলে এসএসসি দেবে তখন।

one year ago
CBI: হাইকোর্ট অসন্তোষ দেখাতেই আলিপুর আদালতে সুবীরেশ, গেলেন ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে

গ্রুপ সি মামলায় (Group C Case) তদন্তের স্বার্থে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতে (CBI Custody) স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ২২ তারিখ ফের তাঁকে তুলতে হবে আলিপুর আদালতে। শনিবার এই মর্মে নির্দেশ দেন আলিপুর বিশেষ আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন শুনানিতে আদালতকে সিবিআই জানায়, 'এই মামলায় চার্জশিট পেশ হয়েছে। কিন্তু তদন্ত যে গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে এসেছে, তার থেকে এই মামলায় সুবীরেশের (Subiresh Bhattacharya) যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই সব নথি সামনে রেখে তাঁকে জেরার প্রয়োজন রয়েছে।'

যদিও সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা করেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আইনজীবী। তিনি জানান, 'আমার মক্কেলকে আবার জেরার কথা বলছে সিবিআই। আমার মক্কেল কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন। আগামী ২২ ডিসেম্বর শুনানি। তার মধ্যে আবার সিবিআই হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছে হাইকোর্টে। আমার মক্কেল তদন্তে সহযোগিতা করছে, তারপরেও কেন আবার হেফাজতে চায় সিবিআই?'

এদিকে, সুবীরেশের হাজিরা নিয়ে সম্প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁকে আলিপুর আদালতে হাজিরার জন্য ১০ দিন সময় দিয়েছিলেন বিচারক। সেই বিচারকের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার সিবিআই অবশ্য উচ্চ আদালতকে জানিয়েছে, শনিবার এসএসসি-র প্রাক্তন কর্তাকে আদালতে হাজির করানো হবে। সেই মোতাবেক এদিন প্রাক্তন শিক্ষাকর্তাকে আলিপুর বিশেষ আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সুবীরেশের হেফাজত পেল কেন্দ্রীয় সংস্থা।

one year ago
Bail: জামিন চেয়ে হাইকোর্টে প্রাক্তন এসএসসি কর্তা সুবীরেশ!'ছাড়া পেলেই প্রমাণ নষ্ট', পাল্টা সিবিআই

এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Case) সিবিআইয়ের হাতে ধৃত সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya) জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ। নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন (Bail Plea)। এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামি ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তলব হাইকোর্টের। এদিন জামিন মামলার শুনানিতে এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী সওয়ালে বলেন, '৮৮ দিন হয়ে গিয়েছে আমার মক্কেল জেলে। এখন তদন্তও শেষ। তদন্ত চলাকালীন জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে আমার মক্কেল, তাঁর অবগতির মধ্যে থাকা সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। অর্থাৎ তদন্তে সাহায্য করছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য।'

এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যানের তরফে তাঁর আইনজীবীর দাবি, 'শারীরিকভাবে অসুস্থ তাঁর মক্কেল এবং দীর্ঘদিন জেলে থাকায় তাঁর সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষয় হচ্ছে। তাই সুবীরেশ ভট্টাচার্য আদালতের কাছে জামিন চেয়ে আবেদন করছেন। যেহেতু চার্জশিট দাখিল হয়েছে আর তদন্তের প্রয়োজন নেই। আর তদন্তের প্রয়োজন হলেও, জামিনের পর কোনও অসুবিধার হওয়ার কথা নয়। তাই আমার মক্কেলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করুক মহামান্য আদালত।'

তবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের এই জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা জানায়, 'কোনওভাবেই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জামিন দেওয়া যাবে না। কারণ এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। তাঁর কাছে এমন কিছু তথ্য রয়েছে, সেই তথ্য সূত্র ধরে এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডের মূল কাঠামোর কাছে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব।'  সিবিআইয়ের যুক্তি, 'এই মুহূর্তে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জামিন দিলে প্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনা আছে।' এরপরেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ২০ ডিসেম্বর অবধি এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি কী, ২১ ডিসেম্বর রিপোর্ট দাখিল করে জানাবে সিবিআই। এরপরেই সুবীরেশ ভট্টাচার্যর জামিন ভাগ্য স্থির হবে আদালতে, এমনটাই সূত্রের খবর।

one year ago


Partha: ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই পার্থ, 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী?', জানতে চান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী

বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী? সোমবার কোর্টে সিবিআইয়ের (CBI) উদ্দেশে প্রশ্ন করেন নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC SCam) জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এদিন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী জানান, 'সিবিআই শুধু দুটি কথা জানে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আর প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই দুটো তথ্যের বাইরে নতুন কিছু কোর্টকে দিতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা? বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী, কীভাবে কার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন আমার মক্কেল, সেটা জানাক সিবিআই।' দাবি করা আর কেস ডায়রিতে দুটো কথা লিখে একজনকে জেলবন্দি করে রাখার জন্য পর্যাপ্ত নয়। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। এদিকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই (Jail Custody) থাকতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

এদিন জামিন মামলার শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর সওয়াল, 'দিনের পর দিন একই কথা সিবিআই বলে চলেছে। শুধু হেফাজতে রাখতে হবে, তাই ওরা হেফাজত চাইছে। পার্থবাবুও প্রশ্ন করেন বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে আমার অবস্থান কোথায়? প্রতিদিন একই কথা শুনছি। আমি তো জেলে আছি।' এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।

মন্ত্রীর আইনজীবীর দাবি, 'এদিন সিবিআইয়ের কাছে মাননীয় বিচারক প্রশ্ন করেছেন, যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের গ্রেফতার কেন করছেন না? বৃত্তটা কীভাবে সম্পূর্ণ করবেন? যদিও এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা।'  জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত ৭ জনকেই ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।


one year ago
SSC: ওএমআর নিয়ে গুচ্ছ অভিযোগ, স্বচ্ছতা রাখতে প্রাথমিকের দেখানো পথেই হাঁটবে এসএসসি

পাঁচ বছর পর, ১১ ডিসেম্বর রবিবার টেট (TET 2022) পরীক্ষা আয়োজিত হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। বহু প্রতীক্ষিত এই পরীক্ষার জন্য সাজোসাজো রব ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Board) কন্ট্রোল রুমে। ব্যাপক কড়াকড়ির আশ্রয় নিয়েছিল পর্ষদ।  এমনকি, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন এনেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের কাজে খুশি শিক্ষা দফতর। এবার তাই প্রাথমিকের দেখানো পথেই হাঁটতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি (SSC)। এসএসসি-র নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিট নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। আদালতে খালি ওএমআর শিট দিয়ে চাকরি পাওয়ার তথ্যও জমা পড়েছে। সেই অভিযোগ যাতে আর না উঠে আসে, তাই প্রাথমিকের পথেই হাঁটবে এসএসসি। আগামী এসএসসির নিয়োগ পরীক্ষায় দেওয়া হবে ডুপ্লিকেট ওএমআর শিট।

এদিকে, রবিবার আয়োজিত পরীক্ষায় প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী বসেছিলেন। প্রশাসনিক তরফে ছিল পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এবং আয়োজন। ছুটির দিনেও রাস্তায় ছিল প্রচুর বাস, চলেছে অতিরিক্ত ট্রেন এবং খোলা ছিল ফেরি ঘাট। তবুও অব্যবস্থার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ কলকাতার এক স্কুলে তো পরীক্ষা শেষে চলেছে বিক্ষোভ। নেপথ্যে বায়োমেট্রিক বিকল থাকা।

পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, 'তাঁদের বায়মেট্রিক না হওয়ায়, পরীক্ষা দিয়েও হয়তো অনুপস্থিত হয়ে যাবেন।' এই ধরনের অভিযোগকে সঙ্গী করেই ১১ ডিসেম্বর 'সুষ্ঠুভাবে' সম্পন্ন রাজ্যের টেট। এমনটাই ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।

one year ago


TMC: 'তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না', ফের পার্থর মুখে দলের গুণগান, আবার আদালতে পেশ

১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে সোমবার ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আদালতে হাজির করা হয়েছে। এদিন পুলিসের গাড়ি থেকে নেমে কোর্টে (Court) ঢোকার মুখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রতি আত্মবিশ্বাস প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গলায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর হুমকি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, তৃণমূলের (TMC) কেউ কোনওদিন ক্ষতি করতে পারবে না।' সপাট এই মন্তব্য করেই আদালতে ঢুকে যান রাজ্যের শাসক দলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ড। জানা গিয়েছে, সোমবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষ পার্থ-সহ মোট সাতজনকে নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডে পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। এই সাতজনের মধ্যে রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Case) গ্রেফতার হওয়া দুই মিডলম্যানও।

এদিকে, সপ্তাহ দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি আদালতে দাবি করেছে 'বিভিন্ন প্রাইভেট ল’ কলেজ ও বি-ফার্ম কলেজ খোলার ক্ষেত্রে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অর্থের বিনিময়ে প্রদান করা হয়েছে। আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।' 

one year ago
Restaurant: বেজিং রেস্তোরাঁর চিলি গারলিক চিকেন ও মিক্সড চাউমিন এবার বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতার চায়না টাউনের বেজিং রেস্তোরাঁর চিনে খাবারের খ্যাতি সারা ভারতব্যাপী। বেজিং ভারতবর্ষের বিখ্যাত চাইনিজ রেস্তোরাঁগুলির অন্যতম। বেজিংয়ের কর্ণধার কাম শেফ মণিকা লিউয়ের হাতের তৈরি চাইনিজ খাবারগুলি স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। মণিকা লিউ পাঠকদের জন্য বেজিংয়ের বিখ্যাত দুটি পদের রেসিপি জানিয়েছেন।

চিলি গারলিক চিকেন তৈরির পদ্ধতি--- পাঁচশো গ্রাম বোনলেস চিকেন (লেগ ও ব্রেস্ট মিলিয়ে) খণ্ড-খণ্ড করে কেটে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। একটি পাত্রে চিকেনের খণ্ডগুলো রেখে ওর মধ্যে এক চা চামচ সোয়া সস, এক টেবিল চামচ অ্যারারুট, হাফ চা চামচ চিনি, আন্দাজমতো নুন, এক চা চামচ ময়দা ও একটা ডিমের গোলা দিয়ে হাতের সাহায্যে নেড়ে খুব ভাল করে মেশান। সব উপকরণের মিশ্রণটা চিকেনের খণ্ডগুলোর গায়ে ভাল করে মাখুন। মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো পনেরো মিনিট আলাদা করে রাখুন।

পনেরো মিনিট বাদে কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে হালকা বাদামী করে ভাজুন। হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে নিয়ে আলাদা করুন। অন্য একটি কড়াতে দুই টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে দেড় টেবিল চামচ রসুন কিমা দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে ভাজুন। এবার ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ কাচা লঙ্কা কুচি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভাজুন।

এক চা চামচ সোয়া সস ও হাফ কাপ জল দিয়ে নেড়ে মেশান। হাফ চা চামচ চিনি ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে ভাজা চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে নেড়ে ভাল করে মেশান। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মিক্সড চাউমিন তৈরির পদ্ধতি--- দেড়শো গ্রাম চাউমিন সিদ্ধ করে জল ঝরিয়ে আলাদা করে রেখে ঠাণ্ডা করুন। কড়া আঁচে বসিয়ে তিন টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে একটা ডিম ফাটিয়ে ওর মধ্যে দিয়ে ভেজে তুলে আলাদা করে রাখুন। ডিম ভেজে তুলে নেওয়ার পরে খোসা ও শিরা বাদ দেওয়া একশো গ্রাম চিংড়ি মাছ কড়াতে দিয়ে ভাল করে ভাজুন।


ভাজা হয়ে গেলে একশো গ্রাম বোনলেস চিকেন কুচি দিয়ে নেড়ে ভাল করে ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে ওর মধ্যে এক মুঠো পিঁয়াজের স্লাইস দিয়ে নেড়ে ভেজে নিন। এবার সরু লম্বা লম্বা করে কাটা এক মুঠো গাজর দিয়ে নেড়ে ভাজুন। আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার বড় বড় করে কাটা এক মুঠো রসুন গাছের পাতা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভাজুন। এবার দেড়শো গ্রাম সিদ্ধ করা নুডলস দিয়ে ও এক চা চামচ সোয়া সস দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। হাফ চা চামচ চিনি ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।

সব শেষে ভেজে রাখা ডিমটা দিয়ে খুন্তির সাহায্যে কেটে খণ্ড-খণ্ড কাটেন। এবার নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামান। প্লেটে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।

one year ago
SSC: 'পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিতবে', কোর্টের পথে দাবি পার্থর, প্রাক্তন মন্ত্রী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই

ফের একবার জামিনের আবেদন খারিজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ফলে আলিপুর কোর্টের নির্দেশে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। ১২ ডিসেম্বর অবধি জেলেই থাকছেন পার্থ, সুবীরেশ-সহ এসএসসি-কাণ্ডে ধৃত ৭ জন। যদিও সোমবারও এসএসসি-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আলিপুর কোর্টের বিচারক।

আলিপুর আদালতের সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে প্রশ্ন, ধৃতদের জামিন দিলে আপনার অসুবিধা হবে কি? তদন্ত এখনও শেষ হল না কেন? একটা ভুল গ্রেফতারি হলে তার দায়ভার কে নেবে? যদিও সোমবার অসুস্থতার যুক্তি দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আইনজীবী বলেন, 'আমার মক্কেলের নাম এফআইআর-এ নেই। সন্দেহভাজন হিসেবে নাম নেই। তাও আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৭৫ দিন পরেও এফআইআর-এ নাম নেই, এখন কোন অবস্থায় রয়েছে এই তদন্ত?'

যদি এসপি সিনহা কিছু করে থাকে সেটা তার ব্যাপার। ট্রায়াল ফেস করার জন্য জামিন চাইছি। এই আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ হতে সেটা আমার মক্কেলের দায় নয়। সিবিআই কল্পনার জগতে বাস করছে।

এদিকে, সোমবার জেল থেকে কোর্টে যাওয়ার পথে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। রাজ্যের শাসক দলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ডের জবাব, 'তৃণমূল জিতবে তৃণমূল।'

one year ago


Court: বেআইনি আবেদনপত্র মামলায় শিক্ষা সচিবের মুখে ব্রাত্য বসুর নাম, কী বললেন তিনি?

তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রতীক ও দল হিসেবে তাদের অনুমোদন প্রত্যাহারের ইচ্ছাপ্রকাশ, নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) এই বিষয়ে জানানোর ভাবনা পর্যবেক্ষণের সুরে করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেনামী আবেদনপত্র মামলায় শুক্রবার কোর্ট নির্দেশে হাজিরা দেন শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরেই পর্যবেক্ষণের সুরে এই মন্তব্য বিচারপতির (Justice Ganguly)। তিনি জানান, 'হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই, না হলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। কিছু দালাল যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত, তাঁরা আদালতের (Calcutta High Court) নামে যা ইচ্ছা বলছেন। বলছেন যে নিয়োগ হলেই আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছে। আদালত কি এগরোল নাকি যে আসলেই স্থগিতাদেশ পেয়ে যাবে?' ক্ষোভের সুরে এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও এদিন এজলাসে তিনি জানান, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এসেছে। আমি মানি, তাই আমি এই মামলায় কোনো নির্দেশ দিতে পারছি না। আজকের কোনও রেকর্ড আমি রাখতে পারবো না। 

তবে এদিন এজলাসে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে বেনামী আবেদনপত্র মামলায় অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ বা সুপার নিউমেরিক পোস্ট সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রশ্ন করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, 'আপনি কি জানেন যে কমিশনের আইন অনুযায়ী কোন বেআইনি নিয়োগ করা যায় না?' শিক্ষা সচিব জানান, 'হ্যাঁ।' তারপরেই আদালতের প্রশ্ন, 'তাহলে অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল?' জবাবে শিক্ষা সচিব জানান, উপযুক্ত স্তর থেকে নির্দেশ এসেছিল। ব্রাত্য বসুর নির্দেশ এসেছিল। তিনি আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিল। আমাদের আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের  সঙ্গে কথা হয়েছিল। আইন দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে, ক্যাবিনেটে নোট পাঠানো হয়েছে।' পাল্টা বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'অবৈধদের নিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা?' 


শিক্ষা সচিবের তরফে জবাব আসে 'না'। বিচারপতির প্রশ্ন, 'আপনার কি মনে হয় না যে অবৈধদের বাঁচানোর জন্য এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোন সিদ্ধান্ত হয়েছিল?' এই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা সচিব জানান, 'আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।' এরপরেই বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতির প্রশ্ন, 'আমি বিস্মিত যে কীভাবে ক্যাবিনেটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? যেখানে আইনের কোন সংস্থান নেই। আপনি কী মনে করেন যে অবৈধদের চাকরি বাঁচানো দরকার?' জবাবে শিক্ষা সচিব জানান, 'না'।

এরপরেই আদালতের প্রশ্ন, 'কোন ক্যাবিনেটে এই সিদ্ধান্ত হয়?' মণীশ জৈন উত্তরে জানান, আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।' বিচারপতির প্রশ্ন, 'এটা কোনও রাজ্যের নীতি হতে পারে? আবার বলা হচ্ছে যে কারও চাকরি যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে আবেদন দাখিল করার কোন লিখিত নির্দেশিকা নেই। অতিরিক্ত প্রায় ২৬২ কোটি টাকা কেন প্রতি বছর ব্যয় করা হবে এই অযোগ্যদের জন্য।' জবাবে শিক্ষা সচিব বলেন, 'আমরা অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গেও এবিষয়ে কথা বলেছি।' 

এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, 'আপনার কি মনে হয় না যে ক্যাবিনেট এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংবিধানবিরোধী কাজ করেছে? ক্যাবিনেটের সদস্যরা সই করলেন? কেউ তাঁদের সতর্ক করলেন না?' মণীশ জৈন জবাবে বলেন, 'আমি সেখানে ছিলাম না।' এরপরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতির পর্যবেক্ষণের সুরে বার্তা, 'হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই, না হলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। ক্যাবিনেটকে বলতে হবে অযোগ্যদের পাশে তারা নেই।

১৯ মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। না-হলে এমন পদক্ষেপ করা হবে যা গোটা দেশ কখনও দেখেনি। আমি ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেব। সবাইকে এসে উত্তর দিতে হবে। শোকজ করতে পারি।' তাঁর মন্তব্য, বিধানসভার দলনেতা হন মুখ্যমন্ত্রী, আর লোকসভায় দলনেতা প্রধানমন্ত্রী। আমি ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য, দল হিসাবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব নির্বাচন কমিশনকে। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায় না।' 

ইতিমধ্যে বেআইনি আবেদনপত্র মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য এবং এসএসসি। হাইকোর্টের ২৩ নভেম্বরের নির্দেশের উপর তিন সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য এবং এসএসসির মামলা দায়ের প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী জানান, দেশের প্রধান বিচারপতির এজলাসে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলা শোনার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তিনি গুরুত্ব বুঝে তিন সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে এবং আগামি শুনানির দিন ধার্য করেছেন। সেই মোতাবেক কলকাতা হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে। ২৩ নভেম্বর সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্ত নিয়ে এসএসসির আবেদন সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিল, পুরো বিষয়টা স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

one year ago
SSC: বেনামী আবেদনপত্র মামলা, সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

সুপার নিউমেরিক পোস্ট (Super Neumeric Post) বা  (Calcutta High Court) অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত বেনামী আবেদনের মামলায় ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল রাজ্য (Bengal Government) এবং এসএসসি (SSC)। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চের  (Calcutta High Court)। বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন, অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত বেনামী আবেদনের পিছনে কারা? কাদের নির্দেশে এই শূন্যপদ তৈরি তদন্ত করবে সিবিআই। পাশাপাশি এদিন ডেকে পাঠানো হয়েছিল শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চের রায় এই রায় বহাল রাখলো ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিনের শুনানিতে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর যে কীভাবে কমিশন অবৈধদের চাকরি দেওয়ার এরকম একটা আবেদন করল? কীভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদে অযোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে পূরন করার আবেদন আদালতের করা হল? একজন সচিবকে তলবের নির্দেশকে কীভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায়।' এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সুপার নিউমেরিক পোস্ট নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি। এভাবে বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়ার পথ তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার শিক্ষা সচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, 'কার নির্দেশে এই পদ তৈরি করে চাকরি দেওয়া হচ্ছে? এই পদ তৈরি কার মস্তিষ্ক প্রসূত?' বুধবার সচিব এসে বলে গিয়েছে সব দায়ভার কমিশনের। যদিও এই জবাবে সন্তুষ্ট নয় আদালত। কার অঙ্গুলিহেলনে এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি, সেটা জানতে এদিন ডাক পড়েছিল শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের। পাশাপাশি এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির পিছনে কার মাথা, জানতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

এরপরেই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির পর আপাতত রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। এমনকি এই পোস্ট তৈরি করা নিয়ে প্রশাসনিক ত্রুটি আদালতে স্বীকার করেছে কমিশন। তবে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য এবং কমিশন আবেদন করায় এদিন আর এই মামলার শুনানি হয়নি সিঙ্গল বেঞ্চে।

one year ago


Court: অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির পিছনে কার স্বার্থ, তদন্ত করবে সিবিআই: হাইকোর্ট

সুপার নিউমেরিক (Super Neumeric Post) বা শূন্যপদে অবৈধদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তোপের মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি (SSC)। বুধবার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly) ফের একবার নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। বিচারপতি জানান, 'অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির পিছনে কার স্বার্থ আছে? তদন্ত করবে সিবিআই। কার নির্দেশে বেআইনি চাকরি পাওয়া ব্যক্তি, যাদের আদালত বরখাস্ত করেছে তাদের চাকরি দিতে এই পদ তৈরির আবেদন করা হয়েছে। তার তদন্ত করবে সিবিআই। ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই।'

এদিকে, এদিনের শুনানিতে সুপারনিউমেরিক পোস্টের নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার এসএসসি-র। বিচারপতির মন্তব্য, 'কমিশনের এই আবেদন পত্র জোরপূর্বক লেখা। 

নামকরা নেতা, মুখপাত্র, দালাল; এরা বলছে কারও চাকরি যাবে না তারাই জোরপূর্বক পর্ষদকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে, এটা আমার বিশ্বাস।' তিনি জানান, এসএসসি নির্লজ্জ ভাবে আবেদন করে বেআইনিভাবে চাকরি বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এই আবেদনে ভয়ঙ্কর প্রবণতা। এটা বেনামী আবেদন। এসএসসি-কে সামনে রেখে পিছনে কেউ আছে যে এটা করাচ্ছে। মেইন খেলোয়াড়রা পিছনে আছে। এই ড্রাফট ভুলে ভরা। এটা অঙ্ক কষে করা হয়েছে।

বুধবার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, 'আবেদনের বয়ানে যা রয়েছে, শিক্ষামন্ত্রীর গলায়ও একই সুর শোনা গিয়েছে। অতিরিক্ত পদ তৈরি করার ক্ষমতাই রাজ্যের নেই। শিক্ষামন্ত্রী যদি আদালতে আসতে চান, তাঁকে স্বাগত। কোনও দালাল আসতে চাইলে, তাঁকেও স্বাগত।' 

এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, 'এসএসসি-র করা চারটি আবেদন প্রেক্ষিতে কমিশনের বক্তব্য শোনেন বিচারপতি। কমিশন জানিয়েছে, যারা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছে তাঁদের চাকরি বাঁচাতে আর যোগ্যদের চাকরি দিতে এই শূন্যপদ তৈরি। এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতির মনে হয়েছে এই আবেদনগুলো বেআইনি। কাদের মদতে বা কার মস্তিষ্কপ্রসূত এই আবেদন, বের করবে সিবিআই।'

one year ago
SIT: এসএসসি গ্রুপ ডি মামলা, সিবিআই সিটের মাথায় অশ্বিন সেনভিকে বসালো হাইকোর্ট

এসএসসি গ্রুপ ডি (SSC Group D) মামলায় সিবিআই সিটে রদবদল আগেই হয়ছে। কিন্তু এই সিটের প্রধান করা হয়েছিল অখিলেশ সিংকে। তাঁকে আর সিবিআইতে পাওয়া যাবে না। তিনি অসম ক্যাডারে ফিরে গিয়েছেন। তিনি কোনওভাবে সিবিআইয়ের সঙ্গে আর যুক্ত নয়। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই তথ্য জানিয়েছিলেন সিবিআই আইনজীবী। এরপরেই সিবিআই সিটের (CBI SIT) মাথায় বসানো হল ডিআইজি সিবিআই অশ্বিন সেনভিকে, তিনি এখন চণ্ডীগড়ে ডিআইজি-এসইবি সিবিআই পদে কর্মরত। এদিন শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে অখিলেশ সিংয়ের বিকল্প হিসেবে ডিআইজি পদমর্যাদার তিন আধিকারিকের নাম দেওয়া হয়। এই তিন জন হলেন-- সুধাংশু খারে(কলকাতা), মাইকেল রাজ (ঝাড়খণ্ড), অশ্বিন সেনভি (চণ্ডীগড়)।

এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে ফিরিয়ে আনা যায়? তিনি বর্তমানে সিবিআই অ্যাকাডেমিতে কর্মরত। শ্রীবাস্তব আইজি পদমর্যাদার অধিকারিক।সিবিআই জানায় এ ব্যাপারে তথ্য জানাতে সময় লাগবে। তারপরই বিচারপতির মন্তব্য, আমি তদন্তে সময় নষ্ট করতে রাজি নই। আমি অশ্বিন সেনভি, যিনি বর্তমানে চণ্ডীগড়ে সিবিআইতে কর্মরত তাঁকে সিটের প্রধান হিসাবে নির্বাচিত করছি। 

তিনি সাত দিনের মধ্যে তদন্তভার গ্রহণ করবেন। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাকে বদলি করা যাবে না। ২৪ নভেম্বর দুপুর দুটো নাগাদ এই মামলার পরবর্তী শুনানি। জানা গিয়েছে, নবম-দ্বাদশ শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের যে সিট, তাকেই নেতৃত্ব দেবেন সেনভি।


one year ago
FIFA: সাবধান! কাতার মহিলাদের খোলামেলা পোশাক পরলেই বিপদ, আর প্রকাশ্যে চুমু নৈব নৈব চ

এবার বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক সংস্থা কাতার (Qatar World Cup)। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশে নাগরিক নিয়ম বড় বালাই। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য, এবং সঙ্গী পুরুষ থাকলে প্রশাসনের কড়া নজরদারি চলে নাগরিকদের উপর। সেই নিয়মের বেড়াজালে পড়তে চলেছেন বিশ্বকাপ দেখতে আসা বিদেশী পর্যটকরাও (Foreign Tourist)। আন্তর্জাতিক এক সংবাদ মাধ্যম বিশ্বকাপ (World Cup 2022) আয়োজক কমিটির এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছে। জানা গিয়েছে, কাতারে মহিলারা খোলামেলা পোশাক পরতে পারেন না। তেমনই বিদেশী পর্যটক কোনও খোলামেলা পোশাক পরতে পারবেন না। প্রকাশ্যে ঘুরলে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হবে, খোলা রাখা যাবে না কাঁধও। অর্থাৎ অফ শোল্ডার পোশাক (Dress Code), কোনওভাবেই কাতারে পরতে পারবেন না বিদেশী মহিলারা।

এই নিয়মের অন্যথা হলে জেল পর্যন্ত হতে পারে নিয়ম ভঙ্গকারীদের। জানা গিয়েছে, শুধু স্টেডিয়ামের বাইরে নয় সে দেশের যেকোনও জনবহুল স্থান, এমনকি স্টেডিয়ামের ভিতরেও মহিলাদের এই নিয়ম পালন করতে হবে। স্টেডিয়ামের ভিতর কে কী করছেন বা কী পোশাক পরছেন, তা তদারকিতে প্রত্যেক স্টেডিয়ামে বিশেষ ক্যামেরা বসিয়েছেন আয়োজকরা। বিশেষ কোনও পোশাক পরার হুলিয়া জারি না থাকলেও, খোলামেলা পোশাক পরলেই কাতারে আইনি পদক্ষেপ অবশ্যসম্ভাবী। এমনটাই জানিয়েছে ওই সংবাদমাধ্যম।

এই বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে বিশ্বকাপ আয়োজক সংস্থা তথা বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফার বক্তব্য স্পষ্ট। তারা জানিয়েছে, দর্শকরা চাইলে ইচ্ছানুযায়ী পোশাক পরতে পারেন। কিন্তু তাঁদের কাছে অনুরোধ, আয়োজক দেশের আইনের কথা মাথায় রেখে যাতে তাঁরা পোশাক বাছেন।

পাশাপাশি বান্ধবী বা স্ত্রীকে নিয়ে বিশ্বকাপ দেখতে গেলেও বিশেষ বিধিনিষেধের মধ্যে পড়বেন বিদেশী পর্যটকরা। রাস্তায় তাঁরা বান্ধবী বা স্ত্রীয়ের হাত ধরে হাঁটতেই পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে জড়িয়ে না ধরাই ভাল। প্রকাশ্যে স্থানে চুম্বন সে দেশে একেবারে নিষিদ্ধ। তাই প্রিয় দলের আনন্দে যাতে বান্ধবী বা স্ত্রীকে চুমু খেয়ে বসবেন না তাহলেই বিপদ।

one year ago


SSC: বেআইনি ভাবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা শিক্ষক হলে ছাত্রদের ক্ষতি: হাইকোর্ট

সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করে শূন্যপদে নিয়োগ (SSC Recruitment) সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টে (Calcutta high Court) অস্বস্তিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। কমিশনের (SSC) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। রাজ্যকে স্কুল সার্ভিস কমিশন ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি (justice Basu)। এদিন শুনানিতে বিচারপতির মন্তব্য, বেআইনি ভাবে নিযুক্তদের বরদাস্ত নয়। এঁদের অন্য কোনও চাকরি দিন কিন্তু এরা শিক্ষক হলে ছাত্রদের ক্ষতি হবে। এরা শিক্ষক হতে পারেন না। রাজ্যের ক্ষতি নয় ছাত্রদের জীবনের ক্ষতি হবে যদি এরা শিক্ষক হন।'

বৃহস্পতিবার শুনানির সময় সুপার নিউমেরিক পদ তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্যের উলটো অবস্থান ছিল কমিশনের। তখনই বিচারপতির মন্তব্য, 'কমিশনকে নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে ভেঙে দিন।' শিক্ষক নিয়োগ-কাণ্ডে গ্রুপ সি এবং ডি, নবম-দ্বাদশ যাদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের পুনর্বহাল চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। 

আবেদনে এসএসসি জানায়, যাদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পুনর্বহাল করেও নতুন নিয়োগ করবে। সুপার নিউমারিক পোস্টে শূন্য পদ তার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যের কাছে সেই আবেদন পত্র পাঠায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু এই সুপার নিউমেরিক পদ তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্যের নয়। আদালতকে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। রাজ্য জানায় আদালতের নির্দেশ হলে চাকরি হবে।

এতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি বসু জানান, 'কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের ভিন্ন সুর। তবে কমিশন ভেঙে দিতে পারে রাজ্য। কমিশনকে কি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে রাজ্যে?' 

এসএসসি জানায় এই আবেদনের কারণ, যারা কাজ করছেন, তাঁদের তিন বছর হয়ে গিয়েছে, পরিবার রয়েছে। সে কথা ভেবেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি। বুধবার কমিশনের সঙ্গে মৌখিক কথা হয়েছে,  চেয়ারম্যান জানিয়েছেন এই আবেদনের এই অংশ প্রত্যাহারের কথা ভাবা হচ্ছে।

পাশাপাশি রাজ্য জানায়, কমিশন স্বতন্ত্র সংস্থা, তাই তাদের নিয়োগের সঙ্গে রাজ্য সরকারের অন্য চাকরির সঙ্গে পরিবর্তন করা যায় না। ইন্টারভিউয়ের অন্তত ১৫ দিন আগে শূন্যপদের সংখ্যা জানাতে হয়।


one year ago
SIT: এসএসি নিয়োগে সিবিআই তদন্তে ধীর গতি, কেন্দ্রীয় সংস্থার সিট সদস্যদেরই বদলে দিল হাইকোর্ট

স্কুল সার্ভিস কমিশন না এসএসসি (SSC Case) গ্রুপ-ডি (Group C and D) নিয়োগ-কাণ্ডের তদন্তে থাকা সিবিআইয়ের সিটে (CBI SIT) রদবদল। সিটের ২ জনকে সরিয়ে, চার জনকে নিযুক্ত করলো কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে সিটের দায়িত্বে আনা হল কেন্দ্রীয় সংস্থার ডিআইজি অখিলেশ সিংকে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে বহাল থাকবে। বুধবার অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলএন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)। এদিন শুনানিতে এসএসসি গ্রুপ-ডি নিয়োগ-কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআইয়ের আইও-কে ডেকে পাঠায় হাইকোর্ট। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরেই এই পদক্ষেপ আদালতের। জানা গিয়েছে সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিং ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।

সিবিআই সিটে রদবদলের ফলে দু'জনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন কেসি ঋষিনামণ এবং ইমরান আশিক। গত কয়েকদিনে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের ধীর গতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় এই সংস্থাকে লোকবল বাড়াতেও পরামর্শ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, প্রায় এক বছর হতে চললো সিবিআই তদন্তের নির্দেশ সেওয়া হয়েছে। জুন মাসে সিট গঠন করা হয়েছে। গ্রুপ-ডি মামলায় মোট ৫৪২ জনের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থা মাত্র ১৬ জনকে জেরা করেছে।'

তিনি জানান, প্রত্যেককে জেরা করা হলে আরও তথ্য হাতে আসতো। এর কারণ হতে পারে সিবিআইয়ে আধিকারিকদের অভাব নয়তো দক্ষতার অভাব। এরপরেই সিট পুনর্গঠনে চার জন সিবিআই অফিসারের নাম চান বিচারপতি। ডেপুটি এসপি অংশুমান সাহা, ইনস্পেক্টর বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, প্রদীপ ত্রিপাঠী এবং ওয়াসিম আক্রম খানকে সিটের সদস্য করেন বিচারপতি। ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে সিটের এই চার সদস্য কাজ করবে।  অখিলেশ সিংকে বর্তমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে এখুনি কলকাতা পাঠাতে হবে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বদলি করা যাবে না। এমনটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি এই মামলার তদন্তে কতটা অগ্রগতি তা ৭ দিনের সিবিআইকে জানাতে হবে। আগামি ২২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

one year ago